প্রিন্ট ভিউ

ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০০১

( ২০০১ সনের ৫৬ নং আইন )

ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপনকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট স্থাপনকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংিক্ষপ্ত শিরোনামা
১৷ এই আইন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০০১ নামে অভিহিত হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “ইমাম” অর্থ বাংলাদেশের কোন মসজিদে নিযুক্ত ইমাম;
 
 
 
 
(খ) “ট্রাস্ট” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন স্থাপিত ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট;
 
 
 
 
(গ) “তহবিল” অর্থ ট্রাস্টের তহবিল;
 
 
 
 
(ঘ) “পরিবার” অর্থ ইমাম বা মুয়াজ্জিনের স্ত্রী এবং তাঁহার প্রতি নির্ভরশীল পুত্র ও কন্যা এবং পিতা ও মাতা;
 
 
 
 
(ঙ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(চ) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত ট্রাস্টী বোর্ড;
 
 
 
 
(ছ) “মুয়াজ্জিন” অর্থ বাংলাদেশের কোন মসজিদে নিযুক্ত মুয়াজ্জিন৷
ট্রাস্ট স্থাপন
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার এই আইনের বিধান অনুযায়ী ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপন করিবে৷
 
 
 
 
(২) ট্রাস্ট একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং স্বীয় নামে উহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধেও উক্ত নামে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
ট্রাস্টের কার্যালয়
৪৷ ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে এবং উহা, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন
৫৷ ট্রাস্টের পরিচালনা ও প্রশাসন ধারা ৬ এর অধীন গঠিত ট্রাস্টী বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ট্রাস্ট যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে ট্রাস্টী বোর্ডও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
ট্রাস্টী বোর্ডের গঠন
৬৷ (১) ট্রাস্টী বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) মহা-পরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পদাধিকারবলে, যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(গ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(ঘ) সংস্থাপন মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(ঙ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যুন উপ-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(চ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত তিনজন ইমাম;
 
 
 
 
(ছ) পরিচালক, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী, পদাধিকারবলে যিনি উহার সচিবও হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)(চ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে তিন বত্সর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে সরকার, শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিয়া, যে কোন সময় যে কোন সদস্যকে তাহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে:
 
 
 
 
আরও শর্ত থাকে যে, সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে উক্তরূপ কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, কিন্তু সরকার কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না৷
ট্রাস্টের কার্যাবলী
৭৷ ট্রাস্টের কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন মারাত্মক দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব, দুরারোগ্য ব্যাধি ইত্যাদি জনিত কোন কারণে অক্ষম হইয়া পড়িলে তাহাকে আর্থিক সাহায্য প্রদান;
 
 
(খ) কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করিলে তাহার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান;
 
 
 
 
(গ) ইমাম বা মুয়াজ্জিনকে প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত কারণে ও পদ্ধতিতে ঋণ প্রদান;
 
 
 
 
(ঘ) ইমাম বা মুয়াজ্জিনের মেধাবী ছেলে-মেয়েদেরকে শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান;
 
 
 
 
(ঙ) ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ এবং তাহাদের পরিবারের সার্বিক কল্যাণ সাধন; এবং
 
 
 
 
(চ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ৷
বোর্ডের সভা
৮৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের সভা, উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে, উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ছয় মাসে বোর্ডের কমপ্রােক্ষ একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং তাঁহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাঁহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোন সদস্য বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য উহার মোট সদস্য-সংখ্যার অন্যুন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার”েক্ষত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সভার সিদ্ধান্ত্ম গ্রহণ করা হইবে, এবং ভোটে সমতার”ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী সদস্যের দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
ট্রাস্টের তহবিল
৯৷ (১) ট্রাস্টের একটি তহবিল থাকিবে যাহা ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিল নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন ট্রাস্ট গঠিত হওয়ার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, প্রাথমিকভাবে ট্রাস্টের তহবিল গঠনকল্পে সরকার দুই কোটি টাকা ট্রাস্টকে প্রদান করিবে; এই অর্থ ট্রাস্ট কোন তফসিলী ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসাবে জমা রাখিবে এবং উক্ত জমাকৃত অর্থ হইতে সময় সময় মুনাফা ট্রাস্টের তহবিলে সরকারের অনুদান হিসাবে জমা হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সময়ে সময়ে উক্ত স্থায়ী আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) তহবিলে উপ-ধারা (২) এর অধীন মুনাফা ব্যতীত নিম্নবর্ণিত অর্থও জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদা;
 
 
 
 
(গ) দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা হইতে প্রাপ্ত বিশেষ অনুদান;
 
 
 
 
(ঘ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা বিত্তবান কর্তৃক প্রদত্ত দান বা অনুদান;
 
 
 
 
(ঙ) মসজিদের মুসলিস্নগণ কর্তৃক প্রদত্ত আর্থিক সাহায্য; এবং
 
 
 
 
(চ) অন্যান্য উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার বিধান সাপেেক্ষ তহবিলের অর্থ ট্রাস্টের কার্যাবলী পরিচালনার এবং ট্রাস্টের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য ব্যয় করা হইবে৷
 
 
 
 
(৫) তহবিলের অর্থ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৬) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালনা করা হইবে, এবং এইরূপ প্রবিধান না থাকিলে বা কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রবিধান প্রণীত না হইলে বোর্ডের সিদ্ধান্ত্ম অনুসারে উহা পরিচালিত হইবে৷
ইমাম এবং মুয়াজ্জিনগণ কর্তৃক চাঁদা প্রদান
১০৷ (১) ইমাম ও মুয়াজ্জিনগণ ট্রাস্টের তহবিলে, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও হারে, ন্যুনতম মাসিক চাঁদা প্রদান করিতে পারিবেন এবং এইরূপ প্রবিধান না থাকিলে, বোর্ডের সিদ্ধান্ত্ম অনুসারে উক্ত চাঁদা প্রদেয় হইবে৷
 
 
(২) যদি কোন ইমাম বা মুয়াজ্জিন উপ-ধারা (১) এ উিল্লখিত চাঁদা প্রদান না করেন অথবা একাদিক্রমে তিনমাস চাঁদা অনাদায়ী রাখেন, তাহা হইলে তিনি বা তাহার পরিবারের কেহ এই আইনের অধীন কোন সুযোগ-সুবিধা পাইবার অধিকারী হইবেন না৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীনে প্রদেয় চাঁদা ফেরতযোগ্য হইবে না৷
ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারী
১১৷ ট্রাস্টের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী ট্রাস্ট প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
বাজেট
১২৷ (১) প্রতি অর্থ বত্সর শুরু হইবার পূর্বে বোর্ড উক্ত অর্থ বত্সরে উহার সম্ভাব্য আয় ও ব্যয় সম্বলিত বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে বোর্ডের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উলে্রখ থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ বাজেট প্রণয়নের”েক্ষত্রে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে৷
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৩৷ (১) ট্রাস্ট উহার আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর ট্রাস্টের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও বোর্ডের নিকট পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ট্রাস্টের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্ত্মাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোন সদস্য, ট্রাস্টের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
১৪৷ (১) প্রতি পঞ্জিকার বত্সরে ট্রাস্ট কর্তৃক সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন ট্রাস্ট পরবর্তী বত্সরের ৩০শে জুনের মধ্যে সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনমত, ট্রাস্টের নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং ট্রাস্ট সরকারের নিকট উহা সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৫৷ বোর্ড এই আইন বা প্রবিধানের অধীন উহার যে কোন ক্ষমতা, তবে এই ধারা এবং ১৭ ধারার ক্ষমতা ব্যতীত, সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা, উহার চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা ট্রাস্টের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নিকট অর্পণ করিতে পারিবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১৬৷ এই আইন বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত্ম হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত্ম হবার সম্ভাবনা থাকলে তজ্জন্য ট্রাস্টের কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা দায়ের বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
১৭৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ট্রাস্ট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs