প্রিন্ট ভিউ

বেসরকারীকরণ আইন, ২০০০

( ২০০০ সনের ২৫ নং আইন )

এই আইন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৬ (২০১৬ সনের ৩৬ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

সরকারী শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বেসরকারীকরণের উদ্দেশ্যে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু সরকারী শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বেসরকারীকরণকল্পে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
১৷ এই আইন বেসরকারীকরণ আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “কমিশন” অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বেসরকারীকরণ কমিশন;
 
 
 
 
(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(গ) “প্রবিধান” অর্থ এ আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ঘ) “ব্যক্তি” বলিতে যে কোন ব্যক্তিসংঘ, সমিতি, কোম্পানী, অংশীদারী কারবারও অন্তর্ভুক্ত;
 
 
 
 
(ঙ) “বেসরকারীকরণ” অর্থ কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের হস্তান্তর; এবং আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়াদিও ইহার অন্তর্ভুক্ত;
 
 
 
 
(চ) “শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান” অর্থ সরকারী শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান;
 
 
 
 
(ছ) “সদস্য” অর্থ কমিশনের সদস্য;
 
 
 
 
(জ) “সচিব” অর্থ কমিশনের সচিব;
 
 
 
 
(ঝ) “সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান” অর্থ এমন কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান যাহা সরকার বা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বা তত্কর্তৃক স্থাপিত, প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিত বা গঠিত কোন কর্পোরেশন, ট্রাষ্ট, বোর্ড, কোম্পানী বা অন্য যে কোন প্রকার প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন, বা যাহা সরকার বা উক্তরূপ যে কোন প্রতিষ্ঠান যে কোন ব্যক্তির নিকট হস্তান্তর করার অধিকারী, এবং উক্তরূপ কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা কোন প্রতিষ্ঠানে সরকারের বা উক্তরূপ কোন প্রতিষ্ঠানের কোন অংশ, স্বত্ব, স্বার্থ বা পরিচালনা কিংবা ব্যবস্থাপনার অধিকারসহ, অন্য যে কোন অধিকারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(ঞ) “হস্তান্তর” অর্থ বিক্রয়, ইজারা, বন্দোবস্ত বা অন্য কোন প্রকারে মালিকানা, স্বত্ব, স্বার্থ বা অধিকার হস্তান্তর বা অবসান, এবং পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনা অর্পণ বা হস্তান্তরও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷
কমিশন প্রতিষ্ঠা
৪৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকার, গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বেসরকারীকরণ কমিশন নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠা করিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং উহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীল মোহর থাকিবে; উহার স্থাবর বা অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে, এবং উহার নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং ইহার বিরুদ্ধেও উক্ত নামে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
কমিশনের কার্যালয়
৫৷ কমিশনের কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে৷
কমিশনের গঠন
৬৷ (১) নিম্্নলিখিত সদস্য সমন্বয়ে কমিশন গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) চেয়ারম্যান, যিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন;
 
 
 
 
(খ) ছয়জন সংসদ সদস্য, যাহারা সংসদ নেতা কর্তৃক মনোনীত হইবেন;
 
 
 
 
(গ) দুইজন সার্বক্ষণিক সদস্য, যাহারা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন;
 
 
 
 
(ঘ) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(ঙ) সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(চ) সচিব, অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(ছ) সচিব, বস্ত্র মন্ত্রণালয়, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(জ) সচিব, পাট মন্ত্রণালয়, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(ঝ) চেয়ারম্যান, সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(ঞ) সভাপতি, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজ, পদাধিকার বলে;
 
 
 
 
(ট) যে কোন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিত্বকারী একজন ব্যক্তি, যিনি সরকার কর্তৃক দুই বত্সরের মেয়াদে মনোনীত হইবেন৷
 
 
(২) চেয়ারম্যান হইবেন সরকারের অন্যুন প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি এবং সার্বক্ষণিক সদস্য হইবেন সরকারের সচিব বা অতিরিক্ত সচিবের পদমর্যাদাসম্পন্ন একজন ব্যক্তি৷
 
 
 
 
(৩) কোন সংসদ সদস্য উপ-ধারা (১) (খ)-এর অধীনে কমিশনের সদস্য মনোনীত হইলে এবং পরবর্তীতে তিনি সংসদ সদস্য না থাকিলে তাঁহার পদ শূন্য হইবে এবং তদস্থলে একজন নতুন সংসদ সদস্য মনোনীত হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) মনোনীত কোন সদস্য সরকারের নিকট লিখিত পত্র যোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) মনোনীত কোন সদস্যের সদস্য পদ মনোনয়ন দানকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় বাতিল করিতে পারিবে এবং তদস্থলে একজন নতুন সদস্য নিয়োগ করা যাইবে৷
চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্য
৭৷ (১) চেয়ারম্যান কমিশনের একজন সার্বক্ষণিক সদস্য ও উহার প্রধান নির্বাহী হইবেন৷
 
 
 
 
(২) চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সার্বক্ষণিক সদস্যের চাকুরীর মেয়াদ ও শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান-
 
 
 
 
(ক) কমিশনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
 
 
(খ) কমিশনের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন;
 
 
 
 
(গ) কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) কমিশনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ব বণ্টন করিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যগণ তাহাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে কমিশনের নিকট জবাবদিহি করিবেন৷
আকস্মিক শূন্যতা, ইত্যাদি
৮৷ (১) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সার্বক্ষণিক সদস্য চেয়ারম্যানরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
(২) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত তত্কর্তৃক নির্দেশিত কোন সার্বক্ষণিক সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
কমিশনের সভা
৯৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কমিশন উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশনের সভা, চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে ইহা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) অন্যুন পাঁচজন সদস্য সমন্বয়ে কমিশনের সভার কোরাম গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কমিশনের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন চেয়ারম্যান বা তাঁহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য বা, উক্তরূপ মনোনয়ন না থাকিলে, সভায় উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাঁহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোন সদস্য৷
 
 
 
 
(৫) প্রত্যেক সদস্যের একটি ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৬) কোন সরকারী শিল্প বা প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারীকরণের বিষয় কমিশন কর্তৃক বিবেচনাকালে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কমিশনের সভায় উপস্থিত থাকিবার জন্য আমন্ত্রণ জানানো যাইবে, তিনি উক্ত সভায় তাহার মতামত ব্যক্ত করিতে পারিবেন; তবে তাহার কোন ভোটাধিকার থাকিবেনা৷
 
 
 
 
(৭) কমিশন গঠনে কোন ত্রুটি রহিয়াছে বা উহাতে কোন শূন্যতা রহিয়াছে শুধুমাত্র এই কারণে কমিশনের কোন কার্য বা কার্যধারা বেআইনী হইবে না বা তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবেনা৷
কমিশনের কার্যাবলী
১০৷ (১) সরকারী শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বেসরকারীকরণের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক সময় সময় ঘোষিত নীতিমালা বাস্তবায়নের প্রয়োজনে যাবতীয় কার্যক্রম বা পদক্ষেপ গ্রহণ, এবং সরকারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানই হইবে কমিশনের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য৷
 
 
 
 
(২) বিশেষ করিয়া ও উপরোক্ত বিধানাবলীর সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া, অনুরূপ দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে নিম্্নরূপ যে কোন বিষয় থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বেসরকারীকরণের জন্য নির্দিষ্ট কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অবস্থা নিরূপণ ও বাজার মূল্যের ভিত্তিতে উহার মূল্যায়ন;
 
 
(খ) উক্তরূপ বাস্তব অবস্থা নিরূপণ ও মূল্যায়নের লক্ষ্যে সরেজমিনে প্রয়োজনীয় তথ্যসংগ্রহ এবং তদন্তানুষ্ঠান;
 
 
 
 
(গ) উক্তরূপে নিরূপিত বাস্তব অবস্থা ও মূল্যায়নের ভিত্তিতে দরপত্রের শর্ত সাব্যস্তকরণ;
 
 
 
 
(ঘ) সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান হস্তান্তরের লক্ষ্যে দরপত্র আহ্বান;
 
 
 
 
(ঙ) আগ্রহী দরপত্রদাতাগণের সংশ্লিষ্ট শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
 
 
(চ) আগ্রহী দরপত্রদাতাগণকে অবহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের অতীত কাজ-কর্ম, উত্পাদন বা ব্যবসা-বাণিজ্য এবং উহার ভবিষ্যত্ সম্ভাবনা সম্পর্কে, প্রয়োজনবোধে মন্তব্যসহ, বিবৃতি প্রস্তুতকরণ;
 
 
 
 
(ছ) দরপত্র বাছাই, বিশ্লেষণ ও গ্রহণ;
 
 
 
 
(জ) গৃহীত দরপত্রের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান হস্তান্তরের জন্য যাবতীয় কাজ-কর্ম সম্পাদন;
 
 
 
 
(ঝ) বেসরকারীকরণ সম্পর্কিত সরকারের নীতিমালা অধিকতর ফলপ্রসূ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজন হইলে সমীক্ষা পরিচালনা করিয়া সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
 
 
(ঞ) বেসরকারীকরণ সম্পর্কিত সরকারের নীতিমালা বাস্তবায়নের সাফল্য বা ব্যর্থতা বা ইহার কারণ সম্পর্কে সরকারকে নিয়মিতভাবে অবহিতকরণ;
 
 
 
 
(ট) বেসরকারীকরণকৃত শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের উন্নতি বা অবনতি সম্পর্কে পরিবীক্ষণ ও পর্যালোচনা করতঃ সরকারকে নিয়মিতভাবে অবহিতকরণ;
 
 
 
 
(ঠ) বেসরকারীকরণের লক্ষ্যে কোন পদক্ষেপের পথে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হইলে উহা অপসারণের জন্য সকলের সহযোগিতাসহ অন্য যে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
 
 
(ড) বেসরকারীকরণের জন্য নির্দিষ্ট শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের হস্তান্তর সহজতর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য পরামর্শ প্রদান;
 
 
 
 
(ঢ) বেসরকারীকরণের প্রয়োজনীয়তা, উপযোগিতা ও সুফল সম্পর্কে গবেষণা পরিচালনা ও তত্সম্পর্কে জনসাধারণকে ওয়াকেফহালকরণ;
 
 
(ণ) বেসরকারীকরণ সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা প্রতিষ্ঠানের সহিত ঘনিষ্ঠ সংযোগ রক্ষা৷
 
 
 
 
(৩) কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তসমূহের বরখেলাপ অথবা উহা হইতে বিচ্যুতি ঘটিলে সংশ্লিষ্ট হস্তান্তর দলিল অনুসারে সরকার বা কমিশন প্রতিষ্ঠানটির দখল পুনঃগ্রহণ করিতে এবং প্রয়োজনবোধে উক্ত দলিল বা প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক বা অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
বেসরকারীকরণ প্রক্রিয়া
১১৷ (১) সরকার, কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বেসরকারীকরণের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করিবে এবং ইহা সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা ঘোষণা করিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত নীতিমালার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার প্রয়োজনবোধে কমিশনের সহিত পরামর্শক্রমে, বেসরকারীকরণের জন্য সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট করিবে৷ কেবলমাত্র বেসরকারীকরণের জন্য নির্দিষ্টকৃত সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই আইনে বিবৃত বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) -এর অধীন বেসরকারীকরণের জন্য নির্ধারিত সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের একটি তালিকা সরকার, তালিকাভুক্ত শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানসমূহ হস্তান্তরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কমিশনের নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) উক্ত তালিকার সহিত উহার অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত, উহার আনুমানিক মূল্য ও উহার সম্পদ ও দায়-দায়িত্ব বিষয়ে একটি সুস্পষ্ট বর্ণনা সংযুক্ত থাকিবে৷
 
 
 
 
(৫) উক্ত তালিকা প্রাপ্তির পর কমিশন হস্তান্তরের জন্য নির্ধারিত প্রত্যেক শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বাস্তব অবস্থা ও উহার বর্তমান বাজার মূল্য নিরূপণের জন্য সরজমিনে একটি প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও তদন্তের ব্যবস্থা করিবে৷
 
 
 
 
(৬) উক্ত তথ্য সংগ্রহ বা তদন্তের জন্য অভিজ্ঞ চার্টার্ড একাউন্টেন্ট বা মূল্য নির্ধারক নিয়োগ করা যাইতে পারে৷
 
 
 
 
(৭) উক্ত তদন্ত রিপোর্ট চূড়ান্ত করিবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কর্পোরেশন, ট্রাষ্ট, বোর্ড, কর্তৃপক্ষ, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধকে আলোচনায় উপস্থিত থাকিবার জন্য আহ্বান জানানো যাইতে পারে৷
 
 
(৮) উপ-ধারা ১০ এর বিধান সাপেক্ষে উক্ত তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর কমিশন সংশ্লিষ্ট শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটি হস্তান্তরের জন্য দরপত্র আহ্বান করিবে৷
 
 
 
 
(৯) উক্ত দরপত্রে দেশী বা বিদেশী আগ্রহী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন এবং সংশ্লিষ্ট শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী বা কর্মকর্তা সমন্বয়ে গঠিত কোন সমিতি থাকিলে উহাকেও ইহাতে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সরকারী প্রতিষ্ঠান বা সংবিধিবদ্ধ সরকারী প্রতিষ্ঠান উক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(১০) কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট শেয়ার সরাসরি দরপত্রের মাধ্যমে বা ষ্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে হস্তান্তর করা যাইবে৷
 
 
 
 
(১১) যদি কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান হস্তান্তরের জন্য দরপত্র আহ্বান করার পর কোন দরপত্র পাওয়া না যায় বা দাখিলকৃত দরপত্রে উল্লেখিত মূল্য গ্রহণযোগ্য না হয় তাহা হইলে, কমিশন পুনরায় দরপত্র আহ্বান করিবে৷
 
 
 
 
(১২) উক্তরূপ দ্বিতীয়বার দরপত্র আহবান করার পরও যদি কোন দরপত্র পাওয়া না যায় বা দাখিলকৃত দরপত্রে উল্লেখিত মূল্য গ্রহণযোগ্য না হয় তাহা হইলে, কমিশন সংশ্লিষ্ট শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানটি হস্তান্তরের জন্য বিদ্যমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারীকরণের জন্য সম্ভাব্য অন্য যে কোন উপযুক্ত পন্থা গ্রহণ করিতে পারিবে এবং তদসম্পর্কে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 
(১৩) উপ-ধারা (১২)-এর অধীন গৃহীত বেসরকারীকরণের পন্থা সম্পর্কে কমিশন যথাসময়ে সরকারকে অবহিত করিবে৷
 
 
 
 
(১৪) প্রয়োজনবোধে বেসরকারীকরণের লক্ষ্যে কর্পোরেটাইজেশন এবং কমার্শিয়ালাইজেশনসহ অন্যান্য পদক্ষেপও গ্রহণ করা যাইবে৷
 
 
 
 
(১৫) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, গৃহীত দরপত্র মোতাবেক কোন শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের হস্তান্তর মূল্য, গ্রহীতা কর্তৃক পরিশোধিতব্য দীর্ঘমেয়াদী ঋণসহ, পঁচিশ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে হইলে, হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিবার পূর্বে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন হইবে৷
 
 
 
 
(১৬) বেসরকারীকরণ সংক্রান্ত চুক্তি প্রণয়নকালে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী/শ্রমিকগণ যাহাতে তাহাদের প্রাপ্য ন্যায্য পাওনা হইতে বঞ্চিত না হয় সরকার সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যধারা গ্রহণ করিবে৷
হস্তান্তর দলিল
১২৷ (১) কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের লক্ষ্যে গৃহীত হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছিলে, কমিশন প্রয়োজনীয় হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ পেশ করিবে এবং তত্সঙ্গে কমিশন কর্তৃক গৃহীত যাবতীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনও সংযুক্ত থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ সুপারিশ প্রাপ্তির পর সরকার স্বয়ং প্রয়োজনীয় হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র সম্পাদন করিবে অথবা, সরকার যদি সমীচীন মনে করে তাহা হইলে, কমিশনকে উহার পক্ষে প্রয়োজনীয় হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র সম্পাদন করিয়া দেওয়ার জন্য ক্ষমতা অর্পণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) সরকার কর্তৃক ক্ষমতা অর্পিত হইলে কমিশন স্বয়ং সরকারের পক্ষে প্রয়োজনীয় হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র সম্পাদন করিতে পারিবে এবং উক্ত রূপে সম্পাদিত দলিল বা চুক্তিপত্র সর্বব্যাপারে এবং সর্বউদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক সম্পাদিত হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র বলিয়া গণ্য হইবে এবং সেই হিসাবেই উহা কার্যকর হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ প্রজাতন্ত্রের সংযুক্ত তহবিলে জমা হইবে৷
 
 
 
 
(৫) বেসরকারীকরণের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ হইতে প্রথমে সংশ্লিষ্ট সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের পূর্বের দায়-দেনা প্রচলিত আইনানুযায়ী পরিশোধ করা হইবে৷
হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র সম্পাদন পরবর্তী পদক্ষেপ
১৩৷ (১) কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের লক্ষ্যে হস্তান্তর করার জন্য সম্পাদিত দলিল বা চুক্তিপত্র কার্যকর করার জন্য উক্ত হস্তান্তর দলিল বা চুক্তিপত্র অনুযায়ী কোন পদক্ষেপ বা কার্যক্রম গ্রহণ করার প্রয়োজন হইলে, সরকার কমিশনকে উক্তরূপ পদক্ষেপ বা কার্যক্রম গ্রহণ করার জন্য ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে, এবং উক্তরূপে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে, কমিশন উক্ত উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ বা কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কমিশন কর্তৃক গৃহীত যাবতীয় পদক্ষেপ বা কার্যক্রম সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ বা কার্যক্রম বলিয়া গণ্য হইবে এবং সেই হিসাবেই উহা কার্যকর হইবে৷
সচিব
১৪৷ (১) কমিশনের একজন সচিব থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) সচিব সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর মেয়াদ ও শর্তাবলী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) সচিব-
 
 
 
 
(ক) চেয়ারম্যানের অনুমতি সাপেক্ষে কমিশনের সভা আহ্বান করিয়া নোটিশ জারী করিবেন;
 
 
(খ) কমিশনের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করিবেন;
 
 
 
 
(গ) কমিশনের হিসাব সংরক্ষণ, হিসাব বিবরণী প্রণয়ন ও হিসাব নিরীক্ষার ব্যবস্থা করিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) কমিশনের বাজেট প্রণয়ন করিয়া অনুমোদনের জন্য উহা কমিশন সমীপে পেশ করিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) কমিশনের অর্থ ও সম্পত্তি এবং দলিল ও কাগজপত্র সংরক্ষণ ও হেফাজত করিবেন;
 
 
 
 
(চ) কমিশন, চেয়ারম্যান বা, চেয়ারম্যানের পরামর্শক্রমে, সার্বক্ষণিক সদস্য কর্তৃক অর্পিত বা নির্দিষ্টকৃত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করিবেন৷
কমিশনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ইত্যাদি
১৫৷ (১) কমিশন উহার দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারী, পরামর্শদাতা বা উপদেষ্টা নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
কমিটি
১৬৷ (১) কমিশন উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তা বা পরামর্শ প্রদানের জন্য প্রয়োজনবোধে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশন উহার সদস্য বা সদস্য বহির্ভূত ব্যক্তি সমন্বয়ে উক্তরূপ কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) উক্ত কমিটিসমূহের কার্যপদ্ধতি এবং দায়িত্ব কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
কমিশনের তহবিল
১৭৷ (১) কমিশনের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকারের নিকট হইতে প্রাপ্ত অর্থ;
 
 
 
 
(খ) কমিশন কর্তৃক অন্য যে কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
 
 
(২) উক্ত তহবিল কমিশনের নামে তত্কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল হইতে অর্থ উঠানো যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) উক্ত তহবিল হইতে কমিশনের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
বাজেট
১৮৷ কমিশন প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে কমিশনের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে ইহার উল্লেখ থাকিবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৯৷ (১) কমিশন যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর কমিশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের অনুলিপি সরকার ও কমিশনের নিকট পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কমিশনের সকল কাগজপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
২০৷ (১) প্রতি অর্থ বত্সর সমাপ্তির ষাট দিনের মধ্যে কমিশন উক্ত বত্সরে তত্কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, উহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত কমিশনের নিকট হইতে উহার যে কোন বিষয়ের উপরে প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং কমিশন উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
আদালতের এখতিয়ার সম্পর্কে বাধা নিষেধ
২১৷ এই আইনের অধীনে কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণ বা উক্ত প্রতিষ্ঠান হস্তান্তরের পর ধারা ১০(৩) এর অধীনে উহার দখল পুনঃগ্রহণের বৈধতা সম্পর্কে অধঃস্তন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
২২৷ কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী কর্তৃক সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকারের অনুমতি ছাড়া তাহার বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা দায়ের বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
ক্ষমতা অর্পণ
২৩৷ কমিশন লিখিত আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন উহার যে কোন ক্ষমতা, কর্তব্য বা দায়িত্ব, সুনির্দিষ্ট শর্তে, চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা সচিব বা অন্যকোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
তদন্ত অনুষ্ঠান, ইত্যাদি
২৪৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশন বা তত্কর্তৃক নিযুক্ত কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ যে কোন সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করিয়া উহা পরিদর্শন করিতে বা উহাতে কোন অনুসন্ধান বা তদন্ত পরিচালনা করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ প্রবেশ, পরিদর্শন, অনুসন্ধান বা তদন্তের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সর্বপ্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে৷
জনসেবক
 
২৫৷ কমিশনের চেয়ারম্যান, সদস্য, সচিব, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ (Penal Code (Act XLV of 1860) এর Section 21-এ æpublic servant” (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে æpublic servant” (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৬৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপরোক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতার আওতায় প্রণীত প্রবিধান দ্বারা নিম্্নবর্ণিত বিষয়গুলি সম্পর্কে বিধান করা যাইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কোন নির্দিষ্ট সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় মূল্যায়নের জন্য দিক নির্দেশনা;
 
 
 
 
(খ) উক্ত লক্ষ্যে দরপত্রের ফরম নির্ধারণ, দরপত্র আহ্বান, বিশ্লেষণ ও বিবেচনা পদ্ধতি;
 
 
 
 
(গ) ধারা ১১ এর উপ-ধারা (১২) এবং (১৪) -তে উল্লেখিত বেসরকারীকরণের পদ্ধতি, হস্তান্তর দলিল ও চুক্তিপত্রের ফরম নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঘ) হস্তান্তরকৃত সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের মূল্য পরিশোধ ও জমাদান পদ্ধতি৷
প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড বিলোপ, ইত্যাদি
২৭৷ কমিশন প্রতিষ্ঠার সংগে সংগে-
 
 
 
 
(ক) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের রিজলিউশন নং মপবি/প্রশাউ/প্রাঃ বোর্ড-১(১)/৯৩-৩০৬(২৫), তারিখ ০৭/১২/১৯৯৩ এবং মপবি/প্রশাউ/প্রাঃ বোর্ড-১(১)/৯৩-২০২(১৯), ০৫/১১/১৯৯৭ইং রহিত হইয়া যাইবে এবং তদধীন গঠিত প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড, অতঃপর বিলুপ্ত বোর্ড বলিয়া অভিহিত, বিলুপ্ত হইয়া যাইবে;
 
 
 
 
(খ) বিলুপ্ত বোর্ডের সার্বক্ষণিক চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য ও অন্যান্য খণ্ডকালীন সদস্য কমিশনে চেয়ারম্যান, সার্বক্ষণিক সদস্য এবং অন্যান্য সদস্য হিসাবে এই আইনের অধীন নিযুক্ত হইয়াছেন বলিয়া
 
 
গণ্য হইবেন এবং উক্ত বিলুপ্তির পূর্বে তাঁহারা যে শর্তে উক্ত পদসমূহে আসীন ছিলেন সেই একই শর্তে তবে এই আইনের বিধান সাপেক্ষে তাঁহাদের স্ব-স্ব পদে আসীন থাকিবেন;
 
 
 
 
(গ) বিলুপ্ত বোর্ডের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, বিনিয়োগ ও দায়-দেনা কমিশনে হস্তান্তরিত হইবে এবং কমিশন উহার অধিকারী হইবে বা বহন করিবে;
 
 
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত বোর্ড কর্তৃক গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত কমিশন কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী উহা কার্যকর হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) বিলুপ্ত বোর্ডের কৃত যাবতীয় কাজকর্ম, প্রদত্ত যাবতীয় আদেশ বা নির্দেশ, গৃহীত যাবতীয় ব্যবস্থা ও কর্মধারা, জারীকৃত যাবতীয় প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ, প্রণীত প্রবিধান এবং আহ্বানকৃত যাবতীয় দরপত্র কমিশন কর্তৃক কৃত, প্রদত্ত, গৃহীত, জারীকৃত, আহ্বানকৃত এবং প্রণীত বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(চ) বিলুপ্ত বোর্ড কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যাবতীয় মামলা মোকদ্দমা বা আইনগত কার্যধারা কমিশন কর্তৃক বা কমিশনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে এবং তদনুযায়ী উহা নিষ্পত্তি হইবে;
 
 
 
 
(ছ) উক্ত বিলুপ্তির পূর্বে সরকার কর্তৃক ঘোষিত সরকারী শিল্প বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বেসরকারীকরণের জন্য ঘোষিত নীতিমালা কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়নযোগ্য নীতিমালা বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(জ) বিলুপ্ত বোর্ডের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কমিশনে বদলী হইবেন এবং তাঁহারা কমিশনে নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ বদলীর পূর্বে তাঁহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, কমিশন কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে তাঁহারা কমিশনে চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs