বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সনদপত্র
৬৷ [(১) এই আইনের অধীনে সরকারের নিকট হইতে প্রয়োজনীয় সনদপত্র অর্জন না করিয়া কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন বা পরিচালনা করা যাইবে না, কিংবা কোন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলাদেশে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করা কিংবা ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট প্রদান করা যাইবে না৷]
(২) কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বা পরিচালনায় আগ্রহী কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি-গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাষ্ট বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে উপ-ধারা (১) এর অধীন একটি সনদপত্র অর্জনের উদ্দেশ্যে সরকারের নিকট নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন আবেদন পাওয়ার পর সরকার আবেদনকারীর নিকট হইতে বিষয়টি সম্পর্কে উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় আরও তথ্য তলব করিতে পারিবে এবং আবেদনটি বিবেচনার পর যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে আবেদনকারী কোন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ধারা ৭ এর অধীন শর্তাবলী পূরণ করিয়াছেন তাহা হইলে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে আবেদনকারীর অনুকূলে উপ-ধারা (১) এর অধীন একটি সনদপত্র প্রদান করিবে৷
(৪) যদি সরকার এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, আবেদনকারী একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ধারা ৭ এর অধীন শর্তাবলী পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে সরকার আদেশ দ্বারা আবেদনকারী কর্তৃক উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদনটি নাকচ করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনকারীকে যুক্তিসংগত শুনানীর সুযোগ প্রদান না করিয়া অনুরূপ কোন আবেদন নাকচ করা যাইবে না৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন কোন আবেদন নাকচ আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি-গোষ্ঠী, দাতব্য ট্রাষ্ট বা প্রতিষ্ঠান উক্ত আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে চ্যান্সেলরের নিকট উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করিতে পারিবেন এবং উক্ত আপীলের উপর চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