মূলধন বা শেয়ার মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি
৬৷ (১) “ক” শ্রেণীর শেয়ারহোল্ডার নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে শেয়ার মূল্য পরিশোধ করিবেন এবং উক্ত শ্রেণীর শেয়ারহোল্ডারের বিসিআই এর পরিচালক বা উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে, উহাতে তাহার দায়মুক্ত শেয়ারের অর্থ সমন্বয়ের মাধ্যমে শেয়ার মূল্য পরিশোধ করা যাইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, দায়মুক্ত শেয়ার মূল্য যাহাই থাকুক না কেন, প্রত্যেক “ক” শ্রেণীর শেয়ার-হোল্ডারকে অন্যুন ৫০ লক্ষ টাকা নগদ প্রদানের মাধ্যমে শেয়ার মূল্য পরিশোধ করিতে হইবে৷
(২) “খ” শ্রেণীর কোন শেয়ারহোল্ডার অন্যুন ২ কোটি টাকা নগদ প্রদানের মাধ্যমে এবং উক্ত শ্রেণীর কোন শেয়ারহোল্ডার বিসিআই এর আমানতকারী হওয়ার ক্ষেত্রে বিসিআই এর নিকট হইতে প্রাপ্য ঋণ সমন্বয়ের মাধ্যমে শেয়ার মূল্য পরিশোধ করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, বিসিআইকে প্রদত্ত ঋণের শুধু মাত্র আসল অংশ (সুদ বাদে) সমন্বয় করিয়া অবশিষ্ট শেয়ার মূল্য নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে পরিশোধ করিতে হইবে৷
(৩) “গ” শ্রেণীর কোন শেয়ারহোল্ডার নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে অথবা তাহার আমানত সমন্বয়ের মাধ্যমে অথবা উভয় পদ্ধতিতে শেয়ার মূল্য পরিশোধ করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন আমানতকারীর আমানত স্থিতি হইতে প্রথমে বিসিআই এর নিকট তাহার দায়ের সমপরিমাণ অর্থ সমন্বয় করিয়া সংশ্লিষ্ট স্থিতির পরিমাণ নির্ণয় করিতে হইবে এবং অতঃপর উক্ত স্থিতি হইতে নিম্্নবর্ণিত হারে শেয়ার মূল্য পরিশোধ করা যাইবে:-
(ক) আমানত স্থিতির পরিমাণ যদি ১ লক্ষ টাকার কম হয়, তবে উক্ত স্থিতির ২৫ শতাংশ;
(খ) আমানত স্থিতির পরিমাণ যদি ১ লক্ষ টাকা বা তদূর্ধ কিন্তু ৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তবে উক্ত স্থিতির ৩০ শতাংশ;
(গ) আমানত স্থিতির পরিমাণ যদি ৫ লক্ষ টাকা বা তদূর্ধ কিন্তু ১০ লক্ষ টাকার কম হয়, তবে উক্ত স্থিতির ৪০ শতাংশ;
(ঘ) আমানত স্থিতির পরিমাণ যদি ১০ লক্ষ টাকা বা তদূর্ধ হয়, তবে উক্ত স্থিতির ৫০ শতাংশ৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত হারে আমানত দায় হ্রাসপূর্বক “গ” শ্রেণীর কোন শেয়ারহোল্ডারের জন্য নির্ধারিত ৫২ কোটি টাকা মূলধনের সংস্থান না হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেরূপ স্থির করিবে তদনুযায়ী উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত হারের পরিবর্তন করিতে পারিবেন৷