প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১২ নং আইন )

এই আইন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন (২০১৩ সনের ৩৯নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাহাদের অংশগ্রহণ ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষা, রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তাহাদের অংশগ্রহণ ও সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ এবং আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী কল্যাণ আইন, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “জেলা কমিটি” অর্থ ধারা-১২ এর অধীন গঠিত জেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ কমিটি;
 
 
 
 
(খ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;
 
 
 
 
(গ) “নির্বাহী কমিটি” অর্থ ধারা-৮ এর অধীন গঠিত প্রতিবন্ধী কল্যাণ নির্বাহী কমিটি;
 
 
 
 
(ঘ) “প্রতিবন্ধী” অর্থ ধারা-৩ এ বর্ণিত কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(ঙ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(চ) “সমন্বয় কমিটি” অর্থ ধারা-৪ এর অধীন গঠিত জাতীয় প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমন্বয় কমিটি৷
প্রতিবন্ধীর সংজ্ঞা ও প্রতিবন্ধী চিহ্নিতকরণ
৩৷ (১) “প্রতিবন্ধী” অর্থ এমন ব্যক্তি যিনি-
 
 
 
 
(ক) জন্মগতভাবে, বা রোগাক্রান্ত হইয়া, বা দুর্ঘটনায় আহত হইয়া, বা অপচিকিত্সায়, বা অন্য কোন কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানষিকভাবে ভারসাম্যহীন; এবং
 
 
(খ) উক্তরূপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে-
 
 
 
 
(অ) স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন; এবং
 
 
 
 
(আ) স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সংজ্ঞার আওতায় নিম্্নবর্ণিত যে কোন প্রতিবন্ধীও অন্তর্ভুক্ত-
 
 
 
 
(ক) দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, অর্থাত্ যাহার-
 
 
 
 
(অ) এক চোখের দৃষ্টি শক্তি নাই; বা
 
 
 
 
(আ) উভয় চোখের দৃষ্টি শক্তি নাই; বা
 
 
 
 
(ই) ভিজুয়েল এ্যকুইটি, যথাযথ লেন্স ব্যবহার করা সত্ত্বেও, ৬/৬০ অথবা ২০/২০০ (লেন্সের পদ্ধতি) অতিক্রম করে না; বা
 
 
 
 
(ঈ) দৃষ্টিসীমা (field of vision) ২০ ডিগ্রী কোণের বিপ্রতীপ কোণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে;
 
 
 
 
(খ) শারীরিক প্রতিবন্ধী, অর্থাত্ যাহার-
 
 
 
 
(অ) একটি বা উভয় হাত নাই; বা
 
 
 
 
(আ) কোন হাত পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবশ বা স্বাভাবিক মাত্রা অপেক্ষা এইরূপ দুর্বল যে, উপ-ধারা (১) এর (ক) ও (খ) দফায় বর্ণিত অবস্থা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; বা
 
 
 
 
(ই) একটি বা উভয় পা নাই; বা
 
 
 
 
(ঈ) কোন পা পূর্ণ বা আংশিকভাবে অবশ বা স্বাভাবিক মাত্রা অপেক্ষা এইরূপ দুর্বল যে, উপ-ধারা (১) এর (ক) ও (খ) দফায় বর্ণিত অবস্থা তাহার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; বা
 
 
 
 
(উ) শারীরিক গঠন বিকৃত বা অস্বাভাবিক; বা
 
 
 
 
(ঊ) স্্নায়ুবিক বৈকল্যের কারণে স্থায়ীভাবে শারীরিক ভারসাম্য নাই;
 
 
 
 
(গ) শ্রবণ প্রতিবন্ধী, অর্থাত্ যাহার অপেক্ষাকৃত সুস্থ কানের শ্রবণ ক্ষমতা, সাধারণ কথোপকথন শ্রবণের ক্ষেত্রে, ৪০ ডেসিবল (ধ্বনির একক) বা ততধিক মাত্রায় নষ্ট, ক্ষতিগ্রস্ত বা অকার্যকর;
 
 
 
 
(ঘ) বাক প্রতিবন্ধী, অর্থাত্ যাহার স্বাভাবিক অর্থবোধক ধ্বনি উচ্চারণ করার ক্ষমতা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বিনষ্ট বা অকার্যকর;
 
 
 
 
(ঙ) মানসিক প্রতিবন্ধী, অর্থাত্ যাহার-
 
 
 
 
(অ) বয়ঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক বুদ্ধির পূর্ণতা ঘটে নাই বা যাহার বুদ্ধাংক স্বাভাবিক মাত্রা অপেক্ষা কম; বা
 
 
(আ) মানসিক ভারসাম্য নাই বা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে নষ্ট হইয়াছে;
 
 
 
 
(চ) বহু মাত্রিক প্রতিবন্ধী, অর্থাত্ যাহার উপরি-উল্লিখিত একাধিক প্রতিবন্ধিতা রহিয়াছে;
 
 
 
 
(ছ) সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোন প্রতিবন্ধী৷
জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠন ও পদত্যাগ
৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে এতদ্‌দ্বারা নিম্্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমন্বয় কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করা হইল, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, পদাধিকারবলে, যিনি উক্ত কমিটির সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, পদাধিকারবলে, যিনি উক্ত কমিটির সহ-সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(গ) স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঘ) স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঙ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কর্মরত অধ্যাপক পদমর্যাদার একজন চিকিত্সক, যিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক মনোনীত হইবেন;
 
 
 
 
(চ) পঙ্গু হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ছ) বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(জ) প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিয়োজিত বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার পাঁচজন প্রতিনিধি, যাহারা সরকার কর্তৃক মনোনীত হইবেন;
 
 
 
 
(ঝ) বাংলাদেশ মানসিক প্রতিবন্ধী হাসপাতালের পরিচালক, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঞ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ট) নির্বাহী সচিব, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজ কল্যাণ পরিষদ, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঠ) পরিচালক, জাতীয় চক্ষু ইনষ্টিটিউট, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ড) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন বা সরকার কর্তৃক মনোনীত, যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার নিম্্ন b”nb Gেমন একজন কর্মকর্তা, যিনি উক্ত কমিটির সচিবও হইবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) (জ) তে উল্লিখিত-
 
 
 
 
(ক) যে কোন সদস্যের মনোনয়ন বাতিলক্রমে সরকার তাহার সদস্যপদের অবসান ঘটাইতে পারিবে;
 
 
 
 
(খ) যে কোন সদস্য সভাপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্র যোগে তাহার সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) সরকার প্রয়োজনে অন্য কোন ব্যক্তিকে সমন্বয় কমিটির সদস্য হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবে৷
সদস্য পদের অযোগ্যতা
৫৷ ধারা ৪(১)(জ) এর অধীনে মনোনীত কোন ব্যক্তি সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-
 
 
 
 
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিক না হন বা উহা পরিত্যাগ করেন বা হারান; বা
 
 
 
 
(খ) তাহাকে কোন উপযুক্ত আদালত অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করে; বা
 
 
 
 
(গ) তিনি আপাততঃ বলবত্ কোন আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন উপযুক্ত আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং তাহার দেউলিয়াত্বের অবসান না হয়; বা
 
 
 
 
(ঘ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যুন দুই বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়া থাকেন; বা
 
 
 
 
(ঙ) এই আইন বা বিধির অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন৷
জাতীয় সমন্বয় কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
৬৷ (১) সমন্বয় কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে যোগ্যতা অনুসারে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর পূর্ণ অংশগ্রহণ এবং তাহাদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিতকরণকল্পে সরকারের বিদ্যমান নীতিমালা পর্যালোচনা এবং বিরাজমান বাস্তবতার নিরীখে উহা সংশোধনের সুপারিশ বা প্রয়োজনে নূতন নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা;
 
 
 
 
(খ) প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী ও প্রকল্প গ্রহণে সরকারকে পরামর্শ দান;
 
 
 
 
(গ) এই আইন ও অন্যান্য প্রযোজ্য আইনের আলোকে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে কর্মরত নির্বাহী কমিটি ও জেলা কমিটিসহ সকল সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার কার্যাবলীর সমন্বয়, পর্যালোচনা ও এতদ্‌বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান;
 
 
(ঘ) প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর অধিকার সংরক্ষণের জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান এবং অন্যান্য সংস্থাকে উদ্বুদ্ধ করা;
 
 
 
 
(ঙ) প্রতিবন্ধী বিষয়ক কার্যক্রমে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(চ) প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় তথ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ছ) আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিবন্ধীদের জন্য গৃহীত ব্যবস্থাদির সহিত জাতীয় নীতিমালা ও প্রযোজ্য আইন কানুনের সঙ্গতি রক্ষা এবং উহাদের বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান;
 
 
 
 
(জ) প্রতিবন্ধী বিষয়ক আইন কানুন সময় সময় পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা;
 
 
 
 
(ঝ) প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত পরিসংখ্যান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা;
 
 
 
 
(ঞ) এই উপ-ধারায় বর্ণিত কার্যাবলী বাস্তবায়নের জন্য আনুষঙ্গিক পদক্ষেপ গ্রহণ৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতার আওতায় তফসিলে উল্লিখিত কার্যক্রমগুলি সমন্বয় কমিটির কার্যপরিধির অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে, এবং উক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উক্ত কমিটি সরকারের যে কোন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা অন্য কোন সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা বেসরকারী সংস্থাকে অনুরোধ বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নির্দেশনা বা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
সমন্বয় কমিটির সভা
৭৷ (১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, সমন্বয় কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) প্রতি বত্সর সমন্বয় কমিটির অন্যুন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) সমন্বয় কমিটির সভা ইহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) সভাপতি সমন্বয় কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তাহার অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি এবং তাহারও অনুপস্থিতিতে সভাপতি কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য বা এইরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে সভায় উপস্থিত সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) সমন্বয় কমিটির সভায় কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যুন পাঁচজন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে৷
 
 
(৬) সমন্বয় কমিটির সভায় সাধারণভাবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে, তবে কোন বিষয়ে দ্বিমত দেখা দিলে উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে; এইরূপ ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটে সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৭) সমন্বয় কমিটির উহার সভার কোন আলোচ্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে কোন বিশেষজ্ঞ বা ওয়াকেফহাল কোন ব্যক্তিকে মতামত বা বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবে, তবে উক্ত আমন্ত্রিত ব্যক্তির কোন ভোটাধিকার থাকিবে না৷
 
 
 
 
(৮) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা সমন্বয় কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে ইহার কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
নির্বাহী কমিটির গঠন, সদস্যদের অযোগ্যতা ইত্যাদি
৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এতদ্বারা নিম্্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে প্রতিবন্ধী কল্যাণ নির্বাহী কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করা হইল, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সমাজ কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব, পদাধিকারবলে, যিনি উক্ত কমিটির সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার নিম্্ন b”n Ggb 6 (Qq) Rb miKvix Kের্মকর্তা, যাহারা যথাক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ, অর্থ বিভাগ, সড়ক ও রেলপথ বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত হইবেন;
 
 
 
 
(গ) প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিয়োজিত বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(ঘ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঙ) সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব, যিনি পদাধিকারবলে নির্বাহী কমিটির সচিবও হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) (গ) এর অধীন-
 
 
 
 
(ক) কোন ব্যক্তি সদস্য হিসাবে মনোনীত হওয়ার বা উক্ত পদে থাকিবার যোগ্য হইবেন না যদি তাহার ক্ষেত্রে ধারা ৫ এ বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়;
 
 
(খ) মনোনীত যে কোন সদস্যের মনোনয়ন বাতিলক্রমে সরকার তাহার সদস্যপদের অবসান ঘটাইতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) মনোনীত যে কোন সদস্য সভাপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্র যোগে তাহার সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
৯৷ নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা;
 
 
 
 
(খ) এই আইনের বিধানাবলী এবং প্রতিবন্ধী বিষয়ক জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমন্বয় কমিটির নিকট যথাযথ সুপারিশ পেশ করা;
 
 
 
 
(গ) প্রতিবন্ধীদের পুনর্বাসন, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, প্রশিক্ষণসহ সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণপূর্বক তাহা অনুমোদনের জন্য সমন্বয় কমিটির নিকট পেশ করা;
 
 
 
 
(ঘ) জেলা কমিটির কার্যাবলী পরিবীক্ষণ এবং সমন্বয় কমিটির নির্দেশনা সাপেক্ষে, তদারকী ও প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করা;
 
 
 
 
(ঙ) এই উপ-ধারায় বর্ণিত কার্যাদি পালনের জন্য আনুষংগিক সকল ব্যবস্থা গ্রহণ৷
নির্বাহী কমিটির কার্যালয়
১০৷ (১) নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে উহাকে সহায়তা করার জন্য-
 
 
 
 
(ক) সরকার একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে; বা
 
 
 
 
(খ) সরকার তত্কর্তৃক মনোনীত কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে, নির্বাহী কমিটির কার্যালয়রূপে নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- শুধুমাত্র দফা (খ) এর অধীনে নিযুক্তির কারণে উক্ত সংস্থা সরকারী সংস্থা হিসাবে বা উহার কোন সদস্য বা কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি সরকারী কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)(খ) এর অধীনে সরকার কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে নির্বাহী কমিটির কার্যালয়রূপে নিয়োগ করিলে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বা তত্কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত উহার কোন সদস্য বা কর্মকর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাহী কমিটির নির্দেশিত দায়িত্ব পালন করিতে পারিবেন৷
নির্বাহী কমিটির সভা
১১৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, নির্বাহী কমিটি ইহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
(২) প্রতি তিন মাসে নির্বাহী কমিটির অন্যুন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) নির্বাহী কমিটির সভা ইহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) নির্বাহী কমিটির সভাপতি উহার সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য বা এইরূপ কোন নির্দেশ না থাকিলে সভায় উপস্থিত সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) নির্বাহী কমিটির সভার কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে৷
 
 
 
 
(৬) নির্বাহী কমিটির সভায় সাধারণভাবে ঐক্যমতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইবে, তবে কোন বিষয়ে দ্বিমত দেখা দিলে উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং এইরূপ ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটে সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৭) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা নির্বাহী কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে ইহার কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
জেলা কমিটির গঠন, সদস্যদের অযোগ্যতা ইত্যাদি
১২৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রতিটি জেলায় একটি জেলা কমিটি থাকিবে, যাহা সংশ্লিষ্ট জেলার নামসহ জেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ কমিটি নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) জেলা কমিটির সদস্য হইবেন নিম্্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) ডেপুটি কমিশনার, পদাধিকারবলে, যিনি উক্ত কমিটির সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) জেলার সিভিল সার্জন, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(গ) জেলায় কর্মরত প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিয়োজিত বেসরকারী সংস্থা হইতে ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক মনোনীত ২ (দুই) জন প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(ঘ) জেলা শিক্ষা অফিসার; পদাধিকারবলে
 
 
 
 
(ঙ) জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী, গণপূর্ত, পদাধিকারবলে;
 
 
(চ) জেলা গণসংযোগ অফিসার, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ছ) জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি;
 
 
 
 
(জ) উপ-পরিচালক, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়, পদাধিকারবলে, যিনি উক্ত কমিটির সচিবও হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) (গ) এর অধীন-
 
 
 
 
(ক) কোন ব্যক্তি সদস্য হিসাবে মনোনীত হওয়ার বা উক্ত পদে থাকিবার যোগ্য হইবেন না যদি তাহার ক্ষেত্রে ধারা ৫ এ বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়;
 
 
 
 
(খ) মনোনীত যে কোন সদস্যের মনোনয়ন বাতিলক্রমে ডেপুটি কমিশনার তাহার সদস্য পদের অবসান ঘটাইতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) মনোনীত যে কোন সদস্য সভাপতির উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে তাহার সদস্যপদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
১৩৷ জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সমন্বয় কমিটি এবং নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত, নির্দেশনা, নির্দেশ, সরকার বা সমন্বয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প বা কর্মসূচী জেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন;
 
 
 
 
(খ) জেলার প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন ও পরিচয় পত্র প্রদান;
 
 
 
 
(গ) প্রতিবন্ধীদের কল্যাণের নিমিত্ত গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে নির্বাহী কমিটির নিকট বত্সরে অন্ততঃ একটি প্রতিবেদন প্রেরণ;
 
 
 
 
(ঘ) নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত অন্য কোন বিশেষ দায়িত্ব পালন;
 
 
 
 
(ঙ) বিধি দ্বারা অন্যান্য দায়িত্ব পালন;
 
 
 
 
(চ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে যে কোন আনুষংগিক কার্যক্রম সম্পাদন৷
জেলা কমিটির সভা
১৪৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, জেলা কমিটি ইহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) প্রতি দুই মাসে জেলা কমিটির অন্ততঃ একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) জেলা কমিটির সভা ইহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
(৪) সভাপতি জেলা কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক নির্দেশিত কোন সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) জেলা কমিটির সভায় কোরামের জন্য মোট সদস্য সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে৷
প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন ও পরিচয় পত্র প্রদান
১৫৷ (১) জেলা কমিটি সংশ্লিষ্ট জেলা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত সকল প্রতিবন্ধীদের নিবন্ধন করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে একটি নিবন্ধন বহি সংরক্ষণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন প্রতিবন্ধী নিবন্ধিত হইলে উক্ত প্রতিবন্ধীকে জেলা কমিটির সদস্য সচিবের স্বাক্ষরে একটি পরিচয় পত্র প্রদান করিতে হইবে৷
উপ-কমিটি
১৬৷ সমন্বয় কমিটি, নির্বাহী কমিটি বা জেলা কমিটি উহার কাজে সহায়তার জন্য প্রয়োজনবোধে এক বা একাধিক সদস্য এবং অন্য কোন ব্যক্তি সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপ-কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ উপ-কমিটির সদস্য সংখ্যা, উহার দায়িত্ব এবং কার্যধারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব
১৭৷ সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত, নির্দেশনা এবং উক্ত কমিটি কর্তৃক গৃহীত প্রকল্প বা কর্মসূচী মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নে সহায়তা করা সংশ্লিষ্ট সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হইবে৷
ক্ষমতার্পণ
১৮৷ সমন্বয় কমিটি, নির্বাহী কমিটি বা জেলা কমিটির কার্যাবলী দক্ষতার সহিত সম্পাদনের জন্য যেইরূপ শর্তাদি আরোপ করা উপযুক্ত বলিয়া বিবেচনা করিবে সেইরূপ শর্তাধীনে ইহার ক্ষমতা (এই ধারা ব্যতীত) বা দায়িত্ব উহার কোন সদস্যকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
অপরাধ, দণ্ড ও বিচার
১৯৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে, বিধি দ্বারা এমন কতিপয় সুনির্দিষ্ট কার্যকলাপকে অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করা যাইবে, যাহার জন্য সংশ্লিষ্ট অপরাধী অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উক্ত অপরাধের বিচার বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২০৷ এই আইনের অধীনে কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক বা ম্যানেজার বা সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, তবে তিনি যদি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হইবেন না৷
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা সংগঠনও অন্তর্ভুক্ত;
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
দায়মুক্তি
২১৷ এই আইন বা বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কোন কৃত কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, সমন্বয় কমিটি, নির্বাহী কমিটি বা জেলা কমিটির কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা উক্ত কমিটির নিকট হইতে ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা গ্রহণ করা যাইবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২২৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
অসুবিধা দূরীকরণ
২৩৷ এই আইনের কোন বিধানে কোন প্রকার অস্পষ্টতা থাকিলে উহা দূরীকরণ বা উক্ত বিধান বাস্তবায়নের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs