প্রিন্ট

20/05/2025
অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩

( ২০০৩ সনের ৮ নং আইন )

৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

জারী

দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের প্রয়োগ
২৬৷ The Code of Civil Procedure, 1908 এর অধীন মানি ডিক্রী জারী সংক্রান্ত বিধানাবলী, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন ডিক্রী জারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে৷
জারীর আদালত
২৭৷ (১) অর্থ ঋণ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা ডিক্রী উক্ত আদালত কর্তৃক, অথবা উক্ত আদালত জারীর জন্য অন্য যে আদালতে প্রেরণ করে, সেই আদালত কর্তৃক জারী হইবে৷
 
 
 
 
(২) এই আইনের অধীনে দুই বা ততোধিক জেলার জন্য একটি মাত্র অর্থ ঋণ আদালত প্রতিষ্ঠিত হইয়া থাকিলে এবং উক্ত অর্থ ঋণ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ হইতে উদ্ভূত জারী মামলার কার্যক্রম এমন কোন জেলায় প্রয়োগ করা আবশ্যক হয়, যাহা অর্থ ঋণ আদালত যে জেলায় অবস্থিত উক্ত জেলা হইতে ভিন্ন, তাহা হইলে আদালত, যে জেলায় অর্থ ঋণ আদালত অবস্থিত, সেই জেলার জেলা জজের মাধ্যমে, জারী মামলাটি কার্যকর করিবার জন্য উপরি-উল্লিখিত ভিন্ন জেলার জেলা জজের নিকট প্রেরণ করিবে৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর বিধানমতে প্রাপ্ত জারী মামলাটি জেলা জজ তাহার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন উপযুক্ত ও এখ্‌তিয়ারসম্পন্ন কোন আদালতে নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিবেন এবং এইরূপ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই আইনের অধীন জারী বিষয়ক বিধানাবলী এমনভাবে প্রযোজ্য হইবে যেন, ঐ আদালতটি এই আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠিত একটি অর্থ ঋণ আদালত৷
জারীর জন্য মামলা দাখিলের সময়সীমা
২৮। (১) The Limitation Act, 1908 এবং The Code of Civil Procedure, 1908 এ ভিন্নতর যে বিধানই থাকুক না কেন, ডিক্রীদার, আদালতযোগে ডিক্রী বা আদেশ কার্যকর করিতে ইচ্ছা করিলে, ডিক্রী বা আদেশ প্রদত্ত হওয়ার অনূর্ধ্ব 1[১ (এক) বৎসরের মধ্যে], ধারা ২৯ এর বিধান সাপেক্ষে জারীর জন্য আদালতে দরখাস্ত দাখিল করিয়া মামলা করিবে।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানের ব্যত্যয়ে, ডিক্রী বা আদেশ প্রদানের পরবর্তী 2[১ (এক) বৎসর] অতিবাহিত হইবার পরে জারীর জন্য দায়েরকৃত কোন মামলা তামাদিতে বারিত হইবে এবং অনুরূপ তামাদিতে বারিত মামলা আদালত কার্যার্থে গ্রহণ না করিয়া সরাসরি খারিজ করিবে।
 
 
(৩) জারীর জন্য দ্বিতীয় বা পরবর্তী মামলা, প্রথম বা পূর্ববর্তী জারীর মামলা খারিজ বা নিষ্পত্তি হওয়ার পরবর্তী এক বত্সর সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে দাখিল করা হইলে, উক্ত মামলা তামাদিতে বারিত হইবে; এবং তামাদিতে বারিত অনুরূপ মামলা আদালত কার্যার্থে গ্রহণ না করিয়া সরাসরি খারিজ করিবে৷
 
 
(৪) জারীর জন্য কোন নতুন মামলা প্রথম জারীর মামলা দাখিলের পরবর্তী ৬ (ছয়) বত্সর সময় অতিবাহিত হইবার পরে দাখিল করা হইলে, উক্ত মামলা তামাদিতে বারিত হইবে; এবং তামাদিতে বারিত অনুরূপ মামলা আদালত কার্যার্থে গ্রহণ না করিয়া সরাসরি খারিজ করিবে৷
সময়সীমা সম্পর্কিত বিশেষ বিধান
২৯৷ আদালত, রায় প্রদানের সময় ডিক্রীকৃত টাকা এককালীন অথবা কিস্তিতে পরিশোধের জন্য কোন সময়সীমা নির্ধারণ করিয়া থাকিলে, অনুরূপ সময়সীমা অতিক্রান্ত বা অকার্যকর হইবার পর হইতে ধারা ২৮(১) এ উল্লিখিত সময়সীমা কার্যকর হইবে৷
নোটিশ জারী সম্পর্কিত বিধান
৩০। 3[(১)] আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ডিক্রীদার আদালতের জারীকারক কর্তৃক এবং প্রাপ্তি স্বীকারসহ রেজিস্ট্রিকৃত ডাকযোগে প্রেরণের নিমিত্ত, জারীর দরখাস্তের সহিত নোটিশ জারীর জন্য সমুদয় তলবানা আদালতে দাখিল করিবেন, এবং আদালত অবিলম্বে উহাদের একযোগে জারীর ব্যবস্থা করিবেন, এবং যদি সমন ইসু্যর ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে জারী হইয়া ফেরত না আসে, অথবা তৎপূর্বেই বিনা জারীতে ফেরত আসে, তাহা হইলে আদালত, উহার পরবর্তী ১৫ (পনের) দিবসের মধ্যে বাদীর খরচায় যে কোন একটি বহুল প্রচারিত বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, এবং তদুপরি ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে স্থানীয় একটি পত্রিকায়, যদি থাকে, বিজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে নোটিশ জারী করাইবেন, এবং অনুরূপ জারী আইনানুগ জারী মর্মে গণ্য হইবে।
 
 
4[(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পত্রিকার মাধ্যমে নোটিশ জারী করিবার ক্ষেত্রে ডিক্রীদার লিখিতভাবে আদালতকে যে পত্রিকার নাম অবহিত করিবেন আদালত তদনুযায়ী উক্ত পত্রিকায় নোটিশ জারী করাইবে।]
জারীর কার্যক্রমের স্থগিতাদেশ
৩১৷ অর্থ ঋণ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশ বা ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপীল বা রিভিশন উচ্চতর আদালতে দায়ের করা হইলে উহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জারীর কার্যধারা স্থগিত করিবে না; উচ্চতর আদালত সুস্পষ্টভাবে তদুদ্দেশ্যে স্থগিতাদেশ প্রদান করিলেই কেবল জারীর কার্যধারা তদ্‌অনুযায়ী স্থগিত থাকিবে৷
জারীর বিরুদ্ধে আপত্তি
৩২। (১) অর্থ ঋণ আদালতের ডিক্রী বা আদেশ হইতে উদ্ভুত জারী মামলায় কোন তৃতীয় পক্ষ দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের বিধানমতে দাবী পেশ করিলে, আদালত প্রাথমিক বিবেচনায় উক্ত দাবী সরাসরি খারিজ না করিলে, ডিক্রীদার অনূধর্্ব ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহার বিরুদ্ধে লিখিত আপত্তি দায়ের করিয়া শুনানী দাবী করিতে পারিবেন।
 
 
5[(২) উপরোক্ত মতে দাবী পেশ করিবার ক্ষেত্রে, দরখাস্তকারী, ডিক্রীকৃত অর্থের, অথবা ডিক্রীকৃত অর্থের আংশিক ইতিমধ্যে আদায় হইয়া থাকিলে অনাদায়ী অংশের, ১০% এর সমপরিমাণ জামানত বা বন্ড দাখিল করিবে, এবং অনুরূপ জামানত বা বন্ড দাখিল না করিলে উক্ত দাবী অগ্রাহ্য হইবে।]
 
 
(৩) অর্থ ঋণ আদালত, উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোন দাবী বিবেচনার্থ গ্রহণ করিলে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে 6[লিখিত আপত্তি] দাখিল হওয়ার ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পন্ন করিবে এবং কোন কারণে ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে উহা নিষ্পন্ন করিতে ব্যর্থ হইলে, কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ, উক্ত সময়সীমা অনূধর্্ব আরো ৩০ (ত্রিশ) দিবস বর্ধিত করিতে পারিবে।
 
 
7[(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন দাখিলকৃত লিখিত আপত্তি নিষ্পন্ন করিয়া আদালত যদি অবধারণ করিতে পারে যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন দাবী সম্বলিত দরখাস্তটি ডিক্রীদারের পাওনা বিলম্বিত বা প্রতিহত করিবার অসাধু উদ্দেশ্যে দায়ের করা হইয়াছিল, তাহা হইলে আদালত উক্ত দরখাস্ত খারিজ করিবার সময় একই আদেশ দ্বারা উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত জামানত বা বন্ড বাজেয়াপ্ত করিবে এবং ডিক্রীকৃত টাকা যে পদ্ধতিতে আদায় করা হয়, বাজেয়াপ্ত জামানত বা বন্ডের অধীন টাকা একই পদ্ধতিতে আদালত আদায় করিবে এবং আদায়কৃত অর্থ ডিক্রীদারকে প্রদান করিবে।]
নিলাম বিক্রয়
৩৩৷ (১) অর্থ ঋণ আদালত ডিক্রী বা আদেশ জারীর সময় কোন সম্পত্তি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাদীর খরচে বিজ্ঞপ্তি প্রচারের তারিখ হইতে অন্যুন ১৫ (পনের) দিবসের সময় দিয়া সীলমোহরকৃত টেন্ডার আহ্বান করিবে, উক্ত বিজ্ঞপ্তি কমপক্ষে বহুল প্রচারিত একটি বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, তদুপরি ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজন মনে করিলে স্থানীয় একটি পত্রিকায়, যদি থাকে, প্রকাশ করিবে; এবং আদালতের নোটিশ বোর্ডে লটকাইয়া ও স্থানীয়ভাবে ঢোল সহরত যোগেও উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিবে৷
 
 
8[(২) প্রত্যেক দরদাতা, উদ্ধৃত দর অনূর্ধ্ব ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা হইলে উহার ২০%, উদ্ধৃত দর ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা অপেক্ষা অধিক এবং অনূর্ধ্ব ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা হইলে উহার ১৫% এবং উদ্ধৃত দর ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা অপেক্ষা অধিক হইলে উহার ১০% এর সমপরিমান টাকার, জামানতস্বরূপ, ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার আদালতের অনুকূলে দরপত্রের সহিত দাখিল করিবেন।
 
 
(২ক) দরপত্র সরাসরি নির্দিষ্ট দরপত্র বাক্সে কিংবা রেজিস্ট্রীকৃত ডাকযোগে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণের মাধ্যমে দাখিল করিতে হইবে।
 
 
(২খ) অনূর্ধ্ব ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকার উদ্ধৃত দর গৃহীত হইবার পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিবসের মধ্যে, ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা অপেক্ষা অধিক এবং অনূর্ধ্ব ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার উদ্ধৃত দর গৃহীত হইবার পরবর্তী ৬০ (ষাট) দিবসের মধ্যে এবং ৫০,০০,০০০ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার অধিক উদ্ধৃত দর গৃহীত হইবার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে, দরদাতা সমুদয় মূল্য পরিশোধ করিবেন এবং তাহা করিতে ব্যর্থ হইলে আদালত জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করিবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট ডিক্রীদার-আর্থিক প্রতিষ্ঠান লিখিত দরখাস্ত দাখিল করিয়া দায়িকের সুবিধার্থে সময়সীমা বর্ধিত করিবার জন্য অনুরোধ করিলে, আদালত এই উপ-ধারার অধীন নির্ধারিত সময়সীমার অনূর্ধ্ব ৬০ (ষাট) দিবস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।
 
 
(২গ) ডিক্রীদারের পক্ষে যদি লিখিতভাবে আদালতকে এই মর্মে অবহিত করা হয় যে, উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত দরপত্রে সম্পত্তির প্রস্তাবকৃত মূল্য অস্বাভাবিকভাবে অপর্যাপ্ত বা কম এবং আদালত যদি উহাতে একমত পোষন করে, তাহা হইলে আদালত, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, উক্ত দর প্রস্তাব অগ্রাহ্য করিতে পারিবে।]
 
 
(৩) 9[উপ-ধারা (২খ) এর অধীনে] জামানত বাজেয়াপ্ত হইলে উহার অর্থ ডিক্রীদারকে প্রদান করা হইবে, ডিক্রীকৃত দাবীর সহিত উক্ত অর্থ সমন্বয় করা হইবে, এবং অতঃপর আদালত, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা কতর্ৃক উদ্ধৃত দর এবং পূর্বে বাজেয়াপ্তকৃত জামানত একত্রে সর্বোচ্চ দরদাতা কতর্ৃক উদ্ধৃত দর অপেক্ষা কম না হইলে, উক্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে সম্পত্তি নিলাম খরিদ করিতে আহ্বান করিবে; এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা 10[ আহুত হইবার পর উপ-ধারা (২খ) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পুর্ণ মূল্য] পরিশোধ করিবেন এবং তাহা করিতে ব্যর্থ হইলে তাঁহার জামানত বাজেয়াপ্ত হইবে এবং জামানতের উক্ত অর্থ ডিক্রীদারকে ডিক্রীর দাবীর সহিত সমন্বয় করিবার জন্য প্রদান করা হইবে।
 
 
(৪) কোন সম্পত্তি 11[উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ) ও (৩) এর বিধান অনুসারে] নীলামে বিক্রয় করা সম্ভব না হইলে, আদালত পুনরায় কমপক্ষে বহুল প্রচারিত ২(দুই)টি বাংলা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায়, তদুপরি ন্যায় বিচারের স্বার্থে প্রয়োজন মনে করিলে স্থানীয় একটি পত্রিকায়, যদি থাকে, উপ-ধারা (১) এর অনুরূপ পদ্ধতিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাইয়া এবং আদালতের নোটিশ বোর্ডে নোটিশ টাংগাইয়া ও স্থানীয়ভাবে ঢোল সহরতযোগে সীলমোহরকৃত টেন্ডার আহ্বান করিবে; এবং বিক্রয় ও বাজেয়াপ্ত বিষয়ে 12[উপ-ধারা (২), (২ক), (২খ), (২গ) ও (৩) এ উল্লিখিত বিধান] অনুসরণ করিবে।
 
 
13[(৪ক) উপ-ধারা (১) ও (৪) এর অধীন পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি জারী করিবার ক্ষেত্রে, বাদী লিখিতভাবে আদালতকে যে পত্রিকার নাম অবহিত করিবেন আদালত তদনুযায়ী উক্ত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাইবে।]
 
 
(৫) কোন সম্পত্তি 14[উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে] বিক্রয় করা সম্ভব না হইলে, উক্ত সম্পত্তি, ডিক্রীকৃত দাবী পরিপূর্ণভাবে পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, দখল ও ভোগের অধিকারসহ ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত করা হইবে, এবং ডিক্রীদার 15[উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে] উক্ত সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া অপরিশোধিত ডিক্রীর দাবী আদায় করিতে পারিবে, এবং আদালত ঐ মর্মে একটি সার্টিফিকেট ইসু্য করিবে।
 
 
(৬) ডিক্রীকৃত অংকের অতিরিক্ত অর্থ বিক্রয় বাবদ আদায় হইলে, উক্ত অতিরিক্ত অর্থ দায়িককে ফেরত্ প্রদান করিতে হইবে, এবং বিক্রীকৃত অর্থ ডিক্রীর দাবী অপেক্ষা কম হইলে অবশিষ্ট অর্থ বাবদ, ২৮ ধারার বিধান সাপেক্ষে, আরো জারীর মামলা গ্রহণযোগ্য হইবে৷
 
 
16[(৬ক) উপ-ধারা (৫) ও (৬) এর বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যেক্ষেত্রে কোন সম্পত্তি, দখল ও ভোগের অধিকারসহ, ডিক্রিদারের অনুকূলে ন্যস্ত করা সত্বেও ডিক্রিদার উক্ত সম্পত্তি উপযুক্ত মূল্যে প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় করিতে অসমর্থ হন, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির নির্ধারিত মূল্য কিংবা যুক্তিসংগত আনুমানিক মূল্য বাদ দিয়া, ধারা ২৮ এর বিধান সাপেক্ষে, জারীর মামলা দায়ের করা যাইবে।
 
 
(৬খ) এই ধারায় ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৫) এর অধীন কোন সমপত্তি, দখল ও ভোগের অধিকারসহ, ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত হইবার ক্ষেত্রে, অনুরূপ ন্যস্ত হইবার ৬ (ছয়) বৎসরের মধ্যে উপ-ধারা (৭) এর অধীন ডিক্রীদারের পক্ষে আদালতের নিকট লিখিত আবেদন করিয়া উক্ত সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করা যাইবে এবং তাহা না করা হইলে ৬ (ছয়) বৎসর উত্তীর্ণ হইবার সাথে সাথেই উক্ত সম্পত্তিতে ডিক্রীদারের মালিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বর্তিত হইবে এবং সংশ্লিষ্ট আদালত হইতে তৎমর্মে ঘোষণা বা সনদ গ্রহণ করা যাইবে।]
 
 
(৭) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর বিধান সত্ত্বেও, ডিক্রীদার, উলি্লখিত সম্পত্তি মালিকানাসত্ত্বে পাইতে আগ্রহী মর্মে আদালতের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করিলে, আদালত, 17[উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ) ও (৩) এর বিধানাবলীর কোনরূপ হানি না ঘটাইয়া], উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর কার্যক্রম অনুসরণ করা হইতে বিরত থাকিবে; এবং ডিক্রীদারের প্রার্থিতমতে উল্লেখিত সম্পত্তির স্বত্ত্ব ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত হইয়াছে মর্মে ঘোষণা প্রদানপূর্বক তৎমর্মে একটি সনদপত্র জারী করিবে এবং জারীকৃত এইরূপ সনদপত্র সত্ত্বের দলিল হিসাবে গণ্য হইবে; এবং আদালত উহার একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সাব- রেজিষ্ট্রারের অফিসে নিবন্ধনের জন্য প্রেরণ করিবে।
 
 
18[(৭ক) উপ-ধারা (৫) বা (৭) এর অধীন সম্পত্তির দখল আদালতযোগে প্রাপ্ত হওয়া আবশ্যক হইলে, ডিক্রীদারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আদালত ডিক্রীদারকে উক্ত সম্পত্তির দখল অর্পণ করিতে পারিবে।
 
 
(৭খ) উপ-ধারা (৭ক) এর অধীন ডিক্রীদারকে সম্পত্তির দখল অর্পণ করিবার পূর্বে আদালতকে পুনঃ নিশ্চিত হইতে হইবে যে, উক্ত সম্পত্তিই আইনানুগভাবে উহার প্রকৃত মালিক কর্তৃক ডিক্রীর সংশ্লিষ্ট ঋণের বিপরীতে বন্ধক প্রদান করা হইয়াছিল অথবা ডিক্রী কার্যকর করিবার লক্ষ্যে দায়িকের প্রকৃত স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি হিসাবে উক্ত সম্পত্তিই ক্রোক করা হইয়াছিল।]
 
 
(৮) বর্তমানে প্রচলিত অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৭) এর অধীনে জারীকৃত সনদপত্র বাবদ কোন কর বা রেজিষ্ট্রেশন ফি আদায়যোগ্য হইবে না৷
 
 
(৯) উপ-ধারা (৫) এর অধীনে সম্পত্তির দখল ও ভোগের অধিকার অথবা উপ-ধারা (৭) এর অধীনে সম্পত্তির স্বত্ত্ব ডিক্রীদারের অনুকূলে ন্যস্ত হইলে, ধারা ২৮ এর বিধান সাপেক্ষে, উক্ত ডিক্রী জারী মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হইবে৷
দেওয়ানী আটকাদেশ
৩৪৷ (১) উপ-ধারা (১২) এর বিধান সাপেক্ষে, অর্থ ঋণ আদালত, ডিক্রীদার কর্তৃক দাখিলকৃত দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে, ডিক্রীর টাকা পরিশোধে বাধ্য করিবার প্রয়াস হিসাবে, দায়িককে ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর উল্লিখিত বিধান, মূল ঋণ গ্রহীতার মৃত্যুর কারণে পারিবারিক উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী স্থলাভিষিক্ত দায়িক-ওয়ারিশদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
 
 
 
 
(৩) জারী মামলা কোন কোম্পানী (Company), যৌগ কারবারী প্রতিষ্ঠান (Firm) অথবা অন্য কোন নিগমবদ্ধ সংস্থা (Corporate body) এর বিরুদ্ধে কার্যকর করিতে বিবাদী-দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করা আবশ্যক হইলে, উল্লিখিত কোম্পানী, যৌথ কারবারী প্রতিষ্ঠান বা নিগমবদ্ধ সংস্থা আইন বা বিধি মোতাবেক যে সকল স্বাভাবিক ব্যক্তির (Natural person) সমন্বয়ে গঠিত বলিয়া গণ্য হইবে, সেই সকল ব্যক্তি এককভাবে ও যৌথভাবে দেওয়ানী কারাগারে আটকের জন্য দায়ী হইবেন৷
 
 
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর বিধান এইরূপ কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর হইবে না যিনি ডিক্রীর সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহণের পরবর্তীতে উত্তরাধিকার সূত্রে উপরি-উল্লিখিত কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের স্থলাভিষিক্ত হইয়াছেন৷
 
 
 
 
(৫) উপ-ধারা (১) বা (৩) এর অধীনে দেওয়ানী কারাগারে আটক কোন ব্যক্তি, ডিক্রীর দাবী সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ না করা পর্যন্ত, অথবা ৬ (ছয়) মাসের সময়সীমা অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত, যাহা পূর্বে হয়, দেওয়ানী কারাগার হইতে মুক্তি লাভ করিবে না, এবং ডিক্রীর সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার সংগে সংগে আদালত তাহাকে দেওয়ানী কারাগার হইতে মুক্তির নির্দেশ প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৬) উপ-ধারা (৫) এর বিধান সত্ত্বেও, দেওয়ানী কারাগারে আটক দায়িক যদি ডিক্রীদারের অপরিশোধিত পাওনার ২৫% এর সমপরিমাণ অর্থ নগদ পরিশোধ করিয়া এই মর্মে বন্ড প্রদান করেন যে, তিনি পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করিবেন, তবে সেক্ষেত্রে আদালত দায়িককে মুক্তি প্রদান করিবে৷
 
 
 
 
(৭) উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত বন্ডের শর্ত মোতাবেক যদি দায়িক অবশিষ্ট পাওনা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন, তবে তিনি পুনরায় গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক হইতে দায়ী থাকিবেন, এবং এইরূপ দেওয়ানী কারাগারে পুনরায় আটকাদেশ হইলে, উহা ছয় মাস পর্যন্ত বহালযোগ্য নতুন আটকাদেশ হিসাবে গণ্য হইবে৷
 
 
(৮) এই আইনের অধীনে দেওয়ানী কারাগারে আটককৃত ব্যক্তির ভরণপোষণ খরচ সরকার কর্তৃক বিচারাধীন আসামীর অনুরূপ খরচের ন্যায় বহন করা হইবে, এবং পরবর্তীকালে সরকার ডিক্রীদারের নিকট হইতে সরকারী পাওনা হিসাবে উক্ত খরচের অর্থ আদায় করিতে পারিবে, এবং ডিক্রীদার দায়িকের নিকট হইতে মামলার খরচ বাবদ উক্ত অর্থ আদায় করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(৯) এই ধারার অধীনে আদালত কোন দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করার আদেশ প্রদান করিবে না, যদি না তত্পূর্বে অন্ততঃ একটি নিলাম বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে এবং উহার দ্বারা ডিক্রীদারের প্রাপ্য পরিপূর্ণভাবে আদায় হইয়া থাকে৷
 
 
 
 
(১০) যদি কোন কারণে উপ-ধারা (৯) এর অধীন একটিও নিলাম বিক্রয় কার্যক্রম অনুষ্ঠান করা সম্ভব না হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে দায়িককে সরাসরি গ্রেফতার ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাইবে৷
 
 
 
 
(১১) ১৮ (আঠার) বত্সরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তিকে এই ধারার অধীনে ডিক্রী কার্যকর করার নিমিত্ত গ্রেফতার এবং দেওয়ানী কারাগারে আটক করা বা রাখা যাইবে না৷
 
 
 
 
(১২) এই আইনের অধীনে কোন ডিক্রী বা আদেশ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পরিচালিত জারী মামলায়, জারী মামলার সংখ্যা একাধিক হইলেও, কোন একজন দায়িককে গ্রেফতার করিয়া পরিপূর্ণ মেয়াদের জন্য একবার দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখা হইলে, তাহাকে পুনর্বার গ্রেফতার করা ও দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাইবে না৷
 
 
 
 
(১৩) এই ধারার অধীনে কোন দায়িককে আংশিক বা পূর্ণ মেয়াদের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটক রাখার কারণে তিনি দেনার দায় হইতে মুক্ত গণ্য হইবেন না, এবং এই আইনের অধীন নির্ধারিত তামাদি দ্বারা বারিত না হইলে, তাহার বিরুদ্ধে নতুন করিয়া জারী মামলা দায়ের করা যাইবে৷
ম্যাজিস্ট্রেট গণ্য হওয়া মর্মে বিধান
৩৫৷ এই আইনের অধীনে জারীর কার্যক্রম পরিচালনাকালে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী ও দেওয়ানী কারাগারে আটকের উদ্দেশ্যে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মর্মে গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীনে উপযুক্ত ফরমসমূহ তৈরী না হওয়া পর্যন্ত, উক্ত আদালত উক্ত বিষয়ে The Code of Criminal Procedure, 1898 এর প্রাসংগিক ফরমসমূহ, প্রয়োজনীয় সংশোধন সাপেক্ষে (Mutatis Mutandis), ব্যবহার করিবে৷
তৃতীয় পক্ষ হইতে ডিক্রীর টাকা আদায়
৩৬৷ (১) যদি ডিক্রীদার আদালতকে দরখাস্ত দ্বারা অবহিত করে যে, কোন একজন ব্যক্তির নিকট হইতে দায়িক টাকা পাওনা আছে, তাহা হইলে আদালত, উক্ত ব্যক্তিকে শুনানী অন্তে যথার্থ মনে করিলে, তাহার নিকট হইতে দায়িক যে টাকা প্রাপ্য হন, উহা হইতে ডিক্রীকৃত টাকার সমপরিমাণ টাকা আদালতে জমা দানের জন্য লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করিবে এবং আদালত, উক্ত টাকা আদায় হওয়ার পর ঐ বাবদ একটি রসিদ প্রদান করিবে; এবং উক্ত রশিদ দ্বারা ঐ ব্যক্তি দায়িকের নিকট ঐ পরিমাণ অর্থের জন্য দেনা হইতে আইনতঃ মুক্ত হইবেন৷
 
 
 
 
(২) প্রচলিত অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, উপ-ধারা (১) এর বিধানে উল্লেখিত মতে বিবাদী-দায়িক কোন পোষ্ট অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনসিওরার এর নিকট হইতে কোন টাকা পাওনা হইলে, আদালত উক্ত পোষ্ট অফিস, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ইনসিওরার এর নিকট হইতে ডিক্রী পরিতুষ্ট করার জন্য শুনানী করিয়া সন্তুষ্ট হইলে, উক্ত টাকা ক্রোক করিয়া আদায় করিতে পারিবে; এবং এক্ষেত্রে কোন পাস বই, ডিপোজিট রশিদ, পলিসি কাগজ, অন্য কোন প্রকার দলিল, এন্ট্রি, ইনডোরসমেন্ট বা অনুরূপ অন্য কোন ইনস্ট্রুমেন্ট আদালত কর্তৃক পেশ করা আবশ্যক হইবে না৷
 
 
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীনে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ অমান্য করিলে অমান্যকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দায়ী ব্যক্তির নিকট হইতে সমপরিমাণ অর্থ জরিমানা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে, এবং একই আদালত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট গণ্যে এবং তত্সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাবলে উক্ত টাকা জরিমানা হিসাবে আদায় করিবে৷
জারী কার্যক্রম নিষ্পত্তির সময়সীমা
৩৭৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, অর্থ ঋণ আদালত, জারী মামলার কার্যক্রম দরখাস্ত দায়ের হওয়ার পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিবসের মধ্যে নিষ্পন্ন করিবে এবং ব্যর্থতায় আদালত কারণ লিপিবদ্ধকরতঃ উক্ত সময়সীমা অনধিক আরো ৬০ (ষাট) দিবস পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
(২) আদালত, মামলার পক্ষ নহে এইরূপ কোন পক্ষের কোন দাবী নিষ্পত্তির নিমিত্ত কোন সময় এই আইনের ৩২ ধারার অধীনে ব্যয় করিলে, অথবা কিস্তিতে ডিক্রীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য কোন সময় ৪৯ ধারার অধীনে দায়িককে মঞ্জুর করিলে, উক্ত সময় উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত সময়ের সহিত যুক্ত হইবে৷
জারীর পর্যায়ে মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি
19[৩৮। (১) এই আইনের অধীন অর্থ ঋণ আদালত মামলায় প্রদত্ত ডিক্রীর ধারাবাহিকতায় জারী কার্যক্রম অব্যাহত থাকার যে কোন পর্যায়ে পক্ষগণ মধ্যস্থতার মাধ্যমে জারী মামলার বিষয়বস্তু নিষ্পত্তি করিয়া আদালতকে অবহিত করিতে পারিবে।
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে ধারা ২২ এর উপ-ধারা (২), (৩) ও (৪) এ উল্লিখিত বিধান অনুসরণ করিতে হইবে।
 
(৩) আদালত, উপ-ধারা (১) এর অধীন অবহিত হইলে এবং নিষ্পত্তির বিষয়ে সন্তুষ্ট হইলে, উক্ত জারী মোকদ্দমা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করিয়া আদেশ প্রদান করিবে।]]
জারী বিষয়ক বিধি প্রণয়ন
৩৯৷ সরকার, এই আইনের বিধানাবলীর সহিত অসংগতিপূর্ণ না হওয়া সাপেক্ষে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জারী সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আরো বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
 
 
 
 
 
 

  • 1
    "১৮০ (একশত আশি) দিবসের মধ্যে" সংখ্যা, বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলির পরিবর্তে "১ (এক) বৎসরের মধ্যে" সংখ্যা, বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ৯(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 2
    "১৮০ (একশত আশি) দিবস" সংখ্যা, বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলির পরিবর্তে "১ (এক) বৎসর" সংখ্যা, বন্ধনীগুলি ও শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ৯(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 3
    বিদ্যমান বিধান উপ-ধারা (১) হিসেবে অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে সংখ্যায়িত ।
  • 4
    উপ-ধারা (২) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১০ ধারাবলে সংযোজিত ।
  • 5
    উপ-ধারা (২) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১১(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 6
    "দরখাস্তটি" শব্দের পরিবর্তে "লিখিত আপত্তি" শব্দগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১১(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 7
    উপ-ধারা (৪) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১১(গ) ধারাবলে সংযোজিত ।
  • 8
    উপ-ধারা (২), (২ক), (২খ) ও (২গ) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(ক) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত ।
  • 9
    "উপ-ধারা (২) এর অধীনে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যার পরিবর্তে "উপ-ধারা (২খ) এর অধীনে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যা অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত ।
  • 10
    "আহুত হইবার পরবর্তী ১০ (দশ) দিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ মূল্য" শব্দগুলি, সংখ্যা ও বন্ধনীগুলির পরিবর্তে "আহুত হইবার পর উপ-ধারা (২খ) এ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে সম্পূর্ণ মূল্য" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যা অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(খ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত ।
  • 11
    "উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এর বিধান অনুসারে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে "উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ) ও (৩) এর বিধান অনুসারে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত ।
  • 12
    "উপ-ধারা (২) ও (৩) এ উল্লিখিত বিধান" শব্দগুলি,বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে "উপ-ধারা (২), (২ক), (২খ), (২গ) ও (৩) এ উলি্লখিত বিধান" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(গ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 13
    উপ-ধারা (৪ক) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(ঘ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 14
    "উপ-ধারা (১), (২), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে "উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 15
    "উপ-ধারা (১), (২), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে "উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ), (৩) ও (৪) এর বিধান অনুসারে" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(ঙ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 16
    উপ-ধারা (৬ক) এবং (৬খ) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(চ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 17
    "উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এর বিধানাবলীর কোনরূপ হানি না ঘটাইয়া" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলির পরিবর্তে "উপ-ধারা (১), (২), (২ক), (২খ), (২গ) ও (৩) এর বিধানাবলীর কোনরূপ হানি না ঘটাইয়া" শব্দগুলি, বন্ধনীগুলি ও সংখ্যাগুলি অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(ছ) ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
  • 18
    উপ-ধারা (৭ক) এবং (৭খ) অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১২(জ) ধারাবলে সন্নিবেশিত।
  • 19
    ধারা ৩৮ অর্থ ঋণ আদালত (সংশোধন) আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৬ নং আইন) এর ১৩ ধারাবলে প্রতিস্থাপিত।
Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs