প্রিন্ট ভিউ
1[বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ অথবা বাংলাদেশ হইতে] আকাশ, স্থল কিংবা জল পথে অন্য কোন দেশে যে কোন যাত্রীর গমনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায় করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন৷
যেহেতু 2[বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ অথবা বাংলাদেশ হইতে] আকাশ, স্থল কিংবা জল পথে অন্য কোন দেশে যে কোন যাত্রীর গমনের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায় করিবার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
3[(ক) “ভ্রমণ কর” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন আরোপ ও আদায়যোগ্য ভ্রমণ কর ও জরিমানা;]
(খ) “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড” অর্থ The National Board of Revenue Order, 1972 (P.O. No. 76 of 1972) এর section 3 এর অধীন গঠিত National Board of Revenue;
(গ) “নির্ধারিত” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান বা বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
4[* * *]
(ঘ) “সার্ক” অর্থ South Asian Association for Regional Co-operation (SAARC); এবং
(ঙ) “যাত্রী” অর্থ বাংলাদেশ হইতে অন্য কোন দেশে গমনকারী যে কোন ব্যক্তি;
5[(চ) “ভ্রমণ কর কর্তৃপক্ষ” অর্থ আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৪ এ বর্ণিত আয়কর কর্তৃপক্ষ।]
6[৩। (১) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ এবং বাংলাদেশ হইতে আকাশ, স্থল কিংবা জল পথে অন্য কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে যাত্রী প্রতি নিম্নবর্ণিত টেবিলে উল্লিখিত হারে ভ্রমণ কর আরোপ ও আদায় করা যাইবে, যথাঃ-
টেবিল
ক্রমিক নং |
ভ্রমণের ধরণ |
করের পরিমাণ |
(১) |
(২) |
(৩) |
১। |
আকাশ পথে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চীন, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও তাইওয়ান গমনের ক্ষেত্রে
|
৬,০০০ (ছয় হাজার) টাকা
|
২। |
আকাশ পথে সার্কভুক্ত কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে |
২,০০০ (দুই হাজার) টাকা
|
৩। |
আকাশ পথে অন্য কোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে |
৪,০০০ (চার হাজার) টাকা
|
৪। |
আকাশ পথে দেশের অভ্যন্তরে গমনের ক্ষেত্রে |
২০০ (দুই শত) টাকা
|
৫। |
স্থল পথে যেকোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে |
১,০০০ (এক হাজার) টাকা
|
৬। |
জল পথে যেকোনো দেশে গমনের ক্ষেত্রে |
১,০০০ (এক হাজার) টাকা
|
তবে শর্ত থাকে যে, ১২ (বারো) বৎসর পর্যন্ত বয়সের যাত্রীদের ক্ষেত্রে টেবিলে উল্লিখিত হারের অর্ধেক হারে কর আরোপ ও আদায় করা হইবে।
(২) ভ্রমণ কর আদায়ের পদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদায়কৃত ভ্রমণ কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে হইবে।
(৪) ভ্রমণ কর আদায়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা সংস্থা আদায়কৃত ভ্রমণ কর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে, যে পরিমাণ ভ্রমণ কর সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানে ব্যর্থ হইবে সেই পরিমাণ ভ্রমণ কর এবং উহার উপর মাসিক শতকরা ২% (দুই শতাংশ) হারে জরিমানা উক্ত ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট হইতে আদায়যোগ্য হইবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন জরিমানা আদায়ের আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা সংস্থা আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিকট উহা পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আবেদন পত্র প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড উহা নিষ্পত্তি করিবে এবং এই ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।]
7[৩ক৷ আদায়কৃত ভ্রমণ কর ধারা ৩ এর 8[উপ-ধারা (৩)] এর অধীন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করিতে ব্যর্থ হইলে ভ্রমণ কর কর্তৃপক্ষ-
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার ব্যাংক হিসাব জব্দ করিতে পারিবেন;
(খ) বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার বিমান বাংলাদেশ হইতে উড্ডয়ন কার্যক্রম বন্ধ করিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;
(গ) সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার যে কোন অর্থ বাংলাদেশের বাহিরে প্রত্যর্পণ বন্ধ করিবার বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন 9[;
10[(ঘ) আয়কর আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ২২১ ও ২৭৫ এ উল্লিখিত বিধান অনুসারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।]]
11[৪। (১) ধারা ৩ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নিম্নবর্ণিত যাত্রীগণ এই আইনের অধীন প্রদেয় ভ্রমণ কর হইতে অব্যাহতি পাইবেন, যথা:-
(ক) ৫ (পাঁচ) বৎসর বা তাহার চেয়ে কম বয়সের কোনো যাত্রী;
(খ) হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরবে গমনকারী ব্যক্তি;
(গ) অন্ধ ব্যক্তি বা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী বা স্ট্র্যাচার ব্যবহারকারী পঙ্গু ব্যক্তি;
(ঘ) জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যগণ;
(ঙ) বাংলাদেশে অবস্থিত কূটনীতিক মিশনের কূটনৈতিক মর্যাদাসম্পন্ন সদস্য ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যগণ;
(চ) বাংলাদেশে কর্মরত বিশ্বব্যাংক, জার্মান কারিগরি সংস্থা এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এর স্টাফ ও তাঁহাদের পরিবারের সদস্যগণ;
(ছ) বিমানে কর্তব্যরত ক্রু এর সদস্য;
(জ) বাংলাদেশের ভিসাবিহীন ট্রানজিট যাত্রী যাহারা ৭২ (বাহাত্তর) ঘন্টার অধিক সময় বাংলাদেশে অবস্থান করিবেন না;
(ঝ) যে কোনো বিমান সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক যিনি বিনা ভাড়ায় অথবা হাসকৃত ভাড়ায় বিদেশ গমন করিবেন 12[;
(ঞ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ দ্বারা, কোনো ব্যক্তিকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।]
(২) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তি শ্রেণিকে এই আইনের অধীন প্রদেয় ভ্রমণ কর হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।]