প্রিন্ট

26/06/2025
গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন, ২০১৮

গাজীপুর মহানগরী পুলিশ আইন, ২০১৮

( ২০১৮ সনের ১৯ নং আইন )

চতুর্থ অধ্যায়

পুলিশ অফিসারের ক্ষমতা ও কর্তব্য

পুলিশ অফিসারের সাধারণ দায়িত্ব
১৫। প্রত্যেক পুলিশ অফিসারের সাধারণ দায়িত্ব হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
(ক) যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাহার নিকট প্রদত্ত আইনানুগ সমন জারি, পরোয়ানা বা অন্যবিধ আদেশ কার্যকর করা এবং ঊর্ধ্বতন অফিসারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করিবার জন্য আইনসম্মতভাবে চেষ্টা করা;
 
(খ) বিচারার্থ গ্রহণযোগ্য সংঘটিত এবং সংঘটিত হইতে পারে এমন অপরাধের সূত্র উপস্থাপনের জন্য তাহার সর্বশক্তি নিয়োগ ও তৎসম্পর্কিত গোপন তথ্য অনুসন্ধান করা, অপরাধীদের বিচার এবং উক্তরূপ অপরাধ এবং বিচারার্থ গ্রহণযোগ্য নয় এমন অপরাধ নিরোধের জন্য এই আইনের বিধানাবলি ও ঊর্ধ্বতন অফিসারের আদেশ মোতাবেক প্রাপ্ত তথ্য সরবরাহ এবং অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা;
 
(গ) গণউৎপাত (nuisance) সংঘটনের চেষ্টা যথাসাধ্য প্রতিহত করা;
 
(ঘ) যাহাদিগকে গ্রেফতার করিবার জন্য তিনি ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং যাহাদিগকে গ্রেফতার করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে তাহাদিগকে অযৌক্তিকভাবে বিলম্ব না করিয়া গ্রেফতার করা;
 
(ঙ) কোনো অফিসার কর্তৃক অনুরোধ করা হইলে, সেই অফিসারকে আইনানুগ এবং যুক্তিসংগত সাহায্য প্রদান করা; এবং
 
(চ) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইন দ্বারা তাহার উপর প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা।
জনগণ এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের প্রতি পুলিশ অফিসারের কর্তব্য
১৬। জনগণ এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের প্রতি পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা:-
 
(ক) রাস্তাঘাটে দৈহিকভাবে অক্ষম ও নিরাশ্রয় ব্যক্তিকে, যতদূর সম্ভব, সহায়তা প্রদান করা এবং কোন ব্যক্তি তাহার নিকট বিপজ্জনক, মাতাল বা নিজের নিরাপত্তার প্রতি অমনোযোগী ও উম্মাদ বিবেচিত হইলে উক্ত ব্যক্তির দায়িত্ব গ্রহণ করা;
 
(খ) গ্রেফতারকৃত আহত বা অসুস্থ ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য সংগ্রহের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করা এবং অনুরূপ ব্যক্তির প্রহরায় নিযুক্ত থাকাকালে তাহার অবস্থার প্রতি যত্নবান হওয়া;
 
(গ) গ্রেফতারকৃত বা জিম্মায় রাখা হইয়াছে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যথোপযুক্ত আহার্য ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা;
 
(ঘ) তল্লাশি করিবার সময় দুর্ব্যবহার পরিহার করা এবং বিরক্তিকর আচরণের কারণ না হওয়া;
 
(ঙ) মহিলা ও শিশুদের সহিত ব্যবহারের সময়, শালীনতাপূর্ণ আচরণ কঠোরভাবে মানিয়া চলা এবং যুক্তিসংগত ভদ্র ব্যবহার করা;
 
(চ) অগ্নিকাণ্ডের সময় ক্ষয়ক্ষতি রোধ করিবার জন্য সর্বতোভাবে চেষ্টা করা; এবং
 
(ছ) সর্বসাধারণের দুর্ঘটনা বা বিপদ পরিহারের জন্য সাধ্যমত কাজ করা।
রাস্তায় পুলিশ অফিসারের কর্তব্য
১৭। রাস্তায় পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে নিম্নরূপ, যথা :-
 
(ক) যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা;
 
(খ) রাস্তায় অবৈধ নির্মাণ কার্য রোধ করা;
 
(গ) রাস্তায় বা রাস্তার সন্নিকটে এই আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান বা প্রদত্ত কোনো আদেশের বিধান যাহাতে কেহ ভঙ্গ করিতে না পারে সেই জন্য চেষ্টা করা;
 
(ঘ) রাস্তায়, সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জায়গায়, মেলায়, পার্কে ও সর্বসাধারণের সম্মিলিত হওয়ার অন্যান্য সকল জায়গায় এবং সর্বসাধারণের প্রার্থনার স্থানসমূহের আশেপাশে শৃঙ্খলা বজায় রাখা; এবং
 
(ঙ) সর্বসাধারণের ব্যবহার্য জায়গার নিয়ন্ত্রণ, যাত্রীবাহী নৌকায় বিপজ্জনকভাবে বা অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই রোধ এবং অনুরূপ যে কোনো স্থানে বা নৌকায় কোনো আইন বা আইনানুগ বিধি, আদেশ, ইত্যাদি লঙ্ঘন রোধ করা।
পুলিশ অফিসারের আইনসঙ্গত নির্দেশ মান্য করা
১৮। এই আইনের দ্বারা প্রদত্ত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে পুলিশ অফিসারের যে কোনো আইনসঙ্গত নির্দেশ সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তি মানিতে বাধ্য থাকিবেন।
নির্দেশ কার্যকরকরণে পুলিশ অফিসারের ক্ষমতা
১৯। ধারা ১৮ এ উল্লিখিত নির্দেশ পালনে বাধা প্রদান, অস্বীকার করা বা অপারগতার জন্য পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আটক করিতে বা, ক্ষেত্রমত, বিতাড়িত করিতে পারিবেন এবং অনুরূপ ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে উপস্থিত করিতে অথবা, ঘটনাটি নগণ্য হইলে উক্ত ব্যক্তিকে মুক্ত করিতে পারিবেন।
তথ্য সরবরাহে পুলিশ অফিসারের ক্ষমতা
২০। এই আইন অনুযায়ী কোনো পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট যে কোনো তথ্য পেশ করিতে ও অপরাধীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করিতে পারিবেন।
সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে রাস্তায় তল্লাশি করিবার বিষয়ে পুলিশ অফিসারের ক্ষমতা
২১। রাস্তায় বা সর্বসাধারণের সমবেত হইবার কোনো স্থানে কোনো ব্যক্তির নিকট চোরাইমাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্য রহিয়াছে বলিয়া কোন পুলিশ অফিসার যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করিলে, তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তল্লাশি করিতে ও তৎসম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন এবং জিজ্ঞাসাবাদের জবাবে তাহার বক্তব্য মিথ্যা বা সন্দেহজনক বলিয়া পুলিশ অফিসার মনে করিলে, তিনি প্রাপ্ত মালামাল আটক করিয়া ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ঘটনাটির উপর রিপোর্ট দায়ের করিবেন এবং আটককৃত ব্যক্তিকে আলামতসহ (চোরাইমাল, অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্যসহ) ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করিবেন, অতঃপর ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৫২৩ এবং ৫২৫ এর অধীন ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
ধারা ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৩৩ এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ ও বিজ্ঞপ্তি কার্যকর
২২। (১) যে ক্ষেত্রে ধারা ২৮, ৩০, ৩২ ও ৩৩ এর অধীন কোনো নির্দেশ প্রদান বা জারি করা হয় অথবা ধারা ২৯ ও ৩১ এর অধীন কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রচার বা জারি করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্তরূপ নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তির পরিপন্থি কোনো কাজ করা হইতে কোনো ব্যক্তিকে বিরত রাখা পুলিশ অফিসারের পক্ষে আইনসম্মত হইবে এবং পুলিশ অফিসার আদেশ অমান্যকারীকে গ্রেফতার করিতে এবং অনুরূপ নির্দেশ বা বিজ্ঞপ্তি অমান্য করিবার লক্ষ্যে ব্যবহৃত দ্রব্য বা ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রক্ষিত দ্রব্য আটক করিতে পারিবেন।
 
(২) উপ-ধারা ১ এর অধীন আটককৃত দ্রব্য ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী নিষ্পত্তি (Dispose of) হইবে।
বেওয়ারিশ সম্পত্তির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিলিবণ্টন
২৩। (১) নিম্নবর্ণিত সম্পত্তির সাময়িকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করা পুলিশ অফিসারের কর্তব্য হইবে, যথা :-
 
(ক) তাহার গোচরীভূত হইয়াছে বা তাহার নিকট আনীত হইয়াছে এইরূপ বেওয়ারিশ অস্থাবর সম্পত্তি; এবং
 
(খ) সম্পত্তির মালিক বা দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি কর্তৃক অপসারণ করিতে অস্বীকার করিবার ক্ষেত্রে বা অপসারণ না করিবার ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের ব্যবহার্য কোনো স্থানে বা রাস্তায় পড়িয়া থাকা অস্থাবর সম্পত্তি।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো সম্পত্তির দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিকট সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি হস্তান্তর করিবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ কমিশনারের নিকট বিষয়টি রিপোর্ট করিবেন।
 
(৩) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তি কোনো মালিকানাবিহীন বা মৃত ব্যক্তির বলিয়া যৌক্তিক কারণ থাকিলে এবং উহার মূল্য ৫(পাঁচ) হাজার টাকার কম না হইলে, পুলিশ কমিশনার বিষয়টি এডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলের গোচরীভূত করিবেন, যাহাতে (Administrator General's Act, 1913 (Act III of 1913) বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনের অধীন উক্ত সম্পত্তির বন্দোবস্ত করা যায়।
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির বিবরণ প্রদান করিয়া এই মর্মে একটি ঘোষণা জারি করিবেন যে, উহার দাবিদার যেন ঘোষণা জারির ৩(তিন) মাসের মধ্যে তাহার বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো পুলিশ অফিসারের নিকট উপস্থিত হইয়া সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দাবি প্রমাণ করেন।
 
(৫) উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সম্পত্তির বা উহার কোনো অংশবিশেষ দ্রুত ও স্বাভাবিকভাবে বিনষ্ট হইবার মত হইলে, বা উহাতে গবাদি পশু থাকিলে, বা উহার মূল্য ৫(পাঁচ) হাজার টাকার কম বলিয়া অনুমিত হইলে, উহা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ মোতাবেক নিলামে বিক্রয় করা যাইবে, এবং অনুরূপ সম্পত্তি বিলিবণ্টনের জন্য এই আইনের বিধান মোতাবেক বিক্রয়লব্ধ অর্থ বিলিবণ্টন করা হইবে।
 
(৬) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সম্পত্তি সম্পর্কে দাবিদারের যৌক্তিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হইবার পর পুলিশ কমিশনার পুলিশ কর্তৃক উহা আটক ও সংরক্ষণের জন্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় হইয়াছে তাহা কর্তন সাপেক্ষে, উক্ত দ্রব্য দাবিদারকে প্রত্যার্পণের নির্দেশ প্রদান করিবেন।
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আদেশ প্রদানের পূর্বে পুলিশ কমিশনার যেভাবে যথাযথ মনে করিবেন সেইভাবে যে ব্যক্তিকে সম্পত্তি ফেরত প্রদান করা হইতেছে তাহার নিকট হইতে জামানত গ্রহণ করিতে পারিবেন এবং যে ব্যক্তির নিকট সম্পত্তি হস্তান্তর করা হইতেছে তাহার নিকট হইতে উহার সম্পূর্ণ অংশ অথবা অংশবিশেষ উদ্ধারের জন্য কোনো ব্যক্তির অধিকার থাকিলে সেই অধিকার কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ হইবে না।
 
(৮) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে অনুরূপ সম্পত্তির বিষয়ে কোনোরূপ দাবি পেশ না করেন, তাহা হইলে উহা সরকারি হেফাজতে থাকিবে এবং উহা অথবা উহার অংশবিশেষ উপ-ধারা (৫) এর অধীন বিক্রয় না হইয়া থাকিলে, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশক্রমে উহা নিলামে বিক্রয় করা যাইবে।
গবাদি পশু আটক করা
২৪। কোনো গবাদি পশু রাস্তায় বেওয়ারিশভাবে ঘোরাফেরা করিতে থাকিলে অথবা কোনো সরকারি সম্পত্তিতে অনধিকার প্রবেশ করিলে, পুলিশ অফিসার সেই গবাদি পশু খোয়াড়ে রাখিবার জন্য আটক করিতে পারিবেন।
অসুস্থ ও অক্ষম জীবজন্তু নিধন
২৫। কোনো পুলিশ অফিসার যদি কোনো রাস্তা বা প্রকাশ্য স্থানে কোনো অসুস্থ, জখমপ্রাপ্ত বা দৈহিকভাবে অক্ষম জীবজন্তু দেখিতে পান এবং তিনি যদি মনে করেন যে, সংশ্লিষ্ট জন্তুটি নিধন করা প্রয়োজন এবং যে ক্ষেত্রে উক্ত জন্তুর মালিক অনুপস্থিত থাকেন বা নিধনের সম্মতি না দেন, সেই ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি পশু চিকিৎসককে তলব করিবেন এবং সরকারি পশু চিকিৎসক যদি প্রত্যয়ন করেন যে, সংশ্লিষ্ট জন্তুটি এতই অসুস্থ বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত বা এমনই দুরবস্থাগ্রস্ত হইয়াছে যে, উহাকে জীবিত রাখা জনস্বার্থে ক্ষতিকর, তাহা হইলে পুলিশ অফিসার মালিকের আপত্তি সত্ত্বেও উক্ত জন্তুটিকে নিধন করিতে বা নিধনের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন :
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি পশু চিকিৎসক যদি মনে করেন যে, গুরুতর কষ্ট প্রদান ব্যতিরেকে জন্তুটিকে স্থানান্তর করা সম্ভব, তাহা হইলে নিধনের পূর্বে উহাকে তাহার বিবেচনায় অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানে অপসারণের জন্য তিনি পুলিশ অফিসারকে পরামর্শ প্রদান করিতে পারিবেন :
 
আরও শর্ত থাকে যে, কোনো রাস্তায় বা প্রকাশ্য স্থানে কোনো জন্তু নিধন করিতে হইলে উহাকে জনসাধারণের দৃষ্টির আড়ালে রাখিবার জন্য যতদূর সম্ভব আবরণ দ্বারা চারিদিকে আবৃত করিতে হইবে।
পরিমাপযন্ত্র ও দাড়িপাল্লা তল্লাশি, পরীক্ষা ও আটক করিবার ক্ষমতা
২৬। (১) ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ১৫৩ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পুলিশ কমিশনার কর্তৃক সাধারণভাবে অথবা বিশেষভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার যে কোনো পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা তল্লাশি বা পরীক্ষা করিবার জন্য বিনা পরোয়ানায় যে কোনো দোকানে বা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করিতে পারিবেন।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন তল্লাশিকালে পুলিশ অফিসারের নিকট যদি কোনো পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা ত্রুটিপূর্ণ মর্মে অনুমান করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে, তাহা হইলে তিনি উহা আটক করিতে পারিবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক তাহা অনতিবিলম্বে পুলিশ কমিশনারকে অবহিত করিবেন।
 
(৩) পরিমাপযন্ত্রের ওজন ও মাপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যে মাপ নির্ধারণ করা হইয়াছে উহার সহিত গরমিল হইলে এই ধারার অধীন সংশ্লিষ্ট পরিমাপযন্ত্র বা দাড়িপাল্লা ত্রুটিপূর্ণ বলিয়া গণ্য হইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs