প্রিন্ট

16/07/2025
ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

ব্যাংক-কোম্পানী আইন, ১৯৯১

( ১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন )

সাময়িকভাবে ব্যবসা বন্ধ রাখা
৬৪৷ (১) সাময়িকভাবে দায় পরিশোধে অক্ষম কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আবেদনক্রমে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত কোম্পানীর বিরুদ্ধে সকল 1[সকল আইনগত কার্যধারা], তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তাধীনে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত রাখার আদেশ দিতে পারিবে, যাহার একটি অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে, এবং হাইকোর্ট বিভাগ সময় সময় উক্ত সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে৷ কিন্তু এই বর্ধিত সময়ের মেয়াদ সর্বমোট ছয় মাসের অধিক হইবে না৷
 
 
 
 
(২) আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধ করিতে পারিবে এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত একটি রিপোর্ট আবেদনপত্রের সহিত সংযোজিত না হইলে উপ-ধারা (১) এর অধীন আবেদনপত্র গ্রহণযোগ্য হইবে না :
 
 
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আবেদনপত্রের সহিত উক্তরূপ রিপোর্ট সংযোজিত না থাকিলেও হাইকোর্ট বিভাগ, যথাযথ কারণ থাকিলে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে এই ধারার অধীন প্রতিকার প্রদান করিতে পারিবে এবং এইরূপ প্রতিকার প্রদান করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবস্থা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে একটি রিপোর্ট তলব করিবে, এবং উক্ত রিপোর্ট প্রাপ্তির পর হাইকোর্ট বিভাগ উহার আদেশ বাতিল করিতে পারিবে বা অন্য কোন যথাযথ আদেশ প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ একজন বিশেষ কর্মকর্তা নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং আবেদনকারী ব্যাংক-কোম্পানী যে সকল সম্পদ, বহি, দলিল, মালামাল এবং আদায়যোগ্য দাবীর অধিকারী বা অধিকারী বলিয়া ধারণা করা হয়, সেসব কিছুই উক্ত কর্মকর্তা তত্ত্মগণাত্ নিজের তত্ত্বাবধানে বা নিয়ন্ত্রণে গ্রহণ করিবেন, এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থ বিবেচনা করিয়া হাইকোর্ট বিভাগ অন্য যে ত্মগমতা তাঁহাকে অর্পণ করিবে সেই ত্মগমতাও তিনি প্রয়োগ করিতে পারিবেন৷
 
 
 
 
(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে যদি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদান করা হয় এবং যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উক্ত ব্যাংকের কার্যকলাপ উহার আমানতকারীগণের স্বার্থবিরোধী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবে এবং এইরূপ আবেদনপত্র দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত উপ-ধারার অধীন প্রদত্ত স্থগিত আদেশের মেয়াদ আর বর্ধিত করিবে না৷
হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অবসায়ন
৬৫৷ (১) ধারা ৬৪(১) তে প্রদত্ত ত্মগমতাকে ত্মগুণ্ন না করিয়া, এবং কোম্পানী আইনের 2[ধারা ২২৮, ২৪১ এবং ৩৭২] এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিবে, যদি-
 
 
(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার ঋণ পরিশোধ করিতে অত্মগম হয়;
 
 
(খ) উক্ত কোম্পানী অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারা বা ধারা ৬৪ এর অধীন আবেদন করে৷
 
 
(২) ধারা ৪৪(৫)(খ) এর অধীন নির্দেশিত হইলে, বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত নির্দেশে উলিস্্নখিত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য এই ধারার অধীন দরখাস্ত্ম দাখিল করিবে৷
 
 
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীনে আবেদন করিতে পারে,-
 
 
(ক) যদি উক্ত কোম্পানী,-
 
 
(অ) ধারা ১৩ এর অধীন প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকে; বা
 
 
(আ) ধারা ৩১ এর বিধানজনিত কারণে বাংলাদেশে ব্যাংক-ব্যবসা চালাইবার অধিকার হারাইয়া থাকে;
 
 
(ই) ধারা ৪৪(৫)(ক) অথবা Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O. No. 127 of 1972) এর Article 36(5)(b) এর অধীনে প্রদত্ত আদেশ দ্বারা নূতনভাবে আমানত গ্রহণ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা পাইয়া থাকে; বা
 
 
(ঈ) ধারা ১৩ তে বিধৃত পূরণীয় শর্ত ব্যতিরেকে এই 3[আইনের] অধীন প্রয়োজনীয় অন্যান্য শর্ত পূরণ করিতে ব্যর্থ হইয়া থাকে এবং লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত ব্যর্থতার কথা উহাকে অবহিত করার পরও তাহা অব্যাহত রাখে;
 
 
(এ) এই 4[আইনের] কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া থাকে এবং উহাকে লিখিত নোটিশের মাধ্যমে উক্ত লঙ্ঘন সম্পর্কে অবহিত করা সত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক সময় সময় এতদুদ্দেশ্যে যে মেয়াদ নির্ধারণ করে তাহা অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পরেও উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত রাখে; অথবা
 
 
(খ) যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে,-
 
 
(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী সম্পর্কে আদালত অনুমোদিত কোন আপোষ-মীমাংসা বা ব্যবস্থা, উহার সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকে, সন্ত্মোষজনকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নহে; বা
 
 
(আ) এই 5[আইনের] বিধানাবলীর অধীন বা মোতাবেক উহার নিকট প্রেরিত রিটার্ণ, প্রতিবেদন বা তথ্য হইতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর দেনা পরিশোধে উহার অত্মগমতা প্রকাশ পাইয়াছে; বা
 
 
(ই) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অস্ত্মিত্ব অব্যাহত রাখা উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী৷ (৪) কোম্পানী আইনের 6[ধারা ২৪২] এর বিধান ত্মগুণ্ন না করিয়া, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধে অত্মগম বলিয়া গণ্য হইবে; যদি-
 
 
(ক) উক্ত কোম্পানীর অফিস বা শাখা আছে এমন স্থানে উহার কোন দেনা পরিশোধের জন্য কোন আইনানুগ দাবী পেশ করা হয়, কিন্তু দুই কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত দেনা পরিশোধে উহা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিয়া থাকে; বা
 
 
(খ) অন্য কোথাও উক্ত দাবী পেশ করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার দেনা পরিশোধে অত্মগম; বা
 
 
(গ) বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে ব্যাংক-কোম্পানীটি উহার দেনা পরিশোধ করিতে অসমর্থ৷
 
 
(৫) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন দরখাস্ত্ম সুপ্রীম কোর্টের রেজিষ্ট্রারের নিকট দাখিল করিবে৷
আদালত-অবসায়ক
৬৬৷ (১) ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন মামলার সংখ্যা ও তত্সংশিস্্নষ্ট কাজের পরিমাণ বিবেচনা করিয়া সরকার যদি অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত অবসায়নের কার্যধারা পরিচালনা এবং তত্সংক্রান্ত্ম বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক আরোপিত অন্যান্য দায়িত্ব সম্পাদন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের সহিত একজন আদালত অবসায়ক সংযুক্ত করা প্রয়োজন ও সমীচীন, তাহা হইলে সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদে একজন আদালত-অবসায়ক নিয়োগ করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন আদালত অবসায়ক নিযুক্ত হইলে এবং হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদেশ প্রদান করিলে, কোম্পানী আইনের 7[ধারা ২৫০ অথবা ২৫৫] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালত অবসায়ক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সরকারী অবসায়ক হইবে৷
 
 
(৩) যদি কোন আদালত অবসায়ক হাইকোর্ট বিভাগের সহিত সংযুক্ত থাকেন এবং এই 8[আইন] প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে বা উক্তরূপ সংযুক্তির তারিখের পূর্বে, উহাদের মধ্যে, যাহা পরবর্তী, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের জন্য কোন কার্যধারা চালু থাকে, যাহাতে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আদালত অবসায়ক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত আছেন তাহা হইলে কোম্পানী আইনের 9[ধারা ২৫৬] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যে ব্যক্তি সরকারী অবসায়ক নিযুক্ত হইয়াছেন তিনি উক্ত প্রবর্তন, বা ত্মেগত্রমত, সংযুক্তির তারিখে তাঁহার পদ ত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্ত শূন্য পদে আদালত অবসায়ক সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, আদালত অবসায়ককে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক-কে এতদ্‌সম্পর্কে শুনানীর সুযোগ দেওয়ার পর হাইকোর্ট বিভাগ যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত আদালত অবসায়কের নিযুক্তি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থের জন্য ত্মগতিকর হইতে পারে, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ পূর্বের সরকারী অবসায়ককে তাঁহার কার্য চালাইয়া যাইবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে৷
বাংলাদেশ ব্যাংক ইত্যাদির অবসায়ক হিসাবে নিয়োগ
৬৭৷ কোম্পানী আইনের 10[ধারা ৫৩ অথবা ২৫৫] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি বাংলাদেশ ব্যাংক কোন ব্যাংক কোম্পানীর অবসায়ন কার্য ধারায় হাইকোর্ট বিভাগের নিকট বাংলাদেশ ব্যাংক-কে বা কোন ব্যক্তি বিশেষকে সরকারী অবসায়ক হিসাবে নিযুক্ত করিবার আবেদন করে, তাহা হইলে সাধারণতঃ উক্ত আবেদন মঞ্জুর করা হইবে, এবং উক্ত কার্যধারায় কোন অবসায়ক পূর্ব হইতে কার্যরত থাকিলে, তাঁহার পদ উক্ত সরকারী অবসায়ক নিযুক্তির তারিখ হইতে শূন্য হইবে৷
অবসায়কের উপর কোম্পানী আইন প্রয়োগ
৬৮৷ (১) কোম্পানী আইনের অবসায়ক সম্পর্কিত বিধানাবলী, এই 11[আইনের] বিধানাবলীর সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, ধারা 12[৬৬ বা ৬৭] এর অধীন নিযুক্ত অবসায়কের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই খণ্ডে এবং সপ্তম খণ্ডে “সরকারী অবসায়ক” এর উল্লেখ থাকিলে, উহাতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ক অন্তর্ভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে৷
কার্যধারা স্থগিত করা সম্পর্কে বাধা-নিষেধ
৬৯৷ কোম্পানী আইনের 13[ধারা ২৫৩] তে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারা উক্ত কোম্পানীর আমানতকারীদের দাবী সম্পূর্ণ পরিশোধ করার জন্য গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত্ম স্থগিত রাখার আদেশ দান করিবে না৷
সরকারী অবসায়ক কর্তৃক প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল
৭০৷ কোম্পানী আইনের 14[ধারা ২৫৯] তে ভিন্নতর কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যে ক্ষেত্রে এই 15[আইন] প্রবর্তনের পূর্বে বা পরে কোন ব্যাংক-কোম্পানী অবসায়নের জন্য আদেশ দেওয়া হইয়াছে, সেক্ষেত্র সরকারী অবসায়ক উক্ত আদেশ প্রদানের দুই মাসের মধ্যে বা আদেশটি উক্তরূপ প্রবর্তনের পূর্বে প্রদান করা হইয়া থাকিলে উক্ত প্রবর্তনের দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্ট প্রদান করিবে, যাহাতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকিবে, যথা :-
 
 
16[(ক) কোম্পানী আইনের উল্লিখিত ধারার প্রয়োজন মোতাবেক সেই সকল তথ্য যাহা তাহার নিকট রহিয়াছে;]
 
 
(খ) রিপোর্ট প্রদানের তারিখে তাহার হেফাজত বা নিয়ন্ত্রণে রত্মিগত উক্ত কোম্পানীর নগদ সম্পদের পরিমাণ;
 
 
(গ) উক্ত দুই মাস অতিক্রান্ত্ম হইবার পূর্বে সম্ভাব্য নগদ সম্পদ সংগ্রহের পরিমাণ :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, হাইকোর্ট বিভাগ, প্রয়োজনবোধে, কোন বিশেষ ত্মেগত্রে উক্ত দুই মাস সময়সীমা আরও এক মাস বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবীদার ইত্যাদির প্রতি নোটিশ
৭১৷ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের আদেশ প্রদানের ১৫ দিনের মধ্যে বা উক্ত আদেশ, এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, উক্ত প্রবর্তনের তারিখ হইতে এক মাসের মধ্যে সরকারী অবসায়ক, আমানতকারীর প্রতি দায়-দায়িত্ব ব্যতীত, উক্ত কোম্পানীর কর্জ বা অন্যান্য দায়ের একটি হিসাব প্রস্তুতের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে একটি নোটিশ জারী করিয়া কোম্পানী আইনের 17[ধারা ৩২৫] এর অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাওনার দাবীদারদের এবং কোম্পানীর নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত বা নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত নয় এমন পাওনাদারদিগকে, নোটিশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে তাঁহাদের দাবীর পরিমাণের একটি হিসাব তাঁহার নিকট প্রেরণের জন্য আহ্বান করিবেন৷
 
 
(২) কোম্পানী আইনের 18[ধারা ৩২৫] এর অধীন প্রাপ্যের কোন দাবীদারের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে এই মর্মে উলেস্্নখ করিতে হইবে যে, যদি উহা জারীর এক মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে সরকারী অবসায়কের নিকট দাবীর বিবরণ প্রেরণ করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত দাবী অন্যান্য ঋণের দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকার সম্পন্ন দাবী হিসাবে উক্ত 19[ধারার] আওতায় পরিশোধযোগ্য দাবী বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং উহা ব্যাংক-কোম্পানীর সাধারণ ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৩) নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারের নিকট উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে, উহা জারীর তারিখ হইতে এক মাস অতিবাহিত হইবার পূর্বে, তাঁহাকে তাঁহার জামানতের মূল্যায়ন করার জন্য বলা হইবে এবং উহাতে এই মর্মেও উলেস্্নখ করা হইবে যে, উক্ত সময়সীমা অতিবাহিত হইবার পূর্বে জামানতের মূল্যায়নসহ তাঁহার দাবীর একটি বিবরণ প্রেরণ করা না হইলে সরকারী অবসায়ক নিজেই উক্ত জামানতের মূল্যায়ন করিবেন এবং উক্তরূপ মূল্যায়ন পাওনাদার মানিতে বাধ্য থাকিবেন৷
 
 
(৪) যদি কোন দাবীদার বা পাওনাদার উপ-ধারা (১) মোতাবেক প্রেরিত নোটিশে প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে,-
 
 
(ক) দাবীদারের ত্মেগত্রে, তাঁহার দাবী অন্যান্য দাবীর তুলনায় অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবী হিসাবে পরিশোধযোগ্য হইবে না, বরং ব্যাংক-কোম্পানীর সাধারণ ঋণ হিসাবে গণ্য হইবে;
 
 
(খ) পাওনাদারের ত্মেগত্রে, তাঁহার জামানতের মূল্যায়ন সরকারী অবসায়ক নিজেই করিবেন এবং অনুরূপ মূল্যায়ন পাওনাদার মানিতে বাধ্য থাকিবেন৷
পাওনাদারদের সভা আহ্বান ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা রহিত করার ক্ষমতা
৭২৷ কোম্পানী আইনের 20[ধারা ২৬১ এবং ২৬৬] তে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যদি হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারা নিষ্পন্নাধীন থাকাকালে, অযথা বিলম্ব ও খরচ পরিহার করার প্রয়োজনে যথাযথ বিবেচনা করিলে, উক্ত কোম্পানীর দাবীদার বা অন্যান্য পাওনাদারদের সভা আহ্বান বা কমিটি নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রহিত করিতে পারিবে৷
হিসাবের খাতাদৃষ্টে আমানতকারীদের জমা প্রমাণিত গণ্য
৭৩৷ ব্যাংক-কোম্পানীর হিসাবের খাতায় কোন আমানতকারীর নামে যে টাকা জমাকৃত রহিয়াছ বলিয়া উলেস্্নখ থাকে, সেই টাকার জন্য আমানতকারী তাঁহার দাবী উক্ত কোম্পানীর অবসায়ন কার্যধারায় উত্থাপন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য করা হইবে; এবং কোম্পানী আইনের 21[ধারা ২৭৪] এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি সরকারী অবসায়ক উক্তরূপ জমার সঠিকতা সম্পর্কে সন্দেহ করিবার কারণ আছে ইহা না দেখান, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ উক্তরূপ দাবী প্রমাণিত হইয়াছে বলিয়া ধরিয়া লইবেন৷
আমানতকারীগণের অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা প্রদান
৭৪৷ 22[(১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের কার্যধারায় অবসায়নের আদেশ এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে প্রদত্ত হইয়া থাকিলে, অনুরূপ প্রবর্তনের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে বা, উক্ত আদেশ অনুরূপ প্রবর্তনের পর প্রদত্ত হইলে, আদেশ প্রদানের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে, সরকারী অবসায়ক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত ছকে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ (২০০০ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন বীমাকৃত অবসায়িত ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীগণের আমানতের তালিকা আমানত বীমা ট্রাষ্টি বোর্ডের নিকট দাখিল করিবেনঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অবসায়ক উক্তরূপ আমানতের পরিমাণ নির্ধারণকালে আইনগতভাবে আমানতকারীর নিকট বীমাকৃত ব্যাংকের কোন পাওনা থাকিলে উহা বাদ দিয়া আমানতকারীর পাওনা নির্ধারণ করিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা সময়ে সময়ে ব্যাংক আমানত বীমা আইন, ২০০০ এর আওতায় অথবা উক্ত আইনের আওতায় জারীকৃত বিধান বা নির্দেশনা মোতাবেক নির্ধারিত অঙ্ক এবং শর্তে পরিশোধ করা হইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধান মোতাবেক আমানতকারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা পরিশোধের পর সরকারি অবসায়ক কোম্পানী আইনের ধারা ৩২৫ তে উল্লিখিত সেই সকল অগ্রাধিকারভিত্তিক পাওনা প্রদান করিবেন বা প্রদানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন যে সকল পাওনা সম্পর্কে, ধারা ৭১ এর অধীন প্রদত্ত নোটিসের প্রেক্ষিতে, উহা জারীর তারিখ হইতে ১ (এক) মাসের মধ্যে, দাবী উত্থাপন করা হইয়াছে।
 
 
(৪) উপ-ধারা (২) ও (৩) অনুসারে আমানতকারীগণের এবং অগ্রাধিকারসম্পন্ন দাবীদারগণের পাওনা পরিশোধ করার পর, সরকারী অবসায়ক-
 
 
(ক) ধারা ৭১ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারগণের পাওনা পরিশোধ করিবেন বা প্রদানের পর্যাপ্ত সংস্থান রাখিবেন;
 
 
(খ) অন্যান্য সকল সাধারণ পাওনাদারদের পাওনা সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া উপ-ধারা (৭) এ বর্ণিত ক্রমানুযায়ী পরিশোধ করিবেন:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি অবসায়ক যখনই নগদ টাকার আকারে ব্যাংক-কোম্পানীর সম্পদ সংগ্রহ করিতে পারিবেন তখনই উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) ও (খ) তে উল্লিখিত পাওনাদারগনের পাওনা সংগৃহীত সম্পদের সহিত অনুপাত বজায় রাখিয়া প্রদান করিবেন।
 
 
(৫) সরকারী অবসায়ক যাহাতে কোম্পানীর সর্বাধিক সম্পদ নগদ টাকার আকারে নিজের রক্ষণাবেক্ষণে আনিতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারদিগকে প্রদত্ত অনুমোদিত জামানত নিম্নলিখিত ভাবে দায়মুক্ত করিতে পারিবেন, যথাঃ—
 
 
(ক) উক্ত পাওনাদারের পাওনার পরিমাণ, পাওনাদারের নিজের মূল্যায়ন, বা ক্ষেত্রমত, সরকারি অবসায়কের মূল্যায়ন অনুযায়ী উক্ত জামানতের মূল্য অপেক্ষা বেশী হইলে, সেই মূল্য পরিশোধ করিয়া; এবং
 
 
(খ) অনুরূপ মূল্যায়নে পাওনাদারের পাওনা উক্ত জামানতের মূল্যের সমান বা কম হইলে, পাওনা টাকা পরিশোধ করিয়া:
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকারী অবসায়ক যদি পাওনাদার কর্তৃক মূল্যায়নে সন্তুষ্ট না হন, তাহা হইলে তিনি মূল্যায়ন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।
 
 
(৬) উপ-ধারা (২), (৩), (৪) ও (৫) এর বিধান মোতাবেক পাওনা পরিশোধের জন্য কোন দাবীদার, পাওনাদার বা আমানতকারীকে যদি পাওয়া না যায় বা তাহাকে যদি তৎক্ষণাৎ খুঁজিয়া পাওয়া না যায়, তাহা হইলে সরকারী অবসায়ক, উক্ত পাওনা পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।
 
 
(৭) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত পাওনাসমূহকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণীর পাওনা হিসাবে গণ্য করা হইবে, এবং বর্ণিত ক্রমানুযায়ী পাওনাসমূহ পরিশোধিত হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিশোধিতব্য বীমাকৃত আমানতের পাওনা;
 
 
(খ) উপ-ধারা (৩) এ বর্ণিত কোম্পানী আইনের ধারা ৩২৫ এর অধীন অগ্রাধিকার ভিত্তিক দাবীদারদের পাওনা;
 
 
(গ) উপ-ধারা (৪) এর দফা (ক) ও উপ-ধারা (৫) এর বর্ণনা অনুযায়ী নিশ্চয়তাপ্রাপ্ত পাওনাদারগণের পাওনা;
 
 
(ঘ) আমানতকারীগণের হিসাবে উপ-ধারা (২) এর অধীন পরিশোধিত অর্থের অতিরিক্ত স্থিতির বিপরীতে প্রদেয় পাওনা;
 
 
(ঙ) অন্যান্য সকল সাধারণ পাওনাদারদের পাওনা;
 
 
(চ) আমানত বীমা তহবিল হইতে বীমাকৃত আমানতকারীগণের অনুমোদিত পাওনা পরিশোধ বাবদ প্রদত্ত অর্থ সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রদেয় অর্থ।’’;
 
 
(৮) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৭) এর দফা (খ), (গ), (ঘ), (ঙ) ও (চ) এ উল্লিখিত প্রত্যেক শ্রেণীর পাওনাদারগণকে তাহাদের নিজেদের মধ্যে সমতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হইবে এবং যদি পাওনা পরিশোধের জন্য প্রাপ্ত সম্পদ পর্যাপ্ত হয়, তাহা হইলে তাহাদের পূর্ণ পাওনা প্রদান করা হইবে, এবং উক্ত সম্পদ অপর্যাপ্ত হইলে সমান অনুপাতে তাহাদের পাওনা হ্রাস করা হইবে।]
স্বেচ্ছায় অবসায়নে বাধা-নিষেধ
৭৫৷ কোম্পানী আইনের 23[ধারা ২৮৬] তে ভিন্নতর কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার পাওনাদারদের ঋণ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করিতে সমর্থ, এই মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিতভাবে প্রত্যয়ন না করিলে ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর স্বেচ্ছা অবসায়ন করা যাইবে না; এবং স্বেচ্ছা অবসায়নের কার্যধারার কোন পর্যায়ে যদি ব্যাংক-কোম্পানী উহার কোন দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়, তাহা হইলে হাইকোর্ট বিভাগ কোম্পানী আইনের 24[ধারা ৩১৪ এবং ৩১৫] এর বিধান ত্মগুণ্ন না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনক্রমে হাইকোর্ট বিভাগের মাধ্যমে উক্ত কোম্পানীর অবসায়নের জন্য আদেশ দিবে৷
ব্যাংক-কোম্পানী এবং পাওনাদারদের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থার উপর বাধা-নিষেধ
৭৬৷ (১) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, হাইকোর্ট বিভাগ কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার পাওনাদার বা তাঁহাদের কোন শ্রেণীর মধ্যে, বা উক্ত কোম্পানী এবং উহার সদস্য বা সদস্য-শ্রেণীর মধ্যে, কোন আপোষ মীসাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থা অনুমোদন করিবে না, বা অনুরূপ কোন মীমাংসা বা বিশেষ ব্যবস্থায় কোন সংশোধন অনুমোদন করিবে না, যদি না বাংলাদেশ ব্যাংক এই মর্মে প্রত্যয়ন করে যে, উক্ত মীমাংসা, বিশেষ ব্যবস্থা বা উহাদের সংশোধন কার্যকর করার অযোগ্য নহে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর পাওনাদারদের স্বার্থেও পরিপন্থী নহে৷
 
 
(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যাপারে বা উহার কোন পরিচালকের আচরণ সম্পর্কে কোম্পানী আইনের 25[ধারা ৩২৫] এর অধীন কোন আবেদন দাখিল করা হইলে, হাইকোর্ট বিভাগ বাংলাদেশ ব্যাংক-কে উক্ত ব্যাংকের অবস্থা এবং পরিচালকদের আচরণ সম্পর্কে তদন্ত্ম করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবে; এবং যদি অনুরূপ নির্দেশ দেওয়া হইয়া থাকে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ তদন্ত্ম করিয়া হাইকোর্ট বিভাগে একটি প্রতিবেদন দাখিল করিবে৷
ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ এবং ব্যাংক-কোম্পানীর পূনর্গঠন বা একত্রীকরণ
৭৭৷ (১) এই খণ্ডের পূর্ববর্তী বিধান অথবা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহাই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার (moratorium) আদেশ প্রদান করার কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে সেইরূপ আদেশ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের নিকট আবেদন করিতে পারে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন দাখিলকৃত আবেদন বিবেচনা করিয়া উহা মঞ্জুর করিলে সরকার আদেশ দ্বারা, কোন নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য এবং শর্তাধীনে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা 26[স্থগিতকরণসহ] উহার বিরম্্নদ্ধে কোন পদত্মেগপ গ্রহণ বা আইনগত কার্যধারার প্রবর্তন নিষিদ্ধ করিতে বা এইরূপ পদত্মেগপ বা কার্যধারা স্থগিত করিতে পারিবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত সময় অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত্ম বৃদ্ধি করিতে পারিবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ বিধান অনুযায়ী ব্যতীত বা পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশ ব্যতীত, উক্ত আদেশ বলবত্ থাকার কারণে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন আমানতকারীর পাওনা পরিশোধ করিবে না বা কোন পাওনাদারদের প্রতি উহার কোন দায় পরিশোধ বা দায়িত্ব পালন করিবে না৷
 
 
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ বলবত্ থাকাকালে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা আমানতকারীগণের স্বার্থে বা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার স্বার্থে বা দেশের সামগ্রিক ব্যাংক-ব্যবস্থার স্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পূনর্গঠনের বা অন্য কোন ব্যাংক প্রতিষ্ঠান, অতঃপর এই ধারার হস্ত্মান্ত্মর গ্রহীতা ব্যাংক বলিয়া উলেস্্নখিত, এর সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের জন্য স্কীম প্রণয়ন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুরূপ স্কীম প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
(৫) উপরোল্লিখিত স্কীমে নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় থাকিতে পারে, যথা :-
 
 
(ক) পূনর্গঠিত, ব্যাংক-কোম্পানী বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মর গ্রহীতা ব্যাংকের গঠন, নাম, নিবন্ধনকরণ, কার্যধারা, মূলধন, সম্পদ, ত্মগমতা, অধিকার, স্বার্থ, কর্তৃত্ব, দায়, কর্তব্য এবং দায়িত্ব;
 
 
(খ) ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের ত্মেগত্রে, স্কীমে নির্ধারিত শর্ত মোতাবেক হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা, সম্পত্তি, সম্পদ এবং দায় এর হস্ত্মান্ত্মর;
 
 
(গ) পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীর বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন বা নূতন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ, এবং কোন কর্তৃপত্মগ কর্তৃক কিভাবে এবং কি শর্তে উক্ত পরিবর্তন করা হইবে সেই বিষয়, এবং নূতন পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগের ত্মেগত্রে, কোন মেয়াদের জন্য নিয়োগ করা হইবে সেই বিষয়;
 
 
(ঘ) মূলধন পরিবর্তনের জন্য এবং পূনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা ব্যাংকের সংঘ-স্মারক সংশোধন;
 
 
(ঙ) ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে গৃহীত যে সকল পদত্মেগপ বা কার্যধারা অনিস্পত্তিকৃত ছিল তাহা পূনর্গঠিত, ব্যাংক-কোম্পানীর বা, ক্ষেত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা ব্যাংক, কর্তৃক অব্যাহত থাকার বিষয়;
 
 
(চ) জনস্বার্থে, অথবা ব্যাংক-কোম্পানীর সদস্য, আমানতকারী বা অন্যান্য পাওনাদারগণের স্বার্থে, অথবা, ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা চালু রাখার স্বার্থে, বাংলাদেশ ব্যাংক যেভাবে প্রয়োজন মনে করে সেইভাবে উক্ত সদস্য, আমানতকারী বা পাওনাদারগণের প্রাক-পূনর্গঠন বা প্রাক-একত্রীকরণ স্বার্থ বা দাবী হ্রাসকরণ;
 
 
(ছ) আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদারগণের দাবী পূরণকল্পে,-
 
 
(১) ব্যাংক-কোম্পানী পূনর্গঠিত করা বা একত্রীকরণের পূর্বে উহাতে বা উহার বিরম্্নদ্ধে তাঁহাদের স্বার্থ বা অধিকার এর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ; বা
 
 
(২) ব্যাংক-কোম্পানীতে বা উহার বিরম্্নদ্ধে তাঁহাদের স্বার্থ বা দাবী দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে, হ্রাসকৃত স্বার্থ বা দাবীর ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ;
 
 
(জ) পূনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে ব্যাংক-কোম্পানীতে সদস্যদের যে পরিমাণ শেয়ার ছিল সেই পরিমাণ শেয়ার, বা দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত শেয়ারের ভিত্তিতে প্রদেয় শেয়ার পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীতে বা, ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মরগ্রহীতা-ব্যাংকে উক্ত সদস্যগণকে বরাদ্দকরণ, এবং কোন সদস্যকে শেয়ার বরাদ্দ করা সম্ভব না হওয়ার ত্মেগত্রে, তাঁহাদের পূর্ণ দাবী পূরণকল্পে-
 
 
(১) পূনর্গঠন বা একত্রীকরণের পূর্বে ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারে তাঁহাদের বিদ্যমান স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ; বা
 
 
(২) উক্ত স্বার্থ দফা (চ) অনুযায়ী হ্রাস করা হইয়া থাকিলে হ্রাসকৃত স্বার্থের ভিত্তিতে উহা নগদ পরিশোধ; (ঝ) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে সংশিস্্নষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর সকল কর্মচারী যে বেতনে ও শর্তাধীনে কর্মরত ছিলেন সেই একই বেতনে ও শর্তাধীনে পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানীতে বা ত্মেগত্রমত, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংকে কর্মরত থাকার বিষয় :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক এই ধারার অধীন স্কীম অনুমোদনের তিন বত্সর অতিক্রান্ত্ম হইবার পূর্বেই-
 
 
(অ) পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী উহার কর্মচারীগণের জন্য এইরূপ বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে যাহা এইরূপ নির্ধারণের সময় উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সমতুল্য ব্যাংক-কোম্পানীতে কর্মরত সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীগণ ভোগ করেন, এবং এইরূপ ব্যাংক-কোম্পানীর সমতুল্যতা ও কর্মচারীগণের পারস্পরিক সমমর্যাদা নির্ধারণের ত্মেগত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত্মই চূড়ান্ত্ম হইবে;
 
 
(আ) হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংক উহার নিজস্ব কর্মচারীগণের শিত্মগাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সহিত তুলনীয় হইলে পূর্বতন ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মচারীগণের জন্য উহার নিজস্ব সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মচারীদের সমান বেতন ও সুবিধাদি নির্ধারণ করিবে এবং যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও সমমর্যাদা সম্পর্কে কোন সন্দেহ বা দ্বিমত দেখা দিলে বিষয়টি, বেতন এবং অন্যান্য সুবিধাদি নির্ধারণের তারিখ হইতে তিন মাস সময় অতিক্রান্ত্ম হইবার পূর্বে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট পাঠাইতে হইবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত্ম চূড়ান্ত্ম হইবে;
 
 
(ঞ) দফা (জ) তে যাহাই থাকুক না কেন, স্কীমে যে সকল কর্মচারীর ব্যাপারে বিশেষভাবে উলেস্্নখ থাকিবে, বা যে সকল কর্মচারী, সরকার কর্তৃক স্কীম মঞ্জুর হওয়ার এক মাস সময় অতিক্রান্ত্ম হওয়ার পূর্বে যে কোন সময়ে পূনর্গঠিত ব্যাংক-কোম্পানী বা হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংকের কর্মচারী হিসাবে বহাল না হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করিয়া নোটিশ প্রদান করিবে, সেই সকল কর্মচারীকে উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশের অব্যবহিত পূর্বে বিদ্যমান এতদসংক্রান্ত্ম বিধি বা ব্যাংক-কোম্পানীর সিদ্ধান্ত্ম অনুসারে প্রদেয় কোন ত্মগতিপূরণ, পেনশন, গ্র্যাচুইটি, ভবিষ্যত্ তহবিল এবং অন্যান্য অবসরজনিত সুবিধা প্রদানের বিষয়;
 
 
(ট) ব্যাংক-কোম্পানীর পূনর্গঠনের বা একত্রীকরণের ব্যাপারে অন্য কোন শর্ত;
 
 
(ঠ) পূনর্গঠন বা একত্রীকরণ কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রাসংগিক, আনুষংগিক বা পরিপূরক অন্য কোন বিষয়৷
 
 
(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন প্রস্ত্মাবিত একত্রীকরণের ব্যাপারে, তত্কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, আপত্তি বা পরামর্শ প্রদানের আহ্বান জানাইয়া, খসড়া স্কীমের একটি অনুলিপি ব্যাংক-কোম্পানী, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংক এবং সংশিস্্নষ্ট অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানীর নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আহ্বানের পরিপ্রেত্মিগতে প্রাপ্ত পরামর্শ ও আপত্তি বিবেচনা করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক খসড়া স্কীমে প্রয়োজনীয় সংশোধন করিতে পারিবে৷
 
 
(৮) উপ-ধারা (৬) ও (৭) মোতাবেক কার্যক্রম গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক স্কীমটি অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট প্রেরণ করিবে, এবং সরকার, তত্কর্তৃক প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সংশোধনসহ বা সংশোধন ব্যতিরেকেই, উক্ত স্কীম অনুমোদন করিবে; এবং অনুরূপভাবে অনুমোদিত স্কীমটি, সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ হইতে, কার্যকর হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, স্কীমের বিভিন্ন বিধানের প্রবর্তনের জন্য বিভিন্ন তারিখ নির্ধারিত হইতে পারিবে৷ (৯) স্কীম বা উহার কোন বিধান কার্যকর হওয়ার তারিখ হইতে নিম্নবর্ণিত সকলেই উহা মানিতে বাধ্য থাকিবে, যথা :-
 
 
(ক) ব্যাংক-কোম্পানী, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা ব্যাংক এবং একত্রীকরণের সহিত সম্পর্কিত অন্যান্য ব্যাংক-কোম্পানী;
 
 
(খ) কোম্পানী বা ব্যাংকের সদস্য, আমানতকারী এবং অন্যান্য পাওনাদার;
 
 
(গ) উক্ত কোম্পানী ও ব্যাংকের কর্মচারী;
 
 
(ঘ) উক্ত কোম্পানী বা ব্যাংক কর্তৃক রত্মিগত কোন ভবিষ্য তহবিল বা অন্য কোন তহবিলের ব্যবস্থাপনার সহিত জড়িত কোন ট্রাষ্টি বা উক্ত কোম্পানী বা ব্যাংকে অধিকার বা দায় রহিয়াছে এমন সকল ব্যক্তি৷
 
 
(১০) স্কীম কার্যকর হইবার তারিখ হইতে ব্যাংক-কোম্পানীর সকল সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় স্কীমে বিধৃত পরিমাণে হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকে হস্ত্মান্ত্মরিত ও ন্যস্ত্ম হইবে এবং উক্ত সকল সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকের সম্পত্তি, সম্পদ ও দায় হইবে৷
 
 
(১১) স্কীমের বিধান কার্যকর করিতে কোন অসুবিধা দেখা দিলে উক্ত অসুবিধা দূরীকরণের জন্য সরকার, আদেশ দ্বারা, উহার নিকট প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত, কিন্তু উক্ত বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এমন সব কিছু করিতে পারিবে৷
 
 
(১২) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন স্কীম বা উপ-ধারা (১১) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের অনুলিপি, অনুমোদিত বা প্রদত্ত হইবার পর, সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সংসদে উপস্থাপন করা হইবে৷
 
 
(১৩) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণ-স্কীম অনুমোদিত হইলে, উক্ত স্কীম বা উহার কোন বিধানের অধীনে হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংক যে ব্যবসা অর্জন করে উহা, স্কীমটি বা উহার বিধান কার্যকর হইবার তারিখ হইতে, হস্ত্মান্ত্মর-গ্রহীতা-ব্যাংকের কার্যকলাপ যে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় সেই আইন দ্বারা পরিচালিত হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত স্কীমকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারিশক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অনধিক সাত বত্সরের জন্য উক্ত আইনের কোন বিধানের প্রয়োগ হইতে উক্ত ব্যবসাকে অব্যাহতি দিতে পারিবে৷
 
 
(১৪) ভিন্ন ভিন্ন ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা-স্থগিতকরণ (moratorium) আদেশ থাকা সত্বেও, একটি মাত্র স্কীমের দ্বারা উক্ত সকল ব্যাংক-কোম্পানীর একত্রীকরণের ত্মেগত্রে এই ধারার কোন কিছুই বাধা হইবে না৷
 
 
(১৫) এই আইনের অন্য কোন বিধানে বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তিতে বা অন্য কোন প্রকার দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধান এবং উহার প্রস্তুতকৃত যে কোন স্কীম কার্যকর হইবে৷
 
 
 
27[(১৬) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতীত, কোন ব্যাংক-কোম্পানী স্বতঃপ্রণোদিত হইয়া অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহিত একত্রীভূত হইতে চাহিলে অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিজের ব্যবসার কিয়দংশ অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তরের মাধ্যমে পুনর্গঠিত হইতে চাহিলে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদনক্রমে, এতদ্বিষয়ে তৎকর্তৃক জারীকৃত নীতিমালা অনুসরণ করিয়া কাংখিত একত্রীকরণ বা পুনর্গঠন করিতে পারিবে।]
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক-কোম্পানীর দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিধানাবলী

28[৭৭ক।  (১) অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা কোন দলিল বা এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা উহার আমনতকারীগণের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহার বিষয়ে আশু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী এবং উহার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।

(২) এই ধারার অধীন গৃহীত ব্যবস্থায় যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় বা পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা অনুসরণ না করিয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আমানত কারীদের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, ধারা ৭৭ এর বিধান সাপেক্ষে, অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত বাধ্যতামূলক একত্রিকরণ বা উহার পুনর্গঠন বিষয়ে যে কোন এক বা একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]


  • 1
    ‘‘সকল আইনগত কার্যধারা’’ শব্দগুলি ‘‘ব্যবসা বা কার্যক্রম গ্রহণ ও চালু রাখা’’ শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    “ধারা ২২৮, ২৪১ এবং ৩৭২” শব্দগুলি, কমা ও সংখ্যাগুলি “Sections 153, 162 এবং 271” শব্দগুলি, কমা ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 3
    “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 4
    “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 5
    “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 6
    “ধারা ২৪২” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 163” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 7
    “ধারা ২৫০ অথবা ২৫৫” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 171 অথবা 175” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 8
    “আইন” শব্দটি “অধ্যাদেশ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 9
    “ধারা ২৫৬” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 176” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 10
    “ধারা ৫৩ অথবা ২৫৫” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 50 অথবা Section 175” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ২৯ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 11
    “আইনের” শব্দটি “অধ্যাদেশের” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 12
    ‘‘৬৬ বা ৬৭’’ সংখ্যাগুলি ও শব্দ ‘‘৬৭ বা ৬৮’’ সংখ্যাগুলি ও শব্দের পরিবর্তে ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    “ধারা ২৫৩” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 173” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 14
    “ধারা ২৫৯” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 177B” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 15
    “আইন” শব্দটি “অধ্যাদেশ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২১ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 16
    দফা (ক) ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 17
    “ধারা ৩২৫” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 230” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 18
    “ধারা ৩২৫” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 230” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 19
    “ধারার” শব্দটি “Section এর” শব্দগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 20
    “ধারা ২৬১ এবং ২৬৬” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 178A এবং 183” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৪ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 21
    “ধারা ২৭৪” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 191” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৫ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 22
    ধারা ৭৪ ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 23
    “ধারা ২৮৬” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 203” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 24
    “ধারা ৩১৪ এবং ৩১৫” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলি “Section 218 এবং 220” শব্দগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৭ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 25
    “ধারা ৩২৫” শব্দ ও সংখ্যাটি “Section 230” শব্দ ও সংখ্যাটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৩৮ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 26
    “স্থগিতকরণসহ” শব্দটি “স্থাপিতকরণসহ” শব্দটির পরিবর্তে ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ২২ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত
  • 27
    উপ-ধারা (১৬)ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ৬৪ ধারাবলে সংযোজিত।
  • 28
    নূতন ধারা ৭৭ক ব্যাংক-কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ১৩ নং আইন) এর ৩২ ধারাবলে সন্নিবেশিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs