প্রিন্ট ভিউ

এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০২

( ২০০২ সনের ১ নং আইন )

এসিডের আমদানী, উত্পাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, ক্ষয়কারী দাহ্য পদার্থ হিসাবে এসিডের অপব্যবহার রোধ, এবং এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রণীত আইন৷

 
 
 

যেহেতু এসিডের আমদানী, উত্পাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, ক্ষয়কারী দাহ্য পদার্থ হিসাবে এসিডের অপব্যবহার রোধ, এবং এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 
 
 
 

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

 
 
 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০২ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “অপরাধ” অর্থ এই আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ;
 
 
 
 
(খ) “এসিড” অর্থ গাঢ়, তরল অথবা মিশ্রণসহ যে কোন প্রকার সালফিউরিক এসিড, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, ফসফরিক এসিড, 1[***] কস্টিক পটাশ, কার্বলিক এসিড, ব্যাটারী ফ্লুইড (এসিড), ক্রোমিক এসিড ও এ্যাকোয়া-রেজিয়া (aqua-regia), এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এসিড জাতীয় (corrosive) অন্যান্য দ্রব্যাদি;
 
 
 
 
(গ) “এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি” অর্থ এসিড নিক্ষেপের ফলে বা অন্য কোনভাবে এসিড দ্বারা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি;
 
 
(ঘ) “চিকিত্সক” অর্থ Medical and Dental Council Act, 1980 (Act XVI of 1980) এর section 2 এর clause (m) এ সংজ্ঞায়িত registered medical practitioner;
 
 
 
 
(ঙ) “ডেপুটি কমিশনার” অর্থে ডেপুটি কমিশনারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
 
 
 
 
(চ) “কাউন্সিল তহবিল” অর্থ ধারা ১০ এর অধীন গঠিত জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল তহবিল;
 
 
 
 
(ছ) “কাউন্সিল” অর্থ ধারা ৪ এর অধীনে গঠিত জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল;
 
 
 
 
(জ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ঝ) “ব্যক্তি” অর্থে কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থাও অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঞ) “লাইসেন্স” অর্থ সরকার কর্তৃক এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;
 
 
 
 
(ট) “লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ” অর্থ সরকার এবং ধারা ১৬ এ বর্ণিত কর্মকর্তাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে; এবং
 
 
 
 
(ঠ) “স্থান” অর্থ যে কোন বাড়ী-ঘর, স্থাপনা, যানবাহন, স্থিতাবস্থায় বা চলমান যে ভাবেই থাকুক না কেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিমান বন্দর, সামুদ্রিক বন্দর, ডাকঘর এবং বহিরাগমন চেকপোস্টও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাতত বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন ও তদ্‌ধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷
 
 
 
 

দ্বিতীয় অধ্যায়

জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল, জেলা কমিটি, ইত্যাদি

জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা
2[৪। জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা।(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে,
 
জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল নামের একটি কাউন্সিল থাকিবে।
 
(২) কাউন্সিল নিমড়ববর্ণিত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :
 
(১) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
(২) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার
 
কো-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
(৩) জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত একজন মহিলা সংসদ সদস্য;
 
(৪) সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন;
 
(৫) সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়;
 
(৬) সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়;
 
(৭) সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়;
 
(৮) সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়;
 
(৯) সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়;
 
 
(১০) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়;
 
(১১) মহা-পুলিশ পরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ;
 
(১২) সরকার কর্তৃক মনোনীত ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড
 
ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধি হিসাবে একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী;
 
(১৩) সরকার কর্তৃক মনোনীত জাতীয় প্রেস ক্লাব এর প্রতিনিধি হিসাবে একজন
 
বিশিষ্ট সাংবাদিক;
 
(১৪) সরকার কর্তৃক মনোনীত ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত একজন প্রতিনিধি;
 
(১৫) চেয়ারম্যান, জাতীয় মহিলা সংস্থা;
 
(১৬) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কতর্ৃক মনোনীত রসায়ন, ফলিত রসায়ন,
 
প্রাণ রসায়ন বা ফার্মেসী বিভাগের একজন অধ্যাপক বা সহযোগী অধ্যাপক;
 
(১৭) সরকার কতর্ৃক মনোনীত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে কর্মরত
 
একজন গবেষক বিজ্ঞানী;
 
(১৮) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ হিসেবে সরকারী মেডিক্যাল কলেজের বার্ণ
 
ইউনিটের একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক;
 
(১৯) সভানেত্রী, মহিলা পরিষদ;
 
(২০) সভানেত্রী, মহিলা সমিতি;
 
(২১) বাংলাদেশ অ্যাটর্নি জেনারেল কর্তৃক মনোনীত একজন মহিলা আইনজীবী;
 
(২২) জাতীয় পর্যায়ে কর্মরত বেসরকারী সংস্থা হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত
 
দুইজন প্রতিনিধি, যাহার মধ্যে একজন মহিলা হইবেন।
 
(২৩) বাংলাদেশ তাতী সমিতির সভাপতি;
 
(২৪) বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি;
 
(২৫) বাংলাদেশ জুয়েলারী সমিতির সভাপতি।
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উলিস্নখিত কাউন্সিলের মনোনীত কোন সদস্য তাঁহার মনোনয়নের
 
তারিখ হইতে দুই বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন; তবে শর্ত থাকে যে,
 
সরকার যে কোন সময় তাঁহার মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে।
 
(৪) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যে কোন সময়ে যে কোন ব্যক্তিকে কাউন্সিলের সদস্য
 
হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবে।
 
(৫) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাৰরযুক্ত পত্রযোগে কোন মনোনীত সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ
 
 
করিতে পারিবেন।]
কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কর্তব্য
৫৷ কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এসিডের উত্পাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিমালা এবং আমদানী নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন;
 
 
 
 
(খ) এসিড হইতে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া এবং এসিডের অপব্যবহার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
 
 
(গ) এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
 
 
(ঘ) এসিড অপব্যবহারের কুফল এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
 
 
(ঙ) এসিড ব্যবহার ও অপব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য যে কোন ধরণের গবেষণা বা জরিপ পরিচালনা;
 
 
 
 
(চ) এসিড সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং এতদ্‌সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
 
 
 
 
(ছ) শিল্প প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন প্রক্রিয়ায় বর্জ্য হিসাবে নির্গত এসিড বা এসিডের মিশ্রণ দ্বারা সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং
 
 
 
 
(জ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ৷
কাউন্সিলের সভা
৬৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কাউন্সিলের সকল সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি তিন মাসে কাউন্সিলের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান কাউন্সিলের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে কো চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কাউন্সিলের মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশের উপস্থিতিতে উহার সভায় কোরাম হইবে৷
 
 
 
 
(৫) কাউন্সিল গঠনে কোন ত্রুটি রহিয়াছে বা উহাতে কোন শূন্যতা রহিয়াছে শুধু এই কারণে কাউন্সিলের কোন কার্য বা কার্যধারা বে-আইনী হইবে না বা তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
জেলা কমিটি
3[৭। (১) জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিলের জেলা কমিটি নামে প্রতিটিজেলায় একটি করিয়া কমিটি থাকিবে।
 
(২) সরকার কর্তৃক মনোনীত উক্ত জেলার একজন সংসদ সদস্য সংশিস্নষ্ট জেলা কমিটিরউপদেষ্টা হইবেন।
 
(৩) জেলা কমিটি নিমড়ববর্ণিত সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
(ক) ডেপুটি কমিশনার, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
(খ) পুলিশ সুপার;
 
(গ) সিভিল সার্জন;
 
(ঘ) জেলা সদর পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র, বা ৰেত্রমত, সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে মেয়র কর্তৃক মনোনীত একজন কাউন্সিলর;
 
(ঙ) সরকার কর্তৃক মনোনীত উপজেলা পরিষদসমূহের একজন মহিলা ভাইস- চেয়ারম্যান;
 
(চ) এসিড বিষয়ক স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর/পাবলিক প্রসিকিউটর;
 
(ছ) জেলা সমাজ সেবক কর্মকর্তা;
 
(জ) জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা;
 
(ঝ) পুলিশ সুপার কর্তৃক মনোনীত সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন একজন পুলিশ কর্মকর্তা, যিনি ইহার সদস্য-সচিবও হইবেন;
 
(ঞ) সভানেত্রী, জেলা মহিলা সংস্থা;
 
(ট) ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক মনোনীত তাতী, জুয়েলারী এবং অন্যান্য এসিড ব্যবহারকারীদের মধ্য হইতে দুইজন প্রতিনিধি;
 
(ঠ) ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক মনোনীত জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি হিসাবে একজন বিশিষ্ট সংবাদিক; ৭৫৬৮ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১৯, ২০১০
 
(ড) ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক মনোনীত জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর প্রতিনিধি হিসাবে একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী;
 
(ঢ) ডেপুটি কমিশনার কর্তৃক মনোনীত উক্ত জেলায় কার্যক্রম রহিয়াছে এইরূপ বেসরকারী সংস্থাসমূহের দুইজন প্রতিনিধি, যার মধ্যে একজন অবশ্যই মহিলা হইবেন।
 
(৪) উপ-ধারা ৩ এ উলিস্নখিত মনোনীত কোন সদস্য মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন :
 
তবে শর্ত থাকে যে, ডেপুটি কমিশনার যে কোন সময় তাঁহার মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবেন।
 
(৫) ডেপুটি কমিশনার, প্রয়োজনবোধে, যে কোন সময় যে কোন ব্যক্তিকে জেলা কমিটির সদস্য হিসাবে কো-অপ্ট করিতে পারিবেন।
 
(৬) ডেপুটি কমিশনারের উদ্দেশ্যে স্বাৰরযুক্ত পত্রযোগে মনোনীত কোন সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন।]
জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য
৮৷ জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এসিডের উত্পাদন, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা বাস্তবায়ন;
 
 
 
 
(খ) এসিড হইতে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া এবং এসিডের অপব্যবহার রোধকল্পে কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং উহা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
 
 
(গ) এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং উহা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
 
 
(ঘ) এসিড অপব্যবহারের কুফল এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
 
 
(ঙ) এসিড ব্যবহার ও অপব্যবহার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য যে কোন ধরণের গবেষণা বা জরিপ পরিচালনা;
 
 
 
 
(চ) এসিড সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং এতদ্‌সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন;
 
 
 
 
(ছ) শিল্প প্রতিষ্ঠানের উত্পাদন প্রক্রিয়ায় বর্জ্য হিসাবে নির্গত এসিড বা এসিডের মিশ্রণ দ্বারা সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং উহা বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং
 
 
 
 
(জ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য কাউন্সিল কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ৷
জেলা কমিটির সভা
৯৷ (১) জেলা কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) জেলা কমিটির সকল সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি দুই মাসে জেলা কমিটির কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান জেলা কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক মনোনীত জেলা কমিটির অন্য কোন সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) জেলা কমিটির মোট সদস্যের এক-চতুর্থাংশের উপস্থিতিতে উহার সভায় কোরাম হইবে৷
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল তহবিল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, ইত্যাদি

জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল তহবিল
১০৷ (১) এসিড অপব্যবহারের কুফল ও ভয়াবহতা সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা এবং এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা প্রদানের প্রয়োজনে অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে কাউন্সিলের “জাতীয় এসিড নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল তহবিল” নামে একটি স্বতন্ত্র তহবিল থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উক্ত তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) সরকারের অনুমোদনসহ কোন বিদেশী সরকার বা সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান; এবং
 
 
 
 
(ঙ) অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
 
 
(৩) তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷
 
4[(৪) সরকার তহবিল পরিচালনা করিবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা হইবে।]
জেলা কমিটির তহবিল
১১।(১) প্রতিটি জেলায় জেলা কমিটির একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে 5[সরকার] কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ, কোন ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান এবং অন্য কোন উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে৷
 
 
(২) জেলা কমিটির তহবিলের অর্থ জেলাস্থ তফসিলী ব্যাংকের কোন শাখায় জমা রাখা হইবে এবং জেলা কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য-সচিব এর যৌথ স্বাক্ষরে উক্ত তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) জেলা কমিটির তহবিল হইতে জেলা কমিটির প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১২৷ (১) কাউন্সিল ও জেলা কমিটি যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর কাউন্সিল ও জেলা কমিটির তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার এবং ক্ষেত্রমত, কাউন্সিল ও জেলা কমিটির নিকট পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ক্ষেত্রমত, কাউন্সিল ও জেলা কমিটির সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কাউন্সিল ও জেলা কমিটির কোন সদস্য বা যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কেন্দ্র
১৩৷ (১) সরকার, এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এক বা একাধিক পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবেন৷
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন সরকারী স্থাপনাকে ‘এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র' হিসাবে ঘোষণা দিতে পারিবে৷
এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা
১৪৷ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ডেপুটি কমিশনার বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা যদি জানিতে পারেন যে, কোন ব্যক্তি এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন এবং তাঁহাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাইয়া আনার জন্য অনতিবিলম্বে তাঁহার চিকিত্সা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে ডেপুটি কমিশনার বা উক্ত কর্মকর্তা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির চিকিত্সা করার জন্য লিখিতভাবে জেলা কমিটির নিকট সুপারিশ করিতে পারিবেন৷
এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের আইনগত সহায়তা প্রদান
১৫৷ (১) কোন ব্যক্তি এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি বা তাঁহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি আইনগত সহায়তা চাহিয়া (Legal Aid) জেলা কমিটির নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন, কিংবা অন্য কোন তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিটির স্বীয় বিবেচনায় এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তিকে আইনগত সহায়তা প্রদান করা যথাযথ বিবেচিত হইলে, জেলা কমিটি আইনজীবী নিয়োগ করিয়া, বা ক্ষেত্রমত, নগদ অর্থ প্রদান করিয়া উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করিবে৷
 
 
 
 

চতুর্থ অধ্যায়

লাইসেন্স, ইত্যাদি

লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ
১৬৷ (১) এসিডের আমদানী ও উত্পাদন নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সরকার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হইবে৷
 
 
 
 
(২) এসিডের পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) লাইসেন্স প্রদান ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত বিষয়ে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের যাবতীয় কার্যক্রম, এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হইবে৷
লাইসেন্স, ইত্যাদি প্রদান বা নবায়নের ব্যাপারে বিধি-নিষেধ
১৭৷ এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স পাইবার বা নবায়নের যোগ্য হইবে না, যদি-
 
 
 
 
(ক) তিনি অত্র আইনের অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বত্সর কাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে, অথবা পঞ্চাশ হাজার টাকার অধিক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং দণ্ডের টাকা আদায় করার পর পাঁচ বত্সরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;
 
 
(খ) তিনি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্তভঙ্গ করেন এবং সেজন্য তাহার উক্ত লাইসেন্স বাতিল হইয়া যায়৷
এসিড বিক্রয়ের দোকান বা এসিড বহনকারী যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা
১৮৷ সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, কোন এসিড বিক্রয়ের দোকান বা পরিবহনকৃত কোন যানবাহন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি, লিখিত আদেশ দ্বারা, অনধিক পনের দিনের জন্য উক্ত দোকান বা যান চলাচল বন্ধ রাখার আদেশ দিতে পারিবেন৷
লাইসেন্স, ইত্যাদি বাতিল
১৯৷ (১) কোন ব্যক্তি তাহাকে প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত ভঙ্গ করিলে বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য অথবা অন্য আইনের অধীন বিচারার্থ গ্রহণীয় (Cognizable) কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ তাহাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট ক্ষেত্রমত, আপিল বা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
লাইসেন্স, ইত্যাদি সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ
২০৷ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন লাইসেন্সধারী ব্যক্তি কর্তৃক লাইসেন্সের কোন শর্ত যথাযথভাবে পালন করা হইতেছে না বা উহার শর্তাবলী লঙ্ঘন করা হইতেছে, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ, লিখিত আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে, লাইসেন্সটি সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবেন৷
প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা
২১৷ লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, এই আইন এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে-
 
 
 
 
(ক) কোন এসিড প্রস্তুত বা গুদামজাত করা হইয়াছে বা হইতেছে এই রকম যে-কোন স্থানে যে কোন সময় প্রবেশ করিতে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) প্রস্তুতকৃত বা সংগৃহীত এসিড বিক্রয়ের জন্য যে দোকানে রাখা হইয়াছে সেই দোকানে দোকান খোলা রাখার সাধারণ সময়ে, প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন; এবং
 
 
 
 
(গ) দফা (ক) ও (খ)- তে উল্লিখিত স্থান বা দোকানে-
 
 
 
 
(অ) রক্ষিত হিসাব বই, রেজিস্টার ও অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(আ) প্রাপ্ত এসিড এবং এসিড জাতীয় দ্রব্যাদি প্রস্তুতের সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও উপাদান পরীক্ষা, ওজন ও পরিমাণ নির্ধারণ করিতে পারিবেন; এবং
 
 
 
 
(ই) প্রাপ্ত বাটখারা, পরিমাপ যন্ত্র বা পরীক্ষা যন্ত্র পরীক্ষান্তে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গেলে বা বিবেচিত হইলে উহা আটক করিতে পারিবেন৷
হিসাব বহি, রেজিস্টার ইত্যাদি সংরক্ষণ
২২৷ লাইসেন্সধারী প্রত্যেক ব্যক্তি এসিড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি অর্থাত্ উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয়, ব্যবহার, ক্রয়, ইত্যাদি ক্ষেত্রমত, যেই ক্ষেত্রে যাহা প্রযোজ্য, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করিবে এবং লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তাকে তাত্ক্ষণিকভাবে উহা দেখাইতে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 

পঞ্চম অধ্যায়

তদন্ত, তল্লাসী, আটক, বাজেয়াপ্তকরণ, ইত্যাদি

তদন্তের ক্ষমতা
২৩৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ বা তত্কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে৷
পরোয়ানা জারীর ক্ষমতা
২৪৷ (১) এই আইনের অধীন সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,-
 
 
 
 
(ক) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন;
 
 
 
 
(খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংক্রান্ত কোন বস্তু বা উহা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোন দলিল, দস্তাবেজ বা কোন প্রকার জিনিসপত্র কোন স্থানে বা ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে;
 
 
 
 
তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য বা উক্ত স্থানে দিনে বা রাতে যে কোন সময় তল্লাশীর জন্য পরোয়ানা জারী করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন পরোয়ানা যে থানায় পাঠানো হইবে উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উহা কার্যকর করিবেন৷
পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশী, ইত্যাদির ক্ষমতা
২৫৷ (১) সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বা পুলিশের পরিদর্শক বা তদূর্ধ্ব কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন স্থানে সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি যে কোন সময়-
 
 
 
 
(ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী করিতে পারিবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে, বাধা অপসারণের জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) উক্ত স্থানে তল্লাশীকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য এসিড বা অন্যান্য দ্রব্যাদি, এই আইনের অধীন আটক বা বাজেয়াপ্তযোগ্য বস্তু এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোন দলিল-দস্তাবেজ বা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে গ্রেফতার করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যাস্ত হইতে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশী পরিচালনা না করিলে অপরাধের সহিত সম্পৃক্ত কোন বস্তু নষ্ট বা লুপ্ত হইবার বা অপরাধী পালাইয়া যাইবার সম্ভাবনা আছে বলিয়া কোন কর্মকর্তার বিশ্বাস করার সঙ্গত কারণ থাকিলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশী করিতে পারিবেন৷
আটক, ইত্যাদি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ
২৬৷ এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে বা কোন বস্তু আটক করা হইলে, গ্রেফতারকারী বা আটককারী কর্মকর্তা তত্সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অবহিত করিবেন এবং প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট এলাকার লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
প্রকাশ্য স্থান বা যানবাহনে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষমতা
২৭৷ যদি ধারা ২৪-এ উল্লিখিত কোন কর্মকর্তার এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন প্রকাশ্য স্থানে বা কোন চলমান যানবাহনে-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের পরিপন্থী কোন এসিড বা বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু বা এই আইনের অধীন কোন অপরাধ প্রমাণের সহায়ক কোন দলিল- দস্তাবেজ রক্ষিত আছে, তাহা হইলে, তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি উক্ত এসিড, বস্তু বা এতদ্‌সংক্রান্ত দলিল- দস্তাবেজ তল্লাশী করিয়া আটক করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনকারী বা সংঘটনে উদ্যত কোন ব্যক্তি আছেন, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি তাহাকে আটক করিয়া তল্লাশী করিতে পারিবেন এবং তাহার নিকট দফা (ক)-এ উল্লিখিত এসিড বা অনুরূপ বস্তু বা দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া গেলে তাহাকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন৷
তল্লাশী, ইত্যাদির পদ্ধতি
২৮৷ এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন জারীকৃত সকল পরোয়ানা এবং সকল তল্লাশী, গ্রেফতারী ও আটক এর ব্যাপারে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর বিধান অনুসরণ করা হইবে৷
পারস্পরিক সহযোগিতার বাধ্যবাধকতা
২৯৷ এই আইনের কোন বিধান কার্যকর করিবার ব্যাপারে অনুরূদ্ধ হইলে ধারা ২৪-এ উল্লিখিত কর্মকর্তাগণ পরস্পরকে সর্বপ্রকার সাহায্য ও সহযোগিতা করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
মামলার তদন্ত হস্তান্তর
৩০৷ এই আইনের অধীন কোন অপরাধের তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ, ডেপুটি কমিশনারের অনুমোদনক্রমে, তত্কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত কোন কর্মকর্তার নিকট তদন্তকার্য হস্তান্তর করিবেন এবং যেই কর্মকর্তার নিকট উক্ত তদন্তকার্য হস্তান্তর করা হইবে, তিনি প্রয়োজনবোধে, শুরু হইতে বা যেই পর্যায়ে হস্তান্তর হইয়াছে সেই পর্যায় হইতে, তদন্ত কার্য পরিচালনা করিতে পারিবেন এবং তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি ও আটককৃত মালামাল সংক্রান্ত বিধান
৩১৷ (১) কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন গ্রেফতার করা হইলে বা কোন বস্তু আটক করা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা আটককৃত বস্তু নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট সোপর্দ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা বস্তুকে যে কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হইবে তিনি, যতশীঘ্র সম্ভব, উক্ত ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে আইনানুগ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷
বাজেয়াপ্তযোগ্য এসিড, ইত্যাদি
৩২৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে যেই এসিড, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন, বা অন্য কোন বস্তু সম্পর্কে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য এসিডের সহিত যদি কোন বৈধ এসিড অপরাধ সংঘটনের সময় পাওয়া যায় তাহা হইলে উক্ত বৈধ এসিডও বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷
বাজেয়াপ্তকরণ পদ্ধতি
৩৩৷ (১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারকালে আদালত যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, আটককৃত কোন বস্তু ধারা ৩২ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য তাহা হইলে, আদালত অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক, বস্তুটি বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ দিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) যেই ক্ষেত্রে বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া যায় না, সেই ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার বা, ক্ষেত্রমত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদানের পূর্বে তত্বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারী করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারীর তারিখ হইতে অন্যুন পনের দিন হইতে হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে-
 
 
 
 
(ক) আদেশটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে ডেপুটি কমিশনারের নিকট; এবং
 
 
 
 
(খ) আদেশটি ডেপুটি কমিশনার বা তত্কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইলে সরকারের নিকট-
 
 
 
 
আপীল করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
বাজেয়াপ্ত ও আটককৃত দ্রব্যাদির নিষ্পত্তি বা বিলিবন্দেজ
৩৪৷ এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন দ্রব্যের বাজেয়াপ্তকরণ আদেশ প্রদানের সংগে সংগে দ্রব্যটি সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং তিনি উহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহার, হস্তান্তর বা ধ্বংস করিবার বা অন্য কোন প্রকারে উহার বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা করিবেন৷
 
 
 
 
 
 

ষষ্ঠ অধ্যায়

অপরাধ আমলযোগ্য, অ-আপোষযোগ্য ও অ-জামিনযোগ্য

অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা এবং অ-জামিনযোগ্যতা
৩৫৷ এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য (Cognizable), অ-আপোষযোগ্য (Non-compoundable) এবং অ-জামিনযোগ্য (Non-bailable) হইবে৷

সপ্তম অধ্যায়

আপরাধ ও দন্ড

লাইসেন্স ব্যতীত এসিডের উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহারের দণ্ড
৩৬৷ কোন ব্যক্তি এই আইন এবং এই আইনের অধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী এবং লাইসেন্সের শর্তাদি পালন ব্যতিরেকে কোন এসিড উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় বা ব্যবহার করিলে কিংবা দখলে রাখিলে উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব দশ বত্সর কিন্তু অন্যুন তিন বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে এবং ইহার অতিরিক্ত পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
এসিড উত্পাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি ইত্যাদি রাখার দণ্ড
৩৭৷ এই আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নন এইরূপ কোন ব্যক্তির নিকট তাহার দখলে কিংবা তাহার দখলকৃত কোন স্থানে যদি এসিড উত্পাদনে ব্যবহারযোগ্য কোন যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম বা উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা হইলে তিনি অন্যুন তিন বত্সর এবং অনূর্ধ্ব পনের বত্সর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
অপরাধ সংঘটনে গৃহ বা যানবাহন ইত্যাদি ব্যবহার করিতে দেওয়ার দণ্ড
৩৮৷ কোন ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনের জন্য তাহার মালিকানাধীন বা দখলীয় কোন বাড়ী-ঘর, জায়গা-জমি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম ব্যবহার করিতে অনুমতি দেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বত্সর ও অন্যুন এক বত্সর, সশ্রম কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
লাইসেন্স, ইত্যাদির শর্ত ভঙ্গ করার দণ্ড
৩৯৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিলে তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বত্সর ও অন্যুন এক বত্সর, সশ্রম কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
মিথ্যা বা হয়রানীমূলক মোকদ্দমা দায়েরের দণ্ড
৪০৷ যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিষয়ে আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেন এবং যদি তদন্তক্রমে বা সাক্ষ্য প্রমাণে ইহা প্রমাণিত হয় যে, অভিযোগটি মিথ্যা বা হয়রানীমূলক, তবে, উক্ত অভিযোগকারী এইরূপ মিথ্যা মোকদ্দমা দায়েরের জন্য 6[অনূর্ধ্ব সাত বৎসর ও অন্যুন দুই বৎসর] সশ্রম কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ইত্যাদির দণ্ড
৪১৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে কাহাকেও প্ররোচনা দিলে বা সহায়তা করিলে বা কাহারও সহিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে উক্ত ব্যক্তি-
 
 
 
 
(ক) অপরাধটি সংঘটিত না হইলে, অন্যুন তিন বত্সর এবং অনূর্ধ্ব পনের বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন; এবং
 
 
 
 
(খ) অপরাধটি সংঘটিত হইলে, মূল অপরাধীর সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
অপরাধ পুনঃসংঘটনের দণ্ড
৪২৷ এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোন ব্যক্তি পুনরায় একই অপরাধ করেন তিনি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
 
 
 
 

অষ্টম অধ্যায়

বিবিধ

এসিড অপব্যবহারের আশংকা এবং চিকিত্সা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ
৪৩৷ (১) যদি কোন পরিবারের কোন সদস্য এসিডে ক্ষতিগ্রস্ত হন, তাহা হইলে তত্সম্পর্কে উক্ত পরিবারের কর্তা বা অন্য কোন ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ডেপুটি কমিশনার বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন চিকিত্সক যদি এইরূপ মনে করেন যে, কোন ব্যক্তি এসিডে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন এবং তজ্জন্য চিকিত্সার প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার পরামর্শ দিবেন এবং এই চিকিত্সার প্রয়োজনীয়তার কথা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা ডেপুটি কমিশনার বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন৷
অর্থ দণ্ডের অর্থ আদায়, ইত্যাদি
৪৪৷ এই আইনের অধীন প্রদত্ত অর্থদণ্ডের অর্থ প্রচলিত আইনের বিধান অনুযায়ী দণ্ডিত ব্যক্তির নিকট হইতে বা তাহার বিদ্যমান সম্পদ, বা তাহার মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুর সময় রাখিয়া যাওয়া সম্পদ হইতে আদায় করিয়া অপরাধের দরুন যেই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটিয়াছে তাহার উত্তরাধিকারীকে বা ক্ষেত্রমত, যে ব্যক্তি শারীরিক বা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইয়াছেন সেই ব্যক্তিকে বা সেই ব্যক্তির মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাহার উত্তরাধিকারীকে প্রদান করা হইবে৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৪৫৷ এই আইনের অধীন কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধানটি লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লঙ্ঘন তাঁহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লঙ্ঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে, দোকানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদারী বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
অপরাধ সম্পর্কে অনুমান
৪৬৷ যদি কোন ব্যক্তির নিকট বা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোন স্থানে কোন এসিড প্রস্তুতে ব্যবহারযোগ্য সাজ-সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি বা এসিড প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় কোন বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায় তাহা হইলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া আদালত অনুমান করিতে পারিবে, এবং উক্ত ব্যক্তি উহা করেন নাই এইরূপ দাবী করা হইলে তাহা প্রমাণের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর বর্তাইবে৷
এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের তালিকা
৪৭৷ (১) এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তি বা তাহার তত্ত্বাবধায়ক বা অভিভাবক বা চিকিত্সক ইচ্ছা করিলে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তাহার নাম উপ-ধারা (২) এর অধীন তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম তালিকাভুক্ত করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনের প্রয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলাওয়ারী ত্রৈমাসিক একটি তালিকা প্রস্তুত করিয়া সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনারের নিক প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত তালিকা সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনার সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ জেলা কমিটির নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীন তালিকাভুক্ত এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনের জন্য কাউন্সিল বা ক্ষেত্রমত, জেলা কমিটি যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে৷
রাসায়নিক পরীক্ষক ও তাহার রিপোর্ট
৪৮৷ (১) এই আইনের প্রয়োজনে সরকার এসিডের প্রকার, পরিমাণ, মাত্রা বা ঐ প্রকার কোন উপাদানের রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগার স্থাপন করিতে পারিবে এবং উহার জন্য রাসায়নিক পরীক্ষক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন পরিচালিত কোন কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে কোন বস্তুর রাসায়নিক পরীক্ষার প্রয়োজন দেখা দিলে উহা উপ-ধারা (১) এর অধীন স্থাপিত রাসায়নিক পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) রাসায়নিক পরীক্ষকের স্বাক্ষরযুক্ত রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট এই আইনের অধীন কোন তদন্ত, বিচার বা অন্য কোন প্রকার কার্যক্রমে সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীন রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত যে কোন পরীক্ষাগারে এই ধারায় উল্লিখিত রাসায়নিক পরীক্ষা করা যাইবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম
৪৯৷ এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনকালে সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য সরকার, কাউন্সিল, জেলা কমিটি বা কোন কর্মকর্তা বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
ক্ষতিপূরণ, ইত্যাদির দাবী অগ্রহণযোগ্য
৫০৷ এই আইনের অধীন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ কিংবা অন্য কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে কোন লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি তজ্জন্য, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না বা তত্কর্তৃক প্রদত্ত কোন ফিস ফেরত্ চাহিতে পারিবেন না৷
বিধি প্রণয়ন ক্ষমতা
৫১৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ক্ষমতার সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, অনুরূপ বিধিতে নিম্নবর্ণিত সকল অথবা যে কোন বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এসিডের উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার নীতি;
 
 
 
 
(খ) এসিডের উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার, ইত্যাদির লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন, ফিস, ইত্যাদি;
 
 
 
 
(গ) এসিডের উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি;
 
 
 
 
(ঘ) এসিডের উত্পাদন, আমদানী, পরিবহন, মজুদ, বিক্রয় ও ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত পাত্রের গায়ে লেবেল, প্যাকেটজাতকরণ পদ্ধতি;
 
 
 
 
(ঙ) তদন্ত, তল্লাশী, আটক, বাজেয়াপ্তকরণ ও পরিদর্শন পদ্ধতি;
 
 
 
 
(চ) এসিড দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির চিকিত্সা, পুনর্বাসন ও আইনগত সহায়তা প্রদান পদ্ধতি; এবং
 
 
 
 
(ছ) তহবিলের হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষা পদ্ধতি৷
সংরক্ষণ, ইত্যাদি
৫২৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন বিশেষ প্রকারের এসিডকে প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্তাধীনে এই আইনের কোন একটি ধারা কিংবা সকল ধারার বিধানাবলীর প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে৷
 
 
 
 

  • 1
    "ক্ষার জাতীয় কস্টিক সোডা," শব্দগুলি ও কমা এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ১২ নং আইন) এর ২ ধারাবলে বিলুপ্ত
  • 2
    ধারা(৪) এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩৮ নং আইন) এর ২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    ধারা(৭) এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    উপ-ধারা (৪), উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর পরিবর্তে এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    “সরকার” শব্দটি “কাউন্সিল” শব্দটির পরিবর্তে এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    "অনূর্ধ্ব সাত বৎসর ও অন্যুন দুই বৎসর" শব্দগুলি "অনূর্ধ্ব পাঁচ বত্সরের" শব্দগুলির পরিবর্তে এসিড নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs