হাইকোর্ট বিভাগের এডমিরালটি এখতিয়ার
৩। (১) হাইকোর্ট বিভাগ এডমিরালটি কোর্ট হইবে।
(২) এডমিরালটি কোর্টের নিম্নবর্ণিত যে কোন প্রশ্ন বা দাবী সম্পর্কে শুনানী এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবার এখতিয়ার থাকিবে, যথা:-
(ক) জাহাজের দখল বা মালিকানা বা উহার শেয়ারের মালিকানা বা নিবন্ধন সার্টিফিকেট, লগবুক বা জাহাজ চলাচল ও নৌপরিবহন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল সার্টিফিকেটসহ জাহাজের স্বত্ব-মালিকানার দলিল পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত সকল দাবী;
(খ) জাহাজের দখল, কর্মনিয়োগ বা আয় সম্পর্কিত বিষয়ে কোন জাহাজের সহমালিকগণের মধ্যে উত্থাপিত যে কোন প্রশ্ন;
(গ) কোন জাহাজ বা উহার শেয়ারের বন্ধক বা চার্জ (charge) সংক্রান্ত দাবী;
(ঘ) কোন জাহাজ কতর্ৃক সংঘটিত ক্ষতির দাবী;
(ঙ) ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের ক্ষতিপূরণের দাবী;
(চ) জাহাজের ত্রুটি, ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির কারণে বা জাহাজের মালিক, ভাড়াকারী, দখলকার বা নিয়ন্ত্রণকারী অথবা মালিক, ভাড়াকারী বা দখলকারের নিকট দায়ী মাষ্টার, নাবিক বা অন্য কোন ব্যক্তির বেআইনী কর্ম, অবহেলা বা ব্যর্থতার কারণে অথবা জাহাজের ত্রুটিপূর্ণ পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, জাহাজে পণ্য বোঝাই, জাহাজ হইতে পণ্য খালাস, জাহাজে পণ্য পরিবহন, জাহাজে যাত্রী উঠানো বা জাহাজ হইতে যাত্রী নামানোর কারণে সংঘটিত প্রাণহানি বা ব্যক্তিগত ক্ষতির দাবী;
(ছ) জাহাজে পরিবহনকৃত পণ্য হারাইয়া যাওয়া বা ক্ষতির দাবী;
(জ) কোন জাহাজে পণ্য পরিবহন বা কোন জাহাজের ব্যবহার বা ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি হইতে উদ্ভূত কোন দাবী;
(ঝ) ঈরা
Civil Aviation Ordinance, 1960 (Ord. XXXII of 1960) এর section 12 এর দ্বারা বা অধীন দরখাস্ত উদ্ভূত বা কোন বিমান, বিমানের যাত্রী বা সরঞ্জামাদি ও মালপত্র উদ্ধার সংক্রান্ত আইনের আওতায় দরখাস্ত দ্বারা আনীত দাবীসহ সমুদ্র, রাষ্ট্রীয় জলসীমা বা অভ্যন্তরীণ জলসীমা বা বন্দরে সম্পাদিত জাহাজের লোকদের জীবন রক্ষা বা জাহাজ বা জাহাজের সরঞ্জামাদি উদ্ধার বা জাহাজে রক্ষিত মালপত্র বা সম্পদ উদ্ধার কাজের জন্য যে কোন দাবী;
(ঞ) কোন জাহাজ বা বিমান টানিয়া (towage) আনা সংক্রান্ত দাবী;
(ট) কোন জাহাজ বা বিমান চালনা (Pilotage) সংক্রান্ত দাবী;
(ঠ) জাহাজ পরিচালনা বা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা সামগ্রী সরবরাহ সংক্রান্ত দাবী;
(ড) জাহাজের নির্মাণ, মেরামত বা সজ্জিতকরণ বা জাহাজঘাটার খরচাদি বা দায় সংক্রান্ত দাবী;
(ঢ) জাহাজের মাষ্টার বা নাবিকের মজুরীর দাবী বা Merchant Shipping Ordinance, 1983 (XXVI of 1983), অতঃপর উক্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লেখিত, এর আওতায় বা আদালতে জাহাজের মাষ্টার বা নাবিকের মজুরী হিসাবে আদায়যোগ্য অর্থ বা সম্পত্তির দাবী;
(ণ) জাহাজের মাষ্টার, পণ্য প্রেরক, ভাড়াকারী বা এজেন্ট কতর্ৃক জাহাজের বাবদ বা জাহাজের জন্য ব্যয়কৃত অর্থ সংক্রান্ত দাবী;
(ত) সাধারণ গড়পড়তা কাজ (general average act) বা উক্তরূপ কাজ বলিয়া দাবীকৃত কাজ হইতে উত্থাপিত দাবী;
(থ) জাহাজ বা জাহাজের মাল বন্ধক, (bottomry ও respondentia) হইতে উদ্ভূত দাবী;
(দ) কোন জাহাজ বা কোন জাহাজ দ্বারা পরিবহনাধীন বা পরিবহনকৃত বা পরিবহন প্রচেষ্টারত পণ্য বাজেয়াপ্তকরণ বা ব্যবহারের অযোগ্য ঘোষণা করা সংক্রান্ত দাবী বা জব্দকৃত জাহাজ বা জাহাজের মালপত্র ফেরৎ প্রদান বা droits of admiralty সংক্রান্ত দাবীসহ উক্ত অধ্যাদেশ এর বিধানানুযায়ী প্রতিকার প্রদানের এখতিয়ার বা এই আইন প্রণয়নের অব্যবহিতপূর্বে এডমিরালটি কোর্ট হিসাবে হাইকোর্ট বিভাগের উপর ন্যস্ত অথবা এডমিরালটি কোর্ট হিসাবে প্রথাগতভাবে সামুদ্রিক জাহাজ বা বিমানের ব্যাপারে হাইকোর্ট বিভাগের যে সকল বিষয়ে এখতিয়ার ছিল, সেই সব বিষয়।
(৩) কোন জাহাজের ক্ষেত্রে, উপ-ধারা (২) (খ) এর অধীন এডমিরালটি কোর্টের এখতিয়ার অর্থে পক্ষগণের মধ্যে বকেয়া এবং অমীমাংসিত হিসাবের মীমাংসা করা, জাহাজ বা উহার শেয়ার বিক্রয় করার নির্দেশ প্রদান এবং কোর্ট যেইরূপ উপযুক্ত মনে করে সেইরূপ অন্য কোন নির্দেশ প্রদান করার ক্ষমতাও অন্তভর্ুক্ত থাকিবে।
(৪) উপ-ধারা (২) (ঝ)-তে উল্লেখিত রক্ষা (salvage) হিসাবে দাবী অর্থে আপাততঃ বলবৎ কোন আইনের অধীন জাহাজ বা বিমান হইতে প্রাণরক্ষার জন্য, কোন জাহাজ বা বিমানের মালামাল, সরঞ্জাম বা ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষণের জন্য প্রদত্ত সেবার দাবীও অন্তভর্ুক্ত হইবে।
(৫) এই ধারার পূর্ববর্তী বিধানাবলী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
(ক) কোন জাহাজ বা বিমানের ক্ষেত্রে, উহা বাংলাদেশী হউক বা না হউক, নিবন্ধিত হউক বা না হউক এবং উহার মালিকের বাসস্থান বা স্থায়ী নিবাস যেখানেই থাকুক না কেন;
(খ) সকল দাবীর ক্ষেত্রে, দাবী উত্থাপনের স্থান নির্বিশেষে মালামাল বা ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার বা ভূমিতে প্রাপ্ত মালামাল বা ধ্বংসাবশেষ সংক্রান্ত দাবী;
(গ) বন্ধক ও চার্জ-এর ক্ষেত্রে, বিদেশী আইনের অধীনে সৃষ্ট বন্ধক বা চার্জসহ আইনানুগ বা ন্যায়ানুগ সকল বন্ধক বা চার্জ, নিবন্ধিত হউক বা না হউক:
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার কোন কিছুই উক্ত অধ্যাদেশ-এর অধীনে আদায়যোগ্য কোন অর্থ বা সম্পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলিয়া গণ্য হইবে না।