প্রিন্ট
৫। (১) কোনো দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু ঘটিলে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর পরিবহণকারী উক্ত যাত্রীর পরিবারের সদস্যকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে দায়বদ্ধ থাকিবে।
(২) মৃত ব্যক্তির পরিবারের যে কোনো সদস্য সংশ্লিষ্ট পরিবহণকারীর নিকট হইতে ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে আদালতে মামলা দায়ের করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোনো ১ (এক) জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য কেবল একটি মামলা দায়ের করা যাইবে এবং যাহার দ্বারাই উক্তরূপ মামলা দায়ের হউক না কেন, পরিবারের সকল সদস্য বাংলাদেশে বসবাসরত বা অনুপস্থিত উক্তরূপ মামলায় পক্ষভুক্ত হইতে পারিবেন।
(৩) এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, উপ-ধারা (২) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হইলে উক্ত মামলা দ্বারা আদায়কৃত অর্থ মৃত যাত্রীর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আনুপাতিক হারে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভক্ত হইবে।
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আদায়যোগ্য অর্থ হইতে পরিবহণকারী কর্তৃক কোনো অর্থ প্রদত্ত হইয়া থাকিলে তাহা কর্তনযোগ্য হইবে।
(৫) মন্ট্রিল কনভেনশন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অর্থ নির্ধারিত হইবে এসডিআর এর ভিত্তিতে।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন যে দিন উক্তরূপ ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করা হইবে সেই দিনের বিনিময় হারে এসডিআর এর সমপরিমাণ অর্থ বাংলাদেশি মুদ্রায় (টাকায়) রূপান্তর করিয়া ক্ষতিপূরণের অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অথবা তাহার পরিবারের সদস্যকে প্রদান করিতে হইবে।
(৭) কোনো যাত্রীর মৃত্যুর সহিত সম্পর্কিত কোনো মামলার কার্যধারা চলমান থাকিবার যে কোনো পর্যায়ে আদালত এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবহণকারীর দায় সীমিত করিবার নিমিত্ত যথাযথ বিবেচনা করিয়া যে কোনো আদেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(৮) উপ-ধারা (৭) এর অধীন আদেশ বা নির্দেশ প্রদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে অনুরূপ কোনো মামলা চলমান থাকিলে উপযুক্ত প্রমাণ আদালতের বিবেচনার নিমিত্ত উপস্থাপন করিতে হইবে।