প্রিন্ট ভিউ
দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠনকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কতিপয় বিরোধ ও বিবাদের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গ্রাম আদালত গঠন এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়াবলী সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(ক) “আমলযোগ্য অপরাধ” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে সংজ্ঞায়িত Cognizable Offence;
1[(খ) “ইউনিয়ন” অর্থ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৫) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন;]
2[(গ) “ইউনিয়ন পরিষদ” অর্থ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৬) এ সংজ্ঞায়িত ইউনিয়ন পরিষদ;]
(ঘ) “এখতিয়ারসম্পন্ন্ন সহকারী জজ” অর্থ যে সহকারী জজের এখতিয়ারভুক্ত সীমানার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নটি অবস্থিত সেই সহকারী জজ এবং যেক্ষেত্রে অনুরূপ এখতিয়ারসম্পন্ন একাধিক সহকারী জজ রহিয়াছেন সেইক্ষেত্রে অনুরূপ কনিষ্ঠতম সহকারী জজ;
(ঙ) “গ্রাম আদালত” অর্থ ধারা ৫ এর অধীন গঠিত গ্রাম আদালত;
(চ) “চেয়ারম্যান” অর্থ গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান;
(ছ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;
(জ) “দণ্ডবিধি” অর্থ Penal Code, 1860 (Act No. XLV of 1860);
(ঝ) “দেওয়ানী কার্যবিধি” অর্থ Code of Civil Procedure, 1908 (Act No. V of 1908);
(ঞ) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(ট) “পক্ষ” অর্থে এমন কোন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত হইবে, যাহার উপস্থিতি কোন বিবাদের সঠিক মীমাংসার জন্য প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত হয়, এবং গ্রাম আদালত যাহাকে অনুরূপ বিবাদের একটি পক্ষ হিসাবে সংযুক্ত করে;
(ঠ) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Proecedure, 1898 (Act No. V of 1898);
(ড) “বিধি” অর্থ এই আইনে অধীন প্রণীত বিধি;
3[(ডড) “শিশু” অর্থ শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (১৭) এ সংজ্ঞায়িত শিশু;]
(ঢ) “সিদ্ধান্ত” অর্থ গ্রাম আদালতের কোন সিদ্ধান্ত 4[;]
5[(ণ) “স্থানীয় কর্তৃপক্ষ” অর্থ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬১ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (৪৭) এ সংজ্ঞায়িত স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।]
৩৷ (১) ফৌজদারী কার্যবিধি এবং দেওয়ানী কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত ফৌজদারী মামলা এবং দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলী সম্পর্কিত দেওয়ানী মামলা, অতঃপর ভিন্ন রকম বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য হইবে এবং কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতের অনুরূপ কোন মামলা বা মোকদ্দমার বিচার করিবার এখতিয়ার থাকিবে না৷
(২)6[গ্রাম আদালতে তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন ফৌজদারী মামলা বিচার্য হইবে না যদি উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি পূর্বে কোন সময়ে গ্রাম আদালত বা আমলযোগ্য অপরাধে অন্য কোন আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত হইয়া থাকেন], অথবা তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলাও গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচার্য হইবে না, যদি-
(ক) উক্ত মামলায় কোন 7[শিশুর] স্বার্থ জড়িত থাকে;
(খ) বিবাদের পক্ষগণের মধ্যে সম্পাদিত কোন চুক্তিতে সালিশের বা বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান থাকে;
(গ) সরকার বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা কর্তব্য পালনরত কোন সরকারী কর্মচারী উক্ত বিবাদের কোন পক্ষ হয়৷
(৩) যে স্থাবর সম্পত্তির দখল অর্পন করিবার জন্য গ্রাম আদালত কর্তৃক আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, ঐ স্থাবর সম্পত্তিতে স্বত্ব প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য বা উহার দখল পুনরুদ্ধারের জন্য কোন মোকদ্দমা বা কার্যধারার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না৷
৫৷ 9[(১) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, একজন চেয়ারম্যান এবং উভয়পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন করিয়া চারজন মোট পাঁচজন সদস্য লইয়া গ্রাম আদালত গঠিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, প্রত্যেক পক্ষ কর্তৃক মনোনীত দুইজন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্যকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হইতে হইবে:
আরও শর্ত থাকে যে, তফসিলের প্রথম ও দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলার সহিত কোনো নারীর স্বার্থ জড়িত থাকিলে, সংশ্লিষ্ট পক্ষ সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে একজন নারীকে সদস্য হিসাবে মনোনয়ন প্রদান করিবেন।]
(২) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্য্যন হইবেন, তবে যেক্ষেত্রে তিনি কোন কারণবশতঃ চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে অসমর্থ হন কিংবা তাঁহার নিরপেক্ষতা সম্পর্কে কোন পক্ষ কর্তৃক প্রশ্ন উত্থাপিত হয় সেইক্ষেত্রে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সদস্য ব্যতীত উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের অন্য কোন সদস্য গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হইবেন৷
(৩) বিবাদের কোন পক্ষে যদি একাধিক ব্যক্তি থাকেন, তবে চেয়ারম্যান উক্ত পক্ষভুক্ত ব্যক্তিগণকে তাহাদের পক্ষের জন্য দুইজন সদস্য মনোনীত করিতে আহ্বান জানাইবেন এবং যদি তাঁহারা অনুরূপ মনোনয়নদানে ব্যর্থ হন তবে তিনি উক্ত ব্যক্তিগণের মধ্যে হইতে যে কোন একজনকে সদস্য মনোনয়ন করিবার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন এবং তদানুযায়ী অনুরূপ ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সদস্য মনোনয়ন করিবেন৷
(৪) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন বিবাদের কোন পক্ষ চেয়ারম্যানের অনুমতি লইয়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের পরিবর্তে অন্য কোন ব্যক্তিকে গ্রাম আদালতের সদস্য হিসাবে মনোনীত করিতে পারিবে৷
10[(৫) এই ধারার অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সদস্য মনোনীত করা সম্ভব না হয়, তবে অনুরূপ সদস্য ব্যতিরেকেই গ্রাম আদালত গঠিত হইবে এবং উহা বৈধভাবে উহার কার্যক্রম চালাইতে পারিবে।]
৬খ। (১) ধারা ৫ এর অধীন গ্রাম আদালত গঠিত হইবার অনধিক ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে গ্রাম আদালতের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হইবে এবং উক্ত অধিবেশনে গ্রাম আদালত উভয় পক্ষের শুনানী করিয়া মামলার বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করিবে এবং পক্ষগণের মধ্যে আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করিবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী আপোষ বা মীমাংসার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করা হইলে, উক্তরূপ উদ্যোগ গ্রহণের তারিখ হইতে 12[১৫ (পনেরো)] দিনের মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তি হইলে, মীমাংসার শর্তাবলী উল্লেখপূর্বক উভয়পক্ষ যৌথভাবে একটি আপোষনামা স্বাক্ষর বা বাম হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ প্রদান করিবেন এবং সাক্ষী হিসাবে উভয়পক্ষের মনোনীত সদস্যগণ আপোষনামায় স্বাক্ষর করিবেন।
(৪) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী আপোষনামা স্বাক্ষরিত হইলে, গ্রাম আদালত নির্ধারিত ফরমে উহার আদেশ লিপিবদ্ধ করিবে এবং উক্তরূপ আদেশ গ্রাম আদালতের আদেশ বা ডিক্রী বলিয়া গণ্য হইবে।
(৫) এই ধারার অধীন আপোষনামার মাধ্যমে বিচার্য বিষয় নিষ্পত্তি করা হইলে উহার বিরুদ্ধে আপীল বা রিভিশন দায়ের করা যাইবে না।
৬গ। (১) ধারা ৬খ এর অধীন কোন মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, গ্রাম আদালত ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে মামলাটির শুনানীর কার্যক্রম শুরু করিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, শুনানীর কার্যক্রম শুরু করিবার পূর্বে মামলার কোন পক্ষ, চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে, যুক্তিসঙ্গত কারণ প্রদর্শন করিয়া, তৎকর্তৃক ইতোপূর্বে মনোনীত কোন সদস্যকে পরিবর্তন করিয়া অন্য কোন সদস্য মনোনয়ন করিতে পারিবেন।
(২) 13[উপ-ধারা (১)] এর অধীন শুনানীর কার্যক্রম শুরু হইবার অনধিক ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিতে হইবে;
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, গ্রাম আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করিবে।
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব না হইলে, উক্ত মেয়াদ শেষে গ্রাম আদালত স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাঙ্গিয়া যাইবে।
(৪) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার অধীন নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণ ব্যতিরেকে গ্রাম আদালত মামলা নিষ্পত্তি করিতে ব্যর্থ হইলে এবং গ্রাম আদালত ভাঙ্গিয়া গেলে সংক্ষুব্ধ পক্ষ গ্রাম আদালত ভাঙ্গিয়া যাইবার ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন।]
৭৷ (১) এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকিলে, গ্রাম আদালত তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত অপরাধসমূহের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিকে কেবলমাত্র অনধিক 14[৩ (তিন) লক্ষ] টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
(২) গ্রাম আদালত তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত কোন মামলায় অনুরূপ বিষয়ে তফসিলে উল্লিখিত পরিমাণ অর্থ প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করিতে বা সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সম্পত্তি বা উহার দখল প্রত্যার্পণ করিবরা জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
৮৷ (১) গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত বা চার-এক (৪:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বা চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে তিন-এক (৩:১) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে উক্ত সিদ্ধান্ত পক্ষগণের উপর বাধ্যকর হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী কার্যকর হইবে।
15[(১ক) চারজন সদস্যের উপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত দুই-দুই (২:২) ভোটে অমীমাংসিত হইলে চেয়ারম্যান নির্ণায়ক ভোট প্রদান করিয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।]
(২) গ্রাম আদালাতের সিদ্ধান্ত তিন-দুই (৩:২) সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে গৃহীত হইলে, সংক্ষুব্ধ পক্ষ, উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ত্রিশদিনের মধ্যে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে-
(ক) মামলাটি তফসিলের প্রথম অংশে বর্ণিত কোন অপরাধের সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপীল করিতে পারিবে; এবং
(খ) মামলাটি তফসিলের দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত বিষয়াবলীর সহিত সম্পর্কিত হইলে, এখতিয়ারসম্পন্ন সহকারী জজ আদালতে আপীল করিতে পারিবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন আপীলের ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালতরে নিকট যদি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বিবেচ্য ক্ষেত্রে গ্রাম আদালত সুবিচার করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, সংশ্লিষ্ট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বা সহকারী জজ আদালত গ্রাম আদালতের উক্ত সিদ্ধান্ত বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য মামলাটি গ্রাম আদালতের নিকট ফেরত পাঠাইতে পারিবে৷
(৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী অনুযায়ী গ্রাম আদালত কর্তৃক কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইলে উহা অন্য গ্রাম আদালতসহ অন্য কোন আদালতে বিচার্য হইবে না৷
23[১৫ক। (১) গ্রাম আদালতে দেওয়ানী বিরোধ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন কোনো পক্ষ মৃত্যুবরণ করিলে কিংবা তাহার অবর্তমানে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মনোনীত ব্যক্তি অথবা বৈধ উত্তরাধিকারীগণ, নিজ উদ্যোগে বা গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্তক্রমে উক্ত মামলায় পক্ষভুক্ত হইতে পারিবেন।
(২) গ্রাম আদালতে ফৌজদারী বিরোধ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন আবেদনকারী মৃত্যুবরণ করিলে কিংবা তাহার অবর্তমানে আবেদনকারী পক্ষের মনোনীত ব্যক্তি অথবা বৈধ উত্তরাধিকারীগণ, নিজ উদ্যোগে বা গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্তক্রমে উক্ত মামলায় পক্ষভুক্ত হইতে পারিবেন।]