প্রিন্ট ভিউ

নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ২০০২

( ২০০২ সনের ১২ নং আইন )

নিরাপদ রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং রোগীর দেহে পরিসঞ্চালন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু নিরাপদ রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং রোগীর দেহে পরিসঞ্চালন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ২০০২ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যেই তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন কার্যকর হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “অননুমোদিত ব্যক্তি” অর্থ রক্ত সংগ্রহ বা রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য স্বীকৃত যোগ্যতার অধিকারী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত নন এমন কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(খ) “অনিরীক্ষিত রক্ত (unscreened blood)” অর্থ কোন রক্ত, রক্তের উপাদান বা রক্তজাত সামগ্রীতে এইডস্‌ (AIDS), হেপাটাইটিস বি (hepatitis B), হেপাটাইটিস সি (hepatitis C), সিফিলিস (syphilis), ম্যালেরিয়া (malaria) ইত্যাদি রক্তবাহিত রোগের জীবাণুমুক্ত হওয়া সম্পর্কে পরীক্ষা বা যাচাই করা হয় নাই এমন রক্ত, রক্তের উপাদান বা রক্তজাত সামগ্রী;
 
 
 
 
(গ) “অননুমোদিত পদ্ধতিতে রক্ত সংগ্রহ ও পরিসঞ্চালন (bad ordering blood collection and transfusion)” বলিতে ভুল পদ্ধতিতে রক্ত সংগ্রহ করা, সঠিকভাবে রক্ত সংরক্ষণ না করা, সময় উত্তীর্ণ রক্ত পরিসঞ্চালন করা, কোল্ড চেইন অনুসরণ না করা, ভুল পদ্ধতিতে রক্ত পরিসঞ্চালন করা বা রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য পদ্ধতি বা নিয়ম অনুসরণ না করিয়া রক্ত সংগ্রহ ও পরিসঞ্চালনকে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(ঘ) “কাউন্সিল” অর্থ এই আইনের ধারা ৪-এর দ্বারা গঠিত জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কাউন্সিল;
 
 
 
 
(ঙ) “কোল্ড চেইন (cold chain)” বলিতে +২০ হইতে +৮০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রক্ত বা রক্তের উপাদান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, বহন ও ব্যবহারকারীর নিকট পর্যন্ত পৌঁছানোকে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(চ) “ডাক্তার” অর্থ বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত অন্যুন এম বি বি এস বা সমমানের মেডিক্যাল ডিগ্রীধারী ব্যক্তি;
 
 
 
 
(ছ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(জ) “পরিদর্শন কমিটি” অর্থ এই আইনের ধারা ১৫ এর অধীন গঠিত পরিদর্শন কমিটি;
 
 
 
 
(ঝ) “বাছাই কমিটি” অর্থ এই আইনের ধারা ১১ এর অধীন গঠিত বাছাই কমিটি;
 
 
 
 
(ঞ) “ব্যবস্থাপত্র” অর্থ রোগীর জন্য ডাক্তার কর্তৃক প্রদেয় পরামর্শ পত্র;
 
 
 
 
(ট) “বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল” অর্থ Medical and Dental Council Act, 1980 (XVI of 1980) এর অধীন গঠিত বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল;
 
 
 
 
(ঠ) “ব্লাডব্যাগ” অর্থ রক্তদাতা হইতে রক্ত, রক্তের উপাদান ও রক্তজাত সামগ্রী সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের জন্য ব্যবহৃত এন্টিকোয়াগুলেন্ট সম্বলিত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ব্যাগ;
 
 
 
 
(ড) “ব্যক্তি” অর্থে কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সংঘ ও সমিতি অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঢ) “বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র” অর্থ এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র, ব্লাড ব্যাংক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কেন্দ্র, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;
 
 
 
 
(ণ) “ভুল ব্যবস্থাপত্র” অর্থ ডাক্তার কর্তৃক রক্ত পরিসঞ্চালন চিকিত্সা প্রদানকালে প্রদেয় রোগীর বা রক্ত গ্রহীতার রক্তের সঠিক চাহিদা, রক্তের উপাদানের প্রকৃতি, রোগী বা রক্ত গ্রহীতার বিদ্যমান শারীরিক অবস্থা এবং রক্ত পরিসঞ্চালনের ধরণ বা পদ্ধতির উল্লেখবিহীন ব্যবস্থাপত্র;
 
 
 
 
(ত) “মহা-পরিচালক” অর্থ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এবং তাহার অবর্তমানে মহা-পরিচালকের দায়িত্ব পালনরত কোন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(থ) “রক্ত” অর্থ পরিপূর্ণ মানব রক্ত;
 
 
 
 
(দ) “রক্তের উপাদান (blood component)” অর্থ রক্ত হইতে পৃথকীকৃত রক্তরস (plasma), লোহিত রক্ত কণিকা (RBC), শ্বেত রক্ত কণিকা (WBC), অনুচক্রিকা (platelet) ইত্যাদি উপাদান;
 
 
 
 
(ধ) “রক্তজাত সামগ্রী (plasma product)” অর্থ রক্তরস (plasma) হইতে পৃথকীকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত এলবিউমিন (albumin), ইমিউনোগ্লোবিউলিন (immunoglobulin),ক্রাইওপ্রেসিপটেট (cryoprecipitate), ফ্যাক্‌টর-৮ (factor-VIII), ফ্যাক্‌টর-১ (factor-I), ফ্যাক্‌টর ২, ৫, ৭, ৯, ১০ (factor-II, V, VII, IX, X) এবং অন্যান্য রক্তজাত সামগ্রী;
 
 
 
 
(ন) “রোগী বা রক্ত গ্রহীতা” বলিতে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র মোতাবেক রক্ত গ্রহণকারী ব্যক্তিকে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(প) “রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ” অর্থ এমবিবিএস বা সমমানের ডিগ্রীধারী এবং রক্ত পরিসঞ্চালন মেডিসিন বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিবিএসএন্ডটি, এমটিএম, এমডি, পিএইচডি ডিগ্রীপ্রাপ্ত ডাক্তার;
 
 
 
 
(ফ) “লাইসেন্স” অর্থ এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য প্রদত্ত লাইসেন্স;
 
 
 
 
(ব) “লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ” অর্থ মহা-পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর;
 
 
 
 
(ভ) “রক্তের চাহিদা পত্র” অর্থ রক্ত বা রক্তের উপাদানের স্বল্পতা পূরণের লক্ষ্যে ডাক্তার কর্তৃক কোন রোগীর জন্য প্রদেয় রক্ত বা রক্তের উপাদানের চাহিদা পত্র;
 
 
 
 
(ম) “বিনষ্টযোগ্য উপকরণ (disposable items)” অর্থ রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, নিডল, লেনসেট, ব্লাড ব্যাগ, রক্ত পরিসঞ্চালন সেট, স্লাইড, টেষ্টটিউব এবং একবার ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য উপকরণ;
 
 
 
 
(য) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(র) “সভাপতি” অর্থ এই আইনের ধারা ৪ দ্বারা গঠিত জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কাউন্সিলের সভাপতি;
 
 
 
 
(ল) “সহ-সভাপতি” অর্থ এই আইনের ধারা ৪ দ্বারা গঠিত জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কাউন্সিলের সহ-সভাপতি;
 
 
 
 
(শ) “স্বীকৃত যোগ্যতা” অর্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত যোগ্যতা;
 
 
 
 
(ষ) “রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা” অর্থ কোন রোগীর চিকিত্সার প্রয়োজনে রক্ত সংগ্রহ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ, রক্তজাত সামগ্রী তৈরী বা পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত কোন ডাক্তার বা বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র কর্তৃক প্রদত্ত সেবা৷
আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে৷

দ্বিতীয় অধ্যায়

জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কাউন্সিল

জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কাউন্সিল
৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাতীয় নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন কাউন্সিল নামে একটি কাউন্সিল থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) নিম্্নবর্ণিত সদস্যদের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি ইহার সহ-সভাপতিও হইবেন;
 
 
 
 
(গ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য;
 
 
 
 
(ঘ) চেয়ারপার্সন, রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি;
 
 
 
 
(ঙ) চেয়ারম্যান, টেকনিক্যাল কমিটি, বাংলাদেশ জাতীয় এইডস কমিটি;
 
 
 
 
(চ) কমান্ড্যান্ট, আর্মড ফোর্সেস ইনষ্টিটিউট অফ প্যাথলজি;
 
 
 
 
(ছ) মহা-পরিচালক, সমাজ সেবা অধিদপ্তর;
 
 
 
 
(জ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি;
 
 
 
 
(ঝ) পরিচালক, সকল সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল;
 
 
 
 
(ঞ) পরিচালক, বক্ষব্যাধি ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল;
 
 
 
 
(ট) পরিচালক, জনস্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট;
 
 
 
 
(ঠ) বিভাগীয় প্রধান, রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ, সকল সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল;
 
 
 
 
(ড) সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন;
 
 
 
 
(ঢ) সভানেত্রী, জাতীয় মহিলা সংস্থা;
 
 
 
 
(ণ) জাতীয় কমিশনার, বাংলাদেশ স্কাউটস;
 
 
 
 
(ত) জাতীয় কমিশনার, বাংলাদেশ গার্লস গাইড এসোসিয়েশন;
 
 
 
 
(থ) জেলা গভর্ণর, বাংলাদেশ রোটারী ইন্টারন্যাশনাল;
 
 
 
 
(দ) জেলা গভর্ণর, বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল;
 
 
 
 
(ধ) সরকার কর্তৃক মনোনীত রক্ত পরিসঞ্চালন বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন অধ্যাপক;
 
 
 
 
(ন) সভাপতি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস);
 
 
 
 
(প) মহা-পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যিনি ইহার সদস্য সচিবও হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) কাউন্সিলের কোন মনোনীত সদস্য তাঁহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বত্সরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যে কোন সময় তাঁহার মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে কোন মনোনীত সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কর্তব্য
৫৷ কাউন্সিলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হইবে নিম্্নরূপ, যথা:
 
 
 
 
(ক) Human Immuno Deficiency Virus (HIV), Hepatitis B Virus (HBV), Hepatitis C Virus (HCV), Malaria এবং Syphilis সহ সর্বপ্রকার রক্তবাহিত রোগ হইতে মানব দেহকে রক্ষার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন;
 
 
 
 
(খ) নিরাপদ রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিসঞ্চালনের পদ্ধতি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(গ) স্বেচ্ছায় রক্তদান, স্বজনকে রক্তদান এবং রক্তের বিনিময়ে রক্তদানে রক্তদাতাদের উত্সাহিতকরণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন;
 
 
 
 
(ঘ) বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে নীতিমালা প্রণয়ন;
 
 
 
 
(ঙ) রক্তদাতাদের পরিসংখ্যান সংরক্ষণের পদ্ধতি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(চ) পেশাদার রক্তদাতাদের রক্তদানে পর্যায়ক্রমে নিরুত্সাহিতকরণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়ন;
 
 
 
 
(ছ) বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রসমূহ পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন; এবং
 
 
 
 
(জ) উপ-ধারা (ক) হইতে (ছ) পর্যন্ত বর্ণিত বিষয়াবলী হইতে উদ্ভূত অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান৷
কাউন্সিলের সভা
৬৷ (১) কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) কাউন্সিলের সভা সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) সভাপতি কাউন্সিলের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলের সহ-সভাপতি সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কাউন্সিলের এক-তৃতীয়াংশ সদস্য সমন্বয়ে কাউন্সিলের সভার কোরাম গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৫) কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কাউন্সিলের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
 
 

তৃতীয় অধ্যায়

বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন, পরিচালনা, লাইসেন্স, ইত্যাদি

বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা
৭৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন লাইসেন্স গ্রহণ করিয়া বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার শর্তাবলী
৮৷ বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার লাইসেন্স
৯৷ (১) বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিতে ইচ্ছুক কোন ব্যক্তি লাইসেন্সের জন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনে উল্লিখিত তথ্যাবলীর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আবেদন প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উহা বাছাই কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির ষাট দিনের মধ্যে বাছাই কমিটি আবেদনে উল্লিখিত স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করিবে এবং প্রাপ্ত তথ্যাবলী পরীক্ষা ও যাবতীয় বিষয়ে অনুসন্ধান করিবার পর তদবিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ-
 
 
 
 
(ক) যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করিতে সক্ষম, তাহা হইলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর নিকট হইতে ধারা ১৩ এর অধীন নির্ধারিত লাইসেন্স ফিস্‌ আদায় করিয়া ত্রিশ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে লাইসেন্স প্রদান করিবে; অথবা
 
 
 
 
(খ) যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পূরণ করিবার জন্য আবেদনকারীকে সুযোগ প্রদান করা সমীচীন, তাহা হইলে উক্ত শর্তাবলী পূরণের জন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে অনধিক ত্রিশ দিন সময় প্রদান করিবে; এবং
 
 
 
 
(অ) উক্ত সময়ের মধ্যে উল্লিখিত সকল শর্তাবলী প্রতিপালন করিতে আবেদনকারী সক্ষম হইয়াছে মর্মে সন্তুষ্ট হইবার পর পরবর্তী পনের দিনের মধ্যে আবেদন মঞ্জুর করিয়া আবেদনকারীকে লাইসেন্স প্রদান করিবে; বা
 
 
 
 
(আ) উক্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পূরণ করিতে আবেদনকারী ব্যর্থ হইলে আবেদন নামঞ্জুর করিয়া আবেদনকারীকে অবহিত করিবে; অথবা
 
 
 
 
(গ) যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, আবেদনকারী বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলীর মধ্যে অধিকাংশ শর্ত পূরণ করিতে সক্ষম হয় নাই এবং আবেদনকারীকে দফা (খ)- েত উল্লিখিত সুযোগ প্রদান করা হইলে উক্ত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট শর্তাবলী পূরণ করিতে সক্ষম হইবার সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে আবেদনকারীর আবেদন সরাসরি নামঞ্জুর করিয়া পনের দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে অবহিত করিবে৷
 
 
 
 
(৫) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে কোন ব্যক্তি কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন করিয়া থাকিলে তিনি এই আইন কার্যকর হইবার ত্রিশ দিনের মধ্যে উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (২), (৩) এবং (৪) এর দফা (ক) ও (খ)- েত বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৫) এর অধীন প্রাপ্ত আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে প্রযোজ্য শর্তাবলী পূরণের জন্য, যদি কোন শর্ত অপূরণকৃত থাকে, একশত আশি দিন সময় প্রদান করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৮) এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র পরিচালনার লাইসেন্সের জন্য উপ-ধারা (৫) এর অধীন আবেদন করা না হইলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ উক্ত রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের যাবতীয় কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৯) উপ-ধারা (৫) এর অধীন লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য আবেদন করা হইলে এবং এই ধারার অধীন নির্ধারিত সময়ে আবেদনকারী লাইসেন্স প্রাপ্তির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হইলে, লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ উক্ত আবেদন নামঞ্জুর করিয়া উক্ত বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের যাবতীয় কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিবে৷
লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ
১০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ হইবেন৷
বাছাই কমিটি
১১৷ এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি দ্বারা নির্ধারিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে প্রতিটি জেলার জন্য একটি করিয়া বাছাই কমিটি থাকিবে৷
লাইসেন্সের মেয়াদ ও নবায়ন
১২৷ (১) বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য প্রদত্ত লাইসেন্সের মেয়াদ হইবে লাইসেন্স ইস্যুর তারিখ হইতে তিন বছর এবং ইহা প্রতি তিন বছর অন্তর নবায়নযোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)-এ বর্ণিত লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হইবার নব্বই দিন পূর্বে লাইসেন্স নবায়নের নির্ধারিত ফিসসহ নবায়নের জন্য লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রটি সরেজমিনে পরিদর্শন করিবে এবং পরিদর্শনের পর-
 
 
 
 
(অ) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য প্রযোজ্য শর্তাবলীর মধ্যে কোন শর্ত অপূরণকৃত নাই, তাহা হইলে লাইসেন্সটি নবায়ন করিবে;
 
 
 
 
(আ) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিকট যদি এইরূপ পরিলক্ষিত হয় যে, রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য প্রযোজ্য শর্তাবলীর মধ্যে কোন কোন প্রয়োজনীয় শর্ত অপূরণকৃত রহিয়াছে এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বহাল রাখিতে আবেদনকারী ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ আবেদন নামঞ্জুর করিয়া লাইসেন্সের মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার অন্যুন পনের দিন পূর্বে আবেদনকারীকে লিখিতভাবে অবহিত করিবে৷
লাইসেন্স ফিস্‌, ইত্যাদি
১৩৷ এই আইনের অধীন প্রদেয় বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার লাইসেন্স ফিস্‌ হইবে এক লক্ষ টাকা এবং নবায়ন ফিস্‌ হইবে পঞ্চাশ হাজার টাকা:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই ফিসের হার বৃদ্ধি করিয়া পুনঃনির্ধারণ করিতে পারিবে৷
রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা ফিস্‌
১৪৷ (১) রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা প্রদানের জন্য রোগীর নিকট হইতে আদায়যোগ্য ফিসের হার বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) প্রত্যেক বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র-
 
 
 
 
(ক) রক্তের বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা ও রক্ত পরিসঞ্চালন সেবার জন্য নির্ধারিত ফিসের তালিকা সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এইরূপ স্থানে এবং অভ্যর্থনা কক্ষের দেওয়ালে লটকাইয়া রাখিবে; এবং
 
 
 
 
(খ) রক্ত পরীক্ষা বা রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা বাবদ গৃহীত ফিসের একটি রশিদ সংশ্লিষ্ট রোগী বা তাহার প্রতিনিধকে প্রদান করিবে এবং উহার একটি অনুলিপি সংরক্ষণ করিবে৷
পরিদর্শন কমিটি
১৫৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শনের জন্য এক বা একাধিক পরিদর্শন কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত পরিদর্শন কমিটির সদস্য সংখ্যা এবং সদস্যদের যোগ্যতা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
পরিদর্শন, প্রবেশ ইত্যাদির ক্ষমতা
১৬৷ (১) পরিদর্শন কমিটি, মহা-পরিচালক এবং মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এই আইন, বিধি বা প্রদত্ত কোন নির্দেশ সাপেক্ষে, যে কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র পরিদর্শন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পরিদর্শন কমিটি বা মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকালে যদি দেখিতে পায় যে, কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র এই আইন বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত শর্তাবলী পালন করিতেছে না কিংবা লাইসেন্সের শর্ত ভংগ করিয়াছে তাহা হইলে উক্তরূপ পরিদর্শনের পনের দিনের মধ্যে পরিদর্শন কমিটি সরকারের নিকট এবং ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মহা-পরিচালকের নিকট তদ্‌বিষয়ে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত লিখিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর সরকার যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের লাইসেন্স স্থগিত রাখা বা বাতিল করা প্রয়োজন তাহা হইলে তদনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মহা-পরিচালককে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) মহা-পরিচালক কর্তৃক স্বয়ং পরিদর্শনের পর কিংবা উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রাপ্ত লিখিত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর তাহার নিকট যদি পরিলক্ষিত হয় যে, কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র লাইসেন্সের কোন কোন শর্ত পূরণে শিথিলতা প্রদর্শন করিয়াছে তাহা হইলে মহা-পরিচালক উক্ত নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) পরিদর্শন কমিটি, মহা-পরিচালক এবং মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের যে কোন স্থানে যে কোন সময়ে প্রবেশ করিতে, রেজিস্টার বা রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে কোন রেজিস্টার বা কাগজপত্রের উদ্ধৃতাংশ (extract) সংগ্রহ করিতে পারিবেন৷
আপীল
১৭৷ (১) লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের কোন আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আদেশ জারীর তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন এবং সরকার, এইরূপে প্রাপ্ত আপীল নব্বই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দায়েরকৃত আপীলের ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 

চতুর্থ অধ্যায়

অপরাধ ও দন্ড

লাইসেন্স ব্যতীত বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার দণ্ড
১৮৷ (১) এই আইনের অধীন লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক দুই বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব এক লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ভুল ব্যবস্থাপত্র প্রদানের দণ্ড
১৯৷ (১) কোন ব্যক্তি রক্ত পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত চিকিত্সার উদ্দেশ্যে কোন রোগী বা রক্ত গ্রহীতার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, অংগহানী, পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হয় কিংবা রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন এইরূপ ভুল ব্যবস্থাপত্র প্রদান করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
অননুমোদিত পদ্ধতিতে রক্ত পরিসঞ্চালনের দণ্ড
২০৷ (১) কোন ব্যক্তি রক্ত পরিসঞ্চালন সংক্রান্ত চিকিত্সার উদ্দেশ্যে কোন রোগী বা রক্ত গ্রহীতার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, অংগহানী, পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হয় কিংবা রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন এইরূপ পদ্ধতিতে রক্ত পরিসঞ্চালন করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
বিনষ্টযোগ্য উপকরণ বিনষ্ট না করার দণ্ড
২১৷ (১) রক্ত পরিসঞ্চালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি রক্ত পরিসঞ্চালন করিবার পর উহাতে ব্যবহৃত বিনষ্টযোগ্য উপকরণ বিনষ্টকরণ নিশ্চিত করিবেন৷
 
 
 
 
(২) রক্ত পরিসঞ্চালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পাঁচ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
বিনষ্টযোগ্য উপকরণ পুনরায় ব্যবহার করার দণ্ড
২২৷ (১) কোন ব্যক্তি রক্ত পরিসঞ্চালনে ব্যবহৃত বিনষ্টযোগ্য উপকরণ পুনরায় ব্যবহার করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে তিনি দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং-
 
 
 
 
(ক) উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক এক বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; বা
 
 
 
 
(খ) যেই ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধের ফলে সংশ্লিষ্ট রোগী বা রক্ত গ্রহীতার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, অংগহানী, পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হয় কিংবা রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
অনিরীক্ষিত রক্ত পরিসঞ্চালনের দণ্ড
২৩৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন অনিরীক্ষিত রক্ত, রক্তের উপাদান কিংবা রক্তজাত সামগ্রী কোন রোগী বা রক্ত গ্রহীতার দেহে পরিসঞ্চালন করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক এক বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; বা
 
 
 
 
(খ) যেই ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধের ফলে সংশ্লিষ্ট রোগী বা রক্ত গ্রহীতার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, অংগহানী, পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হয় কিংবা রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
অননুমোদিত উপায়ে রক্ত, রক্তের উপাদান ও রক্তজাত সামগ্রী সংগ্রহ, উত্পাদন ও বিতরণের দণ্ড
২৪৷ (১) কোন ব্যক্তি এই আইন দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতি বা উপায়ে রক্ত, রক্তের উপাদান ও রক্তজাত সামগ্রী সংগ্রহ, উত্পাদন ও বিতরণ করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক দুই বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
অননুমোদিত ব্যক্তি কর্তৃক রক্ত পরিসঞ্চালনের দণ্ড
২৫৷ (১) কোন অননুমোদিত ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির দেহ হইতে রক্ত সংগ্রহ করিতে এবং কোন ব্যক্তির দেহে রক্ত পরিসঞ্চালন করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক এক বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন; বা
 
 
 
 
(খ) যেই ক্ষেত্রে উক্ত অপরাধের ফলে সংশ্লিষ্ট রোগী বা রক্ত গ্রহীতার মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি, অংগহানী, পঙ্গুত্ব বা মৃত্যুর কারণ হয় কিংবা রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হন সেই ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি অনধিক পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব পাচ লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
রক্তদাতার ভুঁয়া পরিচয় পত্র ব্যবহারের দণ্ড
২৬৷ (১) কোন ব্যক্তি অন্য কোন রক্তদাতার পরিচয় পত্র বা ভুঁয়া পরিচয় পত্র ব্যবহার করিবেন না৷
 
 
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
অতিরিক্ত সেবা ফিস্‌ আদায়ের দণ্ড
২৭৷ (১) কোন ব্যক্তি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা ফিস্‌ আদায় করিবেন না৷
 
 
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে দণ্ডনীয় অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড, অথবা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
 
 
 

পঞ্চম অধ্যায়

বিবিধ

রক্ত পরিসঞ্চালন তহবিল
২৮৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, প্রত্যেক সরকারী হাসপাতালের জন্য রক্ত পরিসঞ্চালন তহবিল নামে একটি করিয়া তহবিল গঠন করিতে পারিবে এবং উক্তরূপে গঠিত তহবিলের আয়-ব্যয় ও হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ কমিটি
২৯৷ (১) সরকার, কাউন্সিলের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে এক বা একাধিক রক্ত পরিসঞ্চালন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কোন কমিটিকে সরকার যেইরূপ দায়িত্ব এবং ক্ষমতা অর্পণ করিবে উক্ত কমিটি সেইরূপ দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে৷
ভ্রাম্যমান রক্ত সংগ্রহ ক্যাম্প
৩০৷ কোন দেশীয় বা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, জনস্বার্থে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র এবং সরকারী হাসপাতালের সহায়তায় স্বেচ্ছায় রক্তদানকে উত্সাহিত করিবার উদ্দেশ্যে ভ্রাম্যমান রক্ত সংগ্রহ ক্যাম্প পরিচালনা করিতে পারিবে৷
কোম্পানী ইত্যাদি কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
৩১৷ কোন কোম্পানী কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানীর এমন প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
ব্যাখ্যা৷- এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) কোম্পানী বলিতে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারি কারবার, সমিতি, সংঘ এবং সংগঠনও অন্তর্ভু্‌ক্ত;
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
অপরাধের আমলযোগ্যতা
৩২৷ এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ অআমলযোগ্য, জামিনযোগ্য ও আপোষযোগ্য হইবে৷
অপরাধ আমলে নেওয়ার ক্ষমতা
৩৩৷ মহা-পরিচালক বা মহা-পরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অথবা ক্ষতিগ্রস্ত কোন ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধির লিখিত অভিযোগ ব্যতীত কোন আদালত এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৪৷ (১) সরকার, কাউন্সিলের সহিত পরামর্শক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুণ্ন না করিয়া নিম্নবর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করা যাইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকারী হাসপাতাল ও বেসরকারী রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে নিরাপদ রক্ত সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং রক্ত পরিসঞ্চালনের পূর্বশর্ত ও পদ্ধতি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(খ) রক্তের চাহিদা প্রদানকারী এবং রক্ত পরিসঞ্চালনকারী ডাক্তারের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ;
 
 
 
 
(গ) রক্ত, রক্তের উপাদান ও রক্তজাত সামগ্রী উত্পাদন,সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণ নিয়ন্ত্রণ;
 
 
 
 
(ঘ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের পারিপার্শ্বিক স্থানের উপযুক্ততা নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঙ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত ভবনের উপযুক্ততা নির্ধারণ;
 
 
 
 
(চ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র স্থাপনের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ছ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নিরূপণ;
 
 
 
 
(জ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, কেমিক্যালস, কীটস্‌ ও রি-এজেন্ট নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঝ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের বর্জ্য অপসারণ পদ্ধতি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঞ) রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয় লোকবল এবং তাহাদের যোগ্যতা নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ট) রক্তদাতার শ্রেণী ও পরিচয় পত্র প্রদানের পদ্ধতি নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ঠ) রক্তদাতাদের শ্রেণীওয়ারী তালিকা প্রণয়ন ও সংরক্ষণ পদ্ধতি নির্ধারণ৷
 
 
 
 
(৩) এই ধারার অধীন প্রণীত কোন বিধির বিধান লংঘনের জন্য উক্ত বিধিতে অনধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান করা যাইবে৷
ইংরেজীতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
৩৫৷ এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজীতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে, যাহা এই আইনের অনুমোদিত ইংরেজী পাঠ (Authorised English Text) নামে অভিহিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, এই আইন ও উক্ত ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে এই আইন প্রাধান্য পাইবে৷

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs