প্রিন্ট ভিউ
সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চত করা এবং উক্তরূপ ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকল ব্যক্তির প্রতি সম-আচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চত করিবার জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধানকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু সরকারী তহবিলের অর্থ দ্বারা কোন পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চত করা এবং উক্তরূপ ক্রয়কার্যে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সকল ব্যক্তির প্রতি সম-আচরণ ও অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করিবার জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতি নির্ধারণসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
প্রথম অধ্যায়
প্রাথমিক বিষয়াদি
১৷ (১) এই আইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ নামে অভিহিত হইবে৷
* (২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখে ইহা বলবত্ হইবে।
এস, আর, ও নং ২০-আইন/২০০৮, তারিখ: ২৭ জানুয়ারি, ২০০৮ দ্বারা ৩১ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে উক্ত আইন কার্যকর হইয়াছে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
দরপত্র বা প্রস্তাব প্রস্তুত, কমিটি, ইত্যাদি
তৃতীয় অধ্যায়
ক্রয় সংক্রান্ত নীতিসমূহ
অংশ-১
সাধারণ নির্দেশনা
অংশ-২
ক্রয় প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ
অংশ-৩
অভিযোগ ও আপীল
২৯৷ (১) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন ক্রয়কারীর উপর অর্পিত দায়িত্ব্ পালনে ব্যর্থতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তিনি উক্ত ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে ধারা ৩০ এ বর্ণিত কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন৷
(২) নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন অভিযোগ দায়ের করা যাইবে না যথাঃ-
(ক) পণ্য, কার্য বা সেবা ক্রয় পদ্ধতি নির্বাচন;
(খ) কোন আবেদনকারীর সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্তির আবেদন প্রত্যাখ্যান;
(গ) যে সকল ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে-
(অ) প্রাক্-যোগ্যতার আবেদন, দরপত্র, কোটেশন বা প্রস্তাব বাতিল করিবার সিদ্ধান্ত; বা
(আ) সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি কর্তৃক অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত৷
৩০৷ (১) ধারা ২৯ এর অধীন দায়েরতব্য প্রতিটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ের করিতে হইবে এবং উক্তরূপে কোন অভিযোগ দায়ের হইলে, উক্ত কর্তৃপক্ষ উহা বিবেচনাক্রমে নির্ধারিত সময়সীমার মম্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে৷
(২) কোন ব্যক্তি, যদি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হন বা উক্ত কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সেই ক্ষেত্রে সরকার বা তত্কর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রিভিউ প্যানেলের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
(৩) ধারা ৩০ (২) এর অধীন সরকার, দায়েরকৃত কোন আপীল পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য আইন, সংশ্লিষ্ট পণ্য বা কার্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ে কারিগরী জ্ঞানসম্পন্ন, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং ক্রয় কার্যে সুবিদিত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক বা একাধিক রিভিউ প্যানেল গঠন করিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের চাকুরীরত কোন সদস্য রিভিউ প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হইবে না৷
(৪) এই ধারার অধীন আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তির বিষয়টি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
৩০। (১) ধারা ২৯ এর অধীন দায়েরতব্য প্রতিটি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ক্রয়কারীর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের নিকট দায়ের করিতে হইবে এবং উক্তরূপে কোন অভিযোগ দায়ের হইলে, উক্ত কর্তৃপক্ষ উহা বিবেচনাক্রমে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উহা নিষ্পত্তি করিবে।
(২) কোন ব্যক্তি, যদি প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হন বা উক্ত কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করিতে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি সেই ক্ষেত্রে সরকার বা তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রিভিউ প্যানেলের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।
(৩) ধারা ৩০ (২) এর অধীন সরকার, দায়েরকৃত কোন আপীল পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য আইন, সংশ্লিষ্ট পণ্য বা কার্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ে কারিগরী জ্ঞানসম্পন্ন, ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং ক্রয় কার্যে সুবিদিত বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এক বা একাধিক রিভিউ প্যানেল গঠন করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের চাকুরীরত কোন সদস্য রিভিউ প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হইবে না।
(৪) এই ধারার অধীন আপীল দায়ের ও নিষ্পত্তির বিষয়টি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
চতুর্থ অধ্যায়
পণ্য, কার্য, ইত্যাদির ক্রয় পদ্ধতি এবং উহার প্রয়োগ
অংশ-১ অভ্যন্তরীণ ক্রয়
অংশ-২
আন্তর্জাতিক ক্রয়
৩৩৷ পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ে যেইক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক দেশের অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে উহা ক্রয় করা সম্ভবপর নয় এবং বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক কার্যকর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় মর্মে ক্রয়কারীর নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হয়, সেইক্ষেত্রে ক্রয়কারী এই আইনের তৃতীয় ও ষষ্ঠ অধ্যায়ের বিধান অনুসারে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, দরপত্রদাতাদের প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণের পর এবং নিম্নবর্ণিত শর্ত পরিপালন করিয়া আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করিবে, যথাঃ-
(ক) দরপত্র আহবানের বিজ্ঞপ্তি ইংরেজী ভাষায় প্রকাশ এবং এই আইনের ধারা ৪০ এর বিধানানুযায়ী বিজ্ঞাপন প্রদান;
(খ) দরপত্র দলিলসমূহ ইংরেজী ভাষায় প্রণয়ন;
(গ) ক্রয়কারী দরপত্র দলিল প্রণয়নকালে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করিবে, যথাঃ-
(অ) দরপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত ন্যুনতম সময় প্রদান;
(আ) জাতীয় চাহিদার সহিত সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, আন্তর্জাতিক মান বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত মানদন্ডের ভিত্তিতে কারিগরী বিনির্দেশ নির্ধারণ;
(ই) দরপত্রদাতাদেরকে দরপত্র জামানত ও কার্য-সম্পাদন জামানত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বহুল ব্যবহৃত মুদ্রায় বা মুদ্রাসমূহে উদ্ধৃত করিবার অনুমতি প্রদান;
(ঈ) স্থানীয় যোগান সংশ্লিষ্ট ব্যয় দরপত্রে টাকায় উদ্ধৃত করিবার জন্য দরপত্রদাতাকে নির্দেশ প্রদান;
(উ) চুক্তিপত্রে উল্লিখিত মুদ্রা বা মুদ্রাসমূহে চুক্তিমূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা;
(ঊ) আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত শর্তাবলীর অনুরূপ চুক্তির সাধারণ ও বিশেষ শর্তাবলী নির্ধারণ;
18[ 19[ (ঋ) দরপত্র দলিলে, পণ্যদ্রব্যের ক্ষেত্রে গন্তব্যস্থলে সরবরাহের জন্য উদ্ধৃত মূল্যের, শুল্ক ও কর বাদে, এবং কার্যের ক্ষেত্রে কাজের মূল্যের, শুল্ক ও করসহ, বিধি দ্বারা নির্ধারিত হারে বাধ্যতামূলকভাবে দেশীয় অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ :
তবে শর্ত থাকে যে, দেশীয় অগ্রাধিকার প্রদানে শিথিলতার জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ গ্রহণ করিতে হইবে।]
20[ (ঋঋ) দফা (ঋ) অনুসারে অগ্রাধিকার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য--
(অ) সংশিস্নষ্ট পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে দরপত্রকে; এবং
(আ) কার্যের ক্ষেত্রে দরপত্র দাতাকে নির্ধারিত শর্ত পূরণ;]]
(এ) যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় অংশীদারিত্ব উত্সাহিত করা, কিন্তু উহা বাধ্যতামূলক শর্ত হিসাবে আরোপ না করা;
(ঐ) বৃহত্ বা জটিল কাজ সরবরাহ ও সংস্থাপনের চুক্তির ক্ষেত্রে বিরোধ নিষ্পত্তির বিকল্প পদ্ধতিসমূহ প্রয়োগঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বিরোধ চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দরপত্র দলিলে বর্ণিত আন্তর্জাতিক সালিস-নিষ্পত্তি পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে৷
৩৪৷ (১) পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত অবস্থার উদ্ভব হইলে দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে, যথাঃ-
(ক) ধারা ৩২(গ) এর বিধান অনুসারে যে সকল কারণে উক্ত পদ্ধতি প্রয়োগযোগ্য;
(খ) দেশের অভ্যন্তরে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহবানের মাধ্যমে উহা ক্রয় করা সম্ভব নয় বলিয়া ক্রয়কারীর নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হইলে;
(গ) বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ ব্যতিরেকে আন্তর্জাতিক কার্যকর প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয় মর্মে ক্রয়কারীর নিকট যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রতীয়মান হইলে৷
21[ (১ক) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত দুই পর্যায়বিশিষ্ট দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগযোগ্য না হইলে এক ধাপ দুই খাম দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে।]
(২) কোন একটি বিশেষ সময়ের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় আন্তর্জাতিক বাজার হইতে বিভাজ্য পণ্যসামগ্রী অধিক পরিমাণে ক্রয় করা আবশ্যক হইলে, নিম্নরূপ প্রক্রিয়া অনুসরণ করিয়া কোটেশন পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে উহা ক্রয় করা যাইবে, যথাঃ-
(ক) অনুকূল বাজারের সুযোগ গ্রহণের লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ব্যাপী সংগৃহীতব্য মোট পণ্যের পরিমাণ প্রয়োজনের নিরিখে যুক্তিসংগতভাবে কয়েকটি প্যাকেজে বিভক্ত করিয়া একাধিক চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে উহা ক্রয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা;
(খ) ক্রয়কারী কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সময়ের জন্য যোগ্য দরপত্রদাতাগণের তালিকা প্রণয়ন করিয়া চাহিদার নিরিখে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাহাদেরকে, কোন একটি বিশেষ সময়ে বা পণ্য জাহাজীকরণের পূর্বে, বিদ্যমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সহিত সংগতি রাখিয়া সংশ্লিষ্ট পণ্যের দর উদ্ধৃত করিবার জন্য আহ্বান করা;
(গ) দরপত্রদাতাগণকে পণ্য হ্যান্ডলিং ব্যয় বা পরিবহণ ব্যয় এবং ক্রয়কারী কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হইতে আহবান করা;
(ঘ) দরপত্র দাখিলের জন্য এবং উহার বৈধতার মেয়াদের ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত সময়সীমা নির্ধারণপূর্বক কোটেশন আহবান করা৷
(৩) উপ-ধারা 22[ (১), (১ক) ও (২)] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ক্রয়কারী বিদেশী সরকার বা সংস্থা কর্তৃক প্রদেয় কোন ঋণ, ক্রেডিট বা অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়িত পণ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে পণ্য হ্যান্ডলিং ব্যয় বা পরিবহণ ব্যয়ের জন্য দরপত্র দাখিল এবং উহার বৈধতার মেয়াদের ক্ষেত্রে, সংক্ষিপ্ত সময়সীমা নির্ধারণপূর্বক দরদাতাগণকে দরপত্রে অংশগ্রহণের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হইতে আহবান জানাইতে পারিবে৷
(৪) বিশেষায়িত প্রকৃতির পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য বা ভৌত সেবা, যাহা কেবল সীমিত সংখ্যক সরবরাহকারী বা ঠিকাদারগণের নিকট হতে লভ্য হইলে আন্তর্জাতিক সীমিত দরপত্র পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে৷
(৫) কারিগরী কারণে পণ্য, সংশ্লিষ্ট সেবা, কার্য ও ভৌত সেবা সরবরাহের জন্য কেবল একজন দরপত্রদাতা থাকিলে বা নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, মূল সরবরাহকারী কর্তৃক পণ্যের অতিরিক্ত সরবরাহ মূল ঠিকাদার কর্তৃক অতিরিক্ত কার্যসম্পাদন বা মূল সরবরাহকারী বা ঠিকাদারের মাধ্যমে বর্ধিত সেবা ক্রয় করিবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি প্রয়োগ করা যাইবে৷
(৬) উপ-ধারা 23[ (১), (১ক), (২), (৪) ও (৫)] এ উল্লিখিত পদ্ধতির রূপরেখা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিধি দ্বারা নির্ধারণ করা যাইবে৷
অংশ-৩
ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি, ইত্যাদি
পঞ্চম অধ্যায়
বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয় পদ্ধতি ও উহার প্রয়োগ
অংশ-১
অভ্যন্তরীণ ক্রয়
অংশ-২
আন্তর্জাতিক ক্রয়
ষষ্ঠ অধ্যায়
ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ
অংশ-১
বিজ্ঞাপন
অংশ-২
পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণ
অংশ-৩
পণ্য, কার্য, ইত্যাদি ক্রয়ের জন্য দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ
অংশ-৪
বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের জন্য আগ্রহ ব্যক্তকরণের আবেদনপত্র ও প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ
৫৪৷ (১) বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে ধারা ৪০ এর অধীন আগ্রহ ব্যক্তকরণের অনুরোধসম্বলিত বিজ্ঞাপন জারীর পর আগ্রহী আবেদনকারী উক্ত বিজ্ঞাপনে নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে আবেদনপত্র দাখিল করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনপত্র নিম্নবর্ণিত বিবরণাদী অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে, যথাঃ-
(ক) পেশাদার জনবল সংক্রান্ত তথ্যাদি;
(খ) সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের আর্থিক ও কারিগরী সামর্থ্য; এবং
(গ) সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর অতীত অভিজ্ঞতার
বিবরণী৷
৫৫৷ (১) ধারা ৫৪ এর অধীন আগ্রহ ব্যক্তকরণ সংক্রান্ত আবেদনপত্র দাখিলের জন্য ক্রয়কারী কর্তৃক নির্দিষ্টকৃত সর্বশেষ সময় উত্তীর্ণের অব্যবহিত পর, আবেদনপত্র উন্মুক্তকরণ ও তত্সংক্রান্ত তথ্য রেকর্ড করিবার জন্য ক্রয়কারী প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটির সভা আহবান করিবে৷
(২) প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি, আবেদনপত্র খোলার রেকর্ড সম্পূর্ণ করিবার পর, প্রাপ্ত আবেদনপত্র ও তত্সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির নিকট প্রেরণ করিবে৷
৫৬৷ (১) প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি, আগ্রহ ব্যক্তকরণের অনুরোধ বর্ণিত নির্ণায়কের ভিত্তিতে প্রাপ্ত আবেদনপত্র মূল্যায়ন করিবে এবং কোন্ কোন্ আবেদনকারী সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য বিবেচনাযোগ্য সেইমর্মে সুপারিশসহ একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের নিকট পেশ করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য ন্যুনতম ৪ (চার) ও সর্বোচ্চ ৭ (সাত) জন আবেদনকারীকে সুপারিশ করিতে হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত প্রতিবেদন বিবেচনাক্রমে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সংক্ষিপ্ত তালিকা অনুমোদন করিবে৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন অনুমোদন প্রাপ্তির পর, ক্রয়কারী আগ্রহ ব্যক্ত করিয়াছে এইরূপ সকল ব্যক্তিকে সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া বা না হওয়ার বিষয়ে অবহিত করিবে৷
৫৭৷ (১) ক্রয়কারী বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয়ের প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধসম্বলিত দলিল সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত আবেদনকারীগণের নিকট বিতরণ করিবে৷
(২) প্রত্যেক আবেদনকারী কারিগরী এবং আর্থিক প্রস্তাব দুইটি পৃথক খামে সীলগালা করিয়া অন্য একটি বহিঃস্থ খামে উক্ত দুইটি খাম স্থাপন ও সীলগালা করিয়া প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধসম্বলিত দলিলে বর্ণিত স্থান ও সময়ে উহা দাখিল করিবে৷
(৩) আবেদনকারী স্বয়ং প্রস্তাব প্রস্তুত এবং দাখিলের ব্যয় ও ঝুঁকি বহন করিবে৷
(৪) প্রস্তাব দাখিলের নির্দিষ্ট সময়সীমার পর প্রাপ্ত কোন প্রস্তাব না খুলিয়া আবেদনকারীকে ফেরত প্রদান করিতে হইবে৷
৫৮৷ (১) ধারা ৫৭ এর অধীন প্রস্তাব দাখিলের পর প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি কারিগরী প্রস্তাবসমূহ খুলিবে এবং কারিগরী প্রস্তাবসমূহের মূল্যায়ন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আর্থিক প্রস্তাবসমূহ একটি নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করিবে৷
(২) প্রস্তাব উন্মুক্তকরণ কমিটি কারিগরী প্রস্তাব ও উন্মুক্তকরণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধি অনুসারে মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটির নিকট দাখিল করিবে৷
৫৯৷ (১) প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি গোপণীয়তা রক্ষা করিয়া এবং প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধসম্বলিত দলিলে বর্ণিত যোগ্যতা ও মূল্যায়নের নির্ণায়কসমূহ কঠোরভাবে অনুসরণপূর্বক আবেদনকারীর কারিগরী যোগ্যতা নির্ধারণের জন্য সকল কারিগরী প্রস্তাব পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করিবে এবং উক্ত মূল্যায়ন অনুমোদনের জন্য ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধান বা তত্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট উহা দাখিল করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কারিগরী মূল্যায়ন অনুমোদিত হইবার পর প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি, কারিগরী প্রস্তাব পরীক্ষা ও মূল্যায়নে কারিগরী যোগ্যতা অর্জনকারী ব্যক্তিগণকে, অতঃপর এই অধ্যায়ে পরামর্শক বলিয়া উল্লিখিত তাহাদের দাখিলকৃত আর্থিক প্রস্তাবসমূহ প্রকাশ্যে উন্মুক্তকরণের সময়, তত্কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে, উপস্থিত থাকিবার জন্য আহ্বান জানাইবে৷
(৩) প্রস্তাব মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রস্তাব মূল্যায়ন কমটি-
(ক) গুণগতমান ও ব্যয়ভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে, প্রত্যেক আর্থিক প্রস্তাব বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করিয়া কারিগরী ও আর্থিক নির্ণায়কসমূহের সম্বিলিত বিবেচনায় সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী পরামর্শককে নিগোসিয়েশনের জন্য আমন্ত্রণ জানাইবে;
(খ) নির্দিষ্ট বাজেটের অধীন নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে, উক্ত বাজেটের মধ্যে সর্বোচ্চ কারিগরী পয়েন্ট অর্জনকারী পরামর্শককে নিগোসিয়েশনের জন্য আমন্ত্রণ জানাইবে;
(গ) সর্বনিম্ন ব্যয়ভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতির ক্ষেত্রে, কারিগরী, যোগ্যতার মানদন্ডে উত্তীর্ণ সর্বনিম্ন ব্যয় উদ্ধৃতকারী পরামর্শককে নিগোসিয়েশনের জন্য আমন্ত্রণ জানাইবে৷
৬০৷ (১) প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি, চুক্তি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, প্রস্তাব বাস্তবায়ন কৌশল, কর্মপরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে কৃতকার্য পরামর্শকের সহিত নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রাক-চুক্তি নিগোসিয়েশন সম্পন্ন করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নিগোসিয়েশন ফলপ্রসূ না হইলে, প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি পরবর্তী সর্বোচ্চ মূল্যায়িত পরামর্শক এবং চুক্তি সম্পাদিত না হওয়া পর্যন্ত অনুরূপভাবে অন্যান্য মূল্যায়িত পরামর্শকগণের সহিত নিগোসিয়েশন সম্পন্ন করিবে, তবে একইভাবে উক্ত কমিটি একাধিক পরামর্শকের সঙ্গে নিগোসিয়েশন করিতে পারিবে না৷
(৩) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত সেবা ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাব আর্থিক মূল্যায়নে ব্যয় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কর এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় আনা যাইবে না৷
(৪) এই ধারার অধীন নিগোসিয়েশন সমাপ্ত করিবার লক্ষ্যে, প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি এবং কৃতকার্য পরামর্শক একটি সম্মত কার্যবিবরণী সম্পাদনক্রমে প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তিপত্র অনুস্বাক্ষর করিবে৷
৬১৷ (১) প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি উহার সুপারিশসহ মূল্যায়ন প্রতিবেদন ধারা ৭(৫) অনুসারে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পেশকৃত প্রতিবেদন বিবেচনা করিয়া অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের বিষয়টি ক্রয়কারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করিবে৷
31[ ৬২। (১) ক্রয়কারী, চুক্তি সম্পাদনের অনুমোদন প্রাপ্তির পর, এই আইনের ধারা ২৯ ও ৩০ এর অধীন কোন অভিযোগ দায়ের করা না হইয়া থাকিলে, কৃতকার্য পরামর্শককে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আহবান জানাইবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী আহবান জানানো হইলে পরামর্শক, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ক্রয়কারীর অনুকূলে কার্যসম্পাদন জামানত প্রদানপূর্বক, প্রস্তাব দলিলে নির্দিষ্টকৃত চুক্তিপত্রের ছকে স্বাক্ষর করিবে।]
32[ ৬৩। ক্রয়কারী, কৃতকার্য পরামর্শকের সহিত চুক্তি স্বাক্ষরের পর, অন্যান্য সকল আবেদনকারী বা পরামর্শককে তাহাদের অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করিবে।]
সপ্তম অধ্যায়
পেশাগত অসদাচরণ, অপরাধ, ইত্যাদি
অষ্টম অধ্যায়
সরকারী ক্রয়ে ইলেকট্রনিক পরিচালন পদ্ধতির ব্যবহার, ইত্যাদি
নবম অধ্যায়
বিবিধ
35[***]