প্রিন্ট
সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) 1[দফার] অধীন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনসমূহ আনুপাতিক হারে বণ্টন এবং বণ্টনকৃত আসনের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ ও তত্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন৷
যেহেতু সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) 2[দফার] অধীন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনসমূহ আনুপাতিক হারে বণ্টন এবং বণ্টনকৃত আসনের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ ও তত্সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;
সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল:-
২৷ বিষয় বা প্রসংগের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(ক) “অনিঃশেষিত ব্যালট পেপার” অর্থ যে ব্যালট পেপারে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতারত প্রার্থীর নামের বিপরীতে পরবর্তী পছন্দক্রম লিপিবদ্ধ থাকে সেই ব্যালট পেপার;
(খ) “কোটা” অর্থ কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচিত হইবার জন্য ধারা ১৬ এর অধীন নির্ধারিত কোটা;
(গ) “গণনা” অর্থ এই আইনের অধীন নির্ধারিত পদ্ধতিতে ভোট গণনা;
(ঘ) “জোট” অর্থ সংরক্ষিত মহিলা আসন বণ্টন এবং বণ্টনকৃত আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে ধারা ৩ এর অধীন গঠিত জোট;
(ঙ) “তফসিল” অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(চ) “নির্বাচন কমিশন” অর্থ সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের অধীন গঠিত নির্বাচন কমিশন;
(ছ) “প্যাকেট” অর্থ কোন প্রার্থীর অনুকূলে ভোট প্রদান চিহ্ন ‘১' সংখ্যা লিপিবদ্ধকৃত ব্যালট পোরগুলির জন্য উক্ত প্রার্থীর নামে পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত প্যাকেট;
(জ) “প্রতিদ্বন্দ্বিতারত প্রার্থী” অর্থ যে প্রার্থীকে গণনার তালিকা হইতে বাদ দেওয়া হয় নাই কিংবা যে প্রার্থীর নির্বাচিত হইবার বিষয়টি নির্ধারিত হয় নাই;
(ঝ) “বাদ দেওয়া প্রার্থী” অর্থ যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে গণনার তালিকা হইতে বাদ দেওয়া হইয়াছে;
(ঞ) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
(ট) “ব্যালট পেপার” অর্থ ধারা ১৩ এবং ধারা ৩০ এর উপ-ধারা (৬) এ উল্লিখিত ব্যালট পেপার;
(ঠ) “ভোটার” অর্থ সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ভোট প্রদান করিবার অধিকারী কোন সংসদ-সদস্য;
(ড) “ভোটমান” অর্থ ধারা ১৬ এর উপ-ধারা (১) ও (২) তে উল্লিখিত ভোটমান;
(ঢ) “মূলভোট” অর্থ কোন বৈধ ব্যালট পেপারে ভোট প্রদানের চিহ্ন ‘১' সংখ্যা লিপিবদ্ধকৃত কোন ভোট;
(ণ) “নিঃশেষিত ব্যালট পেপার” অর্থ যে ব্যালট পেপারে-
(অ) কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতারত প্রার্থীর নামের বিপরীতে পরবর্তী পছন্দক্রম লিপিবদ্ধ নাই; বা
(আ) দুই বা ততোধিক প্রার্থীর নামের বিপরীতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতারত প্রার্থী হউক বা না হউক, পরবর্তী পছন্দক্রম হিসাবে একই সংখ্যা লিপিবদ্ধ থাকে এবং গণনার সময় উক্ত পরবর্তী পছন্দক্রম হিসাবে উক্ত সংখ্যাটি আমলে নেওয়ার প্রয়োজন হয়; বা
(ই) পরবর্তী পছন্দক্রমধারী প্রার্থীর নামের বিপরীতে, প্রতিদ্বন্দ্বিতারত প্রার্থী হউক বা না হউক, পছন্দ চিহ্নটি ক্রমানুসারে লিপিবদ্ধ করা না থাকে কিংবা দুই বা ততোধিক পছন্দ চিহ্ন লিপিবদ্ধ থাকে;
(ত) “রাজনৈতিক দল” অর্থ সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় সংজ্ঞায়িত রাজনৈতিক দল;
(থ) “সংবিধান” অর্থ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান;
(দ) “সংসদ” অর্থ জাতীয় সংসদ;
(ধ) “সদস্য” অর্থ সংসদ-সদস্য;
(ন) “সাধারণ আসন” অর্থ কেবলমাত্র মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত আসন ব্যতীত সংসদের অন্য সকল আসন;
(প) “সাব-প্যাকেট” অর্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতারত কোন প্রার্থীর জন্য এই আইনের অধীন প্রস্তুতকৃত সাব-প্যাকেট;
(ফ) “সংরক্ষিত মহিলা আসন” অর্থ সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) 3[দফার] অধীন সংসদে কেবল মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন৷
৩৷ (১) সংসদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইবার তারিখের পরবর্তী ত্রিশ কার্য দিবসের মধ্যে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটওয়ারী সদস্যদের পৃথক পৃথক তালিকা প্রস্তুত করিবে৷
4[***]
(৩) কোন নির্দলীয় সদস্য কোন রাজনৈতিক দল বা জোটে যোগদান করিলে নির্বাচন কমিশন যোগদানকারী সদস্যকে সংশ্লিষ্ট দল বা জোটের মনোনয়নে নির্বাচিত সদস্য হিসাবে গণ্য করিয়া তাহার নাম উক্ত দল বা জোটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিবে৷
(৪) কোন রাজনৈতিক দল বা জোট অন্য কোন রাজনৈতিক দল বা জোটকে লইয়া পৃথক জোট গঠন করিলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট জোটের অন্তর্ভুক্ত দল এবং জোটের সকল সদস্য সমন্বয়ে একটি পৃথক তালিকা প্রস্তুত করিবে৷
(৫) কোন রাজনৈতিক দল বা জোট কোন নির্দলীয় সদস্যকে লইয়া পৃথক জোট গঠন করিলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট জোটের অন্তর্ভুক্ত সদস্য সমন্বয়ে একটি পৃথক তালিকা প্রস্তুত করিবে৷
(৬) কোন নির্দলীয় সদস্য উপ-ধারা (৩) বা (৫) এর অধীন কোন রাজনৈতিক দল বা জোটে যোগদান না করিয়া তিনি অন্য কোন নির্দলীয় সদস্যের সহিত একত্রিত হইয়া কোন স্বতন্ত্র নামে নির্দলীয় জোট গঠন করিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ জোট গঠন করিলে নির্বাচন কমিশন উক্ত জোটের নামে জোটের অন্তর্ভুক্ত সদস্যের জন্য একটি পৃথক তালিকা প্রস্তুত করিবে৷
(৭) উপ-ধারা (৩) এর অধীন রাজনৈতিক দল বা জোটে যোগদান এবং উপ-ধারা (৪), (৫) বা (৬) এর অধীন জোট গঠনের বিষয়টি কোন সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রকাশিত হইবার তারিখের পরবর্তী একুশ কার্যদিবসের মধ্যে 5[***] নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে৷
(৮) উপ-ধারা (৭) এ উল্লিখিত মেয়াদের মধ্যে কোন রাজনৈতিক দল বা জোটে যোগদান করেন নাই এমন কোন নির্দলীয় সদস্য থাকিলে নির্বাচন কমিশন তাহাদের নাম নির্দলীয় সদস্য তালিকা নামক একটি স্বতন্ত্র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং এই তালিকাভুক্ত সদস্যগণের সমন্বয়ে একটি নির্দলীয় জোট গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে৷
(৯) উপ-ধারা (১) 6[***] এ উল্লিখিত মেয়াদ শেষ হইবার অব্যবহিত পরবর্তী কার্যদিবসে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কোন প্রকাশ্য স্থানে এই ধারার অধীন প্রস্তুতকৃত তালিকাসমূহ টাঙ্গাইয়া প্রকাশ করিবে এবং এই তালিকাসমূহের প্রত্যয়নকৃত কপি সংসদ সচিবালয়ের কোন প্রকাশ্য স্থানে টাঙ্গাইয়া দেওয়ার জন্য সংসদ সচিবের নিকট প্রেরণ করিবে৷
(১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন প্রকাশিত সকল তালিকা ও উহাদের অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত উক্ত তালিকায় কোন প্রকার রদবদল করা যাইবে না, তবে কোন তালিকায় কমিশন কর্তৃক কোন ভুল করা হইয়া থাকিলে কমিশন তাহা সংশোধন করিতে পারিবে৷
৪৷ (১) সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে, নির্বাচন কমিশন, ধারা ৩ এর অধীন প্রকাশিত রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের তালিকার ভিত্তিতে প্রত্যেক তালিকার অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মোট আসন সংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী এই ধারার বিধান অনুসারে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও জোটের অনুকূলে সংরক্ষিত মহিলা আসনসমূহ বণ্টন করিবে৷
ব্যাখ্যা৷- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আসন গণনার ক্ষেত্রে, কোন সদস্য একাধিক সাধারণ আসন হইতে নির্বাচিত হইলে, উক্ত সদস্য যতসংখ্যক আসন হইতে নির্বাচিত হইবেন ততসংখ্যক আসনই গণনা করিতে হইবে৷
(২) এই ধারার অধীন সংরক্ষিত মহিলা আসনসমূহ বণ্টনের পর, পরবর্তীতে রাজনৈতিক দল বা জোটসমূহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের আসন সংখ্যার কোনরূপ পরিবর্তন হইলে উক্তরূপ পরিবর্তনের কারণে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টনকৃত সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যার কোন পরিবর্তন হইবে না৷
(৩) সংরক্ষিত মহিলা আসনের মোট সংখ্যাকে সংসদের সাধারণ আসনের মোট সংখ্যা দ্বারা ভাগ করিবার পর ভাগফল হিসাবে প্রাপ্ত সংখ্যা দ্বারা উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত প্রত্যেক রাজনৈতিক দল বা জোটের অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মোট আসন সংখ্যাকে গুণ করিয়া যে সংখ্যা পাওয়া যাইবে সেই সংখ্যাই হইবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টনতব্য সংরক্ষিত মহিলা আসন সংখ্যা৷
(৪) এই ধারার অধীন রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে সংরক্ষিত মহিলা আসন বণ্টনের উদ্দেশ্যে আনুপাতিক হার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কোন ভগ্নাংশ দেখা দিলে এবং উক্ত ভগ্নাংশ-
(ক) শূন্য দশমিক পাঁচ বা উহা হইতে বেশী হইলে উক্ত ভগ্নাংশকে পূর্ণ এক সংখ্যা গণনা করিতে হইবে; এবং
(খ) শূন্য দশমিক পাঁচ অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর হইলে উক্ত ভগ্নাংশকে শূন্য সংখ্যা গণনা করিতে হইবে৷
(৫) আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের পর বণ্টনকৃত আসনসমূহের যোগফল 7[পঞ্চাশ] অপেক্ষা বেশী হইলে অতিরিক্ত আসন বা আসনসমূহ নিম্নরূপ পদ্ধতিতে কর্তন করিতে হইবে, যথা:-
(ক) অতিরিক্ত আসনের সংখ্যা একটি হইলে, যে সকল রাজনৈতিক দল বা জোট আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যা গণনা করিবার কারণে কোন আসন প্রাপ্ত হইয়াছে সেই সকল রাজনৈতিক দল বা জোটের মধ্যে ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের অধিকারী রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বরাদ্দকৃত আসন হইতে উক্ত অতিরিক্ত আসনটি কর্তন করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের অধিকারী রাজনৈতিক দল বা জোটের সংখ্যা একাধিক হইলে, কোন্ রাজনৈতিক দল বা জোটের প্রাপ্ত আসন হইতে সংশ্লিষ্ট আসনটি কর্তন করিতে হইবে, তাহা লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করিতে হইবে;
(খ) অতিরিক্ত আসন সংখ্যা একাধিক হইলে, যে সকল রাজনৈতিক দল বা জোট আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যা গণনা করিবার কারণে কোন আসন প্রাপ্ত হইয়াছে, সেই সকল রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টনকৃত আসন হইতে উক্ত আসন কর্তন করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ রাজনৈতিক দল বা জোটের মধ্যে যে রাজনৈতিক দল বা জোটের আনুপাতিক হারের ভগ্নাংশ ক্ষুদ্রতম সেই রাজনৈতিক দল বা জোটের আসন হইতে উক্ত ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশের মানের ঊর্ধ্বক্রম অনুসারে কর্তন আরম্ভ করিতে হইবে:
আরও শর্ত থাকে যে, এক বা একাধিক রাজনৈতিক দল বা জোটের ভগ্নাংশের পরিমাণ সমান হইলে এবং অতিরিক্ত আসন সংখ্যা উক্তরূপ দল বা জোটের সংখ্যা হইতে কম হইলে, কোন রাজনৈতিক দল বা জোটের আসন হইতে কর্তন করিতে হইবে তাহা লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করিতে হইবে৷
(৬) আনুপাতিক হারে আসন বণ্টনের পর বণ্টনকৃত আসনসমূহের যোগফল 8[পঞ্চাশ] অপেক্ষা কম হইলে, অবশিষ্ট আসন বা আসনসমূহ নিম্নরূপ পদ্ধতিতে বণ্টন করিতে হইবে, যথা:-
(ক) অবশিষ্ট আসনের সংখ্যা একটি হইলে, উক্ত আসনটি যে রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে সবচেয়ে বেশী সংখ্যক সংরক্ষিত মহিলা আসন বণ্টন করা হইয়াছে সেই রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টন করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ রাজনৈতিক দল বা জোটের সংখ্যা একাধিক হইলে, কোন্ রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে উক্ত আসন বণ্টন করিতে হইবে তাহা লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করিতে হইবে;
(খ) অবশিষ্ট আসনের সংখ্যা একাধিক হইলে, বণ্টনকৃত সংরক্ষিত মহিলা আসনসমূহের মধ্যে সর্বাধিক আসন লাভকারী রাজনৈতিক দল বা জোটের আনুপাতিক হারের নিম্নক্রম অনুসারে প্রত্যেকের অনুকূলে একটি করিয়া আসন বণ্টন করিতে হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ রাজনৈতিক দল বা জোটের আসন সংখ্যা সমান থাকিলে এবং অবশিষ্ট আসনের সংখ্যা উক্তরূপ রাজনৈতিক দল বা জোটের সংখ্যা হইতে কম হইলে, কোন রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে উক্তরূপ আসন বা আসনসমূহ বণ্টন করিতে হইবে তাহা লটারীর মাধ্যমে নির্ধারণ করিতে হইবে:
আরও শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ রাজনৈতিক দল বা জোটের সংখ্যা অবশিষ্ট আসনের সংখ্যা হইতে কম হইলে, অবশিষ্ট আসনগুলি উপরি-উক্ত পদ্ধতিতে বণ্টন করিবার পর যে আসন বা আসনসমূহ অবশিষ্ট থাকিবে সেই আসন বা আসনসমূহ সর্বাধিক সংরক্ষিত মহিলা আসনপ্রাপ্ত রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টন করিতে হইবে৷
(৭) এই ধারার অধীন আসন বণ্টনে ভগ্নাংশকে পূর্ণ সংখ্যা গণনার বিষয়ে কোন বিতর্ক দেখা দিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হইবে৷
৫৷ (১) সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণকারী সকল ব্যক্তি সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের নির্বাচনে ভোটার হইবেন৷
(২) সংসদ সচিবালয়ের সচিব উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত সংসদ-সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করিয়া শপথ গ্রহণের তারিখের অব্যবহিত পরবর্তী তিন কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন সংসদ সচিবালয়ের সচিবের নিকট হইতে তালিকা প্রাপ্ত হইবার পর নির্বাচন কমিশন তদ্নুসারে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দল ও জোটওয়ারী পৃথক পৃথক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করিবে৷
9[***]
(৫) নির্বাচন কমিশন এই ধারার বিধান অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত ভোটার তালিকা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ভোট গ্রহণের তারিখের পূর্ব দিন পর্যন্ত সংশোধন করতঃ হাল নাগাদ করিতে পারিবে৷
৬৷ 10[***] নির্বাচন কমিশন সংসদের কোন সাধারণ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রকাশের তারিখ হইতে পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন সম্পন্ন করিবে এবং এই লক্ষ্যে সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা মনোনয়ন পত্র দাখিল, বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ এবং ভোট গ্রহণের স্থান ও তারিখ নির্ধারণপূর্বক নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করিবে৷
11[***]
৯৷ (১) নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ধারা ৪ এর অধীন কোন রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টনকৃত সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন প্রার্থী কেবলমাত্র উক্ত রাজনৈতিক দল বা জোট কর্তৃক মনোনীত হইবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৩ এর উপ-ধারা (৮) এ উল্লিখিত জোটের অনুকূলে বণ্টনকৃত আসনে সেই জোটের সদস্য কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং সমর্থিত কোন প্রার্থীর উক্ত রূপে মনোনীত হইবার প্রয়োজন হইবে না৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন মনোনীত কোন প্রার্থীর নাম সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল বা জোটের কোন ভোটার কর্তৃক প্রস্তাবিত এবং উক্ত দল বা জোটের জন্য একজন ভোটার কর্তৃক সমর্থিত হইতে হইবে৷
(৩) কোন রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টনকৃত সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল বা জোটের কোন ভোটার একাধিক প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করিতে কিংবা সমর্থন করিতে পারিবেন৷
(৪) প্রত্যেক মনোনয়নপত্র এই আইনের দ্বিতীয় তফসিলের ফরম ‘ক'- তে হইতে হইবে এবং উক্ত মনোনয়নপত্র প্রার্থী বা তাহার প্রস্তাবক বা সমর্থক কর্তৃক রিটার্ণিং অফিসারের নিকট তাঁর অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে দাখিল করিতে হইবে৷
(৫) সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হইবার যোগ্য কোন মহিলা সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের জন্য একাধিক মনোনয়নপত্র দাখিল করিতে পারিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন প্রার্থী একই সঙ্গে একাধিক রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে বণ্টনকৃত সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করিতে পারিবেন না৷
(৬) রিটার্ণিং অফিসার কোন মনোনয়নপত্র প্রাপ্ত হইবার পর-
(ক) লিখিতভাবে উহার প্রাপ্তি স্বীকার করিবেন;
(খ) মনোনয়নপত্রে প্রদর্শিত প্রস্তাবক ও সমর্থক ধারা ৫ অনুযায়ী ভোটার কিনা তত্সম্পর্কে নিশ্চিত হইবেন; এবং
(গ) মনোনয়নপত্রে কোন প্রার্থীর নাম বা বর্ণনা সম্পর্কে কোন ভুল থাকিলে তাহা সংশোধন করিবার জন্য অনুমতি দিবেন এবং অনুরূপ কোন বর্ণনায় লিখন বা মুদ্রণ সংক্রান্ত ত্রুটি উপেক্ষা করিবেন৷
(৭) রিটার্ণিং অফিসার প্রত্যেক মনোনয়নপত্রের উপর মনোনয়নপত্র দাখিলকারী হিসাবে প্রার্থী, প্রস্তাবক বা সমর্থকের নাম, প্রাপ্তির তারিখ ও সময় প্রত্যয়ন করিবেন৷
(৮) রিটার্ণিং অফিসার তাহার অফিসের কোন দর্শনীয় স্থানে তত্কর্তৃক প্রাপ্ত প্রত্যেক মনোনয়নপত্র সম্পর্কে একটি নোটিশ টাঙ্গাইয়া দিবেন যাহাতে মনোনয়নপত্রে প্রদর্শিতরূপে প্রার্থী এবং তাহার প্রস্তাবক ও সমর্থকের নামের বিবরণ অন্তর্ভুক্ত থাকিবে৷
(৯) এই ধারার অধীন কোন মনোনয়নপত্র গৃহীত হইবে না, যদি-
(ক) ইহা দাখিলের সময় প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক নগদ 12[বিশ হাজার (২০,০০০)] টাকা জমা দেওয়া না হয়; অথবা
13[(খ) ইহার সহিত প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক ব্যাংক ড্রাফ্ট বা পে অর্ডার বা কোন সরকারী ট্রেজারি বা সাব ট্রেজারিতে পূর্বোক্ত অর্থ নির্ধারিত কোডে জমা প্রদানের রসিদ সংযুক্ত না করা হয়।]
ব্যাখ্যা৷- সরকারী ট্রেজারি বা সাব-ট্রেজারিতে উক্তরূপে জমার নিমিত্ত হিসাবের খাত হইবে “৬/১০৫১/০০০০/৮৪৭৩”৷
২৭৷ সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া ব্যতীত, অন্য কোন কারণে কোন সংরক্ষিত মহিলা আসন শূন্য হইলে, অনুরূপ শূন্য হইবার 14[নব্বই] দিনের মধ্যে উক্ত শূন্য আসনটি পূরণ করিবার জন্য উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে:
তবে শর্ত থাকে যে, যে রাজনৈতিক দল বা জোটের অনুকূলে উক্ত আসনটি বণ্টন করা হইয়াছিল পূর্বোল্লিখিত আসনটি সেই রাজনৈতিক দল বা জোটের মনোনীত প্রার্থী বা প্রার্থীগণের মধ্য হইতে উক্ত দল বা জোটের ভোটারগণ কর্তৃক এই আইনের বিধান অনুযায়ী পূরণ করিতে হইবে৷