প্রিন্ট ভিউ

জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী আইন, ২০০৫

( ২০০৫ সনের ১২ নং আইন )

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিসহ গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার লক্ষ্যে একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠার জন্য বিধান প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন৷
 
 
 
যেহেতু, কম্পিউটার শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং কম্পিউটার বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা, আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান চর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি করে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
 
 
 
 
সেহেতু, এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:
 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনামা
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
 
 
(ক) “একাডেমী” অর্থ ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী;
 
 
 
 
(খ) “চেয়ারম্যান” অর্থ একাডেমীর বোর্ড অব গভর্ণরস-এর চেয়ারম্যান;
 
 
 
 
(গ) “তহবিল” অর্থ একাডেমীর তহবিল;
 
 
 
 
(ঘ) “পরিচালক” অর্থ একাডেমীর পরিচালক;
 
 
 
 
(ঙ) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
 
 
(চ) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৬-এর অধীন গঠিত একাডেমীর বোর্ড অব গভর্ণরস;
 
 
 
 
(ছ) “বিধিমালা” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধিমালা; এবং
 
 
 
 
(জ) “সদস্য” অর্থ একাডেমীর বোর্ড অব গভর্ণরস-এর সদস্য এবং ইহার চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন৷
একাডেমীর প্রতিষ্ঠা
৩৷ (১) এই আইন বলবত্ হইবার সংগে সংগে জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী নামে একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হইবে৷
 
 
(২) একাডেমী একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং একাডেমী ইহার নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে৷
একাডেমীর প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
৪৷ (১) একাডেমীর প্রধান কার্যালয় বগুড়া জেলার শাহজাহানপুর উপজেলাধীন ফুলতলা নামক স্থানে থাকিবে৷
 
 
 
 
(২) একাডেমী, প্রয়োজনে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে৷
একাডেমীর সাধারণ পরিচালনা, ইত্যাদি
৫৷ একাডেমীর পরিচালনা ও প্রশাসন একটি বোর্ড অব গভর্ণরস-এর উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং একাডেমী যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে বোর্ড অব গভর্ণরসও সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে৷
একাডেমীর বোর্ড অব গভর্ণরস-এর গঠন
৬৷ (১) নিম্নবর্ণিত সদস্যদের সমন্বয়ে একাডেমীর বোর্ড অব গভর্ণরস গঠিত হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
 
 
(খ) অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পদাধিকারবলে যিনি উহার ভাইস-চেয়ারম্যান হইবেন;
 
 
 
 
(গ) বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত একজন যুগ্ম-সচিব;
 
 
 
 
(ঘ) মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঙ) মহাপরিচালক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(চ) মহাপরিচালক, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বগুড়া, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ছ) চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(জ) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঝ) রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের একজন অধ্যাপক;
 
 
 
 
(ঞ) জেলা প্রশাসক, বগুড়া, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ট) অধ্যক্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া, পদাধিকারবলে;
 
 
 
 
(ঠ) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ;
 
 
 
 
(ড) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিজনেস প্রমোশনাল কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
 
 
 
 
(ঢ) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি; এবং
 
 
 
 
(ণ) একাডেমীর পরিচালক, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্য যাহারা পদাধিকারবলে বোর্ডের সদস্য হইবেন তাঁহাদের মেয়াদ হইবে সংশ্লিষ্ট পদে কর্মরত থাকা পর্যন্ত এবং উপ-ধারা (১) এর দফা (ঝ), (ঠ), (ড) এবং (ঢ) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাঁহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে তিন বত্সরের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঝ), (ঠ), (ড) এবং (ঢ) এর অধীন মনোনীত কোন সদস্যের মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বেও সরকার, কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে, যে কোন সময় তাঁহাকে তাঁহার দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর দফা (ঝ), (ঠ), (ড) এবং (ঢ) এর অধীন মনোনীত কোন সদস্য যে কোন সময় বোর্ডের চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করিয়া তাঁহার স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন৷
একাডেমীর বোর্ডের সভা
৭৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) বোর্ডের সভা, উহার চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে উহার সদস্য-সচিব কর্তৃক আহূত হইবে এবং চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি চার মাসে বোর্ডের অন্যুন একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে ভাইস-চেয়ারম্যান এবং তাঁহাদের উভয়ের অনুপস্থিতিতে উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক তাঁহাদের মধ্য হইতে মনোনীত কোন সদস্য বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করিবেন৷
 
 
(৪) বোর্ডের সভার কোরামের জন্য বোর্ডের অন্যুন পাঁচজন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে, তবে মুলতবী সভার ক্ষেত্রে কোন কোরামের প্রয়োজন হইবে না৷
 
 
 
 
(৫) বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং উপস্থিত সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারীর দ্বিতীয় ও নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে৷
 
 
 
 
(৬) শুধুমাত্র কোন সদস্য পদে শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে বোর্ডের কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তত্সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না৷
একাডেমীর কার্যাবলী
৮৷ একাডেমীর কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
 
 
 
(ক) কম্পিউটার প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা এবং এ বিষয়ে জ্ঞানের উত্কর্ষ সাধন করা;
 
 
 
 
(খ) সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারী-প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের কাঠামো নির্ধারণ, পরিচালনা ও মূল্যায়ন করা;
 
 
 
 
(গ) শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করা;
 
 
 
 
(ঘ) একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত পাঠ্যক্রম অধ্যয়ন সম্পন্ন করিয়াছেন এমন ব্যক্তিদের পরীক্ষা গ্রহণ করা এবং ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা;
 
 
 
 
(ঙ) একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা অনুষ্ঠান, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা প্রদান, ইত্যাদি খাতে ফি নির্ধারণ ও আদায়;
 
 
 
 
(চ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী এবং এই আইনের অধীন অন্যান্য বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ও আনুষংগিক কার্যাবলী সম্পাদন করা; এবং
 
 
 
 
(ছ) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দায়িত্ব পালন৷
পরিচালক
৯৷ (১) একাডেমীর একজন পরিচালক থাকিবেন৷
 
 
 
 
(২) পরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাঁহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হইবে৷
 
 
 
 
(৩) পরিচালক একাডেমীর সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, বোর্ড কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন৷
 
 
(৪) পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে পরিচালক তাঁহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে শূন্য পদে নবনিযুক্ত পরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা পরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোন ব্যক্তি পরিচালকরূপে দায়িত্ব পালন করিবে৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
১০৷ (১) একাডেমী উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে:
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে একাডেমী কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে না৷
 
 
 
 
(২) একাডেমীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ পদ্ধতি এবং তাঁহাদের চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
কমিটি
১১৷ একাডেমী এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সুস্পষ্ট দায়িত্ব পালনের জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
একাডেমীর তহবিল
১২৷ (১) একাডেমীর কার্য পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উত্সসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথা:-
 
 
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(খ) সরকারের অনুমোদনসহ কোন বিদেশী সরকার বা সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(ঘ) কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি প্রদত্ত অনুদান;
 
 
 
 
(ঙ) একাডেমী কর্তৃক প্রদত্ত সেবা, প্রশিক্ষণ, সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা প্রদানের বিনিময়ে অর্জিত আয়;
 
 
 
 
(চ) একাডেমীর অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং
 
 
 
 
(ছ) অন্য কোন বৈধ উত্স হইতে প্রাপ্ত অর্থ৷
 
 
 
 
(২) একাডেমীর তহবিল বা উহার অংশ বিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে৷
 
 
 
 
(৩) উক্ত তহবিলে জমাকৃত অর্থ একাডেমীর নামে তত্কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে৷
 
 
(৪) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে উক্ত তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে৷
বাজেট
১৩৷ একাডেমী প্রতি বত্সর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বত্সরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বত্সরে সরকারের নিকট হইতে একাডেমীর কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে৷
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৪৷ (১) একাডেমী যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে৷
 
 
 
 
(২) বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা-হিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, প্রতি বত্সর একাডেমীর তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা রিপোর্টের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও একাডেমীর নিকট পেশ করিবেন৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা-হিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি একাডেমীর সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং বোর্ডের যে কোন সদস্য, পরিচালক এবং একাডেমীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন৷
প্রতিবেদন
১৫৷ (১) প্রতি আর্থিক বত্সর শেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গে একাডেমী উক্ত অর্থ বত্সরের সম্পাদিত কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে৷
 
 
 
 
(২) সরকার প্রয়োজনমত একাডেমীর নিকট হইতে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী আহ্বান করিতে পারিবে এবং একাডেমী উহা সরকারের নিকট প্রেরণ করিতে বাধ্য থাকিবে৷
ঋণ গ্রহণ
১৬৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একাডেমী, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে৷
চুক্তি
১৭৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একাডেমী, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে৷
ক্ষমতা অর্পণ
১৮৷ পরিচালক, প্রয়োজনবোধে এবং তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাঁহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব লিখিত আদেশ দ্বারা একাডেমীর কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
১৯৷ এই আইন বা কোন বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য একাডেমী বা বোর্ডের যে কোন সদস্য, পরিচালক বা একাডেমীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী কিংবা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
২০৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
২১৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একাডেমী, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা কোন বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হয় এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
বিলুপ্তি ও হেফাজত
২২৷ (১) এই আইন প্রবর্তনের সংগে সংগে জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, বগুড়া (নট্রামস), অতঃপর বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠান বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে৷
 
 
 
 
(২) উক্তরূপ বিলুপ্ত হওয়ার সংগে সংগে-
 
 
 
 
(ক) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানের স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি এবং নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ একাডেমীর নিকট হস্তান্তরিত হইবে এবং উক্ত সম্পত্তি ও অর্থ একাডেমীর সম্পত্তি ও অর্থ হইবে;
 
 
 
 
(খ) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানের সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব, উন্নয়ন প্রকল্প, যদি থাকে, একাডেমীর ঋণ, দায়-দায়িত্ব এবং প্রকল্প হইবে;
 
 
 
 
(গ) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অথবা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা একাডেমী কর্তৃক অথবা একাডেমীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বলিয়া গণ্য হইবে এবং সেইভাবে সকল মামলা-মোকদ্দমা পরিচালিত হইবে; এবং
 
 
 
 
(ঘ) বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী একাডেমীতে বদলী হইবেন এবং তাঁহারা একাডেমী কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং এইরূপ বদলীর পূর্বে তাঁহারা যে শর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন একাডেমী কর্তৃক নিয়োগ বিধিমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত একই শর্তে একাডেমীর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন৷
 
 

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs