প্রিন্ট ভিউ

সার ব্যবস্থাপনা আইন, ২০০৬

( ২০০৬ সনের ৬ নং আইন )

কৃষিকাজে ব্যবহার্য সার ও সারজাতীয় দ্রব্যাদির উত্পাদন, আমদানী, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহণ ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণকল্পে প্রণীত আইন

 

যেহেতু কৃষিকাজে ব্যবহার্য সার ও সারজাতীয় দ্রব্যাদির উত্পাদন, আমদানী, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপনন, পরিবহণ ও বিক্রয় নিয়ন্ত্রণসহ এতদ্‌সংক্রান্ত বিষয়াবলী সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 
 

সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-

 
 
 
সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১৷ এই আইন সার (ব্যবস্থাপনা) আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে৷
 
 
(২) ইহা অভিলম্বে কার্যকর হইবে৷
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে এই আইনে-
 
(১) 'অনুপুষ্টি সার বা Micronutrient Fertilizer' অর্থ এমন পুষ্টি উপাদানসম্বলিত সার যাহাতে জিংক, বোরন, আয়রন, ম্যাংগানিজ, কপার, মলিবডেনাম ও ক্লোরিন বিদ্যমান থাকে এবং যাহা, অল্প পরিমাণে হইলেও, উদ্ভিদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়;
 
(২) 'আবশ্যকীয় উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদান বা Essential Plant Nutrients' অর্থ নিম্নোক্ত যে কোন 1[ এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদান] যথাঃ-
 
(ক) নাইট্রোজেন;
 
(খ) ফসফরাস;
 
(গ) পটাসিয়াম;
 
(ঘ) সালফার;
 
(ঙ) ক্যালসিয়াম;
 
(চ) ম্যাগনেসিয়াম;
 
(ছ) জিংক;
 
(জ) বোরণ;
 
(ঝ) আয়রন;
 
(ঞ) ম্যাংগানিজ;
 
(ট) কপার;
 
(ঠ) মলিবডেনাম; এবং
 
(ড) ক্লোরিন;
 
(৩) 'আদালত' অর্থ এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার করিবার এখতিয়ার সম্পন্ন্ন কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত;
 
(৪) 'উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক বা উদ্দীপক বা Plant growth regulator or stimulant' অর্থ যে সকল হরমোন উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের অংশবিশেষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে বা উদ্দীপনকরণে সহায়তা করে;
 
(৫) 'কমিটি' অর্থ ধারা ৪ এর অধীন গঠিত জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটি;
 
(৬) 'খুচরা বিক্রেতা' অর্থ যে ব্যক্তি সরাসরি কৃ'ষক বা ভোক্তার নিকট সার বিক্রয় করে;
 
(৭) 'জীবানু সার বা Bio-Fertilizer' অর্থ জীবানু (Microbes) ভিত্তিক সার, যাহা বাতাসের নাইট্রোজেন সংবন্ধন বা মাটির অদ্রবণীয় ফসফরাস ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান দ্রবীভূতকরণপূর্বক উদ্ভিদে পুষ্টি উপাদান সরবরাহের মাধ্যমে ফসলের উত্পাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে
 
2[ (৭ক) 'জৈব সার বা Organic Fertilizer' অর্থ জৈব পদার্থ হইতে সংগৃহীত, প্রক্রিয়াজাত অথবা রূপান্তরিত সার;]
 
(৮) 'নিবন্ধন' অর্থ ধারা ৮ এর অধীন নিবন্ধন;
 
(৯) 'নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ' অর্থ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্তৃপক্ষ;
 
(১০) নিশ্চয়তা বিশ্লেষণ বা Guaranteed Analysis' অর্থ সংশ্লিষ্ট সারের উপাদান হিসেবে স্বীকৃত সকল আবশ্যকীয় উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদানের নিম্নতম শতকরা হারের উল্লেখ;
 
(১১) 'নির্ধারিত' অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
 
(১২) 'নীট ওজন বা Net Weight' অর্থ সারের বস্তা, আধার বা কন্টেইনারের ওজন ব্যতীত সারের ওজন;
 
(১৩) 'পরিদর্শক' অর্থ ধারা ৯ এর অধীন নিযুক্ত পরিদর্শক;
 
(১৪) 'পরীক্ষাগার' অর্থ ধারা ২৭ এর অধীন সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষাগার;
 
(১৫) 'ফৌজদারী কার্যবিধি' অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898);
 
(১৬) 'ব্যক্তি' অর্থ যে কোন ব্যক্তি এবং কোন প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী, অংশীদারী কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোন সংস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
(১৭) 'ব্রান্ড' অর্থ প্রচলিত রাসায়নিক বা সাধারণ নাম ব্যতীত সার চিহ্নিতকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত শব্দ, ডিজাইন বা ট্রেড মার্ক;
 
(১৮) 'বিধি' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
(১৯) 'বিনির্দেশ বা Specification' অর্থ ধারা ৭ এর অধীন জারীকৃত বিনির্দেশ;
 
3[ (২০) ' 4[ মিশ্র সুষম সার বা Mixed Balanced Fertilizer]' অর্থ-
 
(ক) কেবলমাত্র বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সারের মিশ্রণ হইতে; এবং
 
(খ) কেবলমাত্র বিভিন্ন ধরনের জৈব সারের মিশ্রণ হইতে প্রস্তুতকৃত সার; ]
 
(২১) 'যৌগিক সার বা Compound Fertilizer' অর্থ অন্যুন দুইটি আবশ্যকীয় উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রহিয়াছে এইরূপ রাসায়নিক সার;
 
(২২) 'রাসায়নিক সার বা Chemical Fertilizer' অর্থ অজৈব বা কৃত্রিম পদার্থ হইতে সংগৃহীত এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় উত্পাদিত সার;
 
(২৩) 'লেবেল' অর্থ সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতার্থে সারের বস্তা বা আধার বা কন্টেইনারের উপর ধারা ১৩ এ বর্ণিত বিবরণ;
 
5[ (২৪) 'সার বা Fertilizer' অর্থ রাসায়নিক সার, জৈব সার ও জীবাণু সার এবং ইহা ছাড়াও সরলসার, মিশ্রসার, যৌগিকসার, অনুপুষ্টি সার এবং সারজাতীয় দ্রব্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;]
 
(২৫) 'সারজাতীয় দ্রব্য' অর্থ উদ্ভিদের নিয়স্ত্রক বা উদ্দীপক জাতীয় দ্রব্য; এবং
 
(২৬) 'সরল সার বা Straight Fertilizer' অর্থ উদ্ভিদের প্রধান তিনটি পুষ্টি উপাদান, যথাঃ নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাসিয়াম এর কেবল যে কোন একটি বিদ্যমান রহিয়াছে এইরূপ রাসায়নিক সার৷
এই আইন অন্য আইনের অতিরিক্ত গণ্য
৩৷ এই আইনের বিধানাবলী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনের কোন বিধানকে ক্ষুণ্ন করিবে না বরং উহার অতিরিক্ত হিসাবে কার্যকর হইবে৷
জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটি (National Fertilizer Standar-dization Committee)

৪৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি করিয়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধিসহ সার বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন্ন অনূর্ধ্ব 6[ ১৭ (সতেরো)] জন সদস্য সমন্বয়ে জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটি গঠন করিবে৷

 

(২) কমিটি নিম্নবর্ণিত কার্যাবলী সম্পাদন করিবে, যথাঃ-

 

(ক) সার সংগ্রহ, আমদানি, বিলিবন্টন, বিক্রয় ও ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;

 

7[ (খ) মান নির্ধারণ করা হয় নাই এইরূপ নূতন রাসায়নিক সার, জৈব সার, জীবাণু সার (Bio-fertilizer), মিশ্র সুষম সার, যৌগিক সার, সয়েল কন্ডিশনার বা অ্যামেন্ডমেন্ট এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক বা উদ্দীপক (Plant Growth Regulator or Stimulant) এর গবেষণাগার ও মাঠ বা শস্য পর্যায়ে পরীক্ষা পরিচালনা এবং এই সকল পরীক্ষার ফলাফল বা পরিবেশের উপর উহার প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনাপূর্বক দেশে উক্ত সামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, বিপণন ও ব্যবহার অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ পেশকরণ;]

 

8[ (খখ) বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদিত ও বাজারজাতকৃত জৈব সারের বিনির্দেশ অনুমোদনের বিষয়ে সরকারের নিকট সুপারিশ পেশকরণ;]

 

(গ) বিভিন্ন সারের এবং সার উত্পাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের বিনির্দেশ নির্ধারণের জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান;

 

(ঘ) বিভিন্ন কৃষি জলবায়ু অঞ্চলে (Agro-ecological) মৃত্তিকা ও ফসলের উপযোগী বিভিন্ন গ্রেডের মিশ্রণ এবং যৌগিক সারের বিনির্দেশ নির্ধারণের জন্য সরকারকে পরামর্শ প্রদান;

 

(ঙ) সারের ভৌত বা দানাদার মিশ্রণ প্রস্তুত পদ্ধতির (Formulation) বিষয়ে সরকারের নিকট সুপারিশ পেশকরণ;

 

(চ) সকল প্রকার সারের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগার স্থাপনের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান;

 

(ছ) সারের নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পদ্ধতি নির্ধারণ বা পরিমার্জন;

 

(জ) অনুমোদিত সারের তালিকা পর্যালোচনা এবং প্রয়োজনে উক্ত তালিকায় সংযোজন বা বিয়োজনের বিষয়ে সরকারের নিকট সুপারিশ প্রদান; এবং

 

(ঝ) সরকার কর্তৃক প্রেরিত সংশ্লিষ্ট অন্য যে কোন বিষয়ে সরকারের নিকট পরামর্শ বা সুপারিশ প্রদান৷

কমিটির সভা
৫৷ (১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
(২) কমিটির সভা উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে৷
 
 
(৩) কমিটির সভায় উহার সভাপতি এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তত্কর্তৃক মনোনীত কোন সদস্য এবং উভয়ের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে উপস্থিত সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত অন্য কোন সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন৷
উপ-কমিটি
৬৷ কমিটি উহার সদস্য সমন্বয়ে এক বা একাধিক উপ-কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং উপ-কমিটিতে কমিটি বহির্ভূত কোন ব্যক্তিকেও অন্তর্ভুক্ত করা যাইবে৷
বিনির্দেশ (Specification) জারী
৭৷ এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, কমিটির পরামর্শক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সারের আবশ্যকীয় উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদানসহ অন্যান্য উপাদানের মাত্রা এবং সারের ভৌত গুণাবলী ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের লক্ষ্যে বিনির্দেশ জারী করিবে৷
নিবন্ধন
 
৮৷ (১) নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে, নিবন্ধন গ্রহণ ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোন প্রকার সার উত্পাদন, আমদানী, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না৷
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি 9[ দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
(৩) নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষ বা বিনির্দেশ বহির্ভূত কোন সার নিবন্ধন করিবে না৷
 
(৪) উত্পাদন ও আমদানীর জন্য, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রত্যেক প্রকার সারের পৃথক পৃথকভাবে নিবন্ধন গ্রহণ করিতে হইবে৷
পরিদর্শক
৯৷ (১) এই আইনের বিধানাবলী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার, কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের এক বা একাধিক কর্মকর্তা বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তাকে বা অন্য কোন ব্যক্তিকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, পরিদর্শক হিসাবে নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিয়োগকৃত পরিদর্শক যে কোন সময় যে কোন সার কারখানা এবং তত্সংলগ্ন স্থান, সারের গুদাম বা সার বা সারজাতীয় দ্রব্য রাখা হয় বা পরিবহণ করা হয় এইরূপ যে কোন স্থান, যানবাহন বা সার বিক্রয়, বিপণন, বা বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন ও উহাত প্রবেশ করিতে পারিবেন৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) অনুসারে পরিদর্শনকালে, পরিদর্শক-
 
 
(ক) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সার ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র এবং তাহার নিয়ন্ত্রণাধীন সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল পরীক্ষা করিতে পারিবেন;
 
 
(খ) সার সংরক্ষণ বা বিক্রয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ও তত্সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে এবং কোন অনিয়ম বা ত্রুটি লক্ষ্য করিলে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারিবেন;
 
 
(গ) এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হইলে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত পন্থায় সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল বা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দ্রব্যের নমুনা সংগ্রহ করিয়া উহা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিতে এবং ক্ষেত্রমত, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উহার উত্পাদন, বিক্রয়, বিপণন বা বিতরণ বন্ধ রখিবার নির্দেশ দিতে পরিবেন;
 
 
(ঘ) পরিদর্শনকালে পরিলক্ষিত যে কোন অনিয়ম বা ত্রুটি সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালকের অথবা, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত, কোন কর্মকর্তার নিকট প্রতিবেদন পেশ করিবেন; এবং
 
 
(ঙ) এই আইনের বা ইহার অধীন প্রণীত বিধির যে কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন৷
সার উত্পাদন
১০৷ (১) কোন ব্যক্তি বিনির্দেশ বহির্ভূত কোন সার বা সারজাতীয় দ্রব্য উত্পাদন বা উহার মিশ্রণ প্রস্তুত করিতে পারিবেন না৷
 
 
(২) উত্পাদিত সার বা সারজাতীয় দ্রব্যের গুণাগুণ পরীক্ষার জন্য প্রত্যেক সার কারখানা কর্তৃপক্ষ উহার সার কারখানায় একটি পরীক্ষাগার স্থাপন করিবে৷
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) বা (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং অপরাধের জন্য তিনি ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
সার আমদানী
১১৷ (১) কোন ব্যক্তি বিনির্দেশ বহির্ভূত কোন সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল আমদানী করিতে পারিবেন নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, শস্যের জন্য প্রয়োজনীয় এবং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শস্য উত্পাদনে ব্যবহৃত হইয়া থাকে এমন কোন সার, বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ সাপেক্ষে এবং সরকার নির্ধারিত শর্ত ও পদ্ধতিতে, নমুনা হিসাবে আমদানী করা যাইবে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
 
(৩) আমদানিকৃত সার ছাড়করণের সময় উহার উত্পাদনকারী কর্তৃক নিশ্চয়তা বিশ্লেষণ (Guaranteed Analysis) দাখিল করিতে হইবে৷
 
 
(৪) সমুদ্র, স্থল বা বিমান বন্দরে আমদানীকৃত সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল ছাড়করণের সময় উহার নমুনা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ ত্বরান্বিত এবং ত্রুটিমুক্ত করিবার উদ্দেশ্যে প্রত্যেক বন্দরের জন্য একটি পরিদর্শন কমিটি থাকিবে৷
 
 
(৫) পরিদর্শন কমিটির কার্যপরিধিসহ অন্যান্য বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
বিনির্দেশ বহির্ভূত সার গুদামজাতকরণ, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিপনন, পরিবহন ও বিতরণ, ইত্যাদি
১২৷ (১) কোন ব্যক্তি বিনির্দেশ বহির্ভূত কোন সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল গুদামজাত, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিপণন, পরিবহণ বা বিতরণ করিতে বা দখলে রাখিতে পারিবেন না৷
 
 
(২) কোন সার বস্তা, আধার বা কন্টেইনারে ভর্তি অবস্থা ব্যতীত অন্য কোনভাবে গুদামজাত, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিপণন বা বিতরণ করা যাইবে নাঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, খুচরা বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এই বিধি-নিষেধ প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
সারের বস্তা, আধার বা কন্টেইনার

১৩৷ (১) সারের বস্তা, আধার বা কন্টেইনারের গায়ে অথবা পৃথকভাবে একটি লেবেলে সংযুক্ত করিতে হইবে এবং উক্ত লেবেলে নিম্নবর্ণিত তথ্যাদি স্পষ্টাক্ষরে ও সহজে দৃশ্যমানভাবে বাংলা বা ইংরেজীতে লিখিতে হইবে, যথাঃ-

 
 

(ক) সারের নাম (ব্রান্ড নাম যদি থাকে উহাও উল্লেখ করিতে হইবে);

 
 

(খ) সারে বিদ্যমান আবশ্যকীয় উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদানের নাম এবং শতকরা হার;

 
 

(গ) সারের নীট ওজন;

 
 

(ঘ) প্রস্তুতকারকের নাম ও যে দেশে প্রস্তুত সেই দেশের নাম;

 
 

(ঙ) নিশ্চয়তা বিশ্লেষণ (Guaranteed Analysis); এবং

 
 

(চ) আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা ও নিবন্ধন নম্বর 10[;]

 
 

11[(ছ) উৎপাদনের তারিখ; এবং

 
 

(জ) সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP)।]

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

বিনির্দেশ বহির্ভূত বা পরিবেশ দূষণকারী সার, ইত্যাদি
 
১৪৷ (১) কোন ব্যক্তি বিনির্দেশ বহির্ভূত বা পরিবেশ দূষণকারী সার বা উহার কাঁচামাল উত্পাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয় বা বিতরণ করিলে বা দখলে রাখিলে, পরিদর্শক-
 
(ক) অন্যুন একজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে উক্ত সার বা উহার কাঁচামালের নমুনা সংগ্রহ করিয়া উহা পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিবেন;
 
(খ) লিখিতভাবে কারণ উল্লেখপূর্বক অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট লটের সার বা উহার কাঁচামালের উত্পাদন, বিক্রয়, বিতরণ বা ব্যবহার অনূর্ধ্ব দশ দিনের জন্য বন্ধ রাখিবার আদেশ দিতে পারিবেন; এবং
 
(গ) বিষয়টি সম্পর্কে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের নিকট অবিলেম্ব প্রতিবেদন পেশ করিবেন৷
 
(২) উপ-ধারা (১) (গ) অনুসারে প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠানক্রমে জেলার কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিনির্দেশ বহির্ভূত অথবা পরিবেশ দূষণকারী সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল উত্পাদন, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিপণন বা বিতরণ করিতেছেন অথবা বিক্রয়, বিপণন বা বিতরণের উদ্দেশ্যে দখলে রাখিয়াছেন বা সারের উক্তরূপ কাঁচামাল সার প্রস্তুতে ব্যবহার করিতেছেন তাহা হইলে তিনি-
 
(ক) উপ-ধারা (১) অনুসারে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করিতে পারিবেন;
 
(খ) উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) তে উল্লিখিত আদেশের মেয়াদ, প্রয়োজনবোধে, পরীক্ষাগারের ফলাফল প্রাপ্তির অথবা দশ দিন পর্যন্ত, যে সময়সীমা কম হইবে সেই সময়সীমা পর্যন্ত বৃদ্ধি করিতে পারিবেন;
 
(গ) দফা (খ) অনুসারে প্রদত্ত আদেশ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালককে উহার অনুলিপিসহ, যে ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে বা দখলে উক্ত সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল রহিয়াছে সেই বাক্তির নিকট প্রেরণ করিবেন৷
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নিকট উক্ত আদেশ প্রাপ্তির পনের দিনের মধ্যে আপীল করিতে পারিবেন৷
 
12[ (৪) আপিল দাখিলের অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে আপিল কর্তৃপক্ষ উহা নিষ্পত্তি করিবে।
 
(৪ক) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উক্ত আদেশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করিতে পারিবেন এবং আবেদন প্রাপ্তির অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
 
(৫) উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) অনুসারে পরীক্ষায় যদি নমুনা সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল বিনির্দেশ বহির্ভূত অথবা পরিবেশ দূষণকারী বলিয়া প্রমাণিত হয় তাহা হইলে, আপিলের মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর বা আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে, আপিল নিষ্পত্তির পর পুনর্বিবেচনার মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর বা পুনর্বিবেচনার আবেদন করিবার ক্ষেত্রে, উহা নিষ্পত্তির পর, সংশ্লিষ্ট লটের সমুদয় সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল সংশ্লিষ্ট সার উৎপাদনকারী, সংরক্ষণকারী, বিক্রেতা, বিপণনকারী বা বিতরণকারী বা যাহার দখলে থাকিবে সেই ব্যক্তিকে সরকার বা সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের নির্দেশিত পন্থায় নির্দেশিত সময়ের মধ্যে নিজ খরচে বিনষ্ট করিতে হইবে।]
 
 
(৬) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (৫) এর কোন নির্দেশ অমান্য করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি দুই বত্সর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
 
(৭) উপ-ধারা (৫) এ প্রদত্ত নির্দেশমতে কোন ব্যক্তি সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল বিনষ্ট না করিলে সরকার বা এতদুদ্দেশ্যে সককার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ উক্ত সার বা সারজাতীয় দ্রব্য বা উহার কাঁচামাল নির্ধারিত পদ্ধতিতে, বিনষ্ট করিবে এবং উক্ত বিনষ্টকরণে ব্যয়িত সমুদয় অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট হইতে Public Demand Recovery Act, 1913 (Act No. III of 1913) এর অধীন আদায় করা যাইবে৷
আবশ্যকীয় উদ্ভিদ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি (Plant Nutrient Deficiency)
১৫৷ (১) যদি কোন পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে, কোন সারের নিশ্চয়তা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে (Guaranteed Analysis) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ইনভেস্টিগেশন্যাল এ্যালাউন্স (Investigational Allowance) অনুযায়ী আবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের মধ্যে এক বা একাধিক আবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রহিয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট সার যে ব্যক্তির নিকট হইতে বিক্রয়ের জন্য পাওয়া গিয়াছে উক্ত ঘাটতির জন্য সেই ব্যক্তি দায়ী হইবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত ঘাটতির জন্য দায়ী ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ব্রান্ডের অপ-ব্যবহার (Misbranding)
১৬৷ (১) কোন ব্যক্তি সারের নির্দিষ্ট কোন ব্রান্ডের পরিবর্তন ঘটাইয়া (Misbranding Fertilizer) উহা সরবরাহ, বিপণন বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না৷
 
 
(২) কোন সার নিম্নবর্ণিত কারণে ব্রান্ডের পরিবর্তন (Misbranding) হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) যদি সারের বস্তা বা আধার বা কন্টেইনারের লেবেল মিথ্যা বা বানোয়াট হয় বা অন্য কোন উপায়ে ভুল ধারণার জন্ম দেয়;
 
 
(খ) যদি পূর্ব অনুমোদিত অন্য কোন ব্রান্ডের নামে উহা বিপণন, সরবরাহ বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা হয়; এবং
 
 
(গ) যদি ধারা ১৩ এ বর্ণিত পদ্ধতিতে যথাযথভাবে লেবেলকৃত না হয়৷
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাব গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি দুই বত্সর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ভেজাল (Adulteration)
১৭৷ (১) কোন ব্যক্তি কোন ভেজাল সার উত্পাদন, আমদানী, গুদামজাত, সংরক্ষণ, বিক্রয়, বিপণন বা বিতরণ করিতে পারিবেন না৷
 
 
(২) নিম্নবর্ণিত কারণে কোন সার ভেজাল বলিয়া গণ্য হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) বিনির্দেশ বহির্ভূত কোন সার;
 
 
(খ) পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সার বিশ্লেষণ সার্টিফিকেট অনুযায়ী যদি সারে ক্ষতিকারক পদার্থের উপস্থিতি এই পরিমাণ থাকে যাহা বর্ণিত নির্দেশনা অনুসারে ব্যবহার করা হইলে মাটি, উদ্ভিদ, প্রাণী ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হইবে;
 
 
(গ) যদি সারের ব্যবহার বিধিতে উক্ত সারের অপকারিতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক বিবরণ লেবেলে বর্ণিত না থাকে;
 
 
(ঘ) যদি লেবেলে বর্ণিত রাসায়নিক গঠন (Composition) অপেক্ষা নিম্নমানের উপাদানে অথবা অন্য কোন উপায়ে সার প্রস্তুত করা হয়; এবং
 
 
(ঙ) যদি সারে প্রয়োজনীয় উপাদান ব্যতীত অনাবশ্যক বা পরিবেশ দুষণকারী বা ক্ষতিকর কোন পদার্থ থাকে৷
 
 
(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি দুই বত্সর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
ক্ষতিকর পদার্থর জন্য বিশেষ বিধান
১৮৷ (১) উদ্ভিদের ক্রমবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর উপাদানবিশিষ্ট কোন সার বিশেষ ধরণের শস্যে প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হইলে উক্ত সারের লেবেলে কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ উল্লেখ থাকিতে হইবে এবং কমিটি কোন সারে ক্ষতিকর পদার্থের নিম্নরূপ সীমা নির্ধারণ করিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) ইউরিয়া ফলিয়ার স্প্রে (Spray) হিসাবে অথবা লেবু জাতীয় শস্য (Citrus) সার হিসাবে ব্যবহৃত হইলে বাই ইউরেট এর পরিমাণ অনধিক ১.৫%; এবং
 
 
(খ) তামাক জাতীয় ফসলে (যাহা অতিমাত্রায় ক্লোরাইড সংবেদনশীল) ব্যবহৃত সারে ক্লোরিন এর পরিমাণ অনধিক ২.৫%৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত নির্ধারিত পরিমাণ অপেক্ষা অধিক পরিমাণ ক্ষতিকর উপাদান থাকিলে উক্ত সার ধারা ১৭ এর অধীন ভেজাল সার হিসাবে গণ্য হইবে৷
কম ওজন
১৯৷ (১) কোন নিবন্ধিত ব্যক্তির দখলে বা নিয়ন্ত্রণে লেবেলে উল্লিখিত ওজন অপেক্ষা ০.৫০% (শুন্য দশমিক পাঁচ শুন্য) ভাগের অতিরিক্ত কম ওজনসম্পন্ন্ন সারের প্যাকেট, বস্তা, আধার বা মোড়ক পাওয়া গেলে, উক্ত নিবন্ধিত ব্যক্তি এই আইনের বিধান লঙ্ঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি একাধিকবার উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘন করিলে উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন সনদপত্র প্রাথমিকভাবে নব্বই দিনের জন্য স্থগিত রাখা যাইবে এবং উক্ত বিধান লংঘনের পুনরাবৃত্তি ঘটিলে তাহার নিবন্ধন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হইবে৷
সার বিক্রয় বন্ধ রাখার আদেশ
২০৷ (১) এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন সার বিপণন বা বিক্রয়ের জন্য প্রস্তাব অথবা প্রদর্শন করা হইলে সরকার উক্ত সারের মালিক বা দখলদারকে (Custodian) উহার বিপণন, বিক্রয়, ব্যবহার বা অপসারণ বন্ধ রাখার আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর আদেশ লঙ্ঘন করিলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য উক্ত ব্যক্তি ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
বিচার
২১৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ স্থানীয় অধিক্ষেত্রেসম্পন্ন্ন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে৷
 
 
(২) ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যস্ত কোন ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে অনুমোদিত যে কোন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন৷
 
 
(৩) Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860) এর Section 21 এ সংজ্ঞায়িত কোন Public Servant বা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট উপ-পরিচালক বা পরিদর্শক বা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অপরাধ বর্ণনাপূর্বক লিখিত আবেদন দাখিল না করিলে এই আইনের অধীনে দণ্ডযোগ্য কোন অপরাধ আদালত আমলে গ্রহণ করিবে না৷
 
 
(৪) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন আইনের অধীন কোন অপরাধ যুক্তভাবে সংঘটিত হইলে এই আইনের অধীন বিচার্য অপরাধের বিচার এখতিয়ারসম্পন্ন্ন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কিংবা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনুষ্ঠিত হইবে এবং অন্য আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার এখতিয়ারসম্পন্ন্ন অন্য কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হইবে৷
মিথ্যা মামলা দায়েরের শাস্তি
13[ ২১ক। যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে এই আইনের অধীন মামলা করিবার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ নাই জানিয়াও মামলা দায়ের করেন বা করান তাহা হইলে মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি বা যিনি মামলা দায়ের করাইয়াছেন উক্ত ব্যক্তি দায়েরকৃত মামলার জন্য নির্ধারিত দণ্ডের সমপরিমাণ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।]
বিচার কার্য সম্পাদনের স্থান
২২৷ ফৌজদারী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের বিচার সংশ্লিষ্ট আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে যে কোন স্থানে অনুষ্ঠিত হইতে পারিবে৷
বিচার পদ্ধতি
২৩৷ এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থকিলে, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ফৌজদারী কার্যবিধির Chapter XXII তে বর্ণিত পদ্ধতি, যতদূর সম্ভব, প্রযোজ্য হইবে৷
আপীল
২৪৷ এই আইনের অধীন কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন রায় বা আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত রায় বা আদেশ প্রদত্ত হইবার তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন্ন দায়রা জজ আদালতে (Sessions Judge Court) বা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, মেট্রোপলিটন দায়রা জজ আদালতে (Metropolitan Sessions Judge Court) আপীল দায়ের করিতে পারিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, রায়ের জাবেদা নকল (certified copy) পাইতে যে সময় লাগিবে উহা উক্ত সময় হইতে বাদ যাইবে৷
আসামীর অনুপস্থিতিতে বিচার
২৫৷ যদি আদালতের এই মর্মে বিশ্বাস করিবার যুক্তিসংগত কারণ থাকে যে,-
 
 
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার গ্রেফতার বা তাহাকে বিচারের জন্য সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য পলাতক রহিয়াছেন বা আত্মগোপন করিয়াছেন; এবং
 
 
(খ) গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর সাত দিনের মধ্যে তাহার গ্রেফতারের কোন সম্ভাবনা নাই-
 
 
তাহা হইলে আদালত জাতীয়ভাবে প্রকাশিত অন্ততঃ একটি বাংলা দৈনিক খবরের কাগজে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা অন্যুন সাত দিনের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে হাজির হইবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে হাজির হইতে ব্যর্থ হইলে আদালত তাহার অনুপস্থিতিতে বিচার কার্য সম্পন্ন করিতে পারিবে৷
ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি
২৬৷ (১) এই আইনে ভিন্নতর কিছু না থাকিলে কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের বা প্রাথমিক তথ্য সরবরাহ, তদন্ত, বিচার পূর্ববর্তী কার্যক্রম, বিচার ও আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
(২) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ আমলযোগ্য (cognizable) হইবে৷
পরীক্ষাগার
২৭৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এক বা একাধিক পরীক্ষাগার নির্ধারণ করিতে পারিবে৷
 
 
(২) ধারা ৯ এবং ১৪ অনুসারে কোন পরিদর্শক সার বা সারের কাঁচামাল বা অন্য কোন দ্রব্যের নমুনা কোন পরীক্ষাগারে প্রেরণ করিলে উক্ত পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ নমুনা প্রাপ্তির পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে পরীক্ষাকার্য সম্পাদন করিয়া পরীক্ষার ফলাফলের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট পরিদর্শক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট জেলার উপ-পরিচালক এবং যে ব্যক্তির নিকট হইতে নমুনা সংগ্রহ করা হইয়াছিল তাহর নিকট প্রেরণ করিবেন৷
সরল বিশ্বাসে কৃত কাজকর্ম রক্ষণ
২৮৷ এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা আদেশের অধীন দায়িত্ব পালনকালে সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কাজকর্মের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হইলে বা ক্ষতিগ্রস্থ হইবার সম্ভাবনা থাকিলে তজ্জন্য উক্ত দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না৷
কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন
২৯৷ এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা এজেন্ট উক্তরূপ অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন৷
 
 
ব্যাখ্যাঃ এই ধারায় -
 
 
(ক) “কোম্পানী” বলিতে কোন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অংশীদারী কারবার, ফার্ম, সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে এবং দোকানও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(খ) বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে “পরিচালক” বলিতে কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে; এবং
 
 
(গ) “মালিক” বলিতে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত নয় এমন শেয়ার হোল্ডারগণ অন্তর্ভূক্ত হইবে না৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৩০৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
ম্যানুয়েল প্রণয়ন
৩১৷ সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সার পরিদর্শন ম্যানুয়েল এবং ম্যানুয়েল ফর ফার্টিলাইজার এনালাইসিস প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
অব্যাহতি
৩২৷ সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শর্ত সাপেক্ষে, যে কোন সার বা যে কোন শ্রেণীর সারকে এই আইনের সকল বা যে কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ
14[ ৩৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের মূল বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।
 
(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।]

  • 1
    ‘‘এক বা একাধিক পুষ্টি উপাদান’’ শব্দগুলি ‘‘এক বা একাধিক উপাদান’’ শব্দগুলির পরিবর্তে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    উপ-ধারা (৭ক) সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৮ নং আইন) এর ২(ক) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 3
    উপ-ধারা (২০) সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৮ নং আইন) এর ২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 4
    ‘‘মিশ্র সুষম সার বা Mixed Balanced Fertilizer’’ শব্দগুলি ‘‘মিশ্রসার বা Mixed Fertilizer’’ শব্দগুলির পরিবর্তে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 5
    উপ-ধারা (২৪) সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৮ নং আইন) এর ২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    ‘‘১৭ (সতেরো)’’ সংখ্যা , বন্ধনী ও শব্দ ‘‘১৫ (পনের)’’ সংখ্যা, বন্ধনী ও শব্দের পরিবর্তে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ৩(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    দফা (খ) সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ৩(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 8
    দফা (খখ) সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৩ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 9
    ‘‘দুই বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব পাঁচ লক্ষ’’ শব্দগুলি ‘‘ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ত্রিশ হাজার’’ শব্দগুলির পরিবর্তে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 10
    সেমিকোলটি ";" দাড়ির "। " পরিবর্তে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 11
    দফা (ছ) ও (জ) সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৩৮ নং আইন) এর ৪ ধারাবলে সংযোজিত।
  • 12
    উপ-ধারা (৪), (৪ক) ও (৫) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর পরিবর্তে সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    ধারা ২১ক সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ৬ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 14
    ধারা ৩৩ সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৪০ নং আইন) এর ৭ ধারাবলে সংযোজিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs