প্রিন্ট ভিউ

অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৭ নং আইন )

অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ এবং অগ্নি হইতে উদ্ধার কার্যের জন্য বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ এবং অগ্নি হইতে উদ্ধার কার্যের জন্য বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ আইন, ২০০৩ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে এলাকা নির্ধারণ করিবে সেই এলাকায়, প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত তারিখ হইতে, এই আইন কার্যকর হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “অধিদপ্তর” অর্থ অগ্নি নির্বাপণ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর;
 
 
 
 
(খ) “অপারেশনাল কর্মকাণ্ড” অর্থ অগ্নি প্রতিরোধ, অগ্নি নির্বাপণ, অগ্নি হইতে উদ্ধার কার্য, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পরিচালনা, অগ্নি নির্বাপণী সাজ-সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ, তদন্ত, পরিদর্শন, তদারকি, মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ কার্যক্রম, ইত্যাদি;
 
 
 
 
(গ) “কারখানা” (workshop) অর্থ দাহ্যবস্তুর প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত ভবন বা স্থান;
 
 
 
 
(ঘ) “দাহ্যবস্তু” অর্থ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক দাহ্যবস্তু হিসাবে ঘোষিত কোন দ্রব্য বা রাসায়নিক দ্রব্য;
 
 
 
 
(ঙ) “ডেপুটি কমিশনার” অর্থ কোন জেলার ডেপুটি কমিশনার;
 
 
 
 
(চ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(ছ) “প্রক্রিয়াকরণ” অর্থ দাহ্যবস্তুর রূপান্তর, মেরামত, পরিবর্তন বা প্রস্তুতকরণ;
 
 
 
 
(জ) “বহুতল ভবন” অর্থ অন্যুন ৭ তলাবিশিষ্ট ভবন;
 
 
 
 
(ঝ) “বাণিজ্যিক ভবন” অর্থ ব্যাংক, বীমা বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শপিং কমপ্লেক্স বা ব্যবসা-বাণিজ্য বা সরকারী কাজে ব্যবহৃত কোন ভবন;
 
 
 
 
(ঞ) “ব্রিগেড” অর্থ অগ্নি নির্বাপণ ব্রিগেড;
 
 
 
 
(ট) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ঠ) “ব্যক্তি” অর্থে কোন কোম্পানী, সমিতি বা সংস্থাও, সংবিধিবদ্ধ হউক বা না হউক, অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(ড) “ভবন” অর্থে ইমারত, টিনের ঘর, বহুতল ভবন, কুঁড়েঘর, কাঁচা, আধাপাকা ও পাকাঘর অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(ঢ) “মহাপরিচালক” অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক;
 
 
 
 
(ণ) “মালগুদাম” (warehouse) অর্থ দাহ্যবস্তুর সংরক্ষণ, মজুদকরণ, সংকোচন (pressing), বাছাইকরণ ও বেচাকেনার জন্য ব্যবহৃত কোন ভবন বা স্থান;
 
 
 
 
(ত) “লাইসেন্স” অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;
 
 
 
 
(থ) “সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা” অর্থ পুলিশ বাহিনী, আনসার বাহিনী বা গ্রাম প্রতিরক্ষা দল৷
অগ্নি নির্বাপণ ব্রিগেড সংরক্ষণ
৩৷ (১) দেশের যে এলাকায় এই আইন কার্যকর হইবে সেই এলাকার জন্য সরকার এক বা একাধিক অগ্নি নির্বাপণ ব্রিগেড সংরক্ষণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) প্রতিটি ব্রিগেডের জন্য অগ্নি নির্বাপণী গাড়ী, পাম্প, জীপ, মটরকার, এ্যাম্বুলেন্স, ইত্যাদির সংখ্যা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির পরিমাণ এবং ব্রিগেডের সদস্য সংখ্যা সরকার কর্তৃক সময় সময় সরকারী আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, ক্ষেত্রমত, বিভিন্ন এলাকার জন্য ব্রিগেডের সরঞ্জামাদি ও উহার সদস্য সংখ্যা কম বেশী হইতে পারে৷
মালগুদাম (warehouse) ও কারখানার লাইসেন্স
৪৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন ভবন বা স্থানকে মালগুদাম (warehouse) বা কারখানা (workshop) হিসাবে ব্যবহার করিতে চাইলে এই আইন বা বিধির অধীনে মহাপরিচালকের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বলবত্ কোন আইনের অধীন কোন ভবন বা স্থানকে মালগুদাম ও কারখানা হিসাবে ব্যবহার করার জন্য লাইসেন্স প্রাপ্ত হইয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি এই আইন সংশ্লিষ্ট এলাকায় কার্যকর হইবার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে নির্ধারিত ফিস প্রদান করিয়া লাইসেন্সের জন্য আবেদন করিবেন এবং আবেদনটি বিবেচনাধীন থাকাবস্থায় বিদ্যমান লাইসেন্সের অধীন সংশ্লিষ্ট ভবন বা স্থানকে মালগুদাম বা কারখানা হিসাবে ব্যবহার করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) লাইসেন্সের আবেদন নির্ধারিত ফরমে এবং পদ্ধতিতে করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) লাইসেন্সের আবেদন প্রাপ্তির ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক এই আইন ও বিধি অনুযায়ী সন্তুষ্ট হইলে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য নির্ধারিত ফরমে লাইসেন্স প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) এই ধারা অনুসারে মহাপরিচালক লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে সন্তুষ্ট না হইলে লাইসেন্সের আবেদন প্রাপ্তির ১২০ (একশত বিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক আবেদনকারীকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া তদ্‌সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
 
 
 
 
(ক) কোন আবেদন গ্রহণযোগ্য হইবে না যদি উহার জন্য নির্ধারিত ফিস মহাপরিচালক বরাবরে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা করিয়া চালানের একটি অনুলিপি আবেদনের সহিত সংযুক্ত করা না হয়; এবং
 
 
 
 
(খ) কোন লাইসেন্স প্রদান করা হইবে না যদি নির্ধারিত লাইসেন্স ফিস নির্ধারিত পদ্ধতিতে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা করিয়া চালানের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের বরাবরে জমা করা না হয়৷
 
 
 
 
(৭) মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত স্মারক প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, মহাপরিচালকের নিকট তাহার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার (Review) জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক তদ্‌সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৯) মহাপরিচালকের কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত স্মারক প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন আপীল প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার তদ্‌সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 
(১১) কোন লাইসেন্স নষ্ট হইলে বা হারাইয়া গেলে, নির্ধারিত ফিস নির্ধারিত পদ্ধতিতে ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা করিয়া চালানের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের বরাবরে জমা প্রদান করিলে, মহাপরিচালক লাইসেন্সের একটি ডুপ্লিকেট প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(১২) মহাপরিচালক ভিন্নরূপ কোন মন্তব্য না করিলে নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে প্রতি বত্সর লাইসেন্স নবায়ন করা যাইবে৷
লাইসেন্স বাতিল, ইত্যাদি
৫৷ (১) মহাপরিচালক নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোন লাইসেন্স বাতিল করিতে পারিবেন:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তিকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান না করিয়া কোন লাইসেন্স বাতিল করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) লাইসেন্স বাতিলের কারণে কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি লাইসেন্স বাতিল আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালকের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মহাপরিচালক উহা মঞ্জুর বা না-মঞ্জুর করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত স্মারক প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে, নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে, সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন আপীল প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার তদ্‌সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
লাইসেন্স হস্তান্তর যোগ্য নয়
৬৷ (১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন লাইসেন্স হস্তান্তর যোগ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন ভবন বা স্থানের মালিকানা হস্তান্তর হইলে উক্ত ভবন বা স্থানের নূতন মালিক, এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইলে, উক্ত ভবন বা স্থানকে মালগুদাম বা কারখানা হিসাবে ব্যবহার করিতে পারিবেন না বা ব্যবহৃত হইবার সুযোগ দিতে পারিবেন না৷
বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবনের নক্‌শা অনুমোদন, ইত্যাদি
৭৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অগ্নি প্রতিরোধ, অগ্নি নির্বাপণ এবং এতদ্‌সম্পর্কিত নির্ধারিত বিষয়াদির ক্ষেত্রে মহাপরিচালকের ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কোন বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের নক্‌শা অনুমোদন বা অনুমোদিত নক্‌শার সংশোধন করা যাইবে না:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মহাপরিচালক ছাড়পত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা ব্যক্তিকে অবহিত করিবেন৷
বিদ্যমান বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবন সংক্রান্ত বিধান
৮৷ (১) এই আইন কার্যকর হওয়ার তারিখে বিদ্যমান সকল বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবনের মালিক বা দখলদার সংশ্লিষ্ট ভবনের অগ্নি প্রতিরোধ, অগ্নি নির্বাপণ ও জননিরাপত্তা ব্যবস্থা বিষয়ে, এই আইন কার্যকর হওয়ার ৬ মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে, মহাপরিচালককে লিখিতভাবে রিপোর্ট প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত রিপোর্ট বিবেচনাক্রমে মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে, সংশ্লিষ্ট বহুতল বা বাণিজ্যিক ভবন পরিদর্শন করিবেন বা করাইবেন এবং তদ্‌ভিত্তিতে ভবনের মালিক বা দখলদারকে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যবস্থাদি নিশ্চিতকরণকল্পে পরামর্শ প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত পরামর্শ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ভবনের মালিক বা দখলদার ভবনটির অগ্নি নির্বাপণ, অগ্নি প্রতিরোধসহ অন্যান্য জননিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংযোজন বা সংশোধন করিতে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার অধীন যাবতীয় কার্যক্রম নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে, অন্যথায় ভবনটির অগ্নি নির্বাপণের ক্ষেত্রে অনুপযোগিতার কারণে ব্যবহারোপযোগী নয় মর্মে মহাপরিচালক ঘোষণা করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন ভবন ব্যবহার উপযোগী নয় মর্মে ঘোষণা করার কারণে কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্তরূপ ঘোষণার তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আপীল প্রাপ্তির ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকার তদ্‌সম্পর্কে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
অগ্নি নির্বাপণের সময় কতিপয় ক্ষমতা প্রয়োগ
 
 
 
 
৯৷ কোন ভবন বা স্থানে আগুন লাগিলে বা লাগিয়াছে বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ থাকিলে মহাপরিচালক বা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-
 
 
 
 
(ক) ব্রিগেডের অপারেশন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বা বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোন ব্যক্তিকে তাহার অবস্থান হইতে সরাইয়া দিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(খ) অগ্নি নির্বাপণ নিশ্চিত করার স্বার্থে কোন স্থাপনা, যত সম্ভব কম ক্ষতিসাধনক্রমে, স্থানচ্যুত করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(গ) অগ্নি প্রজ্জ্বলন স্থানে পানির প্রবাহ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পার্শ্ববর্তী এলাকার পানি সরবরাহের পাইপ বন্ধ করিতে বা করিবার আদেশ দিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ঘ) ব্রিগেডের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করিতে পারে মানুষের এমন সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করিবার উদ্দেশ্যে একজন পুলিশ কর্মকর্তার বে-আইনী সমাবেশের ক্ষেত্রে যে ক্ষমতা থাকে সেই ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন;
 
 
 
 
(ঙ) অগ্নি নির্বাপণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
সার্ভিস চার্জ প্রদান সাপেক্ষে সেবা প্রদান
 
 
 
 
১০৷ এই আইন কার্যকর হয় নাই এমন কোন এলাকায় ভবন, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা এবং কৃষিপণ্য, বাণিজ্য মেলাসহ যে কোন মেলা ও প্রদর্শনীতে অগ্নি নির্বাপণের জন্য অনুরুদ্ধ হইলে মহাপরিচালক কোন ব্রিগেড হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য ও সরঞ্জামাদি পাঠাইতে পারিবেন এবং এইরূপ সেবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে সার্ভিস চার্জ হিসাবে নির্ধারিত ফিস প্রদান করিতে হইবে৷
অগ্নি নির্বাপণের কাজে পানি ব্যবহারে বাধা প্রদান নিষিদ্ধ
১১৷ অগ্নি নির্বাপণের জন্য প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন ডোবা, পুকুর, নালা বা লেক হইতে পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মালিক, দখলদার বা অন্য কোন ব্যক্তি কোন প্রকার বাধা প্রদান করিতে পারিবেন না৷
প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা
১২৷ এই আইন বা বিধির বিধানাবলী এবং লাইসেন্সের শর্তাবলী যথাযথভাবে পালিত হইতেছে কিনা তাহা যাচাইয়ের জন্য মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অধিদপ্তরের চাকুরীতে কর্মরত কোন ব্যক্তি কোন ভবন বা স্থানে নির্ধারিত পদ্ধতি এবং সময়ে প্রবেশ, প্রয়োজনীয় পরিদর্শন, জরিপ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পরিমাপ করিতে এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করিতে পারিবেন৷
অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত, ইত্যাদি
১৩৷ (১) মহাপরিচালক যে কোন অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত করিতে বা করাইতে পারিবেন এবং এইরূপ তদন্ত পরিচালনাকালে তদন্ত কর্মকর্তা যে কোন ব্যক্তিকে তলব বা সমন করিতে পারিবেন এবং প্রয়োজনে অগ্নিকাণ্ডের সহিত সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তদন্তের ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা তত্সম্পর্কে মহাপরিচালকের নিকট লিখিতভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি কোন ব্যক্তি বা বীমা কোম্পানীসহ যে কোন কর্তৃপক্ষকে, নির্ধারিত হার ও পদ্ধতিতে ফিস প্রদান সাপেক্ষে, সরবরাহ করা যাইবে৷
ব্রিগেডের সাহায্যে সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ইত্যাদি
১৪৷ মহাপরিচালক বা ব্রিগেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক মৌখিক বা অন্যভাবে অনুরুদ্ধ হইলে, সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাসহ যে কোন ব্যক্তি, বা প্রতিষ্ঠান তাহার বা উহার পক্ষে সম্ভব সকল প্রকারে ব্রিগেডের অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করিবে৷
অধিদপ্তরের সদস্য শ্রমিক হিসাবে গণ্য না হওয়া
১৫৷ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী Industrial Relations Ordinance, 1969 (XXIII of 1969) এর বিধান মোতাবেক শ্রমিক হিসাবে গণ্য হইবেন না এবং তাহারা কোন ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হইতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
জনসেবক
১৬৷ এই আইনের অধীনে কর্মরত যে কোন ব্যক্তি এবং অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860) এর section 21 এ public servant (জনসেবক) কথাটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সে অর্থে public servant (জনসেবক) বলিয়া গণ্য হইবেন৷
ধারা ৪ এর বিধান ভংগের শাস্তি
১৭৷ যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত না হইয়া কোন ভবন বা স্থানকে মালগুদাম বা কারখানা হিসাবে ব্যবহার করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যুন ৩ (তিন) বত্সরের কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত ভবন বা স্থানের যাবতীয় মালামাল বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷
লাইসেন্সের শর্ত পালন না করার শাস্তি
১৮৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্সের কোন শর্ত পালন করিতে ব্যর্থ হইলে তিনি, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, অন্যুন ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ধারা ১৪ এ বর্ণিত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা বা কর্তৃপক্ষের কাজে বাধা প্রদানের শাস্তি
১৯৷ যদি কোন ব্যক্তি অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এবং ধারা ১৪ তে বর্ণিত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষকে তাহার বা, ক্ষেত্রমত, উহার কার্য-সম্পাদনে ইচ্ছাপূর্বক বাধা প্রদান করেন বা অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত সাজ-সরঞ্জাম বা গাড়ী, এ্যাম্বুলেন্স, ইত্যাদি ভাংচুর করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যুন ১ (এক) বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বত্সরের কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই এই রকম অপরাধের শাস্তি
২০৷ কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন কাজ করেন বা করিতে বিরত থাকেন যাহা এই আইনের কোন বিধান বা বিধানের অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ অমান্য করার সামিল কিন্তু তজ্জন্য এই আইনে কোন স্বতন্ত্র দণ্ডের ব্যবস্থা রাখা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি অন্যুন ১ (এক) বত্সরের কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷
দাহ্যবস্তু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, বাছাইকরণ, সংকোচন, ইত্যাদির শাস্তি
২১৷ যদি কোন ব্যক্তি এই আইন বা নির্ধারিত বিধান লংঘন করিয়া কোন ভবন বা স্থানে দাহ্যবস্তু সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, সংকোচন বা বাছাই করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যুন ২ (দুই) বত্সরের কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত দাহ্যবস্তু সরকার বরাবরে বাজেয়াপ্ত যোগ্য হইবে৷
ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির দাবী অগ্রহণযোগ্য
২২৷ ধারা ৫ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের ফলে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি তজ্জন্য, অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ক্ষতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না বা তত্কর্তৃক প্রদত্ত কোন ফিস ফেরত চাহিতে পারিবেন না৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২৩৷ এই আইনের অধীন কোন বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত লংঘন যে কার্য সম্পর্কিত সেই কার্যের দায়িত্বে নিয়োজিত উক্ত কোম্পানীর প্রত্যেক পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এজেন্ট উক্ত বিধান লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
 
 
ব্যাখ্যা৷-এই ধারায়-
 
 
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে; এবং
 
 
 
 
(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে, “পরিচালক” বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে৷
অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি
২৪৷ (১) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোন আদালত এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের জন্য গ্রহণ করিবে না৷
 
 
 
 
(২) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধ আমলযোগ্য বা ধর্তব্য (cognizable) অপরাধ হইবে৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
২৫৷ এই আইন বা বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কাজের ফলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য ব্রিগেড বা অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী অথবা অন্য কোন সংস্থার বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা, অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
ক্ষমতা অর্পণ
২৬৷ মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা অধিদপ্তরের অন্য কোন কর্মকর্তাকে বা, ক্ষেত্রমত, ডেপুটি কমিশনারকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
২৭৷ (১) প্রতি বত্সর ৩১শে আগস্ট এর মধ্যে মহাপরিচালক তদ্‌কর্তৃক পূর্ববর্তী বত্সরের সম্পাদিত কার্যাবলীর খতিয়ান সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, মহাপরিচালকের নিকট হইতে যে কোন সময়ে অধিদপ্তরের যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন এবং বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং মহাপরিচালক উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বিশেষ করিয়া, এবং উপ-ধারা (১) এর সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করিয়া, সরকার নিম্নবর্ণিত যে কোন বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) ব্রিগেড সদস্যদের নিয়োগ, শৃঙ্খলা ও চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি;
 
 
(খ) ব্রিগেড সদস্যদের প্রশিক্ষণ;
 
 
 
 
(গ) লাইসেন্স সম্পর্কিত এমন কোন বিষয় যাহা অন্য কোন ধারায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় নাই;
 
 
 
 
(ঘ) লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি এবং এতদুদ্দেশ্যে লাইসেন্সধারী কর্তৃক পালনীয় শর্তাবলী;
 
 
 
 
(ঙ) অগ্নি প্রতিরোধ, নির্বাপণ ও জননিরাপত্তা ব্যবস্থা ও উদ্ধার কার্য সম্পর্কিত পদ্ধতি নিরূপণ;
 
 
 
 
(চ) অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্রিগেডের দায়িত্ব ও কার্যাবলী নির্ধারণ;
 
 
 
 
(ছ) এই আইনের আওতা বহির্ভূত এলাকায় অগ্নি নির্বাপণ সার্ভিস প্রদানের জন্য সার্ভিস চার্জ সম্পর্কিত বিষয়াবলী;
 
 
 
 
(জ) কোন ভবন বা স্থানে প্রবেশক্রমে জরিপ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পরিদর্শন, পরিমাপ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াবলী৷
অগ্নি নির্বাপণ অধিদপ্তর
২৯৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে অগ্নি নির্বাপণ ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা অধিদপ্তর নামে একটি অধিদপ্তর থাকিবে, যাহার প্রধান হইবেন একজন মহাপরিচালক৷
 
 
 
 
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা মহাপরিচালক স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি মহাপরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) অধিদপ্তরের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে নিয়োগ করা হইবে৷
 
 
 
 
(৫) মহাপরিচালকের দায়িত্ব হইবে, এই আইন এবং Civil Defence Act, 1952 (XXXI of 1952) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় কার্যাদি এবং সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুরূপ অন্যান্য কার্য সম্পাদন করা৷
রহিতকরণ ও হেফাজত
৩০৷ (১) Fire Service Ordinance, 1959 (E. P. Ord. No. XVII of 1959), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
 
 
 
 
(ক) Fire Service and Civil Defence Department, অতঃপর বিলুপ্ত Department বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
 
 
(খ) বিলুপ্ত Department এর সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার অধিদপ্তরে হস্তান্তরিত হইবে এবং অধিদপ্তর উহার অধিকারী হইবে;
 
 
 
 
(গ) বিলুপ্ত হইবার অব্যবহিত পূর্বে বিলুপ্ত Department এর যে সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব ছিল তাহা অধিদপ্তরের ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত হইবার পূর্বে বিলুপ্ত Department কর্তৃক অথবা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত যে সকল মামলা-মোকদ্দমা চালু ছিল, সেই সকল মামলা-মোকদ্দমা অধিদপ্তর কর্তৃক অথবা অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) বিলুপ্ত Department এর মহাপরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরী অধিদপ্তরে হস্তান্তরিত হইবে এবং তাঁহারা সরকার বা, ক্ষেত্রমত, মহাপরিচালক কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাঁহারা এই হস্তান্তরের পূর্বে যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, অধিদপ্তর কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে অধিদপ্তরের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন;
 
 
 
 
(চ) উক্ত Ordinance এর অধীন প্রণীত সকল বিধি, আদেশ, প্রজ্ঞাপন বা নোটিশ, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবত্ থাকিবে৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs