প্রিন্ট

02/11/2024
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন আইন, ২০২০

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন আইন, ২০২০

( ২০২০ সনের ৫ নং আইন )

Road Transport Corporation Ordinance, 1961 রহিতপূর্বক সময়োপযোগী

করিয়া নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন 

যেহেতু Road Transport Corporation Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. VII of 1961) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত The Bangladesh Road Transport Corporation এর ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে উক্ত Ordinance, রহিতপূর্বক সময়োপযোগী করিয়া নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 

সেহেতু এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন

১। (১) এই আইন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন আইন, ২০২০ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

সংজ্ঞা

২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

 

(ক) “কর্পোরেশন” অর্থ এই আইনের ধারা ৩ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি);

 

(খ) ‘‘কমিটি’’ অর্থ এই আইনের ধারা ৯ এর অধীন গঠিত কোনো কমিটি;

 

(গ) “কর্মচারী” অর্থ কর্পোরেশনের কর্মচারী;

 

(ঘ) ‘‘কোম্পানি’’ অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ এর অধীন নিবন্ধিত কোনো কোম্পানি;

 

(ঙ) ‘‘চেয়ারম্যান’’ অর্থ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান;

 

(চ) ‘‘পরিচালক’’ অর্থ কর্পোরেশনের পরিচালক;

 

(ছ) ‘‘পরিচালনা পর্ষদ” অর্থ এই আইনের ধারা ৭ এর অধীন গঠিত কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদ;

 

      (জ) ‘‘প্রবিধান’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;

 

      (ঝ) ‘‘বিধি’’ অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

 

     (ঞ) ‘‘রুট’’ অর্থ সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এ বর্ণিত রুট;

 

     (ট) ‘‘সদস্য’’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের কোনো সদস্য;

 

     (ঠ) ‘‘সদস্য-সচিব’’ অর্থ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য-সচিব; এবং

 

(ড) ‘‘সড়ক পরিবহণ সেবা’’ অর্থ কর্পোরেশন কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে সড়ক পথে মোটরযান দ্বারা যাত্রী বা পণ্য পরিবহণ।

কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা

৩। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, Road Transport Corporation Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. VII of 1961) এর অধীন প্রতিষ্ঠিত The Bangladesh Road Transport Corporation, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন (বিআরটিসি) নামে অভিহিত হইবে এবং উহা এমনভাবে বহাল থাকিবে যেন উহা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে।

 

(২) কর্পোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকিবে এবং এই আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে, ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার এবং চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে এবং ইহা স্বীয় নামে মামলা দায়ের করিতে পারিবে এবং উক্ত নামে ইহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।

প্রধান কার্যালয়

৪। (১) কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় থাকিবে।

 

(২) কর্পোরেশন, প্রয়োজনবোধে, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে এবং বিদেশে ইহার অধঃস্তন অফিস বা ইউনিট, প্রশিক্ষণ ইউনিট বা কেন্দ্র, মেরামত কারখানা বা ডিপো স্থাপন করিতে পারিবে।

কর্পোরেশনের কার্যাবলি

৫।  কর্পোরেশনের কার্যাবলি হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-

 

(ক) যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ সেবা প্রদান করা;

 

(খ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ সেবা প্রদান করা;

 

(গ) প্রয়োজন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ ইউনিট বা কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করা;

 

(ঘ) প্রয়োজন অনুযায়ী যানবাহন মেরামত কারখানা স্থাপন ও পরিচালনা করা;

 

(ঙ) দেশে ও বিদেশে যাত্রী ও পণ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বাস ও ট্রাক সংগ্রহ করা;

 

(চ) সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, যেকোনো স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন, উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও দখলে রাখা বা ব্যবহার বা হস্তান্তর করা;

 

(ছ) পরিবহণ সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে টার্মিনাল, ডিপো, যাত্রী ছাউনি বা অন্য কোনো সুবিধা সৃষ্টি করা;

 

(জ) আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক যাত্রী ও পণ্য সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে বিদেশে কার্যালয় বা টার্মিনাল, ডিপো, যাত্রী ছাউনি বা অন্য কোনো সুবিধা সৃষ্টি করা;

 

(ঝ)  মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করিয়া বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা লাভজনক নহে এইরূপ বাস বা ট্রাক দীর্ঘ মেয়াদে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে ইজারায় পরিচালনা করা;

