প্রিন্ট ভিউ

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ২৫ নং আইন )

এই আইনটি বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ১৩ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে ।

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু বিদ্যমান রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা ও প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আইন, ২০০৩ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে এই আইন বলবত্ হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(ক) “ইনস্টিটিউট” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট;
 
 
 
 
(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(গ) “পরিচালক” অর্থ ইনস্টিটিউট এর পরিচালক;
 
 
 
 
(ঘ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(ঙ) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৬ এর অধীন গঠিত পরিচালনা বোর্ড;
 
 
 
 
(চ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
 
 
(ছ) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের সদস্য এবং চেয়ারম্যানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন৷
ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার সংগে সংগে বিদ্যমান রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের অধীন বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট নামে একটি সংবিধিবদ্ধ স্বতন্ত্র সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হইবে৷
 
 
(২) ইনস্টিটিউটের স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) “বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট”- এই নামে ইনস্টিটিউট কর্তৃক বা ইনস্টিটিউট এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাইবে৷
প্রধান কার্যালয়
৪৷ ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় রাজশাহীতে থাকিবে এবং ইহা প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
পরিচালনা ও প্রশাসন
৫৷ ইনস্টিটিউটের পরিচালনা ও প্রশাসন বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে৷
পরিচালনা বোর্ড ও ইহার গঠন
৬৷ (১) ইনস্টিটিউটের একটি পরিচালনা বোর্ড থাকিবে, যাহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি বোর্ডের চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, যদি থাকে, যিনি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(গ) সচিব, বস্ত্র মন্ত্রণালয়, যিনি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(ঘ) সংস্থাপন মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব এর পদমর্যাদাসম্পন্ন ইহার একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(ঙ) অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব এর পদমর্যাদাসম্পন্ন ইহার একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(চ) কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যুন যুগ্ম-সচিব এর পদমর্যাদাসম্পন্ন ইহার একজন কর্মকর্তা;
 
 
 
 
(ছ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, রাজশাহী;
 
 
 
 
(জ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন, ঢাকা;
 
 
 
 
(ঝ) সরকার কর্তৃক মনোনীত রেশম পোকা পালনকারী, রেশম সুতা উত্পাদনকারী, রেশম বস্ত্র বুননকারী বা রেশম পণ্যের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্য হইতে একজন এবং রেশম চাষের সহিত সম্পৃক্ত বেসরকারী সংস্থার (এন, জি, ও) মধ্য হইতে দুইজন প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(ঞ) পরিচালক, যিনি বোর্ডের সচিবও হইবেন৷
 
 
 
 
(২) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না৷
সদস্যের মেয়াদ
৭৷ (১) ধারা ৮ এর বিধান সাপেক্ষে, ধারা ৬ (১) এর দফা (ঝ) এর অধীন মনোনীত সদস্যের মেয়াদ হইবে তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী তিন বত্সর৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত যে কোন মনোনীত সদস্য চেয়ারম্যানের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
সদস্যের অযোগ্যতা
৮৷ (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৬ (১) এর দফা (ঝ) এর অধীন সদস্য হইবার বা থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি-
 
 
 
 
(ক) তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করেন বা হারান;
 
 
 
 
(খ) কোন আদালত তাঁহাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করে;
 
 
 
 
(গ) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোন ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া আদালত কর্তৃক অন্যুন এক বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বত্সরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে; অথবা
 
 
 
 
(ঘ) তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হইবার দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করিয়া থাকেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বিদ্যমান বিধান থাকা সত্ত্বেও সরকার ধারা ৬(১) এর দফা (ক) হইতে (গ) এ উল্লিখিত সদস্য ব্যতীত যে কোন সদস্যকে লিখিত আদেশের মাধ্যমে অপসারণ করিতে পারিবেন, যদি তিনি-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের অধীন তাঁহার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন বা অস্বীকার করেন বা সরকারের বিবেচনায় দায়িত্ব সম্পাদনে অক্ষম বিবেচিত হন; অথবা
 
 
 
 
(খ) সরকারের বিবেচনায় সদস্য হিসাবে তাঁহার পদের অপব্যবহার করিয়াছেন; অথবা
 
 
 
