প্রিন্ট ভিউ
৪৷ 1[(১) নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে পরিষদ গঠিত হইবে, যথাঃ-
(ক) একজন চেয়ারম্যান;
(খ) সংশ্লিষ্ট জেলার মোট উপজেলার সমসংখ্যক সদস্য;
(গ) দফা (ক) ও (খ) এ উল্লিখিত সদস্য-সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ (নিকটবর্তী পূর্ণ সংখ্যায়) নারী সদস্য:
তবে শর্ত থাকে যে, তাহাদের সংখ্যা ২ (দুই) এর কম হইবে না; এবং
(ঘ) সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ক্ষেত্রমত, সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতিনিধি পদাধিকারবলে সদস্য।]
(২) চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণ ধারা ১৭ এর অধীন গঠিত নির্বাচক মণ্ডলীর ভোটে নির্বাচিত হইবেন৷
(৩) চেয়ারম্যান, সদস্য ও মহিলা সদস্যগণ নির্ধারিত পারিশ্রমিক, বিশেষ অধিকার, ছুটি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করিবেন৷
7[১০খ। এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, সকল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বা সদস্যগণকে অপসারণ করিতে পারিবে।]
১৭৷ 8[(১) প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন, যদি থাকে, এর মেয়র ও কাউন্সিলরগণ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরগণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সমন্বয়ে উক্ত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হইবে।
(২) সদস্য নির্বাচনের নিমিত্ত গঠিত প্রত্যেক ওয়ার্ডের জন্য একটি পৃথক ভোটার তালিকা থাকিবে।]
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচক মণ্ডলীর সদস্য নহেন এইরূপ কোন ব্যক্তি ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য হইবেন না।
(৪) এই ধারার অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও, ভোটার তালিকাভুক্ত কোন ব্যক্তি পরিষদের নির্বাচনে ভোট দানের পূর্বে যদি নির্বাচক মণ্ডলীর সদস্য হইবার যোগ্যতা হারান তাহা হইলে তিনি উক্ত নির্বাচনে ভোট দান করিতে পারিবেন না বা উক্ত নির্বাচনের জন্য ভোটার বলিয়া গণ্য হইবেন না।
৩৩৷ (১) প্রতি মাসে অন্ততঃ একবার পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
(২) পরিষদের সভায় ধারা ২৯ অনুসারে পরিষদের নিকট হস্তান্তরিত প্রতিষ্ঠান বা কর্মের জেলা পর্যায়ের প্রধান কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকিতে পারিবেন এবং পরিষদের সাধারণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, কিন্তু তাহাদের কোন ভোটাধিকার থাকিবে না৷
15[(২ক) সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকারবলে কর্মকর্তা সদস্য হিসাবে পরিষদের সভায় অংশগ্রহণ করিবেন; তবে তাহাদের কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না।]
(৩) পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত উহার সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে গৃহীত হইবে৷
16[৩৭ক। পরিষদ প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্ত হইবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে উহার সম্পাদিত কার্যাবলির উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে।]
৩৯৷ (১) নির্ধারিত শর্তানুযায়ী সরকার প্রত্যেক পরিষদের জন্য সরকারের উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, 17[সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার একজন নির্বাহী কর্মকর্তা] এবং অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহারা এই আইন দ্বারা বা আইনের অধীন নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করিবেন৷
18[(২) পরিষদ উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত, সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।]
(৩) এই আইন ও বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে,-
(ক) উপধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে সরকার চাকুরী হইতে সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে;
(খ) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে পরিষদ চাকুরী হইতে সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোন প্রকার শাস্ত প্রদান করিতে পারিবে৷
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত কোন ব্যক্তিকে সরকার এক পরিষদ হইতে অন্য কোন পরিষদে বদলি করিতে পারিবে৷
৪৯৷ (১) পরিষদ উহার এখ্তিয়ারভুক্ত যে কোন বিষয়ে উহার তহবিলের সংগতি অনুযায়ী পাঁচসালা পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন মেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত ও বাস্তবায়ন করিতে পারিবে এবং এইরূপ পরিকল্পনা প্রণয়নের ক্ষেত্রে, 20[সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে,] পরিষদের এলাকাভুক্ত সিটি কর্পোরেশন, যদি থাকে, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ বা কোন ব্যক্তির পরামর্শ বিবেচনা করিতে পারিবে৷
(২) উক্ত পরিকল্পনায় নিম্নলিখিত বিষয়ে বিধান থাকিবে, যথা :-
(ক) কি পদ্ধতিতে পরিকল্পনার অর্থ যোগান হইবে এবং উহার তদারক ও বাস্তবায়ন করা হইবে;
(খ) কাহার দ্বারা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হইবে;
(গ) পরিকল্পনা সম্পর্কিত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়৷
(৩) পরিষদ উহার প্রতিটি উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি অনুলিপি উহা বাস্তবায়নের পূর্বে সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে এবং জনসাধারণের অবগতির জন্য পরিষদের বিবেচনায় যথাযথ পদ্ধতিতে প্রকাশ করিতে বা ক্ষেত্র বিশেষে তাহাদের মতামত বা পরামর্শ বিবেচনাক্রমে উক্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
23[৮২। (১) এই আইন বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধান অনুযায়ী কোনো জেলা পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রশাসক জেলা পরিষদের কার্যাবলি সম্পাদন করিবেন।
(২) কোনো জেলা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে এবং পরবর্তী পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত উহার কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, সরকার, একজন উপযু্ক্ত ব্যক্তিকে বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তাকে প্রশাসক নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) প্রশাসক পদে কোনো ব্যক্তির দায়িত্ব পালনের সময়কাল কোনো ক্রমেই একের অধিকবার বা ১৮০ (একশত আশি) দিনের অধিক হইবে না।
24[৮২ক। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, যে কোন জেলা পরিষদে উহার কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী নিযুক্ত প্রশাসক এবং উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ, যদি থাকে, যথাক্রমে, চেয়ারম্যান ও সদস্যের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।]