 

(ঞ) সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে প্রয়োজনে অস্থায়ীভাবে ইজারায় যাত্রীবাহী বাস বা পণ্যবাহী ট্রাক পরিচালনা করা;

 

(ট) কর্মচারীদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করা;

 

(ঠ)  সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা করা;

 

(ড) বিশেষ পরিস্থিতি, যেমন- হরতাল, পরিবহণ ধর্মঘট, জরুরি অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজন, বিশ্ব ইজতেমা, মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ এবং অনুরূপ কোনো পরিস্থিতিতে বিশেষ সড়ক পরিবহণ সেবা প্রদান করা;

 

(ঢ) কর্পোরেশনের গাড়ি সম্ভার, যানবাহন, যন্ত্রপাতি, প্লান্ট, সরঞ্জাম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রস্তুত, ক্রয়, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত করা;

 

(ণ) কর্পোরেশনের কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় চুক্তি সম্পাদন করা;

 

(ত) কর্পোরেশনের কার্যাবলি সম্পাদনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের মালামাল মজুদ করা; এবং

 

(থ) সরকার কর্তৃক অর্পিত অন্য যেকোনো কার্য সম্পাদন করা।

পরিচালনা ও প্রশাসন

 

৬। (১) কর্পোরেশনের পরিচালনা, প্রশাসন এবং অন্যান্য কার্যাবলি সম্পাদনের দায়িত্ব পরিচালনা পর্ষদের উপর ন্যস্ত থাকিবে।

 

(২) পরিচালনা পর্ষদ, জনস্বার্থে, বাণিজ্যিক বিবেচনায় উহার দায়িত্ব পালন করিবে এবং সরকার কর্তৃক, সময় সময় প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করিবে।

 

(৩) পরিচালনা পর্ষদ, সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান কর্পোরেশনের সকল ক্ষমতা, কার্য ও দায়িত্ব সম্পাদন করিবেন।

পরিচালনা পর্ষদ গঠন

৭। (১) কর্পোরেশনের একটি পরিচালনা পর্ষদ থাকিবে।

 

(২) পরিচালনা পর্ষদ নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা:-

 

(ক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন, যিনি ইহার সভাপতিও হইবেন;

 

(খ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব;

 

(গ) অর্থ বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব;

 

(ঘ) স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব;

 

(ঙ) সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব;

 

(চ) জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক মনোনীত উক্ত বিভাগের একজন অন্যূন উপসচিব;

 

(ছ) নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত উক্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অন্যূন উপসচিব;

(জ) ঢাকা পরিবহণ সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কর্তৃক মনোনীত উক্ত কর্তৃপক্ষের একজন পরিচালক;

(ঝ) সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কর্তৃক মনোনীত উক্ত অধিদপ্তরের একজন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী;

 

(ঞ) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত উক্ত কর্তৃপক্ষের একজন পরিচালক;

 

(ট) কর্পোরেশনের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব);

 

(ঠ) কর্পোরেশনের পরিচালক (কারিগরি);

(ড) দেশের প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন করিয়া বেসরকারি সদস্য, তন্মধ্যে অন্যূন ৩ (তিন) জন মহিলা সদস্য হইবেন;

(ঢ) উপ-ধারা (৩) এর অধীন শেয়ারহোল্ডারগণের পক্ষ হইতে নির্বাচিত পরিচালক বা পরিচালকবৃন্দ; এবং

(ণ) কর্পোরেশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অপারেশন), যিনি সদস্য-সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন।

 

(৩) কর্পোরেশনের শেয়ার জনসাধারণের নিকট বিক্রয় করা হইলে পরিশোধিত মূলধনের আনুপাতিক হারে পরিচালক নির্বাচিত হইবে এবং শেয়ারহোল্ডারগণ প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিম্নরূপ শর্ত সাপেক্ষে পরিচালক নির্বাচন করিতে পারিবেন, যথা:-

 

জনসাধারণের শেয়ারের পরিমাণ মোট পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণের-

 

(ক) ২০% এর ঊর্ধ্ব হইতে ৩৪% পর্যন্ত হইলে, ১ (এক) জন পরিচালক; এবং

 

(খ) ৩৪% এর ঊর্ধ্ব হইতে ৪৯% পর্যন্ত হইলে, ২ (দুই) জন পরিচালক।

 

