প্রিন্ট

09/09/2024
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩

জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩

( ২০২৩ সনের ৪৪ নং আইন )

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নের জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠনের লক্ষ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল স্রোতোধারায় আনয়ন ও দেশের উন্নয়ন কার্যে সম্পৃক্ত করিয়া তাহাদের জীবনমান উন্নয়ন, সম-অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব প্রদান করা হইয়াছে;

যেহেতু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবা, পুনর্বাসন ও সম-অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিবেচনা করিয়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসাবে তাহাদের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার বিবেচনা প্রদানের অপরিহার্যতা বিশেষভাবে অনুভূত হইয়াছে; এবং

যেহেতু প্রতিবন্ধী উন্নয়নের জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং এতদ্‌সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) “চেয়ারম্যান” অর্থ বোর্ডের চেয়ারম্যান;

(২) “তহবিল” অর্থ এই আইনের ধারা ১৩ এর অধীনে গঠিত তহবিল;

(৩) “ধারা” অর্থ এই আইনের কোনো ধারা;

(৪) “প্রতিবন্ধী ব্যক্তি” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ৩ এ বর্ণিত যে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধিতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তি;

(৫) “প্রতিবন্ধিতা” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ২ এর দফা (৯) এ সংজ্ঞায়িত প্রতিবন্ধিতা;

(৬) “প্রবিধান” অর্থ এই আইনের ধারা ২১ এর অধীন প্রণীত প্রবিধান;

(৭) “ফাউন্ডেশন” অর্থ এই আইনের ধারা ৩ এর উপধারা (১) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন;

(৮) “ব্যবস্থাপনা পরিচালক” অর্থ ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক;

(৯) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(১০) “বোর্ড” অর্থ ধারা ৭ এর অধীন গঠিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন পরিচালনা বোর্ড;

(১১) “সদস্য” অর্থ বোর্ডের কোনো সদস্য এবং চেয়ারম্যানও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;

(১২) “সেবা” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক, পুনর্বাসন, আর্থিক ও বৈষয়িক সহায়তা; এবং

(১৩) “সুরক্ষা” অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর ধারা ২ এর দফা (২৭) এ সংজ্ঞায়িত সুরক্ষা।

ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা

৩। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হইবে।

(২) ফাউন্ডেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকিবে এবং এই আইন ও তদধীন প্রণীত বিধির বিধান-সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার এবং হস্তান্তর করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ফাউন্ডেশন উহার নিজ নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

প্রধান কার্যালয়

৪। (১) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।

(২) ফাউন্ডেশন, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।

ফাউন্ডেশনের কার্যাবলি

৫।  এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, ফাউন্ডেশন নিম্নবর্ণিত কার্যাবলি সম্পাদন করিবে, যথা:-

(১) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এ বর্ণিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ;

(২) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুদান ও ঋণ দান এবং তাহার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা;

(৩) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংগঠনকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আর্থিক ও প্রশাসনিক সহায়তা প্রদান;

(৪) প্রতিবন্ধী সহায়ক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য কোনো বেসরকারি সংস্থাকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুদান, ঋণ দান ও প্রশিক্ষণ প্রদান;

(৫) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সেবা প্রদানের জন্য চিহ্নিত ও শনাক্তকরণের জরিপ পরিচালনা ও প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক সকল কার্যক্রম পরিচালনা;

(৬) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়ন ও সেবা সংক্রান্ত সরকারি বা বেসরকারি যে কোনো কার্যক্রমে কারিগরি সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান;

(৭) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী ব্যক্তির থেরাপি এবং পুনর্বাসনের সুবিধা প্রদান;

(৮) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার, মর্যাদা, জীবনমান উন্নয়ন, কল্যাণ ও সুরক্ষা সংক্রান্ত সকল বিষয় বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ;

(৯) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদ্‌যাপন এবং উক্ত দিবস উদযাপন সংশ্লিষ্ট সকলকে উৎসাহিতকরণ;

(১০) প্রতিবন্ধিতার কারণ চিহ্নিতকরণ ও নিরসন সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা এবং গবেষণার ফলাফল ব্যাপক প্রচার নিশ্চিতকরণ;

(১১) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান স্থাপন, অনুমোদন ও পরিচালনা;

(১২) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সেবা ও উন্নয়নের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সহিত যৌথভাবে কার্যক্রম গ্রহণ ও উহার সম্প্রসারণ;

(১৩) গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বস্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্তক্তকরণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ;

(১৪) প্রতিবন্ধিতা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি আদেশ মোতাবেক পরিচালনা;

(১৫) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন;

(১৬) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিকরণ, বিনামূল্যে সহায়ক উপকরণ সরবরাহ এবং সহায়ক উপকরণ উৎপাদনের কারখানা স্থাপনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ;

