প্রিন্ট ভিউ

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০০

( ২০০০ সনের ২৭ নং আইন )

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহর ও গ্রামাঞ্চলে আবাসন সমস্যা নিরসনকল্পে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০০ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ;
 
 
 
 
(খ) “বোর্ড” বা “পরিচালনা বোর্ড” অর্থ কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ড;
 
 
 
 
(গ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(ঘ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ঙ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(চ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য৷
আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷
কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা
৪৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার সংগে সংগে এই আইনের বিধান অনুযায়ী সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার
 
 
সম্পত্তি অর্জন করার, অধিকারে রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
৫৷ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের অন্য যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের সাধারণ পরিচালনা
৬৷ কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সম্পাদন করিতে পারিবে পরিচালনা বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য-সস্পাদন করিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী ও দায়িত্ব
৭৷ কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী ও দায়িত্ব হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, জরিপ ও সমীক্ষা পরিচালনা এবং তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ;
 
 
 
 
(খ) জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং সরকারের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন;
 
 
 
 
(গ) স্বল্প ব্যয় ও আত্মসহায়তামূলক নগর ও গ্রামীণ গৃহায়ন প্রকল্প প্রণয়ন এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহার বাস্তবায়ন;
 
 
 
 
(ঘ) দুর্যোগ ও আপদকালীন সময়ের জন্য গৃহায়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, উহার বাস্তবায়ন;
 
 
 
 
(ঙ) দুর্দশাগ্রস্ত মহিলা, অসহায় ও দুস্থ নাগরিকদের জন্য গৃহায়ন কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
 
 
(চ) সরকার কর্তৃক কর্তৃপক্ষের নিকট ন্যস্ত বা কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমির রক্ষণাবেক্ষণ এবং উক্ত জমিতে বাড়ী, এপার্টমেন্ট, ফ্লাট, ইমারত নির্মাণ;
 
 
 
 
(ছ) দফা (চ) এর অধীন নির্মিত বাড়ী, এপার্টমেন্ট, ফ্লাট ও ইমারত এর বিক্রয়, ইজারা প্রদান বা অন্যভাবে বিলিবন্টন;
 
 
 
 
(জ) গৃহায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজন ও পরিচালনা;
 
 
 
 
(ঝ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গৃহায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে গবেষণা করা;
 
 
 
 
(ঞ) গৃহায়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা;
 
 
(ট) উপরি-উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ৷
পরিচালনা বোর্ড গঠন
৮৷ (১) পরিচালনা বোর্ড একজন চেয়ারম্যান এবং অন্যুন তিনজন কিন্তু অনধিক পাঁচজন সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি বা অসুস্থতাহেতু বা অন্য কোন কারণে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা কেবলমাত্র উহার কোন সদস্যপদে শূন্যতার কারণে অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা
৯৷ চেয়ারম্যান কর্তৃপক্ষের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
 
 
(খ) কর্তৃপক্ষের প্রশাসন পরিচালনা করিবেন৷
কর্তৃপক্ষের বিভাগ
১০৷ প্রশাসনিক সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষকে একাধিক বিভাগে বিভক্ত করা যাইবে এবং একজন সদস্য এক বা একাধিক বিভাগ-প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
কমিটি
১১৷ (১) কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তা দানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ কমিটির সদস্য সংখ্যা, উহার দায়িত্ব ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) স্থানীয় সংসদ-সদস্য উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটিতে উপদেষ্টা থাকিবেন৷
বোর্ডের সভা
১২৷ (১) বোর্ড সাধারণভাবে প্রতি মাসে কমপক্ষে একবার সভায় মিলিত হইবে এবং সভার তারিখ, সময় ও স্থান চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
 
(২) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে বোর্ডের জ্যেষ্ঠতম সদস্য বা চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) বোর্ডের সভায় আলোচ্য কোন বিষয়ে চেয়ারম্যান বা কোন সদস্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন স্বার্থ জড়িত থাকিলে তিনি উহা সভায় ব্যক্ত করিবেন এবং সভার কার্যবিবরণীতে তাহা লিপিবদ্ধ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত কোন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় সংশ্লিষ্ট সদস্য সভায় উপস্থিত থাকা হইতে বিরত থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৫) প্রত্যেক বোর্ড সভার কার্যবিবরণী চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবার পরবর্তী দশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১৩৷ সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশাবলী এবং সরকার অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে একজন সচিব এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৪৷ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ অথবা কোন বিশেষ আদেশ দ্বারা, উহার যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট শর্তে চেয়ারম্যান, সদস্য এবং কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের তহবিল
১৫৷ (১) কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
 
 
 
 
(গ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ঋণ;
 
 
 
 
(ঘ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(ঙ) কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
 
 
(চ) অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
(২) কর্তৃপক্ষের তহবিল বোর্ডের অনুমোদনক্রমে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল পরিচালনা করা হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান, সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাদি এই তহবিল হইতে পরিশোধ করা হইবে এবং উহার দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে এই তহবিল ব্যবহারের পূর্ণ ক্ষমতা বোর্ডের থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, তহবিলের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়মনীতি ও বিধিবিধান, যদি থাকে, অনুসরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষের অর্থায়নে বাস্তবায়িত কোন প্রকল্প হইতে অর্জিত অর্থের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অংশ প্রজাতন্ত্রের সংযুক্ত তহবিলে/সরকারী হিসাবে জমা প্রদানের জন্য সরকার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবে৷
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
১৬৷ কর্তৃপক্ষ প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৭৷ (১) কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) Chartered Accountants Order, 1973 (P. O. No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা কর্তৃপক্ষের হিসাব প্রতি বত্সর নিরীক্ষা করা হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে কর্তৃপক্ষ Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ছাড়াও, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা দল কর্তৃপক্ষের যে কোন বত্সরের হিসাব নিরীক্ষা করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত নিরীক্ষক বা নিরীক্ষা দল কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ অর্থ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যান্য সম্পত্তি পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, সদস্য, যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
১৮৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাণিজ্যিক ব্যাংক বা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিদেশী সংস্থা হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- আর্থিক প্রতিষ্ঠান বলিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২(খ) তে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বুঝাইবে৷
প্রতিবেদন, ইত্যাদি
১৯৷ (১) প্রতি অর্থ বত্সর শেষ হইবার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ তত্কর্তৃক উক্ত অর্থ বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে উহার কর্মকান্ড বা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কোন তথ্য, পরিসংখ্যান, হিসাব-নিকাশ, টেন্ডার ডকুমেন্ট, দলিল-দস্তাবেজ বা অন্য কিছু তলব করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) সরকার যে কোন সময় কর্তৃপক্ষের কর্মকান্ড অথবা যে কোন প্রকার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
জমি হুকুমদখল বা অধিগ্রহণ, ইত্যাদি
২০৷ (১) কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য কোন জমি প্রয়োজন হইলে উহা জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে উহা Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (Ordinance II of 1982) এর বিধান মোতাবেক হুকুমদখল বা অধিগ্রহণ করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ কোন জমি ক্রয়, লীজ, বিনিময় বা অন্য কোন উপায়ে অর্জন করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহার কোন সম্পত্তি অনুরূপভাবে বিলিবণ্টন করিতে পারিবে৷
প্রবেশ ও পরিদর্শন
২১৷ কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে চেয়ারম্যানের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের কোন কর্মকর্তা অন্যুন বাহাত্তর ঘণ্টার নোটিশ প্রদান করিয়া যে কোন স্থান, ঘরবাড়ী বা অংগনে সুর্যোদয়ের পর ও সূর্যাস্তের পূর্বে যে কোন সময় প্রবেশ করিতে এবং এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে যে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
কর্তৃপক্ষের পাওনা আদায়
২২৷ কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের পাওনা সরকারী দাবী হিসাবে Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act III of 1913) এর বিধানানুসারে আদায়যোগ্য হইবে৷
নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা
২৩৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সময় সময়, কর্তৃপক্ষকে যে কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম
২৪৷ এই আইন, বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার, কর্তৃপক্ষ, চেয়ারম্যান বা কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা কোন আদালতে দায়ের বা রুজু করা যাইবে না:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীন কৃত কাজকর্ম অবশ্যই বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে হইতে হইবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৫৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৬৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্র্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
অধিদপ্তর, ইত্যাদি বিলোপ
২৭৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার সঙ্গে সঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর এবং কমিশনার (পত্তন) কার্যালয়, অতঃপর উক্ত অধিদপ্তর ও কার্যালয় বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে এবং বিলুপ্ত হইবার অব্যবহিত পূর্বে বিলুপ্ত অধিদপ্তর ও কার্যালয়-
 
 
 
 
(ক) এর সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং এতদসংক্রান্ত সকল দাবী ও অধিকার কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর হইবে এবং কর্তৃপক্ষ উহার অধিকারী হইবে;
 
 
 
 
(খ) এর সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(গ) এর কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী, কোন চুক্তি, দলিল বা চাকুরীর শর্তে যাহা কিছু থাকুক না কেন, উপ-ধারা (২) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) (ঙ) এ উল্লেখিত কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিতে না চাহিলে তিনি, এই আইন বলবত্ হইবার ছয় মাসের মধ্যে, সেইমর্মে লিখিতভাবে চেয়ারম্যানের নিকট তাহার ইচ্ছা ব্যক্ত করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) যদি উক্ত অধিদপ্তর ও কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উপ-ধারা (২) এর অধীন কর্তৃপক্ষের চাকুরীতে নিয়োজিত না থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন এবং সরকারী চাকুরীতে বহাল থাকিতে চাহেন, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে সরকারী চাকুরীর ধারাবাহিকতা, জ্যেষ্ঠতা, শর্তাবলী এবং সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs