প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ৫৪ নং আইন )

বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু দেশের সম্প্রচার মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণকল্পে একটি বেতার কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা এবং তত্সম্পর্কিত বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ আইন, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ;
 
 
 
 
(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(গ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ঘ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ঙ) “বেতার” অর্থ বাংলাদেশ বেতার;
 
 
 
 
(চ) “মহাপরিচালক” অর্থ কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক;
 
 
 
 
(ছ) “সদস্য” অর্থ কর্তৃপক্ষের কোন সদস্য এবং চেয়ারম্যানও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর সরকার, যতশীঘ্র সম্ভব, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বাংলাদেশ বেতার কর্তৃপক্ষ নামে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করিবে৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং কর্তৃপক্ষ ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
৪৷ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং ইহা প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের অন্য যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয়, এবং ঢাকাসহ যে কোন স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেতার কেন্দ্র স্থাপন করিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের গঠন
৫৷ নিম্্নবর্ণিত সদস্যগণ সমন্বয়ে কর্তৃপক্ষ গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(খ) উপ-ধারা ৬(১) অনুসারে নিযুক্ত মহিলাসহ ৩ (তিন) জন সদস্য; এবং
 
 
 
 
(গ) মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে৷
চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের নিয়োগ, পদত্যাগ, অব্যাহতি ইত্যাদি
৬৷ (১) শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা, প্রশাসন, বেতার সম্প্রচার বা ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণের মধ্য হতে চেয়ারম্যান এবং ধারা ৫(খ) তে উল্লিখিত সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য, তবে মহাপরিচালক ব্যতীত, নিম্্নবর্ণিত শর্তে কর্মরত থাকিবেন:-
 
 
 
 
(ক) চেয়ারম্যান ও উক্ত অন্যান্য সদস্য খণ্ডকালীন ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করিবেন;
 
 
 
 
(খ) চেয়ারম্যান এবং উক্ত অন্যান্য সদস্যের প্রাপ্য সম্মানী, ভাতা এবং নিয়োগের অন্যান্য শর্তাবলী, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান এবং অন্যান্য প্রত্যেক সদস্য, তবে মহাপরিচালক ব্যতীত, তাঁহার নিয়োগের তারিখ হইতে ৩ (তিন) বত্সরের মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন এবং পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হইবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সদস্যের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বেও সরকার, যে কোন সময় তাঁহাকে তাঁহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে চেয়ারম্যান বা অন্য যে কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, কিন্তু সরকার কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে তিনি তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করিবেন৷
কমিটি
৭৷ কর্তৃপক্ষ উহার কাজে সহায়তার জন্য, প্রয়োজনবোধে, এক বা একাধিক কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ কমিটির সদস্য সংখ্যা, দায়িত্ব এবং কার্যধারা নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী
৮৷ কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বাংলাদেশ বেতারের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, উহার কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন;
 
 
 
 
(খ) বেতার মাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মান উন্নয়ন;
 
 
 
 
(গ) বেতার মাধ্যমে সংবাদ প্রচার ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্প্রচারে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা অনুসরণ ও বাস্তবায়ন;
 
 
 
 
(ঘ) সংবাদ প্রচার ও অন্যান্য অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা প্রদান;
 
 
 
 
(ঙ) বেতার অনুষ্ঠানের মান উন্নয়ন ও শৈল্পিক উত্কর্ষ সাধনের স্বার্থে বিদেশী ও আন্তর্জাতিক গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা;
 
 
 
 
(চ) অনুষ্ঠানের কারিগরি ও গুণগত মান নিশ্চিতকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত কাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন;
 
 
 
 
(ছ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বেতার গ্রাহক যন্ত্রের লাইসেন্স ফি নির্ধারণ ও আদায়ের ব্যবস্থাকরণ;
 
 
 
 
(জ) পবিত্র ধর্মীয় উত্সবসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস, (যেমন শহীদ দিবস-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির জনকের জন্মদিন-জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জাতীয় শোক দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি) সম্পর্কিত অনুষ্ঠানমালা গুরুত্বের সহিত বেতারে প্রচার করা;
 
 
 
 
(ঝ) উপরি-উল্লিখিত কার্যাদির সম্পূরক ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কার্য সম্পাদন৷
কর্তৃপক্ষের কার্যাবলী পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা
৯৷ (১) ধারা ৮এ উল্লিখিত কার্যাবলী সম্পাদন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষের উপর ন্যস্ত থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত কার্যাবলী সম্পাদন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে, সময় সময় সরকার কর্তৃক, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশ ও নির্দেশনা অনুসরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) কর্তৃপক্ষের উক্ত কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে চেয়ারম্যান ও মহাপরিচালক কর্তৃক পালনীয় দায়িত্বসমূহ সরকার সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করিয়া দিতে পারিবে৷
কর্তৃপক্ষের সভা
১০৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে মহাপরিচালক এইরূপ সভা আহ্বান করিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি দুই মাসে কর্তৃপক্ষের অন্ততঃ একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান বা তাঁহার অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে ধারা ৬(৫) এ উল্লিখিত সদস্য, এবং অপর ২ (দুই) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ধারা ৬(৫) এ উল্লিখিত সদস্য কর্তৃপক্ষের সভার সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটে সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কর্তৃপক্ষ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে কর্তৃপক্ষের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৭) কর্তৃপক্ষের প্রতিটি সভার কার্যবিবরণী ও গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুলিপি সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং উক্ত সিদ্ধান্ত এই আইন বা জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার পরিপন্থী হইলে উহা বাতিল বা সংশোধন করার জন্য বা কার্যকর না করার জন্য সরকার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং তদনুসারে কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
মহাপরিচালক
১১৷ (১) কর্তৃপক্ষের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি মহাপরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবে৷
 
 
 
 
(৪) মহাপরিচালক কর্তৃপক্ষের সার্বক্ষণিক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন; এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১২৷ ধারা ২১(চ) এর বিধান সাপেক্ষে, কর্তৃপক্ষ উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
ঋণ গ্রহণ
১৩৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে৷
চুক্তি
১৪৷ কর্তৃপক্ষ উহার কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন বিদেশী সরকার বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সহিত চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারের পূর্ব অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে৷
কর্তৃপক্ষের তহবিল
১৫৷ (১) কর্তৃপক্ষের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ঋণ;
 
 
 
 
(গ) কর্তৃপক্ষের নিজস্ব আয়;
 
 
 
 
(ঘ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(ঙ) কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
 
 
 
 
(চ) অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
 
 
(২) এই তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত অর্থ উঠানো যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) এই তহবিল হইতে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষের তহবিল বা উহার অংশবিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৫) সংশ্লিষ্ট অর্থ বত্সরে কর্তৃপক্ষের ব্যয় নির্বাহের পর কর্তৃপক্ষের তহবিলে উদ্বৃত্ত থাকিলে, সরকারের নির্দেশ অনুসারে উহার সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ সরকারের কোষাগারে জমা করিতে হইবে৷
বাজেট
১৬৷ (১) মহা-পরিচালক প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে এবং প্রস্তাবিত বাজেটে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকিতে হইবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৭৷ (১) কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে উহার হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর কর্তৃপক্ষের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
১৮৷ (১) প্রতি আর্থিক বত্সর শেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষ উক্ত বত্সরে সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং কর্তৃপক্ষ উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৯৷ সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২০৷ কর্তৃপক্ষ, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
National Broadcasting Authority ও বিদ্যমান বাংলাদেশ বেতার সম্পর্কিত বিধান
২১৷ (১) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে-
 
 
 
 
(ক) National Broadcasting Authority Ordinance, 1986 (Ord. No. XXXII of 1986), অতঃপর উক্ত অধ্যাদেশ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা রহিত করা হইল এবং উক্ত অধ্যাদেশের অধীন গঠিত জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ, যদি থাকে, অতঃপর বিলুপ্ত কর্তৃপক্ষ বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
 
 
 
 
(খ) বিদ্যমান বাংলাদেশ বেতার সংগঠন, অতঃপর বিলুপ্ত সংগঠন বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
 
 
 
 
(গ) বিলুপ্ত কর্তৃপক্ষ ও বিলুপ্ত সংগঠন, অতঃপর একত্রিতভাবে বিলুপ্ত সংগঠন বলিয়া উল্লিখিত, এর স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি এবং নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং উক্ত সম্পত্তি ও অর্থ কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি ও অর্থ হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত সংগঠনের সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, উন্নয়ন প্রকল্প, যদি থাকে, কর্তৃপক্ষের ঋণ, দায়-দায়িত্ব এবং প্রকল্প হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) বিলুপ্ত সংগঠন কর্তৃক অথবা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা- মোকদ্দমা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অথবা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সেইভাবে সকল মামলা-মোকদ্দমা পরিচালিত হইবে;
 
 
 
 
(চ) বিলুপ্ত সংগঠনে, এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে, যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত ছিলেন তাহারা সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসাবে কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রাধীনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং সরকার বা সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন কানুন পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের পদোন্নতিসহ চাকুরীর অন্যান্য শর্তাবলী পূর্ববত্ বহাল থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) (চ)- েত উল্লিখিত কোন কর্মকর্তা, Bangladesh Civil Service (Information) Cadre এর কর্মকর্তা হইলে তিনি, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত, সরকারের নিয়ন্ত্রাধীনে চাকুরীরত থাকিবেন৷
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs