প্রিন্ট ভিউ
প্রথম অধ্যায়
প্রাথমিক বিষয়াদি
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের প্রয়োজন ভিন্নরূপ না হইলে, এই আইনে,-
(১) “আগ্রহী পক্ষ” অর্থ বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ উন্নয়ন বা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনা বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের লাইসেন্সের জন্য আবেদনকারী বা লাইসেন্সের আওতায় গৃহীতব্য অন্য কোন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগ্রহী কোন ব্যক্তি;
(২) “আন্তঃসংযোগ (Interconnection)” অর্থ একাধিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের দৃশ্য (physical) বা অদৃশ্য বা যৌক্তিক (logical) সংযোগ যাহার ফলে এইরূপ একটি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণ তাহাদের নিজেদের মধ্যে বা অন্য কোন নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণের সহিত যোগাযোগ করিতে বা উক্ত অন্য নেটওয়ার্কের সেবা পাওয়ার সুযোগ লাভ করিতে পারে;
(৩) “কমিশন” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ 2[টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ] কমিশন;
(৪) “কমিশনার” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান বা অন্য কোন কমিশনার;
(৫) “কর্মচারী” বলিতে কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত;
(৬) “ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতা” অর্থ নির্গমন (emission), বিকিরণ (radiation) বা আবেশের (induction) ফলে সৃষ্ট তড়িত্-চুম্বকীয় শক্তির এমন বিরূপ প্রভাব যাহা-
(ক) বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যবহার বা কার্যক্ষমতাকে বিপন্ন করে; অথবা
(খ) বেতার যন্ত্রপাতির ব্যবহার বা কার্যক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস বা বাধাগ্রস্ত করে, অথবা উক্ত ব্যবহারে বা কার্যক্ষমতায় বিচ্যুতি ঘটায়;
(৭) “কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ” অর্থ ৫৭ ধারার অধীনে কমিশন প্রদত্ত কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ;
(৮) “গ্রাহক” অর্থ যে ব্যক্তি কোন পরিচালনাকারীর নিকট হইতে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণ করেন;
(৯) “চেয়ারম্যান” অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান;
(১০) “চার্জ” অর্থ এই আইনের অধীনে কমিশন বা পরিচালনাকারী প্রদত্ত সেবা বাবদ প্রদেয় চার্জ;
(১১) “টেলিযোগাযোগ” অর্থ কোন কথা (speech), শব্দ (sound), চিহ্ন, সংকেত, লেখা, দৃশ্যমান প্রতিকৃতি বা অন্যবিধ যে কোন ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক অভিব্যক্তিকে তড়িৎ, চুম্বক-শক্তি, তড়িৎ-চুম্বকীয় শক্তি, তড়িৎ-রাসায়নিক বা তড়িৎযান্ত্রিক শক্তি ব্যবহারক্রমে তার, নল, বেতার অপটিক্যাল বা অন্য কোন তড়িৎ-চুম্বকীয় বা তড়িৎ-রাসায়নিক বা তড়িৎ-যান্ত্রিক বা কৃত্রিম উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রেরণ ও গ্রহণ;
(১২) “টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি” অর্থ টেলিযোগাযোগ অভিব্যক্তিটির সংজ্ঞার আওতায় পড়ে এইরূপ কোন কিছুকে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে প্রেরণ বা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত যে কোন যন্ত্রপাতি;
(১৩) “টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা” অর্থ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতির সমন্বিত রূপ (যেমন সুইচিং ব্যবস্থাদি, প্রেরণ যন্ত্রপাতি, প্রান্তিক যন্ত্রপাতি, কৃত্রিম উপগ্রহ ইত্যাদি), এই সকল যন্ত্রপাতি দৃশ্যতঃ পরস্পর সংযুক্ত থাকুক বা না থাকুক বা উহারা একযোগে তথ্য বা বার্তা প্রেরণের কাজে ব্যবহৃত হউক বা না হউক;
(১৪) “টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক” অর্থ এমন একগুচ্ছ সংযোগস্থল (node) এবং সংযোগ লাইন (link) এর সমাহার যাহা দুই বা ততোধিক অবস্থানের মধ্যে টেলিযোগাযোগ স্থাপন করে;
(১৫) “টেলিযোগাযোগ সেবা” অর্থ নিম্নবর্ণিত যে কোন সেবা:-
(ক) টেলিযোগাযোগ অভিব্যক্তিটির সংজ্ঞার আওতায় পড়ে এমন কোন কিছুকে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সাহায্যে প্রেরণ বা গ্রহণ;
(খ) টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারিত সেবা (value added service যেমন, ফ্যাক্স, ভয়েস মেইল, পেজিং সার্ভিস);
(গ) ইন্টারনেট সেবা;
(ঘ) উপরে (ক) (খ) ও (গ) তে বর্ণিত সেবা ব্যবহারের সুবিধার্থে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কিত অবগতিমূলক বা নির্দেশনামূলক তথ্যাদি সরবরাহ করা;
(ঙ) টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সহিত সংযুক্ত বা সংযোজিতব্য যন্ত্রপাতি স্থাপন বা রক্ষণাবেক্ষণ, অথবা উক্ত যন্ত্রপাতির সমন্বয়সাধন, পরিবর্তন, মেরামত, স্থান পরিবর্তন বা স্থলাভিষিক্তকরণ সংক্রান্ত সেবা;
(১৬) “ট্যারিফ” অর্থ এই আইনের ষষ্ঠ অধ্যায়ের অধীনে 3[সরকার] কর্তৃক অনুমোদিত বা ধারা ৯২ তে উল্লেখিত ট্যারিফ;
(১৭) “প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি” অর্থ বেতার যন্ত্রপাতি ব্যতীত অন্য এমন যন্ত্রপাতি বা কৌশল যাহা বেতার যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বা করিতে সক্ষম;
(১৮) “পরিদর্শক” অর্থ ধারা ৬০ এর অধীনে পরিদর্শক হিসাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;
(১৯) “পরিচালনাকারী (Operator)” অর্থ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন বা পরিচালনের জন্য, বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য বা এই ধরনের একাধিক কাজের সমন্বিত ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য, লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি;
(২০) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত প্রবিধান;
4[ (২০ক) "প্রশাসনিক জরিমানা" অর্থ কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত এইরূপ জরিমানা যাহা আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নহে বা আরোপিত নহে;]
5[২১। ‘‘পারমিট’’ অর্থ কোন পরিচালনাকারীর লাইসেন্সকৃত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বা সেবা প্রদানের কোন স্থাপনা, যন্ত্রপাতি বা সুবিধা ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ফিস বা অন্য কোন ধরনের মূল্য বা সুবিধা প্রাপ্তির বিনিময়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে ব্যবহারের জন্য কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত অনুমতি;’’;]
(২২) “প্রান্তিক যন্ত্রপাতি” অর্থ এমন টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি যাহা টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবার গ্রহীতা কর্তৃক বার্তা বা তথ্য প্রেরণ বা গ্রহণের জন্য ব্যবহৃত হয়;
(২৩) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);
6[(২৩ক) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;]
(২৪) “ব্যক্তি” শব্দের আওতায় কোন প্রাকৃতিক ব্যক্তি স্বত্বাবিশিষ্ট একক ব্যক্তি (individual), অংশীদারী কারবার, সমিতি, কোম্পানী, কর্পোরেশন, সমবায় সমিতি, এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থা (statutory body) অন্তর্ভুক্ত;
(২৫) “বেতার যন্ত্রপাতি” অর্থ বেতার (radio apparatus) যোগাযোগে ব্যবহারের উপযুক্ত কৌশল বা এইরূপ একাধিক কৌশলের সমন্বয়;
(২৬) “বেতার যোগাযোগ বা রেডিও (radio communication or radio)” অর্থ কোন কৃত্রিম দিক নির্দেশক ব্যবস্থা ব্যতিরেকে ৩০০০ গিগাহার্জ (GHz) অপেক্ষা কম ফ্রিকোয়েন্সির বেতার তরঙ্গের (radio wave) সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের উপরে কোন চিহ্ন, সংকেত, ছবি, প্রতিকৃতি, প্রতীক বা শব্দের নির্গমন, প্রেরণ বা গ্রহণ;
(২৭) “মন্ত্রী” অর্থ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;
(২৮) “মন্ত্রণালয়” অর্থ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ;
7[(২৯) “লাইসেন্স” অর্থ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন, পরিচালন বা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান অথবা উক্ত ব্যবস্থা, সেবা পরিচালন বা সংরক্ষণের জন্য অথবা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কমিশন কর্তৃক এই আইনের অধীন ইস্যুকৃত লাইসেন্স;]
(৩০) “সম্প্রচার” অর্থ বেতার তরঙ্গ, কৃত্রিম উপগ্রহ, তার (cable) বা অপটিক্যাল ফাইবার এর সাহায্যে এমন বার্তা, তথ্য, সংকেত, শব্দ, প্রতিকৃতি বা বুদ্ধিভিত্তিক অভিব্যক্তি প্রেরণ যাহা জনসাধারণ কর্তৃক গ্রহণের জন্য প্রেরিত, তবে ইন্টারনেট যোগাযোগের মাধ্যমে কোন কিছু প্রেরণকে সম্প্রচার বলিয়া গণ্য করা যাইবে না;
(৩১) “স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি” অর্থ এই আইনের ৫৬ ধারার অধীন গঠিত স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা কমিটি;
(৩২) “সার্বজনীন সেবা” অর্থ বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অবস্থানরত বা যে কোন পেশায় কার্যরত প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিককে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান৷
দ্বিতীয় অধ্যায়
কমিশন প্রতিষ্ঠা ও গঠন
তৃতীয় অধ্যায়
কমিশনের আথির্ক বিষয়াদি
কমিশনের আথির্ক বিষয়াদি
চতুর্থ অধ্যায়
সাধারণ উদ্দেশ্য, ক্ষমতা ও দায়িত্ব
পঞ্চম অধ্যায়
টেলিযোগাযোগ ইত্যাদির লাইসেন্স
৩৬।19[(১) ধারা ৩৫(১) এর দফা (ক) হইতে (গ) তে উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদনের লক্ষ্যে লাইসেন্সের জন্য কমিশনের নিকট আবেদন করিতে হইবে এবং কমিশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে,লাইসেন্স প্রদান করিতে পারিবে।
(২) কমিশন উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন সম্পর্কে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলি বিবেচনাপূর্বক সরকারের নিকট লাইসেন্স মঞ্জুরীর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করিবে এবং সরকার উক্ত প্রতিবেদন, এই আইন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক লাইসেন্স মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করিবার সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে, যথা :-
(ক) আবেদনকারী উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত কারণে অযোগ্য কি না;
(খ) আবেদনকৃত কার্যাবলী পরিচালনার জন্য তাহার প্রয়োজনীয় আর্থিক সংগতি আছে কি না, এবং প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের স্থান এবং দক্ষ জনবল প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে কি না;
(গ) আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুকরণ, এই আইনের ধারা ২৯ এ বর্ণিত কমিশনের সাধারণ উদ্দেশ্যের সহিত সংগতিপূর্ণ কি না;
(ঘ) আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যু করা হইলে উহার দ্বারা অনুমোদিত কর্মকান্ড এবং শর্তাবলী বিদ্যমান লাইসেন্সধারীগণের তুলনায় বৈষম্যমূলক হইবে কি না এবং উহার ফলে প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটিবে কি না;
(ঙ) আবেদনকৃত লাইসেন্স ইস্যুকরণ জনস্বার্থ রক্ষার জন্য কতটুকু সহায়ক হইবে।]
(৩) কোন আবেদনকারী লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য হইবেন, যদি-
(ক) তিনি একক ব্যক্তি (individual) হন এবং-
(অ) বিকৃত মস্তিষ্ক হন;
(আ) আদালত কর্তৃক এই আইন ব্যতীত অন্য কোন আইনের অধীন দুই বৎসর বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে;
(ই) এই আইনের অধীনে যে কোন অপরাধ সংঘটনের দায়ে দণ্ডিত হইয়া থাকেন এবং উক্ত দণ্ড হইতে মুক্তি লাভের পর ৫ (পাঁচ) বৎসর অতিক্রান্ত না হইয়া থাকে;
(ঈ) আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন এবং দেউলিয়াত্বের দায় হইতে অব্যাহতি লাভ করিয়া না থাকেন;
(উ) কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপী হিসাবে উক্ত ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান বা বাংলাদেশ ব্যাংক বা আদালত কর্তৃক চিহ্নিত বা ঘোষিত হন; বা
(ঊ) বিগত ৫ (পাঁচ) বত্সরের মধ্যে তাহার লাইসেন্স কমিশন বাতিল করিয়া থাকে;
(খ) উক্ত আবেদনকারী হয় কোন কোম্পানী বা কর্পোরেশন বা অংশীদারী কারবার বা সমিতি বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান এবং
(অ) উহার মালিক বা যে কোন পরিচালক বা অংশীদারের ক্ষেত্রে দফা (ক) এর (অ) হইতে (উ) এর ক্ষেত্রে উপ-দফা প্রযোজ্য হয়, বা
(আ) উহার ক্ষেত্রে উক্ত দফার উপ-দফা (ঊ) প্রযোজ্য হয়।
(৪) এই ধারার অধীন-
(ক) লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়নের জন্য আবেদনকারী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস প্রদান করিবেন;
(খ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সে উহার মেয়াদ, মেয়াদান্তে নবায়নের প্রয়োজনীয়তা ও লাইসেন্সের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলী উল্লেখিত থাকিবে;
(গ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সে পরিচালনাকারী কর্তৃক প্রদেয় সেবা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখিত থাকিবে;
(ঘ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সে উলিস্্নখিত টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে উহাতে উল্লিখিত সেবা প্রদান করিতে হইবে;
(ঙ) ইস্যুকৃত লাইসেন্সের আওতাধীন কার্যাবলীতে বেতার যন্ত্রপাতি, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি, ও বেতার ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহারের প্রয়োজন হইলে অষ্টম অধ্যায়ের অধীন লাইসেন্স, বেতার ফ্রিকোয়েন্সি বাবদ ও প্রয়োজনীয় কারিগরী গ্রহণযোগ্যতা সনদ সংগ্রহের শর্ত উল্লেখ করিতে হইবে।
(৫) লাইসেন্সের প্রতিটি আবেদন কমিশনের নিকট, তত্কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে দাখিল করিতে হইবে।
(৬) টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আহ্বানকৃত আবেদনপত্রের প্রেতিগতে কমিশন নূতন লাইসেন্স ইস্যুর বিষয় বিবেচনা করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রবিধান দ্বারা এমন কতিপয় সেবা চিহ্নিত করিতে পারিবে যাহাদের ব্যাপারে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি ব্যতিরেকে লাইসেন্স ইস্যু করা যায়।
(৭) লাইসেন্সের জন্য আবেদন বিবেচনার সুবিধার্থে কমিশন আবেদনকারীর নিকট হইতে প্রয়োজনীয় তথ্য বা কাগজপত্র তলব করিতে পারে এবং প্রয়োজনে আবেদনকারীর প্রস্ত্মাবিত স্থাপনা, সংশ্লিষ্ট স্থান ও যন্ত্রপাতি পরিদর্শন করিতে পারিবে৷
20[(৮) উপ-ধারা (১) এর অধীন আহবানকৃত আবেদনপত্র দাখিল হইবার অনধিক ১৮০ (একশত আশি) দিনের মধ্যে লাইসেন্স মঞ্জুর অথবা নামঞ্জুর করিবার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ সিদ্ধান্তের অনধিক ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে আবেদনকারী বরাবর লাইসেন্স ইসু্য করিতে হইবে অথবা কারণ উল্লেখপূর্বক লাইসেন্স নামঞ্জুর করিবার সিদ্ধান্ত আবেদনকারীকে অবহিত করিতে হইবে; উক্ত ১৮০ (এক শত আশি) দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব না হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক বিষয়টি পরব ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে এবং পরবর্তী ২১(একুশ) দিনের মধ্যে সরকার লাইসেন্স মঞ্জুর বা নামঞ্জুরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে।]
(৯) কমিশন তৎকর্তৃক ইস্যুকৃত প্রতিটি লাইসেন্সের মুদ্রিত অনুলিপি সংরক্ষণ করিবে, এবং যে কোন ব্যক্তি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ফিস পরিশোধ করিয়া উক্ত অনুলিপি পরিদর্শন বা উহার প্রতিলিপি সংগ্রহ করিতে পারিবেন।
ষষ্ঠ অধ্যায়
ট্যারিফ, চার্জ ইত্যাদি
সপ্তম অধ্যায়
টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি ও সেবার মান ইত্যাদি
অষ্টম অধ্যায়
বেতার যোগাযোগ ও স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা
নবম অধ্যায়
গ্রাহকদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তি
দশম অধ্যায়
পরিদর্শন ও বাধ্যতামূলক গ্রহণ ও নিষ্পত্তি
একাদশ অধ্যায়
অপরাধ, দন্ড, তদন্ত ও বিচার
দ্বাদশ অধ্যায়
তথ্য প্রবাহ
ত্রয়োদশ অধ্যায়
ক্রান্তিকালীন বিধান অধিকার ও দায়-দায়িত্ব
চর্তুদশ অধ্যায়
বিবিধ