(৪) উপ-ধারা (২) এর দফা (ড) এবং (ঢ) এ ঊল্লিখিত সদস্যগণ মনোনীত বা নির্বাচিত হইবার তারিখ হইতে ৩ (তিন) বৎসরের জন্য দায়িত্ব পালন করিবেন।

পরিচালনা পর্ষদের সভা

৮।  (১) প্রতি বৎসরে পরিচালনা পর্ষদের অন্যূন ৪ (চার)টি সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।

 

(২) চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তৎকর্তৃক মনোনীত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন, তবে এতদুদ্দেশ্যে কোনো মনোনয়ন না থাকিলে, উপস্থিত সদস্যবৃন্দ কর্তৃক নির্বাচিত কোনো সদস্য সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।

 

(৩) পরিচালনা পর্ষদের সভার কোরাম গঠনের জন্য চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক বিভাগ বা অর্থ বিভাগের সদস্যসহ অন্যূন ৭ (সাত) জন সদস্যের উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে:

 

তবে থাকে যে, কোনো মুলতবি সভার ক্ষেত্রে কোরামের প্রয়োজন হইবে না।

 

(৪) চেয়ারম্যান কর্তৃক জরুরি বলিয়া প্রত্যয়িত সভা ব্যতিরেকে সকল সভা অনুষ্ঠানের জন্য সদস্য-সচিব কর্তৃক অন্যূন ৭ (সাত) দিন পূর্বে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করিতে হইবে।

 

(৫) প্রতিটি সভায় চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেক সদস্যের একটি করিয়া ভোট থাকিবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের একটি দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট থাকিবে।

 

(৬) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নহে অথচ সভার আলোচ্য বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা বা অভিজ্ঞতা রহিয়াছে এমন কোনো ব্যক্তি পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক আমন্ত্রিত হইলে, তিনি পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত থাকিবেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করিবার অধিকারী হইবেন, তবে তাহার কোনো ভোটাধিকার থাকিবে না।

 

(৭) কেবল কোনো সদস্য পদে শূন্যতা বা পরিচালনা পর্ষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিচালনা পর্ষদের কোনো কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না বা তৎসম্পর্কে কোনো প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।

কমিটি

৯। পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অর্পিত কার্যাবলি সম্পাদন বা সম্পাদনে সহায়তা করিবার জন্য, পরিচালনা পর্ষদ, প্রয়োজনে, সময় সময়, এক বা একাধিক কমিটি গঠন করিতে পারিবে।

চেয়ারম্যান

১০। (১) কর্পোরেশনের একজন চেয়ারম্যান থাকিবে।

 

(২) চেয়ারম্যান প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত অসামরিক কর্মচারীদের মধ্য হইতে সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন।

 

(৩) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হইলে বা অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে চেয়ারম্যান তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে উক্ত শূন্যপদে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত, বা চেয়ারম্যান পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক মনোনীত কোনো সরকারি কর্মচারী চেয়ারম্যান হিসাবে পালন করিবেন।

 

চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ও কর্তব্য

১১। চেয়ারম্যান কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী হইবেন এবং তিনি-

 

(ক) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসারে কর্পোরেশন পরিচালনার দায়িত্বে থাকিবেন;

 

(খ) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্য সম্পাদন করিবেন;

 

(গ) পরিচালনা পর্ষদের সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিবেন;

 

(ঘ) এই আইন এবং তদধীন প্রণীত বিধি ও প্রবিধান অনুসারে যেসকল বিষয় সরকারের গোচরীভূত করা প্রয়োজন, সেই সকল বিষয় লিখিতভাবে সরকারের গোচরে আনিয়া সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন;

 

(ঙ) কর্পোরেশনের সংস্থাপন এবং প্রশাসন সম্পর্কিত যাবতীয় কার্য সম্পাদন করিবেন; এবং

 

(চ) তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে যে কোনো সংকট উত্তরণে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।

সদস্যগণের অযোগ্যতা, অপসারণ, ইত্যাদি

১২। (১) কোনো ব্যক্তি ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২) এর দফা (ড) ও (ঢ) এ উল্লিখিত সদস্য পদের জন্য উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইবেন না বা উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন না, যদি তিনি-

 

(ক) বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়্স্ক নাগরিক না হন;

 

(খ) দেউলিয়া ঘোষিত হন বা ইতঃপূর্বে কোনো সময়ে দেউলিয়া ঘোষিত হইয়া থাকেন এবং দেউলিয়া ঘোষিত হইবার পর দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন;

 

(গ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক উন্মাদ বা অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষিত হন;

 

(ঘ) নৈতিক স্খলনজনিত বা ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন;

 

(ঙ) চাকুরির জন্য অযোগ্য হইয়াছেন বা অযোগ্য বলিয়া ঘোষিত হইয়াছেন বা চাকুরিচ্যুত হইয়াছেন;

 

(চ) কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক ঋণ খেলাপি বলিয়া ঘোষিত হন; এবং

 

(ছ) কর্পোরেশনের তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ করেন।

 

(২) সরকার যে কোনো সদস্যকে, লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করিয়া, অপসারণ করিতে পারিবে, যদি তিনি-

 

(ক) এই আইনের অধীন স্বীয় দায়িত্ব পালন করিতে অস্বীকার করেন বা অপারগ হন বা সরকারের বিবেচনায় স্বীয় দায়িত্ব পালন করিতে অক্ষম হন;

 

(খ) সরকারের বিবেচনায় সদস্য হিসাবে তাহার পদের অমর্যাদা করেন;

 

(গ) কর্পোরেশনের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে তিনি বা তাহার পরিবারের কোনো সদস্য বা পোষ্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থাকেন; এবং

 

(ঘ) পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ব্যতিরেকে পরিচালনা পর্ষদের পরপর ৩ (তিন) টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন।

শেয়ার মূলধন

১৩।  (১) কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ হইবে ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকা, যাহা প্রতিটি ১০ (দশ) টাকা অভিহিত মূল্যের ১০০ (একশত) কোটি সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত হইবে।

 

(২) বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কর্পোরেশনের অনুমোদিত মূলধন বৃদ্ধি করা যাইবে।

 

(৩) কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভার মাধ্যমে নির্ধারিত হইবে যাহা কোনোভাবেই অনুমোদিত মূলধনের অধিক হইবে না।

 

(৪) বার্ষিক সাধারণ সভা বা বিশেষ সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তে কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধি করা যাইবে।

 

(৫) কর্পোরেশনের পরিশোধিত মূলধনের শেয়ারের মধ্যে অন্যূন ৫১% শেয়ার সরকারের মালিকানাধীন থাকিবে  এবং  অবশিষ্ট  ৪৯%  শেয়ার  পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ও সরকারের অনুমোদনক্রমে জনসাধারণের নিকট বিক্রয়ের জন্য নির্ধারণ করা যাইবে।

 

(৬) কর্পোরেশনের অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধনের প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের আদেশ-নির্দেশনা অনুসারে নির্ধারণ করিতে হইবে।

সভা এবং শেয়ারহোল্ডারগণের অধিকার

১৪। (১) কর্পোরেশনের শেয়ারহোল্ডারগণের বার্ষিক সাধারণ সভা পরবর্তী অর্থ বৎসরের হিসাব সমাপ্তির পূর্বে কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে বা প্রধান কার্যালয়ের নিকটবর্তী কোনো সুবিধাজনক স্থানে অনুষ্ঠিত হইবে।

(২) পরিচালনা পর্ষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিচালকগণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যে কোনো সময় শেয়ারহোল্ডারগণের বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করা যাইবে।

 

(৩) বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত শেয়ারহোল্ডারগণ কর্পোরেশনের বার্ষিক হিসাব, উহার কর্মকাণ্ডের উপর পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক প্রতিবেদন এবং বার্ষিক স্থিতিপত্র ও হিসাবের উপর নিরীক্ষকের প্রতিবেদনের বিষয়ে আলোচনা এবং পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক উপস্থাপিত সুপারিশমালা অনুমোদন করিবার অধিকারী হইবেন।

কর্পোরেশনের কর্মচারী নিয়োগ, ইত্যাদি

১৫।  (১) সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী উহার কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে।

(২) কর্পোরেশনের কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও চাকুরির শর্তাবলি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।

 

ব্যয় নির্বাহ

১৬।  (১) কর্পোরেশনের সকল প্রকার প্রশাসনিক, সংস্থাপন তথা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় ব্যয় ও বাণিজ্যিক ব্যয়, উহার যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ হইতে প্রাপ্ত আয় এবং উহার সম্পদের ব্যবহার হইতে প্রাপ্ত লভ্যাংশ বা পরিশোধিত মূলধন হইতে নির্বাহ করা যাইবে।

 

(২) কর্পোরেশনের ব্যয় নির্বাহের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধি-বিধান ও নির্দেশনা অনুসরণ করিতে হইবে।

আর্থিক ক্ষমতা

১৭।   সরকারি আর্থিক ক্ষমতা-অর্পণ সম্পর্কিত বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক কর্পোরেশন এবং পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক আর্থিক ক্ষমতা পুনঃঅর্পণ সাপেক্ষে উহার কর্মচারীগণ আর্থিক ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন।

বাজেট

১৮।  কর্পোরেশন প্রতি বৎসর পরবর্তী অর্থ বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে প্রণয়ন করিয়া সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং ইহাতে সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসরে কর্পোরেশনের আয়, ব্যয়, উদ্বৃত্ত বা ঘাটতির বিস্তারিত বিবরণী উল্লেখ থাকিবে।

হিসাবরক্ষণ ও নিরীক্ষা

১৯। (১) কর্পোরেশনের যথাযথভাবে উহার হিসাব সংরক্ষণ করিবে এবং লাভ-ক্ষতির হিসাব ও স্থিতিপত্রসহ বার্ষিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করিবে এবং এইরূপ হিসাব সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত সাধারণ নির্দেশনা পালন করিবে।

 

(২) বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহা হিসাব-নিরীক্ষক বলিয়া উল্লিখিত, প্রতি অর্থ বৎসর কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক অনুলিপি সরকার ও কর্পোরেশনের নিকট পেশ করিবেন।

 

(৩) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা প্রতিবেদনের উপর কোনো আপত্তি উত্থাপিত হইলে উহা নিষ্পত্তির জন্য কর্পোরেশন অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

 

(৪) উপ-ধারা (২) এ উল্লিখিত নিরীক্ষা ব্যতিরেকেও Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 - এ বর্ণিত কোনো Chartered Accountant দ্বারা কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষা করা যাইবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এতদুদ্দেশ্যে কর্পোরেশন  এক বা একাধিক Chartered Accountant নিয়োগ করিতে পারিবে এবং এইরূপ নিয়োগকৃত Chartered Accountant নির্দিষ্টকৃত হারে পারিতোষিক প্রাপ্য হইবেন।  

 

(৫) কর্পোরেশনের হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহা হিসাব-নিরীক্ষক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি বা উপ-ধারা (৪) এর অধীন নিয়োগকৃত Chartered Accountant কর্পোরেশনের সকল রেকর্ড, দলিল, বার্ষিক স্থিতিপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার বা অন্যবিধ সম্পত্তি, ইত্যাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং চেয়ারম্যান, পরিচালক বা যে কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।

বার্ষিক প্রতিবেদন

২০।  কর্পোরেশন প্রতি অর্থ বৎসরের হিসাব ও কর্মকাণ্ডের উপর একটি বার্ষিক প্রতিবেদন পরবর্তী অর্থ বৎসর সমাপ্তির পূর্বে সরকারের নিকট পেশ করিবে।

কোম্পানি গঠনের ক্ষমতা

২১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এক বা একাধিক কোম্পানি গঠন করিতে পারিবে।

যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনার ক্ষমতা

২২। (১) সড়ক পরিবহণ আইন, ২০১৮ এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কর্পোরেশন জনস্বার্থে সমগ্র বাংলাদেশের যে কোনো রুটে যাত্রী ও পণ্যবাহী মোটরযান পরিচালনা করিতে পারিবে।

 

(২) কর্পোরেশন জনস্বার্থে গণপরিবহণের সহিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সেবা পরিচালনা করিতে পারিবে।

বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

২৩।  এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

 

প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা

২৪। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইন ও বিধির সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ নহে এইরূপ প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।

জনসেবক

২৫।  কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং তাহার অধঃস্তন কর্মচারীগণ এই আইনের অধীন Penal Code, 1860 এর section 21 এ ‘‘public servant (জনসেবক)’’ অভিব্যক্তিটি যে অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে সেই অর্থে জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবেন।

সরকারি নির্দেশনা প্রদানের ক্ষমতা

২৬। (১) পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক গৃহীত কোনো সিদ্ধান্ত এই আইন বা সরকারি স্বার্থের পরিপন্থি হইলে সরকার উক্ত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন রহিত করিতে পারিবে।

 

(২) এই আইনে অন্তর্ভুক্ত নহে এইরূপ বিষয়ে সরকার বাস্তবতা বিবেচনা করিয়া স্বপ্রণোদিত হইয়া নির্দেশনা জারি করিতে পারিবে এবং কর্পোরেশন অনুরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়ণ করিবে।

 

(৩) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কর্পোরেশন সরকারের নির্দেশনা চাহিতে পারিবে এবং সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করিয়া প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিবে এবং কর্পোরেশন অনুরূপ নির্দেশনা বাস্তবায়ণ করিবে।  

রহিতকরণ ও হেফাজত

২৭। (১) Road Transport Corporation Ordinance, 1961 (East Pakistan Ordinance No. VII of 1961), অতঃপর উক্ত Ordinance বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্দ্বারা রহিত করা হইল।

 

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও, উক্ত Ordinance এর অধীন-

 

(ক) কৃত কোনো কার্য বা গৃহীত কোনো ব্যবস্থা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে;

 

(খ) প্রণীত কোনো বিধি, প্রবিধান, আদেশ, নির্দেশ, নীতিমালা বা অন্য কোনো দলিল বা ইনস্ট্রুমেন্ট, এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন নূতনভাবে প্রণীত বা জারি না হওয়া পর্যন্ত বা বিলুপ্ত না করা পর্যন্ত, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহ, পূর্বের ন্যায় চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে; এবং

(গ) কোনো কার্যধারা অনিষ্পন্ন থাকিলে উহা এইরূপে নিষ্পন্ন করিতে হইবে, যেন উক্ত Ordinance রহিত হয় নাই।

 

(৩) উক্ত Ordinance রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে উক্ত Ordinance এর অধীন প্রতিষ্ঠিত Bangladesh Road Transport Corporation - এর –

 

(ক) সকল ঋণ, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প এবং সকল প্রকার দাবি ও অধিকার যথাক্রমে কর্পোরেশন এর ঋণ, সম্পত্তি, অর্থ, কার্যক্রম, কর্মসূচি ও প্রকল্প এবং দাবি ও অধিকার হিসাবে গণ্য হইবে;

 

(খ)  সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি, যথাক্রমে কর্পোরেশন এর ঋণ, দায় ও দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা, উহার পক্ষে বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;

 

(গ)  বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত কোনো মামলা, গৃহীত কার্যধারা বা সূচিত যে কোনো কার্যক্রম অনিষ্পন্ন বা চলমান থাকিলে, উহা এমনভাবে নিষ্পন্ন হইবে যেন উহা এই আইনের অধীন কর্পোরেশন এর বিরুদ্ধে বা তৎকর্তৃক দায়েরকৃত, গৃহীত বা সূচিত হইয়াছে;

 

(ঘ)  Board of Directors, যদি থাকে, এর কার্যক্রম, বিদ্যমান মেয়াদ অবসানের পূর্বে বিলুপ্ত না হইলে বা এই আইনের অধীন পর্ষদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে;

 

(ঙ) কর্মচারীগণ এই আইন প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্বে যে শর্তাধীনে চাকুরিতে নিয়োজিত ছিলেন, এই আইন বা তদধীন প্রণীত প্রবিধান দ্বারা পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে কর্পোরেশন এর চাকুরিতে নিয়োজিত থাকিবেন এবং পূর্বের নিয়মে বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি হইবেন; এবং

 

(চ) কোনো সম্পত্তি নির্দিষ্ট কোনো শর্তে এবং নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদের জন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার নিকট ইজারা বা অন্য কোনোভাবে বরাদ্দ প্রদান করা হইয়া থাকিলে, উক্ত মেয়াদ অবসান না হওয়া পর্যন্ত, উক্ত সম্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইজারা গ্রহীতা বা বরাদ্দ গ্রহীতার বৈধ দাবি ও অধিকার উক্ত শর্তাধীনে অব্যাহত থাকিবে।

কর্পোরেশনের অবসায়ন

২৮। সরকারের আদেশ ব্যতীত কর্পোরেশনের অবসায়ন করা যাইবে না এবং সরকার যে পদ্ধতি নির্ধারণ করিবে সেই পদ্ধতিতে কর্পোরেশনের অবসায়ন ঘটানো যাইবে।

ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ

২৯।  (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

 

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।


Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs