প্রিন্ট
রেজিষ্ট্রার কর্তৃক তদন্ত
১৯৩৷ (১) এই আইনের বিধান অনুযায়ী রেজিষ্ট্রারের নিকট কোন কোম্পানী কর্তৃক দাখিলকৃত কোন দলিল পাঠ করার পর অথবা কোম্পানীর কোন সদস্যের নিকট হইতে অনুরূপ কোন দলিলের ব্যাপারে লিখিত আপত্তি পাইবার পর, রেজিষ্ট্রার যদি মনে করেন যে, অনুরূপ দলিলে যে বিষয়ে কোন তথ্য সন্নিবেশিত আছে বলিয়া বিবেচনা করা যায় সে বিষয়ের পূর্ণ বিবরণাদি যাহাতে উক্ত দলিলে লিপিবদ্ধ থাকে সেই উদ্দেশ্যে কোন তথ্য বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত কোম্পানীকে উক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা লিখিতভাবে দাখিল করার জন্য কিংবা তাহার মতে প্রয়োজনীয় নথি, বহি বা কাগজপত্র উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে উপস্থাপনের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ প্রাপ্তির পর, কোম্পানীর কর্মকর্তা ছিলেন বা আছেন এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য হইবে উক্ত আদেশে উল্লিখিত তথ্য বা ব্যাখ্যা তাহার সাধ্যমত প্রদান করা।
(৩) উপ-ধারা (২) এ উলিস্্নখিত কোন ব্যক্তি যদি উক্ত উপ-ধারা অনুসারে কোন তথ্য বা ব্যাখ্যা প্রদান করিতে অস্বীকার বা অবহেলা করেন, তাহা হইলে তিনি প্রত্যেক অপরাধের জন্য অনধিক পাঁচশত টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং, রেজিষ্ট্রারের আবেদনক্রমে, আদালত কোম্পানীর প্রতি নোটিশ জারী করিয়া রেজিষ্ট্রারের তদন্ত্মের জন্য যে সব দলিল যুক্তিসংগতভাবে প্রয়োজনীয় বলিয়া মনে করে সেই সব দলিল রেজিষ্ট্রারের নিকট উপস্থাপনের জন্য আদেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং আদালত উহার বিবেচনায় উপযুক্ত শর্তাধীনে রেজিষ্ট্রারকে উক্ত দলিল পরিদর্শনের অনুমতি দিতে পারিবে।
(৪) রেজিষ্ট্রার পূর্বোক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা বা দলিল পাইবার পর উহা তাহার নিকট দাখিলকৃত দলিলের সহিত সংযোজিত করিতে পারেন এবং এইরূপ সংযোজিত যে কোন দলিল পরিদর্শন করার এবং উহার অনুলিপি পাওয়ার ত্মেগত্রে সেই একই বিধান প্রযোজ্য হইবে, যাহা মূল দলিল পরিদর্শন করা ও উহার অনুলিপি পাওয়ার ত্মেগত্রে প্রযোজ্য হয়।
(৫) যদি পূর্বোক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা বা অতিরিক্ত দলিল রেজিষ্ট্রার বা আদালত কর্তৃক বিনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলিল করা না হয়, অথবা যদি উক্ত তথ্য বা ব্যাখ্যা বা অতিরিক্ত দলিল দাখিল করা হয় এবং উহা পাঠ করার পর রেজিষ্ট্রার মনে করেন যে, মূল দলিলে অসন্তেষজনক পরিস্থিতি প্রকাশ পাইয়াছে অথবা উহাতে যে বিষয়াদি সন্নিবেশিত আছে বলিয়া বিবেচনা করা যায় সেই সম্পর্কে পূর্ণ, নিরপেক্ষ ও সঠিক বিবরণ প্রকাশ পায় নাই, তাহা হইলে রেজিষ্ট্রার তৎকর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ অনুসারে উক্ত দলিলসমূহ সংশোধন করিবার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারেন অথবা বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি প্রতিবেদন পেশ করিতে পারেন।
(৬) কোম্পানীর কোন সদস্য, প্রদায়ক, পাওনাদার অথবা স্বার্থ-সংশিস্্নষ্ট অন্য কোন ব্যক্তি রেজিষ্ট্রারের নিকট বাস্তব তথ্যাদি পেশ করতঃ যদি এই মর্মে অভিযোগ করেন যে, কোম্পানী উহার সদস্য, পাওনাদার বা কোম্পানীর সংগে লেনদেনকারী ব্যক্তিগণের সহিত প্রতারণা করিয়া অথবা প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে উহার কার্যাবলী পরিচালনা করিতেছে কিংবা উক্ত কোম্পানীর বিষয়াদি এই আইনের বিধান অনুসারে পরিচালনা করা হইতেছে না, তাহা হইলে তিনি, উক্ত কোম্পানীকে শুনানীর সুযোগ দান করার পর লিখিত আদেশ দ্বারা উক্ত কোম্পানীর নিকট হইতে আদেশে উল্লিখিত বিষয়ে তথ্য বা ব্যাখ্যা চাহিতে পারিবেন বা উক্ত আদেশে বিনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন দলিল উপস্থাপন করিবার জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবেন; এবং এইরূপ আদেশ প্রদত্ত হইলে উহার ক্ষেত্রে (২), (৩) এবং (৫) উপ-ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
(৭) তদন্তের পর যদি রেজিষ্ট্রার এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি (৬) উপ-ধারার অধীনে যে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়াছেন তাহা মিথ্যা, তুচ্ছ বা হয়রানিমূলক, তাহা হইলে তিনি উক্ত অভিযোগকারীর পরিচয় কোম্পানীর নিকট প্রকাশ করিবেন।
(৮) এই আইন অনুযায়ী লিকুইডেটর কর্তৃক যে সকল দলিল দাখিল করিতে হয় সেই সকল দলিলের ক্ষেত্রেও এই ধারার বিধান, প্রয়োজনীয় রদবদলসহ, প্রযোজ্য হইবে।