Chapter প্রথম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
১। (১) এই আইন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।
(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) ‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ ধারা ৪ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিল;
(২) ‘‘কর্মচারী’’ অর্থে কর্মকর্তাও অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
(৩) “গভর্নিং বডি” অর্থ ধারা ৮ এর অধীন গঠিত গভর্নিং বডি;
(৪) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ ধারা ১২ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান;
(৫) “নির্ধারিত” অর্থ বিধি বা প্রবিধি দ্বারা নির্ধারিত;
(৬) “নির্বাহী পরিষদ” অর্থ ধারা ১১ এর অধীন গঠিত নির্বাহী পরিষদ;
(৭) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
(৮) ‘‘প্রেসিডেন্ট’’ অর্থ গভর্নিং বডির প্রেসিডেন্ট;
(৯) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(১০) ‘‘ভাইস-প্রেসিডেন্ট’’ অর্থ গভর্নিং বডির ভাইস-প্রেসিডেন্ট;
(১১) ‘‘রেজিস্ট্রার’’ অর্থ কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার;
(১২) ‘‘হোমিওপ্যাথি’’ অর্থ ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান (Dr. Christian Friedrich Samuel Hahnemann) এবং ডা. সুষলার (Dr. Wilhelm Heinrich Schuessler) প্রবর্তিত ও প্রতিষ্ঠিত হোমিওপ্যাথিক এবং বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতি;
(১৩) ‘‘হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক (Homoeopathic Doctor)’’ অর্থ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোনো হোমিওপ্যাথিক ডা.;
(১৪) “হোমিওপ্যাথিক ফার্মাকোপিয়া” অর্থ নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্রণীত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুত সংক্রান্ত পুস্তক বা নির্দেশিকা যাহাতে ঔষধের উৎস, প্রস্তুত প্রণালী, যৌগিক গঠন, গুণগত মান এবং অনুরূপ বিষয়াদির বিস্তারিত বর্ণনা থাকে; এবং
(১৫) ‘‘হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত বা অনুমোদিত কোনো হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ।
৩। আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাইবে।