সাক্ষ্য বা বিবৃতি গ্রহণ সম্পর্কিত বিশেষ বিধানাবলী
১৬। (১) যেইক্ষেত্রে ধারা ১৫ এর অধীন কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য বা বিবৃতি চাওয়া হয়, সেইক্ষেত্রে আদালত যে ব্যক্তির কারণে তদন্ত বা বিচার কার্যক্রম গৃহীত হইয়াছে উক্ত ব্যক্তি অথবা তাহার আইনানুগ প্রতিনিধিকে বা বিদেশী রাষ্ট্রের আইনানুগ প্রতিনিধিকে উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ বা বিবৃতি লিপিবদ্ধ করিবার সময় প্রশ্ন করিবার অনুমতি প্রদান করিতে পারিবে।
(২) বাংলাদেশের কোন বিচারিক কার্যক্রমে কোন সাক্ষীকে যেই পরিমাণ ব্যয় নির্বাহ করিতে হইত, ধারা ১৫ এর অধীন জারিকৃত আদেশে উল্লিখিত ব্যক্তি সেই একই পরিমাণ ব্যয়িত অর্থ পাইবার অধিকারী হইবেন।
(৩) সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আদিষ্ট ব্যক্তি কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করিতে নিম্নবর্ণিত কারণে অস্বীকার করিতে পারিবে, বা অন্য কোন সাক্ষ্য-উপকরণ উপস্থাপন করিতে পারিবে, যথা:—
(ক) বর্তমানে বাংলাদেশে বলবৎ রহিয়াছে এইরূপ কোন আইনের ভিত্তিতে, যদি না এই আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকে;
(খ) অনুরোধকারী রাষ্ট্রে বলবৎ রহিয়াছে এইরূপ কোন আইন দ্বারা স্বীকৃত কোন প্রাধিকার; এবং
(গ) নির্দিষ্ট কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদান অথবা কোন সাক্ষ্য বা দলিলাদি উপস্থাপন করা হইলে, উহা একটি অপরাধ হইবে এমন বিধান অনুরোধকারী রাষ্ট্রে বিদ্যমান কোন আইনে থাকিলে।
(৪) যদি উপ-ধারা (৩) (গ) অনুসারে কোন ব্যক্তির উত্তর-প্রদান অনুরোধকারী রাষ্ট্রে আইনের লংঘন হয় অথবা উপ-ধারা (৩) (খ) অনুসারে অনুরোধকারী রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত প্রাধিকার ক্ষুণ্ণ করে, তাহা হইলে আদালত বা অন্য কোন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা তদন্তকারী কর্মকর্তা সাময়িকভাবে উত্তর-প্রদান অস্বীকারের বিষয়টি গ্রহণ করিতে পারিবে এবং এতদ্সম্পর্কিত একটি নোট রাখিয়া পরীক্ষাকার্য অব্যাহত রাখিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদানের ক্ষেত্রে কাহারও আপত্তি অনুরোধকারী রাষ্ট্রের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ভিত্তিহীন বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করিবার জন্য অনুরোধ করিলে, সংশ্লিষ্ট সাক্ষীকে উক্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদানে বাধ্য করা যাইতে পারে।