ভাইস-চ্যান্সেলর এর ক্ষমতা ও দায়িত্ব্ব
                        
                        
                    
                    
                
            
            
                
                ১২। (১) ভাইস-চ্যান্সেলর, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে, সার্বক্ষণিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন এবং, পদাধিকারবলে, সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটির চেয়ারম্যান থাকিবেন। 		
 
 
(২) ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁহার দায়িত্ব পালনে চ্যান্সেলরের নিকট দায়ী থাকিবেন। 	
 
 
(৩) ভাইস-চ্যান্সেলর এই আইন, সংবিধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় বিধির বিধানাবলী বিশ্বস্ততার সহিত পালন ও কার্যকর করিবেন এবং তদুদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।  	
 
 
(৪) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সভায় উপস্থিত থাকিতে এবং উহার কার্যাবলীতে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সদস্য না হইলে উহাতে তাঁহার ভোটদানের অধিকার থাকিবেনা। 	
 
 
(৫) ভাইস-চ্যান্সেলর সিনেট, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, অর্থ কমিটি এবং পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটির সভা আহবান করিবেন এবং উহাতে সভাপতিত্ব করিবেন। 		
 
 
(৬) সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কমিটি এবং একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। 		
 
 
(৭) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, ইনসটিটিউট, একাডেমি বা বিভাগ পরিদর্শন করিতে পারিবেন। 	
 
 
(৮) ভাইস-চ্যান্সেলর, তাঁহার বিবেচনায়, প্রয়োজন মনে করিলে তাঁহার যে কোন ক্ষমতা ও দায়িত্ব, সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন শিক্ষক বা কর্মকর্তাকে অর্পণ করিতে পারিবেন। 	
 
 
(৯) ভাইস-চ্যান্সেলর, সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে এবং তাঁহাদের বিরুদ্ধে, বরখাস্তসহ, যে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন। 	
 
 
(১০) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উপর সাধারণ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন। 	
 
 
(১১) ভাইস-চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক শৃংখলা রক্ষার জন্য দায়ী থাকিবেন।	
 
 
(১২) বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে জরুরী পরিস্থিতির উদ্ভব হইলে এবং ভাইস- চ্যান্সেলরের বিবেচনায় তৎসম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজনীয় বিবেচিত হইলে, তিনি সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা সাধারণতঃ বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার অধিকারপ্রাপ্ত সেই কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা, যথাশীঘ্র সম্ভব, গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে ভাইস-চ্যান্সেলরকে অবহিত করিবেন। 		
 
 
(১৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার সিদ্ধান্তের সহিত ভাইস-চ্যান্সেলর ঐকমত্য পোষণ না করিলে তিনি উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন স্থগিত রাখিয়া তাঁহার মতামতসহ সিদ্ধান্তটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার নিকট পুনঃবিবেচনার জন্য ফেরৎ পাঠাইতে পারিবেন এবং যদি উক্ত কর্তৃপক্ষ বা সংস্থা পুনঃবিবেচনার পর ভাইস-চ্যান্সেলরের সহিত ঐকমত্য পোষণ না করেন তাহা হইলে তিনি বিষয়টি সিদ্ধান্তের জন্য চ্যান্সেলরের নিকট প্রেরণ করিবেন এবং উক্ত বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে, তবে সিন্ডিকেটের অনুমোদনক্রমে গৃহীত একাডেমিক বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে। 		
 
 
(১৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বাজেট বাস্তবায়নে ভাইস-চ্যান্সেলর সার্বিক দায়িত্ব পালন করিবেন। 		
 
 
(১৫) উপ-ধারা (১)-(১৪) তে উল্লিখিত বিধানাবলী ছাড়াও ভাইস-চ্যান্সেলর এই আইন, সংবিধি, বিশ্ববিদ্যালয় বিধি ও প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।