(১৭) বয়স ও সময় নির্বিশেষে পিতা-মাতাহীন বা অভিভাবকহীন বা নিঃসন্তান, প্রতিবন্ধীর জন্য প্রতিবন্ধী নিবাস প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা করা বা এ জাতীয় নিবাস প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার অনুমতি দেয়া;

(১৮) চাকুরি প্রত্যাশী ও চাকুরিরত সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির স্বল্প খরচে আবাসন সুবিধার ব্যবস্থাকরণ;

(১৯) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আইনগত সহায়তা প্রদান;

(২০) বয়স নির্বিশেষে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শৈল্পিক বা সাংস্কৃতিক প্রতিভার বিকাশ, বিনোদন ও তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্যে বেতার, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং গণযোগাযোগ মাধ্যমসমূহে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ;

(২১) প্রতিবন্ধীদের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহায়তা করা;

(২২) আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ প্রেরণে সহযোগিতা করা;

(২৩) সকল স্থানে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;

(২৪) প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য প্রণীত কর্মপরিকল্পনার সহিত সংগতিপূর্ণ অংশ বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ;

(২৫) প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র পরিচালনা এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে কেন্দ্র সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন;

(২৬) জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবন্ধী বিষয়ক কার্যাবলির সমন্বয় সাধন;

(২৭) জাতীয় সমন্বয় কমিটি বা জাতীয় নির্বাহী কমিটি কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব ও কার্যাবলি বাস্তবায়ন;

ব্যাখ্যা।- এই দফার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, ‘জাতীয় সমন্বয় কমিটি’ ও ‘জাতীয় নির্বাহী কমিটি’ অর্থ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩ এর যথাক্রমে ধারা ১৭ ও ১৯ এর অধীন গঠিত জাতীয় সমন্বয় কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটি;

(২৮) জেলা ও উপজেলার প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রে ‘স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম’ পরিচালনা;

(২৯) গুরুতর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং কর্মসংস্থানে কেয়ার গিভার সার্ভিস প্রদান;

(৩০) একীভূত শিক্ষা এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ;

(৩১) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কল্যাণ ও উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নির্দেশনা বাস্তবায়ন;

(৩২) বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোনো কার্য সম্পাদন;

(৩৩) নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সকল কার্যের সমন্বয় সাধন এবং প্রতিবন্ধী স্কুল, কলেজ বা এ জাতীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যাবলি তদারকিকরণ;

(৩৪) সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কোনো কার্য সম্পাদন; এবং

(৩৫) এই আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত যে কোনো কার্য সম্পাদন।

ফাউন্ডেশনের পরিচালনা ও প্রশাসন

৬। ফাউন্ডেশনের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন পরিচালনা বোর্ডের উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং ফাউন্ডেশন যে সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিতে পারিবে, পরিচালনা বোর্ড সেই সকল ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যসম্পাদন করিতে পারিবে।

বোর্ড গঠন

৭।  (১) এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন পরিচালনা বোর্ড গঠিত হইবে, যথা:-

(ক) সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

(খ) মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, ঢাকা;

(গ) মহাপরিচালক-১, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়;

(ঘ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ঙ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(চ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ছ) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(জ) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ঝ) স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ঞ) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ট) পরিকল্পনা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ঠ) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ড) তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ঢ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ণ) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(ত) জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;

(থ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট;

(দ) প্রধান নির্বাহী, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ;

(ধ) পরিচালক, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান;

(ন) পরিচালক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল;

(প) প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সেবা ও সুরক্ষায় কর্মরত রেজিস্ট্রিকৃত বেসরকারি সংস্থা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠন বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত সংগঠন হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত ৩ (তিন) জন প্রতিনিধি যাহাদের মধ্যে অন্যূন একজন মহিলা হইবেন; এবং

(ফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, যিনি উহার সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপধারা (১) এর দফা (ন) এর অধীন মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর মেয়াদে স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পূর্বে, যে কোনো সময় কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্তরূপ মনোনীত কোনো সদস্যকে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে এবং কোনো মনোনীত সদস্য সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে পদত্যাগ করিতে পারিবেন।

(৩) বোর্ড ধারা ৬ অনুযায়ী উহার কার্য পরিচালনা করিবে।

বোর্ডের সভা

৮। (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে, পরিচালনা বোর্ড উহার সভার কার্য পদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

(২) চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থানে সভা অনুষ্ঠিত হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ২ (দুই) মাস অন্তর বোর্ডের ন্যূনতম একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।

(৩) চেয়ারম্যান, বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুপস্থিতিতে তদ্‌কর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

(৪) বোর্ডের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে, তবে মুলতুবি সভার ক্ষেত্রে কোনো কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

(৫) বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যের একটি করিয়া ভোটাধিকার থাকিবে এবং সভায় উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বোর্ডের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভায় সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।

(৬) কেবল কোনো সদস্যপদ শূন্যতা বা বোর্ড গঠনে ক্রটি থাকিবার কারণে উহার কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।

কমিটি গঠন

৯। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, বোর্ড উহার কার্যাবলি দক্ষতার সহিত সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যেইরূপ উপযুক্ত বিবেচনা করিবে সেইরূপ এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে এবং সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা উক্ত কমিটির গঠন, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করিতে পারিবে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ, ইত্যাদি

১০। (১) ফাউন্ডেশনের একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকিবেন যিনি প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাগণের মধ্য হইতে প্রেষণে নিযুক্ত হইবেন।

(২) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হইবেন, এবং তিনি-

(ক) বোর্ডের যাবতীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবেন;

(খ) এই আইন তদধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধান এবং বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করিবেন;

(গ) বিধি দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করিবেন; এবং

(ঘ) সরকার কর্তৃক অর্পিত যে কোনো দায়িত্ব পালন করিবেন।

উপদেষ্টা পরিষদ

১১। (১) ফাউন্ডেশনের একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকিবে যাহা নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:

(ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;

(খ) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

(গ) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

(ঘ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

(ঙ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

(চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

(ছ) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

(জ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

ঝ) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিমন্ত্রী;

(ঞ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি; এবং

(ট) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, যিনি উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য-সচিবও হইবেন।

(২) উপদেষ্টামন্ডলী বৎসরে অন্যূন একটি সভায় মিলিত হইবেন।

(৩) উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি উহার সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে তাহার অনুমতিক্রমে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাননীয় মন্ত্রী উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করিতে পারিবেন।

(৪) উপদেষ্টা পরিষদ এই আইন, বিধি বা প্রবিধান অনুযায়ী প্রতিবন্ধী বিষয়ক যে কোনো কার্যে বোর্ডকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে।

কর্মচারী নিয়োগ

১২। (১) ফাউন্ডেশন, উহার কার্যাবলি সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো সাপেক্ষে, প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) ফাউন্ডেশনের কর্মচারীর চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

তহবিল

১৩। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে ফাউন্ডেশনের একটি তহবিল থাকিবে।

(২) তহবিলে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথা:-

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বরাদ্দ ও অনুদান;

(খ) বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত অনুদান;

(গ) সরকারের অনুমোদনক্রমে কোনো বিদেশি সরকার, ব্যক্তি, সংস্থা বা আন্তর্জাতিক সংস্থা হইতে প্রাপ্ত অনুদান;

(ঘ) ফাউন্ডেশনের সম্পত্তি বিনিয়োগ হইতে অর্জিত আয়; এবং

(ঙ) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত অন্য কোনো উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।

(৩) বোর্ড তহবিলের অর্থ নির্দিষ্টকৃত কোনো তফসিলি ব্যাংকে জমা রাখিতে পারিবে।

(৪) তহবিলের অর্থ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত খাতে ব্যয় করিতে হইবে।

(৫) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল পরিচালিত হইবে।

ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, ‘তফসিলি ব্যাংক’ বলিতে Bangladesh Bank Order, 1972 (President’s Order No. 127 of 1972) এর Article 2 এর clause (j) তে সংজ্ঞায়িত ‘Scheduled Bank’-কে বুঝাইবে।

বাজেট

১৪। (১) ফাউন্ডেশন, প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ বৎসরে সরকারের নিকট হইতে কী পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।

বার্ষিক প্রতিবেদন

১৫। (১) ফাউন্ডেশন প্রতি অর্থ-বৎসরে উহার সম্পাদিত কার্যাবলির বিবরণ সংবলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী অর্থ বৎসরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরকারের নিকট দাখিল করিবে।

(২) সরকার প্রয়োজনবোধে ফাউন্ডেশনের নিকট হইতে যে কোনো সময় উহার যে কোনো বিষয়ের উপর বিবরণ, রিটার্ন ও প্রতিবেদন আহ্বান করিতে পারিবে এবং ফাউন্ডেশন উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।

ঋণ গ্রহণের ক্ষমতা

১৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ফাউন্ডেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে ঋণ গ্রহণ করিতে পারিবে।

চুক্তি সম্পাদন

১৭। ফাউন্ডেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, উহার কার্যাবলি সম্পাদনের প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার সহিত চুক্তি সম্পাদন করিতে পারিবে।

ক্ষমতা অর্পণ

১৮। বোর্ড, উহার যে কোনো ক্ষমতা চেয়ারম্যান, কোনো সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ফাউন্ডেশনের অন্য কোনো কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৯। (১) ফাউন্ডেশন যথাযথভাবে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।

(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বলিয়া অভিহিত, প্রত্যেক বৎসর ফাউন্ডেশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং বিদ্যমান আইনের বিধান মোতাবেক নিরীক্ষা রিপোর্ট দাখিল করিবেন।

(৩) Comptroller and Auditor-General (Additional Functions) Act, 1974 (Act No. XXIV of 1974) এর বিধান ক্ষুণ্ন না করিয়া, Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (President’s Order No. 2 of 1973) এর Article 2(1)(b) তে সংজ্ঞায়িত Chartered Accountant দ্বারা ফাউন্ডেশনের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং এতদুদ্দেশ্যে ফাউন্ডেশন এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে।

(৪) উপধারা (২) ও (৩) এর অধীন হিসাব অনুযায়ী নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, Chartered Accountant ফাউন্ডেশনের সকল রেকর্ড, দলিল-দস্তাবেজ, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার বা অন্য কোনো সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন।

(৫) প্রত্যেক অর্থ বৎসর সমাপ্তির ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে ফাউন্ডেশনের হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদিত হইতে হইবে।

(৬) এই ধারার বিধানাবলি প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ নং আইন) এর বিধানাবলি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, অনুসরণ করিতে হইবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২০। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২১। এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, ফাউন্ডেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন বা বিধির সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ করিয়া প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

রহিতকরণ ও হেফাজত

২২। (১) এই আইন কার্যকর হইবার সঙ্গে সঙ্গে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০০০ তারিখের প্রজ্ঞাপন নং সকম/প্রতিবন্ধী/৪৮/৯৮-৪৩৩ এবং The Societies Registration Act, 1860 এর আওতায় গঠিত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, অতঃপর বিলুপ্ত ফাউন্ডেশন বলিয়া উল্লিখিত এবং উহার সংঘ স্মারক (Memorandum of Articles) এবং সংঘবিধি (Articles of Association) বিলুপ্ত হইবে।

(২) উপধারা (১) এর অধীন উক্তরূপ বিলুপ্তিকরণ সত্ত্বেও, বিলুপ্ত ফাউন্ডেশন এর-

(ক) সকল আইনানুগ কাজ, সিদ্ধান্ত, নিয়োগ, জারীকৃত আদেশ, প্রজ্ঞাপন, অনুমোদন বৈধ বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, তহবিল এবং এতদ্‌সংশ্লিষ্ট অন্য সকল প্রকার অধিকার ও স্বার্থ এবং সমস্ত হিসাববহি, রেজিস্টার, রেকর্ড বা অনুরূপ বিষয়ের দলিলাদি এই আইনের ধারা ৩ এর উপধারা (১) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন, অতঃপর আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ‘ফাউন্ডেশন’ বলিয়া উল্লিখিত, এর নিকট হস্তান্তরিত হইবে;

(গ) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, কর্মজীবী প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল, প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস, আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশন কর্তৃক গৃহীত বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ফাউন্ডেশন কর্তৃক উহা সংশোধিত বা বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকিবে;

(ঘ) বিলুপ্ত ফাউন্ডেশনের সকল কর্মচারী, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, প্রকল্প বাস্তবায়ন ইউনিট, কর্মজীবী প্রতিবন্ধী পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল এবং প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস এর সকল কর্মকর্তা কর্মচারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই আইনের অধীন গঠিত ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাহাদের কর্মের শর্তাবলি নির্ধারণ করিয়া নতুন প্রবিধানমালা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৫ মে, ২০১৬ তারিখের প্রজ্ঞাপন দ্বারা জারীকৃত জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এর কর্মচারী চাকুরি বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধান অনুযায়ী উক্ত কর্মচারীগণ নিয়োগকালীন জ্যেষ্ঠতা ও চাকরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখিয়া বেতন, ভাতা, ছুটি বা অন্য কোনো সুবিধা প্রাপ্ত হইবেন;

(চ) সকল ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি ফাউন্ডেশনের ঋণ, দায় ও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং উহার দ্বারা, পক্ষে বা সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;

(ছ) বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মামলা বা আইনগত কার্যধারা নব গঠিত ফাউন্ডেশন কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;

(জ) কোনো আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন, কার্যক্রম, কোনো বাজেট, এই আইন কার্যকর হইবার অব্যবহিত পূর্বে বলবৎ থাকিলে, উহা এই আইনের বিধানের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অনুরূপ বিধানের অধীন জারীকৃত, প্রদত্ত, অনুমোদিত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত, উহা বলবৎ থাকিবে; এবং

(ঝ) দ্বারা গৃহীত কর্মসূচি অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে উহা বিলুপ্ত ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী এইরূপে নিষ্পত্তি হইবে, যেন উহা বিলুপ্ত হয় নাই।

ইংরেজিতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ

২৩। (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs