প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ১৮ নং আইন )

বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নয়ন ও দক্ষ নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে একটি স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং আনুষংগিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধানকল্পে প্রণীত আইন৷
যেহেতু বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও দক্ষ নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে একটি স্বাধীন কমিশন প্রতিষ্ঠা, [ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ক্ষমতা], কার্যাবলী ও দায়িত্ব কমিশনের নিকট হস্ত্মান্তর এবং আনুষংগিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন;

প্রথম অধ্যায়

প্রাথমিক বিষয়াদি

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১। এই আইন বাংলাদেশ 1[ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ] আইন, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা কার্যকর হইবে৷
সংজ্ঞা

২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের প্রয়োজন ভিন্নরূপ না হইলে, এই আইনে,-

 
 

(১) “আগ্রহী পক্ষ” অর্থ বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী বা লাইসেন্সের আওতায় গৃহীতব্য অন্য কোন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগ্রহী কোন ব্যক্তি;

 
 

(২) “আন্তঃসংযোগ (Interconnection)” অর্থ একাধিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের দৃশ্য (physical) বা অদৃশ্য বা যৌক্তিক (logical) সংযোগ যাহার ফলে এইরূপ একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণ তাহাদের নিজেদের মধ্যে বা অন্য কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণের সহিত যোগাযোগ করিতে বা উক্ত অন্য নেটওয়ার্কের সেবা পাওয়ার সুযোগ লাভ করিতে পারে;

 
 

(৩) “কমিশন” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ 2[টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ] কমিশন;

 
 

(৪) “কমিশনার” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান বা অন্য কোন কমিশনার;

 
 

(৫) “কর্মচারী” বলিতে কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত;

 
 

(৬) “ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতা” অর্থ নির্গমন (emission), বিকিরণ (radiation) বা আবেশের (induction) ফলে সৃষ্ট তড়িত্-চুম্বকীয় শক্তির এমন বিরূপ প্রভাব যাহা-

 
 

(ক) বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার বা কার্যক্ষমতাকে বিপন্ন করে; অথবা

 
 

(খ) বেতার যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা কার্যক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস বা বাধাগ্রস্ত করে, অথবা উক্ত ব্যবহারে বা কার্যক্ষমতায় বিচ্যুতি ঘটায়;

 
 

(৭) “কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ” অর্থ ৫৭ ধারার অধীনে কমিশন প্রদত্ত কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ;

 
 

(৮) “গ্রাহক” অর্থ যে ব্যক্তি কোন পরিচালনাকারীর নিকট হইতে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করেন;

 
 

(৯) “চেয়ারম্যান” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান;

 
 

(১০) “চার্জ” অর্থ এই আইনের অধীনে কমিশন বা পরিচালনাকারী প্রদত্ত সেবা বাবদ প্রদেয় চার্জ;

 
 

(১১) “টেলিযোগাযোগ” অর্থ কোন কথা (speech), শব্দ (sound), চিহ্ন, সংকেত, লেখা, দৃশ্যমান প্রতিকৃতি বা অন্যবিধ যে কোন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অভিব্যক্তিকে তড়িৎ, চুম্বক-শক্তি, তড়িৎ-চুম্বকীয় শক্তি, তড়িৎ-রাসায়নিক বা তড়িৎযান্ত্রিক শক্তি ব্যবহারক্রমে তার, নল, বেতার অপটিক্যাল বা অন্য কোন তড়িৎ-চুম্বকীয় বা তড়িৎ-রাসায়নিক বা তড়িৎ-যান্ত্রিক বা কৃত্রিম উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরণ ও গ্রহণ;

 
 

(১২) “টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি” অর্থ টেলিযোগাযোগ অভিব্যক্তিটির সংজ্ঞার আওতায় পড়ে এইরূপ কোন কিছুকে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে প্রেরণ বা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত যে কোন যন্ত্রপাতি;

 
 

(১৩) “টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা” অর্থ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতির সমন্বিত রূপ (যেমন সুইচিং ব্যবস্থাদি, প্রেরণ যন্ত্রপাতি, প্রান্তিক যন্ত্রপাতি, কৃত্রিম উপগ্রহ ইত্যাদি), এই সকল যন্ত্রপাতি দৃশ্যতঃ পরস্পর সংযুক্ত থাকুক বা না থাকুক বা উহারা একযোগে তথ্য বা বার্তা প্রেরণের কাজে ব্যবহৃত হউক বা না হউক;

 
 

(১৪) “টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক” অর্থ এমন একগুচ্ছ সংযোগস্থল (node) এবং সংযোগ লাইন (link) এর সমাহার যাহা দুই বা ততোধিক অবস্থানের মধ্যে টেলিযোগাযোগ স্থাপন করে;

 
 

(১৫) “টেলিযোগাযোগ সেবা” অর্থ নিম্নবর্ণিত যে কোন সেবা:-

 
 

(ক) টেলিযোগাযোগ অভিব্যক্তিটির সংজ্ঞার আওতায় পড়ে এমন কোন কিছুকে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে প্রেরণ বা গ্রহণ;

 
 

(খ) টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারিত সেবা (value added service  যেমন, ফ্যাক্স, ভয়েস মেইল, পেজিং সার্ভিস);

 
 

(গ) ইন্টারনেট সেবা;

 
 

(ঘ) উপরে (ক) (খ) ও (গ) তে বর্ণিত সেবা ব্যবহারের সুবিধার্থে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কিত অবগতিমূলক বা নির্দেশনামূলক তথ্যাদি সরবরাহ করা;

 
 

(ঙ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সহিত সংযুক্ত বা সংযোজিতব্য যন্ত্রপাতি স্থাপন বা রক্ষণাবেক্ষণ, অথবা উক্ত যন্ত্রপাতির সমন্বয়সাধন, পরিবর্তন, মেরামত, স্থান পরিবর্তন বা স্থলাভিষিক্তকরণ সংক্রান্ত সেবা;

 
 

(১৬) “ট্যারিফ” অর্থ এই আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের অধীনে 3[সরকার] কর্তৃক অনুমোদিত বা ধারা ৯২ তে উল্লেখিত ট্যারিফ;

 
 

(১৭) “প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি” অর্থ বেতার যন্ত্রপাতি ব্যতীত অন্য এমন যন্ত্রপাতি বা কৌশল যাহা বেতার যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বা করিতে সক্ষম;

 
 

(১৮) “পরিদর্শক” অর্থ ধারা ৬০ এর অধীনে পরিদর্শক হিসাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;

 
 

(১৯) “পরিচালনাকারী (Operator)” অর্থ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনের জন্য, বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য বা এই ধরনের একাধিক কাজের সমন্বিত ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য, লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি;

 
 

(২০) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত প্রবিধান;

 

4[ (২০ক) "প্রশাসনিক জরিমানা" অর্থ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত এইরূপ জরিমানা যাহা আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নহে বা আরোপিত নহে;]

 
 
 

5[২১। ‘‘পারমিট’’ অর্থ কোন পরিচালনাকারীর লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা সেবা প্রদানের কোন স্থাপনা, যন্ত্রপাতি বা সুবিধা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ফিস বা অন্য কোন ধরনের মূল্য বা সুবিধা প্রাপ্তির বিনিময়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যবহারের জন্য কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতি;’’;]

 
 

(২২) “প্রান্তিক যন্ত্রপাতি” অর্থ এমন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি যাহা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবার গ্রহীতা কর্তৃক বার্তা বা তথ্য প্রেরণ বা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়;

 
 

(২৩) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);

 
 

6[(২৩ক) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;]

 

(২৪) “ব্যক্তি” শব্দের আওতায় কোন প্রাকৃতিক ব্যক্তি স্বত্বাবিশিষ্ট একক ব্যক্তি (individual), অংশীদারী কারবার, সমিতি, কোম্পানী, কর্পোরেশন, সমবায় সমিতি, এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (statutory body) অন্তর্ভুক্ত;

 
 

(২৫) “বেতার যন্ত্রপাতি” অর্থ বেতার (radio apparatus) যোগাযোগে ব্যবহারের উপযুক্ত কৌশল বা এইরূপ একাধিক কৌশলের সমন্বয়;

 
 

(২৬) “বেতার যোগাযোগ বা রেডিও (radio communication or radio)” অর্থ কোন কৃত্রিম দিক নির্দেশক ব্যবস্থা ব্যতিরেকে ৩০০০ গিগাহার্জ (GHz) অপেক্ষা কম ফ্রিকোয়েন্সির বেতার তরঙ্গের (radio wave) সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের উপরে কোন চিহ্ন, সংকেত, ছবি, প্রতিকৃতি, প্রতীক বা শব্দের নির্গমন, প্রেরণ বা গ্রহণ;

 
 

(২৭) “মন্ত্রী” অর্থ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

 
 

(২৮) “মন্ত্রণালয়” অর্থ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ;

 
 

7[(২৯) “লাইসেন্স” অর্থ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, পরিচালন বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান অথবা উক্ত ব্যবস্থা, সেবা পরিচালন বা সংরক্ষণের জন্য অথবা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কমিশন কর্তৃক এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স;]

 
 

(৩০) “সম্প্রচার” অর্থ বেতার তরঙ্গ, কৃত্রিম উপগ্রহ, তার (cable) বা অপটিক্যাল ফাইবার এর সাহায্যে এমন বার্তা, তথ্য, সংকেত, শব্দ, প্রতিকৃতি বা বুদ্ধিভিত্তিক অভিব্যক্তি প্রেরণ যাহা জনসাধারণ কর্তৃক গ্রহণের জন্য প্রেরিত, তবে ইন্টারনেট যোগাযোগের মাধ্যমে কোন কিছু প্রেরণকে সম্প্রচার বলিয়া গণ্য করা যাইবে না;

 
 

(৩১) “স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি” অর্থ এই আইনের ৫৬ ধারার অধীন গঠিত স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি;

 
 

(৩২) “সার্বজনীন সেবা” অর্থ বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অবস্থানরত বা যে কোন পেশায় কার্যরত প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান৷

প্রয়োগ
৩৷ (১) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে এবং নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কোন স্থলযান, জলযান, আকাশযান বা কৃত্রিম উপগ্রহ;
 
 
(খ) বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমুদ্রসীমার (territorial waters) মধ্যে অবস্থিত কোন মঞ্চ, রিগ বা অন্যবিধ স্থাপনা, যাহা উক্ত সমুদ্রসীমার মধ্যে বা পানির নীচে মাটির সহিত সংযুক্ত:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বিদেশী স্থলযান, জলযান, আকাশযান বা কৃত্রিম উপগ্রহের ব্যাপারে বাংলাদেশ কোন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে বা অনুরূপ ব্যবস্থায় পক্ষভুক্ত থাকিলে উক্ত চুক্তি বা ব্যবস্থা সাপেক্ষে এই আইন প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইন নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:-
 
 
 
 
(ক) কোন কিছু সম্প্রচার;
 
 
 
 
(খ) বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র বা টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র বা উক্ত কেন্দ্রের জন্য লাইসেন্স প্রদান;
 
 
 
 
(গ) সম্প্রচার যন্ত্রপাতি, বা সম্প্রচারিত তথ্য বা বার্তা বা অনুষ্ঠানের গ্রাহক যন্ত্রপাতি, বা এইরূপ যন্ত্রপাতির ব্যবসা বাণিজ্য:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য হইবে:
 
 
 
 
(অ) এইরূপ বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র বা টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্র বা সম্প্রচার যন্ত্রপাতির জন্য ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দকরণ বা বরাদ্দকৃত ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ;
 
 
 
 
(আ) সম্প্রচার যন্ত্রপাতির সহিত, বা সম্প্রচারের উদ্দেশ্যে, টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ব্যবহার৷
 
 
 
 
(৩) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, উহাতে উল্লেখিত কোন বিশেষ ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণী বা বিশেষ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি বা কোন বিশেষ সেবাকে এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধানের সকল বা যে কোন বিধানের কার্যকারিতা হইতে অব্যাহতি দিতে পারে৷
টেলিযোগাযোগ সম্পর্কিত অন্যান্য আইন ইত্যাদির প্রয়োগ
৪৷ (১) Telegraph Act, 1885 (XIII of 1885) এবং Wireless Telegraphy Act, 1933 (XVII of 1933), এই আইনের বিধান সাপেক্ষে প্রযোজ্য হইবে এবং কোন বিষয়ে উক্ত Act দুইটির সহিত এই আইনের অসংগতি থাকিলে এই আইনের বিধান কার্যকর হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উপরোক্ত দুইটি আইন বা অন্য কোন আইনের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান বা অন্যান্য নিয়মাবলী বা উহাদের অধীন প্রদত্ত বা জারীকৃত আদেশ, নির্দেশ বা নির্দেশনা, এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, প্রয়োগ করা যাইবে, যে পর্যন্ত উক্ত বিধি, প্রবিধান, নিয়মাবলী, আদেশ, নির্দেশ বা নির্দেশনার প্রয়োগ কমিশন কর্তৃক রহিত না করা হয়৷
অন্যান্য আইনের উপর প্রাধান্য
৫৷ অন্যান্য আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷

দ্বিতীয় অধ্যায়

কমিশন প্রতিষ্ঠা ও গঠন

কমিশন প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
৬৷ (১) এই আইন প্রবর্তনের সংগে সংগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন নামে একটি কমিশন প্রতিষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে, ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ও অধিকারে রাখার, হস্ত্মান্তর করার, চুক্তি সম্পাদন এবং এই আইন অনুসারে অন্যান্য কার্য সম্পাদন করার ও উদ্যোগ গ্রহণের অধিকার এই সংস্থার থাকিবে, উহা নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) কমিশনের সাধারণ সীলমোহর কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আকৃতির এবং বিবরণ সম্বলিত হইবে; উহা চেয়ারম্যানের হেফাজতে থাকিবে এবং কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, চেয়ারম্যান এবং অপর একজন কমিশনারের উপস্থিতি ব্যতিরেকে কোন দলিলে সাধারণ সীলমোহর লাগানো যাইবে না এবং তাহাদের উপস্থিতির প্রতীক হিসাবে তাহারা সীলযুক্ত দলিলটিতে স্বাক্ষর করিবেন৷
কমিশনের গঠন
৭৷ (১) কমিশন ৫ (পাঁচ) জন কমিশনার সমন্বয়ে গঠিত হইবে এবং তাহাদের মধ্য হইতে সরকার একজনকে চেয়ারম্যান ও অপর একজনকে ভাইস-চেয়ারম্যান নিয়োগ করিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশনারদের অন্ততঃ দুইজন হইবেন উপ-ধারা ১০(১) এর দফা (ক) তে উল্লেখিত প্রকৌশলী, অন্ততঃ একজন হইবেন উক্ত উপ-ধারার দফা (খ)- েত উল্লেখিত ব্যক্তি এবং অন্ততঃ একজন হইবেন উক্ত উপ-ধারার দফা (গ)- েত উল্লেখিত ব্যক্তি৷
 
 
 
 
(৩) শুধুমাত্র কোন কমিশনার পদে শূন্যতা বা কমিশন গঠনে ত্রম্নটি থাকার কারণে কমিশনের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ প্রতিপন্ন হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
কমিশনের কার্যালয়
৮। কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে, তবে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমতিক্রমে, দেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
কমিশনারগণের নিয়োগ ও মেয়াদ
৯৷ (১) কমিশনারগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহারা পূর্ণকালীন ভিত্তিতে কর্মরত থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) কমিশনারগণ, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, তাহাদের নিয়োগের তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদের জন্য বহাল থাকিবেন এবং অনুরূপ একটি মাত্র মেয়াদের জন্য পুনঃনিয়োগের যোগ্য হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তির বয়স ৬৫ (পঁয়ষট্টি) বত্সর পূর্ণ হইলে তিনি কমিশনার পদে নিযুক্ত হইবার বা উক্ত পদে বহাল থাকিবার যোগ্য হইবেন না৷
কমিশনারগণের যোগ্যতা ও অযোগ্যতা
১০৷ (১) কমিশনার হইবেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি-
 
 
 
 
(ক) টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে অন্ততঃ ১৫ বত্সরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রকৌশলী;
 
 
 
 
(খ) হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার যোগ্যতাসহ আইন বিষয়ে ১৫ বত্সরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইনজীবী বা বিচারক;
 
 
 
 
(গ) ব্যবসা বাণিজ্য বা শিল্প বা অর্থ (finance) বা অর্থনীতি বা গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ বা ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসন বিষয়ে অন্ততঃ ১৫ (পনের) বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি৷
 
 
 
 
(২) এমন কোন ব্যক্তি কমিশনার নিযুক্ত হইবার বা উক্ত পদে বহাল থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যিনি:
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশের নাগরিক নহেন;
 
 
 
 
(খ) জাতীয় সংসদ, বা কোন স্থানীয় সরকারের সদস্য নির্বাচিত হইয়াছেন বা নির্বাচিত হওয়ার জন্য মনোনীত হইয়াছেন;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপী হিসাবে উক্ত ব্যাংক, প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্যাংক বা আদালত কর্তৃক ঘোষিত বা চিহ্নিত হইয়াছেন;
 
 
 
 
(ঘ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দেউলিয়াত্বের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করেন নাই;
 
 
 
 
(ঙ) নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ সংঘটনের দায়ে আদালত কর্তৃক দুই বছর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছেন, এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছর সময় অতিক্রান্ত হয় নাই;
 
 
 
 
(চ) কমিশনার নিযুক্ত হওয়ার পর উক্ত পদের দায়িত্ব বহির্ভূত কোন লাভজনক কাজে সরাসরিভাবে নিয়োজিত;
 
 
(ছ) মালিক, শেয়ার হোল্ডার, পরিচালক, কর্মকর্তা, অংশীদার বা পরামর্শক হিসাবে বা অন্যবিধ কারণে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট:
 
 
 
 
(অ) বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালন বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোন ফার্ম বা কোম্পানী বা অন্যবিধ প্রতিষ্ঠান, যাহার জন্য এই আইনের অধীনে লাইসেন্স বা কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ বা পারমিটের প্রয়োজন হয়:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার (statutory body) পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্য বা কর্মকর্তাকে কমিশনার হিসাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি উক্ত সংস্থায় তাহার চাকুরী অব্যাহত না রাখার শর্তে তাহাকে নিয়োগ করা যাইবে; অথবা
 
 
 
 
(আ) বিদেশে টেলিযোগাযোগ কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোন ফার্ম বা কোম্পানী বা কর্পোরেশন বা এমন কোন প্রতিষ্ঠান যাহা বিদেশে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি উত্পাদন বা বিতরণ করে, বা বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে, বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করে;
 
 
 
 
(জ) দৈহিক বা মানসিক বৈকল্যের কারণে তাহার দায়িত্ব পালনে অক্ষম; অথবা
 
 
 
 
(ঝ) উপ-ধারা (৩) এর বিধান যথাসময়ে পালনে ব্যর্থ হইয়াছেন৷
 
 
 
 
(৩) কাহারও উইল, দান বা উত্তরাধিকার সূত্রে বা অন্য কোনভাবে উপধারা (২)(ছ)- েত নিষিদ্ধ ঘোষিত কোন স্বার্থ কোন কমিশনারের উপর বর্তাইলে বা তিনি উহা অর্জন বা ধারণ করিলে-
 
 
 
 
(ক) বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার বা কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে লব্ধ বা ধারণকৃত স্বার্থের মূল্য, ধরন, এবং উহা অর্জন বা বর্তানো বা ধারণের ঘটনা সম্পর্কে তিনি অন্য সকল কমিশনারকে লিখিত নোটিশ দ্বারা অবহিত করিবেন; এবং
 
 
 
 
(খ) চেয়ারম্যান বিষয়টি সম্পর্কে অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সকল কমিশনারকে নোটিশ দিয়া সভা আহ্বান করিবেন, তবে যে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান নিজেই উক্ত নোটিশ দেন, সে ক্ষেত্রে ভাইস- চেয়ারম্যান এই সভা আহ্বান করিবেন; এবং কোন ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান উভয়েই উক্ত নোটিশ দিলে যে কোন কমিশনার এই সভা আহ্বান করিতে পারিবেন; এবং
 
 
(গ) কমিশন উক্ত স্বার্থের ধরন ও মূল্য বিবেচনাক্রমে, উহা অনধিক তিন মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত কমিশনার তাহা পালনে বাধ্য থাকিবেন; এবং
 
 
 
 
(ঘ) কমিশন উক্ত নির্দেশের একটি অনুলিপি অবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ সভায় উক্ত স্বার্থ অর্জনকারী বা ধারণকারী কমিশনার উপস্থিত থাকিয়া তাহার বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পাইবেন, কিন্তু তাহার কোন ভোটাধিকার থাকিবে না৷
পরিবারের সদস্যের কতিপয় স্বার্থ সম্পর্কে কমিশনারের দায়িত্ব
১১৷ (১) কোন কমিশনারের পরিবারের কোন সদস্য যদি ধারা ১০(২)(ছ)- েত উলিস্্নখিত স্বার্থ অর্জন বা ধারণ করেন, তাহা হইলে তিনি কমিশনার নিযুক্ত হওয়ার বা তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তাহার জানামতে উক্ত স্বার্থের ধরন ও মূল্য সম্পর্কে কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “পরিবার” বলিতে কমিশনারের পিতা, মাতা, স্বামী বা স্ত্রী, এবং তাহার পুত্র, কন্যা, সত্পুত্র ও সত্কন্যাকে বুঝাইবে৷
 
 
 
 
(২) কোন কমিশনারের পরিবারের কোন সদস্য যে ফার্ম, কোম্পানী, কর্পোরেশন বা প্রতিষ্ঠানে উক্ত স্বার্থ অর্জন বা ধারণ করেন, উক্ত ফার্ম, কোম্পানী, কর্পোরেশন বা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কমিশন কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উক্ত কমিশনার অংশ গ্রহণ করিবেন না, তবে এতদবিষয়ে কমিশনের সভায় তিনি উপস্থিত থাকিতে পারিবেন, কিন্তু তাহার ভোটাধিকার থাকিবে না৷
কমিশনারগণের পদত্যাগ ও অপসারণ
১২৷ (১) যে কোন কমিশনার সরকারের বরাবরে তিন মাসের লিখিত নোটিশ এবং উহার একটি অনুলিপি কমিশনের চেয়ারম্যান বা পদত্যাগকারী কমিশনার চেয়ারম্যান হইলে ভাইস-চেয়ারম্যানের বরাবরে প্রেরণপূর্বক তাহার পদ ত্যাগ করিতে পারেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ পদত্যাগ সত্ত্বেও, পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত, সরকার প্রয়োজনবোধে পদত্যাগকারী কমিশনারকে তাহার দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করিতে পারে৷
 
 
 
 
(২) একজন কমিশনারকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) উপ-ধারা ১০(২) এর দফা (ক) হইতে (ঝ)- েত উল্লেখিত কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়; অথবা
 
 
 
 
(খ) তিনি দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, চরম (gross) অসদাচরণ বা দায়িত্বে চরম অবহেলার দোষে দোষী সাব্যস্ত হন৷
 
 
(৩) উপধারা (২) এ বর্ণিত কারণে কোন কমিশনার তাহার পদে বহাল থাকার অযোগ্য বলিয়া মনে করিলে, সরকার, উক্ত কারণের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য, সুপ্রীম কোর্টের এক বা একাধিক বিচারক সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করিবে এবং কমিটি গঠনের আদেশে উক্ত তদন্ত কমিটি কর্তৃক প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমাও নির্ধারণ করিয়া দিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপধারা (৩) অনুযায়ী গঠিত কমিটি সরকারের নিকট সুনির্দিষ্ট তথ্যাদি ও কারণসহ এই মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করিবে যে, সংশ্লিষ্ট কমিশনারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হইয়াছে কিনা এবং উক্ত কমিশনারকে অপসারণ করা সমীচীন কিনা, এবং সরকার যথাসম্ভব উক্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৫) প্রস্ত্মাবিত অপসারণের ব্যাপারে কারণ দর্শাইবার যুক্তিসংগত সুযোগ না দিয়া এই ধারার অধীনে সরকার কোন কমিশনারকে অপসারণ করিবে না৷
 
 
 
 
(৬) কোন কমিশনারের ব্যাপারে উপ-ধারা (৩) এর অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হইলে, সরকার, সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে, উক্ত কমিশনারকে, তাহার দায়িত্ব পালন হইতে বিরত থাকিবার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হইলে উক্ত কমিশনার তাহা পালনে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৭) তদন্ত কমিটি Commission of Enquiry Act, 1956 (VI of 1956) এর অধীনে নিযুক্ত কমিশন বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের বিধান সাপেক্ষে উক্ত Act এর বিধানাবলী তদন্ত কমিটির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
কমিশনার পদে সাময়িক শূন্যতা পূরণ
১৩৷ কোন কমিশনার মৃত্যুবরণ বা স্বীয় পদ ত্যাগ করিলে বা অপসারিত হইলে, সরকার উক্ত পদ শূন্য হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে, কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে শূন্য পদে নিয়োগ করিবে৷
প্রধান নির্বাহী
১৪৷ চেয়ারম্যান কমিশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন; এবং তাহার পদত্যাগ, অপসারণ, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে দায়িত্ব পালনে অপরাগতার ক্ষেত্রে ভাইস-চেয়ারম্যান, নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বা বিদ্যমান চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে সক্ষম না হওয়া পর্যন্ত, চেয়ারম্যানের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন; এবং কোন ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান উভয়েই অপারগ হইলে সরকার সাময়িকভাবে একজন কমিশনারকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
কমিশনের সভা
১৫৷ (১) কমিশন উহার সভার স্থান, সময়, কার্যপদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, সাধারণ বা বিশেষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিশনের সকল সভা পরিচালিত হইবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত না থাকিলে চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) চেয়ারম্যান বা ক্ষেত্রমত ভাইস-চেয়ারম্যানসহ ৩ (তিন) জন কমিশনার উপস্থিত থাকিলে কমিশনের সভার কোরাম হইবে৷
 
 
 
 
(৩) কমিশনের সকল সভায় চেয়ারম্যান, এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কমিশনের সভায় উপস্থিত কমিশনারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটে সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৫) কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে দুইজন কমিশনার চেয়ারম্যানকে কমিশনারগণের সভা আহ্বানের জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন, এবং এইরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সভা আহ্বান করিবেন৷
 
 
 
 
(৬) সভায় কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়ে মতামত, বক্তব্য, তথ্য বা ব্যাখ্যা উপস্থাপনের উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানাইতে পারিবেন এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আমন্ত্রিত ব্যক্তির মতামত, বক্তব্য বা ব্যাখ্যা সভার কার্যবিবরণীতে লিপিবদ্ধ করা যাইবে৷
কমিটি
১৬৷ কমিশন উহার কাজে সহায়তার জন্য প্রয়োজনবোধে এক বা একাধিক কমিশনার, বা উহার যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা অন্য কোন ব্যক্তি সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি গঠন এবং এইরূপ কমিটির দায়িত্ব ও কার্যধারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
কমিশনারগণের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক ও সুবিধাদি
১৭৷ (১) সরকার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য কমিশনারের পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক, ভাতা, সুযোগ-সুবিধা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্ত নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তিকে কমিশনার নিয়োগের পর তাহার পদমর্যাদা, পারিশ্রমিক, সুযোগ-সুবিধাদি এবং চাকুরীর অন্যান্য শর্ত এমনভাবে পরিবর্তন করা হইবে না যাহাতে এই পরিবর্তন তাহার জন্য অসুবিধাজনক হয়৷
কমিশনের সচিব, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ইত্যাদি
১৮৷ (১) সরকার কমিশনের সচিব নিয়োগ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সচিবের দায়িত্ব হইবে চেয়ারম্যানের নির্দেশ অনুযায়ী কমিশনের সভার আলোচ্য বিষয়সূচী এবং কমিশনের এতদবিষয়ক সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে,
 
 
সভার তারিখ ও সময় নির্ধারণ, কার্যবিবরণী প্রস্তুতকরণ, কমিশনারগণ কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ ও সংশ্লিষ্ট নথি সংরক্ষণ, এবং কমিশন কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন ও কার্য সম্পাদন৷
 
 
(৩) কমিশন, উহার কার্যাবলী দক্ষতার সহিত সম্পাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারী এবং পরামর্শক নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদন করিতে পারিবে:-
 
 
 
 
(ক) সরকারে পূর্বানুমতিক্রমে নিয়োগযোগ্য কর্মচারীর সংখ্যা এবং তাহাদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ;
 
 
 
 
(খ) অনুমোদিত জনবলের ভিত্তিতে কমিশনের সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণ এবং উহাকে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক এককে (unit) বিভাজন, উক্ত এককের কার্যাবলী নির্ধারণ, এবং কর্মচারীগণকে যথাযথ পদে নিয়োগদান ও বদলী;
 
 
 
 
(গ) প্রচলিত সরকারী নিয়মাবলী অনুসারে সরকারে পূর্বানুমতিক্রমে পরামর্শকের প্রাপ্য ফিস নির্ধারণ ও পরিশোধ;
 
 
 
 
(ঘ) কর্মচারীগণকে বরখাস্তকরণসহ তাহাদের বিরুদ্ধে অন্যবিধ শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাহাদের চাকুরীর ব্যাপারে প্রযোজ্য অন্যান্য শর্তাদি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঙ) কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য ভবিষ্য তহবিল গঠনসহ অন্যবিধ স্কীম প্রণয়ন, উহার নিয়ন্ত্রণ এবং এইরূপ তহবিল বা স্কীমে অর্থ যোগান৷
 
 
 
 
(৪) কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং এইরূপ প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কমিশন, প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা, ঐ সকল বিষয়ে অনুসরণীয় নিয়মাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
অন্যান্য সংস্থা হইতে কমিশনের জনবলে প্রেষণে নিয়োগ
১৯৷ (১) কমিশন যে কোন সরকারী কর্মচারী বা কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীকে, তাহার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের সম্মতিক্রমে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগ হইবে কমিশন ও উক্ত কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক সম্মত শর্তাধীনে এবং প্রযোজ্য আইন অনুসারে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিযুক্ত ব্যক্তি কমিশনের অন্যান্য কর্মচারীর ন্যায় একইরূপ শৃঙ্খলা ও নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থাধীনে কর্মরত থাকিবেন; তবে তাহার উপর কোন দণ্ড আরোপের প্রশ্ন দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট তথ্যাদিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি উক্ত ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
কমিশন বহির্ভূত চাকুরী
২০৷ (১) কোন কমিশনার সরকারের লিখিত অনুমতি ব্যতীত বা কোন পূর্ণকালীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী, কমিশনের লিখিত অনুমতি ব্যতীত, কোন ধরনের পারিশ্রমিকবিশিষ্ট অথবা কমিশন বহির্ভূত কাজে নিয়োজিত হইতে বা থাকিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন কমিশনার বা কমিশনের কর্মকর্তা বা কর্মচারী এমন কোন কাজে নিয়োজিত হইবেন না বা থাকিবেন না যাহা, যথাক্রমে সরকার বা কমিশনের মতে, তাহার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব রাখে বা রাখিতে পারে৷
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

কমিশনের আথির্ক বিষয়াদি

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তহবিল
২১৷ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন তহবিল নামে কমিশনের একটি তহবিল থাকিবে এবং এই তহবিলে সরকারের অনুদান, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা অন্য কোন দেশী বা বিদেশী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান, কমিশন কর্তৃক গৃহীত ঋণ, এই আইনের অধীন জমাকৃত ফিস, চার্জ এবং অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত যে কোন অর্থ জমা হইবে৷
 
 
 
 
(২) তহবিলের অর্থ কমিশনের নামে কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং উক্ত ব্যাংক হইতে অর্থ উত্তোলনের পদ্ধতি কমিশন নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা- “তফসিলি ব্যাংক” বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. 127 of 1972) এর Article 2(J) সংজ্ঞায়িত Scheduled bank কে বুঝাইবে৷
 
 
 
 
(৩) তহবিল হইতে কমিশনারগণ ও কর্মচারীগণের বেতন-ভাতাদি প্রদান এবং কমিশনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
 
 
8[(৪) কমিশন উহার প্রতি ছয় মাসের সকল ব্যয় নির্বাহের পর উদ্বৃত্ত অর্থপ্রজাতন্ত্রের সংযুক্ত তহবিলে জমা প্রদান করিবে।]

কমিশনের আথির্ক বিষয়াদি

সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল
9[২১ক। (১) কমিশন টেলিযোগাযোগ সুবিধা বঞ্চিত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সুবিধা বিস্তৃতকরণের লক্ষ্যে "সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (Social Obligation Fund)" নামে একটি তহবিল গঠন করিবে।
 
(২) নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে অর্থ জমা হইবে, যথা :-
 
(ক) সরকার প্রদত্ত অনুদান;
 
(খ) অন্য কোন দেশী বা বিদেশী বা আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
(গ) টেলিযোগাযোগ ও বেতার যোগাযোগ পরিচালনাকারীগণের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে প্রাপ্ত চাঁদা (Subscription); এবং
 
(ঘ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত যে কোন অনুদান (Contribution)।
 
(৩) সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থ কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে।
 
(৪) সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের হিসাব সংরক্ষণ ও পরিচালনা, উহার প্রশাসন এবং উক্ত তহবিলের অর্থ উত্তোলন পদ্ধতি এবং লাইসেন্সধারী পরিচালনাকারীগণের নিকট হইতে উক্ত তহবিলের জন্য অর্থ আদায়ের হার বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]

বার্ষিক বাজেট বিবরণী
২২৷ কমিশন প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ-বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বত্সরের সরকারের নিকট হইতে কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে, এবং উক্ত অর্থ-বত্সর শুরু হওয়ার পূর্বেই সরকার উক্ত বাজেট বিবরণীর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে কমিশনের বাজেট অনুমোদন করিবে৷
ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
২৩৷ কমিশন এই আইনের অধীন উহার কার্যাবলী সম্পাদনের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ঋণ গ্রহণ এবং উহা পরিশোধ করিতে পারিবে, তবে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হইবে৷
কমিশন প্রদত্ত সেবার চার্জ ইত্যাদি
২৪৷ (১) কমিশন এই আইনের অধীনে উহার ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্যাবলী সম্পাদনের সূত্রে তত্কর্তৃক প্রদেয় বা প্রদত্ত সেবা বাবদ চার্জ বা ফিস বা উভয়ই ধার্যকরতঃ উহা আদায় করিতে পারে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)এ বর্ণিত সামগ্রিক ক্ষমতার আওতায় নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলিও অন্তর্ভুক্ত:-
 
 
 
 
(ক) কমিশন কর্তৃক প্রদেয় বা প্রদত্ত কোন নির্দিষ্ট বা সকল সেবার চার্জ বা ফিস নির্ধারণের জন্য এক বা একাধিক স্কীম প্রণয়ন;
 
 
 
 
(খ) প্রবিধান দ্বারা বা প্রবিধানের অবর্তমানে নির্বাহী আদেশ দ্বারা উক্ত চার্জ এবং ফিসের হার, বা উহা গণনার পদ্ধতি নির্ধারণ৷
 
 
 
 
(৩) এই আইনের অধীনে কমিশনের প্রাপ্য চার্জ, ফিস, প্রশাসনিক জরিমানা ও অন্যবিধ সকল পাওনা সরকারী দাবী (Public demand) হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
কর অব্যাহতি
২৫৷ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কমিশন উহার কোন সম্পদ ধারণ বা আয় বা প্রাপ্তির জন্য কোন প্রকার আয়কর প্রদানের জন্য দায়ী হইবে না এবং উক্ত কর প্রদান হইতে কমিশনকে এতদ্বারা অব্যাহতি প্রদান করা হইল৷
বকেয়া আদায়
২৬৷ (১) কমিশন উহার প্রাপ্য সকল ফিস, চার্জ, প্রশাসনিক জরিমানা এবং অন্যবিধ সকল পাওনা, সরকারী দাবী (public demand) হিসাবে Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act III of 1913) এর বিধান অনুযায়ী আদায় করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশন উহার কোন কর্মকর্তাকে উক্ত Act এর section 3 (3) তে সংজ্ঞায়িত Certificate Officer হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং উক্ত কর্মকর্তা উক্ত Act এর অধীন Certificate Officer এর সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
হিসাব ও নিরীক্ষা
২৭৷ (১) কমিশন তত্কর্তৃক প্রাপ্ত বা ব্যয়িত সকল অর্থের যথাযথ হিসাব সংরক্ষণ করিবে; এবং সরকারের কোন সাধারণ নির্দেশ সাপেক্ষে, এইরূপ হিসাব সংরক্ষণের পদ্ধতি কমিশন নির্ধারণ করিতে পারে, তবে উক্ত হিসাব উহার আর্থিক পরিস্থিতির সঠিক এবং যথাযথ প্রতিফলন অবশ্যই থাকিতে হইবে৷
 
 
(২) কমিশন প্রতি অর্থ-বত্সর শেষ হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে উহার বার্ষিক হিসাব-বিবরণী এবং আর্থিক-বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) এর অধীনে নিবন্ধিত কোন চার্টার্ড একাউনটেন্ট ফার্মের দ্বারা নিরীতগা করাইয়া উহাদিগকে সংসদে পেশ করার উদ্দেশ্যে পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবে এবং মন্ত্রণালয় যথাশীঘ্র উক্ত বিবরণসমূহ ২৮ ধারায় উলিস্্নখিত প্রতিবেদনের সহিত সংসদে পেশ করার ব্যবস্থা করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপধারা (২) এর বর্ণিত নিরীতগা ছাড়াও কমিশন, Comptroller and Auditor General (Additional Functions) Act, 1974 (XXIV of 1974) এর আওতাধীন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারী প্রতিষ্ঠান (Statutory Public Authority) হিসাবে, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এর এখতিয়ারভুক্ত হইবে৷
প্রতিবেদন
২৮৷ প্রতি অর্থ বত্সর সমাপ্তির 10[১২০ (একশত বিশ)] দিনের মধ্যে কমিশন তত্কর্তৃক পূর্ববর্তী অর্থ-বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবেদন 11[মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ] করিবে এবং মন্ত্রী যথাশীঘ্র সম্ভব উহা জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করিবেন৷

চতুর্থ অধ্যায়

সাধারণ উদ্দেশ্য, ক্ষমতা ও দায়িত্ব

কমিশনের সাধারণ (broad) উদ্দেশ্যসমূহ
২৯৷ কমিশনের সাধারণ (broad) উদ্দেশ্যসমূহ হইতেছে নিম্নরূপঃ-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত এবং সুসংহত করিতে পারে এমন একটি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সুশৃংখল উন্নয়ন এবং উহাতে উত্সাহ দান;
 
 
 
 
(খ) বাংলাদেশের বিরাজমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতা অনুসারে যতদূর সম্ভব বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর জন্য একটি নির্ভরযোগ্য, যুক্তিসংগত ব্যয়-সাপেক্ষ ও আধুনিক মানের টেলিযোগাযোগ সেবা ও ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির সুযোগ নিশ্চিত করা;
 
 
 
 
(গ) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশীয় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা;
 
 
12[(ঘ) টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক ও বাজারমুখী ব্যবস্থার উপর ক্রমবর্ধমান হারে নির্ভরতা অর্জন, উহার পরিপন্থী বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা প্রতিরোধ ও অবসান এবং সেই লক্ষ্যে কমিশনের উদ্দেশ্যের সহিত সংগতি রাখিয়া যথাযথ ক্ষেত্রে কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা;]
 
 
 
(ঙ) নূতন নূতন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রবর্তন এবং টেলিযোগাযোগ খাতে দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগে যাহারা বাংলাদেশের বাহিরে থাকেন তাহাদিগকে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত ব্যবসাস্থল স্থাপনের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা৷
কমিশনের দায়িত্ব
৩০৷ (১) কমিশনের দায়িত্ব হইবে:
 
 
(ক) বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান নিয়ন্ত্রণ;
 
 
(খ) দেশীয় গ্রাহকগণের উপর আরোপিত চার্জের হার, এবং টেলিযোগাযোগ সেবার প্রাপ্যতা, মান ও বৈচিত্রের ব্যাপারে তাহাদের স্বার্থ রতগা করা;
 
 
(গ) টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নকে এবং টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী কার্যক্রম ও বিনিয়োগকে উত্সাহ প্রদান;
 
 
(ঘ) গ্রাহকগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রতগা ও তাহাদের প্রয়োজন অনুসারে যথাযথ সাড়া দেওয়া; এবং টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীর বিদ্যমান কিংবা সম্ভাব্য পীড়নমূলক বা বৈষম্যমূলক আচরণ বা কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ ও দূরীকরণের ব্যবস্থা করা;
 
 
(ঙ) উন্নত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান নিশ্চিত করার লতেগ্য উক্ত সেবা প্রদানকারীগণের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং উহাতে উত্সাহ দান;
 
 
(চ) টেলিযোগাযোগের একান্ততা (privacy) রতগার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা;
 
 
(ছ) বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্ব হইতে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ এবং বাংলাদেশে উহাদের প্রভাব সম্পর্কে পর্যালোচনা করা এবং তদ্‌নুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বা ক্ষেত্রমত সরকারের নিকট সুপারিশ করা;
 
 
(জ) টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নম্বর বা সংখ্যা (numbering plan) সংক্রান্ত জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং প্রয়োজনে ইহা সংশোধন 13[;
 
 
(ঝ) ইন্টারনেট ডোমেইন নেম (Internet Domain Name) সংক্রান্ত নিদের্শনা (guide line) প্রণয়ন, যথাযথ ক্ষেত্রে উহা পরিবর্তন বা সংশোধন, বাস্তবায়ন, ইন্টারনেট ডোমেইন নেম সংক্রান্ত অভিযোগ ও বিরোধ নিষ্পত্তিকরণ।]
 
 
(২) উপধারা (১) এ বর্ণিত কমিশনের সামগ্রিক দায়িত্বের আওতায় নিম্নবর্ণিত সুনির্দিষ্ট দায়িত্বগুলিও অন্তর্ভুক্ত:
 
 
(ক) দেশীয় পরিচালনাকারীগণ কর্তৃক অনুসরণীয় কার্যপদ্ধতির কোড (code of practice) এবং তাহাদের সহিত বিদেশী পরিচালনাকারীগণের যোগাযোগের বিষয়ে অনুসরণীয় কার্যপদ্ধতির কোড (code of practice) প্রণয়ন;
 
 
(খ) এই আইনের অধীনে ইস্যুকৃত লাইসেন্স, পারমিট ও কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ প্রদানের পর তত্সম্পর্কে সময় সময় মন্ত্রীকে অবহিতকরণ;
 
 
(গ) একই পরিচালনাকারী কর্তৃক একাধিক ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি সেবার আয় হইতে অন্য সেবা খাতে ভর্তুকী (subsidy) প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঘ) ধারা ৩৪ এর অধীনে সরকার প্রদত্ত নির্দেশ ও দায়িত্ব পালন;
 
 
(ঙ) টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তর্জাতিক দায়দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে সরকার প্রদত্ত নির্দেশ অনুযায়ী কমিশন কর্তৃক উহা নিজে পালন করা বা পরিচালনাকারীগণের মাধ্যমে পালন নিশ্চিত করা;
 
 
(চ) টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় মান এবং পদ্ধতির বিষয়ে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নসহ অন্যান্য টেলিযোগাযোগ ও আঞ্চলিক সংস্থার কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সহায়তা প্রদান; আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের বিভিন্ন নোটিশ, এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ এবং বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি অবহিত করা;
 
 
(ছ) সরকার ভিন্নতর সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করিলে, টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সম্মেলনে বা বিদেশী সংস্থার সহিত অনুষ্ঠিত সভায় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা;
 
 
(জ) টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক সম্মেলন সম্পর্কে তথ্যাদি সংগ্রহ ও সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থাসমূহকে তাহা সরবরাহ করা; এইরূপ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য উপযুক্ত প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থাকে পরামর্শদান এবং প্রতিনিধিদল গঠনের বিষয় ও দলের দায়িত্ব সম্পর্কে যথাযোগ্য ভূমিকা পালন;
 
 
(ঝ) প্রয়োজনবোধে দ্বিপাতিগক, উপ-আঞ্চলিক ও আঞ্চলিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বা আঞ্চলিক সংস্থাসমূহকে পরামর্শদান;
 
 
(ঞ) টেলিযোগাযোগ সেবার প্রযুক্তিগত মান ও মানদণ্ড নির্ধারণ, পরিচালনাকারীগণ প্রদত্ত সেবার মান পরিবীক্ষণ এবং উক্ত মান যাহাতে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত মানের সহিত সংগতিপূর্ণ হয় তাহা নিশ্চিত করা;
 
 
(ট) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত মান অনুসারে সেবা প্রদান করা হইতেছে কি না তাহা পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা করা;
 
 
(ঠ) পরিচালনাকারী এবং টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে নিয়োজিত অন্যান্য ব্যক্তির অন্যায্য কার্যকলাপ হইতে গ্রাহকগণের স্বার্থ রতগাসহ সামগ্রিক জনস্বার্থের প্রতি লতগ্য রাখিয়া এই আইনের বিধান পালন নিশ্চিত করা;
 
 
(ড) নিম্নবর্ণিত দায়িত্বসহ সামগ্রিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির উন্নয়ন:
 
 
(অ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা সেবার পরিচালনাকারীকে অন্যান্য পরিচালনাকারীর এমন কার্যাকলাপ হইতে রতগা করা যাহা প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি বিনষ্ট করে;
 
 
(আ) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের বাজারে পরিচালনাকারী হিসাবে প্রবেশ করিতে ইচ্ছুক হইলে তাহার প্রবেশের পথ সুগম করা;
 
 
(ঢ) উন্মুক্তভাবে এবং ন্যায্যতা ও স্বচছতা সহকারে যাহাতে সকল বিষয়ে কমিশন কর্তৃক ত্বরিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহা নিশ্চিত করা;
 
 
( 14[ণ]) কমিশনের দায়িত্বের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া এবং প্রয়োজনীয় আর্থিক ও সহায়ক অন্যান্য সম্পদের প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক সময় সময় প্রদত্ত অন্যান্য কার্যাবলী সম্পাদন;
 
 
(ত) গ্রাহকগণের স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এমন পদ্ধতি প্রবর্তন করা যাহাতে তাহাদের মতামত ও অভিযোগ নির্দিষ্ট সময় অন্তর গ্রহণ ও উহার উপর যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়;
 
 
(থ) জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদির উপর জনসংযোগ ও গণশুনানীর ব্যবস্থা করা৷
কমিশনের ক্ষমতা
15[৩১। (১) ধারা ৩০ এ বর্ণিত কমিশনের দায়িত্ব ফলপ্রসূভাবে সম্পাদনের জন্য কমিশন এই আইন, বিধি ও প্রবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতার আওতায় নিম্নবর্ণিত সুনির্দিষ্ট ক্ষমতাগুলিও অন্তর্ভুক্তঃ
 
(ক) প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সরকার বা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস প্রদান সাপেক্ষে
 
(অ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য সরকারের পূর্বাণুমোদনক্রমে লাইসেন্স ইসু্যকরণ;
 
(আ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য পারমিট বা কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সনদ ইসু্যকরণ;
 
(ই) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য কমিশন কতর্ৃক ইসু্যকৃত লাইসেন্স, পারমিট ও কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সনদের নিয়ন্ত্রণ ও স্থগিতকরণ;
 
(ঈ) বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দকরণ ও উহা ব্যবহারের কতর্ৃত্ব প্রদান, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের পরিবীক্ষণ ও স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা;
 
(উ) বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য ইসু্যকৃত লাইসেন্স, সরকারের পূর্বাণুমোদনক্রমে পারমিট ও সনদ এর নবায়ন, হস্তান্তর নিয়ন্ত্রণ, স্থগিতকরণ ও বাতিলকরণ;
 
(ঊ) বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য লাইসেন্স পারমিট বা কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সনদ ইসু্যকরণ;
 
(খ) এই আইন, বিধি, প্রবিধান, লাইসেন্স, পারমিট বা কারিগরি গ্রহণযোগ্যতা সনদের শর্ত ভঙ্গ করার বিষয়ে উহার ধারকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও অন্যান্য দাবীর উপর তদন্ত অনুষ্ঠান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
(গ) টেলিযোগাযোগ ও বেতার পরিচালনকারীগণের বা ব্যবহারকারীগণের হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি ও ব্যবস্থা নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে উহা সংশোধনের নির্দেশ প্রদান;
 
(ঘ) সরকারের টেলিয়োগাযোগ নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া লাইসেন্সযোগ্য বিভিন্ন ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অনুমোদন;
 
(ঙ) সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারী কর্তৃক এই আইনের অধীন দাখিলকৃত ট্যারিফ, চার্জ, চুক্তি বা ব্যবস্থা বা উহাদের কোন অংশ এই আইনের সহিত অসংগতিপূর্ণ বলিয়া মনে হইলে উহা স্থগিতকরণ বা উহার সংশিস্নষ্ট অংশ নামঞ্জুর বা এতদ্বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান;
 
(চ) টেলিযোগাযোগ ও বেতার পরিচালনকারীগণের বা ব্যবহারকারীগণের মধ্যে আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থাদির জন্য নির্দেশনা প্রণয়ন, যথাযথ ক্ষেত্রে শর্তাবলী নির্ধারণ এবং তাহাদের মধ্যে উদ্ভূত বিরোধ নিষ্পত্তি;
 
(ছ) টেলিযোগাযোগ ও বেতার পরিচালনকারীগণের বা ব্যবহারকারীগণের কর্মকান্ডের যে কোন বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদিসহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান;
 
 
(জ) কমিশনের নির্দেশনা পালিত হইতেছে কি না তাহা যাচাইয়ের জন্য পরিচালন পদ্ধতি (Operator”s Procedure and Systems) নিরীক্ষা করানো, এবং টেলিযোগাযোগ ও বেতার পরিচালনকারীগণের বা ব্যবহারকারীগণের প্রতিবেদন পদ্ধতির সঠিকতা যাচাই এবং এতদ্বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান;
 
(ঝ) কমিশনের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র এবং বহি পরিদর্শন ও পরিক্ষণের সুযোগ যাহাতে কমিশন পায় তাহা নিশ্চিত করার জন্য টেলিযোগাযোগ ও বেতার পরিচালনকারীগণের বা ব্যবহারকারীগণের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দান;
 
(ঞ) কোন এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোন পরিচালনকারীর একচেটিয়া ব্যবসা থাকিলে তাহার মূলধন ব্যয়ের বার্ষিক পরিকল্পনা পর্যালোচনা ও তদসস্পর্কে ধারণা লাভের উদ্দেশ্যে উক্ত পরিকল্পনা দাখিলের জন্য উক্ত পরিচালনকারীকে নির্দেশ প্রদান;
 
(ট) এই আইনের অধীন কমিশনের ক্ষমতা প্রয়োগ, দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদন এবং তদ্সংক্রান্ত বিষয়ে উহাকে পরামর্শ প্রদানের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে পরামর্শক নিয়োগ;
 
(ঠ) এই আইনের বিধানাবলী পালন করার বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন(enforcement) আদেশ জারী করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ ও আদায়;
 
 
(ড) এন্টেনা ব্যবস্থাদিসহ বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপনের প্রতিটি স্থান অনুমোদন এবং প্রতিটি মাস্তুল, স্তম্ভ এবং এন্টেনা, ধারক ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ অনুমোদন;
 
(ঢ) বেতার যন্ত্রপাতির লাইসেন্সের আবেদনকারী বা ধারক কর্তৃক প্রস্তাবিত বা বিদ্যমান বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, উহার স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় এবং উক্ত যন্ত্রপাতির গুরুত্তপূর্ণ পরিবর্তন সম্পর্কে, কমিশনের বিবেচনায় যথাযথ যেকোন তথ্য সরবরাহের জন্য তাহাদিগকে নির্দেশ প্রদান;
 
(ণ) টেলিযোগাযোগের উন্নয়ন এবং সুশৃঙ্খল ও সুদক্ষ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ;
 