 
(গ) সরকারের লিখিত অনুমতি ব্যতীত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজে বা কোন অংশীদারের মাধ্যমে জ্ঞাতসারে ইনস্টিটিউট বা ইনস্টিটিউট এর পক্ষে কোন চুক্তি বা চাকুরী সংক্রান্ত বিষয়ে লাভজনক কিছু অর্জন করেন বা অধিকারে রাখেন৷
ইনস্টিটিউট এর কার্যাবলী
৯৷ ইনস্টিটিউট এর কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ-
 
 
 
 
(ক) রেশম চাষ ও রেশম শিল্পের বৈজ্ঞানিক, কারিগরী ও আর্থিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহায়তা অথবা উত্সাহ প্রদান;
 
 
(খ) তুঁত, ভেরেণ্ডা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উদ্ভিদের উন্নতমানের চাষাবাদের পদ্ধতি উদ্ভাবন করা;
 
 
 
 
(গ) রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নিকট সংরক্ষিত এবং ভবিষ্যতে সংগ্রহিতব্য সকল প্রকার রেশম পোকার জাত সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণ;
 
 
 
 
(ঘ) উন্নতজাতের সুস্থ পলুপোকার ডিম পালন, উদ্ভাবন ও উহা বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশনসহ রেশম চাষের সাথে সম্পৃক্ত এনজিও বা অনুরূপ সংস্থার মাধ্যমে রেশম চাষীদের মধ্যে বিতরণ করা;
 
 
 
 
(ঙ) রেশম গুটি হইতে সুতা আহরণ এবং কাঁচা রেশমের গুণগতমান ও উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করা;
 
 
 
 
(চ) চরকা রিলিং ও ফিলেচারে নিয়োজিত ব্যক্তিদেরকে কারিগরী পরামর্শ প্রদান;
 
 
 
 
(ছ) কাঁচা রেশম ও রেশম পণ্যের মান উন্নয়ন করা;
 
 
 
 
(জ) রেশম চাষ ও শিল্পের সহিত সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের সুবিধাদি সৃষ্টি করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা;
 
 
 
 
(ঝ) সিল্ক রিয়ারার, রিলার, স্পীনার, উইভার ও প্রিন্টারদের প্রশিক্ষণ দানের সুবিধা সৃষ্টি করা;
 
 
 
 
(ঞ) গবেষণা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলসমূহ মাঠ পর্যায়ে স্থানান্তর এবং এইগুলোর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ;
 
 
 
 
(ট) রেশম চাষ ও রেশম শিল্পে নিয়োজিত পেশাজীবীদের সুবিধাদি ও প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য প্রকল্প প্রণয়ন, পরিচালন ও বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা;
 
 
 
 
(ঠ) উপরি-উক্ত কার্যাদি সম্পাদনের ক্ষেত্রে যেইরূপ প্রয়োজন অথবা সুবিধাজনক হয় সেইরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করা৷
পরিচালক
১০৷ (১) ইনস্টিটিউটের একজন পরিচালক থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) পরিচালকের পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে পরিচালক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) পরিচালক ইনস্টিটিউটের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং তিনি-
 
 
 
 
(ক) বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;
 
 
 
 
(খ) বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ইনস্টিটিউটের অন্যান্য কার্য সম্পাদন করিবেন৷
বোর্ডের সভা
১১৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ছয় মাসে বোর্ডের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) বোর্ডের সভার সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৫) চেয়ারম্যানের পক্ষে সময় দেওয়া সম্ভব না হইলে, চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে, ভাইস-চেয়ারম্যান সভা আহ্বান ও পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
কমিটি
১২৷ বোর্ড উহার দায়িত্ব পালনে উহাকে সহায়তাদানের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা
১৩৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, এই আইনের বিধানাবলীর সাথে অসংগিতপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, ইনস্টিটিউটকে যে কোন নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং ইনস্টিটিউট উহা পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷
চেয়ারম্যান-এর বিশেষ ক্ষমতা
১৪৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এই আইনের বিধানাবলীর সাথে অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, ইনস্টিটিউট এর স্বার্থে তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে চেয়ারম্যান যে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যাহা বোর্ডের পরবর্তী সভায় অনুমোদিত হইতে হইবে৷
ইনস্টিটিউটের তহবিল
১৫৷ (১) ইনস্টিটিউটের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে-
 
 
 
 
(ক) সরকারী অনুদান;
 
 
 
 
(খ) স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুদান;
 
 
 
 
(গ) ইনস্টিটিউটের সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
 
 
 
 
(ঘ) সরকারের অনুমোদনক্রমে, কোন বিদেশী সরকার বা প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত দান, সাহায্য বা মঞ্জুরী;
 
 
 
 
(ঙ) ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রাপ্ত অন্য যে কোন অর্থ, জমা হইবে৷
 
 
(২) ইনস্টিটিউটের তহবিল বোর্ডের অনুমোদনক্রমে যে কোন তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷
 
 
 
 
(৩) ইনস্টিটিউট উহার দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে উহার তহবিল ব্যবহার করিতে পারিবে৷
ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা
১৬৷ ইনস্টিটিউট উহার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন তফসিলি ব্যাংক হইতে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১৭৷ ইনস্টিটিউট উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
বার্ষিক বাজেট বিবরণী
১৮৷ ইনস্টিটিউট প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরবর্তী বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বত্সরে সরকারের নিকট হইতে ইনস্টিটিউটের কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন উহার উল্লেখ থাকিবে৷
হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৯৷ (১) ইনস্টিটিউট যথাযথভাবে উহার হিসাবরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর “মহা হিসাব নিরীক্ষক” নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর ইনস্টিটিউটের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও ইনস্টিটিউটের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) মোতাবেক হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ইনস্টিটিউটের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং ইনস্টিটিউটের যে কোন সদস্য, কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
হিসাব বিবরণী, ইত্যাদি
২০৷ (১) ইনস্টিটিউট প্রত্যেক অর্থ-বত্সর শেষে নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী, মন্তব্যসহ, সরকারের নিকট দাখিল করিবে এবং এতদ্‌বিষয়ে ইনস্টিটিউট এর কর্মকাণ্ডের উপর একটি বার্ষিক বিবরণীও দাখিল করিবে৷
 
 
 
 
(২) ইনস্টিটিউট সরকার কর্তৃক, সময়ে সময়ে, চাহিদাকৃত বিবরণী, রিটার্ণ ও প্রতিবেদন সরকারের নিকট দাখিল করিবে৷
ক্ষমতা অর্পণ
২১৷ বোর্ড উহার যে কোন ক্ষমতা, তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, চেয়ারম্যান বা অন্য কোন সদস্য বা পরিচালক বা ইনস্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবে৷
দায়মুক্তি
২২৷ এই আইনের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাঁহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য চেয়ারম্যান, সদস্য, পরিচালক বা ইনস্টিটিউটের অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২৩৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২৪৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ইনস্টিটিউট, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
রহিতকরণ ও হেফাজত
২৫৷ এই আইন বলবত্ হইবার সংগে সংগে বাংলাদেশ সেরিকালচার বোর্ড এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ২২শে ডিসেম্বর, ২০০১ তারিখে সম্পাদিত চুক্তি, অতঃপর চুক্তি বলিয়া উল্লিখিত, বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে৷ উক্ত চুক্তি বাতিল হইবার সংগে সংগে-
 
 
 
 
(ক) উক্ত চুক্তির অধীন হস্তান্তরিত বাংলাদেশ সেরিকালচার রিসার্চ ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, অতঃপর বিলুপ্ত ইনস্টিটিউট বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
 
 
 
 
(খ) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ এবং ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার ইনস্টিটিউটে হস্তান্তরিত হইবে এবং ইনস্টিটিউট উহার অধিকারী হইবে;
 
 
 
 
(গ) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউট কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা -মোকদ্দমা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের সকল ঋণ, দায় এবং দায়িত্ব ইনস্টিটিউটের ঋণ, দায় ও দায়িত্ব হইবে;
 
 
 
 
(ঙ) বিলুপ্ত ইনস্টিটিউটের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইনস্টিটিউটে বদলী হইবেন এবং তাহারা ইনস্টিটিউট কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ বদলীর পূর্বে তাহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে তাহারা ইনস্টিটিউটের চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs