প্রিন্ট

16/10/2024
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯

( ২০০৯ সনের ২৬ নং আইন )


ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন।

       যেহেতু ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ ও তৎসশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

 
 
 
 

       সেহেতু এতদ্‌দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১) এই আইন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।
 
     (২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২৷ বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
 
 
(১) "অধিদপ্তর" অর্থ ধারা ১৮ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর;
 
 
(২) "অভিযোগ" অর্থ এই আইনের অধীন নির্ধারিত ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন কার্যের জন্য কোন বিক্রেতার বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট লিখিতভাবে দায়েরকৃত নালিশ;
 
 
(৩) "অভিযোগকারী" অর্থ নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ, যিনি বা যাহারা এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ দায়ের করেন-
 
 
(ক) কোন ভোক্তা;
 
 
(খ) একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক ভোক্তা;
 
 
(গ) কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন ভোক্তা সংস্থা;
 
 
(ঘ) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বা উহার পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা;
 
 
(ঙ) সরকার বা, এতদুদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন সরকারী কর্মকর্তা; বা
 
 
(চ) সংশ্লিষ্ট পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী;
 
 
(৪) "উৎপাদনকারী" অর্থ কোন ব্যক্তি, যিনি-
 
 
(ক) কোন পণ্য অথবা উহার অংশবিশেষ প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন;
 
 
(খ) কোন পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন করেন না, কিন্তু আইন অনুযায়ী অন্যের প্রস্তুতকৃত বা উৎ‍পাদিত পণ্যের অংশসমূহ সংযোজন করিয়া থাকেন এবং এইরূপে সংযোজিত পণ্যকে নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য বলিয়া দাবী করেন;
 
 
(গ) আইন অনুযায়ী অন্যের প্রস্তুতকৃত বা উৎপাদিত কোন পণ্যের উপর নিজস্ব ট্রেডমার্ক সন্নিবেশ করিয়া উক্ত পণ্যকে নিজস্ব প্রস্তুতকৃত কিংবা উৎপাদিত পণ্য বলিয়া দাবী করেন; বা
 
 
(ঘ) বাংলাদেশের বাহিরে উৎপাদিত হয় এমন কোন পণ্য, যে পণ্য উ‍ৎপাদকের বাংলাদেশে কোন শাখা অফিস বা ব্যবসায়িক অফিস নাই, আমদানি বা বিতরণ করেন;
 
 
ব্যাখ্যাঃ কোন দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য উহার কোন স্ব-নিয়ন্ত্রিত বা স্ব-পরিচালিত শাখা অফিসে সংযোজন করিয়া থাকিলেও, উক্ত শাখা অফিস উৎপাদক হিসাবে গণ্য হইবে না;
 
 
(৫) "ঔষধ" অর্থ মানুষ, মৎস্য ও গবাদি পশু-পাখির রোগ প্রতিরোধ বা রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহার্য এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক বা অন্য যে কোন ঔষধ;
 
 
(৬) "কারাদণ্ড" অর্থ সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড;
 
 
(৭) "খাদ্য পণ্য" অর্থ মানুষ বা গবাদি পশু-পাখির জীবন ধারণ, পুষ্টি সাধন ও স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য ফল-মূল এবং পানীয়সহ অন্য যে কোন খাদ্যদ্রব্য;
 
 
(৮) "গবেষণাগার" অর্থ কোন আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত বা সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন গবেষণাগার বা প্রতিষ্ঠান, যে নামেই অভিহিত হউক;
 
 
(৯) "নকল" অর্থ বাজারজাতকরণের জন্য অনুমোদিত কোন পণ্যের অননুমোদিত অনুকরণে অনুরূপ পণ্যের সৃষ্টি বা প্রস্তুত, যাহার মধ্যে উক্ত পণ্যের গুণাগুণ, উপাদান, উপকরণ বা মান বিদ্যমান থাকুক বা না থাকুক;
 
 
(১০) "নির্ধারিত" অর্থ বিধি দ্বারা নির্ধারিত এবং বিধি প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত মহাপরিচালক কর্তৃক লিখিত আদেশ দ্বারা নির্ধারিত;
 
 
(১১) "পণ্য" অর্থ যে কোন অস্থাবর বাণিজ্যিক সামগ্রী যাহা অর্থ বা মূল্যের বিনিময়ে কোন ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট হইতে ক্রয় করেন বা করিতে চুক্তিবদ্ধ হন;
 
 
(১২) "পরিষদ" অর্থ ধারা ৫ এর অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ;
 
 
(১৩) "প্রবিধান" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত প্রবিধান;
 
 
(১৪) "ফৌজদারী কার্যবিধি" অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No.V of 1898);
 
 
(১৫) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;
 
 
(১৬) "বিক্রেতা" অর্থ কোন পণ্যের উৎপাদনকারী, প্রস্তুতকারী, সরবরাহকারী এবং পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতাও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(১৭) "ব্যক্তি" অর্থ কোন ব্যক্তি, কোম্পানী, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
 
 
(১৮) "ভেজাল" অর্থ Pure Food Ordinance, 1959 (Ordinance No. LXVIII of 1959) এর section 3(1) এ সংজ্ঞায়িত adulteration এবং Special Powers Act, 1974 (Act No. XIV of 1974) এর section 25C বা অন্য কোন আইনে উল্লিখিত adulteration বা ভেজাল;
 
 
(১৯) "ভোক্তা" অর্থ এমন কোন ব্যক্তি,-
 
 
(ক) যিনি পুনঃবিক্রয় ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত-
 
 
(অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোন পণ্য ক্রয় করেন;
 
 
(আ) আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রুত মূল্যের বিনিময়ে কোন পণ্য ক্রয় করেন; বা
 
 
(ই) প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোন পণ্য ক্রয় করেন;
 
 
(খ) যিনি ক্রেতার সম্মতিতে দফা (ক) এর অধীন ক্রীত পণ্য ব্যবহার করেন;
 
 
(গ) যিনি পণ্য ক্রয় করিয়া উহা, আত্মকর্ম সংস্থানের মাধ্যমে স্বীয় জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করেন;
 
 
(ঘ) যিনি,-
 
 
(অ) মূল্য পরিশোধে বা মূল্য পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে কোন সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন; বা
 
 
(আ) আংশিক পরিশোধিত ও আংশিক প্রতিশ্রুত মূল্যের বিনিময়ে কোন সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন; বা
 
 
(ই) প্রলম্বিত মেয়াদ বা কিস্তির ব্যবস্থায় মূল্য পরিশোধের বিনিময়ে কোন সেবা ভাড়া বা অন্যভাবে গ্রহণ করেন; বা
 
 
(ঙ) যিনি সেবা গ্রহণকারীর সম্মতিতে দফা (ঘ) এর অধীন গৃহীত কোন সেবার সুবিধা ভোগ করেন;
 
 
(২০) "ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য" অর্থ,-
 
 
(ক) কোন আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোন পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;
 
 
(খ) জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;
 
 
(গ) মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য, কোন খাদ্যপণ্যের সহিত যাহার মিশ্রণ কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, উক্তরূপ দ্রব্য মিশ্রিত কোন পণ্য বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা;
 
 
(ঘ) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করা;
 
 
(ঙ) প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা;
 
 
(চ) কোন পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময়ে ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
 
 
(ছ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হওয়া;
 
 
(জ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুত পরিমাপ অপেক্ষা কম পরিমাপের পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করা;
 
 
(ঝ) কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছু প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য প্রদর্শনকারী হওয়া;
 
 
(ঞ) কোন নকল পণ্য বা ঔষধ প্রস্তুত বা উ‍ৎপাদন করা;
 
 
(ট) মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা বা করিতে প্রস্তাব করা; বা
 
 
(ঠ) সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হইতে পারে এমন কোন কার্য করা, যাহা কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে;
 
 
(২১) "মহাপরিচালক" অর্থ জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক; এবং
 
 
(২২) "সেবা" অর্থ পরিবহন, টেলিযোগাযোগ, পানি-সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, জ্বালানী, গ্যাস, বিদ্যুৎ‍, নির্মাণ, আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ এবং স্বাস্থ্য সেবা, যাহা ব্যবহারকারীদের নিকট মূল্যের বিনিময়ে লভ্য করিয়া তোলা হয়, তবে বিনামূল্যে প্রদত্ত সেবা ইহার অর্ন্তভুক্ত হইবে না৷
এই আইন অতিরিক্ত গণ্য হওয়া
৩। এই আইনের বিধানাবলী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের কোন বিধানকে ক্ষুণ্ন না করিয়া উহার অতিরিক্ত হিসাবে কার্যকর হইবে।
আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি
৪। সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যে কোন সেবা বা এলাকাকে নির্ধারিত মেয়াদের জন্য এই আইনের প্রয়োগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।

দ্বিতীয় অধ্যায়

পরিষদ প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি

পরিষদ প্রতিষ্ঠা
৫। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে একটি পরিষদ থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(১) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি ইহার চেয়ারম্যানও হইবেন;
 
 
(২) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, পদাধিকারবলে;
 
 
(৩) জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;
 
 
(৪) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক, পদাধিকারবলে;
 
 
(৫) শিল্প মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(৬) কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(৭) মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(৮) খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(৯) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(১০) জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অন্যূন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(১১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অন্যুন যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(১২) জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান, পদাধিকারবলে;
 
 
(১৩) পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা;
 
 
(১৪) ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি, পদাধিকারবলে;
 
 
(১৫) ঔষধ শিল্প সমিতির সভাপতি, পদাধিকারবলে;
 
 
(১৬) কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি, পদাধিকারবলে;
 
 
(১৭) জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, পদাধিকারবলে;
 
 
(১৮) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এর পরিচালক, পদাধিকারবলে;
 
 
(১৯) সরকার কর্তৃক মনোনীত তিনজন বিশিষ্ট নাগরিক;
 
 
(২০) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাজার অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্প ও জনপ্রশাসনে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন অন্যূন দুইজন মহিলা সদস্য সমন্বয়ে চারজন সদস্য;
 
 
(২১) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন শিক্ষক প্রতিনিধি;
 
 
(২২) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন শ্রমিক প্রতিনিধি;
 
 
(২৩) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন কৃষক প্রতিনিধি; এবং
 
 
(২৪) মহাপরিচালক, যিনি উহার সচিবও হইবেন।
সদস্য পদের মেয়াদ
৬৷ (১) উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে পরিষদের কোন মনোনীত সদস্য তাহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎ‍সর ছয় মাসের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সত্ত্বেও মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় উহার প্রদত্ত কোন মনোনয়ন বাতিল করিয়া উপযুক্ত নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবে।
পরিষদের সভা
৭৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, পরিষদ উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) পরিষদের সভা চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) প্রতি ২ (দুই) মাসে পরিষদের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৪) পরিষদের সকল সভায় চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৫) চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৬) অন্যূন ১০ (দশ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে পরিষদের সভার কোরাম গঠিত হইবে।
 
 
(৭) উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির একটি নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
 
 
(৮) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা পরিষদ গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে পরিষদের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
পরিষদের কার্যাবলী
৮৷ পরিষদের কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
(ক) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নে মহাপরিচালক ও জেলা কমিটিকে নির্দেশনা প্রদান;
 
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় প্রবিধানমালা প্রণয়ন;
 
 
(গ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে সরকার কর্তৃক প্রেরিত যে কোন বিষয় বিবেচনা করা এবং মতামত প্রদান;
 
 
(ঘ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন ও প্রশাসনিক নির্দেশনা প্রণয়নের বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান;
 
 
(ঙ) ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
 
 
(চ) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের সুফল এবং ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের কুফল সম্পর্কে গণসচেতনতা গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ছ) ভোক্তা-অধিকার সম্পর্কে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা;
 
 
(জ) অধিদপ্তর, মহাপরিচালক এবং জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও পর্যবেক্ষণ; এবং
 
 
(ঝ) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ।
পরিষদের তহবিল
৯৷ (১) পরিষদের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য উহার একটি নিজস্ব তহবিল থাকিবে এবং নিম্নবর্ণিত উৎসসমূহ হইতে প্রাপ্ত অর্থ উক্ত তহবিলে জমা হইবে, যথাঃ-
 
 
(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(খ) সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
 
 
(ঘ) পরিষদের অর্থ বিনিয়োগ হইতে প্রাপ্ত মুনাফা; এবং
 
 
(ঙ) অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
 
 
(২) পরিষদের তহবিল বা উহার অংশবিশেষ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ করা যাইবে।
 
 
(৩) তহবিলে জমাকৃত অর্থ পরিষদের নামে তৎকর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে।
 
 
(৪) প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে।
জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি প্রতিষ্ঠা
১০। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রত্যেক জেলায় জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি নামে একটি জেলা কমিটি থাকিবে, যাহা নিম্নরূপ সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথা :-
 
 
(ক) জেলা প্রশাসক, পদাধিকারবলে, যিনি উহার সভাপতিও হইবেন;
 
 
(খ) জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি, পদাধিকারবলে;
 
 
(গ) সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন ভোক্তা-অধিকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
 
 
(ঘ) সিভিল সার্জন, পদাধিকারবলে;
 
 
(ঙ) পুলিশ সুপার, পদাধিকারবলে;
 
 
(চ) পৌরসভা বা, ক্ষেত্রমত, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্তৃক মনোনীত একজন প্রতিনিধি;
 
 
(ছ) সরকার কর্তৃক মনোনীত বাজার অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্প এবং জনপ্রশাসনে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, চারজন প্রতিনিধি;
 
 
 
(জ) জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত তাহার কার্যালয়ে কর্মরত অন্যূন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, যিনি উহার সচিবও হইবেন।
 
 
(২) জেলা কমিটির মনোনীত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বৎসর ছয় মাসের জন্য সদস্য পদে বহাল থাকিবেন :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, মনোনয়ন প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ যে কোন সময় তৎকর্তৃক প্রদত্ত মনোনয়ন বাতিল করিয়া নূতন কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন প্রদান করিতে পারিবেন।
জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী
১১৷ জেলা কমিটির দায়িত্ব ও কার্যাবলী হইবে নিম্নরূপ, যথাঃ-
 
 
(ক) ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ সম্পর্কে পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা, যদি থাকে, প্রতিপালন করা;
 
 
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদের কার্যাবলী সম্পাদনে উহাকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা;
 
(গ) ভোক্তা-অধিকার বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করিবার জন্য প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণা, সভা, সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করা;
 
 
(ঘ) পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ভোক্তাদের ব্যবহারের জন্য অন্যান্য পণ্য উৎপাদন ও বিপণন প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলী তদারক ও পরিবীক্ষণ করা;
 
 
(ঙ) পরিষদ কর্তৃক অর্পিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন করা; এবং
 
 
(চ) উপরি-উক্ত কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজনে আনুষঙ্গিক যে কোন কার্য সম্পাদন করা।
জেলা কমিটির সভা
১২৷ (১) এই ধারার অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, জেলা কমিটি উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
 
 
(২) জেলা কমিটির সভা উহার সভাপতি কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবেঃ-
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি মাসে জেলা কমিটির কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
 
 
(৩) জেলা কমিটির সভাপতি উক্ত কমিটির সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন।
 
 
(৪) অন্যূন ৫ (পাঁচ) জন সদস্যের উপস্থিতিতে সভার কোরাম গঠিত হইবে।
 
 
(৫) শুধুমাত্র কোন সদস্যপদে শূন্যতা বা কমিটি গঠনে ত্রুটি থাকিবার কারণে জেলা কমিটির কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না এবং তৎ‍সম্পর্কে কোন প্রশ্নও উত্থাপন করা যাইবে না।
উপজেলা কমিটি, ইউনিয়ন কমিটি ইত্যাদি
১৩৷ (১) অধিদপ্তর, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনবোধে, প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি এবং প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ কমিটি গঠন করিতে পারিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রত্যেক উপজেলা কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটির-
 
 
(ক) সদস্য সংখ্যা, সদস্যদের মনোনয়ন, যোগ্যতা, অপসারণ ও পদত্যাগ সংক্রান্ত বিধানাবলী; এবং
 
 
(খ) দায়িত্ব, কার্যাবলী এবং সভার কার্যপদ্ধতি, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে৷
জেলা কমিটি, ইত্যাদির তহবিল
১৪। (১) প্রতিটি জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটির একটি করিয়া তহবিল থাকিবে।
 
 
(২) জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটির তহবিল রক্ষণ, উহার অর্থ ব্যয় এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়াদি প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
 
 
(৩) এই আইনের অধীন মামলা, ল্যাবরেটরী পরীক্ষার খরচসহ জেলা কমিটির প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যয় প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি বা, ক্ষেত্রমত, ইউনিয়ন কমিটির তহবিল হইতে নির্বাহ করা যাইবে।
বাজেট
১৫৷ পরিষদ প্রতি বৎসর, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে, অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে সরকারের নিকট হইতে জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটি এবং ইউনিয়ন কমিটিসহ পরিষদের কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।
হিসাব রক্ষণ ও নিরীক্ষা
১৬৷ (১) পরিষদ যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করিবে।
 
 
(২) বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর মহাহিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি প্রতি বৎসর পরিষদের তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও পরিষদের নিকট পেশ করিবেন।
 
 
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি পরিষদের সকল রেকর্ড, দলিল ও কাগজপত্র, নগদ বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভাণ্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং পরিষদের যে কোন সদস্য, মহাপরিচালক এবং পরিষদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
বার্ষিক প্রতিবেদন
১৭। পরিষদ প্রতি বৎসর ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বৎসরের স্বীয় কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং সরকার, যথাশীঘ্র সম্ভব, উহা জাতীয় সংসদে উত্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।

তৃতীয় অধ্যায়

অধিদপ্তর, মহাপরিচালক, ইত্যাদি

অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা, ইত্যাদি
১৮৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে একটি অধিদপ্তর থাকিবে, যাহা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নামে অভিহিত হইবে।
 
 
     (২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করিবে।
 
 
     (৩) অধিদপ্তর পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সহায়তা প্রদান করিবে এবং পরিষদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য দায়ী থাকিবে।
অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি
১৯৷ (১) অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে।
 
 
(২) সরকার, প্রয়োজন মনে করিলে, ঢাকার বাহিরে যে কোন জেলায় অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় স্থাপন করিতে পারিবে।
মহাপরিচালক
২০। (১) অধিদপ্তরের একজন মহাপরিচালক থাকিবেন।
 
 
(২) মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং তাহার চাকুরীর শর্তাদি সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
 
 
(৩) মহাপরিচালক অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক কর্মকর্তা হইবেন এবং এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে, পরিষদ কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন।
 
 
(৪) মহাপরিচালক কর্তৃক কার্যাবলী সম্পাদনের সুবিধার্থে কোন ব্যক্তি মহাপরিচালক বরাবরে ফ্যাক্স, ই-মেইল বা অন্য কোন উপায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করিতে পারিবে।
 
 
(৫) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে, বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন ব্যক্তি অস্থায়ীভাবে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।
মহাপরিচালকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
২১৷ (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধ এবং ভোক্তা-অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করিবার লক্ষ্যে সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত সকল কার্যক্রম মহাপরিচালক গ্রহণ করিতে পারিবেন৷
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানের সহিত সামঞ্জস্য রাখিয়া মহাপরিচালক নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন, যথাঃ-
 
(ক) এই আইনের উদ্দেশ্যের সহিত সম্পর্কযুক্ত কোন প্রতিপক্ষ বা সংস্থার কার্যাবলীর সহিত সমন্বয় সাধন;
 
(খ) ভোক্তার অধিকার ক্ষুণ্ন হইতে পারে এইরূপ সম্ভাব্য কার্য প্রতিরোধের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, উহাদের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নির্ধারণ ও তৎসম্পর্কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(গ) কোন পণ্য বা সেবার নির্ধারিত মান বিক্রেতা কর্তৃক সংরক্ষণ করা হইতেছে কিনা উহা তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঘ) কোন পণ্যের বিক্রয় বা সরবরাহের ক্ষেত্রে ওজন বা পরিমাপে কারচুপি করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঙ) কোন পণ্য বা ঔষধের নকল প্রস্তুত, উৎপাদন ও বাজারজাত করা হইতেছে কিনা এবং উহার দ্বারা ক্রেতা সাধারণ প্রতারণার শিকার হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(চ) কোন পণ্য বা ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ছ) কোন আইন বা বিধির অধীন নির্দেশিত মতে কোন পণ্য বা ঔষধের মোড়কে উক্ত পণ্য বা ঔষধ উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার তারিখ, সঠিক ব্যবহার- বিধি ও পরিমাণ মুদ্রণ করা হইয়াছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ;
 
 
(জ) মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঝ) মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোন খাদ্য-পণ্য প্রস্তুত, উৎপাদন বা বিক্রয় করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঞ) মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কোন প্রক্রিয়ায় কোন পণ্য উৎ‍পাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ট) বৈধ লাইসেন্স ব্যতিরেকে অবৈধভাবে কোথাও কোন ঔষধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ঠ) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য অসত্য বিজ্ঞাপন দ্বারা ভোক্তা সাধারণকে প্রতারিত করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
 
 
(ড) সাধারণ যাত্রী পরিবহনকারী কোন যানবাহন যথা- মিনিবাস, বাস, লঞ্চ, স্টিমার ও ট্রেন অবৈধভাবে অদক্ষ ও অননুমোদিত চালক দ্বারা চালনা করিয়া যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং
 
 
(ঢ) কোন আইন বা বিধির অধীন আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করিয়া সেবা গ্রহীতাদের জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন করা হইতেছে কিনা উহার তদারকি করিয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ৷
 
 
(৩) মহাপরিচালক প্রতি বৎসর ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত ১ (এক) বৎসরের স্বীয় কার্যাবলী এবং জেলার কার্যাবলী, যদি থাকে, সম্পর্কে একটি সমন্বিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করিবেন এবং উহা পরিষদের নিকট অনুমোদনের জন্য পেশ করিবেন৷
কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
২২৷ অধিদপ্তরের কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
মহাপরিচালক বা অন্য কোন কর্মকর্তার তদন্তের ক্ষমতা
২৩৷ (১) এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের বিষয়ে মহাপরিচালকের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা থাকিবে।
 
      (২) সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অনুরূপ ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে।
পরোয়ানা জারীর ক্ষমতা
২৪৷ (১) মহাপরিচালক অথবা সরকারের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে,-
 
(ক) কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ করিয়াছেন; বা
 
(খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংক্রান্ত কোন বস্তু বা উহা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোন দলিল, কাগজপত্র বা কোন প্রকার জিনিসপত্র কোন স্থানে বা কোন ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে;
 
তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিবার জন্য বা অপরাধ সংশ্লিষ্ট উক্ত বস্তু, দলিল, কাগজপত্র বা জিনিসপত্র যে স্থানে রক্ষিত আছে সে স্থান তল্লাশীর জন্য পরোয়ানা জারী করিতে পারিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত কোন পরোয়ানা কার্যকর করিবার জন্য যাহার নিকট প্রেরণ করা হইবে, উহা কার্যকর করিবার বিষয়ে তাহার ধারা ২৩ এ উল্লিখিত কর্মকর্তার সকল ক্ষমতা থাকিবে৷
প্রকাশ্য স্থান, ইত্যাদিতে আটক বা গ্রেফতারের ক্ষমতা
২৫৷ এই আইনের অধীন গৃহীত কোন অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্যক্রমে কোন কর্মকর্তার যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোন প্রকাশ্য স্থানে বা কোন চলমান যানবাহনে এই অাইনের পরিপন্থী কোন পণ্য রহিয়াছে, তাহা হইলে তাহার অনুরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত পণ্য তল্লাশী করিয়া আটক করিতে পারিবেন এবং উক্ত পণ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তকে গ্রেফতার করিতে পারিবেন৷
তল্লাশী, ইত্যাদির পদ্ধতি
২৬৷ এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, এই আইনের অধীন জারীকৃত সকল তদন্ত, পরোয়ানা, তল্লাশী, গ্রেফতার ও আটকের বিষয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে৷
ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের জন্য দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইত্যাদি সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ
২৭৷ (১) কোন দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদামে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন পণ্য বিক্রয় বা উৎ‍পাদিত হইতেছে কিংবা গুদামজাত করিয়া রাখা হইয়াছে এইরূপ প্রতীয়মান হইলে, মহাপরিচালক বা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদাম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হইলে অধিদপ্তরের পক্ষ হইতে উক্ত দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদাম তালাবদ্ধ করিয়া তাৎ‍ক্ষণিক ব্যবস্থা হিসাবে সাময়িকভাবে বন্ধ করা যাইবে।
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন ব্যবস্থা গৃহীত হইবার পর অধিদপ্তর নিয়মিত শুনানী, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত করিয়া ভোক্তা-অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করিয়া এবং প্রকৃতই এই আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘনের ফলে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য হইয়াছে কিনা উহা সঠিকভাবে নিরূপণ করিয়া প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
 
 
(৪) সেবা প্রদানকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই অাইনের অধীন কোন বিধান লঙ্ঘন করিয়া ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কোন কার্য করিয়া থাকিলে মহাপরিচালক বা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হইলে অধিদপ্তরের পক্ষ হইতে সেবা সম্পর্কিত উক্ত ব্যবসা সাময়িকভাবে বন্ধ করা যাইবে।
 
 
(৬) উপ-ধারা (৪) ও (৫) এর অধীন কোন সেবামূলক ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হইলে অধিদপ্তর নিয়মিত শুনানী, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত করিয়া ভোক্তা-অধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় গ্রহণ করিয়া এবং প্রকৃতই এই আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘনের ফলে ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য হইয়াছে কিনা উহা সঠিকভাবে নিরূপণ করিয়া প্রয়োজনীয় চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সহায়তা গ্রহণ
২৮৷ এই আইনের অধীন কোন ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করিবার জন্য মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা অন্য কোন সরকারী বা সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করিতে পারিবেন, এবং এইরূপ অনুরোধ করা হইলে উক্ত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ সহায়তা প্রদান করিবে।
মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য সামগ্রী উৎ‍পাদন, বিক্রয় ইত্যাদির উপর বাধা-নিষেধ
২৯৷ কোন পণ্য মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর বলিয়া প্রমাণিত হইলে, মহাপরিচালকের পরামর্শক্রমে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, সমগ্র দেশে বা কোন নির্দিষ্ট এলাকায় এইরূপ পণ্যের উৎ‍পাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করিবার বা প্রজ্ঞাপনে নির্ধারিত শর্তাধীন ঐ সকল কার্যক্রম পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ জারী করিতে পারিবে।
প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা
৩০৷ (১) এই ধারার বিধানাবলী সাপেক্ষে, মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, কোন ব্যক্তি সকল যুক্তিসংগত সময়ে, তাহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সহায়তা সহকারে যে কোন ভবনে বা স্থানে নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে প্রবেশ করিবার অধিকারী হইবেন, যথাঃ-
 
 
(ক) এই আইন বা বিধির অধীন তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করা;
 
(খ) এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত নোটিশ, আদেশ বা নির্দেশ মোতাবেক উক্ত ভবনে বা স্থানে কোন কার্য পরিদর্শন করা;
 
(গ) কোন পণ্য বা সেবা সম্পর্কিত রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল অথবা তৎসংশ্লিষ্ট অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরীক্ষা এবং যাচাই করা;
 
 
(ঘ) এই আইন বা বিধি বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ ভঙ্গ করিয়া কোন ভবনে বা স্থানে কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বলিয়া উক্ত ব্যক্তির যুক্তিসংগতভাবে বিশ্বাস করিবার কারণ থাকিলে, উক্ত ভবনে বা স্থানে তল্লাশী পরিচালনা করা;
 
(ঙ) এই আইন বা বিধির অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার হইতে পারে এইরূপ কোন পণ্য, উপাদান, রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল ইত্যাদি আটক করা।
 
 
(২) কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয় বা উৎপাদনের সহিত সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যক্তি এই ধারার অধীন দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
নমুনা সংগ্রহের ক্ষমতা, ইত্যাদি
৩১৷ (১) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে যে কোন দোকান, গুদাম, কারখানা, প্রাঙ্গন বা স্থান হইতে যে কোন পণ্য বা পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করিতে পারিবেন৷
 
 
(২) উপ-ধারা (৩) বা, ক্ষেত্রমত, উপ-ধারা (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, এই ধারার অধীন গৃহীত নমুনা সম্পর্কে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত নমুনা বা গবেষণাগারের রিপোর্ট বা উভয়ই সংশ্লিষ্ট কার্যধারায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণীয় হইবে৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (৪) এর বিধানাবলী সাপেক্ষে, উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহকারী কর্মকর্তা-
 
 
(ক) উক্ত স্থানের দখলদার বা এজেন্টকে, অনুরূপ নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে তাহার অভিপ্রায় সম্পর্কে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নোটিশ প্রদান করিবেন;
 
 
(খ) উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর উপস্থিতিতে নমুনা সংগ্রহ করিবেন;
 
 
(গ) উক্ত নমুনা একটি পাত্রে রাখিয়া ইহাতে নিজের ও উক্ত দখলদার বা এজেন্ট এর স্বাক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করিয়া সীলমোহর প্রদান করিবেন;
 
 
(ঘ) সংগৃহীত নমুনার একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া উহাতে নিজে স্বাক্ষর করিবেন এবং দখলদার বা এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করিবেন;
 
 
(ঙ) মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে উক্ত পাত্র অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন৷
 
 
(৪) যেক্ষেত্রে উপ-ধারা (১) এর অধীন নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং সংগ্রহকারী কর্মকর্তা উপ-ধারা (৩) এর (ক) দফার অধীন নোটিশ প্রদান করেন, সেক্ষেত্রে যদি দখলদার বা এজেন্ট নমুনা সংগ্রহের সময় ইচ্ছাকৃতভাবে অনুপস্থিত থাকেন, বা উপস্থিত থাকিয়াও নমুনা ও রিপোর্টে স্বাক্ষর করিতে অস্বীকার করেন, তাহা হইলে সংগ্রহকারী কর্মকর্তা দুই জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে নিজেই তাহার স্বাক্ষর প্রদান করিয়া উহা নিশ্চিত ও সীলমোহরকৃত করিবেন এবং দখলদার বা এজেন্টের অনুপস্থিতি বা, ক্ষেত্রমত, স্বাক্ষরদানে অস্বীকৃতির কথা উল্লেখ করিয়া মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত গবেষণাগারে বিশ্লেষণের জন্য অবিলম্বে প্রেরণ করিবেন৷
বাজেয়াপ্তযোগ্য পণ্য, ইত্যাদি
৩২৷ এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটিত হইলে, যে পণ্য, উপাদান, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াপ্তযোগ্য হইবে৷
বাজেয়াপ্তকরণ পদ্ধতি
৩৩৷ (১) এই আইনের অধীন পরিচালিত বিভাগীয় তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে, কোন পণ্য ধারা ৩২ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য, তাহা হইলে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক, তদন্তকারী কর্মকর্তা পণ্যটি বাজেয়াপ্ত করিবার আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন৷
 
 
(২) যদি কোন ক্ষেত্রে ধারা ৩২ এর অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন বস্তু আটক করা হয়, কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা, যিনি বস্তু আটককারী কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াপ্ত করিতে পারিবেন৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপ বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াপ্তকরণের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ প্রদানের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারী করিতে হইবে এবং নোটিশে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারীর তারিখ হইতে অন্যূন ১৫ (পনের) দিন হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানীর যুক্তিসংগত সুযোগ প্রদান করিতে হইবে৷
 
 
(৪) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশের দ্বারা সংক্ষুব্ধ হইলে, তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে-
 
 
(ক) মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে মহাপরিচালকের নিকট; এবং
 
 
(খ) মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লিখিত আপীল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে আদালতে কোন মামলা দায়ের করা যাইবে না৷
পঁচনশীল পণ্যের নিষ্পত্তি
৩৪৷ এই আইনের অধীন আটককৃত কোন পণ্য, যথা- মাছ, শাক-সবজি, ইত্যাদি পণ্য দ্রুত পঁচনশীল হইয়া থাকিলে উহা সংরক্ষণ না করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে উহার ব্যবহার, হ্স্তান্তর, ধ্বংস বা অন্য কোন প্রকারে বিলি বন্দোবস্ত করা যাইবে৷
বাজেয়াপ্ত ও আটককৃত দ্রব্যাদির নিষ্পত্তি বা বিলি বন্দোবস্ত
৩৫। এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্তযোগ্য কোন দ্রব্যের বাজেয়াপ্তকরণের আদেশ প্রদানের সংগে সংগে দ্রব্যটি মহাপরিচালকের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং মহাপরিচালক উহা, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ব্যবহার, হস্তান্তর বা ধ্বংস করিবার বা অন্য কোন প্রকারে উহার বিলি বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করিবেন।
ভেজাল পণ্যের সরাসরি আটক ও নিষ্পত্তি
৩৬। এই আইনের অধীন গৃহীত কোন অনুসন্ধান, তদন্ত বা বিচার কার্যক্রমে যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন পণ্য দৃশ্যতঃ ভেজাল এবং মানুষের খাদ্য হিসাবে ভক্ষণের অযোগ্য বা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, এবং অনুরূপ অভিযোগ প্রতিপক্ষ কর্তৃক স্বীকৃত হয় বা অস্বীকার না করা হয়, তাহা হইলে উক্ত পণ্য সরাসরি আটক করিয়া নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যবহার, হস্তান্তর, ধ্বংস বা অন্য কোন প্রকারে বিলি বন্দোবস্ত করা যাইবে।

চতুর্থ অধ্যায়

অপরাধ, দণ্ড, ইত্যাদি

পণ্যের মোড়ক, ইত্যাদি ব্যবহার না করিবার দণ্ড
৩৭৷ কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধি দ্বারা কোন পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করিবার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহার-বিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎ‍পাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করিবার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করিয়া থাকিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করিবার দণ্ড
৩৮৷ কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা অমান্য করিয়া তাহার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সহজে দৃশ্যমান কোন স্থানে পণ্যের মূল্যের তালিকা লটকাইয়া প্রদর্শন না করিয়া থাকিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করিবার দণ্ড
৩৯৷ কোন ব্যক্তি আইন বা বিধি দ্বারা আরোপিত বাধ্যবাধকতা অমান্য করিয়া তাহার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ না করিলে এবং সংশ্লিষ্ট স্থানে বা সহজে দৃশ্যমান কোন স্থানে উক্ত তালিকা লটকাইয়া প্রদর্শন না করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করিবার দণ্ড
৪০৷ কোন ব্যক্তি কোন আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অধিক মূল্যে কোন পণ্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়ের দণ্ড
৪১৷ কোন ব্যক্তি জ্ঞাতসারে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করিলে বা করিতে প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণের দণ্ড
৪২৷ মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য, কোন খাদ্য পণ্যের সহিত যাহার মিশ্রণ কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, কোন ব্যক্তি উক্তরূপ দ্রব্য কোন খাদ্য পণ্যের সহিত মিশ্রিত করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎ‍পাদন বা প্রক্রিয়াকরণের দণ্ড
৪৩৷ কোন ব্যক্তি মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় এমন কোন প্রক্রিয়ায়, যাহা কোন আইন বা বিধির অধীন নিষিদ্ধ করা হইয়াছে, কোন পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করিলে তিনি অনূর্ধ্ব দুই বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিবার দণ্ড৷
৪৪৷ কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিবার দণ্ড
৪৫৷ কোন ব্যক্তি প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
ওজনে কারচুপির দণ্ড
৪৬৷ কোন ব্যক্তি কোন পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময় ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনে উক্ত পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপির দণ্ড
৪৭৷ কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শনকারী হইলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
পরিমাপে কারচুপির দণ্ড
৪৮৷ কোন ব্যক্তি কোন পণ্য সরবরাহ বা বিক্রয়ের সময় ভোক্তাকে প্রতিশ্রুত পরিমাপ অপেক্ষা কম পরিমাপে উক্ত পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহ করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপির দণ্ড
৪৯৷ কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করা হলে হইলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎ‍পাদন করিবার দণ্ড
৫০৷ কোন ব্যক্তি কোন পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করিলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করিবার দণ্ড
৫১৷ কোন ব্যক্তি মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করিলে বা করিতে প্রস্তাব করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করিবার দণ্ড
৫২৷ কোন ব্যক্তি, কোন আইন বা বিধির অধীন নির্ধারিত বিধি-নিষেধ অমান্য করিয়া সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন হইতে পারে এমন কোন কার্য করিলে, তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অবহেলা, ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি, ইত্যাদি ঘটাইবার দণ্ড
৫৩৷ কোন সেবা প্রদানকারী অবহেলা, দায়িত্বহীনতা বা অসতর্কতা দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য বা জীবনহানী ঘটাইলে তিনি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের দণ্ড
৫৪৷ কোন ব্যক্তি, কোন ব্যবসায়ী বা সেবা প্রদানকারীকে হয়রানি বা জনসমক্ষে হেয় করা বা তাহার ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধনের অভিপ্রায়ে মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করিলে, উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
অপরাধ পুনঃ সংঘটনের দণ্ড
৫৫৷ এই আইনে উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তি যদি পুনরায় একই অপরাধ করেন তবে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুন দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
বাজেয়াপ্তকরণ ইত্যাদি
৫৬৷ এই অধ্যায়ে পূর্ববর্তী ধারাসমূহে বর্ণিত দণ্ডের অতিরিক্ত, আদালত যথাযথ মনে করিলে, অপরাধের সংশ্লিষ্ট অবৈধ পণ্য বা পণ্য প্রস্তুতের উপাদান, সামগ্রী, ইত্যাদি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ করিতে পারিবেন৷

পঞ্চম অধ্যায়

বিচার, ইত্যাদি

বিচার
৫৭। (১) এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য হইবে।
 
 
(২) Code of Criminal Procedure, 1898 এ নির্ধারিত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অর্থদণ্ড আরোপ সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা এই আইনের অধীন নির্ধারিত অর্থদণ্ড আরোপে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাকে সীমিত করিবে না।
সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার
৫৮। ধারা ৫৭ এর বিধানকে ক্ষূণ্ন না করিয়া, আদালত, ক্ষেত্রমত, এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 এর Chapter XXII তে বর্ণিত সংক্ষিপ্ত পদ্ধতি, যতদূর প্রযোজ্য হয়, অনুসরণ করিবে।
অপরাধের জামিন, আমলযোগ্যতা ও আপোষযোগ্যতা
৫৯। এই আইনের অধীন সকল অপরাধ জামিনযোগ্য (bailable), আমলযোগ্য (cognizable) ও আপোষযোগ্য (compoundable) হইবে৷
অভিযোগ
৬০। কোন ব্যক্তি, কারণ উদ্ভব হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই অাইনের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক কিংবা অধিদপ্তরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ না করিলে উক্ত অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হইবে না।
তামাদি
৬১। Limitation Act, 1908 (Act No IX of 1908) এ ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৬০ এর অধীন অভিযোগ দায়ের হইবার ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে মামলা দায়েরের নিমিত্ত অভিযোগপত্র দাখিল করা না হইলে, ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ আমলে গ্রহণ করিবেন না।
পণ্যের ত্রুটি পরীক্ষা
৬২।(১) কোন পণ্যের ত্রুটি সম্পর্কে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণের ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট যদি মনে করেন যে, উক্ত পণ্যের ত্রুটি যথাযথ বিশ্লেষণ বা পরীক্ষা ব্যতীত অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করা সম্ভব নহে, সেই ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট,-
 
 
(ক) অভিযোগকারীর নিকট হইতে উক্ত পণ্যের একটি নমুনা সংগ্রহ করিয়া উহা সীলমোহর ও প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রত্যয়ণ করিবেন; এবং
 
 
(খ) দফা (ক) এর অধীন সীলমোহরকৃত পণ্যটির বিরুদ্ধে উত্থাপিত ত্রুটি বা অন্য কোন ত্রুটি বিদ্যমান থাকিবার বিষয়ে পরীক্ষার প্রয়োজনীয় নির্দেশসহ উহা যথাযথ গবেষণাগারে প্রেরণ করিবেন।
 
 
(২) কোন গবেষণাগারে উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন পণ্য পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হইলে, প্রেরণের তারিখ হইতে ২ (দুই) মাসের মধ্যে উহার রিপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করিতে হইবেঃ
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, গবেষণাগারের চাহিদামতো উক্ত সময় বৃদ্ধি করা যাইবে।
 
 
(৩) ম্যাজিস্ট্রেট কোন পণ্যের কোন নমুনা কোন গবেষণাগারে প্রেরণের পূর্বে উক্ত পণ্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষার ব্যয় নির্বাহের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত অর্থ বা ফি জমা দানের জন্য অভিযোগকারীকে নির্দেশ প্রদান করিবেন।
ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা
৬৩। এই অধ্যায়ের অধীন অনুষ্ঠিত বিচারে ম্যাজিস্ট্রেট দোষী সাব্যস্ত কোন ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনে অনুমোদিত যে কোন দণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন৷
দ্বিতীয়বার বিচার নিষিদ্ধ
৬৪। এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় কোন অপরাধে কোন ব্যক্তিকে এই আইনের বিধান অনুসারে বিচার করিয়া দোষী বা নির্দোষ সাব্যস্ত করা হইলে, তাহাকে উক্ত একই অপরাধের জন্য পুনর্বার অন্য কোন আইনের অধীন বিচার করা যাইবে না।
আপীল
৬৫। ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ দ্বারা কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত রায় বা আদেশ প্রদত্ত হইবার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের সেশন জজের আদালতে আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।

ষষ্ঠ অধ্যায়

দেওয়ানী কার্যক্রম ও প্রতিকার

দেওয়ানী প্রতিকার
৬৬। (১) ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের জন্য কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারী কার্যক্রম সূচীত হইবার কিংবা উক্ত ব্যক্তি অনুরূপ কার্যের জন্য ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত হইবার কারণে, উপযুক্ত ক্ষেত্রে, ক্ষতিগ্রস্ত কোন ভোক্তা কর্তৃক উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেওয়ানী প্রতিকার দাবী করিয়া দেওয়ানী আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করিতে আইনগত কোন বাধা থাকিবে না৷
 
 
(২) এই আইনের অধীন উপযুক্ত দেওয়ানী আদালত বলিতে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় অধিক্ষেত্রের যুগ্ম-জেলা জজের আদালতকে বুঝাইবে৷
 
 
(৩) কোন বিক্রেতার ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের দ্বারা কোন ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হইয়া থাকিলে এবং উক্ত ক্ষতির পরিমাণ আর্থিক মূল্যে নিরূপণযোগ্য হইলে, উক্ত নিরূপিত অর্থের অনূর্ধ্ব পাঁচগুণ পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবী করিয়া উপযুক্ত আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করা যাইবে৷
 
 
(৪) আদালত বাদীর আরজি, বিবাদীর জবাব, সাক্ষ্য প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক সকল বিষয় পর্যালোচনা করিয়া নিরূপিত ক্ষতির সঠিক পরিমাণের অনূর্ধ্ব পাঁচগুণ সীমার মধ্যে যে কোন অংকের ক্ষতিপূরণ, যাহা ন্যায় বিচারের স্বার্থে যথাযথ বলিয়া তাহার নিকট বিবেচিত হইবে, প্রদান করিতে পারিবে৷
 
 
(৫) Code of Civil Procedure, 1908, Contract Act, 1872 এবং Civil Courts Act, 1887 এ ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারার বিধানাবলী কার্যকর হইবে৷
দেওয়ানী আদালতের ক্ষমতা
৬৭। দেওয়ানী আদালত নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন প্রতিকার প্রদান করিতে পারিবে, যথাঃ-
 
 
(ক) ত্রুটিপূর্ণ পণ্য যথাযথ পণ্য দ্বারা প্রতিস্থাপনের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান;
 
 
(খ) ত্রুটিপূর্ণ পণ্য ফেরত গ্রহণ করিয়া উক্ত পণ্যের মূল্য বাদীকে ফেরত প্রদান করিবার জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান;
 
 
(গ) ক্ষতিপূরণের জন্য বাদীকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, যাহা আর্থিক মূল্যে নিরূপিত ও প্রমাণিত ক্ষতির অনূর্ধ্ব পাঁচগুণ পর্যন্ত হইতে পারিবে, প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান; মামলার খরচ প্রদানের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ প্রদান৷
দেওয়ানী আপীল
৬৮। Code of Civil Procedure, 1908 এবং Civil Courts Act, 1887 এ ভিন্নরূপ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৬৭ এর অধীন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় ও ডিক্রীর বিরুদ্ধে ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে কেবল হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করা যাইবে।

সপ্তম অধ্যায়

বিবিধ

আইনের অধীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা
৬৯। (১) এই আইনের অধীন মহাপরিচালকের যে সকল ক্ষমতা ও কার্যাদি রহিয়াছে ঐ সকল ক্ষমতা ও কার্যাদি কোন জেলার স্থানীয় অধিক্ষেত্রে উক্ত জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে এবং মহাপরিচালকের পূর্বানুমোদন ব্যতীতই তিনি ঐ সকল ক্ষমতা প্রয়োগ বা কার্যাদি সম্পাদন করিতে পারিবেন।
 
 
(২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহার পক্ষে কার্য সম্পাদনের জন্য তাহার ক্ষমতা, তৎকর্তৃক নির্ধারিত কোন শর্তে, তাহার অধঃস্তন কোন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
 
 
(৩) এই ধারার অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রম সম্পর্কে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা ক্ষেত্রমত, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মহাপরিচালককে লিখিতভাবে অনতিবিলম্বে অবহিত করিবেন।
অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীতব্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা
৭০। (১) এই আইনের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য প্রতিরোধকল্পে বা ভোক্তা-অধিকার বিরোধী অপরাধ বিষয়ে কোন কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এই অাইনের চতুর্থ অধ্যায় এ বর্ণিত কোন অপরাধ সংঘটিত হইয়া থাকিলেও, সমীচীন মনে করিলে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে, দণ্ড আরোপ না করিয়া এবং ফৌজদারী মামলা দায়েরের লক্ষ্যে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করিয়া, কেবল জরিমানা আরোপ, ব্যবসার লাইসেন্স বাতিল, ব্যবসায়িক কার্যক্রম সাময়িক বা স্থায়ীভাবে স্থগিতকরণ সম্পর্কিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য এই আইনের অধীন সর্বোচ্চ যে অর্থদণ্ড রহিয়াছে উহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে না৷
 
 
(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আরোপিত কোন জরিমানার ক্ষেত্রে অনাদায়ে কারাদণ্ড আরোপ করা যাইবে না৷
 
 
(৪) এই ধারার অধীন আরোপিত জরিমানা দোষী ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) কার্য দিবসের মধ্যে প্রদান করিবেন৷
 
 
(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধানমতে আরোপিত জরিমানা দোষী ব্যক্তি স্বেচ্ছায় প্রদান না করিলে দণ্ড আরোপকারী কর্তৃপক্ষ ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৮৬ এর উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী ক্রোক ও বিক্রয়ের মাধ্যমে জরিমানার উক্ত অর্থ আদায় করিতে পারিবেন এবং আরোপিত জরিমানার ২৫ শতাংশ পরিমাণ অতিরিক্ত অর্থ খরচ বাবদ আদায় করিতে পারিবেন৷
ফৌজদারী কার্যক্রমের সীমাবদ্ধতা
৭১। (১) এই আইনের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্যের অভিযোগে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোন মামলা সরাসরি দায়ের করা যাইবে না।
 
 
(২) কোন ভোক্তা বা অভিযোগকারী মহাপরিচালক বা মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।
ঔষধ বিষয়ক বিশেষ বিধান
৭২। (১) ঔষধে ভেজাল মিশ্রণ বা নকল ঔষধ প্রস্তুত করা হইতেছে কিনা অনুসন্ধান করিয়া উহা উদঘাটন করিবার ক্ষমতা ও দায়িত্ব মহাপরিচালকের থাকিলেও, উহাদের বিষয়ে এই আইনের অধীন কোন বিচার বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণ বা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত অপরাধের ক্ষেত্রে Special Powers Act, 1974 (Act No XIV of 1974) এর section 25C এর অধীন মামলা দায়ের করিতে হইবে৷
বেসরকারী স্বাস্থ্য পরিসেবা পরিবীক্ষণ
৭৩। (১) বেসরকারী খাতে পরিচালিত স্বাস্থ্য পরিসেবা পরিবীক্ষণ করিয়া পরিলক্ষিত ত্রুটি-বিচ্যুতি উদঘাটন করিবার ক্ষমতা মহাপরিচালকের থাকিবে৷
 
 
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধানের অধীন বেসরকারী স্বাস্থ্য পরিসেবা খাতে পরিলক্ষিত ত্রুটি-বিচ্যুতির বিষয়ে প্রতিকারমূলক কোন ব্যবস্থা মহাপরিচালক গ্রহণ করিবেন না; তিনি সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করিবেন মাত্র৷
গ্রেফতার বা আটক সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ
৭৪। এই আইনের অধীন কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে বা কোন বস্তু আটক করা হইলে, গ্রেফতারকারী বা আটককারী কর্মকর্তা তৎসম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অবহিত করিবেন এবং প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের নিকট প্রেরণ করিবেন।
অন্য আইনে অপরাধ হইবার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি
৭৫। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন অপরাধ (যেমন-পণ্যে ভেজাল মিশ্রণ, পণ্যের নকল প্রস্তুত, ইত্যাদি) যদি অন্য কোন বিশেষ আইনে বিশেষ অপরাধ হিসাবে উচ্চতর দন্ডযোগ্য অপরাধ হইয়া থাকে, তাহা হইলে এই আইনের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী বিশেষ অপরাধ হিসাবে গণ্য করিয়া বিচারার্থ গ্রহণের ক্ষেত্রে আইনত কোন বাধা থাকিবে না :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের প্রকৃতি ও গুরুত্ব বিবেচনা করিয়া যদি অধিদপ্তর মনে করে যে, উক্ত অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি হওয়া সমীচীন হইবে, তাহা হইলে অধিদপ্তর কার্যকর বিচারের উদ্দেশ্যে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা না করিয়া বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অধিদপ্তরের পক্ষ হইতে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
অভিযোগ এবং জরিমানার টাকায় অভিযোগকারীর অংশ
৭৬। (১) যে কোন ব্যক্তি, যিনি, সাধারণভাবে একজন ভোক্তা বা ভোক্তা হইতে পারেন, এই অধ্যাদেশের অধীন ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কার্য সম্পর্কে মহাপরিচালক বা এতদুদ্দেশ্যে মহাপরিচালকের নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে অবহিত করিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।
 
 
(২) কর্তৃপক্ষ, উপ-ধারা (১) এর অধীন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির পর, অনতিবিলম্বে অভিযোগটি অনুসন্ধান বা তদন্ত করিবেন।
 
 
(৩) তদন্ত অভিযোগটি সঠিক প্রমাণিত হইলে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোষী ব্যক্তিকে প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জরিমানা আরোপ করিতে পারিবেন।
 
 
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন আরোপিত জরিমানার অর্থ আদায় হইয়া থাকিলে উক্ত আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ তাৎক্ষণিকভাবে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযোগকারীকে প্রদান করিতে হইবে :
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হইয়া থাকিলে, তিনি এই উপ-ধারায় উল্লিখিত আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ প্রাপ্য হইবেন না।
 
 
(৫) এই ধারার অধীন আদালতে বা বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিয়মিত ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হইলে এবং নিয়মিত মামলায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করিয়া জরিমানা করা হইলে এবং উক্ত জরিমানার অর্থ আদায় করা হইলে, উহার ২৫ শতাংশ অর্থ উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত অভিযোগকারীকে প্রদান করিতে হইবে
 
 
তবে শর্ত থাকে যে, অভিযোগকারী অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হইয়া থাকিলে, তিনি এই উপ-ধারায় উল্লিখিত আদায়কৃত অর্থের ২৫ শতাংশ প্রাপ্য হইবেন না।
 
 
(৬) যে কোন ব্যক্তি এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন পণ্যের নকল বা ভেজালের বিষয়টি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন সরকারী বা বেসরকারী সংস্থা বা গবেষণাগারে পরীক্ষা করাইয়া ফলাফলসহ অভিযোগ দায়ের করিতে পারিবেন।
সরল বিশ্বাসে কৃত কার্য
৭৭। এই আইনের বা কোন বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে বা তাহার ক্ষতিগ্রস্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিলে, তজ্জন্য সরকার, পরিষদ, পরিষদের কোন সদস্য, অধিদপ্তর, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা যাইবে না।
দায় হইতে অব্যাহতি
৭৮। (১) এই আইনের কোন বিধানের লঙ্ঘনজনিত কোন কার্যের সহিত কোন বিক্রেতার জ্ঞাতসারে সংশ্লিষ্টতা না থাকিলে, তাহাকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধের জন্য দায়ী করিয়া তাহার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না।
 
 
(২) কোন দোকান হইতে বিক্রিত কোন পণ্য ভেজাল বা ত্রুটিপূর্ণ হইবার ক্ষেত্রে, উক্ত দোকানের মালিক বা পরিচালককে দায়ী করিয়া কোন ফৌজদারী বা প্রশাসনিক কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যদি উক্ত পণ্য অন্য কোন বৈধ বা অনুমোদিত কারখানা, ফ্যাক্টরী বা প্রতিষ্ঠানে উৎপাদিত বা প্রস্তুত হইয়া থাকে এবং উক্ত কারখানা, ফ্যাক্টরী বা প্রতিষ্ঠান বা উক্ত পণ্য প্রস্তুত বা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সহিত তাহার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকে।
 
 
(৩) জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তি কোন পণ্য ক্রয় করিয়া হকার বা ফেরিওয়ালা হিসাবে বিক্রয় করিলে এবং অনুরূপ বিক্রিত পণ্যে যদি নকল, ভেজাল বা অন্য কোনরূপ ত্রুটি থাকে এবং উহার দ্বারা কোন ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হইয়া থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ কারণে উক্ত ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন দায়ী করা যাইবে না, যদি না ইহা সন্দেহাতীতভাবে বোধগম্য হয় যে, তিনি অবৈধভাবে লাভবান হইবার উদ্দেশ্যে স্বজ্ঞানে, যোগসাজশে অথবা জানিয়া শুনিয়া ভোক্তা-স্বার্থ বিরোধী পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে ক্রয় করিয়া ক্রেতার নিকট বিক্রয় করিয়াছেন।
 
 
(৪) কাঁচা মাছ, শাক-সবজির ন্যায় দ্রুত পঁচনশীল কোন পণ্য কোন হকার বা ফেরিওয়ালার নিকট বা কোন দোকানে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণে পঁচিয়া যাওয়া অবস্থায় পাওয়া গেলে উক্ত কারণে উক্ত হকার, ফেরিওয়ালা বা দোকানদারকে দায়ী করিয়া কোন ফৌজদারী বা প্রশাসনিক কার্যক্রম বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, যদি না ইহা সহজেই বোধগম্য হয় যে, পঁচিয়া গিয়াছে জানিয়াও তিনি উক্ত পণ্য বিক্রয়ের জন্য রাখিয়াছেন বা বিক্রয়ের চেষ্টা করিয়াছেন।
 
 
(৫) এই ধারার অধীন দায় হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হইলে নকল বা ভেজালের উৎস উদ্ঘাটনের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবেন।
ক্ষমতা অর্পণ
৭৯। মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে, পরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, অধিদপ্তরের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন।
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
৮০। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান প্রণয়নের ক্ষমতা
৮১। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, পরিষদ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
ইংরেজীতে অনুদিত পাঠ প্রকাশ, ইত্যাদি
৮২। (১) এই আইনের মূল পাঠ বাংলাতে হইবে এবং সরকার, প্রয়োজন মনে করিলে, মূল পাঠের ইংরেজীতে অনুদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশ করিবে।
 
 
(২) বাংলা পাঠ ও ইংরেজী পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

Copyright © 2019, Legislative and Parliamentary Affairs Division
Ministry of Law, Justice and Parliamentary Affairs