(ত) এই আইনের অধীন পরিচালিত কমিশনের কাজকর্মের বিষয়ে অনুসরণীয় বিষয়াদি, লাইসেন্সধারী ও সেবা প্রদানকারী কর্তৃক অনুসরণীয় বিষয়াদি, প্রান্তিক যন্ত্রপাতিসহ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি, প্রতিবন্ধকতা যন্ত্রপাতি, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ও বেতার যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় বিষয়াদি সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ;
 
(থ) এই উপ-ধারায় কমিশনকে প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট ক্ষমতা প্রয়োগের বিষয়ে এই আইনে কোন সুনিদিষ্ট বিধান না থাকিলে সেই বিষয়ে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে প্রবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে উক্ত ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতি ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নির্ধারণ;
 
(দ) কমিশনের লাইসেন্সধারী, পারমিটধারী বা সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে কোন বিরোধের উদ্ভব হইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ যদি উহা নিজেদের মধ্যে নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে কমিশন উক্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতা করিতে পারিবে এবং কমিশনের মধ্যস্থতার মাধ্যমে প্রদত্ত লিখিত সিদ্ধান্ত
 
সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ মানিতে বাধ্য থাকিবে।]
কমিশন কর্তৃক ক্ষমতা অর্পণ
৩২৷ এই আইনের অধীন তত্কর্তৃক প্রয়োগযোগ্য ক্ষমতা, তবে এই ধারা এবং ৯৯ ধারার অধীনে প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা ব্যতীত, কমিশন উহার চেয়ারম্যান বা অন্য কোন কমিশনার, কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রবিধান বা সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা কোন শর্তসহ বা শর্ত ব্যতিরেকে অর্পণ করিতে পারে৷
মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব
৩৩৷ (১) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হইবে টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে সরকারের সাধারণ নীতিমালা নির্ধারণ এবং বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের উন্নয়নে উত্সাহ দান৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক দায়িত্বের আওতায় নিম্নবর্ণিত সুনির্দিষ্ট দায়িত্বগুলিও অন্তর্ভুক্ত, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশে ও বহির্বিশ্বে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের সহায়ক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ;
 
 
 
 
(খ) দেশীয় সংস্কৃতির উন্নয়ন ও বিকাশ এবং সামাজিক বন্ধন সুসংহত করার লতেগ্য টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং এই সকল ক্ষেত্রে উক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারে উত্সাহ প্রদান;
 
 
 
 
(গ) একটি কার্যকর ও আধুনিক জাতীয় টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের লতেগ্য সরকারী ও বেসরকারী বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং সরকারী ও বেসরকারী খাতের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উক্ত বিনিয়োগে উত্সাহদান;
 
 
 
 
(ঘ) নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ এবং এই ব্যাপারে আগ্রহী আঞ্চলিক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সহিত যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ;
 
 
 
 
(ঙ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনকারী, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী এবং এই সকল বিষয়ের সহিত সংশ্লিষ্ট উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য শিতগা ও প্রশিক্ষণমূলক কর্মসূচী গ্রহণ;
 
 
 
 
(চ) টেলিযোগাযোগের স্থানীয় উত্পাদন ক্ষমতা এবং উদ্ভাবনমূলক টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য সম্ভাব্য ক্ষেত্রে কমিশন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান;
 
 
 
 
(ছ) টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান বা উহা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে, বৈষম্য বা বৈষম্যমূলক আচরণ বা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ বা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে কমিশনের অনুরোধে কমিশনকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দান;
 
 
(জ) এমন একটি টেলিযোগাযোগ ফোরামের ব্যবস্থা করা যেখানে মন্ত্রণালয়, সরকার, কমিশন, পরিচালনাকারীগণ, গ্রাহকগণ এবং অন্যান্য আগ্রহী পক্ষ মিলিত হইয়া সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করিতে পারে;
 
 
 
 
(ঝ) টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতি, প্রশিক্ষণ, মান এবং পদ্ধতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সমন্বয় সাধন;
 
 
 
 
(ঞ) উহার নিকট এই আইনের অধীনে দাখিলকৃত সকল আবেদন বা যোগাযোগ নিষ্পত্তি এবং উহার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা৷
সরকারের ক্ষমতা
16[৩৪৷ এই আইনের আওতায় সরকার-
 
 
(ক) লাইসেন্সযোগ্য বিভিন্ন ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা অনুমোদন করিতে পারিবে;
 
(খ) টেলিযোগাযোগ সেবার বিষয়ে ট্যারিফ, কলচার্জ এবং অন্যান্য চার্জ এবং পরিচালনকারী কর্তৃক উহা নির্ণয়ের পদ্ধতি অনুমোদন করিতে পারিবে;
 
(গ) এই আইন, বিধি বা প্রবিধানে পর্যাপ্ত বিধান না থাকিলে, ট্যারিফ ও পর্যাপ্ত চার্জের হার এবং টেলিযোগাযোগ সেবার কোন বিষয়ে নির্দেশনা (guidelines) জারী এবং যথাযথ সিদ্ধান্তপ্রদান করিতে পারিবে;
 
(ঘ) আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী অনুসারে বা কোন আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় টেলিযোগাযোগ বিষয়ে সরকারের অধিকার বা দায়-দায়িত্ব বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে;
 
(ঙ) সময় সময় টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে বিবেচনা ও তদসম্পর্কে সুপারিশের জন্য কমিশনের নিকট প্রেরণ করিতে পারিবে;
 
(চ) টেলিযোগাযোগ, বেতার যোগাযোগ এবং সমপ্রচারের কারিগরি কোন বিষয়ে, যাহা উক্তরূপ যোগাযোগের সহিত সম্পর্কিত এর উপর গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করিতে বা অর্থ যোগান দিতে বা উহাতে সহায়তা প্রদান করিতে পারিবে;
 
(ছ) আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগ সংস্থার সম্মেলন বা সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;
 
(জ) প্রয়োজনবোধে, কমিশনের পরামর্শ গ্রহণ করিতে পারিবে।]

পঞ্চম অধ্যায়

টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির লাইসেন্স

টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ইত্যাদির জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা
৩৫৷ (১) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতীত-
 
 
(ক) বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, পরিচালনা বা উক্ত ব্যবস্থার কোন স্থাপনা নির্মাণ করিবেন না;
 
 
(খ) বাংলাদেশে বা বাংলাদেশ হইতে বহির্বিশ্বে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করিবেন না;
 
 
 
 
(গ) ইন্টারনেট সেবা প্রদানের স্থাপনা নির্মাণ বা যন্ত্রপাতি স্থাপন বা উক্ত স্থাপনা বা যন্ত্রপাতি পরিচালনা করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 17[৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে কোন লাইসেন্স প্রয়োজন হইবে না:-
 
 
 
 
(ক) এমন কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা, যাহা অন্য একটি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সহিত সংযুক্ত নহে এবং যাহার সকল যন্ত্রপাতি-
 
 
 
 
(অ) একটি অবিচ্ছেদ্য অংগনে (Premises) অবস্থিত এবং শুধুমাত্র উক্ত অংগনে বসবাসকারী মালিক, ভাড়াটিয়া বা দখলকারের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত; বা
 
 
 
 
(আ) শুধু একটি স্থলযান, জলযান বা আকাশযানে স্থাপিত, অথবা যান্ত্রিকভাবে পরস্পর সংযুক্ত এইরূপ একাধিক যানে স্থাপিত;
 
 
 
 
(খ) শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হয় এমন একটি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা যাহা অন্য কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সহিত কোনভাবেই সংযুক্ত নহে; এবং
 
 
 
 
(অ) সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উক্ত ব্যবস্থার সকল যন্ত্রপাতি নিয়ন্ত্রণ করেন;
 
 
 
 
(আ) উক্ত ব্যবস্থার সাহায্যে প্রেরিত সকল বার্তা বা তথ্য শুধুমাত্র উক্ত নিয়ন্ত্রণকারীর প্রয়োজনে ব্যবহৃত; এবং
 
 
 
 
(ই) উক্ত ব্যবস্থায় কোন বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহৃত হয় না;
 
 
 
 
(গ) কোন পরিচালনাকারীর টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে প্রান্তিক যন্ত্রপাতি স্থাপন;
 
 
 
 
(ঘ) পুলিশ, বাংলাদেশ রাইফেলস্‌, কোষ্টগার্ড, প্রতিরতগা বাহিনীসমূহ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক, উহাদের স্বীয় প্রয়োজনে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান;
 
 
 
 
(ঙ) সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা কোন গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক উহার স্বীয় প্রয়োজনে, স্থাপিত বা ব্যবহৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান;
 
 
(চ) রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত কোন যুদ্ধ জাহাজ বা সামরিক বিমানসহ অন্যান্য যানবাহনে ব্যবহৃত বা স্থাপিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা৷
18[লাইসেন্স প্রদান পদ্ধতি]

৩৬।19[(১) ধারা ৩৫(১) এর দফা (ক) হইতে (গ) তে উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে লাইসেন্সের জন্য কমিশনের নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে,লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।

 

(২) কমিশন উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন সম্পর্কে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিবেচনাপূর্বক সরকারের নিকট লাইসেন্স মঞ্জুরীর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং সরকার উক্ত প্রতিবেদন, এই আইন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক লাইসেন্স মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করিবার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে, যথা :-

 

(ক) আবেদনকারী উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত কারণে অযোগ্য কি না;

 

(খ) আবেদনকৃত কার্যাবলী পরিচালনার জন্য তাহার প্রয়োজনীয় আর্থিক সংগতি আছে কি না, এবং প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের স্থান এবং দক্ষ জনবল প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে কি না;

 

(গ) আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুকরণ, এই আইনের ধারা ২৯ এ বর্ণিত কমিশনের সাধারণ উদ্দেশ্যের সহিত সংগতিপূর্ণ কি না;

 

(ঘ) আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যু করা হইলে উহার দ্বারা অনুমোদিত কর্মকান্ড এবং শর্তাবলী বিদ্যমান লাইসেন্সধারীগণের তুলনায় বৈষম্যমূলক হইবে কি না এবং উহার ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটিবে কি না;

 

(ঙ) আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুকরণ জনস্বার্থ রক্ষার জন্য কতটুকু সহায়ক হইবে।]

 

(৩) কোন আবেদনকারী লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য হইবেন, যদি-

 
 
 
 

(ক) তিনি একক ব্যক্তি (individual) হন এবং-

 
 
 
 

(অ) বিকৃত মস্তিষ্ক হন;

 
 
 
 

(আ) আদালত কর্তৃক এই আইন ব্যতীত অন্য কোন আইনের অধীন দুই বৎসর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে;

 
 
 
 

(ই) এই আইনের অধীনে যে কোন অপরাধ সংঘটনের দায়ে দণ্ডিত হইয়া থাকেন এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে;

 
 

(ঈ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দেউলিয়াত্বের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়া না থাকেন;

 
 
 
 

(উ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপী হিসাবে উক্ত ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান বা বাংলাদেশ ব্যাংক বা আদালত কর্তৃক চিহ্নিত বা ঘোষিত হন; বা

 
 
 
 

(ঊ) বিগত ৫ (পাঁচ) বত্সরের মধ্যে তাহার লাইসেন্স কমিশন বাতিল করিয়া থাকে;

 
 
 
 

(খ) উক্ত আবেদনকারী হয় কোন কোম্পানী বা কর্পোরেশন বা অংশীদারী কারবার বা সমিতি বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান এবং

 
 
 
 

(অ) উহার মালিক বা যে কোন পরিচালক বা অংশীদারের ক্ষেত্রে দফা (ক) এর (অ) হইতে (উ) এর ক্ষেত্রে উপ-দফা প্রযোজ্য হয়, বা

 
 
 
 

(আ) উহার ক্ষেত্রে উক্ত দফার উপ-দফা (ঊ) প্রযোজ্য হয়।

 
 
 
 

(৪) এই ধারার অধীন-

 
 
 
 

(ক) লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নের জন্য আবেদনকারী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস প্রদান করিবেন;

 
 
 
 

(খ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সে উহার মেয়াদ, মেয়াদান্তে নবায়নের প্রয়োজনীয়তা ও লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী উল্লেখিত থাকিবে;

 
 
 
 

(গ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সে পরিচালনাকারী কর্তৃক প্রদেয় সেবা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত থাকিবে;

 
 
 
 

(ঘ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সে উলিস্্নখিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে উহাতে উল্লিখিত সেবা প্রদান করিতে হইবে;

 
 
 
 

(ঙ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সের আওতাধীন কার্যাবলীতে বেতার যন্ত্রপাতি, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি, ও বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের প্রয়োজন হইলে অষ্টম অধ্যায়ের অধীন লাইসেন্স, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বাবদ ও প্রয়োজনীয় কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ সংগ্রহের শর্ত উল্লেখ করিতে হইবে।

 
 
 
 

(৫) লাইসেন্সের প্রতিটি আবেদন কমিশনের নিকট, তত্কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে দাখিল করিতে হইবে।

 
 
 
 

(৬) টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আহ্বানকৃত আবেদনপত্রের প্রেতিগতে কমিশন নূতন লাইসেন্স ইস্যুর বিষয় বিবেচনা করিতে পারিবে:

 
 

তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রবিধান দ্বারা এমন কতিপয় সেবা চিহ্নিত করিতে পারিবে যাহাদের ব্যাপারে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ব্যতিরেকে লাইসেন্স ইস্যু করা যায়।

 
 
 
 

(৭) লাইসেন্সের জন্য আবেদন বিবেচনার সুবিধার্থে কমিশন আবেদনকারীর নিকট হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য বা কাগজপত্র তলব করিতে পারে এবং প্রয়োজনে আবেদনকারীর প্রস্ত্মাবিত স্থাপনা, সংশ্লিষ্ট স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করিতে পারিবে৷

 

20[(৮) উপ-ধারা (১) এর অধীন আহবানকৃত আবেদনপত্র দাখিল হইবার অনধিক ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে লাইসেন্স মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ সিদ্ধান্তের অনধিক ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারী বরাবর লাইসেন্স ইসু্য করিতে হইবে অথবা কারণ উল্লেখপূর্বক লাইসেন্স নামঞ্জুর করিবার সিদ্ধান্ত আবেদনকারীকে অবহিত করিতে হইবে; উক্ত ১৮০ (এক শত আশি) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক বিষয়টি পরব ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে এবং পরবর্তী ২১(একুশ) দিনের মধ্যে সরকার লাইসেন্স মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।]

 

(৯) কমিশন তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত প্রতিটি লাইসেন্সের মুদ্রিত অনুলিপি সংরক্ষণ করিবে, এবং যে কোন ব্যক্তি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস পরিশোধ করিয়া উক্ত অনুলিপি পরিদর্শন বা উহার প্রতিলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবেন।

লাইসেন্সের শর্তাবলী
21[৩৭। (১) এই আইন, বিধি ও প্রবিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ যে কোন শর্ত লাইসেন্সে উল্লেখ থাকিবে এবং কোন নির্দিষ্ট পরিস্থিতি অনুসারে অতিরিক্ত শর্তও উহাতে সংযোজন কর যাইবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ক্ষমতার সামগ্রিকতার আওতায় লাইসেন্সে নিম্নলিখিত যে কোন বা সকল বিষয়ে যথাযথ শর্ত উল্লেখ করা যাইবে, যথা :-
 
(ক) লাইসেন্সধারী কর্তৃক এই আইন, বিধি এবং প্রবিধান পালন;
 
(খ) পল্লী এলাকায় এবং অপেক্ষাকৃত কম বসতিপূর্ণ এলাকায় সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সে উল্লিখিত সেবা প্রদান নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে, লাইসেন্সধারীর সেবা প্রদান ক্ষমতার অনূ্যন ১০% (শতকরা দশ ভাগ) উক্ত এলাকায় সমপ্রসারণের বাধ্যবাধকতা;
 
(গ) লাইসেন্স মঞ্জুর করার সময় বা লাইসেন্স বহাল থাকাকালে বা উভয় ক্ষেত্রে লাইসেন্স মঞ্জুর বা নবায়ন করার জন্য কমিশনের ব্যয় বাবদ নির্ধারিত ফিস বা অন্যবিধ অর্থ পরিশোধ;
 
(ঘ) এই আইনের অধীন কমিশনের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজন হয় এইরূপ দলিল, হিসাব, প্রাক্কলন, রিটার্ন বা অন্য কোন তথ্য কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত সময়ে ও পদ্ধতিতে কমিশনের নিকট সরবরাহ;
 
(ঙ) লাইসেন্সধারী কতৃর্ক নিম্নলিখিত পদ্ক্ষেপ গ্রহণ-
 
(অ) সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সের অধীন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা তদধীন প্রদেয় সেবা সংক্রান্ত ট্রান্সমিশন প্লান, সিগ্নালিং প্লান, সুইচিং প্লান এবং নাম্বারিং প্লান এর বিষয়ে কমিশন প্রদত্ত নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্সধারী কর্তৃক তাহার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পলিকল্পনা (design) ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং এই সকল পরিকল্পনা হইতে
 
ব্যত্যয় ঘটানো বা পরিলক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন ও নির্দেশনা গ্রহণ এবংউহার বাস্তবায়ন;
 
(আ) জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে বার্তা, সংকেত বা যে কোন ধরনের তথ্য প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য যে যে পথ (Route) ও পদ্ধতি (System)ব্যবহৃত হয় তদসম্পর্কে সরকার ও কমিশনকে সময় সময় অবহিতকরণ;
 
(চ) লাইসেন্সধারী কর্তৃক ব্যবহৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, তৎকর্তৃক প্রদেয় বা প্রদত্ত সেবা, উহার পরিধি (coverage) এবং মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়াদি নির্দিষ্টকরণ;
 
(ছ) লাইসেন্সধারী কতৃর্ক কোন সেবা, সংযোগ বা অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে কোন বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা শ্রেণীর প্রতি বিশেষ আনুকূল্য প্রদর্শন বা বৈষম্যমূলক আচরণ হইতে বিরত থাকা;
 
(জ) লাইসেন্সধারী কতৃর্ক এমন একটি তথ্য-সরবরাহ-ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ যাহাতে সংশ্লিষ্ট বিল,মূল্য, নির্দেশিকা, অনুসন্ধান এবং অভিযোগ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য গ্রাহকগণের জন্য সহজলভ্য হয়;
 
(ঝ) লাইসেন্সধারী কোন কোম্পানী, সমিতি বা অংশীদারী কারবার হইলে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি গ্রহণের বাধ্যবাধকতা
 
(অ) উক্ত কোম্পানী, সমিতি বা অংশীদারী কারবারের শেয়ার মূলধনে বা মালিকানায় এমন কোন পরিবর্তন যাহার ফলে উক্ত লাইসেন্স দ্বারা অনুমোদিত কাজ কর্মের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরিত হয়; বা
 
(আ) উক্ত কোম্পানী, সমিতি বা কারবার অন্য কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের সহিত একীভূত (merged) হইলে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত পূর্বানুমতি গ্রহণের ক্ষেত্রে কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে সরকার বিবেচনা করিবে যে, প্রস্তাবিত পরিবর্তন বা একীভূতকরণের ফলে যে ব্যক্তি, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের নিয়ন্ত্রণ লাভ করিবে, সেই ব্যক্তি, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান উক্ত লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য কি না এবং অনুমতি প্রদানের ফলে লাইসেন্সকৃত কাজকর্ম ব্যাহত হইবে কি না;
 
(ঞ) প্রদত্ত সেবার চার্জ এবং উক্ত সেবা গ্রহণের বিষয়ে প্রযোজ্য শর্তাবলী সম্পর্কে, নির্ধারিত সময় অনত্দর-অনত্দর এবং কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে লাইসেন্সধারী কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ;
 
(ট) ভূগর্ভস্থ কেবল, শুন্যে ঝুলন্ত লাইন ও আনুষংগিক স্থাপনার কারণে উদ্ভুত ক্ষতির জন্য ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সধারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদান নিশ্চিতকরণ;
 
(ঠ) জরূরী অবস্থায় কিভাবে লাইসেন্সধারী তাহার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা তৎকর্তৃক প্রদত্ত সেবা অব্যাহত রাখিবেন বা ক্ষেত্র বিশেষে পুনরায় চালু করিবেন উহার পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং কমিশনের নিকট উহা দাখিল;
 
(ড) টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য সম্পদের রক্ষণ, হস্তান্তর বা নিষ্পত্তি;
 
(ঢ) লাইসেন্সে উল্লিখিত শর্তানুসারে লাইসেন্সধারী কর্তৃক বাস্তবে মানসম্মত সেবা প্রদানসহ (Performance) কারিগরী মান বজায় রাখা ও অন্যান্য কারিগরী শর্তাবলী পূরণ;
 
(ণ) প্রচলিত আইন অনুসারে পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়ে লাইসেন্সধারীর বাধ্যবাধকতা;
 
(ত) কমিশনের বিবেচনায় যথাযথ ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিষয়।
 
(৩) সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতীত কোন লাইসেন্স বা উহার অধীনে অর্জিত স্বত্ব সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে হস্তান্তরযোগ্য হইবে না এবং এইরূপ হস্তান্তর অকার্যকর (void) হইবে।]
লাইসেন্স নবায়ন
22[৩৮। এই অধ্যায়ের অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফিস প্রদান সাপেক্ষে নবায়নযোগ্য হইবে, এবং বিধি বা প্রবিধানের অবর্তমানে সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ঐ সকল বিষয় নির্ধারণ করিতে পারিবে।]
লাইসেন্সের শর্তাবলী সংশোধন
23[৩৯। (১) কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, তদধীন ইসু্যকৃত লাইসেন্সের যে কোন শর্ত এই আইন বা বিধি অনুসারে সংশোধন, সংযোজন, প্রতিস্থাপন, বা বাতিল করিতে পারিবে।
 
(২) সরকার, লাইসেন্সের কোন শর্ত সংশোধনের প্রয়োজন মনে করিলে, কমিশনকে উক্ত সংশোধন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কমিশন সরকারের নির্দেশ মোতাবেক, উক্তরূপ সংশোধনের কারণ উল্লেখপূর্বক লাইসেন্সধারীকে উক্তরূপ সংশোধনের বিষয়ে অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে লিখিতভাবে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান্ক্রমে একটি নোটিশ প্রদান করিবে; প্রস্তাবিত সংশোধনী সম্পর্কে লাইসেন্সধারীর কোন লিখিত বক্তব্য থাকিলে উহা কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং সরকার উহা বিবেচনাক্রমে অনধিক ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে।
 
(৩) লাইসেন্সধারীর কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিসংগত মনে করিলে সরকার কমিশনকে লাইসেন্সের কোন শর্ত সংশোধন করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং কমিশন তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।]
ব্যবসায়িক ভিত্তিতে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারে অনুমতিদানের উপর বাধা-নিষেধ
24[৪০।(১) কোন পরিচালনকারী, কমিশন কতৃর্ক ইসু্যকৃত পারমিট ব্যতীত,তাহার লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা সেবা প্রদানের কোন স্থাপনা, যন্ত্রপাতি বা সুবিধা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে বা ফিস বা অন্য কোন ধরনের মূল্য বা সুবিধা প্রাপ্তির বিনিময়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যবহারের অনুমতি বা সুযোগ প্রদান করিবে না।
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অনুমতি লাভের উদ্দেশ্যে, পরিচালনকারী কমিশনের নিকট কোন আবেদন করিলে, কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানপূর্বক একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং সরকার উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যদি সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকৃত অনুমতি প্রদত্ত হইলে লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা বা সেবা প্রদানের উপর কোন বিরূপ প্রভাব পড়িবে না তাহা হইলে, উক্ত আবেদন মঞ্জুর করিবার সিদ্ধানত্দ প্রদান করিবে, এবং কমিশন তদনুসারে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য তদকর্তৃক নির্ধারিত শর্তে পারমিট ইসু্য করিবে।
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ অধীন ইসু্যকৃত পারমিটে উল্লিখিত শর্ত লংঘিত হইলে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যে কোন সময় পারমিট বাতিল করিতে পারিবে।
 
(৪) কোন পরিচালনকারী উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তাহা একটি অপরাধ হইবে এবং তজ্জন্য তিনি
 
(ক) প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২০০(দুইশত) কোটি টাকা অর্থ দন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে, এবং
 
(খ) পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা অর্থ দন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।]
লাইসেন্সধারীর দায় সীমিতকরণের ক্ষেত্রে কমিশনের এখ্‌তিয়ার
25[৪১। টেলিযোগাযোগ সেবার বিষয়ে লাইসেন্সধারী কোন ক্ষেত্রে তাহার নিজস্ব দায় সীমিতকরণের উদ্দেশ্যে কোন শর্ত আরোপ করিলে এবং সরকার উক্ত শর্ত অযৌক্তিক মনে করিলে তাহা বাতিল করার জন্য কমিশনকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং কমিশন তদনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে এবং লাইসেন্সধারী উক্ত নির্দেশ পালনে বাধা থাকিবেন।]
পথাধিকার (Right of way) ইত্যাদি
৪২৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য একজন পরিচালনাকারী যে কোন জমির মধ্যে, উপরে বা উপর দিয়া উক্ত সেবা বা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বস্তু বা সুবিধা স্থাপন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করিতে পারেন; লাইসেন্সধারীর এই অধিকার এই অধ্যায়ে পথাধিকার (Right of way) বলিয়া উল্লেখিত৷
 
 
 
 
(২) পথাধিকার এর আওতায় পরিচালনাকারীর নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত তাহার কোন প্রতিনিধি বা কর্মচারী-
 
 
 
 
(ক) যে কোন সময় যুক্তিসংগত নোটিশ দিয়া উক্ত জমিতে প্রবেশ করিতে এবং টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ধারণ বা আটকাইয়া রাখার জন্য প্রয়োজনীয় খুঁটি বা স্তম্ভ স্থাপন করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) উক্ত যন্ত্রপাতি আটকাইয়া রাখার জন্য জমিতে অবস্থিত কোন গাছে বা অন্য কিছুতে ব্রাকেট বা অনুরূপ কৌশল সংযুক্ত করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(গ) উক্ত যন্ত্রপাতি, বস্তু, সুবিধা বা কৌশলের ক্ষতি করিতেছে বা করিতে পারে বা উহার কার্যক্ষমতায় প্রতিবন্ধক হয় বা হইতে পারে এইরূপ গাছপালা বা শাখা-প্রশাখা কাটিয়া ফেলিতে পারিবেন; এবং
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত যন্ত্রপাতি, বস্তু, সুবিধা বা কৌশল ক্ষেত্রমত স্থাপন, নির্মাণ, মেরামত, পরীতগা, পরিবর্তন, অপসারণ বা উহার কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন কাজ করতে বা এতদ্‌বিষয়ে এই আইনের অধীন অন্যান্য কাজ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) কোন পরিচালনাকারী তাহার পথাধিকার সাধারণভাবে সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন বা দখলাধীন জমিতে প্রয়োগ করিবে, তবে প্রয়োজনবোধে অন্য যে কোন জমিতেও এই অধিকার প্রয়োগ করিতে পারিবেন; সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা সাধারণতঃ পথাধিকার প্রয়োগে বাধা দিবে না৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর বিধানবলে উক্ত পরিচালনাকারী-
 
 
 
 
(ক) জীবন বা সম্পত্তির জন্য বিপজ্জনক বা উহার নিরাপত্তা বিঘ্নকারী কোন কিছু অপসারণ বা মেরামতের উদ্দেশ্যে ব্যতীত, কোন কবরস্থানে বা শ্মশানে বা স্থানীয় জনসাধারণ পবিত্র মনে করেন এমন কিছু অবস্থিত থাকিলে সেই স্থানে প্রবেশ করিতে বা উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন কিছু করিতে পারিবেন না;
 
 
(খ) উক্তরূপ অপসারণ বা মেরামতের উদ্দেশ্যে উক্ত কবরস্থান, শ্মশান বা পবিত্র স্থানে প্রবেশের প্রয়োজন হইলে, উহার তত্ত্বাবধানকারীর সম্মতি নিয়া বা তত্ত্বাবধানকারী না থাকিলে বা তত্ত্বাবধানকারীকে তাত্তগণিকভাবে পাওয়া না গেলে বা তাহার সম্মতি না পাওয়া গেলে কমিশনের লিখিত অনুমতি নিয়া উক্ত পরিচালনাকারী উহাতে প্রবেশ করিতে বা উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন কিছু করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উক্ত পরিচালনাকারী-
 
 
 
 
(ক) জমির মালিক বা দখলকার এর সম্মতি ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন না;
 
 
 
 
(খ) এই ধারার অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগের কারণে উক্ত জমিতে পথাধিকার ব্যতীত অন্য কোন অধিকার অর্জন করিবেন না;
 
 
(গ) কোন সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালিকানাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোন জমিতে উক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত এই ধারার অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন না;
 
 
 
(ঘ) কোন জমিতে এই ধারার অধীন ক্ষমতা এমনভাবে প্রয়োগ করিবেন যেন উক্ত জমি ও পরিবেশের ক্ষতি ন্যুনতম পর্যায়ে থাকে, এবং উক্ত প্রয়োগের কারণে ক্ষতি হইলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা সংস্থাকে যুক্তিসংগত ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (২)(ক) তে উল্লেখিত নোটিশে ঈপ্সিত কাজের সঠিক ও পূর্ণ বিবরণ থাকিতে হইবে এবং উক্ত কাজ শুরু করার ১০ (দশ) দিন পূর্বে নোটিশের প্রাপককে ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার প্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কর্মচারীকে প্রদান করিতে বা তাহার বাসস্থানে বা কর্মস্থলে পৌঁছাইয়া দিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৭) কোন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি কাহারও জীবন বা সম্পদের জন্য বিপজ্জনক হইয়া পড়িলে পরিচালনাকারী উক্ত জীবন বা সম্পদ রতগার্থে সংশ্লিষ্ট জমির মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়কের বিনা অনুমতিতে উক্ত জমিতে প্রবেশ করিতে এবং প্রয়োজনীয় কার্য সম্পাদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৮) এই ধারার অধীন যে কোন ক্ষমতা প্রয়োগকালে উক্ত পরিচালনাকারী সকল যুক্তিসংগত সতর্কতা অবলম্বন করিবেন এবং সকল ক্ষেত্রে-
 
 
 
 
(ক) ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা, সেবা বা সুবিধাকে প্রয়োজনীয় মেরামতের মাধ্যমে বা অন্যবিধভাবে যথাসম্ভব পূর্বাবস্থায় ফিরাইয়া আনিবেন;
 
 
 
 
(খ) কার্য সম্পাদনের স্থান হইতে তজ্জনিত সকল আবর্জনা বা ধ্বংসাবশেষ সরাইয়া ফেলিবেন;
 
 
 
 
(গ) কোন সম্পত্তির ক্ষতি হইলে উহার মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়ককে ক্ষতিপূরণ দিবেন৷
 
 
(৯) উপ-ধারা (৬) এর অধীন কোন নোটিশ পাওয়ার ৫ (পাঁচ) দিনের মধ্যে উক্ত জমির মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়ক কমিশনের নিকট লিখিত আপত্তি দাখিল করিতে পারেন, এবং এইরূপ কোন আপত্তি দাখিল করা হইলে কমিশন আপত্তি সম্পর্কে অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অনুসন্ধান সমাপ্ত করিয়া প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিবে; এরূপ সিদ্ধান্ত উক্ত পরিচালনাকারী ও আপত্তিকারী উভয়ের উপর বাধ্যকর ও চূড়ান্ত হইবে; এবং এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না৷
পথাধিকার প্রয়োগে মালিক ইত্যাদির অসম্মতি
৪৩৷ (১) কোন জমির মালিক বা দখলকার বা তত্ত্বাবধায়ক ৪২(৫) ধারায় উল্লেখিত সম্মতি বা অনুমতি না দিলে বা উহা প্রত্যাখ্যান করিলে, বা পথাধিকার প্রয়োগে বাধা দিলে পরিচালনাকারী বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করিতে পারেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, কমিশন উহার বিবেচনায় যথাযথ অনুসন্ধানের পর যদি উক্ত জমিতে পরিচালনাকারীর প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়, তাহা হইলে কমিশন-
 
 
 
 
(ক) উক্ত অনুমতি বা সম্মতি লাভ বা পথাধিকার প্রয়োগের জন্য উহার বিবেচনামত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারে; এবং
 
 
 
 
(খ) ক্ষেত্রবিশেষে উক্ত জমিতে প্রবেশের জন্য পরিচালনকারীকে কর্তৃত্ব প্রদানসহ উক্ত কর্তৃত্ব বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তাহাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অনুরোধ করিতে পারিবে; এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এইরূপ অনুরোধ অনুসারে সংশ্লিষ্ট জমিতে পরিচালনাকারীর পথাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনবোধে বল প্রয়োগসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কমিশন কোন সরকারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থাকে উহার জমিতে পরিচালনাকারীর প্রবেশাধিকারের জন্য অনুরোধ করিলে উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা বিশেষ কোন কারণ না থাকিলে কমিশনের অনুরোধ রতগা করিবে; এই ব্যাপারে ঐকমত্য না হইলে কমিশন অনতিবিলম্বে বিষয়টি মন্ত্রীর নিকট উত্থাপন করিবে এবং তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর সহিত পরামর্শক্রমে অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন; এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষ উক্ত সিদ্ধান্ত পালনে বাধ্য থাকিবে এবং এই সিদ্ধান্তের বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
ক্ষতিপূরণ
৪৪৷ (১) পরিচালনাকারী কর্তৃক ৪২ ধারার অধীনে তাহার পথাধিকার প্রয়োগ বা ৪৩ ধারার অধীনে তাহার প্রয়োজনে কৃত কোন কিছুর কারণে স্থায়ী বা অস্থায়ী যে কোন ধরনের ক্ষতির জন্য উক্ত পরিচালনাকারী ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট কার্য সম্পন্ন হওয়ার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে বিরোধ দেখা দিলে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা বিষয়টি কমিশনের নিকট পেশ করিবেন এবং এতদবিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে, এবং এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোন আদালতে বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষের নিকট কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা চলিবে না৷
 
 
 
 
(৩) পরিচালনাকারীর যে কাজের কারণে ক্ষতির উদ্ভব হয় সেই কাজ শেষ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে এই ধারার অধীনে কমিশনের নিকট ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত দাবী বা বিরোধ পেশ করিতে হইবে এবং উক্ত সময়ের পরে ক্ষতিপূরণের কোন দাবী কমিশন অগ্রাহ্য করিবে এবং কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বৈধতা বা যথাযর্থতা সম্পর্কে কোন আদালতে বা কর্তৃপক্ষের নিকট প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
লাইসেন্সধারীর প্রয়োজনে বাধ্যতামূলকভাবে বেসরকারী জমি অধিগ্রহণ
৪৫৷ (১) লাইসেন্সের অধীন কাজকর্ম সম্পাদন বা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কোন জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাইসেন্সধারী বাধার সম্মুখীন হইলে, বা উক্ত জমির মালিক বা দখলকারের সম্মতি পাওয়া না গেলে, Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (II of 1982) এর অধীনে সরকার, কমিশনের সুপারিশক্রমে, সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে পারিবে যে, উক্ত জমি উক্ত লাইসেন্সধারীর কাজকর্মের জন্য অত্যাবশ্যক, এবং অতঃপর উহা অধিগ্রহণের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা যাইবে৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় “জমি” বলিতে সরকার বা কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণাধীন জমি বুঝাইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন জমির ব্যাপারে উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত সিদ্ধান্ত প্রদান করা হইলে, Acquisition and Requisition of Immovable Property Ordinance, 1982 (II of 1982) এর তাত্পর্যাধীনে উক্ত জমি জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে জমি অধিগ্রহণ বাবদ প্রদেয় ক্ষতিপূরণ ও অধিগ্রহণ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক খরচ পরিচালনাকারী বহন করিবেন৷
লাইসেন্স স্থগিতকরণ ও বাতিলকরণ
26[৪৬।(১) সরকার নিম্নবর্ণিত যে কোন কারণে যুক্তিসঙ্গত মনে করিলে কোন লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে এবং তদবিষয়ে কমিশনকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, যথা :-
 
(ক) বর্তমানে এমন ব্যক্তি যিনি লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী হইলে উপ-ধারা ৩৬(৩) এ উল্লিখিত কারণে তাহার আবেদন নামঞ্জুর হইত;
 
(খ) উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত অযোগ্যতা গোপন করিয়া লাইসেন্স হাসিল করিয়াছেন;
 
(গ) লাইসেন্সে নির্দিষ্টকৃত সময়সীমার মধ্যে উহাতে উল্লেখিত সেবা প্রদান শুরু করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন; বা
 
(ঘ) এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের কোন বিধান বা লাইসেন্সের কোন শর্ত ভংগ করিয়াছেন।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন সরকারের সিদ্ধানত্দ অনুযায়ী কমিশন প্রস্তাবিত বাতিলকরণের কারণ উল্লেখপূর্বক তৎসম্পর্কে লাইসেন্সধারীর লিখিত ব্যক্তব্য, যদি থাকে, ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে কমিশনের নিকট উপস্থাপনের নির্দেশ সম্বলিত একটি লিখিত নোটিশ প্রদান করিবে।
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নোটিশের পরি্প্রেক্ষিতে লাইসেন্সধারীর কোন লিখিত বক্তব্য, যদি থাকে, বিবেচনার পর কমিশন কোন শর্ত ব্যতিরেকে বা শর্ত সাপেক্ষে-
 
(ক) প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
(খ) লাইসেন্সটি বাতিলের বিষয়ে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ব্যবস্থা নিতে পারিবে;
 
(গ) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য লাইসেন্সটি স্থগিত করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক
 
ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
(ঘ) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক), (খ) ও (ঘ) এ বর্ণিত অপরাধের জন্য অনধিক ২০০ (দুইশত) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা প্রদানের জন্য এবং যথাযথ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লাইসেন্সধারীকে নির্দেশ দিতে পারিবে;
 
(ঙ) দফা (গ) এবং (ঘ) তে উল্লেখিত উভয় প্রকার ব্যবস্থা নিতে পারিবে; অথবা
 
(চ) উপ-ধারা (৩) এর দফা (গ) এর অধীন লাইসেন্স স্থগিত করিলে উক্ত লাইসেন্স এর অধীন সেবা প্রদান অব্যাহত রাখা, উন্নয়ন ও যথাযথ হিসাব সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে, নির্ধারিত শর্তে ও মেয়াদে প্রশাসক বা রিসিভার (Administrator or Receiver) নিয়োগ করিতে পারিবে; উক্তরূপ প্রশাসক বা রিসিভার নিয়োগ করা হইলে স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষে কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক উক্ত প্রশাসক বা রিসিভার সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক বা মালিকের বৈধ উত্তরাধিকারীর নিকট তাঁহার হেফাজতে থাকাকালীন সময়ের হিসাব সংক্রান্ত তথ্যাদিসহ উক্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বভার হস্তান্তর করিবে।
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন গৃহীত ব্যবস্থার কারণে কোন প্রকার ক্ষতির জন্য লাইসেন্সধারী কোন ক্ষতিপূরণের দাবী কোন আদালত বা কোন কর্তৃপক্ষের নিকট উত্থাপন করিতে পারিবেন না, এবং এইরূপ দাবী উত্থাপিত হইলেও উক্ত আদালত বা কর্তৃপক্ষ তাহা সরাসরি নাকচ করিয়া দিবে।]
আন্তঃসংযোগ (Interconnection)
৪৭৷ (১) এই আইন 27[, বিধি] এবং প্রবিধানের বিধান সাপেক্ষে, একজন পরিচালনাকারী তাহার টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের সহিত অপর একজন লাইসেন্সধারীর টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের আন্ত্মঃসংযোগ স্থাপন করিতে পারিবেন৷
 
(২) কমিশন কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন ভৌগোলিক এলাকায় বিদ্যমান গ্রাহকগণের ২৫% এর অধিক একাধিক পরিচালনাকারীর নেটওয়ার্কভুক্ত হইলে তাহারা আন্ত্মঃসংযোগ এবং উক্ত আন্ত্মঃসংযোগ ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের ব্যাপারে নিম্নবর্ণিত বাধ্যবাধকতা পালন করিবেন:
 
 
 
 
(ক) উক্ত পরিচালনাকারীগণের মধ্যে নূতন পরিচালনাকারী যে তারিখে প্রথম টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান শুরু করেন সেই তারিখ হইতে অনধিক ৩ (তিন) মাসের মধ্যে আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তি সম্পাদন করিতে হইবে;
 
 
(খ) উক্ত পরিচালনাকারীগণের একে অন্যের সহিত আলোচনাক্রমে আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তি সম্পাদন করিবেন, তবে তাহাদের যে কোন পক্ষের আবেদনক্রমে কমিশন সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে উক্ত সময়সীমা অনধিক ৩ (তিন) বত্সর বৃদ্ধি করিতে পারিবে এবং এইরূপ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কমিশন পূর্ণ ব্যাখ্যাসহ ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিবে;
 
 
 
 
(গ) সাধারণ টেলিফোন বা জনসাধারণের ব্যবহার্য সেলুলার মোবাইল টেলিফোনের সেবা প্রদান করেন এইরূপ পরিচালনাকারী বা কোন বিশেষ পরিস্থিততে যথাযথ মনে করিলে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন পরিচালনাকারী কর্তৃক প্রদত্ত সর্বজনীন সেবা প্রদান (universal service) বাবদ প্রকৃত খরচ পরস্পর সম্মত হারে প্রদান করিবেন; এবং এইরূপ হার সম্পর্কে তাহারা সম্মত না হইলে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হারে উক্ত খরচ বহন করিবেন, যদি এই খরচ আন্ত্মঃখরচ সংযোগ বাবদ মোট খরচের অংশ বলিয়া নির্ধারিত হয়;
 
 
 
 
(ঘ) পরিচালনাকারীগণ আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তির শর্তাবলী নির্ধারণের ক্ষেত্রে, বৈষম্যমূলক আচরণ পরিহার করিবেন, স্বচ্ছতাসহকারে কাজ করিবেন এবং এই সকল শর্ত সদৃশ ক্ষেত্রে সদৃশভাবে প্রয়োগ করিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তির অনুলিপি কমিশনকে ও আগ্রহী পক্ষকে সরবরাহ করিতে হইবে;
 
 
 
 
(চ) আন্ত্মঃসংযোগ সুবিধা ব্যবহারের জন্য আদায়যোগ্য চার্জ নির্ধারিত হইবে, আন্ত্মঃসংযোগ বাবদ প্রকৃত খরচ এবং এতদ্‌সংক্রান্ত বিনিয়োগের উপর যুক্তিসংগত মুনাফা এই দুইয়ের সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে; এবং এই চার্জ নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকিতে হইবে;
 
 
 
 
(ছ) পরিচালনাকারীগণের প্রত্যেকে আন্ত্মঃসংযোগের জন্য আলাদা আলাদা হিসাব রাখিবেন, যাহাতে আন্ত্মঃসংযোগ বাবদ প্রতিটি খাতের ব্যয় এবং আয় সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়৷
 
 
 
 
(৩) কমিশন-
 
 
 
 
(ক) যে কোন পরিচালনাকারীকে তাহার আন্ত্মঃসংযোগ বাবদ খরচ এবং আন্ত্মঃসংযোগের মাধ্যমে প্রদত্ত সেবা বাবদ ধার্যকৃত চার্জের যৌক্তিকতা প্রদর্শনের নির্দেশ দিতে পারে;
 
 
 
 
(খ) গ্রাহকগণের স্বার্থ রতগার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আন্ত্মঃসংযোগের ব্যবস্থা নিশ্চিত করিবে;
 
 
 
 
(গ) আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তির সাধারণ শর্তাবলী এবং দিক নির্দেশনা (guide lines) সম্বলিত নির্দেশিকা প্রকাশ করিবে৷
 
 
(৪) আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তি সম্পাদনে আগ্রহী পক্ষগণ বা উপ-ধারা (২) এর অধীনে যাহাদের এইরূপ চুক্তি সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা রহিয়াছে তাহারা উক্ত চুক্তির শর্তের বিষয়ে ঐক্যমতে উপনীত না হইতে পারিলে যে কোন পক্ষ কমিশনের নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করিতে পারে বা কমিশন স্বীয় উদ্যোগে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য গ্রহণ করিতে পারে, এবং কমিশন উহার বিবেচনা মত যথাযথ শর্ত নির্ধারণ করিয়া দিতে পারে৷
 
 
 
 
(৫) কমিশন যথাযথ ক্ষেত্রে নিজ উদ্যোগে-
 
 
 
 
(অ) জনস্বার্থ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে, আন্ত্মঃসংযোগের যে কোন বিষয়ে যে কোন পরিচালনাকারীর কার্যকলাপে হস্তক্ষেপ করিতে পারে;
 
 
 
 
(আ) সম্পাদিত যে কোন আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তির শর্তে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে নির্দেশ দিতে পারে;
 
 
 
 
(ই) প্রস্ত্মাবিত আন্ত্মঃসংযোগ চুক্তির উপর আলোচনা ও উহা চূড়ান্তকরণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারে;
 
 
 
 
(ঈ) আন্ত্মঃসংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে একচেটিয়া বাজার সৃষ্টি বা চালু রাখার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারে৷

ষষ্ঠ অধ্যায়

ট্যারিফ, চার্জ ইত্যাদি

ট্যারিফ অনুমোদন
28[৪৮।(১) টেলিযোগাযোগ পরিচালনকারী তৎকর্তৃক প্রদেয় সেবা প্রদান শুরু করার পূর্বেই উক্ত সেবা বাবদ প্রদেয় সর্বোচ্চ চার্জের হার বিশিষ্ট একটি ট্যারিফ প্রস্তাব কমিশনের মাধ্যমে সরকারের নিকট পেশ করিবেন এবং সরকার কর্তৃক অনুমোদিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পরিচালনকারী উক্ত সেবা প্রদান বা সেবা বাবদ কোন ধরণের চার্জ আদায় শুরু করিতে পারিবেন না।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ট্যারিফ পেশ করার সময় পরিচালনকারী উক্ত ট্যারিফ নির্ধারণের ভিত্তি সম্পর্কিত তথ্যাদিও সংযুক্ত করিবে।
 
(৩) পেশকৃত ট্যারিফ অনুমোদন করিলে উহা জনসাধারণের অবগতি ও পরিদর্শনের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ফরমে ও পদ্ধতিতে কমিশন প্রকাশ করিবে এবং প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত তথ্যাদিও উহাতে সন্নিবেশ করিতে পারিবে।
 
(৪) পরিচালনকারী কর্তৃক ট্যারিফ পেশ করার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার,
 
(ক) সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে উক্ত ট্যারিফ অনুমোদন করিবে, বা তদস্থলে একটি বিকল্প ট্যারিফ প্রতিস্থাপন করিবে বা কমিশনকে পরিচালনাকারী কর্তৃক বিকল্প ট্যারিফ দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;
 
(খ) উক্ত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে পেশকৃত ট্যারিফ নামঞ্জুর করিবে এবং উহা নামঞ্জুর করার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে কমিশনের মাধ্যমে কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত সিদ্ধান্ত জানাইয়া দিবে; অথবা
 
(গ) দফা (ক) বা (খ) এর অধীন কোন সিদ্ধানত্দ গ্রহণ না করিলে উহার কারণ উক্ত ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে বা উহার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে কমিশনের মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করিবে এবং কত দিনের মধ্যে উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকার ইচ্ছুক তাহাও সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করিবে, তবে এই বিলম্ব ৬০ (ষাট)দিনের বেশী হওয়া চলিবে না।]
কমিশন কর্তৃক ট্যারিফ নির্ধারণের নীতিমালা
29[৪৯। (১) ট্যারিফ অনুমোদন বা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকার নিম্নবর্ণিত সাধারণ নীতিমালা অনুসরণ করিবে, যথা :
 
(ক) ট্যারিফ হইবে ন্যায্য ও যুক্তিসংগত;
 
(খ) একটি নির্দিষ্ট সেবা প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যক্তি বা উক্ত সেবার বিভিন্ন গ্রাহকের ক্ষেত্রে সংশিস্নষ্ট চার্জ
 
সমভাবে প্রযোজ্য হইবে;
 
(গ) যদি কোন পরিচালনকারী এমন একাধিক সেবা প্রদান করেন যে, একটি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বাজার প্রতিযোগিতা আছে কিন্তু অপর একটি সেবার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা নাই, তাহা হইলে
 
(অ) প্রতিযোগিতাবিহীন সেবার আয় হইতে প্রতিযোগিতামূলক সেবার জন্য কোন ভর্তুকি প্রদান করা যাইবে না;
 
(আ) এই আইন প্রবর্তনের সময় বিদ্যমান প্রতিযোগিতাবিহীন সেবার ক্ষেত্রে উহার আয় হইতে এইরূপ, ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকিলে, উক্ত ভর্তুকি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এবং তদকর্তৃক নির্ধারিত ক্রমবর্ধমানহারে (Progressively) তুলিয়া দিতে হইবে;
 
(ঘ) কোন সেবার ট্যারিফ বা উক্ত সেবার জন্য প্রদেয় কোন চার্জের বিষয়ে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা শ্রেণীকে অন্যায়ভাবে বা অযৌক্তিকভাবে বৈষম্য বা আনুকূল্য প্রদর্শন বা অসুবিধাজনক পরিস্থিতির শিকার করা হইবে না।
 
(২) কোন ট্যারিফ ন্যায্য ও যুক্তিসংগত কিনা তাহা নির্ধারণের জন্য সরকার যে কোন স্পষ্ট ও যুক্তিসংগত পদ্ধতি অবলম্বন করিতে পারে, এবং এইরূপ পদ্ধতি কোন পরিচালনকারীর সংশিস্নষ্ট রিটার্নভিত্তিক বা অন্যবিধ তথ্যভিত্তিক হইতে পারে।
 
(৩) কোন পরিচালনাকারীর প্রদত্ত সেবার ক্ষেত্রে সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে
 
(ক) উক্ত পরিচালনকারীর কোন অধীনস্থ সহযোগীর কোন কাজকর্ম উক্ত সেবা প্রদান কাজকর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং
 
(খ) উক্ত সেবা বাবদ পরিচালনকারী কতর্ৃক ধার্যকৃত চার্জের হারকে ন্যায্য এবং যুক্তিসংগত করার জন্য এই আইন, বিধি বা প্রবিধানে পর্যাপ্ত বিধান নাই,
 
তাহা হইলে সরকার, উক্ত সহযোগীর সংশ্লিষ্ট কাজকর্ম হইতে প্রাপ্ত আয়ের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষকে পরিচালনকারীর আয় বলিয়া গণ্য করিতে পারিবে।]
বৈষম্যমূলক চার্জ নিষিদ্ধ
৫০৷ (১) কোন পরিচালনাকারী, তাহার প্রদত্ত সেবা অথবা উহার জন্য প্রদেয় চার্জের ব্যাপারে, অন্যায় বা অযৌক্তিকভাবে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা শ্রেণীর ক্ষেত্রে বৈষম্য করিবেন না অথবা অন্যায় বা অযৌক্তিক বা অসুবিধাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করিবেন না, অথবা তিনি নিজের ক্ষেত্রে বা অন্য কাহারও ক্ষেত্রে কোন অন্যায় বা অযৌক্তিক আনুকূল্য প্রদর্শন করিবেন না 30[অথবা এই আইনের ধারা ২৯(ঘ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বৈষম্যমূলক কোন ব্যবস্থা নিবেন না৷]
 
 
(২) কোন পরিচালনকারীর বিরুদ্ধে উক্তরূপ কোন বৈষম্য প্রদর্শন, অসুবিধা ঘটানো বা আনুকূল্য প্রদর্শনের অভিযোগ উত্থাপনের ক্ষেত্রে-
 
 
(ক) উক্ত অভিযোগের প্রাথমিক যৌক্তিকতা আছে বলিয়া কমিশন বিবেচনা করিলে অভিযোগ প্রাপ্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে, অভিযোগ সম্পর্কে তাহার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য পরিচালনাকারীকে ১৫ (পনের) দিনের একটি নোটিশ দিবে;
 
 
(খ) এতদবিষয়ে পরিচালনাকারীর আচরণ যে বৈষম্যমূলক, অসুবিধা সৃষ্টিকারী বা আনুকূল্যমূলক নহে তাহা কমিশনের নিকট প্রমাণ করার দায়িত্ব বর্তাইবে পরিচালনাকারীর উপর;
 
 
(গ) উক্ত অভিযোগ ও পরিচালনকারীর বক্তব্য বিবেচনান্তে কমিশন উপ-ধারা (৩) অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
31[(৩) উপ-ধারা (১) এর বিধান ভঙ্গ করিলে কমিশন পরিচালনকারীর উপর অনধিক ৩ (তিন) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে বা, ক্ষেত্রবিশেষে, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য পরিচালনকারীকে নির্দেশ দিতে বা সংশিস্নষ্ট বৈষম্যমূলক কার্যকলাপ হইতে বিরত থাকিবার জন্য উক্ত পরিচালনকারীকে নির্দেশ দিতে বা এইরূপ একাধিক বা সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]

সপ্তম অধ্যায়

টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ও সেবার মান ইত্যাদি

টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতির মান
৫১৷ (১) উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, কমিশন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানে ব্যবহার্য যন্ত্রপাতির কারিগরী দিক সম্পর্কে জাতীয় মান (Standards) ও মানদণ্ড (Criteria) নির্ধারণ করিয়া দিতে পারে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কমিশন-
 
 
 
 
(ক) এইরূপ বিভিন্ন শ্রেণীর যন্ত্রপাতির বিভিন্ন মান, মানদণ্ড এবং উহা পালিত হইতেছে কিনা তাহা যাচাইয়ের পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারে;
 
 
 
 
(খ) সরকারী গেজেটে এবং অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি নোটিশ দ্বারা এইরূপ মান, মানদণ্ড ও পদ্ধতি নির্ধারণের ইচ্ছা ব্যক্ত করিবে এবং উহাতে প্রস্ত্মাবিত মান ও মানদণ্ড সম্পর্কে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জনসাধারণের নিকট হইতে মন্তব্য বা পরামর্শ আহ্বান করিবে, এবং এইরূপ মান, মানদণ্ড ও পদ্ধতি কখন হইতে কার্যকর হইবে তাহাও প্রকাশ করিবে;
 
 
 
 
(গ) দফা (খ) এর অধীনে কোন মন্তব্য বা পরামর্শ পাওয়া গেলে কমিশন উহা বিবেচনান্তে সংশ্লিষ্ট মান, মানদণ্ড ও পদ্ধতি চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করিবে এবং উহা পুনরায় একইভাবে প্রকাশ করিবে;
 
 
 
 
(ঘ) বেতার যন্ত্রপাতি ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতির মান এবং প্রযোজ্য কারিগরী শর্তাবলী নির্ধারণ করিতে পারে৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে মান ও মানদণ্ড এবং উহা যাচাইয়ের পদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কমিশন একটি নিরাপদ, আধুনিক ও দক্ষ টেলিযোগাযোগ সেবা এবং আন্ত্মঃসংযোগের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রাখিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীনে মান ও মানদণ্ড এবং তত্সম্পর্কিত লাইসেন্সের শর্তাবলী নির্ধারণ ব্যতীত, কমিশন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় বা লাইসেন্সযোগ্য সেবায় কোন নির্দিষ্ট কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান বা উত্পাদনকারীর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হইবে কিনা তত্সম্পর্কে কোন বাধা-নিষেধ আরোপ করিবে না৷
প্রান্তিক যন্ত্রপাতির কারিগরী মান ইত্যাদি
৫২৷ (১) প্রান্তিক যন্ত্রপাতির নাম, বিবরণ (Specification), কারিগরী মান ও আনুষংগিক বিষয়াদি নির্ধারণ করিয়া কমিশন সময় সময় নির্দেশিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) প্রান্তিক যন্ত্রপাতি উত্পাদন, আমদানী, বাজারজাতকরণ এবং উহা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় স্থাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি উক্ত নির্দেশিকা অনুসরণ করিবে৷
ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতা (Interference) অনুসন্ধান ইত্যাদি
৫৩৷ (১) কমিশন ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতা খুঁজিয়া বাহির করিতে পারে এবং যে ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বেতার যন্ত্রপাতি বা অন্যবিধ যন্ত্রপাতি আছে বলিয়া কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তাহাকে উক্ত যন্ত্রপাতির ব্যবহার বন্ধ রাখিবার আদেশ দিতে পারে বা আদেশে নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উহার যথাযথ মেরামত বা পরিবর্তন করার নির্দেশ দিতে পারে যেন উক্ত প্রতিবন্ধকতা আর না থাকে, এবং উক্ত আদেশ উক্ত ব্যক্তি পালন করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
(২) যদি কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ লংঘন করেন বা উহা পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত লংঘন বা ব্যর্থতা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতা অনুসন্ধানের জন্য পরিবীক্ষণ বা সতর্ক তত্ত্বাবধান (surveillance) এর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যাদি সম্বলিত মুদ্রিত দলিলে কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দস্তখত থাকিলে বা এইরূপ পরিবীক্ষণ বা তত্ত্বাবধানের প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক কৌশল অবলম্বনে প্রাপ্ত তথ্যকে উক্ত কর্মকর্তা সত্যায়ন করিলে উহা উক্ত প্রতিবন্ধকতার অস্ত্মিত্ব প্রমাণের সাতগ্য হিসাবে কমিশন কর্তৃক গৃহীত বা আদালতের কার্যধারায় গ্রহণযোগ্য হইবে৷
টেলিযোগাযোগ সেবার মান নির্ধারণ
৫৪৷ (১) কমিশন প্রবিধান দ্বারা, বা ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সময় সময় প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবার জন্য বিভিন্ন মান নির্ধারণ করিতে পারিবে এবং এইরূপ মান অনুসারে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানে লাইসেন্সধারী বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন সেবার মান নির্ধারিত হইলে গ্রাহকগণ যাহাতে সহজে উক্ত মান সম্পর্কে অবহিত হইতে পারেন তজ্জন্য কমিশন সময় সময় প্রচারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 

অষ্টম অধ্যায়

বেতার যোগাযোগ ও স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা

বেতার যন্ত্রপাতির জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা, এখ্‌তিয়ার, পদ্ধতি ইত্যাদি
৫৫৷ (১) কোন ব্যক্তি লাইসেন্স ব্যতিরেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বা আঞ্চলিক সমুদ্রসীমায় বা উহার উপরস্থ আকাশসীমায় বেতার যোগাযোগের উদ্দেশ্যে কোন বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহার করিবেন না বা কোন বেতার যন্ত্রপাতিতে কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যতীত অন্য কোন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ইস্যুকরণ এবং বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের একক এখ্‌তিয়ার থাকিবে কমিশনের৷
 
 
 
 
(৩) উক্ত লাইসেন্স ইস্যুকরণ বা ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দকরণ, উহা নবায়ন, স্থগিতকরণ, বাতিলকরণের পদ্ধতি, লাইসেন্সধারীর যোগ্যতা, অযোগ্যতা, ফিস এবং এতদসংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের সাধারণ বা বিশেষ সিদ্ধান্ত এই সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
(৪) এই ধারার অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স বা বরাদ্দকৃত ফ্রিকোয়েন্সি বা উহা ব্যবহারের অধিকার হস্ত্মান্তরযোগ্য হইবে না এবং হস্ত্মান্তর করা হইলে উহা ফলবিহীন হইবে৷
 
 
 
 
(৫) উক্ত লাইসেন্সের ক্ষেত্রে ধারা ৩৭(৩) এর দফা (ঝ) প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৬) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না:-
 
 
(ক) পুলিশ, বাংলাদেশ রাইফেলস, কোস্ট গার্ড, 32[আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী,] প্রতিরক্ষা বাহিনীসমূহ এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক, উহাদের স্বীয় প্রয়োজনে, বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা, বা ব্যবহার;
 
 
 
 
(খ) সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা কোন গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক উহার স্বীয় প্রয়োজনে, বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা, বা ব্যবহার;
 
 
 
 
(গ) রাষ্ট্রীয় কাজে নিয়োজিত কোন যুদ্ধ জাহাজ বা সামরিক বিমানসহ অন্যান্য যানবাহনে বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা, বা ব্যবহার:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারায় উল্লেখিত প্রতিটি ক্ষেত্রে কমিশনের বরাদ্দ ব্যতীত কোন বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৭) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘনক্রমে লাইসেন্স ব্যতিরেকে বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন, পরিচালনা বা ব্যবহার করিলে বা কমিশনের বরাদ্দ না লইয়া কোন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করিলে তাহার উক্ত কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১০ (দশ) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 33[ ৩০০(তিনশত) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহতভাবে সংঘটিত হইলে অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক 34[১(এক) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি
৫৬৷ (১) কমিশন, এই আইন প্রবর্তনের পর যতশীঘ্র সম্ভব, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবস্থাপনার জন্য স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে একটি কমিটি, অতঃপর এই অধ্যায়ে কমিটি বলিয়া উল্লেখিত, গঠন করিবে৷
 
 
35[(২) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত একজন কমিশনার ও অন্যান্য সদস্য সমন্বয়ে কমিটি গঠিত হইবে এবং কমিশনার উক্ত কমিটির সভাপতি হইবেন।]
 
 
(৩) এইরূপ কমিটি গঠন করা হইলে কমিশন কমিটি গঠনের বিষয়টি অবিলম্বে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করিবে এবং মন্ত্রণালয় এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং ফ্রিকোয়েন্সি ও ওয়ারলেস বোর্ডের নিকট নিষ্পন্নাধীন বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ করণের আবেদনসহ অন্যান্য বিষয় ও উহার সামগ্রিক কার্যভার কমিটির নিকট হস্ত্মান্তরের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করিবে; এইরূপ হস্ত্মান্তরের পর উক্ত বোর্ডের অস্ত্মিত্ব বিলুপ্ত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কমিশনের সাধারণ বা বিশেষ নির্দেশনা সাপেক্ষে, কমিটি উহার সভা অনুষ্ঠান, কার্য পরিচালনা, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিয়মাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৫) এই অধ্যায়ের বিধানাবলী সাপেক্ষে, কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
 
(ক) বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দকরণ এবং বেতার ফ্রিকোয়েন্সির মূল্য ধার্যকরণের নীতি নির্ধারণের জন্য কমিশনের নিকট সুপারিশ;
 
 
 
 
(খ) সম্প্রচার, বিভিন্ন লাইসেন্সধারী ও সংস্থার ব্যবহার্য বেতার যন্ত্রপাতি ও সেবার জন্য বেতার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারণ ও উহা বরাদ্দকরণের জন্য কমিশনের নিকট সুপারিশ;
 
 
 
 
(গ) বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের পদ্ধতি ও সময়সীমা নির্ধারণ, এবং উহা বাতিল বা সংশোধন সম্পর্কে কমিশনের নিকট সুপারিশ;
 
 
 
 
(ঘ) বেতার ফ্রিকোয়েন্সির আন্তর্জাতিক ও বহুমূখী ব্যবহারের সমন্বয় সাধন ও উহার খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন; এবং উহা অনুমোদনের জন্য কমিশনের নিকট উপস্থাপন ও সময় সময় অনুমোদিত নীতিমালা পুনরীক্ষণ (revision);
 
 
 
 
(ঙ) বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের (Band) যথাযথ ব্যবহার এবং উন্নততর তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে উক্ত ব্যান্ড ব্যবহারের বিষয় পুনরীক্ষণ;
 
 
 
 
(চ) বেতার যন্ত্রপাতি বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতির ব্যাপারে প্রযোজ্য কারিগরী মান নির্ধারণ এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ ইস্যুর সুপারিশ;
 
 
 
 
(ছ) বেতার যন্ত্রপাতির লাইসেন্সের ব্যাপারে কমিশনের নিকট সুপারিশ;
 
 
 
 
(জ) বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই আইন ও প্রবিধানের বিধানাবলী পালিত হইতেছে কিনা তাহা পরিবীক্ষণ এবং উহার পরিপ্রেতিগতে কোন কিছু করণীয় থাকিলে সে বিষয়ে কমিশনের নিকট সুপারিশ৷
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এ উল্লেখিত দায়িত্ব ও কার্যাবলী ছাড়াও কমিশন অন্যান্য দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য কমিটিকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
(৭) উপ-ধারা (৫) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগ এবং দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পাদনের ক্ষেত্রে, কমিটি আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা উহার সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি বা সংস্থার সুপারিশকৃত এবং প্রযোজ্য মানদণ্ড যতদূর সম্ভব অনুসরণ করিবে৷
 
 
(৮) বেতার যন্তপাতির লাইসেন্স, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ বা কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ প্রাপ্তির জন্য কমিশনের নিকট আবেদন করিতে হইবে, এবং কমিশন, আবেদনটি প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে উহার মন্তব্যসহ (যদি থাকে) উহা কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে এবং ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর কমিটি তত্সম্পর্কে উহার সুপারিশ ও মন্তব্যসহ কমিশনের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
(৯) কমিটির সুপারিশ ও মন্তব্য বিবেচনান্তে কমিশন সংশ্লিষ্ট দরখাস্তকারীর অনুকূলে লাইসেন্স ইস্যু, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ ও কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ ইস্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং এইরূপ সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী কমিটির সুপারিশক্রমে কমিশন নির্ধারণ করিবে৷
কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ
৫৭৷ (১) যে বেতার যন্ত্রপাতি বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদের প্রয়োজন হয় তাহা কমিশন, ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি দ্বারা বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি বা প্রণীত প্রবিধান অনুযায়ী কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদের প্রয়োজন হয় এইরূপ যন্ত্রপাতি, উক্ত সনদ অনুযায়ী ব্যতীত কোন ব্যক্তি ব্যবহার, বিতরণ, পরিবেশন, ইজারা দান, বিক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য প্রস্ত্মাব বা প্রদর্শন করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তিনি তজ্জন্য ৫ (পাঁচ) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 36[৫০ (পঞ্চাশ) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত যন্ত্রপাতির ব্যাপারে কমিশন-
 
 
 
 
(ক) স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্তৃক ধারা ৫৬(৫)(চ) অনুযায়ী নির্ধারিত মান সম্পর্কে প্রবিধান প্রণয়ন বা বিজ্ঞপ্তি আকারে ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচার করিবে; বা
 
 
(খ) প্রবিধান দ্বারা সংশ্লিষ্ট কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ ইস্যু, নবায়ন, স্থগিতকরণ ও বাতিলকরণের পদ্ধতি ও আনুষংগিক অন্যান্য বিষয়াদি নির্ধারণ করিবে এবং এইরূপ প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারার অধীনে ইস্যুকৃত কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ উহাতে উল্লেখিত মেয়াদ পর্যন্ত বহাল থাকিবে এবং মেয়াদান্তে উহা কমিশন কর্তৃক নবায়নযোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৬) কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ ইস্যুকরণ, নবায়ন, বাতিলকরণ ও স্থগিতকরণের পদ্ধতি, সংশ্লিষ্ট ফিস প্রবিধান দ্বারা বা প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কমিশনের প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
তড়িত্-চুম্বকীয় শক্তির নির্গমন পরিবীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ
37[ ৫৮। বাংলাদেশ পক্ষভুক্ত হইয়াছে এইরূপ আন্তর্জাতিক চুক্তির বিধান এবং পারমাণবিক নিরাপত্তা ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২১ নং আইন) ও বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১ নং আইন) এর বিধান সাপেক্ষে, কমিশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের ভূখন্ডে, আঞ্চলিক সমুদ্রসীমায় (territorial waters) এবং উক্ত ভূখন্ড ও সমুদ্রসীমার উপরস্থ আকাশে বেতার যোগাযোগ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা হইতে সকল প্রকার তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির নির্গমন (emission), পরিক্ষণ ও উহার ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করিবে এবং এতদুদ্দেশ্যে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারিবে।]

নবম অধ্যায়

গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি

গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত বিধান
৫৯।38[(১) এই আইনের অধীন টেলিযোগাযোগ সেবা বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গ্রাহকগণের অসুবিধা বা অভিযোগ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক অভিযোগ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করিবে এবং এই সব কেন্দ্রের অবস্থান ও উহার সহিত যোগাযোগ সম্পর্কিত তথ্যাদিসহ স্বীয় ওয়েবসাইটে এবং ঢাকা হইতে প্রকাশিত জাতীয় পর্যায়ের অনূ্যন দুইটি বাংলা ও ইংরেজী দৈনিক পত্রিকায় সময় সময় বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিবে।]
 
 
(৩) গ্রাহকগণের নিকট হইতে প্রাপ্ত সকল অভিযোগ এবং উহা নিষ্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য উক্ত কেন্দ্রে একটি রেজিিষ্ট্রতে লিপিবদ্ধ করিতে হইবে৷
 
 
(৪) গ্রাহকগণের অসুবিধা সংক্রান্ত কোন তথ্য বা অভিযোগ প্রাপ্তির পর সেবা প্রদানকারী উহা অবিলম্বে নিষ্পত্তি করিবে এবং এই ব্যাপারে কমিশন কর্তৃক প্রণীত কার্য পদ্ধতি (code of practice) অনুসরণ করিবে৷
 
 
(৫) কোন গ্রাহক তাহার অসুবিধা বা অভিযোগ সম্পর্কে সেবা প্রদানকারীকে অবহিত করা সত্ত্বেও উহা যথাসময়ে এবং যথাযথভাবে নিষ্পত্তি না করা হইলে উক্ত গ্রাহক কমিশনের নিকট লিখিতভাবে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
(৬) এইরূপ আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কমিশন উক্ত অসুবিধা বা অভিযোগ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর সেবা প্রদানকারীর করণীয় সম্পর্কে যথাযথ নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালন করা না হইলে কমিশন ধারা ৬৩ এর অধীন বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন আদেশ জারী করিতে পারিবে৷

দশম অধ্যায়

পরিদর্শন ও বাধ্যতামূলক গ্রহণ ও নিষ্পত্তি

পরিদর্শক নিয়োগ
৬০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকাল্পে কমিশন উহার যে কোন কর্মকর্তাকে পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে৷
পরিদর্শকের ক্ষমতা
৬১৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের প্রয়োজনে, একজন পরিদর্শক উপ-ধারা (৩) সাপেক্ষে-
 
 
(ক) যে কোন যুক্তিসংগত সময়ে যে কোন স্থানে প্রবেশ করিতে পারিবেন, যদি তাহার এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে, উক্ত স্থানে-
 
 
(অ)এই আইনের অধীনে অনুমোদিত নহে এইরূপ বেতার যন্ত্রপাতি বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি আছে বা ব্যবহার করা হইতেছে; বা
 
 
(আ)এই আইনের অধীনে অনুমোদিত নহে এইরূপ কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি আছে; বা
 
 
(ই) প্রয়োজনীয় লাইসেন্স বা পারমিট ব্যতিরেকে বা উহার শর্ত ভঙ্গ করিয়া টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান বা বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন বা পরিচালনা করা হইতেছে;
 
 
(খ) উক্ত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে উহা পরীতগা করিতে পারিবেন;
 
 
(গ) উক্ত স্থানে দৃষ্ট যে কোন লগ বুক, প্রতিবেদন, উপাত্ত, নথিপত্র, বিল বা অন্যবিধ দলিল পরীতগা করিতে পারিবেন, যদি তিনি যুক্তিসংগত কারণে মনে করেন যে, এই আইন বা প্রবিধান বা তদধীনে কমিশন প্রদত্ত নির্দেশ বা নির্দেশনা প্রয়োগের জন্য উক্ত পরীতগা প্রয়োজন, এবং তিনি উহার সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষের অনুলিপি বা ফটোকপি; বা প্রয়োজনীয় তথ্যাদিও (extract) সংগ্রহ করিতে পারেন;
 
 
(ঘ) উক্ত ব্যবস্থা বা যন্ত্রপাতির দখলকার, ব্যবহারকারী বা নিয়ন্ত্রণকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারেন এবং তাহার পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলিয়া মনে করিলে তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে এবং উক্ত যন্ত্রপাতি সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তাহা আটক করিতে পারেন;
 
 
(ঙ) যে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা সেবা প্রদানের জন্য যে যন্ত্রপাতি অনুমোদিত নহে উহা আটকের জন্য কমিশনের নিকট সুপারিশ করিতে পারেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১)(ঙ) অনুযায়ী প্রাপ্ত সুপারিশ বিবেচনান্তে কমিশন উক্ত যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবে এবং এইরূপ আটককৃত যন্ত্রপাতি আপাতঃ দৃষ্টে মালিকবিহীন হইলে উহা কমিশনে ন্যস্ত হইবে, এবং পরবর্তী অনধিক ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে কোন ব্যক্তি উক্ত যন্ত্রপাতির মালিকানা দাবী করিলে, প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানের পর, কমিশন তাহাকে উহা ফেরত দিতে পারিবে বা কমিশনের বিবেচনামতে অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত স্থানে কাহারো আবাসস্থল হইলে, পরিদর্শক উহার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তত্ত্ববধানকারীর সম্মতি ব্যতীত, সেখানে প্রবেশ করিতে পারিবেন না, তবে নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে তিনি উক্ত সম্মতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করিতে পারেন:-
 
 
(ক) যদি উপ-ধারা (৪) এর অধীনে ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়ারেন্ট ইস্যু করিয়া থাকেন; বা
 
 
(খ) যদি এমন বিশেষ পরিস্থিতি থাকে যে, ওয়ারেন্ট সংগ্রহ করা বাস্তবসম্মত নহে৷
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ম্যাজিষ্ট্রেটের ওয়ারেন্ট সংগ্রহজনিত বিলম্বের কারণে জীবন, সম্পত্তি বা সংঘটিত অপরাধের সাতেগ্যর নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন বা সাতগ্য বিনষ্ট বা অপসারিত হইতে পারে; এইরূপ পরিস্থিতি দফা (খ) এর আওতায় বিশেষ পরিস্থিতি বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
(৪) পরিদর্শকের কোন প্রতিবেদন অথবা অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক সত্যতার প্রত্যায়নসহ প্রদত্ত কোন তথ্যের ভিত্তিতে যদি প্রতীয়মান হয় যে-
 
 
(ক) এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত কোন আবাসস্থলে প্রবেশ করা পরিদর্শকের প্রয়োজন; এবং
 
 
(খ) উহাতে প্রবেশের জন্য সম্মতি দেওয়া হয় নাই, বা ইহা বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ আছে যে, সম্মতি দেওয়া হইবে না;
 
 
তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শকের আবেদনক্রমে একজন প্রথম শ্রেণীর 39[জুডিশিয়াল] ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট উক্ত পরিদর্শককে উক্ত গৃহে প্রবেশের ক্ষমতা দিয়া এবং যথাযথক্ষেত্রে বল প্রয়োগের ক্ষমতাসহ একটি ওয়ারেন্ট ইস্যু করিতে পারেন, এবং এইরূপ ওয়ারেণ্টে পরিদর্শকের নাম উল্লেখ করিবেন ও প্রয়োজনবোধে কোন শর্তও আরোপ করিতে পারিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টবলে কোন আবাসস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে, পরিদর্শক বল প্রয়োগ করিবেন না; যদি তাহার সংগে কোন পুলিশ ফোর্স না থাকে৷
 
 
(৬) পরিদর্শক কোন স্থানে প্রবেশ করিলে তাহাকে উহার দখলকার বা তত্ত্বাবধানকারী বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পরিদর্শকের অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহসহ অন্যবিধ সকল যুক্তিসংগত সহায়তা করিবেন, যাহাতে এই আইনের অধীন দায়িত্ব পরিদর্শক যথাযথভাবে পালন করিতে পারেন৷
 
 
(৭) এই আইনের অধীন পরিদর্শকের দায়িত্ব পালনকালে কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) পরিদর্শককে বাধা দিবেন না বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবেন না; অথবা
 
 
(খ) স্বজ্ঞানে কোন মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য, মৌখিক হউক বা লিখিত হউক, পরিদর্শকের নিকট উপস্থাপন করিবেন না৷
 
 
(৮) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৭) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 40[১০০ (একশত) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
পরিদর্শকের প্রত্যয়নপত্র বা প্রতিবেদনের প্রাথমিক সত্যতা
৬২৷ (১) এই আইনের বিধান মোতাবেক কোন পরিদর্শকের পরিদর্শন বা পরীতগার ফলাফল সম্বলিত প্রত্যয়নপত্র বা প্রতিবেদনে উক্ত পরিদর্শকের দস্তখত আছে বলিয়া আপাতঃ দৃষ্টে বিবেচনা করা হইলে উক্ত প্রত্যয়নপত্র বা প্রতিবেদন এই আইনের অধীন যে কোন কার্যধারায় সাতগ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে, এবং বিপরীত প্রমাণিত না হইলে উহাতে বিধৃত বিষয়গুলিই হইবে উক্ত পরিদর্শন বা পরীক্ষণের প্রমাণ৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত প্রত্যয়নপত্র বা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালতে কোন কার্যধারা সূচনা করার পূর্বে কমিশন উক্ত প্রত্যয়নপত্র বা প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট ব্যক্তিগতভাবে বা তাহার সর্বশেষ কর্মস্থলে বা বাসস্থলে প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) অভিযুক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শককে আদালতের কার্যধারায় জেরা করার উদ্দেশ্যে তাহাকে হাজির হইবার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের নিকট আবেদন করিতে পারে৷
বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন আদেশ ইস্যুকরণ এবং উহার লংঘনের দণ্ড
৬৩৷ (১) কোন লাইসেন্সধারী বা পারমিটের বা সনদের ধারক যদি-
 
 
(ক) এই আইন বা প্রবিধানের কোন বিধান, বা লাইসেন্স বা পারমিটের আওতায় পরিচালিত ব্যবস্থা বা সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোন শর্ত লংঘন করেন; বা
 
 
(খ) ভুল তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে লাইসেন্স বা পারমিট বা কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ হাসিল করিয়া থাকেন,
 
 
তাহা হইলে কমিশন একটি নোটিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তি বা লাইসেন্সধারী বা পারমিট বা সনদের ধারককে ৩০ দিনের মধ্যে এই মর্মে লিখিত কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিতে পারিবে যে কেন তাহার বিরুদ্ধে একটি বাধ্যতামূলক বাস্তবায়ন আদেশ (enforcement order) ইস্যু বা উক্ত লাইসেন্স পারমিট বা সনদ বাতিল করা হইবে না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত নোটিশে লংঘনের প্রকৃতি এবং উহার সংশোধন বা প্রতিকারের জন্য করণীয় সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট বর্ণনা থাকিতে হইবে৷
 
 
(৩) যদি উপ-ধারা (১) এর অধীনে ইস্যুকৃত নোটিশের কোন জবাব বা অভিযোগকৃত বিষয় সম্পর্কে কমিশনের নিকট সন্ত্মোষজনক ব্যাখ্যা উপস্থাপন না করা হয় বা কমিশন কর্তৃক নির্দেশিত সময়ে উহার নির্দেশিত সংশোধন বা প্রতিকার না করা হয়, তাহা হইলে কমিশন লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক একটি আদেশ দ্বারা-
 
 
41[(ক) উক্ত লংঘনকারীর উপর অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা এবং উক্ত আদেশের পর যতদিন লংঘন চলিতে থাকে উহার প্রতিদিনের জন্য অনধিক অতিরিক্ত ০১ (এক) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারে; এবং ]
 
 
(খ) যথাযথ ক্ষেত্রে লাইসেন্স বা পারমিট বা সনদ স্থগিত বা বাতিল করিতে বা অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করিতে পারে৷
চলিত বা সম্ভাব্য লংঘনের ক্ষেত্রে কমিশনের নিষেধাজ্ঞা
৬৪৷ (১) কমিশন যদি মনে করে যে, কোন ব্যক্তি এমন কাজ করিতে উদ্যত হইয়াছেন বা করিতেছেন যাহার ফলে এই আইন, প্রবিধান, লাইসেন্স বা পারমিটের কোন শর্ত বা কমিশনের নির্দেশ বা নির্দেশনা লংঘিত হইতেছে বা হইবে, তাহা হইলে উক্ত কাজ হইতে কেন তিনি বিরত থাকিবেন না সেই মর্মে ৭ (সাত) দিনের একটি লিখিত নোটিশ দিয়া তত্সম্পর্কে তাহার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে তাহার কোন বক্তব্য থাকিলে তাহা বিবেচনায় অন্যবিধ নির্দেশ দিতে পারিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন যদি সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত লংঘন বা সম্ভাব্য লংঘনের প্রকৃতি এমন যে, অবিলম্বে উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত কাজ হইতে বিরত রাখা প্রয়োজন, তাহা হইলে কমিশন উক্ত নোটিশ জারীর সময়েই তাহাকে অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে পারিবে যে, বিষয়টি সম্পর্কে কমিশনের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি উক্ত লংঘন বা সংশ্লিষ্ট কাজ হইতে বিরত থাকিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন নির্দেশ দেওয়া হইলে উক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কাজ হইতে বিরত থাকিবেন বা ক্ষেত্রমত কমিশনের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করিবেন৷
 
 
 
42[ (৩) উক্ত ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিলে কমিশন তাহার উপর অনধিক ১০০ (একশত) কোটি টাকা প্রশাসনিক জরিমানা আরোপ করিতে পারিবে এবং কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত জরিমানা পরিশোধ না করা হইলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত ব্যক্তি অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে এবং অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।]
প্রশাসনিক জরিমানা
৬৫৷ (১) এই আইনের যে সকল বিধানে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা রহিয়াছে, উহার অতিরিক্ত হিসাবে কমিশন প্রবিধান দ্বারা এই আইনের অন্যান্য বিধান বা প্রবিধানের কোন বিধান লংঘনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা করিতে পারে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৩৫(১), ৫৫(১) এবং ৫৭(২) ধারার লংঘনের ক্ষেত্রে এইরূপ প্রশাসনিক জরিমানা আরোপের ব্যবস্থা করা যাইবে না৷
 
 
(২) এই আইনে বা প্রবিধানের যে সকল বিধান লংঘনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জরিমানা আরোপনীয় সেই সকল ক্ষেত্রে কমিশন 43[অপরাধের ধরন ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করিয়া জরিমানা আরোপ করিবে] লংঘনকারীকে এই মর্মে একটি নোটিশ দিবে যে, তিনি উক্ত নোটিশ প্রাপ্তির পর তাহার দোষ স্বীকার করিয়া নোটিশে নির্ধারিত প্রশাসনিক জরিমানা উহাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রদানের মাধ্যমে দায়মুক্ত হইতে পারেন এবং এই ব্যাপারে তাহার কোন বক্তব্য থাকিলে তাহাও উপস্থাপন করিবেন৷
 
(৩) উপ-ধারা (২)-এ উল্লেখিত লংঘনের ব্যাপারে-
 
 
(ক) একজন পরিদর্শক প্রাসংগিক তথ্যাদিসহ নির্ধারিত নোটিশের ফরম পূরণ এবং দস্তখত করিয়া উক্ত নোটিশ-
 
 
(অ) অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট ব্যক্তিগতভাবে প্রদান করিবেন; অথবা
 
 
(আ)পরিদর্শকের জানামতে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ বাসস্থান বা কর্মস্থলের ঠিকানায় প্রেরণ করিবেন;
 
 
(খ) অভিযোগকৃত লংঘনের যে সকল বিষয় বিবেচনা ও যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হইবে এবং দোষ স্বীকারের ক্ষেত্রে আরোপণীয় প্রশাসনিক জরিমানার পরিমাণ কত হইবে তাহাও নোটিশে উল্লেখ করিবেন;
 
 
(গ) অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত লংঘন-
 
 
(অ) স্বীকার করিয়া নোটিশে উল্লেখিত 44[সময়ের মধ্যে] সম্পূর্ণ প্রশাসনিক জরিমানা জমা দিতে পারেন;
 
 
(আ)স্বীকার করতঃ লংঘনের পরিস্থিতি বর্ণনাক্রমে উক্ত জরিমানা কমানোর জন্য্ 45[নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে] আবেদন করিতে পারেন; বা
 
 
(ই) অস্বীকার এবং উহার সমর্থনে তাহার লিখিত বক্তব্য ও প্রয়োজনীয় দলিল বা তথ্য পেশ করিয়া উক্ত জরিমানার দায় হইতে অব্যাহতির 46[জন্য নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে] আবেদন করিতে পারেন৷
 
 
(৪) উপ-ধারা ( 47[৩])(গ) এর উপ-দফা (আ) বা (ই) এর অধীনে আবেদন করা হইলে কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত একজন কর্মকর্তা সমগ্র বিষয়টি বিবেচনাক্রমে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক তাহার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন এবং এইরূপ সিদ্ধান্তের ৩ (তিন) দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে সিদ্ধান্তের অনুলিপি প্রদান করিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীনে সিদ্ধান্ত প্রদান তারিখের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত পুনরীক্ষণের (revision) জন্য কমিশনের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিতে পারেন, এবং এইরূপ আবেদন সম্পর্কে কমিশন সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক ও আবেদনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া অনধিক ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
(৬) লংঘনকারী উপ-ধারা (৩) এর অধীনে প্রেরিত নোটিশে অভিযোগকৃত লংঘন স্বীকার করিয়া প্রশাসনিক জরিমানার অর্থ জমা দিলে বা উপ-ধারা (৪) বা (৫) এর অধীনে তাহার অনুকূলে দায় মুক্তির সিদ্ধান্ত প্রদত্ত হইলে তদানুযায়ী তিনি দায়মুক্ত হইবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত লংঘন অপরাধ হিসাবে বা প্রদত্ত জরিমানা অর্থদণ্ড হিসাবে গণ্য হইবে না৷
 
 
(৭) কোন লংঘনকারী এই ধারার অধীনে তাহার উপর আরোপিত প্রশাসনিক জরিমানা জমা না দিলে বা নোটিশের প্রেক্ষিতে হাজির না হইলে উক্ত লংঘন একটি অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং তদানুসারে লংঘনকারীর বিচার হইবে।

একাদশ অধ্যায়

অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার

বেতার ও টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে মিথ্যা বার্তা ইত্যাদি প্রেরণের দণ্ড
৬৬৷ (১) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মিথ্যা বা প্রতারণামূলক বিপদ সংকেত, বার্তা বা আহ্বান প্রেরণ করিবেন না বা তাহা করাইবেন না৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি যদি-
 
 
(ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করেন; বা
 
 
(খ) আইনানুগ কারণ ব্যতিরেকে, যদি এমনভাবে কোন যন্ত্রপাতি বা কৌশল বা উহার কোন অংশ ব্যবহার, স্থাপন, পরিবর্তন বা পরিচালনা করেন বা উহা দখলে রাখেন যে, উক্ত যন্ত্রপাতি বা কৌশল বা উহার অংশবিশেষ উপ-ধারা (১) লংঘনক্রমে ব্যবহার করা হইয়াছে বা হইতেছে বা উক্তরূপে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ছিল মর্মে বিবেচনা করা যায়,
 
 
তাহা হইলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 48[৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির পরিপন্থী কার্যক্রম ইত্যাদি পরিচালনার দন্ড
49[৬৬ক। (১) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া যদি এমন কোন সংকেত, বার্তা বা আহ্বান প্রেরণ করেন যাহা জাতীয় ঐক্য এবং সংহতির পরিপন্থী, দেশদ্রোহীমূলক অথবা জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষ, বিভেদ এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করিতে পারে, অথবা যাহা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষায় ক্ষতিকর অথবা বাংলাদেশের সহিত বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণে ক্ষতিকর অথবা বাংলাদেশের নিরাপত্তা, জননিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলায় ক্ষতিকর অথবা আইনের শাসন অথবা আইন ও শৃঙ্খলা সংরক্ষণে হস্তক্ষেপ, উৎসাহ অথবা উত্তেজিত করে অথবা জনসাধারণ কিংবা কোন সমপ্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করিতে পারে অথবা রাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বা আর্থিক স্বার্থে ক্ষতিকর, তাহা হইলে তাহার এই কাজটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তিনি অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
 
(২) কোন ব্যক্তি যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন কার্য সংঘটন করেন বা সংঘটনে সহায়তা করেন তাহা হইলে কমিশন কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত সংকেত, বার্তা বা আহবান বন্ধ করিয়া দেওয়ার জন্য যে কোন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
 
(৩) যদি কোন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত কমিশনের কোন নির্দেশ তাৎক্ষণিক ভাবে পালন না করে তাহা হইলে উহাও একটি অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য উক্ত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর অথবা অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন]
বেতার যোগাযোগ বা টেলিযোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দণ্ড
৬৭৷ (১) কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) আইনানুগ কারণ ব্যতীত বেতার যোগাযোগ বা টেলিযোগাযোগে বাধা দিবেন না বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিবেন না; বা
 
 
(খ) কোন বেতার যোগাযোগ বা টেলিযোগাযোগ এর পথ রুদ্ধ করিবেন না অথবা রুদ্ধকৃত এই যোগাযোগ কোন কাজে লাগাইবেন না অথবা উহাকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করিবেন না, যদি এই কাজে উক্ত যোগাযোগ সূচনাকারী ব্যক্তির বা তিনি যাহার নিকট প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যোগাযোগ সূচনা করেন তাহার অনুমোদন বা সম্মতি না থাকে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 50[১০(দশ) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
কর্মচারী কর্তৃক টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রপাতি অপব্যবহারের দণ্ড
৬৮৷ (১) কোন পরিচালনাকারীর কোন কর্মচারী-
 
 
(ক) টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বার্তা প্রেরণ করিবেন না যাহা তাহার জানামতে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর বা কোন টেলিযোগাযোগ সেবার দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত করিতে পারে বা কোন ব্যক্তির জীবন বা কোন সম্পত্তির নিরাপত্তা বিপদগ্রস্ত করিতে পারে;
 
 
(খ) তাহার দায়িত্ব পালনকালে-
 
 
(অ) টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেরিত এমন বার্তার প্রেরক বা প্রাপক বা বিষয়বস্তু সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে কোন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিবেন না, যে বার্তাটি গ্রহণের জন্য কমিশন উক্ত কর্মচারীকে বা উক্ত পরিচালনকারীকে ক্ষমতা প্রদান করে নাই;
 
 
(আ) কমিশন বা আদালতের কোন আইনগত কার্যধারা (legal proceedings) বা উহার অনুবর্তী (consequential) কার্যক্রমের প্রয়োজন ব্যতীত এমন বার্তার প্রেরক, প্রাপক বা বিষয়বস্তু সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করিবেন না যে বার্তাটি তিনি শুধুমাত্র টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে বা ব্যবহারের সূত্রে জ্ঞাত হইয়াছেন৷
 
 
(গ) সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোন তথ্য বা বার্তা বা অন্য কিছু প্রেরণকালে বা গ্রহণকালে উহার প্রেরক বা গ্রাহক বা কমিশনের অনুমোদন ব্যতিরেকে উক্ত নেটওয়ার্কের কোন অংশে বাধা সৃষ্টি করিবেন না বা উক্ত তথ্য বা বার্তা বা অন্য কিছুর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত হইবেন না৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তাহার এই কাজ একটি অপরাধ হইবে এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক 51[১(এক) কোটি] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
অশ্লীল, অশোভন ইত্যাদি বার্তা প্রেরণের দণ্ড
52[৬৯৷ যদি-
 
 
(ক) কোন ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে কোন অশ্লীল, ভীতি প্রদর্শনমূলক বা গুরুতরভাবে অপমানকর কোন বার্তা প্রেরণের উদ্দেশ্যে উক্ত যন্ত্রপাতির পরিচালন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তির নিকট প্রস্তাব করেন, বা
 
(খ)উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে দ্বিতীয়োক্ত ব্যক্তি সজ্ঞানে বা ইচ্ছাকৃতভাবে উক্তবার্তা প্রেরণ করেন, বা
 
(গ) কোন ব্যক্তি চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট অশ্লীল, গুরুতরভাবে অপমানকর, হুমকিমূলক কোন বার্তা বা অন্যকোন ভীতিকর বার্তা বা কোন কথোপকথন বা ছবি বা ছায়াছবি প্রেরণ করেন, তাহা হইলে দফা (ক) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী এবং দফা (খ) এর ক্ষেত্রে প্রস্তাবকারী ও প্রেরণকারীর এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য উক্ত প্রস্তাবকারী বা, প্রেরণকারী বা, ক্ষেত্রমত, উভয়ে অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং দফা (গ) এর ক্ষেত্রে প্রেরণকারী অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং অনাদায়ে ০৩ (তিন) মাসের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।]
টেলিফোনে বিরক্ত করার দণ্ড ইত্যাদি
৭০৷(১) কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত যদি অন্য কোন ব্যক্তির নিকট এইরূপে বারবার টেলিফোন করেন যে, উহা উক্ত অন্য ব্যক্তির জন্য বিরক্তিকর হয় বা অসুবিধার সৃষ্টি করে, তাহা হইলে এইরূপে টেলিফোন করা একটি অপরাধ হইবে এবং উহার জন্য দোষী ব্যক্তি অনধিক 53[১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে] দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত ধরনের টেলিফোন যাহার নিকট করা হয় তাহার বা তাহার পক্ষে অন্য কাহারো অভিযোগ এবং এতদুদ্দেশ্যে তত্কর্তৃক প্রয়োজনীয় কর্তৃত্ব প্রদানের ভিত্তিতে, পরিচালনাকারী উক্ত উপ-ধারায় বর্ণিত টেলিফোন কলের উত্স চিহ্নিতকরণ, উহার পথরোধ, পরিবীক্ষণ বা বাণীবদ্ধকরণ করিতে বা এইরূপ কল যাহাতে সম্ভব না হয় উহার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন৷
টেলিফোনে আড়িপাতার দণ্ড
৭১৷কোন ব্যক্তি যদি অপর দুই জন ব্যক্তির টেলিফোন আলাপে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়িপাতেন, তাহা হইলে প্রথমোক্ত ব্যক্তির, এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 54[২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫(পাচ) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন 55[:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৯৭ক এর অধীন সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷]
যন্ত্রপাতির ক্ষতিসাধন, অনুপ্রবেশ, অবৈধ অবস্থান, পরিচালন কার্যে বাধা দান ইত্যাদির দণ্ড
৭২৷ কোন ব্যক্তি-
 
 
(ক) লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতির সাহায্যে টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগ পরিচালিত হয় এইরূপ কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির অনুমতি ব্যতীত উহাতে প্রবেশ করিলে;
 
 
(খ) উক্ত কার্যালয়ে যে কোনভাবে প্রবেশের পর উহা ত্যাগ করার উক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাহার অধীনস্থ কোন ব্যক্তির অনুরোধের পরও সেখানে অবস্থান করিলে;
 
 
(গ) উক্ত যন্ত্রপাতি রহিয়াছে এইরূপ স্থানে প্রবেশের ব্যাপারে টাংগানো নিষেধাজ্ঞা উপেতগা করিয়া প্রবেশ করিলে;
 
 
(ঘ) উক্ত কার্যালয়ে বা স্থানে যে কোনভাবে প্রবেশ করিয়া সেখানে কর্তব্যরত কোন ব্যক্তিকে তাহার কর্তব্য পালনে বাধা দিলে; বা
 
 
(ঙ) ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত যন্ত্রপাতির ক্ষতিসাধন বা উহা অবৈধভাবে অপসারণ করিলে বা অবৈধভাবে উহার কার্যক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকল করিলে,
 
 
তাহার এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক 56[৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
অন্যান্য অপরাধ ও দণ্ড
৭৩৷ (১) কোন ব্যক্তির নিম্নবর্ণিত যে কোন কাজ হইবে একটি অপরাধ, যথা-
 
 
(ক) লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত লংঘন করিয়া টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা বা সেবা প্রদান বা এইসবের সহায়ক কোন কাজ;
 
 
(খ) তিনি যদি জানিতে পারেন যে বা তাহার এইরূপ বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে, এই আইনের বিধান লংঘনক্রমে তাহার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীনে কোন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা বেতার যন্ত্রপাতি স্থাপন করা বা চালু রাখা হইয়াছে বা উহা পরিচালন করা হইতেছে এবং তাহা সত্ত্বেও উক্ত ব্যক্তি উহা ব্যবহার করিয়া বা উহার সাহায্যে কোন তথ্য প্রেরণ বা গ্রহণ বা কোন সেবা প্রদান বা এইসবের আনুষঙ্গিক কোন কাজে ব্যবহার;
 
 
(গ) কোন 57[টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগ সংক্রান্ত কোন সেবা গ্রহণের] সেবা গ্রহণের জন্য প্রদেয় চার্জ এড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক বা অন্যবিধ কৌশল অবলম্বন;
 
 
(ঘ) লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের কাজে নিয়োজিত থাকাকালে উক্ত নেটওয়ার্কের সাহায্যে প্রেরিত কোন বার্তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিবর্তন বা বিকৃত করা বা উহার বিষয়বস্তুতে অবৈধ হস্তক্ষেপ;
 
 
(ঙ) কমিশনকে এমন তথ্য বা দলিল সরবরাহ করিতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা, যাহা এই আইন বা প্রবিধান অনুযায়ী কমিশন পাওয়ার অধিকারী এবং যাহা সরবরাহের জন্য কমিশন ১০ (দশ) দিনের নোটিশ দিয়াছে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১)-এ উল্লেখিত যে কোন অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইলে তিনি অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর কারাদণ্ডে বা 58[অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে এবং এই অপরাধ অব্যাহত থাকিলে এই অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অনধিক ১(এক) কোটি টাকা] অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(৩) যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধানের এমন বিধান লংঘন করেন যাহার জন্য এই আইনে বা প্রবিধানে কোন সুনির্দিষ্ট দণ্ড নির্ধারিত নাই, তাহা হইলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়া সাপেক্ষে:
 
 
(ক) উক্তরূপ প্রথম লংঘনের জন্য অনধিক 59[৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) কোটি টাকা] অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে;
 
 
(খ) উক্তরূপ পরবর্তী প্রতিটি লংঘনের জন্য 60[অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে] বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীনে কোন দণ্ড আরোপ সত্ত্বেও, সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির অন্যান্য প্রতিকার লাভের অধিকার তগুণ্ন হইবে না৷
অপরাধ সংঘটনে সহায়তা, প্ররোচনা ইত্যাদির দণ্ড
৭৪৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে, অথবা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দিলে বা ষড়যন্ত্র করিলে এবং উক্ত ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হইলে, উক্ত সহায়তাকারী ষড়যন্ত্রকারী, বা প্ররোচনাকারী উক্ত অপরাধের জন্য বর্ণিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
প্রবিধানে অপরাধ, দণ্ড, ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত বিধান
৭৫৷ কমিশন নিম্নলিখিত বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
(ক) প্রবিধানে বা কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত লংঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট লংঘনকে অপরাধরূপে চিহ্নিত করা ও উহার জন্য ক্ষেত্রমত 61[অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা] অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড আরোপ;
 
 
(খ) প্রবিধানে বা কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত লাইসেন্স বা পারমিটের শর্ত লংঘনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ এবং উহা আদায়ের পদ্ধতি নির্ধারণ, এইরূপ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হইবে অনধিক ২ (দুই) 62[কোটি] টাকা৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৭৬৷ (১) এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন কোম্পানী, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, অংশীদারী কারবার, সমিতি বা একাধিক ব্যক্তি সমন্বয়ে গঠিত সংগঠনকে বুঝাইবে;
 
 
(খ) “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ড, যে নামেই অভিহিত হউক, এর সদস্যকেও বুঝাইবে৷
 
 
(২) ফৌজদারী কাযবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোম্পানী কর্তৃক এই আইন বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে, কোম্পানীর নিবন্ধিত কাযার্লয় বা প্রধান কাযার্লয় বা এইরূপ কাযার্লয় না থাকিলে যে স্থান হইতে সাধারণতঃ উহার কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয় বা যে স্থানে অপরাধটি সংঘটিত হয় বা যে স্থানে কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া যায় সেই স্থানের উপর এখতিয়ারসম্পন্ন 63[প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট] আদালতই হইবে যথাযথ এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত৷
অপরাধের বিচার।
64[৭৭।(১) ফৌজদারী কাযবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন এবং ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (Cognizable ) ও জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।
 
 
(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পরিদর্শক বা যে কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যে কোন কর্মকর্তার, যিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পরিদর্শক বা সম-পদমর্যাদার নিমেড়ব নহেন, লিখিত রিপোর্ট ব্যতীত কোন আদালত এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করিবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে কোন এখতিয়ারাধীন আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও অনুসন্ধান করার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা কমিশনের কোন কর্মকর্তা পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাযর্ক্রম শুরু করেন নাই, অথচ উক্ত অভিযোগ বিচারের জন্য গ্রহণের যৌক্তিকতা রহিয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বা কমিশনকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়া উক্তরূপ রিপোর্ট ব্যতিরেকে উক্ত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে, অথবা যথাযথ মনে করিলে উক্ত অভিযোগ সম্পর্কে তদন্ত করিয়া ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিদর্শককে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং অনুরূপ নির্দেশ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বাস বায়ন করিয়া প্রতিবেদন দাখিল করিতে সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক বাধ্য থাকিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত সংশ্লিষ্ট অপরাধ আমলে লইতে পারিবে।
 
 
(৩) মেট্রোপলিটান এলাকায় মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটান এলাকা বহিভূর্ত প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এই আইন ও ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত সকল অপরাধের বিচার করিতে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।
 
 
(৪) অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, যদি এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন আইনে বর্ণিত অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় সম্পাদন করা সমীচীন, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিষ্ট্র্রেট উভয় অপরাধ আমলে লইয়া ফৌজদারী কাযবিধির বিধান অনুসারে মামলাটি, বিচারের জন্য প্রস্তুত করিয়া, অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধ ম্যাজিষ্ট্রেট কতৃর্ক বিচারযোগ্য হইলে, বিচার নিষ্পন্নের জন্য মামলাটি, ক্ষেত্রমত, মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করিবে, অথবা অন্য আইনে বর্ণিত অপরাধটি বা অপরাধগুলি দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা বিশেষ আদালত কতৃর্ক বিচারযোগ্য হইলে, বিচার নিষ্পন্নের জন্য মামালাটি, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট দায়রা আদালত বা ট্রাইব্যুনাল বা বিশেষ আদালতে প্রেরণ করিবে।
 
 
(৫) সংশ্লিষ্ট আদালত উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রাপ্ত একই মামলায় অন্তভুর্ক্ত সকল অপরাধের বিচার করিয়া সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনের বিধান মোতাবেক দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে এবং অপরাধ সংঘটনে জড়িত আলামতসমূহ, ধারা ৮১ এর বিধান সাপেক্ষে, কমিশনের অনুকূলে বাজেয়াপ্তির আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
(৬) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তলব অনুসারে উপস্থিত কোন মামলার সাক্ষীকে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ ব্যতিরেকে ফেরত দেওয়া যাইবে না :
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালতের সাধারণ দৈনিক কর্মসময় শেষ হওয়ার প্রাক্কালে যে মামলার শুনানী বা সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়, কর্মসময় শেষ হওয়ার পরও উক্ত মামলার শুনানী বা সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলমান থাকিতে পারিবে।
 
(৭) অভিযোগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।
 
(৮) উপ-ধারা (৭) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বিচারকার্য সমাপ্ত না হওয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উল্লিখিত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে বিষয়টি তাহার ঊধর্বতন সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতকে অবহিত করিবে এবং উক্ত ১৮০ (একশত আশি) দিনের পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে; বর্ধিত সময়ের মধ্যেও কোন মামলার বিচারকার্য সম্পনড়ব না হইলে বর্ধিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মামলা অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করার জন্য চেয়ারম্যান বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা আইনজীবী সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে দরখাস্ত করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ দরখাস্তের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত মামলা স্থানান্তরের আদেশ দিতে পারিবে।
 
(৯) উপ-ধারা (৮) অনুসারে কোন মামলা যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করা হইবে সেই আদালত পূর্ববর্তী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার যে পর্যন্ত কার্য সম্পাদন করিয়াছে তাহার পর হইতে অবশিষ্ট কার্যক্রম সম্পাদন করিবে এবং মামলার নথি প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করিবে।
 
(১০) উপ-ধারা (৭), (৮) ও (৯) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন মামলার বিচারকার্য সম্ভব না করা হইলে তজ্জন্য কে বা কাহারা দায়ী তাহা সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালত সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বকদায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমীপে সুপারিশ প্রেরণ করিবে এবং উক্তরূপ সুপারিশের ভিত্তিতে গৃহীত কার্যক্রম ও ফলাফল উক্ত সুপারিশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সংশিস্নষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদন আকারে সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে দাখিল করিবে।
 
(১১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ কার্যকর হইবার পূর্বে যে সকল মামলা বিচারার্থে যে আদালতে প্রেরিত হইয়াছে সেই সকল মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক এমনভাবে নিষ্পন্ন করিতে হইবে যেন উক্ত আইন কাযর্ক র হয় নাই।]
অপরাধের অনুসন্ধান, মামলা দায়ের এবং তদন্ত পদ্ধতি।
65[৭৮। (১) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধের তদন্ত করিবার জন্য কমিশন পরিদর্শক বা অন্য কোন সংস্থা বা অন্য কোন সংস্থার কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
 
(২) এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণত কমিশনের পরিদর্শক অনুসন্ধান, মামলা দায়ের ও তদন্ত সম্পাদন করিবেন।
 
(৩) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার প্রয়োজনবোধে জনশৃঙ্খলার স্বার্থে, উপ-ধারা (২) এর বিধান ক্ষুন্ন না করিয়া, এই আইন বা ইহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানে বর্ণিত কোন অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের করিবার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পুলিশ পরিদর্শক বা সমপদ মর্যাদার নিম্নে নহে এইরূপ কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণপূর্বক অনুসন্ধান, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।
 
(৪) অনুসন্ধানে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার তথ্য পাওয়া মাত্রই অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট থানায় একটি এজাহার দায়ের করিবেন যাহা অপরাধ সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য হিসেবে গণ্য হইবে এবং সংশ্লিষ্ট থানা প্রচলিত বিধি বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট ম্যজিস্ট্রেট আদালতে উক্ত এজাহার প্রেরণ করিবে।
 
(৫) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কমিশন বহিভর্ূত কর্মকর্তা হইলে তিনি এজাহারের একটি পাঠযোগ্য অনুলিপি বা ছায়ালিপি অবলিম্বে কমিশন সমীপে প্রেরণ করিবেন।
 
(৬) কোন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে উপ-ধারা (১) এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফৌজদারী কার্যবিধির বিধান অনুসারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ন্যায় একই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন এবং তিনি, এই আইন ও ইহার অধীনে প্রণীত বিধি বা সংশিস্নষ্ট প্রবিধানমালা সাপেক্ষে, ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসরণ করিবেন।
 
(৭) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা অনুসন্ধান বা তদন্তকালে অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট দলিল, বস্তু বা যন্ত্রপাতি আটক করিতে পারিবেন যদি যুক্তিসংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, উহা সরাইয়া ফেলা বা নষ্ট করা হইতে পারে এবং অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন যদি যুক্তি সংগত কারণে তিনি মনে করেন যে, তাহার পলাতক হইবার সম্ভাবনা আছে।
 
(৮) আনুষ্ঠানিক তদন্তের পূর্বে অনুসন্ধান পর্যায়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা কর্তৃক রেকর্ডকৃত জবানবন্দী, আটককৃত বস্তু, সংগৃহীত নমুনা বা অন্যান্য তথ্য আনুষ্ঠানিক তদন্তের প্রয়োজনে বিবেচনা ও ব্যবহার করা যাইবে।
 
(৯) তদন্ত সমাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা কমিশনের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র কমিশনের অনুমোদনের জন্য দাখিল করিবেন এবং উক্তরূপ অনুমোদন প্রাপ্তির পর তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত তদন্ত রিপোর্ট, অনুমোদনপত্র এবং উক্ত রিপোর্টের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট মূল কাগজপত্র বা উহার সত্যায়িত অনুলিপি সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল কারিবেন যাহার একটি অনুলিপি তাহার দপ্তরে এবং আরেকটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিবেন; এবং এইরূপ রিপোর্ট ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৩ ধারার অধীন প্রদত্ত পুলিশি রিপোর্ট বলিয়া গণ্য হইবে :
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন দলিলপত্রের মূল কপি আদালতে দাখিল করা সম্ভব না হইলে উহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা রিপোর্টের সহিত আদালতে দাখিল করিতে হইবে।
 
(১০) যদি এই আইন বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানভুক্ত কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, পূর্ণাঙ্গ ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের তদন্ত ও বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা সমীচীন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধও একই তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্তযোগ্য হইবে।
 
(১১) ধারা ৬১ ও এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পরিদর্শক, অনুসন্ধানকারী বা তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, অন্যকোন সরকারী কর্তৃপক্ষ বা প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংবিধিবদ্ধ সংস্থার সহায়তার জন্য অনুরোধ করিতে পারিবেন এবং তদানুসারে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ সহায়তা করিতে বাধ্য থাকিবে।]
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ
৭৯৷ (১) এই আইন, তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান সাপেক্ষে, এই আইনে বর্ণিত যে কোন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপীল এবং আনুষংগিক সকল বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন পরিদর্শকের রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতে সূচিত মামলা ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন পুলিশ রিপোর্টের ভিত্তিতে সূচিত মামলা বলিয়া গণ্য হইবে৷
মামলা পরিচালনা।
66[৮০।(১) আদালতে কমিশনের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য কমিশন প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগ করিতে পারিবে।
 
 
(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, কমিশন কতৃর্ক নিয়োজিত নিজস্ব আইনজীবী ফৌজদারী মামলার ক্ষেত্রে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এবং দেওয়ানী প্রকৃতির মামলার ক্ষেত্রে বিশেষ সরকারী কৌঁসুলী বলিয়া গণ্য হইবেন।
 
 
(৩) আইন পেশায় অথবা বিচার কাজে কমপক্ষে ৭ (সাত) বৎসরের অভিজ্ঞতা ব্যতিরেকে কেহ এই ধারায় কমিশনের আইনজীবী হিসেবে নিয়োগযোগ্য হইবেন না ঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আইন বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রীধারীদের ক্ষেত্রে কমিশন উক্ত অভিজ্ঞতার সময়সীমা শিথিল করিতে পারিবে।
 
 
(৪) কোন মামলার কোন পর্যায়ে যে কোন নিজস্ব আইনজীবী একবার বা একাধিকবার কমিশনের পক্ষে কাজ করিলে, পরবর্তীতে তিনি কমিশনে নিয়োজিত থাকুন বা না থাকুন, উক্ত মামলায় বা উক্ত মামলা হইতে উদ্ভুত কোন আপীল বা রিভিশন বা রিভিউ মামলায় কমিশনের বিপরীত পক্ষ অবলম্বন করিতে পারিবেন না।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর লংঘন Bangladesh Legal Practitioners and Bar Council Order, 1972 (P.O. No. 46 of 1972) এর অনুচ্ছেদ ৩২ মোতাবেক অসদাচরণ বলিয়া গণ্য হইবে।
 
 
(৬) কমিশন কতৃর্ক নিজস্ব আইনজীবী নিয়োগের শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে এবং এইরূপ প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত কমিশন, প্রশাসনিক আদেশ দ্বারা, এই বিষয়ে অনুসরণীয় নিয়মাবলী নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(৭) আদালতে কোন মামলা পরিচালনার সময় কমিশনের নিজস্ব আইনজীবীকে কমিশন কতৃর্ক এতদুদ্দেশ্যে নিয়োজিত কর্মকর্তা সহায়তা করিতে পারিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তা আদালতে হাজির থাকিয়া তাহার বক্তব্য ও প্রাসঙ্গিক দলিল পত্র পেশ করিতে পারিবেন।]
যন্ত্রপাতি ইত্যাদি বাজেয়াপ্তকরণ
৮১৷ (১) এই আইন বা প্রবিধানের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে যে টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি বা যান বা অন্য কোন বস্তু বা দলিল, অতঃপর এই ধারায় মালামাল বলিয়া উল্লেখিত, সম্পর্কে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে তাহা সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রকৃতি ও পরিস্থিতি বিবেচনাক্রমে কমিশনের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ আদালত প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থার মালামাল এই উপ-ধারার অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন মালামাল বাজেয়াপ্ত করা হইলে, কমিশন উক্ত বাজেয়াপ্তকরণ সম্পর্কে একটি নোটিশ ঢাকা হইতে প্রকাশিত এবং বহুল প্রচারিত দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রচার করিবে; এই নোটিশ, প্রচারিত হওয়ার ৩০ দিন পর কমিশন, বাজেয়াপ্তকৃত মালামাল নিষ্পত্তি করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংঘটনের দায়ে যে ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হইয়াছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বাজেয়াপ্ত মালামালের মালিক, বন্ধক গ্রহীতা, লিয়েন হোল্ডার বা অন্যবিধ ক্ষমতায় কোন স্বার্থ দাবী করিলে, তিনি বাজেয়াপ্তকরণের নোটিশ প্রকাশিত হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বিচারকারী আদালতের নিকট উপ-ধারা (৬) এর অধীন আদেশ প্রাপ্তির জন্য দরখাস্ত, অতঃপর উক্ত দরখাস্ত বলিয়া উল্লেখিত, করিতে পারেন এবং উক্ত দরখাস্ত্মের উপর শুনানীর জন্য উক্ত আদালত একটি তারিখ নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) দরখাস্তকারী উক্ত দরখাস্ত আদালতে দাখিল করার সময় বা তত্পূর্বে কমিশনকে এবং বাজেয়াপ্ত মালামালে অন্য কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৩)-এর উল্লেখিত কোন স্বার্থ দাবী করিয়াছেন বলিয়া দরখাস্তকারীর জানা থাকিলে তাহাকে, উক্ত দরখাস্ত্মের অনুলিপিসহ একটি নোটিশ দিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উক্ত দরখাস্ত সম্পর্কে দরখাস্তকারী, দাবী উত্থাপনকারী অন্যান্য ব্যক্তি এবং কমিশনকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদানের পর যদি আদালত সন্তুষ্ট হয় যে-
 
 
 
 
(ক) যে অপরাধের কারণে উক্ত মালামাল বাজেয়াপ্ত হইয়াছে উহার সহিত উক্ত দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারীর অজ্ঞাতসারে বা তাহার অনুমতি বা সম্মতি ব্যতিরেকে অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
(খ) উক্ত দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারী উক্ত মালামালের ব্যাপারে এমন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন যে, মালামালের অনুমোদিত দখলদার বা ব্যবহারকারীগণ কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটিত হইবে না মর্মে সন্তুষ্ট থাকার যুক্তিসঙ্গত কারণ তাহার ছিল;
 
 
 
 
তাহা হইলে আদালত যে দরখাস্তকারী বা দাবী উত্থাপনকারী সম্পর্কে উক্তরূপে সন্তুষ্ট হয় তাহার স্বার্থের পরিধি এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির তুলনায় তাহার স্বার্থের অগ্রগণ্যতা ঘোষণা করিতে পারিবে; এবং ইহা ছাড়াও উক্ত মালামাল এইরূপ স্বার্থবান ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট ফেরত দেওয়ার জন্য বা উক্ত মালামাল বিক্রি বা অন্যবিধভাবে নিষ্পত্তি হইয়া থাকিলে স্বার্থের অনুপাতে প্রত্যেক স্বার্থবান ব্যক্তিকে আদালতের বিবেচনায় উপযুক্ত অর্থ নিষ্পত্তি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ হইতে পরিশোধ করার নির্দেশও দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীনে কোন মালামাল বাজেয়াপ্তকরণ বা নিষ্পত্তিকরণ বা এতদসংক্রান্ত কার্যধারায় উক্ত মালিক বা স্বার্থবান ব্যক্তি কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবে না বা অন্য কোন আদালতে এইরূপ ক্ষতিপূরণের দাবী বা অন্য কোন দাবী উত্থাপন করিতে পারিবেন না৷
আদায়কৃত প্রশাসনিক জরিমানা ও অর্থদণ্ডের নিষ্পত্তি
৮২৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধানের অধীনে আদায়কৃত প্রশাসনিক জরিমানা এবং অর্থদণ্ড প্রজাতন্ত্রের সরকারী তহবিলে জমা হইবে৷
আপীল কর্তৃপক্ষ গঠন, ইত্যাদি
67[৮২ক। (১) সরকার, কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রশাসনিক জরিমানা সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কর্তৃক আপীলের উদ্দেশ্যে,বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে, একটি আপীল কর্তৃপক্ষ গঠন করিবে।
 
(২) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারক এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত অপর দুইজন সদস্য সমন্বয়ে আপীল কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে।
 
(৩) আপীল দায়ের এবং নিষ্পত্তির পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।]
বার্তার অবৈধ প্রকাশ সম্পর্কে দেওয়ানী মামলা ও অন্যান্য প্রতিকার লাভের অধিকার
৮৩৷ (১) যদি কোন ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করেন যে, তত্কর্তৃক প্রেরিত বা গৃহীত বার্তা অবৈধভাবে প্রকাশ করা হইয়াছে বা হইবে, অথবা উহা ৬৭(১) বা ৬৮(১) ধারার বিধান লংঘনক্রমে ব্যবহৃত হইয়াছে বা হইবে, তাহা হইলে তিনি উক্ত প্রকাশ বা অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করার জন্য বা দায়ী ব্যক্তির নিকট হইতে তজ্জনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য, প্রকাশকারী বা অবৈধ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে 68[উপযুক্ত দেওয়ানী] আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারেন; এবং এইরূপ মামলায় আদালত নিষেধাজ্ঞা, ক্ষতিপূরণ বা উহার বিবেচনামত অন্য কোন প্রতিকার প্রদান করিতে পারে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি ইতিপূর্বে ৬৭(১) বা ৬৮(১) ধারার অধীন অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হইয়া থাকিলে এবং তাহার বিরুদ্ধে একই ঘটনার ভিত্তিতে এই ধারার উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন দেওয়ানী মামলা দায়ের হইলে এইরূপ দেওয়ানী কার্যধারায় অভিযোগকৃত বার্তার প্রকাশ বা উহার অবৈধ ব্যবহার প্রমাণের জন্য উক্ত অপরাধ সম্পর্কিত ফৌজদারী কার্যধারায় উপস্থাপিত সাতেগ্যর সত্যায়িত নকল উপস্থাপন করা যাইবে এবং অপরাধ সংঘটনের ব্যাপারে দোষী সাব্যস্তকরণের সিদ্ধান্ত উক্ত আদালতে প্রার্থিত প্রতিকারের ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হইবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন মামলা দায়েরের কারণ উদ্ভব হওয়ার ৩ (তিন) বত্সরের মধ্যে উক্ত মামলা দায়ের করিতে হইবে৷
 
 
(৪) এই ধারার অধীনে দেওয়ানী মামলা দায়েরের কারণে কোন ব্যক্তি কর্তৃক অন্য কোন অধিকার প্রয়োগ বা অন্য, প্রতিকার লাভের অধিকার ক্ষুণ্ন হইবে না৷

দ্বাদশ অধ্যায়

তথ্য প্রবাহ

কমিশনের নিকট হিসাব ও তথ্য সরবরাহ
৮৪৷ (১) কমিশন যে কোন পরিচালনকারীকে বা বিশেষ শ্রেণীর পরিচালনকারীগণকে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে নির্দেশ দিতে পারে:-
 
 
(ক) এই আইনের বিধানাবলী পালন বা কমিশনের ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ব্যয় চিহ্নিতকরণের পদ্ধতি এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোন হিসাব পদ্ধতি অনুসরণ:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ হিসাব পদ্ধতি কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ তে বর্ণিত হিসাব সংক্রান্ত বিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হইতে হইবে; এবং
 
 
69[(খ) এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে, কমিশনের নিকট নির্দিষ্ট সময়ান্তে দাখিলযোগ্য প্রতিবেদন কমিশন কতৃর্ক নির্ধারিত কোন ফরমে বা পদ্ধতিতে প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি এবং কমিশনের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য সরবরাহ।]
 
 
(২) যুক্তিসঙ্গত কারণে কমিশন যদি বিশ্বাস করে যে, এই আইন বাস্তবায়নের জন্য কোন পরিচালনকারী বা অন্যান্য লাইসেন্সধারী, পারমিটধারী বা সনদের ধারক বা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট হইতে কোন তথ্য বা দলিল সংগ্রহ করা প্রয়োজনীয়, তাহা হইলে উক্ত তথ্য সরবরাহের জন্য কমিশন উক্ত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত ব্যক্তি এই নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারার অধীনে এমন কোন দলিল বা উহার বিষয়বস্তু উপস্থাপনের জন্য কোন ব্যক্তিকে বাধ্য করা যাইবে না যাহা দেওয়ানী মামলার সূত্রে আদালতে উপস্থাপনে উক্ত ব্যক্তি বাধ্য নহেন; উক্তরূপে বাধ্য না হওয়ার বিষয়টি প্রমাণের দায়িত্ব বর্তাইবে উক্ত ব্যক্তির উপর৷
তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ ও গোপনীয় তথ্যাদি
৮৫৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন কার্যাবলী সম্পাদনের সূত্রে কমিশনের গোচরীভূত সকল তথ্যই যাহাতে জনসাধারণ পরিদর্শন এবং উহার অনুলিপি সংগ্রহ করিতে পারে তাহা কমিশন নিশ্চিত করিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন তথ্যকে গোপনীয় বলিয়া কমিশন মনে করিলে উহার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) কমিশনার বা কমিশনের কোন পরামর্শক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা কমিশন কর্তৃক নিয়োজিত কোন ব্যক্তি সজ্ঞানে এমন কোন গোপন তথ্য অন্য কোন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করিবেন না বা উহাকে প্রকাশিত হইতে দিবেন না যাহাতে উক্ত অন্য ব্যক্তি গোপন তথ্য ব্যবহার করিয়া লাভবান হন, বা উক্ত তথ্য যাহার সহিত সংশ্লিষ্ট তাহার ক্ষতি হয়; এইরূপ গোপনীয় তথ্য প্রকাশ একটি অসদাচরণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- কমিশনার বা কমিশনের পরামর্শক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী ছিলেন এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এই উপ-ধারা প্রযোজ্য৷
 
 
 
 
(৩) কমিশন যদি উহার কোন কার্য-ধারা চলাকালে কোন তথ্য প্রাপ্ত হয় এবং কমিশন মনে করে যে, উক্ত তথ্য, জনস্বার্থে প্রকাশিত হওয়া প্রয়োজন, তাহা হইলে উহাতে আপাতঃদৃষ্টে স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ দিয়া উক্ত তথ্য প্রকাশ করা বা না করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবে এবং যথাযথ ক্ষেত্রে কমিশন নিজেই উহা প্রকাশ করিতে পারে বা উহা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারে৷
সাধারণ অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ
৮৬৷ কমিশন স্বীয় উদ্যোগে বা যে কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদনে এমন যে কোন বিষয়ে বা কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অনুসন্ধান এবং প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারে যে বিষয়টি বা কর্মকাণ্ড এই আইন দ্বারা নিষিদ্ধ বা অনুমোদিত বা যাহা করা এই আইনের অনুসারে প্রয়োজনীয়৷
গণশুনানী ও উহার পদ্ধতি
৮৭৷ (১) কোন আবেদন বা অন্য কোনভাবে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, কমিশন যদি মনে করে যে, জনস্বার্থ রতগার জন্য উহার কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা প্রস্ত্মাবিত প্রয়োগের বিষয়ে বা অন্য বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্দেশ্যে গণশুনানীর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে কমিশন বিষয়টি সম্পর্কে গণশুনানীর ব্যবস্থা করিতে পারে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গণশুনানী অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কমিশন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি গণশুনানী কমিটি, অতঃপর এই অধ্যায়ে কমিটি বলিয়া উল্লেখিত, গঠন করিতে পারে; কমিশনের চেয়ারম্যান বা ভাইস-চেয়ারম্যান কমিটির সভাপতি এবং কমিশন কর্তৃক মনোনীত অন্য কোন কমিশনার বা কর্মকর্তা কমিটির অপর দুইজন সদস্য হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) গণশুনানীর ব্যাপারে অনুসরণীয় পদ্ধতি প্রবিধানে বর্ণিত না থাকিলে, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, কমিটির বিবেচনামত যথাযথ পদ্ধতিতে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কমিটি উহার সদস্যদের সংখ্যা গরিষ্ঠ ভোটে যে কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত করিবে৷
 
 
 
 
(৫) প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ পাওয়ার জন্য কমিটি তদন্তাধীন বিষয়ে লিখিতভাবে নির্দিষ্ট সাতগ্য বা যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের নির্দেশ দিতে পারে এবং যে বিষয়ে মৌখিক সাতগ্য বা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা যাইবে তাহাও নির্ধারণ করিতে পারে৷
 
 
 
 
(৬) কমিটি যথাযথ বিবেচনা করিলে উহার সম্মুখে সাতগ্য বা কোন তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তাহার মনোনীত একজন এডভোকেট বা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ বা প্রতিনিধকে উক্ত সাতগ্য বা তথ্য উপস্থাপনে বা সেই ব্যাপারে সহায়তা করার অনুমতি দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৭) গণশুনানীর কার্যধারা জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকিবে এবং উহাতে উপস্থাপিত সাতগ্য ও অন্যান্য তথ্য এবং কমিটি কর্তৃক বিবেচিত ঘটনাবলী গণশুনানীর কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করানোর জন্য কমিটির সভাপতি ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৮) তলব করা হইয়াছে এইরূপ যে কোন ব্যক্তি, বা তলব না পাওয়া সত্ত্বেও তদন্তাধীন বিষয়ে গৃহীতব্য সিদ্ধান্তের কারণে যাহার স্বার্থতগুণ্ন বা প্রভাবিত হইতে পারে যা উক্ত বিষয় সম্পর্কে ওয়াকেফহাল আছেন এইরূপ যে
 
 
কোন ব্যক্তি, নিজে বা তাহার ক্ষমতাপ্রদত্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে, কমিটির সম্মুখে হাজির হইয়া তাহার বক্তব্য পেশ করিতে পারেন৷
 
 
 
 
(৯) তদন্তকালে বা তদন্ত শেষে, কমিটি-
 
 
 
 
(ক) তদন্তাধীন বিষয় বা উহার অংশবিশেষ সম্পর্কে সংতিগপ্ত কারণ উল্লেখপূর্বক সিদ্ধান্ত দিতে পারে;
 
 
 
 
(খ) তদন্তাধীন কোন বিষয় বা উহার অংশবিশেষকে তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক বা ভিত্তিহীন বা জনস্বার্থে তত্সম্পর্কে গণশুনানী চালাইয়া যাওয়ার প্রয়োজন নাই বা উহা কাম্য নহে বলিয়া মনে করিলে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বা উহার সংশ্লিষ্ট অংশকে তদন্ত হইতে বাদ দিতে বা তত্সম্পর্কে শুনানী হইতে বিরত থাকিতে পারিবে;
 
 
 
 
(গ) উহার বিবেচনাধীন, যে কোন বিষয়ের উপর ত্বরিত এবং ন্যায্য শুনানী অনুষ্ঠান এবং তত্সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে সাধারণভাবে যে কোন নির্দেশ দিতে এবং অন্যবিধ যে কোন কাজ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(১০) উপ-ধারা (৯)(ক) এর অধীনে প্রদত্ত প্রধান প্রধান সিদ্ধান্ত বা উহার সারাংশ অন্ততঃ দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করিতে হইবে এবং গণশুনানীতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক আগ্রহী পক্ষকে প্রতিটি নির্দেশ ও সিদ্ধান্তের অনুলিপি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস প্রদান সাপেক্ষে সরবরাহ করিতে হইবে৷
গণশুনানীতে সাতগ্য প্রদান এবং সাক্ষী তলব
৮৮৷ (১) দেওয়ানী আদালতে কোন ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসাবে তলব বা তাহার সাতগ্য দেওয়ার ব্যাপারে Code of Civil Procedure, 1908 70[(Act V of 1908)] অনুযায়ী উক্ত আদালত যে ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারে, গণশুনানীতে কমিটির নিকট সাতগ্য প্রদানকারী বা বক্তব্য উপস্থাপনকারী সকল ব্যক্তি কর্তৃক সাতগ্য প্রদানের ক্ষেত্রে কমিটিও সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত Code এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
(২) ধারা ৮৭ এর অধীন অনুষ্ঠিত তদন্তের কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তি সাতগ্য প্রদানে বা দলিল উপস্থাপনে সক্ষম বলিয়া মনে করিলে কমিটি গণশুনানীতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ জারীর মাধ্যমে তাহাকে তলব করিতে এবং তাহার সাতগ্য গ্রহণ করিতে পারিবে, গণশুনানীতে হাজির হওয়ার জন্য তলবকৃত ব্যক্তিকে যুক্তিসংগত খরচও প্রদান করা যাইবে৷
 
 
(৩) গণশুনানীতে উপস্থিত হওয়ার জন্য তলবকৃত ব্যক্তি-
 
 
(ক) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে, তাহার নোটিশে উল্লেখিত সময়ে ও স্থানে হাজির হইতে ব্যর্থ হইলে;
 
 
(খ) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে, কমিটির কোন প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করিলে বা উক্ত প্রশ্নের উত্তরে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য বা বিবৃতি দিলে, ইচ্ছাকৃতভাবে তদন্তাধীন কোন বিষয়ের তথ্য গোপন করিলে, বা
 
 
(গ) তাহার দখলে থাকা কোন দলিল বা তথ্য কমিটির তলব মোতাবেক উপস্থাপন করিতে অস্বীকার করিলে বা যু্‌ক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে উপস্থাপনে ব্যর্থ হইলে,
 
 
তিনি কমিটির সিদ্ধান্ত উপেতগা করার কারণে আদালত অবমাননার অপরাধ সংঘটনের দায়ে দোষী হইবেন, এবং তদনুসারে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
(৪) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৩)-এ উল্লেখিত কোন অপরাধ করিয়াছেন মর্মে কমিটি মনে করিলে কমিটি উহার সভাপতির দস্তখতে তন্মর্মে একটি প্রতিবেদন হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করিতে পারিবে৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত অবমাননার অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে কমিটির সভাপতি কর্তৃক দস্তখতকৃত বলিয়া আপাতঃদৃষ্টে বিবেচিত (purported) প্রতিবেদনটি উক্ত কার্যধারায়-
 
 
(ক) সাতগ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য হইবে এবং বিপরীত প্রমাণিত না হইলে, উহা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রমাণের প্রয়োজন হইবে না; এবং
 
 
(খ) উহাতে বিধৃত ঘটনাবলী এবং তত্সম্পর্কে কমিটির সিদ্ধান্ত এবং সিদ্ধান্তের সত্যতা নির্দেশক প্রাথমিক (prima facie) সাতগ্য হইবে৷
 
 
(৬) Contempt of Courts Act, 1926 (XII of 1926) এর অধীন আদালত অবমাননার বিচার যে পদ্ধতিতে হয় এবং উহার জন্য যে দণ্ড আরোপ করা যায় সেই পদ্ধতিতে উপ-ধারা (৩) এ উল্লেখিত অবমাননার বিচার হাইকোর্ট বিভাগে অনুষ্ঠিত হইবে এবং উপরোক্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর উক্ত Act এ উল্লেখিত দণ্ড আরোপ করা যাইবে৷

ত্রয়োদশ অধ্যায়

ক্রান্তিকালীন বিধান অধিকার ও দায়-দায়িত্ব

Act XIII of 1885 এবং XVII of 1933 এর অধীন কতিপয় বিষয় কমিশনে ন্যস্ত
৮৯৷ এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে Telegraph Act, 1885 (XIII of 1885) এবং Wireless Telegraphy Act, 1933 (XVII of 1933) এর অধীনে সরকার যদি এমন কোন লাইসেন্স চুক্তি সম্পাদন করিয়া থাকে বা এমন লাইসেন্স, সনদ বা পারমিট ইস্যু করিয়া থাকে যাহা ইস্যু করার ব্যাপারে এই আইন দ্বারা কমিশনকে ক্ষমতা প্রদান করা হইয়াছে, তাহা হইলে-
 
 
 
 
(ক) উক্ত লাইসেন্স, সনদ বা পারমিট, ধারা ৯০ এর বিধান সাপেক্ষে, এইরূপে বলবত্ থাকিবে যেন উহা কমিশন কর্তৃক ইস্যু করা হইয়াছে;
 
 
 
 
(খ) উক্ত লাইসেন্স-চুক্তি, ধারা ৯০ এর বিধান সাপেক্ষে, এইরূপে বলবত্ থাকিবে যেন উহা কমিশনের সহিত সম্পাদিত হইয়াছে;
 
 
(গ) উক্ত লাইসেন্স বা লাইসেন্স-চুক্তি বা সনদ বা পারমিটের ব্যাপারে কোন আদেশ, নির্দেশ, নির্দেশনা, অনুমতি বা সম্মতি প্রদান করা হইয়া থাকিলে, উহা এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, এইরূপে বলবত্ থাকিবে যেন উক্ত আদেশ, নির্দেশ, নির্দেশনা, অনুমতি বা সম্মতি কমিশন কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদত্ত হইয়াছে;
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত লাইসেন্স বা লাইসেন্স-চুক্তি বা সনদ বা পারমিটের ব্যাপারে সরকার কর্তৃক বা সরকারের বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী মামলা সূচিত হইয়া থাকিলে উক্ত মামলায় সরকারের পরিবর্তে কমিশনের নাম প্রতিস্থাপিত বলিয়া গণ্য হইবে৷
বিদ্যমান লাইসেন্স ও অন্যান্য কর্তৃত্ব সীমিত মেয়াদে অব্যাহত
৯০৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি, এই আইন প্রবর্তনের সময়, কোন বেতার যন্ত্রপাতি বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, রক্ষণাবেক্ষণ বা উহা পরিচালনা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য কোন লাইসেন্স, লাইসেন্স-চুক্তি, কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ বা পারমিট, অতঃপর এই ধারায় উক্ত দলিল বলিয়া উল্লেখিত অনুযায়ী অধিকারী হন, তাহা হইলে, উক্ত দলিলে ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, তিনি উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে অনধিক ১২ (বার) মাস পর্যন্ত উক্ত দলিলে অনুমোদিত কার্যাবলী সম্পাদন করিতে পারিবেন এবং তিনি উক্ত দলিল এই আইনের অধীন ধারণ করিতেছেন বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
(২) উক্ত দলিলের ধারক, উক্ত দলিলের অধীন কার্যাবলী অব্যাহত রাখিতে চাহিলে, এই আইন প্রবর্তনের পর তবে তিন মাসের মধ্যে বা উক্ত দলিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে, যাহা আগে হয়, তাহার দলিল সম্পর্কে উপ-ধারা (৩) এর অধীন কমিশনের আদেশ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে উক্ত দলিলের মূল কপি এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদিসহ কমিশনের নিকট আবেদন করিবেন৷
 
 
(৩) উক্ত দলিল এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পরীতগার পর কমিশন যদি সন্তুষ্ট হয় যে, উহা ইস্যুকরণ বা সম্পাদনের সময় বলবত্ আইন, বিধি বা প্রবিধান অনুসারে যথাযথভাবে ইস্যু বা সম্পাদন করা হইয়াছিল, এবং উহার কোন শর্ত বা বিষয়বস্তু এই আইনের কোন বিধানের সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে, তাহা হইলে, উক্ত আবেদন প্রাপ্তির ৯ (নয়) মাসের মধ্যে কমিশন-
 
 
(ক) এই মর্মে একটি আদেশ জারী করিবে যে, উক্ত দলিলের ধারক এই আইনের অধীনে প্রদেয় ক্ষেত্রমত লাইসেন্স, সনদ বা পারমিটের ধারক; এবং এতদুদ্দেশ্যে লাইসেন্স-চুক্তি একটি 71[লাইসেন্স হিসাবে গণ্য হইবে];
 
 
(খ) উক্ত দলিলের কোন শর্ত বা বিষয় এই আইনের সহিত অসংগতিপূর্ণ বা উহাতে কোন নতুন শর্ত বা বিষয় সংযোজনের প্রয়োজন বলিয়া মনে করিলে, উহাতে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে পারিবে এবং এই সংশোধন সাপেক্ষে, উক্ত দলিল বলবত্ থাকিবে; এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন সংশোধনের বিষয়টি উক্ত আদেশে বা পরবর্তী কোন আদেশে উল্লেখ করিবে৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীনে দাখিলকৃত আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উহার অধীনে অনুমোদিত কর্মকাণ্ড চালানো যাইবে৷
 
 
(৫) উক্ত দলিল সম্পর্কে এই ধারা অনুযায়ী আবেদন না করা হইলে বা কোন আবেদনের বৈধতা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হইলে কমিশন সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক এই মর্মে একটি আদেশ জারী করিবে যে, আদেশে উল্লেখিত তারিখ হইতে উক্ত দলিল আর কার্যকর থাকিবে না৷
 
 
(৬) এই ধারার অধীনে উক্ত দলিল সম্পর্কে কমিশন কর্তৃক জারীকৃত আদেশ বা উক্ত দলিলের কোন শর্ত বা কোন বিষয়ে কৃত কোন সংশোধন এর বৈধতা বা যথার্থতা সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
আইন প্রবর্তনের পূর্বে বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি সীমিত মেয়াদে অব্যাহত
৯১৷ (১) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে কোন ব্যক্তি কোন বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বৈধভাবে ব্যবহারের অধিকারী হইয়া থাকিলে তিনি এই আইন প্রবর্তনের পর ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে উক্ত ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের জন্য কমিশনের নিকট আবেদন করিবেন; এবং কমিশন, উক্ত আবেদন পরীতগা ও প্রয়োজনীয় সুপারিশের জন্য, স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত সকল আবেদন এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিবেচনাক্রমে উক্ত কমিটি আবেদনকারীর বরাবরে পূর্বের বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বা উহার বিবেচনামত যথাযথ অন্য কোন বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বা পূর্বের তুলনায় সীমিত বা বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের জন্য বা অন্য কোন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনের নিকট সুপারিশ করিবে এবং কমিশন তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) কমিশন এই ধারার অধীন প্রাপ্ত সকল আবেদন এই আইন প্রবর্তনের অনধিক ১২ (বার) মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে; এবং এইরূপ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত আবেদনকারীগণ পূর্বের বরাদ্দকৃত বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করিতে পারিবেন, যদি না অন্য কোন কারণে কমিশন উহা বাতিল বা পরিবর্তন করে৷
আইন প্রবর্তন-পূর্ব ট্যারিফ অনুমোদন
৯২৷ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান সকল ট্যারিফ, কল-চার্জ, এবং অন্যান্য চার্জ, উক্ত প্রবর্তনের পর এই আইনের অধীনে পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, এইরূপে কার্যকর থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীনে নির্ধারিত হইয়াছে৷
বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড লাইসেন্সধারী বলিয়া গণ্য
৯৩৷ এই আইনের অন্যান্য বিধানে বা Telegraph and Telephone Board Ordinance, 1979 (XII of 1976)-এ ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের সংগে সংগে উক্ত অর্ডিন্যান্সের অধীন স্থাপিত বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ এবং টেলিফোন বোর্ড (বিটিটিবি) পরিচালনকারীর মর্যাদা লাভ করিবে এবং এই আইনের অধীনে অন্যান্য পরিচালনকারীর ক্ষেত্রে যে শর্তাবলী প্রযোজ্য হয় উক্ত বোর্ডের ক্ষেত্রেও উক্ত শর্তাবলী যতদূর সম্ভব অনুরূপভাবে প্রযোজ্য হইবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন প্রবর্তনের ১ (এক) বত্সরের মধ্যে বিটিটিবি একজন পরিচালনকারী হিসাবে লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য দরখাস্ত করিবে:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, বিটিটিবি তত্সম্পর্কিত ব্যবস্থাদি চূড়ান্তভাবে পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত, তবে অনধিক ৩ (তিন) বত্সরের জন্য, উহার প্রদত্ত সেবা বাবদ প্রযোজ্য ট্যারিফ, কল-চার্জ, অন্যান্য চার্জ, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে যেভাবে প্রযোজ্য ছিল সেইভাবে প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 

চর্তুদশ অধ্যায়

বিবিধ

জনসেবক
৯৪৷ কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য কমিশনার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পরামর্শক এবং কমিশনের ক্ষমতা প্রয়োগের বা দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য কমিশনের নিকট হইতে লিখিতভাবে ক্ষমতা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি Penal Code (Act XLV of 1860) এর Section 21 এ বর্ণিত অর্থে Public Servant বা জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবেন৷
দায় মুক্তি
৯৫৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধান বা প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ প্রদানের জন্য বা উহার অধীনে সরল বিশ্বাসে কৃত বা কৃত বলিয়া আপাতঃ দৃষ্টে বিবেচনা করা যায় এমন কিছুর কারণে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি মন্ত্রী বা সরকারের কোন কর্মচারী অথবা কমিশনের চেয়ারম্যান বা অন্য কোন কমিশনার বা কর্মকর্তা ও কর্মচারী বা পরামর্শকের বিরুদ্ধে কোন ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করিতে পারিবেন না৷
বেতার যন্ত্রপাতি, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি অধিগ্রহণ
৯৬৷ (১) সরকার জনস্বার্থে কোন বেতার যন্ত্রপাতি, বা উহা ব্যবহারের স্থান, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং উহাদিগকে চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু দখলে নিয়া যে কোন মেয়াদে উক্ত দখল অব্যাহত রাখিতে এবং উক্ত মেয়াদে যন্ত্রপাতি বা ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট পরিচালনকারীকে ও তাহার কর্মচারীগণকে সার্বক্ষণিকভাবে বা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিয়োজিত রাখিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দখল গৃহীত বেতার যন্ত্রপাতি বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মালিক বা নিয়ন্ত্রক তাহার দখল সরকারের অনুকূলে পরিত্যাগ করিবেন এবং উক্ত উপ-ধারায় উল্লেখিত পরিচালনকারী ও কর্মচারীগণ বিশ্বস্ততা ও যথাযথ যত্নসহকারে সরকারের যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশমত কাজ করিবেন এবং উক্ত কর্মকর্তার নির্দেশিত সংকেত, কল, বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে সরকার কর্তৃক দখল গৃহীত বেতার যন্ত্রপাতি বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মালিক বা নিয়ন্ত্রককে সরকার যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিবে, এবং প্রদেয় ক্ষতিপূরণের পরিমাণ সম্পর্কে উভয়পক্ষ এক মত না হইলে
 
 
সরকার বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আদালতে প্রেরণ করিবে এবং জেলাজজ নিজে বা তাহার অধীনস্থ কোন অতিরিক্ত জেলাজজের দ্বারা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করিতে পারিবেন এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উক্ত বিচারক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি এবং বিধির অবর্তমানে তাহার বিবেচনামত উপযুক্ত যে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করিয়া বিষয়টি নিষ্পত্তি করিবেন এবং এতদবিষয়ে তাহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
জরুরী পরিস্থিততে সরকারের অগ্রাধিকার
৯৭৷ (১) যুদ্ধ চলাকালে বা কোন বিদেশী শক্তি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করিলে বা আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ বা নৈরাজ্য দেখা দিলে বা অন্য কোন কারণে বাংলাদেশের প্রতিরতগা বা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বা অন্যান্য জরুরী রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন দেখা দিলে, যে কোন বেতার যন্ত্রপাতি বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন পরিচালনকারী বা অন্য যে কোন ব্যবহারকারীর তুলনায় সরকারের অগ্রাধিকার থাকিবে৷
 
 
 
 
72[(২) এই আইন বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রপতি জরুরী অবস্থা ঘোষণা করিলে অথবা সরকারের বিবেচনায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার এই আইনের অধীন প্রদত্ত বা ইস্যুকৃত সকল বা যে কোন সনদ, আদেশ বা লাইসেন্সের কার্যকারিতা অথবা যে কোন পরিচালনাকারী কর্তৃক প্রদত্ত টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান নির্ধারিত সময়ের জন্য স্থগিত বা সংশোধন করিতে পারিবে৷]
রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে বিশেষ বিধান
73[৯৭ক৷ (১) এই আইন বা অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে যে কোন টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারকারীর প্রেরিত বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, রেকর্ড ধারণ বা তত্সম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য সরকার সময় সময় নির্ধারিত সময়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোন কর্মকর্তাকে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্ত কার্যক্রমে সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং পরিচালনাকারী উক্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “সরকার” বলিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বুঝাইবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে এই ধারার বিধান প্রয়োগযোগ্য হইবে৷
সাতগ্যমূল্য
৯৭খ৷ সাতগ্য আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ১নং আইন) বা অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৯৭ক এর অধীন সংগৃহীত কোন তথ্য বিচার কার্যক্রমে সাতগ্য হিসাবে গ্রহণযো্য হইবে৷
ধারা ৯৭ক এর বিধান লঙ্গনের দণ্ড
৯৭গ৷ ধারা ৯৭ক মোতাবেক গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা রতগার দায়িত্বে নিয়োজিত কোন কর্মকর্তা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইয়া কোন আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিলে এবং উক্ত আদেশ যদি কোন ব্যক্তি লঙ্ঘন করেন তাহা হইলে তিনি-
 
 
 
 
(ক) প্রথমবার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক তিন মাসের কারাদণ্ড বা পাঁচ লক্ষ টাকা হইতে দশ লক্ষ টাকার যে কোন পরিমাণের অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন;
 
 
 
 
(খ) দ্বিতীয়বার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে অনধিক এক বছরের কারাদন্ড বা দশ লক্ষ টাকা হইতে বিশ লক্ষ টাকার যে কোন পরিমাণের অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন;
 
 
 
 
(গ) তৃতীয়বার এবং পরবর্তী প্রতিবার অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে তিন বছরের কারাদণ্ড বা পঁচিশ লক্ষ টাকা হইতে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার যে কোন পরিমাণের অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্ত অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন, এবং আদালত যথার্থ বিবেচনা করিলে উক্ত ব্যক্তির নামীয় লাইসেন্স বাতিলের জন্য কমিশনকে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবে৷]
বিধি প্রণয়নে সরকারের ক্ষমতা
৯৮৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নে কমিশনের ক্ষমতা
৯৯।(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে 74[সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে] কমিশন, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও সরকার প্রণীত বিধির সহিত সংগতিপূর্ণ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
(২) প্রবিধান সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার ৭ (সাত) দিনের মধ্যে কমিশন উক্ত প্রবিধানের অনুলিপি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবে এবং মন্ত্রণালয় উক্ত প্রবিধান এই আইন ও বিধির সহিত সংগতিপূর্ণ কিনা তাহা পরীতগা করিয়া প্রয়োজনীয় সংশোধনের নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং কমিশন তদনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
প্রকল্পের বিলুপ্তি ইত্যাদি
১০০৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন “বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরী কমিশন (বিটিআরসি) স্থাপন” শীর্ষক কারিগরী সহায়তা প্রকল্প বা কমিশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে সরকার কর্তৃক গৃহীত অন্য কোন প্রকল্প, অতঃপর উক্ত প্রকল্প বলিয়া উল্লেখিত,-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে বিলুপ্ত হইবে; এবং
 
 
(খ) বিলুপ্তির সংগে সংগে উক্ত প্রকল্পের আওতাধীন সরকারের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা এবং সুবিধাদি কমিশনে ন্যস্ত হইবে; এবং
 
 
 
 
(গ) উক্ত প্রকল্পের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত বেতন, ভাতা ও অন্যান্য শর্তাধীনে কমিশনের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী প্রকল্প বিলুপ্তির ৩ (তিন) মাসের মধ্যে কমিশনের চাকুরীতে না থাকিবার ইচ্ছা ব্যক্ত করিলে তিনি উক্তরূপ ইচ্ছা ব্যক্ত করিবার তারিখ হইতে কমিশনের চাকুরীতে নিয়োজিত বলিয়া গণ্য হইবেন না৷
জটিলতা নিরসনে সরকারের ক্ষমতা
১০১৷ কমিশনের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে এই আইনের বিধানে অস্পষ্টতার কারণে উহা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে সরকার, অন্যান্য বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া গেজেটে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা উক্ত বিধানের স্পষ্টীকরণ বা ব্যাখ্যা প্রদান করতঃ কমিশনের করণীয় বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতে পারিবে৷
আইনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ
১০২৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার যথাশীঘ্র সম্ভব, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশ করিবে, এবং এই অনুবাদ অনুমোদিত ইংরেজী পাঠরূপে গণ্য হইবে, তবে এই আইন ও উক্ত পাঠের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে এই আইন কার্যকর হইবে৷
 
 

  • 1
    “টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ” শব্দগুলী “টেলিযোগাযোগ” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    “টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ” শব্দগুলী “টেলিযোগাযোগ” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    “সরকার” শব্দটি “কমিশন” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    দফা (২ক) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১ নং আইন) এর ৪(গ) ধারা বলে সন্নিবেশিত।
  • 5
    দফা (২১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১ নং আইন) এর ৪(ঘ) ধারা বলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    দফা (২৩ক) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১ নং আইন) এর ৪(ঙ) ধারা বলে সন্নিবেশিত।
  • 7
    দফা (২৯) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১ নং আইন) এর ৪(চ) ধারা বলে প্রতিস্থাপিত।
  • 8
    উপ-ধারা(৪) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 9
    ধারা ২১(ক) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৭ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 10
    "১২০ (একশত বিশ)" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দ "৯০ (নব্বই)" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 11
    "মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ" শব্দগুলি "মন্ত্রীর নিকট পেশ" শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 12
    দফা(ঘ) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    দফা (জ) এর প্রান্তস্থিত "দাড়ি" চিহ্ন্ টির পরিবর্তে "সেমিকোলন" চিহ্ন প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর নিম্নরূপ উপ-দফা (ঝ) টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১০ ধারাবলে সংযোজিত।
  • 14
    উপ-ধারা (২) এর দফা "(ণ)" দফা "(ন)" এর পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 15
    ধারা ৩১ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 16
    ধারা ৩৪ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 17
    "৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "১০ (দশ) লক্ষ টাকা" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 18
    উপান্তটীকা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১ নং আইন) এর ১৪ ধারা বলে প্রতিস্থাপিত।
  • 19
    উপ-ধারা (১) ও (২) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন)এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 20
    উপ-ধারা (৮) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 21
    ধারা ৩৭ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 22
    ধারা ৩৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 23
    ধারা ৩৯ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 24
    ধারা ৪০ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 25
    ধারা ৪১ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ১৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 26
    ধারা ৪৬ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 27
    “,বিধি” কমা ও শব্দটি "এই আইন" শব্দসমূহের পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২১ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 28
    ধারা ৪৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 29
    ধারা ৪৯ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 30
    "অথবা এই আইনের ধারা ২৯(ঘ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বৈষম্যমূলক কোন ব্যবস্থা নিবেন না" শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনী্সমূহ "অযৌক্তিক আনুকূল্য প্রদর্শন করিবেন না" শব্দসমূহের পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৩ ধারাবলে সংযোজিত।
  • 31
    উপ-ধারা (৩) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন)এর ২৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 32
    "আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী," শব্দগুলি ও কমা "কোস্ট গার্ড," শব্দগুলি ও কমার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 33
    "৩০০ (তিনশত) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "১০ (দশ) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 34
    "১ (এক) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "২০ (কুড়ি) হাজার" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 35
    উপ-ধারা(২) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 36
    "৫০ (পঞ্চাশ) কোটি " সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৫ (পাঁচ) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 37
    ধারা ৫৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 38
    উপ-ধারা(১) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ২৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 39
    "জুডিসিয়াল" শব্দটি "প্রম শ্রেণীর" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 40
    "১০০ (একশত) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৩ (তিন) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 41
    দফা(ক) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 42
    উপ-ধারা(৩) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 43
    "অপরাধের ধরন ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করিয়া জরিমানা আরোপ করিবে" শব্দগুলি "প্রশাসনিক জরিমানা আরোপনীয় সেই সকল ক্ষেত্রে কমিশন" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 44
    "সময়ের মধ্যে" শব্দগুলি "নোটিশে উল্লিখিত" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 45
    "নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে" শব্দগুলি "জরিমানা কমানোর জন্য" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 46
    "জন্য নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কমিশন সমীপে" শব্দগুলি "দায় হইতে অব্যাহতির" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 47
    "(৩)" সংখ্যা ও বন্ধনী "(২)" সংখ্যা ও বন্ধনীর পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 48
    "৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 49
    ধারা ৬৬ক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৫ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 50
    "১০ (দশ) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৩ (তিন) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 51
    "১ (এক) কোটি" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৫ (পাঁচ) লক্ষ" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 52
    ধারা ৬৯ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 53
    "১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "২৫ (হাজার) টাকা অর্থদন্ডে এবং উহা অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৩৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 54
    "২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) কোটি টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৬ (ছয়) মাস করাদন্ডে বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 55
    কোলনটি (:) দাঁড়ির (৷) পরিবর্তে প্রতিস্থাপিত এবং অতঃপর শর্তাংশটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৭ নং আইন) এর ২ ধারাবলে সংযোজিত৷
  • 56
    "৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ১০০ (একশত) কোটি টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ৭ (সাত) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 57
    “টেলিযোগাযোগ বা বেতার যোগাযোগ সংক্রান্ত কোন সেবা গ্রহণের” শব্দগুলি "কোন সেবা গ্রহণের" শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 58
    “অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে এবং এই অপরাধ অব্যাহত থাকিলে এই অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অনধিক ১(এক) কোটি টাকা” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা উভয় দন্ডে এবং এই অপরাধ অব্যাহত থাকিলে এই অব্যাহত মেয়াদের প্রথম দিনের পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য অনধিক ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুরির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 59
    “৩(তিন) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১০ (দশ) কোটি টাকা সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "২(দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা" সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 60
    “অনধিক ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডেসংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "অনধিক ৩(তিন) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে বা অনধিক (তিন) বৎসর কারাদন্ডে" শব্দগুলি, সংখ্যাগুলির বন্ধনীগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 61
    “অনধিক ৫(পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৩০০(তিনশত) কোটি টাকা” সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দগুলি "অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদন্ডে বা অনধিক ২(দুই) লক্ষ টাকা" শব্দগুলি, সংখ্যাগুলি ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 62
    “কোটি” শব্দটি “লক্ষ” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 63
    “প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট” শব্দগুলি “সেশন” শব্দটির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 64
    ধারা ৭৭ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 65
    ধারা ৭৮ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 66
    ধারা ৮০ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 67
    ধারা ৮২ক বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৮ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 68
    “উপযুক্ত দেওয়ানী” শব্দগুলী “সাব জজ” শব্দের পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৪৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 69
    দফা(খ) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৫০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 70
    “(Act V of 1908)" বন্ধনী, শব্দগুলি ও সংখ্যা (Act of 1908)বন্ধনী, শব্দগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৫১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 71
    “লাইসেন্স হিসাবে গণ্য হইবে” শব্দগুলি “লাইসেন্স গণ্য হইবে” শব্দগুলির পরিবর্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৫২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 72
    উপ-ধারা (২) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৭ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত৷
  • 73
    ধারা ৯৭ক, ৯৭খ এবং ৯৭গ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৭ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সন্নিবেশিত৷
  • 74
    “সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে” শব্দগুলি "এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে" শব্দগুলির পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪১নং আইন) এর ৫৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs