তহবিল-এর দায়
৭৷ (১) কোন বীমাকৃত ব্যাংক-এর অবসায়নের আদেশ প্রদান করা হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ঐ অবসায়িত ব্যাংক-এর প্রত্যেক আমানতকারীকে তাহার আমানতের সমপরিমাণ টাকা, যাহা সর্বাধিক এক লক্ষ টাকার বেশী হইবে না, তহবিল হইতে প্রদান করিবে৷
(২) অবসায়িত ব্যাংকে কোন আমানতকারীর একাধিক হিসাব থাকিলে এবং ঐ সকল হিসাবে একত্রে এক লক্ষ টাকার অধিক স্থিতি থাকিলেও তাহাকে তহবিল হইতে সর্বাধিক এক লক্ষ টাকার অধিক পরিশোধ করা হইবে না৷ তবে এইরূপ পরিশোধ অবসায়িত ব্যাংক-এর নীট সম্পদের বিপরীতে লিকুইডেটর কর্তৃক আমানতকারীদিগকে দেয় অংকের সহিত সমন্বয় করা হইবে৷
(৩) অবসায়িত ব্যাংকের অবসায়ক, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, তাহার কার্যভার গ্রহণের পর অনধিক নব্বই দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ছকে আমানতকারীর আমানতের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক-এর নিকট দাখিল করিবে৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আমানতকারীদের তালিকা প্রাপ্তির পর ট্রাস্টি বোর্ড অনধিক নব্বই দিনের মধ্যে উপ-ধারা (১) এর বিধানমতে আমানতকারীদের প্রাপ্য টাকা তহবিল হইতে পরিশোধের ব্যবস্থা করিবে৷
(৫) তহবিলে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ পরিশোধিতব্য টাকা হইতে কম হইলে বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক-এর মাধ্যমে, কম পড়া টাকা তহবিলে ব্যাংক রেটে সুদের ভিত্তিতে ঋণ প্রদান করিবে৷
(৬) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আমানতকারীর আমানতের পরিমাণ নির্ধারণকালে বীমাকৃত ব্যাংক আইনগতভাবে আমানতকারীর নিকট কোন পাওনা থাকিলে উহা বাদ দিয়া তাহার পাওনা নির্ধারণ করিবে৷