প্রিন্ট ভিউ
৫৬৷ (১) এই আইন কার্যকর হইবার সাথে সাথে রংপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৩৪ নং আইন) এবং সরকারী কারমাইকেল কলেজ বিলুপ্ত (অতঃপর বিলুপ্ত কলেজ বলিয়া উল্লিখিত) হইবে৷
(২) এই আইন কার্যকর হইবার সংগে সংগে-
(ক) বিলুপ্ত কলেজের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্যান্য সকল দাবি, অধিকার, দায়-দেনা ও ঋণ বিশ্ববিদ্যালরে সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধা, সম্পত্তি, অর্থ, দাবী, অধিকার, দায়-দেনা ও ঋণ বলিয়া গণ্য হইবে। তবে বিলুপ্ত কলেজের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ ও সম্পদের পরিসংখ্যান (Inventory) প্রস্তুত করিতে হইবে;
(খ) বিলুপ্ত কলেজের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প ও দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালরে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্প ও দায়িত্ব হিসাবে গণ্য হইবে;
(গ) বিলুপ্ত কলেজের সকল তহবিল বিশ্ববিদ্যালরে তহবিল বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঘ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালরে সহিত বিলুপ্ত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল হইবে এবং এই আইনের অধীনে বিলুপ্ত কলেজের বিষয়-সম্পত্তি, শিক্ষক, কর্মচারী বা ছাত্র সম্পর্কে এই আইন অনুযায়ী গৃহীত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালরে কোন এখতিয়ার থাকিবে না;
(ঙ) বিলুপ্ত কলেজে এই আইন প্রবর্তনের পূর্ব হইতে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীগণ এই আইনের অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত বিষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলিয়া গণ্য হইবেন এবং চলমান কোর্স সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীগণ বিশ্ববিদ্যালরে ছাত্র-ছাত্রী হিসাবে বিবেচিত হইবেন এবং তাঁহাদের ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালরে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং আনুষংগিক নিয়মাবলী আর প্রযোজ্য হইবে না, তবে কোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছা করিলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত রেজিস্ট্রেশন নম্বর বহাল রাখিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালরে এখতিয়ারভুক্ত অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাইবেন;
(চ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালরে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বিলুপ্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক, ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করিবেন; এবং
(ছ) বিলুপ্ত কজের অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরী তাত্ক্ষণিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁহারে শিক্ষা জীবনের কোন স্তরে তৃতীয় শ্রেণী না থাকিলে অনধিক ৫ (পাঁচ) বত্সর পর্যন্ত তাঁহার প্রেষণে বিশ্ব্বিদ্যাল কর্মরত থাকিতে পারিবে৷
(৩) এই আইনের অন্যান্য ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন-
(ক) বিলুপ্ত কলেজের শিক্ষক ও কর্মকর্তাগণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্ববিদ্যালরে শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা হিসাবে আত্মীকৃত হইবেন নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, তাহার যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে তাহাদের বয়স শিথিল ও বেতন সংরক্ষণসহ বিশ্ববিদ্যাল নিয়োগের জন্য প্রার্থী হইতে পারিবেন;
(খ) বিলুপ্ত কলেজের কর্মচারীগণ ইচ্ছা করিলে দীর্ঘয়োদী প্রেষণ কিংবা আত্মীকররে মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালরে কর্মচারী হিসাবে বহাল থাকিতে পারিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপে প্রেষণ কিংবা আত্মীকরণ পদ্ধতি বিশ্ববিদ্যালরে সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে;
(গ) বিলুপ্ত কলেজের -
(অ) কোন শিক্ষকের শিক্ষা জীবনের কোন পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণী থাকিলে তিনি বিশ্ববিদ্যাল শিক্ষকতা করিবার যোগ্য হইবেন না;
(আ) কোন শিক্ষকের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণী না থাকিলে তিনি বিশ্ববিদ্যাল শিক্ষকতা করিবার যোগ্য হইবেন নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (১) (ছ) এ উল্লিখিত প্রেষণে নিয়োজিত শিক্ষকের ক্ষেত্রে ইহা প্রযোজ্য হইবে নাঃ
আরও শর্ত থাকে যে, কোন শিক্ষকের পিএইচডি, এমফিল বা অনুরূপ কোন ডিগ্রী থাকিলে তাঁহার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