প্রিন্ট
পৌরসভা সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন
যেহেতু পৌরসভা সংক্রান্ত বিদ্যমান অধ্যাদেশ রহিত করিয়া একটি নূতন আইন প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(১) ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’ অর্থ পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ান আনসার, বাংলাদেশ রাইফেলস, কোস্ট গার্ড বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহ;
(২) ‘আচরণ বিধি’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত আচরণ বিধি;
(৩) ‘আর্থিক প্রতিষ্ঠান’ অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর ধারা ২ এবং অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২ এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;
(৪) ‘আবর্জনা’ অর্থ জঞ্জাল, উচ্ছিষ্ট, বিষ্ঠা-ময়লাদি, জীব-জন্তুর মৃতদেহ, নর্দমার তলানি, পয়ঃপ্রণালীর থিতানো বস্তু, ময়লার স্তুপ, বর্জ্য এবং অন্য যে কোন দূষিত পদার্থ;
(৫) ‘ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট’ অর্থ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ যে কোন ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষ যাহা শহর উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদনে দায়িত্বপ্রাপ্ত;
(৬) ‘ইমারত’ অর্থে কোন দোকান, বাড়ীঘর, কুঁড়েঘর, বৈঠকঘর, চালা, আস্তাবল বা যে কোন প্রয়োজনে যে কোন দ্রব্য সহযোগে নির্মিত কোন ঘেরা, দেয়াল, পানি-সংরক্ষণাগার, বারান্দা, প্লাটফরম, মেঝে ও সিঁড়িও ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে;
(৭) ‘ইমারত নির্মাণ’ অর্থ নূতন দালান নির্মাণ;
(৮) ‘ইমারত পুনঃনির্মাণ’ অর্থ নির্দেশিতভাবে একটি ইমারতের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন;
(৯) ‘ইমারত রেখা’ অর্থ এইরূপ রেখা যাহার বাহিরে বিদ্যমান কিংবা প্রস্তাবিত রাস্তার দিকে ইমারতের বহির্মুখ বা বহির্দেয়ালের কোন অংশ প্রক্ষিপ্ত হইবে না;
(১০) ‘উৎপাত’ অর্থ এমন যে কোন কাজ, ত্রুটি, স্থান বা দ্রব্য দ্বারা সৃষ্টি, ঘ্রাণ বা শ্রবণ যাহা জখম, বিপদ, বিরক্তি বা অপরাধ ঘটানো বা ঘটাইতে পারে যাহা জীবনের জন্য মারাত্মক অথবা স্বাস্থ্য বা সম্পদের জন্য ক্ষতিকারক;(১১) ‘উপ-আইন’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত উপ-আইন;
(১২) ‘উপ-কর’ অর্থ এই আইনের অধীন আরোপিত উপ-কর;
(১৩) 'উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ' অর্থ শহর উন্নয়নের কার্যাবলী সম্পাদনের দায়িত্বে নিয়োজিত কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ;
(১৪) ‘ওয়ার্ড’ অর্থ একজন কাউন্সিলর নির্বাচনের উদ্দেশ্যে সীমানা নির্ধারিত একটি ওয়ার্ড;
(১৫) 'কর' অর্থ কোন কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফিস, শুল্ক অথবা এই আইনের অধীন আরোপযোগ্য কোন করও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(১৬) 'কাউন্সিলর' অর্থ পৌরসভার কোন কাউন্সিলর;
(১৭) 'কারখানা' অর্থ বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৪২ নং আইন)-এর ধারা ২(৭) এ সংজ্ঞায়িত কারখানা;
(১৮) ‘ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড’ অর্থ Cantonments Act,1924 (Act No. II of 1924) এর অধীন গঠিত ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড;
(১৯) 'খাজনা' অর্থ আইনসম্মত উপায়ে কোন ইমারত বা জমি অধিকারে রাখিবার কারণে দখলদার বা ভাড়াটিয়া বা ইজারা গ্রহীতা কর্তৃক আইনতঃ প্রদেয় অর্থ বা দ্রব্য;
(২০) 'খাদ্য' অর্থ ঔষধ এবং পানীয় ব্যতীত মানুষের পানাহারের নিমিত্ত ব্যবহৃত সকল প্রকার দ্রব্য;
(২১) 'গণস্থান' অর্থ কোন ভবন, আঙ্গিনা অথবা স্থান যেখানে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার রহিয়াছে;
(২২) 'মেয়র' অর্থ পৌরসভার কোন মেয়র;
(২৩) 'জেলা' অর্থ District Act, 1836 (Act No. I of 1836)- এর অধীন সৃষ্ট জেলা;
(২৪) 'টোল' অর্থ এই আইনের অধীন আরোপিত টোল;
(২৫) 'ডেপুটি কমিশনার' অর্থে এই আইনের অধীনে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে নিয়োগকৃত কোন কর্মকর্তাকে বুঝাইবে যিনি ডেপুটি কমিশনারের সকল কিংবা যে কোন কার্য পালন করিবেন;
(২৬) 'ড্রাগ বা ঔষধ' অর্থ অভ্যন্তরীণ অথবা বাহ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত যে কোন দ্রব্য এবং ঔষধের মিশ্রণে অথবা প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত যে কোন দ্রব্যও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৭) 'ড্রেন' অর্থে ভূ-নিম্নস্থ নর্দমা, রাস্তা বা বাড়ি-ঘরের নর্দমা, সুড়ঙ্গ, কালভার্ট, পরিখা, নালা এবং বৃষ্টির পানি ও নোংরা পানি বহনের জন্য যে কোন প্রকার ব্যবস্থাও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(২৮) 'তফসিল' অর্থ এই আইনের সহিত সংযুক্ত তফসিল;
(২৯) 'দখলদার' অর্থ একজন মালিক যিনি নিজের জমি বা ইমারতের প্রকৃত দখলদার এবং এমন ব্যক্তি যিনি সাময়িকভাবে জমি বা ইমারত বা উহার অংশের জন্য উহার মালিককে ভাড়া প্রদান করেন বা তাহা প্রদানের জন্য দায়ী থাকেন;
(৩০) 'দুগ্ধ খামার' অর্থ কোন খামার, গরুর ছাউনি, গোয়াল ঘর, দুধ সংরক্ষণাগার, দুধের দোকান, অথবা এমন কোন স্থান যেখান হইতে দুধ অথবা দুগ্ধজাত দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সরবরাহ করা হয়;
(৩১) 'দণ্ডবিধি' অর্থ The Penal Code (Act No. XLV of 1860);
(৩২) 'নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ' অর্থ সরকার বা এই আইনের কোন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার কর্তৃক ক্ষমতা প্রদত্ত যে কোন সরকারি কর্মকর্তা;
(৩৩) 'নির্বাচন কমিশন' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর অধীন প্রতিষ্ঠিত নির্বাচন কমিশন;
(৩৪) 'নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল' অর্থ এই আইনের ধারা ২৪ এর অধীন গঠিত নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল;
(৩৫) 'নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল' অর্থ এই আইনের ধারা ২৪ এর অধীন গঠিত নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল;
(৩৬) 'নির্বাচন পর্যবেক্ষক' অর্থ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা যাহাকে নির্বাচন কমিশন বা এতদুদ্দেশ্যে তদকর্তৃক অনুমোদিত কোন ব্যক্তি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য লিখিতভাবে অনুমতি দেওয়া হইয়াছে;
(৩৭) 'নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ' অর্থে দণ্ড বিধিতে সংজ্ঞায়িত চাঁদাবাজি, চুরি, সম্পত্তি আত্মসাৎ, বিশ্বাস ভংগ, ধর্ষণ, হত্যা, খুন এবং Prevention of Corruption Act, 1947 (Act No. II of 1947)-এ সংজ্ঞায়িত Criminal Misconduct ও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৩৮) 'পরিষদ' অর্থ পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরগণ সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ;
(৩৯) 'পল্লী এলাকা' অর্থ শহর নহে এইরূপ যে কোন অপেক্ষাকৃত পশ্চাদপদ ও অনগ্রসর কৃষিনির্ভর বা সামন্ত ব্যবস্থার ন্যায় পেশাজীবী লইয়া গড়িয়া উঠা জনপদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের অধীন গ্রাম বা ওয়ার্ড লইয়া গঠিত এলাকা যাহা পৌরসভা বা সেনানিবাস এলাকার অন্তর্ভুক্ত নহে;
(৪০) 'পুলিশ কর্মকর্তা' অর্থ পুলিশ বাহিনীর সাব-ইন্সপেক্টর ও তদূর্ধ্ব পদ-মর্যাদাসম্পন্ন কোন পুলিশ কর্মকর্তা;
(৪১) 'প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা' অর্থ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা;
(৪২) 'প্রবিধান' অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত প্রবিধান;
(৪৩) 'পৌরসভা' অর্থ এই আইনের ধারা ৬ এর অধীন গঠিত পৌরসভা;
(৪৪) 'পৌর এলাকা' অর্থ এই আইনের ধারা ৪(২) এ বর্ণিত এলাকা;
1[(৪৪ক) “পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা” অর্থ পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা বা সাময়িকভাবে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনরত কোন ব্যক্তি;]
(৪৫) 'পৌরসভা তহবিল' অর্থ পৌরসভার তহবিল;
(৪৬) 'পৌরসভার মাস্টার প্ল্যান' অর্থ পৌরসভার সীমানার আওতাধীন উন্নয়ন পরিকল্পনার কাঠামো; ভূমি ব্যবহার, পরিবহন ও ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনার নীতি ও কৌশল নির্ধারণ এবং সামগ্রিকভাবে পৌরসভার উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় নির্দিষ্ট বাস্তবায়নযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্প;
(৪৭) 'পৌরসভার সাধারণ বাসিন্দা' অর্থ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বা পৌরসভা এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দা যাহার নাম ঐ এলাকার ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে;
(৪৮) 'ফিস' অর্থ এই আইনের অধীন নির্ধারিত ফিস;
(৪৯) 'বসত বাড়ি' অর্থ কোন ইমারত যাহা সম্পূর্ণ বা প্রধানতঃ মানুষের ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হইয়া থাকে;
(৫০) 'বাজার' অর্থে এমন কোন স্থান যেখানে জনগণ মাছ, মাংস, ফল-মূল, শাক-সবজি বা অন্য যে কোন খাদ্য দ্রব্যসহ অন্যান্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি বিক্রয় ও ক্রয়ের জন্য জড়ো করা হয় এবং ক্রয়-বিক্রয় করা হয় অথবা পশু বা গরু-ছাগল ও পশু-পক্ষী বিক্রয় এবং ক্রয়ের জন্য জড়ো করা হয় এবং ক্রয়-বিক্রয় করা হয় এবং হাট বাজারও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে এবং এমন কোন স্থান যা বাজার বা হাট-বাজার হিসাবে বিধি অনুসারে ঘোষণা করা হইয়াছে।
(৫১) 'বাৎসরিক বাড়ি ভাড়া বাবদ মূল্য' অর্থ কোন ইমারতে রক্ষিত আসবাবপত্র ও জায়গার উপর অবস্থিত যন্ত্রপাতি ব্যতীত ইমারত ও জায়গার প্রত্যাশিত যুক্তিসংগত বৎসরান্তরের ভাড়া, দখলজনিত কারণে ভাড়াটিয়া কর্তৃক ইমারতের মালিক অথবা জায়গার মালিককে প্রদত্ত সমুদয় অর্থ কিংবা অঙ্গীকারকৃত প্রদেয় অর্থ, কর, বীমা অথবা অধিকারজনিত অন্য কোন আনুষংগিক ব্যয়;
(৫২) 'বিধি' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(৫৩) 'বিভাগীয় কমিশনার' অর্থ সংশিষ্ট রাজস্ব প্রশাসনের প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং এই অধ্যাদেশের অধীনে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে নিয়োগকৃত যে কোন কর্মকর্তা যিনি বিভাগীয় কমিশনারের সকল কিংবা যে কোন কার্য পালন করিবেন;
(৫৪) 'ব্যাংক' অর্থ-
(ক) ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ধারা ৫(ণ) এ সংজ্ঞায়িত ব্যাংক কোম্পানী; বা,
(খ) The Bangladesh Shilpa Rin Sangstha Order, 1972 (P. O. No. 128 of 1972), এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা; বা,
(গ) The Bangladesh Shilpa Bank Order. 1972 (P. O. No. 129 of 1972) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক; বা,
(ঘ) The Bangladesh House Building Finance Corporation Order, 1973 (P. O. No. 17 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন; বা,
(ঙ) The Bangladesh Krishi Bank Order, 1973 (P. O. No. 27 of 1973) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক; বা,
(চ) The Investment Corporation of Bangladesh Ordinance, 1976 (Ordinance No. XL of 1976) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ; বা,
(ছ) The Rajshahi Krishi Unnayan Bank Ordinance, 1986 (Ordinance No. LVIII of 1986) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক; বা,
(জ) কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Basic Bank Limited (Bangladesh Small Industries and Commerce Bank Limited)৷
(৫৫) 'মালিক' অর্থ কোন ব্যক্তি যিনি আপাততঃ জমি ও ইমারতের ভাড়া অথবা উহাদের যে কোন একটির ভাড়া নিজ দায়িত্বে অথবা কোন ব্যক্তির অথবা সমাজের অথবা কোন ধর্মীয় অথবা দাতব্য কাজের প্রতিনিধি অথবা ট্রাস্টি হিসাবে সংগ্রহ করেন অথবা জমি অথবা ইমারত ভাড়াটিয়ার নিকট ভাড়া প্রদান করিলে যিনি তাহা সংগ্রহ করিতেন বা করেন;
2[ (৫৫ক) “রাজনৈতিক দল” অর্থ Representation of the People Order, 1972 (P.O No. 155 of 1972) এর Article 2 (xixa) তে সংজ্ঞায়িত registered political party;]
(৫৬) 'রেইট' অর্থ এই আইনের অধীন নির্ধারিত রেইট;
(৫৭) 'লাভজনক পদ' অর্থ প্রজাতন্ত্র বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বা সরকারের শতকরা পঞ্চাশ ভাগ বা তদূর্ধ্ব শেয়ার রহিয়াছে এইরূপ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীতে সার্বক্ষণিক বেতনভুক্ত পদ বা অবস্থান;
3[***]
(৫৯) 'সরকার' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার;
(৬০) 'সরকারি রাস্তা' অর্থ সরকার কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান অথবা অন্য কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক রক্ষণাবেক্ষণাধীন জনগণের চলাচলের জন্য যে কোন রাস্তা;
(৬১) 'সড়ক রেখা' অর্থে রাস্তা ধারণের ভূমি এবং রাস্তার অংশবিশেষ গঠনের ভূমি, পার্শ্ববর্তী ভূমি হইতে বিভক্তকারী রেখাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
4[ (৬১ক) “স্বতন্ত্র প্রার্থী” অর্থ এইরূপ কোন প্রার্থী যিনি কোন রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্ত নহেন;]
(৬২) 'সংক্রামক ব্যাধি' অর্থে এমন ব্যাধি যাহা একজন ব্যক্তি হইতে অন্য ব্যক্তিকে সংক্রামিত করে এবং সরকার কর্তৃক সরকারি গেজেটে প্রকাশিত অন্য যে কোন ব্যাধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৬৩) 'সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ' অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫২(১) অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ;
(৬৪) 'সুয়ারেজ' অর্থ একটি ড্রেনের মাধ্যমে বাহিত পয়ঃনিষ্কাশন, দূষিত পানি, বৃষ্টির পানি এবং নর্দমা বাহিত যে কোন দূষিত বা নোংরা দ্রব্য;
(৬৫) 'স্থানীয় কর্তৃপক্ষ' অর্থ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান বা কোন আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন বিধিবদ্ধ সংস্থা;
(৬৬) 'স্থানীয় পরিষদ' অর্থ আইনের অধীন গঠিত পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশন;
(৬৭) 'স্থায়ী কমিটি' অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত পৌরসভার স্থায়ী কমিটি;
(৬৮) 'শহর এলাকা' অর্থ পৌরসভা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের এখতিয়ারাধীন এলাকা, এবং এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন ঘোষিত শহর এলাকাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(৬৯) 'হাট' অর্থ পণ্য সামগ্রী, খাদ্য, মালামাল, পশু সম্পদ, ইত্যাদি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।
৩৷ (১) সরকার প্রয়োজনীয় তথ্য যেমন, (ক) জনসংখ্যা, (খ) জনসংখ্যার ঘনত্ব, (গ) স্থানীয় আয়ের উৎস (ঘ) অকৃষি পেশার শতকরা হার, এবং (ঙ) এলাকার অর্থনৈতিক গুরুত্বসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণের পর সরকারি গেজেটে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে কোন পল্লী এলাকাকে শহর এলাকা ঘোষণা করিবার অভিপ্রায় ব্যক্ত করিতে পারিবে।
(২) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিবার পূর্বে নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে এই মর্মে নিশ্চিত হইতে হইবে যে, ঘোষণাকৃত এলাকার-
(ক) তিন-চতুর্থাংশ ব্যক্তি অকৃষি পেশায় নিয়োজিত;
(খ) শতকরা ৩৩ ভাগ ভূমি অকৃষি প্রকৃতির;
(গ) জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে গড়ে 5[দুই হাজার] এর কম নয়;
(ঘ) জনসংখ্যা পঞ্চাশ হাজারের কম হইবে না।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন শহর এলাকা ঘোষণা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হইবার পর ঐ এলাকার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ অনূর্ধ্ব এক মাসের মধ্যে উক্তরূপ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সরকারের বরাবরে লিখিত আপত্তি উত্থাপন করিতে পারিবে।
(৪) সরকার উপ-ধারা (৩) এর অধীন উত্থাপিত আপত্তি তিন মাসের মধ্যে নিষ্পন্ন করিবে এবং শহর এলাকা গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইলে সরকার উহা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য সরকারি গেজেটে প্রকাশ করিবে।
প্রথম অধ্যায়
পৌরসভা প্রতিষ্ঠা, পৌরসভা গঠন, ইত্যাদি
৮৷ (১) ধারা ৬ এর বিধান সাপেক্ষে, পৌরসভা গঠনের পর প্রথম সভার তারিখ হইতে পরবর্তী পাঁচ বৎসর পর্যন্ত উক্ত পৌরসভার মেয়াদ থাকিবে 6[।
7[***]
(২) এই আইনে যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন, কোন পৌরসভার মোট কাউন্সিলরগণের শতকরা পঁচাত্তর ভাগের নির্বাচন এবং মেয়র নির্বাচন সম্পন্ন হইবার পর পৌরসভা যথার্থভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
ব্যাখ্যাঃ এই উপ-ধারার অধীন শতকরা পঁচাত্তর ভাগ গণনায় ভগ্নাংশের ক্ষেত্রে, শতকরা দশমিক পাঁচ শূন্যের কম ভগ্নাংশ হিসাবে নেওয়া হইবে না এবং শতকরা দশমিক পাঁচ শূন্য বা উহার বেশি ভগ্নাংশকে একক সংখ্যা ধরা হইবে।
(৩) কোন পৌরসভা গঠিত হইবার পর ইহার প্রথম সভা এমন এক তারিখে অনুষ্ঠান করিতে হইবে যাহা সরকারি গেজেটে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরগণের নাম প্রকাশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের পরে নহে।
১১৷ 8[(১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছু্ই থাকুক না কেন, সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন পৌরসভা এই আইনে বর্ণিত শর্তাবলি বা বিধান প্রতিপালন করিতে ব্যর্থ হইয়াছে, তাহা হইলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত পৌরসভার বিলুপ্তি ঘোষণা করিতে পারিবে।]
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন ঘোষণা প্রদানের পূর্বে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে প্রস্তাবিত বিলুপ্তিকরণের বিষয়ে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিতে হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পৌরসভা বিলুপ্তির ঘোষণা সরকারি গেজেটে প্রকাশের সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উক্ত পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরগণের কার্যকালের অবসান হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) অনুরূপ বিলুপ্ত পৌরসভার সম্পদের দায়দেনা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা, ইত্যাদি
তৃতীয় অধ্যায়
মেয়র ও কাউন্সিলরগণের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, ইত্যাদি
চতুর্থ অধ্যায়
নির্বাচন, নির্বাচনী বিরোধ, ইত্যাদি
পঞ্চম অধ্যায়
শপথ, সম্পত্তির ঘোষণা, অপসারণ, ইত্যাদি
৩০৷ (১) কোন কাউন্সিলর পৌরসভার মেয়র বরাবর তাহার পদত্যাগ করিবার অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করিয়া পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং ঐরূপ পদত্যাগপত্র মেয়র কর্তৃক গৃহীত হওয়ার সাথে সাথে উক্ত কাউন্সিলরের পদ শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
(২) মেয়র সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কর্মকর্তার নিকট তাহার পদত্যাগ করিবার অভিপ্রায় লিখিতভাবে ব্যক্ত করিয়া পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি 15[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করিবেন এবং উক্তরূপ পদত্যাগ নির্দিষ্ট কর্মকর্তা কর্তৃক প্রাপ্তির তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন পদত্যাগের বিষয়টি 16[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনধিক তিন দিনের মধ্যে পরিষদ, নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে অবহিত করিবেন।
৩২৷ (১) মেয়র অথবা কাউন্সিলর তাহার নিজ পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি-
(ক) পৌরসভার নোটিশ প্রাপ্তি সত্ত্বেও যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত পরিষদের পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন;
(খ) পৌরসভা বা রাষ্ট্রের হানিকর কোন কার্যকলাপে জড়িত থাকেন অথবা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হন;
(গ) দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন অথবা শারীরিক বা মানসিক অসামর্থ্যের কারণে দায়িত্ব পালনে অক্ষম হন;
(ঘ) অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন;
(ঙ) নির্বাচনের পর ইহা প্রমাণিত হয় যে, তিনি ধারা ১৯ (২) অনুযায়ী নির্বাচনে অযোগ্য ছিলেন;
(চ) বার্ষিক ১২ টি মাসিক সভার স্থলে অন্যূন নয়টি সভা গ্রহণযোগ্য কারণ ব্যতীত অনুষ্ঠান করিতে বা উপস্থিত থাকিতে ব্যর্থ হন;
(ছ) তিনি নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দাখিল না করেন কিংবা দাখিলকৃত হিসাবে অসত্য তথ্য প্রদান করিয়াছেন বলিয়া উহা দাখিলের ছয় মাসের মধ্যে প্রমাণিত হয় 17[;
(জ) নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর হইতে পৌরসভার মেয়াদকালের মধ্যে যে কোন সময় যদি প্রমাণিত হয় যে, কোন নির্বাচিত প্রার্থী মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিলকৃত সাতটি তথ্য সম্বলিত হলফনামায় কোন অসত্য তথ্য প্রদান করিয়াছেন বা ইচ্ছাকৃতভাবে কোন তথ্য গোপন করিয়াছেন 18[;] ]
19[(ঝ) সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হন।]
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারায় বর্ণিত ‘অসদাচরণ’ বলিতে ক্ষমতার অপব্যবহার, ধারা ২৮ অনুযায়ী সম্পত্তি সম্পর্কিত ঘোষণা প্রদান না করা কিংবা অসত্য হলফনামা দাখিল করা, এবং বিধি-নিষেধ পরিপন্থী কার্যকলাপ, দুর্নীতি, অসদুপায়ে ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি, ইচ্ছাকৃত অপশাসন, ইত্যাদি বুঝাইবে।
(২) সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত কারণে মেয়র বা কাউন্সিলরকে অপসারণ করিতে পারিবে।
(৩) অপসারণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করিবার পূর্বে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, অভিযোগের তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট মেয়র বা কাউন্সিলরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হইবে।
(৪) একজন মেয়র বা কাউন্সিলর উপ-ধারা (২) এর অধীন নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ কিংবা উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী অপসারণের প্রস্তাব নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদন লাভের পর তাৎক্ষণিকভাবে অপসারিত হইবেন।
(৫) পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরকে উপ-ধারা (১) এর অধীন তাহার পদ হইতে অপসারিত করা হইলে, তিনি সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্তৃপক্ষের নিকট এই আদেশের তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে আপিল করিতে পারিবেন।
(৬) উপ-ধারা (৫) এর অধীন আপিল করা হইলে আপিল কর্তৃপক্ষ উহা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপ-ধারা (২) এ প্রদত্ত অপসারণ আদেশটি স্থগিত রাখিতে পারিবেন এবং আপিলকারীর বক্তব্য প্রদানের সুযোগ প্রদানের পর ঐ আদেশটি পরিবর্তন, বাতিল বা বহাল রাখিতে পারিবেন।
(৭) উপ-ধারা (৬) এর অধীন আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত হইবে।
(৮) এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা অনুযায়ী অপসারিত কোন ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কার্যকালের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য কোন পদে নির্বাচিত হইবার যোগ্য হইবেন না।
20[৩২ক। এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, সকল পৌরসভার মেয়র বা কাউন্সিলরগণকে অপসারণ করিতে পারিবে।]
৩৪৷ নির্বাচনের পর নির্বাচিত মেয়র, অথবা প্যানেল মেয়র বা অন্য কোন কাউন্সিলর মেয়রের দায়িত্ব পালন করিতে থাকিলে, পূর্ববর্তী মেয়র বা প্যানেল মেয়র বা মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর তাঁহার দখলে বা নিয়ন্ত্রণে থাকা পৌরসভার সকল নগদ অর্থ, পরিসম্পদ, দলিল দস্তাবেজ, রেজিস্টার ও সীলমোহর যত শীঘ্র সম্ভব অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত কর্মকর্তা কর্তৃক স্থিরীকৃত তারিখ, সময় ও স্থানে নূতন নির্বাচিত মেয়র বা ক্ষেত্রমত মনোনীত প্যানেল মেয়র বা মেয়রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলরের নিকট পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা, ক্ষেত্রমত, 21[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তার] উপস্থিতিতে বুঝাইয়া দিবেন।
৪২৷ 22[(১) এই আইনের অধীন নূতন কোন পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হইলে অথবা কোনো পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইলে, নির্বাচনের মাধ্যমে নূতন পরিষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত, উহার কার্যাবলি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সরকারি কর্মকর্তা অথবা সরকার উপযুক্ত মনে করেন এমন কোন ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।]
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, প্রশাসকের কর্ম সম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটি নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) প্রশাসক এবং কমিটির সদস্যবৃন্দ, যদি থাকে, যথাক্রমে মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ করিবে।
(৪) এই আইনে যাহা কিছু থাকুক না কেন, উপ-ধারা (১) এর অধীন নিযুক্ত পৌর প্রশাসক কোনক্রমেই একের অধিক বার বা ১৮০ (একশত আশি) দিনের অধিক সময়কাল দায়িত্বে থাকিতে পারিবেন না।
23[৪২ক। (১) এই আইনের অন্যান্য বিধানে কিংবা আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সরকার, বিশেষ পরিস্থিতিতে, অত্যাবশ্যক বিবেচনা করিলে বা জনস্বার্থে, যে কোন পৌরসভায় উহার কার্যাবলী সম্পাদনের উদ্দেশ্যে, একজন উপযুক্ত ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত উপযুক্ত কর্মকর্তাকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) সরকার, প্রয়োজনবোধে, যথাযথ বলিয়া বিবেচিত হয় এমন সংখ্যক সদস্য সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে প্রশাসকের কর্মসম্পাদনে সহায়তা প্রদানের জন্য নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী নিযুক্ত প্রশাসক এবং উপ-ধারা (২) অনুযায়ী নিযুক্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ, যদি থাকে, যথাক্রমে, মেয়র ও কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।]
ষষ্ঠ অধ্যায়
পৌরসভার সম্পত্তি, চুক্তি, ইত্যাদি
৪৭৷ পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর, পৌরসভার 24[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ] অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং পৌরসভার প্রশাসনিক কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত অথবা পৌরসভার পক্ষে কর্মরত প্রত্যেক ব্যক্তি তাহার অবহেলা অথবা অসদাচরণের প্রত্যক্ষ পরিণামে পৌরসভার কোন অর্থ অথবা ইহার মালিকানাধীন সম্পত্তির ক্ষতি, অপচয় অথবা অপব্যবহারের জন্য দায়ী বলিয়া প্রমাণিত হইলে তাহা সরকারি দাবি হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে৷
৪৯৷ (১) সরকার, নিম্নবর্ণিত কারণে গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা কোন পরিষদ বাতিল ঘোষণা করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক) কোন পৌরসভা চলতি অর্থ বৎসর শেষ হওয়ার পূর্বে পরবর্তী বৎসরের বাজেট পাশ করিতে ব্যর্থ হইলে; অথবা
(খ) পৌরসভার ৭৫% নির্বাচিত কাউন্সিলর পদত্যাগ করিলে; অথবা
(গ) পৌরসভার ৭৫% নির্বাচিত কাউন্সিলর এই আইনের বিধান অনুসারে অযোগ্য হওয়ার কারণে অপসারিত হইলে; 25[অথবা]
(ঘ) যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত বৎসরে ধার্যকৃত মোট কর, উপ-কর, রেইট, টোল, ফিস, ইত্যাদি কমপক্ষে ৭৫% আদায় করিতে ব্যর্থ হইলে 26[; অথবা]
27[(ঙ) যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের বেতন ও ভাতাদি ১২ (বারো) মাস বকেয়া থাকিলে।]
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন পৌরসভা বাতিল করিবার পূর্বে সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে যুক্তিসংগতভাবে শুনানির সুযোগ দিতে হইবে৷
(৩) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অতিরিক্ত হিসাবে সরকারের বিবেচনায় কোন পৌরসভা এই আইন ও অন্যান্য আইন ও বিধি, প্রবিধি, ইত্যাদির মাধ্যমে অর্পিত দায়িত্ব পালনে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হইলে অথবা পৌরসভা ক্ষমতার অপব্যবহার করিলে, সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা উক্ত পরিষদ ভাঙ্গিয়া দিতে পারিবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারা অনুসারে পৌরসভা ভাঙ্গিয়া দিবার পূর্বে সরকার ভাঙ্গিয়া দিবার কারণসহ প্রস্তাবটি সংশ্লিষ্ট পৌরসভাকে অবহিত করিবে এবং কোনোরূপ আপত্তি বা ব্যাখ্যা থাকিলে তাহা বিবেচনা করিয়া চূড়ান্ত সিন্ধান্ত গ্রহণ করিবে।
(৪) উপ-ধারা (১) অথবা (২) এর অধীন গেজেট প্রজ্ঞাপন প্রকাশিত হইবার তারিখ হইতে উহা কার্যকর হইবে এবং একই তারিখ হইতে পৌরসভার মেয়র ও সকল কাউন্সিলরের আসন শূন্য হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের বিধান অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠান করিতে হইবে৷
(৫) পুনর্গঠিত পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরগণ পৌরসভার অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হইবেন।
(৬) পরিষদ বাতিল হইবার এবং পুনর্গঠিত হইবার অন্তবর্তীকালীন সময়ে এই আইনের ধারা ৪২ (প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত) অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৭) পৌরসভার সকল সম্পদ ও দায় উপ-ধারা (৬) এর অধীন গঠিত প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ হইতে পৌরসভা পুনর্গঠিত হওয়া পর্যন্ত এবং উপ-ধারা (৪) এর অধীন পুনর্গঠিত পৌরসভার উপর দায়িত্ব গ্রহণের পর হইতে পৌরসভার অবশিষ্ট মেয়াদকাল পর্যন্ত বর্তাইবে৷
দ্বিতীয় অধ্যায়
পৌরসভার দায়িত্ব ও কার্যাবলী, কমিটি, ইত্যাদি
তৃতীয় অধ্যায়
নির্বাহী ক্ষমতা এবং কার্য পরিচালনা
৬৫। (১) যদি কোন কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সভার আলোচ্যসূচির সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়ে লাভবান হইবার সম্ভাবনা থাকে, অথবা অন্য কোন ব্যক্তিগত স্বার্থ জড়িত থাকে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট আলোচ্যসূচি আলোচিত হইবার পূর্বেই উক্ত কাউন্সিলর বিষয়টি সভাকে অবহিত করিবেন এবং সভার উক্ত আলোচ্যসূচিতে তিনি অংশগ্রহণ করিবেন নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, পৌরসভার কর ধার্যকরণ অথবা পৌরসভার অন্যান্য সেবামূলক বিষয়ের ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না৷
(২) কোন কাউন্সিলর নিজে অথবা তাহার পরিবারের নির্ভরশীল কোন সদস্য যদি কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অথবা কোন ব্যক্তির অধীনে চাকুরিরত থাকেন এবং উক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তি পৌরসভার সহিত কোন চুক্তির মাধ্যমে লাভবান হইবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে তিনি 28[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানাইবেন।
(৩) 29[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি অন্য সকল কাউন্সিলরের জ্ঞাতার্থে সরবরাহ ও সংরক্ষণ করিবেন৷
৬৬। 31[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা তদকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন কর্মকর্তা পৌরসভার অথবা পৌরসভা সংক্রান্ত কমিটির সভায় সহায়ক কর্মকর্তা হিসাবে অংশগ্রহণ করিবেন।
৬৭। (১) কোন কাউন্সিলর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করিবার জন্য 32[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত নোটিশ প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং কি বিষয়ে আলোচনা দরকার হইবে তাহাও স্পষ্টভাবে উল্লেখ করিবেন।
(২) এই ধরনের নোটিশ অন্যূন অন্য দুই জন কাউন্সিলর দ্বারা সমর্থিত হইতে হইবে এবং যে তারিখে বিষয়টি আলোচনা করিবার প্রস্তাব দেওয়া হইয়াছে তাহার অন্ততঃ ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে নোটিশটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং এইরূপ নোটিশপ্রাপ্তির পর 33[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উহা অবিলম্বে মেয়রের নিকট পেশ করিবেন।
(৩) মেয়রের নিকট প্রস্তাবিত আলোচনা যথেষ্ট জনগুরুত্বপূর্ণ মনে হইলে, তিনি উহা আলোচনার ব্যবস্থা করিবেনঃ
তবে শর্ত থাকে যে, উপস্থিত অধিকাংশ (৫১%) সদস্য যদি বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন, তাহা হইলে বিষয়টি আলোচিত হইবে।
(৪) দুইটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বেশি একই সভায় আলেচিত হইতে পারিবে না।
৬৮। (১) কোন কাউন্সিলর পৌরসভার উন্নয়ন কার্যক্রম ও প্রশাসন সংক্রান্ত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্বন্ধে তথ্য গ্রহণ করিবার অধিকারী হইবে এবং নির্ধারিত তথ্য সংগ্রহ করিবার জন্য সভা অনুষ্ঠিত হইবার অন্যূন চব্বিশ ঘন্টা পূর্বে এই বিষয়ে 34[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নোটিশ পাঠাইবেন।
(২) মেয়র এই বিষয়ে একই দিনে তথ্য বিষয়ক প্রাথমিক বক্তব্য প্রদান করিবেন অথবা পরবর্তী কোন তারিখে এতদ্বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দিবেন।
চতুর্থ অধ্যায়
পৌরসভার কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ভবিষ্য তহবিল ইত্যাদি
৭৩। (১) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ কোন পৌরসভার জন্য উহার জনবল কাঠামো অনুযায়ী বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্তে 35[একজন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক ৯ম হইতে ১২তম গ্রেডভুক্ত কর্মকর্তা] নিয়োগ করিতে পারিবে, যাঁহারা এই আইন অনুযায়ী পৌরসভায় তাঁহাদের উপর ন্যস্ত যাবতীয় দায়িত্ব পালন করিবেন।
(২) নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ যেরূপ প্রয়োজন মনে করিবে, এই আইনের অধীন কোন পৌরসভা, নির্ধারিত শর্তে উহার কার্যাবলী সুচারুরূপে সম্পন্ন করিবার জন্য, অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী বিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে, সেইরূপ সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২)-এ বর্ণিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
(৪) এই আইন এবং তদ্ধীন প্রণীত বিধির বিধানাবলী সাপেক্ষে-
(ক) পৌরসভাসমূহের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ উপ-ধারা (১)-এর অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত, অপসারণ, পদচ্যুত বা অন্য কোন শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে;
(খ) পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী উপ-ধারা (২)-এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত, অপসারণ, পদচ্যুত বা অন্য কোন শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে।
(৫) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত যে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে প্রশাসনিক প্রয়োজনে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ তাহার এখতিয়ারাধীন এক পৌরসভা হইতে অন্য পৌরসভায় বদলী করিতে পারিবে।
36[(৬) কোনো ইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়ন পরিষদের অংশবিশেষ সমন্বয়ে কোনো পৌরসভা গঠিত হইলে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ বা ইউনিয়ন পরিষদের অংশবিশেষের জনবল, ক্ষেত্রমত, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যোগ্যতা ও স্ব স্ব পদের বিপরীতে বেতন স্কেল অনুযায়ী উক্ত পৌরসভায় আত্তীকৃত হইবে।]
পঞ্চম অধ্যায়
টিউটোরিয়াল স্কুল, কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট হাসপাতাল, ইত্যাদি নিবন্ধিকরণ
প্রথম অধ্যায়
নথিপত্র তলব, পরিদর্শন, ইত্যাদি
দ্বিতীয় অধ্যায়
আর্থিক ব্যবস্থাপনা, বাজেট ও হিসাব
তৃতীয় অধ্যায়
অবকাঠামোগত সেবা
চতুর্থ অধ্যায়
পৌর কর আরোপণ
পঞ্চম অধ্যায়
অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, অপরাধ ও শাস্তি
ষষ্ঠ অধ্যায়
তথ্য প্রাপ্তির অধিকার
১১৩। (১) পৌরসভা এলাকার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অধস্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারী-
(ক) পৌরসভা এলাকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং এই আইনের বিধানাবলী কার্যকর করিবার জন্য পঞ্চম তফসিলে উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী পৌরসভাকে সহযোগিতা করিবে;
(খ) এই আইনের বিধান অনুযায়ী নিয়োগকৃত কোন ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ পালনের জন্য পৌরসভাকে সহযোগিতা করিবে;
(২) প্রত্যেক পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব হইবে-
(ক) এই আইনে বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটনের চেষ্টা বা অপরাধ সংঘটনের খবর সম্পর্কে অনতিবিলম্বে মেয়র এবং 37[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা;
(খ) মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা 38[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা অন্য কোন কর্মকর্তার লিখিত অনুরোধের ভিত্তিতে আইন সঙ্গত দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা।
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অসম্মতি জ্ঞাপন করিলে তাহা প্রচলিত আইন ও বিধি বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য হইবে।
১১৪। (১) সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন পৌর এলাকায় পৌর পুলিশ গঠন করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা এবং অন্যান্য চাকুরীর শর্ত বিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবে এবং পৌর পুলিশ পরিচালনার জন্য সরকার একজন উপযুক্ত পদমর্যাদার কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োগ করিবে।
(২) পৌর পুলিশ এই আইনের পঞ্চম তফসিলে বর্ণিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিবে এবং এতদ্ব্যতীত স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর সহিত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এলাকার আইন শৃঙ্খলার উপর নজরদারী করিবে।
(৩) এই আইনসহ অন্যান্য আইনের বিধান ভঙ্গের অপরাধসমূহ দমনের প্রয়োজনে, সরকার, ক্ষেত্রমত, 39[পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা] বা ক্ষেত্রমত, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতা প্রদান বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রেষণে নিয়োগ দান করিতে পারিবে।
(৪) মেয়র পৌর এলাকার কোন ওয়ার্ড বা ওয়ার্ডের অংশের জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করিবার আশু প্রয়োজন হইলে ঐ এলাকায় সক্ষম এবং প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ যে কোন পুরুষকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐ এলাকায় টহল দিবার লিখিত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
দ্বিতীয় অধ্যায়
বিবিধ
তৃতীয় অধ্যায়
ক্রান্তিকালীন এবং অস্থায়ী বিধানাবলী