প্রিন্ট ভিউ

ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০০৪

( ২০০৪ সনের ২৩ নং আইন )

এই অাইনটি ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্র্পক আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ৪৩ নং আইন) দ্বারা রহিত করা হইয়াছে।

ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্কিত আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসমূহে শ্রমিকদের সংঘ করিবার অধিকার স্বীকার, মালিক ও শ্রমিকগণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ এবং তাহাদের মধ্যে উদ্ভূত মত পার্থক্য বা বিরোধ মীমাংসা এবং উহাদের সহিত সম্পর্কিত বা সহায়ক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করিবার জন্য আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল-
 
 
 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনামা, প্রয়োগ এবং প্রবর্তন
১৷ (১) এই আইন ইপিজেড শ্রমিক সংঘ ও শিল্প সম্পর্ক আইন, ২০০৪ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) সমগ্র বাংলাদেশে ইহার প্রয়োগ হইবে৷
 
 
 
 
(৩) ইহা Bangladesh Export Processing Zones Authority Act, 1980 (Act No. XXXVI of 1980)-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল-এর কর্মচারী ও মালিকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৪) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী না হইলে, এই আইনে,-
 
 
 
 
(১) “সালিসকারী” অর্থ ধারা ৫৩-এর অধীন নিযুক্ত অনুরূপ কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(২) “আপীল ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ৫৯-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল;
 
 
 
 
(৩) “সংঘ” অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত কোন শ্রমিক সংঘ;
 
 
 
 
(৪) “কর্তৃপক্ষ” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ৩৬ নং আইন)-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ;
 
 
(৫) “রোয়েদাদ” অর্থ শ্রম ট্রাইব্যুনাল, সালিসকারী অথবা শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কোন শিল্প বিরোধ অথবা উহার সহিত সম্পর্কিত কোন বিষয়ে প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, এবং কোন অন্তর্বর্তীকালীন রোয়েদাদ উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
 
 
(৬) “যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট” অর্থ কোন শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহ সম্পর্কে ধারা ৪৫-এর অধীন শ্রমিক সংঘ যাহা যৌথ দর-কষাকষির বিষয়ে উক্ত ইউনিট বা ইউনিটসমূহে দর-কষাকষির উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(৭) “কোম্পানী” অর্থ ১৯৯৪ সালে কোম্পানী আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন কোম্পানী যাহার অধীন কোন অঞ্চলে এক বা একাধিক শিল্প ইউনিট রহিয়াছে;
 
 
 
 
(৮) “মীমাংসা কার্যক্রম” অর্থ এই আইনের অধীন মীমাংসাকারীর নিকট নিষ্পন্নাধীন কোন কার্যক্রম;
 
 
 
 
(৯) “মীমাংসাকারী” অর্থ ধারা ৪৮-এর অধীন অনুরূপ পদে নিযুক্ত কোন ব্যক্তি;
 
 
 
 
(১০) “মালিক” অর্থ কোন শিল্প ইউনিট সম্পর্কে এইরূপ কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ, নিগমিত হইয়া থাকুন বা না থাকুন, যিনি বা যাহা নিয়োগ সম্পর্কিত চুক্তির অধীন শ্রমিকগণকে কোন শিল্প ইউনিটে নিয়োগদান করিয়া থাকেন বা থাকে; এবং কোন অঞ্চলে এক বা একাধিক শিল্প ইউনিটে শ্রমিক নিয়োগকারী কোন নিবন্ধিত কোম্পানী মালিক বলিয়া গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(১১) “নির্বাহী চেয়ারম্যান” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(১২) “নির্বাহী পরিষদ” অর্থ কোন সংঘের গঠনতন্ত্র দ্বারা উক্ত সংঘের বিষয়াদির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিষদ;
 
 
 
 
(১৩) “ইপিজেড” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৮০-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত কোন রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল;
 
 
 
 
(১৪) “অবৈধ লক-আউট” অর্থ এই আইনের বিধানাবলীর ব্যত্যয়ে ঘোষিত, সূচিত বা অব্যাহত লক-আউট;
 
 
 
 
(১৫) “অবৈধ ধর্মঘট” অর্থ এই আইনের বিধানাবলীর ব্যত্যয়ে ঘোষিত, সূচিত বা অব্যাহত কোন ধর্মঘট;
 
 
 
 
(১৬) “শিল্প বিরোধ” অর্থ মালিক এবং শ্রমিকের মধ্যে উদ্ভূত কোন বিরোধ বা মতপার্থক্য যাহা কোন ব্যক্তির নিয়োগ বা অনিয়োগ বা নিয়োগের শর্তাবলী বা কর্মের শর্তাদির সহিত সম্পর্কিত;
 
 
(১৭) “শিল্প ইউনিট” অর্থ কোন অঞ্চলে কোন দ্রব্য বা পণ্য প্রস্তুত বা উত্পাদন করিবার জন্য প্রতিষ্ঠিত কোন শিল্প ইউনিট; এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় অধ্যায়ের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে একটি অঞ্চলে একই মালিকের অধীন একাধিক শিল্প ইউনিট একটি শিল্প ইউনিট হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
 
 
(১৮) “লক-আউট” অর্থ মালিক কর্তৃক কোন কর্মস্থল বন্ধ করা অথবা উক্ত কর্মস্থলের কোন অংশ বন্ধ করা, অথবা সামগ্রিক বা আংশিকভাবে সাময়িক কাজ বন্ধ করা, অথবা কোন শিল্প বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ের সহিত জড়িত হইবার ফলে মালিক কর্তৃক অনুরূপভাবে সাময়িক বা পূর্ণকালীন বন্ধ ইউনিটের সামগ্রিকভাবে বা শর্তাধীনে কর্মচারীদিগকে কাজ করিতে দিতে অস্বীকার করা, অথবা চাকুরীর সহিত জড়িত কোন শর্তাবলী মানিয়া লইবার জন্য কর্মচারীদিগকে বাধ্য করাইবার উদ্দেশ্যে মালিক কর্তৃক ইউনিট বন্ধকরণ, সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখা, অথবা কাজ করিতে দিতে অস্বীকার করা;
 
 
 
 
(১৯) “সংগঠন” অর্থ শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও উন্নতিসাধন করিবার উদ্দেশ্যে কোন শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহে যোগ্য শ্রমিকগণের সমন্বয়ে গঠিত শ্রমিক সংঘ;
 
 
 
 
(২০) “কর্মকর্তা” অর্থ কোন সংঘ সম্পর্কে উক্ত সংঘের নির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য;
 
 
 
 
(২১) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
 
 
(২২) “প্রবিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন প্রবিধি;
 
 
 
 
(২৩) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধি;
 
 
 
 
(২৪) “মীমাংসা” অর্থ মীমাংসা কার্যক্রমে উপনীত কোন মীমাংসা, এবং মীমাংসা কার্যক্রমবহির্ভূত অন্য কোন পদ্ধতিতে মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে উপনীত লিখিতভাবে সম্পাদিত এবং স্বাক্ষরিত কোন চুক্তি;
 
 
 
 
(২৫) “ধর্মঘট” অর্থ কোন শিল্প ইউনিটে কর্মে নিযুক্ত একদল শ্রমিক কর্তৃক সাধারণ ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধভাবে কাজ বন্ধ করা;
 
 
 
 
(২৬) “স্বাক্ষর” অর্থ বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যদি উক্ত শব্দ কোন শ্রমিক সম্পর্কে ব্যবহৃত হইয়া থাকে;
 
 
 
 
(২৭) “ট্রাইব্যুনাল” অর্থ ধারা ৫৬-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল;
 
 
 
 
(২৮) “শ্রমিক সংঘ” অর্থ এই আইনের অধীন শ্রমিক ও মালিকগণের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করিবার উদ্দেশ্যে শ্রমিকগণ কর্তৃক গঠিত সংঘ;
 
 
 
 
(২৯) “শ্রমিক” অর্থ মালিকের সংজ্ঞায় পড়ে না এমন যে কোন ব্যক্তি (শিক্ষানবিস হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তিসহ), যিনি, বেতন বা পারিতোষিকের ভিত্তিতে কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে কোন দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরী অথবা করণিক কার্য করিবার জন্য, সরাসরিভাবে বা ঠিকাদারের মাধ্যমে যেভাবেই হউক না কেন, নিযুক্ত হইয়াছেন, এবং উক্তরূপ নিযুক্তির শর্ত স্পষ্টভাবে ব্যক্ত থাকুক বা না থাকুক, সেই ব্যক্তি শ্রমিক হিসাবে গণ্য হইবেন, এবং কোন শিল্প বিরোধের প্রশ্নে এই আইন অনুসারে কার্যক্রম শুরু করিবার ক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইতে পারিবে,যাহাকে শাস্তিমূলকভাবে বরখাস্ত, পদচ্যুত, ছাঁটাই অথবা লে-অফ করা হইয়াছে, অথবা উক্ত বিরোধের সূত্র ধরিয়া বা উক্ত বিরোধের কারণে অন্য কোনভাবে চাকুরী হইতে অপসারিত করা হইয়াছে, অথবা যাহার শাস্তিমূলক পদচ্যুতি, বরখাস্ত, লে-অফ অথবা অপসারণের কারণে উক্ত বিরোধের উত্পত্তি হইয়াছে, কিন্তু নিম্নলিখিত ব্যক্তি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে না, যথা:-
 
 
 
 
(ক) ওয়াচ এন্ড ওয়ার্ড (watch and ward) সদস্য, কনফিডেনসিয়াল সহকারী, সাইফার সহকারী, অনিয়মিত শ্রমিক এবং রন্ধনশালা বা খাদ্য প্রস্তুতকারী ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োজিত শ্রমিক;
 
 
 
 
(খ) ব্যবস্থাপক বা প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তি যিনি, সুপারভাইজারী পদে নিয়োজিত হইলেও, তাহার পদের সহিত সংযুক্ত কর্তব্য অথবা তাহাকে প্রদত্ত ক্ষমতার কারণে, ম্যানেজার বা প্রশাসনিক ধরণের কাজ করিয়া থাকেন; এবং
 
 
 
 
(৩০) “অঞ্চল” অর্থ বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৮০-এর ধারা ১০-এর অধীন সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোন অঞ্চল৷
আইনের প্রাধান্য
৩৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বিপরীত যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
আইনের বিধান হইতে অব্যাহতি প্রদানে অক্ষমতা
৪৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বা অন্য কোন প্রকারে কোন অঞ্চল বা অঞ্চলসমূহে কোন শিল্প ইউনিট অথবা কোন শ্রেণী বা বর্ণনার শিল্প ইউনিটকে এই আইনের কোন বিধানের আওতা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 

দ্বিতীয় অধ্যায়

শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ কমিটি

শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ কমিটি
৫৷ (১) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পর নির্বাহী চেয়ারম্যান বা এতদুদ্দেশ্যে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা কোন অঞ্চলে শিল্প ইউনিটের মালিক ও শ্রমিকগণকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ কমিটি অতঃপর কমিটি বলিয়া অভিহিত নামে একটি কমিটি নিশ্চিত করিতে বলিবেন৷
 
 
(২) পৃথক নিগমিতকরণ সনদসহ (certificate of incorporation) কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত কোন মালিক কোন অঞ্চলে কার্যরত থাকিলে উক্ত অঞ্চলে উহার অধীনে একটি কমিটি থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত কোন মালিকের অধীনে কোন অঞ্চলে দুই বা ততোধিক শিল্প ইউনিট থাকিলে উহারা এই ধারা উদ্দেশ্যপূরণকল্পে একটি শিল্প ইউনিট হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, একজন আহ্বায়কসহ অনধিক ১৫ (পনের) এবং অন্যুন ৫ (পাঁচ) জন সদস্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) ভোট প্রদানের যোগ্য শ্রমিকদের সংখ্যা ৫০০ (পাঁচশত)-এর অধিক হইলে, কমিটির সদস্য-সংখ্যা ৫ (পাঁচ) জনের উপর প্রতি ১০০ (একশত) জনে ১ (এক) জন অনুপাতে বর্ধিত হইবে; তবে উক্ত সদস্য-সংখ্যা পূর্ব উল্লিখিত ১৫ (পনের) জনের অধিক হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) কোন শিল্প ইউনিটে নিয়োগপ্রাপ্ত কেবল যোগ্য শ্রমিকদের সমন্বয়ে উক্ত শিল্প ইউনিটের কমিটি গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৬) গোপন ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য শ্রমিকদের মধ্য হইতে কমিটির সদস্যগণ নির্বাচিত হইবেন, এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচিত সদস্যগণের মধ্য হইতে কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচিত হইবেন৷
 
 
 
 
(৭) এই অধ্যায়ের অধীন নির্বাচনের পদ্ধতি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হইবে৷
 
 
 
 
(৮) কমিটির কার্যালয় স্থাপনের জন্য শিল্প অঞ্চলের অভ্যন্তরে মালিক প্রয়োজনীয় স্থানের ব্যবস্থা করিবে৷
যোগ্য শ্রমিকের বিশেষ সংজ্ঞা
৬৷ এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “যোগ্য শ্রমিক” অর্থে-
 
 
 
 
(ক) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের কমিটির সদস্য নির্বাচন করিবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে চাকুরীতে নিয়োজিত হইবার প্রথম দিন হইতেই একজন শ্রমিককে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(খ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্তত: ৯ (নয়) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(গ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পরে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের কমিটির সদস্য নির্বাচন করিবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্তত: ৩ (তিন) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে; এবং
 
 
(ঘ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পরে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের কমিটির সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৩ (তিন) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইব৷
শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ কমিটির নিবন্ধন ও মর্যাদা
৭৷ (১) কোন অঞ্চলের কোন শিল্প ইউনিটের গঠিত কোন কমিটি নাম সহকারে কর্তৃপক্ষের নিকট নিবন্ধিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত কমিটি একটি নিগমবন্ধ সংস্থা (Body Corporate) হিসাবে গণ্য হইবে, যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাসহ একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে, এবং নিবন্ধিত নামে ইহা চুক্তি করিতে ও এই আইনের আওতায় সীমিত কার্যাবলী সম্পাদন করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহা মামলা করিতে পারিবে ও ইহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে৷
কমিটির অধিকার ও কার্যাবলী
৮৷ (১) মালিকের সহিত চাকুরীর শর্তাদি এবং উত্পাদনশীলতা ও প্রবৃদ্ধি হইতে প্রাপ্য পারিশ্রমিক বা পাওনা এবং শ্রমিকদের শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে আলাপ-আলোচনার অধিকার কমিটির থাকিবে৷ চাকুরীর শর্তাদি এবং উত্পাদনশীলতা ও প্রবৃদ্ধি হইতে প্রাপ্য পারিশ্রমিক বা পাওনা এবং শ্রমিকদের শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়ে আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্যে তথ্য প্রাপ্তির জন্য কমিটি কর্তৃক পেশকৃত কোন যুক্তিসংগত অনুরোধ মালিক অস্বীকার করিবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে কমিটি বিদ্যমান থাকাকালে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন ও আর্থিক সুবিধাদি কার্যকর থাকিবে এবং উপ-ধারা (১) অনুযায়ী কোন সুযোগ-সুবিধা ইহার অতিরিক্ত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ ও কমিটির মধ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্পাদিত লিখিত চুক্তির আইনগত বাধ্যবাধকতা থাকিবে এবং ইহা আদালতের মাধ্যমে বলবত্যোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৪) কমিটির কার্যাবলী হইবে শিল্প সম্পর্কের উন্নয়ন, বিরোধ-নিবারণ ও নিষ্পত্তিতে প্রয়াস গ্রহণ এবং মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে সুসম্পর্ক নিশ্চিত ও অক্ষুণ্ন রাখিবার ব্যবস্থা গ্রহণে উত্সাহ প্রদান করা, এবং বিশেষভাবে-
 
 
 
 
(ক) মালিক ও শ্রমিকগণের মাঝে পারস্পরিক সমঝোতা বজায় রাখিবার উদ্দেশ্যে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো;
 
 
 
 
(খ) কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তার শর্তাদি এবং চাকুরীর নিশ্চয়তা ও কর্মের সন্তুষ্টির উন্নয়ন করা;
 
 
 
 
(গ) শিল্প ইউনিটের মধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণের উত্সাহ প্রদান করা;
 
 
 
 
(ঘ) শিল্প ইউনিটের উত্তম ও সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মের পরিবেশ সৃষ্টি করিতে সহায়ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা; এবং
 
 
(ঙ) উত্তম শ্রম-ব্যবস্থাপনা গড়িয়া তুলিবার উদ্দেশ্যে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করা৷
 
 
 
 
(৫) কর্তৃপক্ষ প্রবিধির মাধ্যমে উক্ত কমিটির অন্যান্য কার্যাবলী ও ভূমিকা সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
কমিটির সভা
৯৷ (১) শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ কমিটি ৮ ধারার অধীন কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে আলোচনা ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করিতে প্রতি দুই মাসে অন্ততঃ একবার সভায় মিলিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) কমিটির প্রতিটি সভার কার্যবিবরণী সভা অনুষ্ঠিত হইবার ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং মীমাংসাকারী-এর নিকট পেশ করিতে হইবে৷
বিধি ও কার্যবিধি নির্ধারণে কমিটির স্বাধীনতা
১০৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন গঠিত কমিটি ইহার অভ্যন্তরীণ নীতিমালা, বিধি ও কার্যপদ্ধতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) কমিটি কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন গৃহীত নীতিমালা, বিধি ও কার্যপদ্ধতি এই আইন, বিধিমালা এবং এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধানমালার কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ হইবে না৷
কমিটির মেয়াদ ও অবসায়ন
১১৷ (১) যে কোন শিল্প ইউনিটের জন্য গঠিত কমিটি ৩১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যমান থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ইচ্ছানুযায়ী কমিটি ৩১ অক্টোবর, ২০০৬ তারিখের পরেও কার্য চালাইয়া যাইতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন শিল্প ইউনিটে শ্রমিক সংঘ গঠিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে কমিটির অবসায়ন হইবে৷
কমিটির নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
১২৷ (১) কমিটির আহ্বায়ক বা যে কোন সদস্যকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে এক অঞ্চল হইতে অন্য অঞ্চলে একই অঞ্চলের এক শিল্প ইউনিট হইতে অন্য শিল্প ইউনিটে বদলি করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) কমিটির আহ্বায়ক বা কোন সদস্যকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে চাকুরী হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোনভাবে কর্মচ্যুত করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান সত্ত্বেও, আহ্বায়ক বা কোন সদস্যকে এই আইন বা তদ্‌ধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীন নিষিদ্ধ অন্যায় আচরণের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকুরী হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে বা তাহার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে মালিক বারিত বলিয়া গণ্য হইবে না৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন মালিকের যে কোন কার্যের বৈধতার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদানে নির্বাহী চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব থাকিবে, এবং তিনি মালিকের গৃহীত কোন ব্যবস্থা বহাল রাখিতে বা বাতিল করিতে, এবং কোন কর্মকর্তাকে স্ব-পদে পুনবর্হাল এবং তাহার অপরিশোধিত মজুরী ও সুবিধাদি পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷

তৃতীয় অধ্যায়

শ্রমিক সংঘ

শ্রমিক সংঘ গঠন
১৩৷ (১) ৩১ অক্টোবর ২০০৬ তারিখ উত্তীর্ণ হইবার এবং ১ নভেম্বর ২০০৬ তারিখ শুরু হইবার পর কোন অঞ্চলে অবস্থিত কোন শিল্প ইউনিটে নিয়োজিত শ্রমিকগণের, এই আইন দ্বারা বা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধানাবলী সাপেক্ষে, শ্রম সম্পর্ক বিষয়ে কার্যসম্পাদনের নিমিত্ত সংঘ গঠন করিবার অধিকার থাকিবে৷
 
 
(২) পৃথক নিগমিতকরণ সনদসহ (certificate of incorporation) কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত কোন মালিক কোন অঞ্চলে কার্যরত থাকিলে উক্ত অঞ্চলে উহার অধীন একটি শ্রমিক সংঘ থাকিবে:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোম্পানী হিসাবে নিবন্ধিত মালিকের অধীন কোন অঞ্চলে দুই বা ততোধিক শিল্প ইউনিট থাকিলে উহারা এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি শিল্প ইউনিট হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৩) শ্রমিক সংঘের মেয়াদ হইবে ১ নভেম্বর ২০০৬ তারিখ হইতে ৩১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখ পর্যন্ত।
সংঘ গঠন করিবার জন্য দাবী
১৪৷ (১) যদি কোন অঞ্চলে অবস্থিত কোন শিল্প ইউনিটে কর্মরত যোগ্য শ্রমিকগণ কোন সংঘ গঠন করিতে আগ্রহী হইয়া থাকেন, তাহা হইলে উক্ত শিল্প ইউনিটে কর্মরত যোগ্য শ্রমিকগণের অন্যুন ৩০% (ত্রিশ শতাংশ) শ্রমিক নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত করিয়া একটি শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার দাবী পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্ত প্রাপ্তির পর নির্বাহী চেয়ারম্যান পরীক্ষা করিয়া নিশ্চিত হইবেন যে, অন্যুন ৩০% (ত্রিশ শতাংশ) যোগ্য শ্রমিক অনুরূপ দরখাস্তে স্বাক্ষর বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ দিয়া পক্ষ হইয়াছেন৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ১৫ এর অধীন অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে যদি পরিশেষে কোন শ্রমিক সংঘ গঠিত না হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত কারণে কোন মালিক কোন প্রকারেই কোন শ্রমিকের প্রতি উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্তে পক্ষ হইবার জন্য কোনরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করিবেন না; এবং এইরূপ কোন বৈষম্যমূলক আচরণ করিলে তাহা ধারা ৪১ এর অধীন মালিক কর্তৃক অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৪) কোন শ্রমিক কর্তৃক এই ধারার অধীন স্বাক্ষরিত কোন ফরম, উহা স্বাক্ষরিত হইবার তারিখ হইতে ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকিবে; এবং ১ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখ এর পূর্বে অনুরূপ কোন ফরম পূরণ বা স্বাক্ষর করা যাইবে না৷
সংঘ গঠনের জন্য সমর্থন নিরূপণের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠেয় গণভোট
১৫৷ (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন যে, যোগ্য শ্রমিকগণের অন্যুন ৩০% নির্ধারিত ফরমে দরখাস্ত করিয়া সংঘ গঠন করিবার জন্য দাবী পেশ করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি ধারা ১৪ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন দরখাস্ত প্রাপ্তির পর অনধিক ৫ দিবসের মধ্যে শ্রমিক সংঘ গঠনের অনুকূলে যোগ্য শ্রমিকগণের সমর্থন নিরূপণ করিবার উদ্দেশ্যে শিল্প ইউনিটে কর্মরত যোগ্য শ্রমিকদের গণভোট অনুষ্ঠান করিবেন৷
 
 
 
 
(২) ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক যোগ্য শ্রমিক ভোট প্রদান না করিয়া থাকিলে, এই ধারার অধীন অনুষ্ঠিত গণভোট অকার্যকর হইবে৷
 
 
 
 
(৩) যদি ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক শ্রমিক ভোট প্রদান করিয়া থাকেন এবং প্রদত্ত ভোটের ৫০% (পঞ্চাশ শতাংশ) এর অধিক ভোট শ্রমিক সংঘ গঠনের পক্ষে হইয়া থাকে, তাহা হইলে উহার দ্বারা উক্ত শিল্প ইউনিটে নিয়োজিত শ্রমিকগণ এই আইনের শ্রমিকসংঘ গঠনের বৈধ অধিকার অর্জন করিবে; এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান গণভোট অনুষ্ঠিত হইবার ২৫ দিনের মধ্যে উক্ত সংঘকে নিবন্ধন প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) গোপন ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং গণভোট অনুষ্ঠানের পদ্ধতি নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে৷
পরবর্তী এক বত্সর গণভোট নিষিদ্ধ
১৬৷ ধারা ১৫ এর অধীন অনুষ্ঠিত গণভোটে শ্রমিকগণ যদি শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার পক্ষে সমর্থন অর্জন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে এক বত্সর অতিবাহিত হইবার পূর্বে উক্ত শিল্প ইউনিটে পুনরায় গণভোট অনুষ্ঠান করা যাইবে না৷
শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র
১৭৷ (১) শ্রমিকগণ শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার পক্ষে ধারা ১৫ এর অধীন তাহাদের সমর্থন ব্যক্ত করিয়া থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান তত্পরবর্তী অনধিক ৫ দিবসের মধ্যে শ্রমিকগণকে, একজন আহ্বায়কসহ অনধিক নয় জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে, একটি গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটি (অতঃপর প্রয়োজন অনুযায়ী “গঠনতন্ত্র কমিটি” বলিয়া অভিহিত) গঠন করিবার জন্য বলিবেন৷
 
 
(২) প্রস্তাব প্রাপ্তির ৫ দিবসের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান, তত্কর্তৃক সন্তুষ্ট হওয়া সাপেক্ষে, উক্ত গঠনতন্ত্র কমিটি অনুমোদন করিবেন এবং ১৫ দিবসের মধ্যে গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও পেশ করিবার জন্য গঠনতন্ত্র কমিটিকে বলিবেন৷
 
 
 
 
(৩) গঠনতন্ত্রের কোন বিধান এই আইনের কোন বিধানের পরিপন্থী হইবে না এবং এই আইনের বিধানের সহিত সংগতিপূর্ণ হইতে হইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই আইনের অধীন সংঘের গঠনতন্ত্রে নিম্নবর্ণিত প্রস্তাবসমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) একটি সাধারণ পরিষদ, যাহার সদস্য হইবেন উক্ত শ্রমিক সংঘের সদস্য হিসাবে নিবন্ধিত সকল যোগ্য শ্রমিক; এবং
 
 
 
 
(খ) একজন সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক এবং একজন কোষাধ্যক্ষসহ অনধিক পনেরটি পদের সমন্বয়ে একটি নির্বাহী পরিষদ, যাহার সকল সদস্য সাধারণ পরিষদের সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।
গঠনতন্ত্রের অধিকতর আবশ্যক বিষয়াদি
১৮৷ (১) সংঘ গঠন করিবার উদ্দেশ্যে প্রণীত কোন গঠনতন্ত্র এই আইনের অধীন অনুমোদিত হইবে না, যদি না উক্ত গঠনতন্ত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়াদি অন্তর্ভুক্ত হইয়া থাকে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) শ্রমিক সংঘের নাম ও ঠিকানা;
 
 
 
 
(খ) শ্রমিক সংঘ গঠনের উদ্দেশ্যসমূহ;
 
 
 
 
(ঘ) শ্রমিক সংঘের তহবিলের উত্স এবং উক্ত তহবিল প্রযোজ্য হইবার ক্ষেত্রসমূহ;
 
 
 
 
(ঙ) যে সমস্ত শর্তে একজন সদস্য শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোন সুবিধা প্রাপ্তির অধিকারী হইবেন এবং যাহার অধীনে কোন জরিমানা অথবা বাজেয়াপ্তির আদেশ তাহার উপর আরোপিত হইতে পারিবে;
 
 
 
 
(চ) শ্রমিক সংঘের সদস্যগণের তালিকা সংরক্ষণ এবং কর্মকর্তা কিংবা শ্রমিক সংঘের সদস্যগণ কর্তৃক উক্ত তালিকা পরিদর্শনের জন্য রাখা সুবিধাদির বিবরণ;
 
 
 
 
(ছ) গঠনতন্ত্র সংশোধিত, পরিবর্তিত বা বাতিল হইবার পদ্ধতি;
 
 
 
 
(জ) শ্রমিক সংঘের তহবিলের নিরাপত্তা, হেফাজত, উহার বাত্সরিক নিরীক্ষা, নিরীক্ষার পদ্ধতি এবং কর্মকর্তা ও শ্রমিক সংঘের সদস্যগণ কর্তৃক হিসাব বহিসমূহ পরিদর্শনের নিমিত্ত রাখা সুবিধাদি;
 
 
 
 
(ঝ) শ্রমিক সংঘ বাতিলকরণ সম্পর্কিত পদ্ধতি;
 
 
 
 
(ঞ) শ্রমিক সংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক কর্মকর্তাগণ নির্বাচিত হইবার পদ্ধতি এবং একজন কর্মকর্তা নির্বাচিত বা পুনঃ নির্বাচিত হইবার পর যে মেয়াদে ও যে পদে বহাল থাকিতে পারিবেন, উহার উল্লেখ;
 
 
(ট) শ্রমিক সংঘের সাধারণ পরিষদ হইতে পদত্যাগ ও সদস্যপদ বাতিল হইবার পদ্ধতি উল্লেখ;
 
 
 
 
(ঠ) শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপনের পদ্ধতি; এবং
 
 
 
 
(ড) শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সভাসমূহ, যাহাতে নির্বাহী পরিষদ অন্তত: প্রতি চার মাসে একবার এবং সাধারণ পরিষদ প্রতি বত্সরে অন্তত: একবার সভায় মিলিত হইবার বাধ্যবাধকতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোন শ্রমিক সংঘ অঞ্চল বহির্ভূত কোন উত্স হইতে কোন অর্থ সংগ্রহ বা গ্রহণ করিবে না৷
গঠনতন্ত্র অনুমোদন
১৯৷ নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন যে, এই আইনের বিধানসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালন করিয়া গঠনতন্ত্র প্রণীত হইয়াছে এবং এই আইনের কিংবা উহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির ব্যত্যয় করা হয় নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত গঠনতন্ত্র অনুমোদন এবং ৫ দিবসের মধ্যে তত্মর্মে একটি অনুমোদনপত্র জারী করিবেন৷
সংঘ নিবন্ধীকরণের জন্য আবেদন
২০৷ গঠনতন্ত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ধারা ১৯-এর অধীন অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের অধীন গঠিত শ্রমিক সংঘের নিবন্ধীকরণের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিবেন৷
দরখাস্তের আবশ্যক বিষয়সমূহ
২১৷ শ্রমিক সংঘের নিবন্ধিকরণের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট আবেদনপত্র পেশ করিতে হইবে এবং উহাতে-
 
 
 
 
(ক) অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের তিনটি অনুলিপি সন্নিবেশিত হইবে; এবং
 
 
 
 
(খ) একটি বর্ণনা যাহাতে উল্লিখিত থাকিবে-
 
 
 
 
(অ) শ্রমিক সংঘের নাম ও ঠিকানা;
 
 
 
 
(আ) সংঘ গঠনের তারিখ;
 
 
 
 
(ই) শ্রমিক সংঘের সদস্যগণের পদবী, নাম, বয়স এবং ঠিকানা; এবং
 
 
 
 
(ঈ) চাঁদা প্রদানকারী সদস্যগণের পরিপূর্ণ বিবরণ৷
সংঘের নিবন্ধীকরণ
২২৷ (১) নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া থাকেন যে, শ্রমিক সংঘ এই আইনের অধীন সকল আবশ্যকতা প্রতিপালন করিয়াছে এবং অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের কাঠামোর মধ্যেই উহা গঠিত হইয়াছে, তাহা হইলে তিনি ধারা ২০-এর অধীন আবেদনপত্র প্রাপ্তির ১০ দিবসের মধ্যে উক্ত শ্রমিক সংঘকে নির্ধারিত রেজিস্টারে নিবন্ধন করিবেন৷
 
 
(২) যদি নির্বাহী চেয়ারম্যান দেখিতে পান যে, দরখাস্তে প্রয়োজনীয় বিষয় বা বিষয়াদির অপূর্ণতা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিতভাবে তাহার আপত্তি উক্ত শ্রমিক সংঘকে দরখাস্ত প্রাপ্তির ১০ দিবসের মধ্যে অবহিত করিবেন এবং অবহিত হইবার ১০ দিবসের মধ্যে শ্রমিক সংঘ উক্ত আপত্তিসমূহের জবাব প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উত্থাপিত আপত্তিসমূহ সন্তোষজনকভাবে পরিপূরণ করা হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পদ্ধতিতে উক্ত শ্রমিক সংঘকে নিবন্ধিত করিবেন এবং যদি আপত্তিসমূহের সন্তোষজনক জবাব প্রদান করা না হয় তাহা হইলে নির্বাহী চেয়ারম্যান আবেদন প্রত্যাখ্যান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) আবেদনপত্র প্রত্যাখ্যান করা হইলে অথবা নির্বাহী চেয়ারম্যান আপত্তি নিষ্পত্তি করিবার পর উপ-ধারা (১) এ নির্ধারিত ১০ দিবসের মধ্যে দরখাস্ত নিষ্পত্তি না করিয়া বিলম্ব করিলে, শ্রমিক সংঘ ট্রাইব্যুনালে আবেদন পেশ করিতে পারিবে; এবং এই ট্রাইব্যুনাল উহার রায়ে কারণ উল্লেখপূর্বক, আদেশ প্রদান করিয়া নির্বাহী চেয়ারম্যানকে শ্রমিক সংঘ নিবন্ধন এবং নিবন্ধীকরণ সম্পর্কিত সনদ জারী করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, অথবা আবেদন খারিজ করিতে পারিবে৷
 
 
নিবন্ধীকরণ সম্পর্কিত সনদ
২৩৷ ধারা ২২ এর অধীন কোন সংঘকে নিবন্ধন করিবার পর নির্বাহী চেয়ারম্যান নির্ধারিত ফরমে নিবন্ধন সম্পর্কিত সনদ জারী করিবেন৷ উক্ত সনদ এই আইনের অধীন উক্ত শ্রমিক সংঘ যথাযথভাবে নিবন্ধিত হইবার বিষয়ে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
নতুন শিল্প ইউনিটে ৩ মাস পর্যন্ত সংঘ গঠন নিষিদ্ধ
২৪৷ এই আইন কার্যকর হইবার পর প্রতিষ্ঠিত কোন শিল্প ইউনিটে বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু হইবার পরবর্তীতে তিন মাস অতিবাহিত হইয়া না থাকিলে উক্ত ইউনিটে এই আইনের অধীন কোন শ্রমিক সংঘ গঠন করিবার অনুমতি প্রদান করা যাইবে না৷
শ্রমিক সংঘের সংখ্যা সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা
২৫৷ (১) কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে একের অধিক শ্রমিক সংঘ গঠন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন অঞ্চলে একই মালিক কোম্পানীর অধীন একাধিক শিল্প ইউনিট থাকিলে এবং অনুরূপ শিল্প ইউনিটসমূহের কোন একটি ইউনিট ধারা ২৪-এর আওতাভুক্ত হইয়া থাকিলে, উহার দ্বারা অবশিষ্ট শিল্প ইউনিটসমূহে শ্রমিক সংঘ গঠন বারিত হইবে না৷
শিল্প ইউনিটের মালিকানা নির্ধারণে নির্বাহী চেয়ারম্যানের ক্ষমতা
২৬৷ একই অঞ্চলে দুই বা ততোধিক শিল্প ইউনিট একই মালিকের অধীন কিনা সেই প্রশ্নে কোন সন্দেহ বা বিরোধ উদ্ভূত হইয়া থাকিলে, তদ্‌বিষয়ে নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
সংঘের সদস্যপদ এবং কর্মকাণ্ড
২৭৷ (১) শ্রমিক সংঘের কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) একজন শ্রমিক যে শিল্প ইউনিটে নিযুক্ত থাকিবেন, তিনি কেবল উক্ত শিল্প ইউনিটে শ্রমিক সংঘের সদস্য হইবার অধিকারী হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ৩২-এর অধীন শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন গঠনের অধিকার ব্যতীত, কোন একটি অঞ্চলে গঠিত কোন শ্রমিক সংঘ উক্ত অঞ্চলে গঠিত অন্য কোন শ্রমিক সংঘ কিংবা কোন অঞ্চল বহির্ভূত কোন শ্রমিক সংঘের সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোন প্রকার সংশ্রব রক্ষা করিতে পারিবে না৷
নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন
২৮৷ (১) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সংগঠিত ও পরিচালিত কোন নির্বাচনে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে এই আইনের অধীন কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ উক্ত শ্রমিক সংঘের নিবন্ধিত সাধারণ সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কেবল যোগ্য শ্রমিকগণ এই অধ্যায়ের অধীন নির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত হইতে এবং ভোট প্রদান করিতে অধিকারী হইবেন৷
 
 
 
 
(৩) এই অধ্যায়ের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে “যোগ্য শ্রমিক” অর্থে-
 
 
 
 
(ক) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচন করিবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে চাকুরীতে নিয়োজিত হইবার প্রথম দিন হইতে একজন শ্রমিককে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(খ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পূর্বে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৯ (নয়) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে;
 
 
 
 
(গ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পরে বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচন করিবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৩ (তিন) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে; এবং
 
 
 
 
(ঘ) এই আইন প্রবর্তিত হইবার পর বাণিজ্যিক উত্পাদন শুরু করিয়াছে এমন একটি শিল্প ইউনিটের নির্বাহী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্যতার ক্ষেত্রে, নিয়োগ স্থায়ী হইবার পর অন্ততঃ ৩ (তিন) মাস হইয়াছে এমন একজন শ্রমিককে বুঝাইবে৷
নির্বাহী পরিষদের অনুমোদন
২৯৷ নির্বাহী পরিষদ গঠনতন্ত্রের কাঠামোর অধীনে যথাযথভাবে নির্বাচিত হইয়া থাকিলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৫ (পাঁচ) দিবসের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান উহা অনুমোদন করিবেন৷
নির্বাহী পরিষদের মেয়াদ
৩০৷ পূর্বেই নিবন্ধনচ্যুতি, কিংবা ৩১ অক্টোবর, ২০০৮ তারিখের পূর্বে অন্য কোন প্রকারে অবসায়ন না হইয়া থাকিলে, কোন সংঘের নির্বাহী পরিষদ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হইবার পর চার বত্সরের জন্য বহাল থাকিবে৷
পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠান
৩১৷ (১) কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন উহার নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্ববর্তী ৯০ দিবসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেই যদি কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদ ভংগ হইয়া যায়, তাহা হইলে অনুরূপ ভংগ হইবার পরবর্তী ৯০ দিবসের মধ্যে উহার পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে৷
শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন
৩২৷ (১) কোন অঞ্চলে গঠিত শ্রমিক সংঘসমূহের ৫০ শতাংশের অধিক সম্মত হইলে, উহারা উক্ত অঞ্চলে একটি শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) পূর্বেই নিবন্ধনচ্যুত কিংবা অবসায়ন হইয়া না থাকিলে, এই ধারার অধীন গঠিত ফেডারেশন নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী চার বত্সরের জন্য বহাল থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) কোন অঞ্চলে গঠিত কোন শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন অন্য কোন অঞ্চলের ফেডারেশন অথবা কোন অঞ্চল বহির্ভূত কোন ফেডারেশনের সহিত অধিভুক্ত হইতে কিংবা অন্য কোন প্রকারে সংশ্রব রক্ষা করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(৪) কর্তৃপক্ষ প্রবিধি দ্বারা শ্রমিক সংঘের ফেডারেশনের নির্বাচনের পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিবে৷
কোন শ্রমিক সংঘের সদস্য কিংবা কর্মকর্তা হইবার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা
৩৩৷ কোন শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র বা বিধিসমূহে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি কোন শ্রমিক সংঘের কর্মকর্তা নির্বাচিত হইবার বা থাকিবার অধিকারী হইবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত বা এই আইন কিংবা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির অধীন কোন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া যে কোন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইয়া মুক্তি পাইবার পর দুই বত্সরকাল অতিবাহিত হইয়া না থাকে৷
নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ কর্তৃক রেজিস্টার, ইত্যদি সংরক্ষণ
৩৪৷ প্রতিটি নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ নির্ধারিত ফরমে ও নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ সংরক্ষণ করিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) একটি রেজিস্টার, যাহাতে প্রত্যেক সদস্য কর্তৃক প্রদত্ত চাঁদার বিবরণ উল্লিখিত থাকিবে;
 
 
 
 
(খ) একটি হিসাব বহি, যাহাতে আয় ও ব্যয় সম্পর্কিত তথ্য উল্লিখিত থাকিবে; এবং
 
 
(গ) একটি কার্যবিবরণী বহি, যাহাতে সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ থাকিবে৷
শ্রমিক সংঘের নিবন্ধনচ্যুতি
৩৫৷ (১) কোন শ্রমিক সংঘ বহাল থাকাকালীন যে কোন সময়ে অন্যুন ৩০% যোগ্য শ্রমিক নির্ধারিত ফরমে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করিয়া সংঘের নিবন্ধনচ্যুতি দাবী করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর নির্বাহী চেয়ারম্যান সংঘের অনুরূপ নিবন্ধনচ্যুতির পক্ষে উত্থাপিত দাবী যাচাই করিবার উদ্দেশ্য পরীক্ষা করিয়া দেখিবেন যে, প্রকৃতই অন্যুন ৩০% যোগ্য শ্রমিক স্বাক্ষর কিংবা অঙ্গুলির ছাপ প্রদান করিয়া আবেদন করিয়াছেন কিনা৷
 
 
 
 
(৩) নির্বাহী চেয়ারম্যান উপ-ধারা (২)-এর অধীন সন্তুষ্ট হইয়া থাকিলে, তিনি নিবন্ধনচ্যুতির পক্ষে সমর্থন যাচাই করিবার উদ্দেশ্যে ৫ দিবসের মধ্যে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে যোগ্য শ্রমিকদের ভোট গ্রহণের জন্য গণভোট অনুষ্ঠান করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) যদি গণভোট যোগ্য শ্রমিকগণের ৫০ শতাংশের অধিক শ্রমিক ভোট প্রদান করিয়া থাকেন এবং অনুরূপ প্রদত্ত ভোটের ৫০ শতাংশের অধিক ভোট যদি সংঘের নিবন্ধনচ্যুতির পক্ষে হইয়া থাকে, তাহা হইলে নির্বাহী চেয়ারম্যান উহার পরবর্তী ২৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধনচ্যুতি প্রচার করিয়া একটি আদেশ জারী করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (৩)-এর অধীন অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে যদি পরিশেষে কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধনচ্যুতি না হইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত কারণে কোন মালিক কোন প্রকারেই কোন শ্রমিকের প্রতি উপ-ধারা (১)-এর অধীন দরখাস্তে স্বাক্ষর করিবার জন্য কোনরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করিবেন না; এবং এইরূপ কোন বৈষম্যমূলক আচরণ ধারা ৪১-এর অধীন মালিক পক্ষে অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৬) এই ধারার অধীন অনুষ্ঠেয় গণভোট বিষয়ে কর্তৃপক্ষ প্রবিধি দ্বারা পদ্ধতি ও অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৭) এই ধারার অধীন কোন সংঘ নিবন্ধনচ্যুত হইয়া থাকিলে, নিবন্ধনচ্যুতি সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপনের তারিখ হইতে পরবর্তী এক বত্সর অতিবাহিত হইবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট শিল্প ইউনিটের পুনরায় কোন সংঘ গঠন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৮) কোন শ্রমিক কর্তৃক উপ-ধারা (১)-এর অধীন স্বাক্ষরিত কোন ফরম স্বাক্ষরের তারিখ হইতে ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকিবে৷
শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন বাতিল
৩৬৷ (১) উপ-ধারা (২)-এর বিধান সাপেক্ষে, ধারা ৩৫-এর অধীন নিবন্ধনচ্যুতি সম্পর্কিত পদ্ধতির অতিরিক্ত, কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন নিম্নবর্ণিত যে কোন কারণে নির্বাহী চেয়ারম্যান বাতিল করিতে পারিবেন, যদি উক্ত সংঘ-
 
 
 
 
(ক) কোন কারণে অবসায়ন হইয়া থাকে;
 
 
(খ) প্রতারণা অথবা তথ্যের অসত্য উপস্থাপনার মাধ্যমে নিবন্ধিত হইয়া থাকে;
 
 
(গ) গঠনতন্ত্রের কোন বিধান লংঘন করিয়া থাকে;
 
 
 
 
(ঘ) অন্যায় আচরণ করিয়া থাকে;
 
 
 
 
(ঙ) এই আইন বা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির সহিত অসংগতিপূর্ণ কোন বিধান গঠনতন্ত্রে সন্নিবেশ করিয়া থাকে;
 
 
 
 
(চ) এই আইনের অধীন আবশ্যক মতে বাত্সরিক প্রতিবেদন নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট পেশ করিতে ব্যর্থ হয়;
 
 
 
 
(ছ) নির্বাচিত হইবার অযোগ্য কোন ব্যক্তিকে কর্মকর্তা পদে নির্বাচিত করে; অথবা
 
 
 
 
(জ) এই আইন অথবা তদ্‌ধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির বিধান লংঘন করে৷
 
 
 
 
(২) নির্বাহী চেয়ারম্যান যদি এই মর্মে অভিমত পোষণ করিয়া থাকেন যে, কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন বাতিল করা আবশ্যক, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ নিবন্ধন বাতিলের জন্য আবেদন করিয়া ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত দাখিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) ট্রাইব্যুনাল হইতে অনুমতি প্রাপ্তির পাঁচ দিবসের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যান শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন বাতিল করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) যদি ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত দাখিল করিবার পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অন্যায় আচরণ সংগঠিত হইয়া না থাকে, তাহা হইলে কোন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন উপ-ধারা (১)-এর দফা (ঘ) এ বর্ণিত কারণে বাতিল করা যাইবে না৷
নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে আপীল
৩৭৷ ধারা ৩৬-এর উপ-ধারা (৩)-এর অধীন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হইয়া থাকিলে, অনুরূপ আদেশ প্রদত্ত হইবার ৩০ দিবসের মধ্যে শ্রমিক সংঘ শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করিতে পারিবে এবং আপীল ট্রাইব্যুনাল তর্কিত আদেশ বহাল, বাতিল বা সংশোধন করিতে পারিবে৷
নিবন্ধন ব্যতিরেকে শ্রমিক সংঘ কর্তৃক কার্য সম্পাদন নিষিদ্ধ
৩৮৷ (১) অনিবন্ধিত, নিবন্ধনচ্যুত অথবা নিবন্ধন বাতিল করা হইয়াছে, এইরূপ কোন শ্রমিক সংঘ যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বা শ্রমিক সংঘ হিসাবে কার্য করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কোন শ্রমিক সংঘের জন্য কোন ব্যক্তি কোনরূপ চাঁদা সংগ্রহ করিবেন না৷
নির্বাহী চেয়ারম্যানের ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৩৯৷ নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিম্নবর্ণিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) এই আইনের অধীন শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন এবং তদুদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ;
 
 
(খ) এই আইন কিংবা উহার অধীন প্রণীত কোন বিধি বা প্রবিধির বিধান লংঘন করিবার অথবা অন্যায় আচরণ করিবার অথবা কোন অপরাধ সংঘটন করিবার কারণে কোন শ্রমিক সংঘ বা মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করা;
 
 
 
 
(গ) কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহের জন্য গঠিত কোন শ্রমিক সংঘের বৈধতা এবং যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হিসাবে উহার কার্য করিবার ক্ষমতার প্রশ্ন নির্ধারণ করা; এবং
 
 
 
 
(ঘ) বিধি বা প্রবিধি দ্বারা অন্য যেরূপ ক্ষমতা বা দায়িত্ব আরোপ করা হইতে পারে উহা প্রয়োগ বা পালন করা৷
শ্রমিক সংঘের নিগমবদ্ধকরণ (incorporation)
৪০৷ (১) প্রতিটি নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ নিগমবদ্ধ সংস্থা হইবে, যাহার স্থায়ী ধারাবাহিকতাসহ একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং নিবন্ধিত নামে ইহার চুক্তি সম্পাদন এবং সম্পত্তি অর্জন, ধারণ ও বিলি-বন্দোবস্ত করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং উক্ত নামে ইহা মামলা করিতে পারিবে বা ইহার বিরুদ্ধেও মামলা করা যাইবে৷
 
 
 
 
(২) শ্রমিক সংঘের কার্যালয় স্থাপনের জন্য মালিক শিল্প অঞ্চলের অভ্যন্তরে স্থানের ব্যবস্থা করিবে৷
 
 

চতুর্থ অধ্যায়

অন্যায় আচরণ, চুক্তি ইত্যাদি

মালিকদের তরফে অন্যায় আচরণ
৪১৷ (১) কোন মালিক বা মালিকের দায়িত্ব পালনকারী কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত কোন কাজ করিলে উহা অন্যায় আচরণ হিসাবেগণ্যহইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) চাকুরী প্রদানের চুক্তিতে কোন ব্যক্তির, যিনি উক্ত চুক্তির পক্ষ, কোন সংঘে যোগদানের বা কোন সংঘের সদস্যপদ অব্যাহত রাখিবার অধিকার ক্ষুণ্ন করিয়া কোন শর্ত আরোপ করা;
 
 
 
 
(খ) কোন ব্যক্তি কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল আছেন বা নাই, উহার ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তিকে চাকুরীতে নিয়োগ, কিংবা চাকুরীতে বহাল রাখিতে অস্বীকার করা;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তি কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে বহাল আছেন বা নাই, উহার ভিত্তিতে উক্ত ব্যক্তির চাকুরীতে নিয়োগ, পদোন্নতি, চাকুরীর শর্ত বা কাজের শর্ত নির্ধারণে বৈষম্য করা;
 
 
 
 
(ঘ) কোন শ্রমিককে চাকুরী হইতে বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারণ করা বা বরখাস্ত, পদচ্যুত বা অপসারণের হুমকি প্রদর্শন করা অথবা চাকুরী ক্ষতিগ্রস্ত করিবার হুমকি প্রদর্শন করা, এই কারণে যে উক্ত শ্রমিক-
 
 
 
 
(অ) কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা হইয়াছেন বা হইবার ইচ্ছা পোষণ করিয়াছেন, অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হইবার জন্য অন্য কোন ব্যক্তিকে উত্সাহিত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন;
 
 
(আ) কোন সংঘের উন্নয়ন, গঠন বা সংঘের কর্মতত্পরতা চালাইবার কাজে অংশগ্রহণ করিয়াছেন; অথবা
 
 
 
 
(ই) এই আইনের অধীন কোন অধিকার প্রয়োগ করিয়াছেন৷
 
 
 
 
(ঙ) কোন ব্যক্তিকে কোন সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা না হইবার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা হইয়া থাকিলে সেই পদ ত্যাগ করিবার জন্য প্রলুব্ধ করা এবং উক্ত উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান বা প্রদানে ব্যত্যয় করা;
 
 
 
 
(চ) ভীতি-প্রদর্শন, বলপ্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতি, পানি, বিদ্যুত্ বা টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা অনুরূপ কোন কৌশল অবলম্বনপূর্বক সংঘের কোন কর্মকর্তাকে কোন স্মারকে (memorandum) স্বাক্ষর করিতে বাধ্য করা;
 
 
 
 
(ছ) এই আইনের অধীনে অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা, অথবা অন্য কোনভাবে প্রভাব বিস্তার করা; অথবা
 
 
 
 
(জ) ধারা ৫৪-এর অধীন সংঘটিত ধর্মঘটের সময়, অথবা বে-আইনী নহে এমন ধর্মঘট চলাকালীন সময়ে, কেবল যে ক্ষেত্রে নির্বাহী চেয়ারম্যান, কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হইয়া গেলে যন্ত্রপাতির বা ইউনিটের গুরুতর ক্ষতি হইবে এবং সেই প্রেক্ষিতে ইউনিটের যে শাখার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে এই মর্মে সন্তুষ্ট হইয়া সেই শাখায় সীমিত সংখ্যক শ্রমিককে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিয়াছেন, সেই ক্ষেত্র ব্যতীত কোন নূতন শ্রমিক নিয়োগ করা৷
 
 
 
 
(২) ব্যবস্থাপকের দায়িত্বসম্পন্ন পদে নিয়োগ বা পদোন্নতির কারণে কোন ব্যক্তির সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তার পদ বাতিল হইবার কিংবা সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে তাহার অধিষ্ঠিত থাকিবার যোগ্যতা হারাইবার বিষয়ে মালিকের অধিকার উপ-ধারা (১) এর বিধান দ্বারা ক্ষুণ্ন হইবে না৷
শ্রমিক বা সংঘের তরফে অন্যায় আচরণ
৪২৷ (১) কোন শ্রমিক বা শ্রমিক সংঘ এবং উক্ত শ্রমিক বা সংঘের পক্ষে কর্মসম্পাদনকারী কোন ব্যক্তি নিম্নোক্ত কোন কাজ করিলে উহা অন্যায় আচরণ হিসাবে গণ্য হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) শিল্প ইউনিটে কাজ চলাকালীন সময়ে কোন শ্রমিককে সংঘে যোগদানের জন্য বা যোগদান করা হইতে বিরত থাকিবার জন্য উত্সাহিত করা;
 
 
 
 
(খ) সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা হইবার জন্য, বা উহা হইতে বিরত থাকিবার জন্য অথবা সদস্য বা কর্মকর্তা পদে অধিষ্ঠিত থাকিবার বা না থাকিবার জন্য কোন ব্যক্তিকে ভীতি প্রদর্শন করা;
 
 
 
 
(গ) কোন ব্যক্তিকে কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করিবার প্রলোভন দেখাইয়া, অথবা কোনরূপ সুযোগ-সুবিধা আদায় করিয়া বা, আদায় করিয়া দেওয়ার প্রলোভন দেখাইয়া, সংঘের সদস্য বা কর্মকর্তা পদে যোগদান করা হইতে বিরত থাকিবার অথবা সদস্য পদ ত্যাগ করিবার জন্য প্রলুব্ধ করা;
 
 
 
 
(ঘ) ভীতি প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতিসাধন, টেলিফোন, পানি বা বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া বা অনুরূপ অন্য কোন কৌশল অবলম্বনপূর্বক কোন মীমাংসা-স্মারকে স্বাক্ষর দানের জন্য মালিককে বাধ্য করা, বা বাধ্য করিবার চেষ্টা করা; অথবা
 
 
 
 
(ঙ) ভীতি-প্রদর্শন, বল প্রয়োগ, চাপ প্রয়োগ, হুমকি প্রদর্শন, কোন স্থানে আটক করিয়া রাখা, দৈহিক ক্ষতি, টেলিফোন, পানি বা বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া বা অনুরূপ কোন কৌশল অবলম্বনপূর্বক কোন শ্রমিককে কোন শ্রমিক সংঘের তহবিলে চাঁদা প্রদানের জন্য বা চাঁদা প্রদান হইতে বিরত রাখিবার জন্য বাধ্য করা বা বাধ্য করিবার চেষ্টা করা৷
 
 
 
 
(২) কোন শ্রমিক বা সংঘ এই আইনের অধীন কোন গণভোট বা নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণে অবাঞ্ছিত প্রভাব বিস্তার, ভীতি প্রদর্শন, জালিয়াতি, অথবা নির্বাহী পরিষদ বা উহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তির মারফত উত্কোচ প্রদানের মাধ্যমে হস্তক্ষেপ করিলে উহা শ্রমিক বা সংঘের জন্য অন্যায় আচরণ হইবে৷
চুক্তির বলবত্যোগ্যতা
৪৩৷ (১) সংঘ ও মালিকের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তি পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং উহা আদালতের মাধ্যমে বলবত্যোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই ধারার অধীন কোন চুক্তি বলবত্করণ বা চুক্তি ভঙ্গের কারণে ক্ষতিপূরণ আদায়ের উদ্দেশ্যে কোন মামলা কোন দেওয়ানী আদালতে গ্রহণযোগ্য হইবে না৷
হিসাব ও তথ্য দাখিল
৪৪৷ (১) প্রতি বত্সর নির্ধারিত তারিখে বা উহার পূর্বে প্রত্যেক শ্রমিক সংঘের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিগত বত্সরের আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং উক্ত তারিখ পর্যন্ত সমগ্র বত্সরের সম্পদ ও দায়-দায়িত্বের হিসাব নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিরীক্ষিত সাধারণ বিবরণীসহ নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট দাখিল করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) সাধারণ বিবরণীর সহিত প্রেরণের তারিখ পর্যন্ত সংশোধনীসহ শ্রমিক সংঘের এক কপি গঠনতন্ত্র এবং উক্ত বত্সরে নির্বাহী পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের সকল সদস্যের হালনাগাদ পদের বিবরণী নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
(৩) শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্রের প্রত্যেক সংশোধনীর একটি কপি এবং গঠনতন্ত্রের বিধানসমূহের কার্যকরতা সংক্রান্ত সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবের কপি উক্ত সংশোধনী বা প্রস্তাব গৃহীত হইবার ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট (Collective Bargaining Agent)
৪৫৷ (১) কোন শিল্প ইউনিটে এই আইনের অধীন নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ উক্ত শিল্প ইউনিটের যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হইবে৷
 
 
 
 
(২) মালিকের সহিত মজুরী, কর্মঘণ্টা (working hour) এবং নিয়োগের অন্যান্য শর্তাদি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করিবার অধিকার কমিটির থাকিবে৷ আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্যে তথ্য প্রাপ্তির জন্য সংঘ কর্তৃক পেশকৃত কোন যুক্তিসংগত অনুরোধ মালিক অস্বীকার করিবে না৷
 
 
 
 
(৩) কোন শিল্প ইউনিট সম্পর্কিত যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট উপরোক্ত বিষয়ের অতিরিক্ত নিম্নোক্ত বিষয়েও কার্য সম্পাদনের অধিকারী হইবে, যথা-
 
 
 
 
(ক) শ্রমিকদের নিয়োগ, নিয়োগদানে অস্বীকার এবং নিয়োগের শর্ত সংক্রান্ত বিষয়ে মালিকের সহিত যৌথ দর-কষাকষি করা;
 
 
 
 
(খ) কোন কার্যক্রমে সকল শ্রমিক বা কোন একজন শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করা; এবং
 
 
 
 
(গ) এই আইনের বিধানাবলী অনুসারে ধর্মঘটের নোটিশ প্রদান ও ধর্মঘট ঘোষণা করা৷
 
 
 
 
(৪) কোন অঞ্চলে অবস্থিত কোন মালিক বা কোম্পানী যেখানে নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ রহিয়াছে সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র উক্ত প্রারম্ভিক মজুরী প্রযোজ্য হইবে, যাহা প্রবেশ পর্যায়ে, আইন অথবা প্রযোজ্য কোন আইনগত আদেশ দ্বারা, তাহাদের জন্য নির্ধারণ করা হইয়াছে৷ অন্যান্য মজুরী সম্পর্কিত বিষয়াদি যথা- মজুরী বৃদ্ধি, পদোন্নতি অথবা অন্যান্য বর্ধিত সুবিধাদি মালিক ও শ্রমিক সংঘের মধ্যে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে হইবে৷
চাঁদা কর্তন (check off)
৪৬৷ (১) যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট অনুরোধ করিলে, কোন সংঘের সদস্য- শ্রমিকদের মালিক, অনুরূপ প্রত্যেক শ্রমিকের সম্মতিক্রমে, উক্ত শ্রমিকদের বেতন হইতে মূল বেতনের অনূর্ধ্ব এক শতাংশ পরিমাণ টাকা সংঘ কর্তৃক পেশকৃত ডিমান্ড স্টেটমেন্ট অনুযায়ী কর্তন করিয়া সংঘের তহবিলে চাঁদা হিসাবে জমা করিবে৷
 
 
 
 
(২) কোন মালিক উপ-ধারা (১) এর অধীনে বেতন হইতে টাকা কর্তন করিয়া থাকিলে উক্ত কর্তনের সমুদয় অর্থ পরবর্তী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে যে সংঘের পক্ষে উহা কর্তন করা হইয়াছে সেই সংঘের হিসাবে জমা করিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে উহার সদস্যদের বেতন হইতে চাঁদা কর্তন করা হইতেছে কিনা তাহা যাচাই করিবার জন্য মালিক যৌথ দর-কষাকষি এজেন্টকে পূর্ণ সুযোগ প্রদান করিবে৷

পঞ্চম অধ্যায়

মীমাংসা এবং সালিস

শিল্প বিরোধ সম্পর্কে আলাপ-আলোচনা
৪৭৷ (১) যে কোন সময়, যদি, কোন মালিক বা কোন যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট দেখিতে পান যে, শ্রমিক এবং মালিকের মধ্যে শিল্প বিরোধ উদ্ভূত হইতে যাইতেছে, তাহা হইলে মালিক বা, ক্ষেত্রমত, যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট, তাঁহার বা উহার মতামত লিখিতভাবে অপর পক্ষকে অবহিত করিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী অবহিত হইবার ১৫ দিনের মধ্যে, উক্ত অবহিত পক্ষ, অপর পক্ষের প্রতিনিধিগণের সহিত আলোচনাক্রমে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় উপনীত হইবার লক্ষ্যে উদ্ভূত বিষয়ের উপর যৌথ দর-কষাকষির জন্য, অপর পক্ষের প্রতিনিধিগণের সহিত একটি সভার আয়োজন করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উভয়পক্ষ আলোচিত বিষয়ের উপর মীমাংসায় উপনীত হইলে, একটি মীমাংসা-স্মারক লিখিত হইবে এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক উহা স্বাক্ষরিত হইবে এবং উহার একটি কপি নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং মীমাংসাকারীর নিকট প্রেরিত হইবে৷
মীমাংসাকারী
৪৮৷ সরকার, নির্বাহী চেয়ারম্যানের সুপারিশের ভিত্তিতে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা,এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মীমাংসাকারী (Conciliator) নিয়োগ করিবে এবং উক্ত প্রজ্ঞাপনে, যে অঞ্চল বা অঞ্চলসমূহের জন্য অথবা কোন অঞ্চল বা অঞ্চলসমূহের যে শ্রেণীর শিল্প ইউনিট বা শিল্পসমূহ সম্পর্কে তাহাদের প্রত্যেকে দায়িত্ব পালন করিবেন, উহার উল্লেখ থাকিবে৷
ধর্মঘটের নোটিশের পূর্বে মীমাংসা, ইত্যাদি
৪৯৷ পক্ষগণ ধারা ৪৭-এর অধীন আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কোন মীমাংসায় পৌঁছাইতে ব্যর্থ হইলে, যে কোন পক্ষ নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং মীমাংসাকারীকে অবহিত করিতে পারিবে যে, আলাপ-আলোচনা ব্যর্থ হইয়াছে এবং লিখিতভাবে বিরোধটি মীমাংসা করিবার জন্য মীমাংসাকারীকে অনুরোধ করিতে পারিবে এবং মীমাংসাকারী অনুরূপ অনুরোধ প্রাপ্তির পর বিরোধটি মীমাংসার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন৷
ধর্মঘট অথবা লক-আউটের নোটিশ
৫০৷ (১) মীমাংসাকারী ধারা ৪৯-এর অধীন অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ১০ দিনের মধ্যে বিরোধটি মীমাংসা করিতে ব্যর্থ হইলে, যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট অথবা মালিক, উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, এবং এই আইনের বিধান অনুসারে, বিরোধের অপর পক্ষের প্রতি ধর্মঘট বা, ক্ষেত্রমত, লক-আউটের ২১ দিনের নোটিশ জারী করিতে পারিবে৷
 
 
(২) ইতিমধ্যে প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইয়া না থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক অনুমোদিত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় গোপন ব্যালটের মাধ্যমে শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের অন্যুন তিন-চতুর্থাংশ সদস্য সম্মতি প্রদান না করিলে, কোন যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট ধর্মঘটের নোটিশ জারী করিবে না৷
ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারীর পর মীমাংসা
৫১৷ (১) শিল্প বিরোধের কোন পক্ষ ধারা ৫০-এর অধীন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারী করিলে, উক্ত নোটিশ জারীর একই সাথে উহার একটি কপি মীমাংসাকারীকে হস্তান্তর করিবেন এবং মীমাংসাকারী তখন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ সত্ত্বেও মীমাংসা কার্যক্রম গ্রহণ করিবেন অথবা, ক্ষেত্রমত, বিরোধের মীমাংসা কার্যক্রম অব্যাহত রাখিবেন৷
 
 
 
 
(২) বিরোধের মীমাংসা শুরুর পূর্বেই মীমাংসাকারী ধর্মঘটের নোটিশের বৈধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হইলে এবং যদি নোটিশটি এই আইনের বিধান বা তদাধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধি বা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংঘের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না হয়, তাহা হইলে ধর্মঘটের নোটিশ এই আইনের বিধান অনুসারে প্রদান করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে মীমাংসাকারী, তাহার স্বীয় বিবেচনায়, মীমাংসা কার্যক্রম গ্রহণ না করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
মীমাংসাকারীর কার্যপদ্ধতি
৫২৷ (১) মীমাংসাকারী, যত দ্রুত সম্ভব, মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধের নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে বিরোধের পক্ষগণকে সভায় আহ্বান করিবেন৷
 
 
 
 
(২) বিরোধের পক্ষগণ, ব্যক্তিগতভাবে অথবা তাহাদের মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে মীমাংসাকারীর নিকট উপস্থিত হইবেন, এবং পক্ষগণের উপর বাধ্যকর চুক্তিতে আবদ্ধ হইবার ও তাহাদের পক্ষে আলাপ-আলোচনা করিবার ক্ষমতা প্রতিনিধিগণকে প্রদান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৩) মীমাংসাকারী, তাহার নিকট প্রেরিত কোন বিরোধ সম্পর্কে যেরূপ নির্ধারণ করা হইবে ঐরূপ কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন, এবং বিশেষত: আপোষে বিরোধটির নিষ্পত্তির সম্ভাব্য লক্ষ্যে, দাবীতে যেরূপ ছাড় প্রদান বা পরিমার্জন মীমাংসাকারীর অভিমতে প্রয়োজনীয় মনে হইবে, ঐরূপ ছাড় প্রদান বা পরিমার্জনের জন্য যে কোন পক্ষকে তিনি পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) মীমাংসাকারীর নিকট নিষ্পন্নাধীন কোন মীমাংসা কার্যক্রমে কোন বিরোধের বা বিরোধের অন্তর্ভুক্ত কোন বিষয়ের মীমাংসা হইয়া থাকিলে, মীমাংসাকারী বিরোধের পক্ষগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত-মীমাংসা স্মারকসহ উহার একটি কপি নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশের সময়সীমার মধ্যে মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব না হইলে, মীমাংসা কার্যক্রম, বিরোধের পক্ষগণ যেরূপ সম্মত হইবেন সেইরূপ অধিকতর সময়ের জন্য, অব্যাহত রাখা যাইবে৷
সালিস
৫৩৷ (১) মীমাংসা ব্যর্থ হইলে, বিরোধটি একজন সালিসকারীর নিকট প্রেরণে সম্মত হইবার জন্য মীমাংসাকারী পক্ষগণকে উদ্বুদ্ধ করিবেন, এবং পক্ষগণ সম্মত হইলে, তাহাদের সম্মতিক্রমে বিরোধটি একজন সালিসকারীর নিকট প্রেরণের জন্য তাহারা যৌথভাবে লিখিত অনুরোধ করিবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন যে সালিসকারীর নিকট বিরোধ প্রেরিত হইবে, তিনি নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনয়নের ভিত্তিতে প্রণীত প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত হইবেন; এবং সালিসকারীদের অনুরূপ প্যানেল প্রতি ১৮ মাস অন্তর সকল পক্ষ কর্তৃক পর্যালোচনা করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(৩) সালিসকারী, উপ-ধারা (১) অনুযায়ী তাহার নিকট প্রেরিত বিরোধ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে অথবা বিরোধের পক্ষগণ কর্তৃক সম্মত বর্ধিত সময়-সীমার মধ্যে, তাঁহার রোয়েদাদ প্রদান করিবেন৷
 
 
 
 
(৪) রোয়েদাদ প্রদানের পর, উক্ত রোয়েদাদের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য, সালিসকারী উহার কপি পক্ষগণকে এবং নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৫) সালিসকারীর রোয়েদাদ চূড়ান্ত ও পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে, এবং উহার বিরুদ্ধে কোন আপীল চলিবে না, এবং ইহা অনূর্ধ্ব দুই বত্সর অথবা সালিসকারী কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের জন্য বৈধ থাকিবে৷
ধর্মঘট এবং লক-আউট
৫৪৷ (১) মীমাংসা কার্যক্রমের মাধ্যমে কোন মীমাংসায় উপনীত হওয়া সম্ভব না হইলে এবং বিরোধীয় পক্ষগণ ধারা ৫৩ এর অধীন বিরোধটি একজন সালিসকারীর নিকট প্রেরণ করিতে সম্মত না হইলে, ধারা ৫০ এর অধীন নোটিশের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পর, অথবা বিরোধীয় পক্ষগণের প্রতি মীমাংসাকারী কর্তৃক মীমাংসা কার্যপদ্ধতি ব্যর্থ হইয়াছে মর্মে সার্টিফিকেট ইস্যু করিবার পর, যাহা পরে হয়, শ্রমিকগণ ধর্মঘটে যাইতে পারিবে অথবা, ক্ষেত্রমত, মালিক লক-আউট ঘোষণা করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বিরোধের পক্ষগণ, যে কোন সময়, ধর্মঘট বা লক-আউট আরম্ভ হইবার পূর্বে বা পরে, বিরোধের বিচারের জন্য ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালে যৌথ দরখাস্ত দায়ের করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) ধর্মঘট বা লক-আউট ১৫ দিনের অধিক অব্যাহত থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান, লিখিত আদেশ দ্বারা, ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, নির্বাহী চেয়ারম্যান, লিখিত আদেশ দ্বারা, ১৫ দিনের মেয়াদ পূর্তির পূর্বেই যে কোন সময় ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিতে পারিবেন, যদি তিনি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, উক্তরূপ ধর্মঘট বা লক-আউটের ফলে উত্পাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হইতেছে অথবা উহা জনস্বার্থে বা জাতীয় অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর৷
 
 
(৫) নির্বাহী চেয়ারম্যান কোন ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ করিলে, তিনি তত্ক্ষণাত্ বিরোধটি ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করিবেন৷
 
 
 
 
(৬) ট্রাইব্যুনাল, বিরোধের উভয় পক্ষকে শুনানীর সুযোগ প্রদান করিয়া, যত দ্রুত সম্ভব, যেরূপ সমীচীন মনে করিবে সেইরূপ রোয়েদাদ প্রদান করিবে, কিন্তু রোয়েদাদ প্রদানের সময়সীমা, বিরোধটি ইহার নিকট প্রেরিত হইবার তারিখ হইতে ৪০ দিনের বেশি হইবে না৷
 
 
 
 
(৭) ট্রাইব্যুনাল বিরোধীয় যে কোন বিষয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন রোয়েদাদও প্রদান করিতে পারিবে এবং রোয়েদাদ প্রদানে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিলম্ব হইবার কারণে, তত্কর্তৃক প্রদত্ত কোন রোয়েদাদের বৈধতা ক্ষুণ্ন হইবে না৷
 
 
 
 
(৮) ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রোয়েদাদ, রোয়েদাদে বর্ণিত মেয়াদের জন্য বৈধ থাকিবে, কিন্তু তাহা কোনক্রমেই দুই বত্সরের অধিক সময়ের জন্য বৈধ থাকিবে না৷
 
 

ষষ্ঠ অধ্যায়

ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল, আপীল ট্রাইবুনাল, ইত্যাদি

ট্রাইব্যুনালের নিকট দরখাস্ত
৫৫৷ কোন যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বা শ্রমিক, কোন আইন বা রোয়েদাদ বা মীমাংসার অধীন কোন অধিকার বাস্তবায়নের জন্য ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত করিতে পারিবে৷
ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল
৫৬৷ (১) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইহার বিবেচনায় যত সংখ্যক প্রয়োজন ততসংখ্যক ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলসমূহের জন্য প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে এবং যে ক্ষেত্রে একের অধিক ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠিত হইবে, সেক্ষেত্রে সরকার উক্ত গেজেটে প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারভুক্ত অঞ্চল বা অঞ্চলসমূহ নির্দিষ্ট করিয়া দিবে৷
 
(২) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন চেয়ারম্যান এবং, একজন মালিকদের এবং একজন শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসাবে চেয়ারম্যানকে পরামর্শদানের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিযুক্ত, দুইজন সদস্যের সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে৷
 
(৩) কোন ব্যক্তি চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ লাভের জন্য যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না, যদি না তিনি জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন বা আছেন৷
 
(৪) ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা ও কার্যাবলী হইবে নিম্্নরূপ, যথা:-
 
(ক) এই আইনের অধীন প্রেরিত বা দায়েরকৃত শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তি;
 
(খ) মীমাংসার শর্তাবলী কার্যকরকরণ বা লংঘনসংক্রান্ত কোন বিষয় নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রেরিত হইলে উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধান ও বিচার;
 
(গ) এই আইন, অথবা এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীনকৃত অপরাধ, এবং সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট অন্য যে কোন আইনের অধীনে কৃত অপরাধের বিচার; এবং
 
(ঘ) এই আইনের দ্বারা বা ইহার অধীন, অথবা অন্য যে কোন আইনের অধীন ইহার উপর ন্যস্ত বা আরোপিত অন্য কোন ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদন করা৷
 
(৫) The Workmen's Compensation Act, 1923 অথবা the Payment of Wages Act, 1936 এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ট্রাইব্যুনালকে উক্ত যে কোন আইনের অধীন যে কোন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের বা কার্য সম্পাদনের এখতিয়ার প্রদান করিতে পারিবে এবং, উক্তরূপে এখতিয়ার প্রাপ্ত হইলে, ট্রাইব্যুনাল উক্ত আইনের অধীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উক্তরূপ ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
 
(৬) ট্রাইব্যুনালের একজন সদস্য ট্রাইব্যুনালের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকিলে অথবা উপস্থিত হইতে অসমর্থ হইলেও, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম অব্যাহত থাকিবে এবং উক্ত সদস্যের অনুপস্থিতিতে ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ প্রদান করিতে পারিবে; এবং কেবল একজন সদস্যের অনুপস্থিতির কারণে ট্রাইব্যুনালের কোন কার্যক্রম, সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ অবৈধ হইবে না, কিংবা এই বিষয়ে কোনরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
ট্রাইব্যুনালের কার্যপদ্ধতি ও ক্ষমতা
৫৭৷ (১) এই আইনের বিধান সাপেক্ষে, ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যধারার ক্ষেত্রে, যতদূর সম্ভব, ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এ বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীন কোন অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল ফৌজদারী কার্যবিধি আইন, ১৮৯৮ এর অধীন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অনুরূপ ক্ষমতার অধিকারী হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়েরের প্রশ্নে উক্ত ট্রাইব্যুনাল উক্ত কার্যবিধির অধীন দায়রা আদালতের সমমর্যাদাসম্পন্ন গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(৩) শিল্প বিরোধের বিচার ও নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনাল দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য হইবে, এবং দেওয়ানী কার্যবিধি আইন, ১৯০৮ এর অধীন দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ ক্ষমতাসহ উহার নিম্নোক্ত ক্ষমতাবলী থাকিবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কোন ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হইতে বাধ্য করা এবং শপথ পাঠ করানোপূর্বক তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করা;
 
 
(খ) দলিলপত্র ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করিতে বাধ্য করা;
 
 
 
 
(গ) সাক্ষী ও দলিলপত্র পরীক্ষার উদ্দেশ্যে কমিশন নিয়োগ করা; এবং
 
 
 
 
(ঘ) কোন পক্ষের অনুপস্থিতিতে একতরফা সিদ্ধান্ত প্রদান করা৷
 
 
 
 
(৪) কোন মামলা দায়ের, দলিলপত্র প্রদর্শন বা রেকর্ড করিবার জন্য কিংবা ট্রাইব্যুনাল হইতে কোন দলিল সংগ্রহের জন্য কোনরূপ কোর্ট ফি প্রদান করিতে হইবে না৷
ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ ও সিদ্ধান্ত
৫৮৷ (১) ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে ও প্রকাশ্য ট্রাইব্যুনালে প্রদান করিতে হইবে, এবং উহার একটি অনুলিপি অবিলম্বে নির্বাহী চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) মামলা দায়েরের পর ট্রাইব্যুনাল ২৫ দিনের মধ্যে ইহার রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে, যদি না বিরোধে জড়িত পক্ষগণ লিখিতভাবে সময় বৃদ্ধির পক্ষে সম্মতি প্রদান করিয়া থাকে৷
 
 
 
 
(৩) ট্রাইব্যুনালের কোন সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, কেবল উহা প্রদানে বিলম্ব হইবার কারণে অকার্যকর হইবে না৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন রোয়েদাদের দ্বারা সংক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত রোয়েদাদ প্রদত্ত হইবার ৩০ দিনের মধ্যে আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করিতে পারিবে এবং উক্ত আপীলের বিষয়ে আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত রোয়েদাদ ব্যতীত, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সকল সিদ্ধান্ত এবং ধারা ৫৭ এর উপ-ধারা (২) এ বর্ণিত দণ্ড চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোন আদালত বা কর্তৃপক্ষের নিকট উক্ত বিষয়ে কোনরূপ প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল
৫৯৷ (১) সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠন করিবে এবং সরকার কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নিয়োগকৃত একজন সদস্য লইয়া উক্ত আপীল ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(২) আপীল ট্রাইব্যুনালের সদস্য এমন একজন ব্যক্তি হইবেন যিনি সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদে বহাল আছেন অথবা ছিলেন, এবং উক্ত সদস্যের নিয়োগের শর্তাবলী সরকার যেরূপ নির্ধারণ করিবে সেইরূপ হইবে৷
 
 
(৩) আপীল ট্রাইব্যুনাল, কোন আপীল বিবেচনার পর ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বহাল, বাতিল, সংশোধন, অথবা রদবদল করিতে পারিবে, এবং এই আইনের অধীন ট্রাইব্যুনালকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে; এবং আপীল ট্রাইব্যুনাল আপীল দায়ের হইবার ৪০ (চল্লিশ) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে৷
 
 
 
 
(৪) আপীল ট্রাইব্যুনালের কোন সিদ্ধান্ত উহা প্রদানে বিলম্ব হইবার কারণে অকার্যকর হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) আপীল-ট্রাইব্যুনাল নির্র্ধারিত কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৬) আপীল ট্রাইব্যুনাল উহার নিজের অথবা উহার আপীল এখতিয়ারের অধীন কোন ট্রাইব্যুনালের কর্তৃত্বের অবমাননার জন্য এইরূপ দণ্ড প্রদান করিতে পারিবে, যেন ইহা হাইকোর্ট বিভাগ৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড কিংবা ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) টাকার ঊর্ধ্বের অর্থদণ্ডের আদেশের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আপীল বিভাগে, উক্ত বিভাগ কর্তৃক লিভ মঞ্জুর হওয়া সাপেক্ষে, আপীল করিতে পারিবে৷
নিষ্পত্তি বা রোয়েদাদ যাহাদের উপর বাধ্যকর
৬০৷ (১) আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে উপনীত কোন নিষ্পত্তি, সালিসের রোয়েদাদ, ধারা ৫৮ এর অধীন ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত বা রোয়েদাদ, অথবা ধারা ৫৯ এর অধীন আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কোন সিদ্ধান্ত নিম্্নবর্ণিত ব্যক্তিগণের উপর বাধ্যকর হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) শিল্প-বিরোধে জড়িত সকল পক্ষ;
 
 
 
 
(খ) শিল্প-বিরোধে জড়িত অন্যান্যরা, যাহাদের শ্রম আদালত, শিল্প-বিরোধের সহিত জড়িত থাকিবার কারণে আদালতের শুনানীতে উপস্থিত হইবার জন্য তলব করিয়াছে;
 
 
 
 
(গ) বিরোধের কোন পক্ষ হিসাবে মালিকের বংশধর, উত্তরাধিকারী বা আইনগত ক্ষমতাপ্রাপ্তগণ; এবং
 
 
 
 
(ঘ) যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট বিরোধের অন্যতম পক্ষ হইয়া থাকিলে, বিরোধ উত্পত্তির তারিখে সংশ্লিষ্ট ইউনিট শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন অথবা ইহার পরে নিযুক্ত হইয়াছে, এইরূপ সকল শ্রমিক৷
 
 
 
 
(২) আপোষ মীমাংসার মাধ্যম ব্যতীত অন্য কোন প্রকারে মালিক এবং সংঘের মধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে কোন মীমাংসা হইয়া থাকিলে, চুক্তিভুক্ত পক্ষদের সকলের উপর উহা বাধ্যকর হইবে৷
মীমাংসা, রোয়েদাদ, ইত্যাদি কার্যকর হইবার তারিখ
৬১৷ (১) মীমাংসা কার্যকর হইবে-
 
 
(ক) বিরোধীয় পক্ষদ্বয় সর্বসম্মতভাবে কোন তারিখ তদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট করিয়া থাকিলে, ঐ তারিখ হইতে; এবং
 
 
 
 
(খ) এইরূপ কোন তারিখ নির্দিষ্ট করিতে সম্মত না হইলে, পক্ষদ্বয় যে তারিখে মীমাংসা-স্মারক স্বাক্ষর করিয়াছে, সেই তারিখ হইতে৷
 
 
 
 
(২) পক্ষদ্বয় যত দিনের জন্য সম্মত হইবে, তত দিন তাহাদের উপর মীমাংসা বাধ্যকর থাকিবে, এবং এইরূপ কোন মেয়াদ নির্ধারণে তাহারা সম্মত না হইলে, মীমাংসা-স্মারক স্বাক্ষরের দিন হইতে এক বত্সর পর্যন্ত উহা বাধ্যকর থাকিবে৷
 
 
 
 
(৩) ধারা ৫৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত রোয়েদাদ, উহার বিরুদ্ধে আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করা না হইলে রোয়েদাদে উল্লিখিত তারিখ হইতে নির্দিষ্ট মেয়াদে অনধিক দুই বত্সর পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে৷
 
 
 
 
(৪) সালিশকারী, ট্রাইব্যুনাল, অথবা, ক্ষেত্রমত, আপীল ট্রাইব্যুনাল, রোয়েদাদের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দাবী, প্রতিটি ক্ষেত্রে কোন তারিখে ও কী শর্তে কার্যকর হইবে, উহা উল্লেখ করিবে৷
 
 
 
 
(৫) ধারা ৫৯ এর অধীন আপীল আবেদনের উপর আপীল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত, রোয়েদাদ প্রদানের তারিখ হইতে কার্যকর হইবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৩) এর অধীন কোন রোয়েদাদের কার্যকরতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, এক পক্ষ অপর পক্ষের নিকট উহার সম্মতির কথা লিখিতভাবে অবগত করিবার তারিখ হইতে পরবর্তী দুই মাস পর্যন্ত উক্ত সিদ্ধান্ত মানিয়া চলিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহ বাধ্য থাকিবে৷
কার্যক্রমের সূচনা ও সমাপ্তি
৬২৷ (১) ধারা ৫০ এর অধীন মীমাংসাকারী যে তারিখে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রাপ্ত হইবেন, সেই তারিখ হইতে মীমাংসা কার্যক্রম শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) মীমাংসা কার্যক্রম সেই তারিখে সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে-
 
 
 
 
(ক) মীমাংসায় উপনীত হইলে, মীমাংসা-স্মারকে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ যে তারিখে স্বাক্ষর প্রদান করেন; এবং
 
 
 
 
(খ) যে ক্ষেত্রে কোন মীমাংসায় উপনীত হওয়া সম্ভব হয় নাই-
 
 
 
 
(অ) ধারা ৫৩ এর অধীন বিরোধটি কোন সালিসকারীর নিকট প্রেরিত হইলে, উক্ত সালিসকারী যে তারিখে রোয়েদাদ প্রদান করেন, অথবা তাহা না হইলে,
 
 
(আ) ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশের মেয়াদ যে তারিখে উত্তীর্ণ হয়৷
 
 
(৩) ট্রাইব্যুনালে উত্থাপিত কার্যক্রম সেই তারিখে শুরু হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
 
 
(ক) শিল্প বিরোধের ক্ষেত্রে, ধারা ৫৪ অথবা ৫৫ এর অধীন কোন আবেদন যে তারিখে পেশ করা হইয়াছে; এবং
 
 
 
 
(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, যে তারিখে উহা ট্রাইব্যুনালে প্রেরিত হইয়াছে৷
 
 
 
 
(৪) ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত ধারা ৫৮ এর উপ-ধারা (১) এর অধীন যে তারিখে প্রদত্ত হইয়াছে, সেই তারিখে ট্রাইব্যুনালে মোকদ্দমার কার্যক্রম সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
কতিপয় বিষয়ের গোপনীয়তা সংরক্ষণ
৬৩৷ (১) কোন সংঘ কিংবা ব্যক্তি, ইউনিট বা কোম্পানী বা মালিক কর্তৃক পরিচালিত কোন ব্যবসা বিষয়ে কোন তদন্ত বা অনুসন্ধান পরিচালনার সময় নির্বাহী চেয়ারম্যান, মীমাংসাকারী, ট্রাইব্যুনাল, সালিসকারী বা আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সংগৃহীত বা প্রাপ্ত কোন তথ্য যাহা ঐরূপ কর্তৃপক্ষের সম্মুখে সাক্ষ্য প্রদান ব্যতিরেকে অন্য কোন উপায়ে পাওয়া সম্ভব নহে, এবং যাহা সংশ্লিষ্ট সংঘ, ব্যক্তি, ইউনিট বা কোম্পানী গোপন রাখিবার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিতভাবে অনুরোধ করিয়াছে, উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত কোন প্রতিবেদন, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্তে অন্তর্ভুক্ত হইবে না; এইরূপ কোন তথ্য, সংঘের সভাপতি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, ইউনিট বা, ক্ষেত্রমত, কোম্পানী লিখিত সম্মতি প্রদান না করিলে, মোকদ্দমার কার্যক্রমে প্রকাশ করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার কোন কিছুই ১৮৬০ সালের দণ্ড বিধির ধারা ১৯৩ এর অধীন কোন মামলায় অনুরূপ কোন তথ্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
শিল্প বিরোধ উত্থাপন
৬৪৷ যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট নির্ধারিত পদ্ধতিতে উত্থাপন না করা পর্যন্ত কোন শিল্প বিরোধের উদ্ভব হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না৷
কার্যক্রম চলাকালীন ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা
৬৫৷ কোন মীমাংসা কার্যক্রম চলাকালীন, অথবা মীমাংসাকারী, সালিসকারী বা ট্রাইব্যুনালে কোন শিল্প বিরোধ কিংবা আপীল ট্রাইব্যুনালে এই সংক্রান্ত কোন আপীল শুনানীকালে উক্ত শিল্প বিরোধের সহিত জড়িত কোন পক্ষ সংশ্লিষ্ট বিরোধ বিষয়ে ধর্মঘট বা লক-আউটের নোটিশ জারী করিতে পারিবে না৷
ট্রাইব্যুনাল ও আপীল ট্রাইব্যুনালের ধর্মঘট, ইত্যাদি নিষিদ্ধকরণের ক্ষমতা
৬৬৷ (১) কোন শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র কিরা ট্রাইব্যুনালে ধারা ৫৫ এর অধীন কোন আবেদনের শুনানী চলাকালীন সময়ে উক্ত বিরোধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইয়া থাকিলে এবং উহা চলিতে থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল লিখিত আদেশ জারী করিয়া উক্ত ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে৷
 
 
(২) শিল্প-বিরোধ সংক্রান্ত কেন বিষয়ে কোন আপীল ধারা ৫৯ এর অধীন আপীল ট্রাইব্যুনালে প্রেরিত হইয়া থাকিলে, আপীল দায়েরের তারিখে উক্ত শিল্প বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া কোন ধর্মঘট বা লক-আউট শুরু হইয়া থাকিলে বা চলিতে থাকিলে, আপীল ট্রাইব্যুনাল লিখিত আদেশ জারী করিয়া অনুরূপ ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে৷
বেআইনী ধর্মঘট ও লক-আউট
৬৭৷ (১) ধর্মঘট বা লক-আউট বেআইনী হইবে, যদি-
 
 
 
 
(ক) উহা বিরোধে জড়িত অপর পক্ষের উপর নির্ধারিত পদ্ধতিতে ধর্মঘট বা লক-আউট এর নোটিশ জারী না করিয়া, অথবা ধারা ৬৫ এর বিধান লংঘন করিয়া ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়, অথবা
 
 
 
 
(খ) উহা ধারা ৬৪ এর বিধান ব্যতীত অন্য কোন পদ্ধতিতে, উদ্ভুত শিল্প-বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া ঘোষিত হয়, শুরু হয় অথবা অব্যাহত রাখা হয়; অথবা
 
 
 
 
(গ) উহা ধারা ৬৬ এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ-এর লংঘনে অব্যাহত রাখা হয়; অথবা
 
 
 
 
(ঘ) উহা কোন মীমাংসা বা রোয়েদাদ দ্বারা সাব্যস্ত বিষয়ে উক্ত মীমাংসা বা রোয়েদাদ কার্যকর থাকাকালীন সময়ে ঘোষিত হয়, শুরু হয় বা অব্যাহত রাখা হয়৷
 
 
 
 
(২) অবৈধ ধর্মঘটের ধারাবাহিকতায় ঘোষিত লক-আউট এবং অবৈধ লক-আউটের ধারাবাহিকতায় ঘোষিত ধর্মঘট অবৈধ বলিয়া গণ্য হইবে না৷
কার্যক্রম চলাকালে চাকুরীর শর্ত অপরিবর্তিত থাকা
৬৮৷ (১) কোন মালিক, কোন মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে শিল্প বিরোধ সম্পর্কিত কোন মীমাংসা কার্যক্রম বা অন্য কোন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে, সংশ্লিষ্ট বিরোধে জড়িত কোন শ্রমিকের চাকুরীর শর্ত, মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে উক্ত কার্যক্রম শুরু হইবার পূর্বে যেরূপ ছিল সেইরূপ অবস্থা হইতে উক্ত শ্রমিকের স্বার্থের হানিকরভাবে পরিবর্তন করিতে পারিবেন না; এমনকি তিনি-
 
 
 
 
(ক) মীমাংসা কার্যক্রম অব্যাহত থাকাকালে, মীমাংসাকারীর অনুমতি ব্যতীত, অথবা
 
 
 
 
(খ) সালিসকারী, ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালে শুনানী অব্যাহত থাকাকালে, উক্ত সালিসকারী, ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ব্যতীত, কেবল সংশ্লিষ্ট বিরোধের সহিত জড়িত নহে এইরূপ ক্ষেত্রে অসদাচরণের কারণ ব্যতীত, কোন শ্রমিককে অপসারণ, বরখাস্ত অথবা অন্য কোনভাবে শাস্তি প্রদান কিংবা চাকুরীচ্যুত করিতে পারিবেন না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্ত উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন কার্যধারা অব্যাহত থাকাকালে, কোন শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তাকে, ট্রাইব্যুনালের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে, অপসারণ, বরখাস্ত অথবা অসদাচরণের জন্য অন্য কোনভাবে শাস্তি প্রদান করা যাইবে না৷
সংঘের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা
৬৯৷ (১) কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা অন্য কোন কর্মকর্তাকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে এক অঞ্চল হইতে অন্য অঞ্চলে অথবা এক শিল্প ইউনিট হইতে অন্য শিল্প ইউনিটে বদলি করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন শ্রমিক সংঘের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা অন্য কোন কর্মকর্তাকে নির্বাহী চেয়ারম্যানের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে চাকুরী হইতে বরখাস্ত, অপসারণ বা অন্য কোনভাবে কর্মচ্যুত করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৩) কোন শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তাকে এই আইন, বিধি বা প্রবিধির অধীন নিষিদ্ধ অন্যায় আচরণের অভিযোগের ভিত্তিতে চাকুরী হইতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করিতে বা তাহার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করিতে মালিক বারিত বলিয়া গণ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন মালিকের যে কোন কার্যের বৈধতার প্রশ্নে সিদ্ধান্ত প্রদানে নির্বাহী চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব থাকিবে, এবং তিনি মালিকের সিদ্ধান্ত বহাল রাখিতে বা বাতিল করিতে এবং কোন কর্মকর্তাকে স্ব-পদে পুনর্বহাল এবং তাহার অপরিশোধিত মজুরী ও সুবিধাদি পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
কতিপয় ব্যক্তির নিরাপত্তা বিধান
৭০৷ কোন ব্যক্তি কোন বেআইনী ধর্মঘটে বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিতে, বা অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখিতে অস্বীকার করিলে, উক্ত অস্বীকৃতির কারণে তাহাকে কোন সংঘ হইতে বহিষ্কার করা যাইবে না, বা অন্য কোন জরিমানা আরোপ বা দণ্ড প্রদান করা যাইবে না, বা এমন কোন অধিকার বা সুবিধা হইতে তাহাকে বঞ্চিত করা যাইবে না, যাহা তিনি বা তাহার কোন প্রতিনিধি উহা না হইলে ভোগ করিবার অধিকারী হইতেন, অথবা সংঘের অন্যান্য সদস্যদের সহিত তুলনামূলকভাবে অধিকতর অসুবিধাজনক কোন অবস্থা বা অক্ষমতার মধ্যে তাহাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিপতিত করা যাইবে না৷
পক্ষদের প্রতিনিধিত্ব
৭১৷ (১) শিল্প বিরোধে পক্ষ কোন শ্রমিক এই আইনের অধীন যে কোন কার্যক্রম প্রতিনিধি হিসাবে সংঘের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে পরিচালনা করিতে অধিকারী হইবেন, এবং উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধান সাপেক্ষে, শিল্প বিরোধের পক্ষ হিসাবে কোন মালিক তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তির মাধ্যমে নিজের পক্ষে অনুরূপ কার্যক্রম পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
 
 
(২) শিল্প বিরোধের কোন পক্ষ এই আইনের অধীনে কোন মীমাংসা কার্যক্রম আইনজীবীর মাধ্যমে পরিচালনা করিতে পারিবেন না৷
 
 
 
 
(৩) শিল্প বিরোধের কোন পক্ষ, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনাল বা সালিসকারী সম্মুখে অনুষ্ঠিত কোন কার্যক্রম, উক্ত আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা সালিসকারীর অনুমতিক্রমে, আইনজীবীর প্রতিনিধত্বের মাধ্যমে পরিচালনা করিতে পারিবেন৷
মীমাংসা এবং রোয়েদাদের ব্যাখ্যা
৭২৷ (১) কোন রোয়েদাদ কিংবা মীমাংসার কোন বিষয়বস্তু বা অর্থের ব্যাখ্যা বিষয়ে কোন অসুবিধা বা সন্দেহ উদ্ভুত হইলে, উহা এই আইনের অধীন গঠিত আপীল ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে৷
 
 
 
 
(২) আপীল ট্রাইব্যুনাল উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রেরিত কোন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে শুনানীর সুযোগদানের পর বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং ইহার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষদের উপর বাধ্যকর হইবে৷
মীমাংসা বা রোয়েদাদ অনুযায়ী মালিকের নিকট হইতে পাওনা টাকা আদায়
৭৩৷ (১) কোন মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালের কোন রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালিকের নিকট হইতে পাওনা কোন টাকা, নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উক্ত টাকার প্রাপক ব্যক্তির পক্ষে আবেদন করা হইলে, বকেয়া ভূমি রাজস্ব বা সরকারী পাওনা আদায়ের অনুরূপ পদ্ধতিতে আদায়যোগ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) মীমাংসাকারী, সালিসকারী, ইপিজিড শ্রম ট্রাইব্যুনাল বা আপীল ট্রাইব্যুনালের রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত অনুসারে মালিকের নিকট হইতে কোন শ্রমিক সংশ্লিষ্ট কোন সুবিধা পাওনা হইলে এবং অনুরূপ পাওনা টাকার অংকে নিরূপণ করিয়া আদায় করার উপযোগী হইলে, উহা, এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধি সাপেক্ষে, অনুরূপভাবে টাকার অংকে নিরূপিত হইবে, এবং উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত বিধান অনুযায়ী আদায় করিয়া সংশ্লিষ্ট শ্রমিককে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রদান করিতে হইবে৷
 
 

সপ্তম অধ্যায়

দন্ড ও পদ্ধতি

অন্যায় আচরণের জন্য দণ্ড
৭৪৷ (১) কোন ব্যক্তি ধারা ৪১ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকিলে, তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয়মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন শ্রমিক ধারা ৪২ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকিলে তিনি দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
 
(৩) কোন শ্রমিক সংঘ, অথবা শ্রমিক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, ধারা ৪২ এর বিধান লংঘন করিয়া থাকিলে তিনি বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
কোন মীমাংসা ভংগ করিবার জন্য দণ্ড
৭৫৷ কোন ব্যক্তি কোন আপোষ রফার শর্ত, রোয়েদাদ অথবা তাহার উপর বাধ্যকর, কোন সিদ্ধান্ত ভংগ করিয়া থাকিলে, তিনি-
 
 
 
 
(ক) প্রথম বার অনুরূপ অপরাধ করিবার জন্য পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন;
 
 
 
 
(খ) প্রতিটি অনুরূপ অপরাধের জন্য দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
আপোষ রফা বাস্তবায়নে ব্যর্থতার দণ্ড, ইত্যাদি
৭৬৷ কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন তাহার উপর বাধ্যকর মীমাংসার কোন শর্ত, রোয়েদাদ বা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে, তিনি বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয় মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
মিথ্যা বিবৃতি প্রদানের দণ্ড, ইত্যাদি
৭৭৷ কোন ব্যক্তি এই আইন কিংবা উহার অধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধির অধীন দাখিলকৃত কোন আবেদনপত্রে বা অন্য কোন দলিলপত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোন বিবৃতি প্রদান করিয়া বা করাইয়া থাকেন, যাহা অসত্য বলিয়া তিনি জানেন অথবা বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে, অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে এই আইন বা উহার অধীন বিধি বা প্রবিধির অধীন সংরক্ষণ বা পেশ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে গাফিলতি করিয়া থাকেন বা ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবে৷
বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউটের জন্য দণ্ড
৭৮৷ (১) কোন শ্রমিক কোন বেআইনী ধর্মঘট আরম্ভ করিলে, চালাইলে অথবা উহার সমর্থনে অন্য কোনভাবে কোন কার্য করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) কোন মালিক বেআইনীভাবে কোন লক-আউট আরম্ভ করিলে, চালাইলে অথবা উহার সমর্থনে অন্য কোনভাবে কোন কার্য করিয়া থাকিলে, তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের পুনরাবৃত্তি করিবার ক্ষেত্রে প্রথম অপরাধের পর অনুরূপ অপরাধ অব্যাহত থাকাকালীন সময়ে প্রতি দিনের জন্য অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
বেআইনী ধর্মঘট বা লক-আউট করিতে প্ররোচনা প্রদান করিবার দণ্ড
৭৯৷ কোন ব্যক্তি বেআইনী ধর্মঘট বা বেআইনী লক-আউটে অংশগ্রহণ করিবার জন্য অন্যান্যদিগকে প্ররোচিত বা উত্তেজিত করিলে, কিংবা উক্ত উদ্দেশ্যে অর্থ সরবরাহ করিলে অথবা অন্য কোনভাবে সহায়তা করিলে, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ধারা ৬৮ এর বিধান লংঘন করিবার দণ্ড
৮০৷ কোন মালিক বা কোম্পানী ধারা ৬৮ এর বিধান লংঘন করিলে তিনি ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে, অথবা দশ হাজার টাক পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
তহবিল তসরূপ বা আত্মসাতের দণ্ড
৮১৷ (১) কোন নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী উক্ত শ্রমিক সংঘের তহবিল তসরূপ বা আত্মসাতের জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে, তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে, এবং তদুপরি যে পরিমাণ অর্থ তসরূপ বা আত্মসাত হইয়াছে মর্মে ট্রাইব্যুনালের নিকট প্রমাণিত হইবে, অনধিক উক্ত পরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন অর্থদণ্ডের টাকা আদায় হইয়া থাকিলে, ট্রাইব্যুনাল উক্ত অর্থ সংশ্লিষ্ট শ্রমিক সংঘকে প্রত্যার্পণ করিতে পারিবেন৷
অন্যান্য অপরাধের দণ্ড
৮২৷ কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের কোন বিধান লংঘন করিবার, অথবা প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইবার ক্ষেত্রে অনুরূপ লংঘন বা ব্যর্থতার জন্য এই আইনের অধীন কোন শাস্তির বিধান করা না থাকিলে, উক্ত ব্যক্তি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ধারা ৫২ এর বিধান লংঘন করিবার দণ্ড
৮৩৷ কোন ব্যক্তি, সন্তোষজনক কারণ ব্যতিরেকে, এই আইনের ধারা ৫২ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান লংঘন করিয়া মীমাংসাকারীর নিকট হাজির হইতে বা প্রতিনিধি প্রেরণ করিতে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যর্থ হইলে, তিনি পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে, এবং অনাদায়ে ছয়মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
কোম্পানী কর্তৃক কৃত অপরাধ
৮৪৷ এই আইনের অধীনকৃত অপরাধে দোষী ব্যক্তি কোন কোম্পানী বা নিগমবদ্ধ সংস্থা (Body Corporate) হইলে, উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্যান্য কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি, যদি তিনি প্রমাণ করিতে না পারেন যে, কৃত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে সংগঠিত হইয়াছে বা তাহার অসম্মতিক্রমে করা হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ প্রতিরোধের জন্য তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা হইলে তিনি বা তাহারা সকলেই উক্ত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইবেন৷
অপরাধের বিচার
৮৫৷ (১) এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ, এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত শ্রম ট্রাইব্যুনাল ব্যতীত অন্য কোন ট্রাইব্যুনাল বা আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না, এবং এই অধ্যায়ের অধীন দণ্ডনীয় অপরাধের জন্য নির্বাহী চেয়ারম্যান অথবা তদুদ্দেশ্যে তত্কর্তৃক অনুমোদিত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক বা তাহার কর্তৃত্ব ব্যতিরেকে কোন ফৌজদারী কার্যধারা রুজু করা যাইবে না৷
 
 
(২) এই আইনের অধীন সকল অপরাধ আমলঅযোগ্য (non-cognizable) এবং জামিনযোগ্য (bailable) হইবে৷

অষ্টম অধ্যায়

বিবিধ

দায়মুক্তি
৮৬৷ এই আইন বা উহার অধীন কোন বিধি বা প্রবিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত বা অভিপ্রেত কোন কার্যের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা, ফৌজদারী কার্যক্রম বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা রুজু করা যাইবে না৷
রাজনৈতিক দলের সহিত সম্পর্ক নিষিদ্ধ
৮৭৷ (১) কোন অঞ্চলে গঠিত কোন শ্রমিক সংঘ বা শ্রমিক সংঘের ফেডারেশন, প্রকাশ্যে বা গোপনে, কোন রাজনৈতিক দল কিংবা রাজনৈতিক দলের অংগ সংগঠনের সহিত কোনরূপ সম্পর্ক স্থাপন বা রক্ষা করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) কোন মালিক কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন শ্রমিক সংঘ বা শ্রমিক সংঘের ফেডারেশনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত নালিশের ভিত্তিতে তদন্ত অনুষ্ঠান করিয়া অনুরূপ অভিযোগ সত্য বলিয়া সিদ্ধান্তে উপনীত হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান অবিলম্বে উক্ত শ্রমিক সংঘ বা, ক্ষেত্রমত, শ্রমিক সংঘের ফেডারেশনের নিবন্ধন বাতিল করিবেন, এবং অনুরূপ বাতিল হইবার পর উক্ত শিল্প ইউনিট বা ইউনিটসমূহের শ্রমিকগণ বা, ক্ষেত্রমত, সংঘসমূহ পরবর্তী এক বত্সর পর্যন্ত শ্রমিক সংঘ বা, ক্ষেত্রমত ফেডারেশন গঠন করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হলে, কোন মালিক, সংঘ বা ফেডারেশন, ট্রাইব্যুনালে উহার বিরুদ্ধে আবেদন করিতে পারিবে, এবং ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল ট্রাইব্যুনালে আপীল করা যাইবে, এবং উক্ত বিষয়ে আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশই চূড়ান্ত হইবে৷
 
 
 
 
(৪) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রাজনৈতিক দল বলিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত রাজনৈতিক দলকে বুঝাইবে, এবং অনুরূপ রাজনৈতিক দলের সহিত অধিভুক্ত যে কোন অংগ সংগঠনও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ
(২) ৩১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখ পর্যন্ত কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ থাকিবে।
ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধান
৮৮৷ (১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারায় অন্তর্ভুক্ত ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
 
(২) ৩১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখ পর্যন্ত কোন অঞ্চলে কোন শিল্প ইউনিটে ধর্মঘট বা লক-আউট নিষিদ্ধ থাকিবে।
 
(৩) (ক) ধারা ৫৩ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পর হইতে শুরু করিয়া এবং ৩১ অক্টোবর ২০০৮ ইং তারিখ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে, পক্ষগণের জন্য সালিস বাধ্যতামূলক হইবে।
 
(খ) কতর্ৃপক্ষ কতর্ৃক অনুমোদিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সালিসকারীগণের মধ্য হইতে পক্ষগণ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সালিসকারী নিয়োগ করিবেন। পক্ষগণ সালিসকারী নির্বাচন করিতে সম্মত হইতে ব্যর্থ হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান তৎকর্তৃক অনুমোদিত তালিকা হইতে একজন সালিসকারীকে দায়িত্ব অর্পণ করিবেন। সালিসের জন্য অনুরোধ করিবার তারিখ হইতে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সালিসকারীর নির্বাচন বা নিয়োগ সম্পন্ন করিতে হইবে এবং সালিসের শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করিতে হইবে। প্রথম শুনানীর তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ দিবসের মধ্যে সালিসের শুনানী পরিসমাপ্ত হইবে এবং রোয়েদাদ প্রদত্ত হইবে।
 
(গ) সালিসকারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উহা বলবৎযোগ্য হইবে। নির্বাহী চেয়ারম্যান সালিসকারীর সিদ্ধান্তের শর্তসমূহ কার্যকর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
(ঘ) সালিসকারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত হইতে সীমিত পরিসরে কেবল ঐ সকল ক্ষেত্রে আপীল চলিবে যে সকল ক্ষেত্রে সালিসকারীর সিদ্ধান্তে প্রতারণা, দুর্নীতি অথবা অন্যান্য গুরুতর ত্রুটির যুক্তিসংগত সন্দেহ বা প্রমাণ বিদ্যমান রহিয়াছে।
 
(ঙ) দফা (ঘ) এর অধীন আপীল শ্রম আপীল ট্রাইবু্যনালে দায়ের করিতে হইবে এবং দায়ের হইবার ৩০ দিনের মধ্যে আপীল ট্রাইবু্যনাল উক্ত আপীল নিষ্পত্তি করিবে; এবং আপীল ট্রাইবু্যনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষগণের মধ্যে উহা বাধ্যকর হইবে।
বাধ্যতামূলক ও বাধ্যকর সালিস
(৩) (ক) ধারা ৫৩ তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইন প্রবর্তনের পর হইতে শুরু করিয়া এবং ৩১ অক্টোবর ২০০৮ ইং তারিখ শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে, পক্ষগণের জন্য সালিস বাধ্যতামূলক হইবে।
 
 
(খ) কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সালিসকারীগণের মধ্য হইতে পক্ষগণ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে সালিসকারী নিয়োগ করিবেন৷ পক্ষগণ সালিসকারী নির্বাচন করিতে সম্মত হইতে ব্যর্থ হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান তত্কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা হইতে একজন সালিসকারীকে দায়িত্ব অর্পণ করিবেন৷ সালিসের জন্য অনুরোধ করিবার তারিখ হইতে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সালিসকারীর নির্বাচন বা নিয়োগ সম্পন্ন করিতে হইবে এবং সালিসের শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করিতে হইবে৷ প্রথম শুনানীর তারিখ হইতে পরবর্তী ৩০ দিবসের মধ্যে সালিসের শুনানী পরিসমাপ্ত হইবে এবং রোয়েদাদ প্রদত্ত হইবে৷
 
 
(গ) সালিসকারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উহা বলবত্যোগ্য হইবে৷ নির্বাহী চেয়ারম্যান সালিসকারীর সিদ্ধান্তের শর্তসমূহ কার্যকর করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(ঘ) সালিসকারী কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত হইতে সীমিত পরিসরে কেবল ঐ সকল ক্ষেত্রে আপীল চলিবে যে সকল ক্ষেত্রে সালিসকারীর সিদ্ধান্তে প্রতারণা, দুর্নীতি অথবা অন্যান্য গুরুতর ত্রুটির যুক্তিসংগত সন্দেহ বা প্রমাণ বিদ্যমান রহিয়াছে৷
 
 
 
 
(ঙ) দফা (ঘ) এর অধীন আপীল শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে দায়ের করিতে হইবে এবং দায়ের হইবার ৩০ দিনের মধ্যে আপীল ট্রাইব্যুনাল উক্ত আপীল নিষ্পত্তি করিবে; এবং আপীল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে এবং পক্ষগণের মধ্যে উহা বাধ্যকর হইবে৷
যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি ও সংঘের উল্লেখে কমিটির অন্তর্ভুক্তি
৮৯৷ প্রসঙ্গে ভিন্নরূপ আবশ্যক না হইলে, এই আইনের চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায়ে যেখানে “যৌথ দর-কষাকষি প্রতিনিধি” ও “শ্রমিক সংঘ” এর উল্লেখ আছে সেইখানে শ্রমিক প্রতিনিধিত্ব ও কল্যাণ কমিটিও অন্তর্ভুক্ত হইবে৷
শ্রমিক সংঘের অবর্তমানে নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক বেতন, ইত্যাদি নির্ধারণ
৯০৷ কোন অঞ্চলের কোন শিল্প ইউনিট বা একই মালিকের অধীন শিল্প ইউনিটসমূহে যৌথ দর-কষাকষি এজেন্ট হিসাবে কোন শ্রমিক সংঘ বিদ্যমান না থাকিলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক উহার শ্রমিকগণের মজুরী কর্মঘন্টা, বেতন, অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি এবং চাকুরীর অন্যান্য শর্তাদি সম্পর্কিত ন্যুনতম মানদণ্ড নির্ধারিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অঞ্চলের কোন শিল্প ইউনিটে যে ক্ষেত্রে কোন নিবন্ধিত শ্রমিক সংঘ থাকিবে সেখানে নিয়োজিত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে কেবল প্রবেশ পর্যায়ে প্রযোজ্য প্রারম্ভিক সর্বনিম্্ন মজুরী প্রযোজ্য হইবে এবং মজুরী সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়াদি, যথা- মজুরী বৃদ্ধি, পদোন্নতি অথবা অন্যান্য বর্ধিত সুবিধাদি মালিক ও শ্রমিক সংঘের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষ হইবে৷
গণভোট ও নির্বাচনের পরিবীক্ষণ
৯১৷ (১) বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ এবং নিরপেক্ষ উত্স হইতে নির্বাচিত বা মনোনীত প্রতিনিধিগণ এই আইনের কোন বিধানের অধীন অনুষ্ঠেয় কোন নির্বাচন কিংবা গণভোট নিরপেক্ষভাবে পরিবীক্ষণ করিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত নির্বাচন কিংবা গণভোট পরিবীক্ষণের নিমিত্ত পদ্ধতি এবং অন্যান্য বিষয়াদি কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) কোম্পানি বা মালিকগণ এই আইনের অধীন কোন গণভোট বা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবার পূর্বে শ্রমিক সংঘ সম্পর্কিত গণভোট বা নির্বাচনে ভোট প্রদান করিতে যোগ্য শ্রমিকগণের তালিকা নির্বাহী চেয়ারম্যানকে সরবরাহ করিবে৷
 
 
 
 
(৪) কোম্পানী বা মালিকগণ উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত শ্রমিকগণের তালিকা সংশ্লিষ্ট কারখানায় প্রকাশ্য স্থানে দৃশ্যমানভাবে গণভোট বা নির্বাচনের পূর্ববর্তী ৭২ ঘন্টার জন্য লটকাইয়া রাখিবেন৷
 
 
 
 
(৫) শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন সম্পর্কিত নির্বাচন বা গণভোট এমন সময়ে ও স্থানে করিতে হইবে যাহাতে শ্রমিকগণ ভোট প্রদান করিতে বাধাগ্রস্ত না হন৷
 
 
 
 
(৬) শ্রমিক সংঘের নির্বাচনের জন্য অনুরোধ জ্ঞাপন এবং উক্ত নির্বাচন চূড়ান্তভাবে পরিসমাপ্ত হইবার পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে কোন পক্ষ কর্তৃক কোনরূপ ভীতি প্রদর্শন বা প্রতিশোধের হুমকি প্রদর্শন করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(৭) শ্রমিক সংঘের নিবন্ধন সম্পর্কিত নির্বাচন সম্পর্কে শিল্প ইউনিটের প্রাঙ্গনে বা ইহার কর্মকালীন সময়ে কোন পক্ষ কর্তৃক কোন প্রকার প্রচারণা চালানো যাইবে না এবং কোন বিশেষ বা সাধারণ সভা শিল্প ইউনিটের প্রাঙ্গণে এবং ইউনিটের কর্মকালীন সময়ে আহ্বান করা বা পরিচালনা করা যাইবে না৷
নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক সময় বর্ধিতকরণ
৯২৷ এই আইনের কোন বিধানের অধীন করণীয় কোন কাজ বা পালনীয় কোন কর্তব্য নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে করা বা পালন করা সম্ভব না হইলে, নির্বাহী চেয়ারম্যান যুক্তিসংগত কারণে উক্ত সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবেন৷
নির্বাহী চেয়ারম্যান কর্তৃক ক্ষমতা অর্পণ
৯৩৷ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে, নির্বাহী চেয়ারম্যান এই আইনের অধীন তাঁহার কোন ক্ষমতা তাঁহার অধঃস্তন কোন কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷
নির্বাহী চেয়ারম্যান, প্রমুখ সরকারী কর্মচারী গণ্য হওয়া মর্মে বিধান
৯৪৷ নির্বাহী চেয়ারম্যান, মীমাংসাকারী, ইপিজেড শ্রম ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং ইপিজেড শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালের সদস্য দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ২১ ধারার অধীন সরকারী কর্মচারী হিসাবে গণ্য হইবেন৷
কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আইন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পরিচালনা
৯৫৷ আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন, বিধি বা প্রবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের উপর এই আইনের পরিচালনার এবং অঞ্চলসমূহে শ্রমিকগণের অধিকার এবং শিল্প সম্পর্কিত বিষয়াদি পরিচালনার ভার অর্পিত থাকিবে৷
মূল পাঠ এবং ইংরেজীতে পাঠ
৯৬৷ এই আইনের মূল পাঠ বাংলাতে হইবে এবং ইংরেজীতে অনূদিত উহার একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ থাকিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলা ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে৷
বিধি ও প্রবিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৯৭৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রবিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs