প্রিন্ট
2[৩। (১) এই আইনের কোন কিছুই সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ৪৭ নং আইন) অথবা সমবায় সমিতি সম্পর্কিত আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন সমবায় সমিতি এবং মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর অধীন ক্ষুদ্র্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সনদপ্রাপ্ত কোন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন সমবায় সমিতি সদস্য ব্যতীত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হইতে অবৈধভাবে আমানত গ্রহণ করিলে ধারা ৪৪ এবং ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানী যেভাবে পরিদর্শন করা হয় বা উহাকে যেভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে যে কোন সমবায় সমিতি পরিদর্শন করিতে, এবং ঐ সকল সমিতিকে নির্দেশ দিতে পারিবে।
3[(২) এই আইনের কোন কিছুই আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নং আইন) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত আইনের অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ধারা ৫ এর দফা (কককক), ধারা ১৭ এর উপ-ধারা (৬), উপ-ধারা (৭ক), ধারা ২৭ক, ধারা ২৭কক এবং ধারা ২৭খ এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।]
4[***]
৫৷ বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে,-
(ক) "অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র" অর্থ সেই সব সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র যাহাতে কোন ট্রাষ্টী Trusts Act, 1882 (II of 1882) এর Section 20 এর clause (a), 6[ * * *], (c) অথবা (d) এর অধীন অর্থ বিনিয়োগ করিতে পারে, এবং ধারা 7[ ১৩(৩)] এর ব্যাপারে, সেই সব সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে যেসব সম্পত্তি নিদর্শন-পত্রকে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, উক্ত ধারার ব্যাপারে অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র হিসাবে ঘোষণা করে;
8[ (কক) “আর্থিক প্রতিষ্ঠান” অর্থ আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন, ১৯৯৩ (১৯৯৩ সনের ২৭ নম্বর আইন) এর ধারা ২ এর দফা (খ) তে সংজ্ঞায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান;]
9[(ককক) “আর্থিক প্রতিবেদন” বা “বিবরণী” অর্থ ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ (২০১৫ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ২ এর উপ-ধারা (৩) এ সংজ্ঞায়িত আর্থিক বিবরণী;
(কককক) “ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা” অর্থ এইরূপ কোন খেলাপী ঋণ গ্রহীতা ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যিনি বা যাহা-
(১) নিজের, তাহার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর অনুকূলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা বা উহার অংশ বা উহার উপর আরোপিত সুদ বা মুনাফা তাহার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও পরিশোধ করে না; বা
(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে জালিয়াতি, প্রতারণা বা মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে নিজের, তাহার পরিবারের সদস্যের, স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর নামে ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে; বা
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে যে উদ্দেশ্যে ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করিয়াছিলেন সেই উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে উক্ত ঋণ, অগ্রিম, বিনিয়োগ বা আর্থিক সুবিধা বা উহার অংশ ব্যবহার করিয়াছে; বা
(৪) ঋণ বা অগ্রিম এর বিপরীতে প্রদত্ত জামানত ঋণ বা অগ্রিম প্রদানকারী কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লিখিত পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর বা স্থানান্তর করিয়াছে:
তবে শর্ত থাকে যে, এই সংজ্ঞার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে;
(ককককক) “ঋণ” অর্থ অর্থ ঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ৮ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (গ) এ সংজ্ঞায়িত ঋণ;]
(খ) “কোম্পানী” অর্থ এমন কোন কোম্পানী যাহা কোম্পানী আইন অনুসারে অবসায়িত হইতে পারে;
(গ) “কোম্পানী আইন” অর্থ 10[ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন)];
11[ (গগ) ‘‘খেলাপী ঋণ গ্রহীতা’’ অর্থ কোন দেনাদার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহার নিজের বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদত্ত অগ্রীম, ঋণ বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা বা উহার অংশ বা উহার উপর অর্জিত সুদ বা উহার মুনাফা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত সংজ্ঞা অনুযায়ী মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ৬ (ছয়) মাস অতিবাহিত হইয়াছে;
ব্যাখ্যা।- এই দফার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কোন ব্যক্তি বা, ক্ষেত্রমত, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক না হইলে অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠানে তাহার বা উহার শেয়ারের অংশ ২০% এর অধিক না হইলে অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদাতা না হইলে, উক্ত প্রতিষ্ঠান তাহার বা উহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বলিয়া গণ্য হইবে না;]
12[ (গগগ) ‘‘ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ (২০০৬ সনের ৩২ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২১) এ সংজ্ঞায়িত কোন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান;]
(ঘ) “চাহিবা মাত্র দায়” অর্থ এমন আর্থিক দায় যাহা চাহিবা মাত্র অবশ্যই পরিশোধ করিতে হইবে;
13[ (ঙ) “জামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ অর্থ সেই ঋণ বা অগ্রিম যাহা সম্পদের জামানত গ্রহণ করিয়া প্রদান করা হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ণীত উক্ত সম্পদের বাজার মূল্য কোন সময়েই ঋণের পরিমাণের চাইতে কম হয় না, এবং ‘‘অজামানতী ঋণ বা অগ্রিম’’ অর্থ সেই ঋণ বা অগ্রিম বা উহার ঐ অংশ যাহার বিপরীতে কোন জামানত গ্রহণ করা হয় না;]
(চ) “তফসিলি ব্যাংক” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে Bangladesh Bank Order (P. O. No. 127 of 1972) Article 2 (j) তে æScheduled bank” কথাটি ব্যবহৃত হইয়াছে;
14[ (ছ) “দেনাদার” অর্থ 15[ ঋণ ও অগ্রিম গ্রহণ,] লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি, খরিদ বা ইজারার ভিত্তিতে বা অন্য কোনভাবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণকারী ব্যক্তি, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান এবং কোন জামিনদারও ইহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;]
16[(ছছ) “নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠান” বা “নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানী” অর্থ কোন ব্যক্তি, বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাতে-
(ক) উক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী উল্লেখযোগ্য শেয়ার ধারণ করে বা অন্য কোন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করে; বা
(খ) উক্ত ব্যক্তি বা তাহার পরিবারের সদস্য পরিচালক অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী পরিচালক অথবা উক্ত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী পরিচালক হয়; বা
(গ) উহার সহিত সম্পাদিত কোন চুক্তি বা অন্য কোন উপায়ে পরিচালক নিয়োগ বা অপসারণের অধিকার সংরক্ষণ করে অথবা উহার পরিচালনা বা ব্যবস্থাপনার উপর নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে;]
17[ ***]
(ঝ) “পাওনাদার” অর্থে-
18[ (১) 19[ আমানত প্রদানকারী বা লাভ-ক্ষতির ] ভিত্তিতে অর্থ গচ্ছিত রাখিয়াছেন এমন ব্যক্তি, কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান, বা]
(২) লাভ-ক্ষতির ভাগাভাগি, ভাড়ায় খরিদ বা ইজারার ভিত্তিতে বা অন্য কোনভাবে আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদানকারী কোম্পানী বা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানও বুঝাইবে;
20[(ঝঝ) “পরিবার” বা “পরিবারের সদস্য” অর্থ কোন ব্যক্তির স্ত্রী, স্বামী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন এবং উক্ত ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল কোন ব্যক্তি;
(ঝঝঝ) “প্রতিনিধি পরিচালক” অর্থ কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৮৬ এর বিধান অনুযায়ী ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি;]
(ঞ) “প্রাইভেট কোম্পানী” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে উহা কোম্পানী আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে;
(ট) “বাংলাদেশ ব্যাংক” অর্থ Bangladesh Bank Order, 1972 (P. O. No. 127 of 1972) এর অধীন স্থাপিত Bangladesh Bank;
21[(টট) “বীমা কোম্পানী” অর্থ বীমা আইন, ২০১০ (২০১০ সনের ১৩ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (২৫) এ সংজ্ঞায়িত বীমাকারী:
(টটট) “ব্যক্তি” অর্থ যে কোন ব্যক্তি এবং কোন প্রতিষ্ঠান, কোন কোম্পানী, কোন অংশীদারি কারবার, ফার্ম বা অন্য যে কোন সংস্থাও ইহার অন্তর্ভুক্ত;
(টটটট) “ব্যাংকিং গ্রুপ” অর্থ ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারী কোম্পানী যে নামেই অভিহিত হউক না কেন;]
(ঠ) “বিধি” অর্থ এই 22[ আইনের] অধীন প্রণীত বিধি;
(ড) “ 23[ বিশেষায়িত ব্যাংক]” অর্থ আপাততঃ বলবত্ কোন আইনের দ্বারা বা অধীন স্থাপিত বা গঠিত কোন ব্যাংক এবং সরকার, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, কোন ব্যাংক-কে 24[ বিশেষায়িত ব্যাংক] হিসাবে ঘোষণা করিলে সেই ব্যাংকও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবে;
(ঢ) “ব্যবস্থাপনা পরিচালক” অর্থ-
25[ ***]
(২) 26[ বিশেষায়িত] ব্যাংকের ক্ষেত্রে, উক্ত ব্যাংক যে আইন বা আইনের মর্যাদা বিশিষ্ট দলিলের অধীনে প্রতিষ্ঠিত বা গঠিত হইয়াছে উহাতে প্রদত্ত সংজ্ঞাভুক্ত কোন Managing Director;
(৩) অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানীর ক্ষেত্রে সেই পরিচালক, যাঁহার উপর, উক্ত ব্যাংক কোম্পানীর কোন চুক্তি বা উহার সাধারণ বা পরিচালনা পর্ষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাব, বা উহার সংঘ-স্মারকের বিধান অনুসারে, উহার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব অর্পণ করা হইয়াছে, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদে, উক্ত পদের নাম যাহাই হউক না কেন, অধিষ্ঠিত কোন পরিচালকও এই সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হইবেন;
27[ (ণ) ‘‘ব্যাংক-কোম্পানী’’ অর্থ ধারা ৩১ এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাংলাদেশে ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনাকারী কোন কোম্পানী, এবং যে কোন বিশেষায়িত ব্যাংকও উহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;]
(ত) “ব্যাংক ব্যবসা” অর্থ কর্জ প্রদান বা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে জনসাধারণের নিকট হইতে টাকার এইরূপ আমানত গ্রহণ করা, যাহা চাহিবামাত্র বা অন্য কোনভাবে পরিশোধযোগ্য এবং চেক, ড্রাফ্ট, আদেশ বা অন্য কোন পদ্ধতিতে প্রত্যাহারযোগ্য;
(থ) “মেয়াদী দায়” অর্থ চাহিবামাত্র দায় ব্যতীত অন্যান্য আর্থিক দায়;
28[ (থথ) “মুদারাবা সার্টিফিকেট” অর্থ মুদারাবার ভিত্তিতে প্রদত্ত সার্টিফিকেট;
(থথথ) “মুদারাবা” অর্থ এমন চুক্তি যাহার শর্তানুসারে ইসলামী 29[ শরীয়াহ] মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক কোন কিছুতে মূলধন যোগান দেয় এবং গ্রাহক উহাতে দক্ষতা, প্রচেষ্টা, শ্রম ও প্রজ্ঞা নিয়োজিত করে;
(থথথথ) “মুশারিকা সার্টিফিকেট” অর্থ মুশারিকার ভিত্তিতে প্রদত্ত সার্টিফিকেট;
(থথথথথ) “মুশারিকা” অর্থ এমন চুক্তি যাহার অধীন কোন কাজে মূলধনের এক অংশ ইসলামী 30[ শরীয়াহ] মোতাবেক পরিচালিত কোন ব্যাংক এবং অপর অংশ গ্রাহক যোগান দেয় এবং যে কাজের লাভ চুক্তিতে উল্লিখিত অনুপাতে এবং লোকসান মূলধন অনুপাতে বণ্টিত হয়;]
31[(থথথথথথ) “মানিলন্ডারিং” অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৫ নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (ফ) এ সংজ্ঞায়িত মানিলন্ডারিং;]
(দ) “স্বর্ণ” অর্থ মুদ্রার আকারে স্বর্ণ, আইনানুগ টেন্ডার হউক বা না হউক, অথবা বাট বা পিণ্ড আকারে স্বর্ণ, পরিশোধিত হউক বা না হউক;
32[(দদ) “সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ” অর্থ সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৬ নং আইন) এর ধারা ৭ এ বর্ণিত সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ;]
(ধ) “রেজিষ্ট্রার” সেই অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে যে অর্থে উহা কোম্পানী আইনে ব্যবহৃত হইয়াছে৷
৭৷ (১) ব্যাংক-ব্যবসা ছাড়াও, কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন ব্যবসায় নিয়োজিত হইতে পারিবে, যথা :-
(ক) ঋণ গ্রহণ, অর্থ সংগ্রহ বা গ্রহণ;
(খ) জামানত লইয়া বা জামানত ব্যতিরেকে অগ্রিম অর্থ বা কর্জ প্রদান;
(গ) বিনিময় বিল, হুণ্ডি, প্রতিশ্রুতিপত্র, কূপন, ড্রাফ্ট, বহনপত্র, রেলওয়ে রশিদ, ওয়ারেন্ট, ঋণপত্র, সার্টিফিকেট, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান-পত্র, মুশারিকা সার্টিফিকেট, 34[মুদারাবা] সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অনুরূপ অন্যান্য দলিল, এবং হস্তান্তর বা বিনিময়যোগ্য হউক বা না হউক এমন অন্যান্য দলিল ও সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, ক্ষেত্রমত, সম্পাদন, লিখন, দাবী প্রস্তুতকরণ, বাট্টাকরণ, ক্রয়, বিক্রয়, সংগ্রহ এবং লেনদেন;
(ঘ) লেটার অব ক্রেডিট, ট্রাভেলার্স চেক, 35[ব্যাংক কার্ড] এবং সার্কুলার নোট অনুমোদন ও ইস্যু করা;
(ঙ) স্বর্ণ, রৌপ্য ও অন্যান্য ধাতব মুদ্রা ক্রয়, বিক্রয় এবং লেনদেন;
(চ) বিদেশী ব্যাংক নোটসহ বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয় এবং বিক্রয়;
(ছ) ষ্টক, তহবিল, শেয়ার, ডিবেঞ্চার-ষ্টক, বন্ড, দায় সম্পত্তি নিদর্শন-পত্র, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান-পত্র, মুশারিকা সার্টিফিকেট, 36[মুদারাবা] সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য দলিল ও সর্বপ্রকার বিনিয়োগ গ্রহণ, ধারণ, কমিশন ভিত্তিতে প্রেরণ, এবং উহাদের দায় গ্রহণ ও লেনদেন;
37[(জ) বন্ড, স্ক্রিপ বা অন্যান্য প্রকারের সম্পত্তি নিদর্শন পত্র যথা, মেয়াদী অংশগ্রহণ-পত্র, মেয়াদী অর্থ সংস্থান-পত্র, মুদারাবা সার্টিফিকেট, মুশারিকা সার্টিফিকেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য অনুরূপ দলিল, সরকারের পক্ষে বা অন্যান্যদের পক্ষে ক্রয় ও বিক্রয়;]
(ঝ) ঋণ ও অগ্রিমের বন্দোবস্ত করা;
(ঞ) সর্বপ্রকার বন্ড ও মূল্যবান সামগ্রীর আমানত গ্রহণ বা উহাদিগকে নিরাপদ হেফাজতে বা অন্যভাবে রাখিবার জন্য গ্রহণ;
(ট) গচ্ছিত বস্তুর নিরাপত্তার জন্য ভল্টের ব্যবস্থা গ্রহণ;
(ঠ) সম্পত্তি নিদর্শন-পত্রের বিপরীতে টাকা সংগ্রহ ও প্রেরণ;
(ড) সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা অন্য কোন ব্যক্তির প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করা;
(ঢ) কোন কোম্পানী ব্যবস্থাপক প্রতিনিধি এবং কোষাধ্যক্ষ হিসাবে কাজ করা ব্যতীত, গ্রাহকদের প্রতিনিধি হিসাবে মালামাল খালাস ও প্রেরণ এবং আমমোক্তার হিসাবে কাজ করাসহ যে কোন ধরনের এজেন্সি ব্যবসা পরিচালনা;
(ণ) সরকারী এবং বেসরকারী ঋণের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদন এবং উক্ত ঋণ প্রদান;
(ত) কোন কোম্পানী, কর্পোরেশন বা সমিতির শেয়ার, ষ্টক, ঋণপত্র বা ডিবেঞ্চার-ষ্টক বিতরণে ঝুঁকি গ্রহণ, নিশ্চয়তা প্রদান ও দায়গ্রহণ এবং উক্তরূপ কোন কাজের জন্য ঋণ প্রদান;
(থ) যে কোন প্রকার জামিন এবং ক্ষতি নিস্কৃতি ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা এবং উক্তরূপ ব্যবসায়ে লেনদেন;
(দ) স্বাভাবিক ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনাকালে-
(১) বিক্রেতা কর্তৃক পুনঃ ক্রয়, বা
(২) ভাড়ায় খরিদ পদ্ধতিতে বিক্রয়, বা
(৩) বিলম্বে মূল্য পরিশোধ, বা
(৪) ইজারা, বা
(৫) আয় ভাগাভাগি, বা
(৬) অন্য কোনভাবে অর্থ সংস্থান,
এর ব্যবস্থাসহ বা অনুরূপ ব্যবস্থা ব্যতিরেকে পণ্য, পেটেন্ট, ডিজাইন, ট্রেডমার্ক এবং গ্রন্থস্বত্বসহ যে কোন সম্পত্তি ক্রয় বা অর্জন;
(ধ) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন দাবীর আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিশোধের জন্য কোন সম্পত্তি দখলে গ্রহণ বা অনুরূপ সম্পত্তির উদ্ধার ও ব্যবস্থাপনা;
(ন) কোন ঋণ বা অগ্রিমের জামানতের সম্পত্তি বা জামানত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কিত অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ অর্জন, ধারণ এবং উহাদের ব্যবস্থাপনা;
(প) ট্রাষ্টের দায়িত্ব গ্রহণ ও উহার বাস্তবায়ন;
(ফ) নির্বাহক বা ট্রাষ্টি হিসাবে বা অন্যভাবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ;
(ব) ব্যাংক-কোম্পানীর কর্মচারী বা প্রাক্তন কর্মচারী বা তাঁহাদের পোষ্যগণের কল্যাণার্থে-
(১) সমিতি, প্রতিষ্ঠান, তহবিল, ট্রাষ্ট অথবা অন্য কোন সংস্থা স্থাপন এবং উহাদের স্থাপনকল্পে সাহায্য বা সহযোগিতা প্রদান;
(২) পেনশন ও ভাতা প্রদান;
(৩) বীমার প্রিমিয়াম প্রদান;
(৪) কোন প্রদর্শনী বা সাধারণভাবে উপকারী কোন কাজে চাঁদা প্রদান;
(৫) ঐসব ব্যাপারে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করা;
(ভ) উহার প্রয়োজন বা সুবিধার্থে ইমারত বা এইরূপ অন্যকিছু অর্জন, নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উহার পরিবর্তন সাধন;
(ম) উহার সমুদয় সম্পত্তি বা অংশ বিশেষ বা উহার কোন অধিকার বিক্রয়, উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, বিনিময়, ইজারা প্রদান, বন্ধকে রাখা বা অন্যবিধ উপায়ে হস্তান্তরকরণ বা টাকায় রূপান্তরকরণ বা অন্য কোন উপায়ে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ;
(য) এই উপ-ধারায় বর্ণিত ব্যবসার প্রকৃতির সহিত মিল থাকিলে, কোন ব্যক্তি বা কোম্পানীর ব্যবসা বা ব্যবসার কোন অংশ অর্জন এবং উহার দায়িত্ব গ্রহণ;
(র) উহার ব্যবসায়ের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধনের জন্য আনুষংগিক ও সহায়ক অন্যান্য সকল কাজকর্ম সম্পাদন;
(ল) সরকার কর্তৃক সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা অন্য যেসব ব্যবসা ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক করা যাইতে পারে বলিয়া নির্দিষ্ট করা হয় সেই সকল ব্যবসায়৷
(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ব্যবসায় ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায়ে নিয়োজিত হইতে পারিবে না৷
38[(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, 39[***] ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী স্টক-ব্রোকার, স্টক-ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসাবে বা 40[বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] হইতে নিবন্ধন গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে এইরূপ কোন ব্যবসায়ে সরাসরি লিপ্ত হইতে পারিবে না 41[:]
42[তবে শর্ত থাকে যে, সিকিউরিটি কাস্টোডিয়াল (Custodial) সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে এই উপ-ধারার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।]
১৩৷ 58[(১) বাংলাদেশে কার্যরত সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, নির্ধারিত পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করিতে হইবেঃ
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহিত পরামর্শক্রমে, বিশেষায়িত ব্যাংকসমূহকে এই ধারার বিধান হইতে অব্যাহতি দিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘মূলধন’’ বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময়ে সময়ে, জারীকৃত মূলধন সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালায় যে সকল উপাদানকে মূলধন বলিয়া নির্দিষ্ট করা হইবে সেই সকল উপাদানকে বুঝাইবে।
(২) 59[পরিশোধিত মূলধন], শেয়ার প্রিমিয়ামসহ সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংসে এর সমষ্টি, এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নির্ধারিত পরিমাণের কমপক্ষে সমান সংরক্ষিত না হইলে এই আইন কার্যকর হইবার পর হইতে, বিদ্যমান কোন ব্যাংক-কোম্পানী, একাদিক্রমে অনুরূপ সংরক্ষণে ব্যর্থতার ২ (দুই) বৎসর অতিবাহিত হইবার পর, বাংলাদেশে উহার ব্যবসা পরিচালনা করিবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক সমীচীন মনে করিলে বিশেষ ক্ষেত্রে উল্লিখিত মেয়াদ অনধিক ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করিতে পারিবে।]
60[(৩) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে উক্ত ব্যাংক কোম্পানী নগদে বা দায়হীন অনুমোদিত সম্পত্তি নিদর্শনপত্রে অথবা আংশিক নগদে ও আংশিক অনুরূপ নিদর্শনপত্রে অথবা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন সম্পদে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট 61[উক্ত অর্থ জমা না রাখিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (২) এর] বিধান পালন করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না :
তবে আরও শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশের বাহির হইতে তহবিল 62[আনয়ন] করিয়া বা বাংলাদেশের আমানত হইতে অর্জিত বিদেশে প্রেরণযোগ্য মুনাফা দ্বারা আহরিত সম্পদে উক্ত অর্থ জমা রাখিতে হইবে।]
(৪) [ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ৮ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]
(৫) যদি কোন কারণে বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার ব্যাংক-ব্যবসা বাংলাদেশে বন্ধ করিয়া দেয়, তাহা হইলে উপ-ধারা (৪) এর অধীন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট উক্ত ব্যাংক কর্তৃক জমাকৃত অর্থ উহার সম্পদ বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত ব্যাংকের বাংলাদেশস্থ পাওনাদারদের পাওনা উক্ত অর্থের উপর প্রথম দায় হইবে।
(৬) 63[কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক সংরক্ষিতব্য বা সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ বা উপাদান ইত্যাদি] নির্ধারণের বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে তত্সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
64[(৭) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) মোতাবেক আবশ্যক পরিমাণে, হারে ও পন্থায় মূলধন সংরক্ষণ করিতে ব্যর্থ হইয়াছে তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে অনধিক ১ (এক) বৎসরের মধ্যে উক্ত ঘাটতি পূরণের নির্দেশ দিতে পারিবে এবং এইরূপ নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ব্যর্থতা অব্যাহত থাকিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণিত যে কোন অথবা সকল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, যথা:-
(ক) নির্দিষ্ট মেয়াদে বা অনুরূপ ঘাটতি পূরণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করা;
(খ) নির্দিষ্ট মেয়াদে বা অনুরূপ ঘাটতি পূরণের পূর্ব পর্যন্ত উক্ত ব্যাংক কর্তৃক নূতন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান নিষিদ্ধ করা;
(গ) উক্ত ব্যর্থতার জন্য সর্বনিম্ন বিশ লক্ষ টাকা হইতে অনূর্ধ্ব এক কোটি টাকা জরিমানা আরোপ এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ; এবং
(ঘ) এই আইনের অধীন অন্যান্য শাস্তি বা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ।]
65[ব্যাখ্যা- এই ধারায় “ঝুঁকি-ভিত্তিক মূলধন” বলিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সম্পদের ভারিত (Weighted) ঝুঁকির ভিত্তিতে নিরূপিত মোট সম্পদের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত হারে রক্ষিতব্য মূলধনকে বুঝাইবে৷]
১৪৷ (১)67[বিশেষায়িত] ব্যাংক ব্যতীত বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী পূরণ না করিলে, উহা বাংলাদেশে ব্যবসা আরম্ভ করিতে পারিবেনা :-
(ক) উহার প্রতিশ্রুত মূলধন অনুমোদিত মূলধনের অর্ধেকের কম হইবে না;
(খ) উহার 68[পরিশোধিত মূলধন] প্রতিশ্রুত মূলধনের অর্ধেকের কম হইবে না;
(গ) 69[ উহার অনুমোদিত মূলধন] বর্ধিত করা হইলে (ক) ও (খ) দফার শর্তাবলী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময়, যাহা দুই বত্সরের বেশী হইবেনা, এর মধ্যে পূরণ করিতে হইবে;
(ঘ) উহার মূলধন শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ার সমন্বয়ে গঠিত হইবে;
(ঙ) দফা (চ) এর বিধান সাপেক্ষে, উহার যে কোন শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার 70[পরিশোধিত মূলধনে] তাঁহার প্রদত্ত অংশের অনুপাতে নির্ধারিত হইবে;
(চ) সরকার ব্যতীত অন্য কোন একক শেয়ার হোল্ডারের ভোটাধিকার সকল শেয়ার হোল্ডারগণের সামগ্রিক ভোটাধিকারের শতকরা পাঁচ ভাগের বেশী হইবে না৷
(২) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে বা কোন চুক্তি বা অন্য কোন দলিলে যাহা কিছুই থাকুকনা কেন, কোন ব্যক্তি 71[***] কোন ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হিসাবে রেজিষ্ট্রিভুক্ত হইলে, তাঁহার বিরুদ্ধে তাঁহার শেয়ারের স্বত্ব, অন্য কোন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত হইয়াছে এই দাবীতে কোন মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা দায়ের করা যাইবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা বা আইনগত কার্যধারারক্ষেত্রে এই উপ-ধারার কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না, যথা :-
(ক) শেয়ার হস্তান্তর সংক্রান্ত আইন অনুসারে কোন রেজিষ্ট্রিভুক্ত শেয়ার হোল্ডার হইতে কোন শেয়ারের হস্তান্তর গ্রহীতা;
(খ) কোন রেজিষ্ট্রিভুক্ত শেয়ার হোল্ডার কোন নাবালক বা বিকৃত মস্ত্মিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে উক্ত শেয়ার ধারণ করেন এই দাবীতে উক্ত নাবালক বা বিকৃত মস্তিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি৷
(৩) 72[* * *] কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এবং তাঁহার পরিবারের সদস্যবর্গ, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে এবং অন্য কোন কোম্পানীতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যে শেয়ার, সম্পদ ও দায়-দেনা ধারণ করেন উহার পরিমাণ ও মূল্য সংক্রান্ত তথ্য এবং উহার পরিমাণ বা উহার অধিকার এবং দায়িত্ব সম্পর্কে কোন পরিবর্তন হইলে তত্সংক্রান্ত তথ্য, এবং অনুরূপ শেয়ার, সম্পদ ও দায়-দেনার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উহার আদেশের দ্বারা তলবকৃত অন্যান্য তথ্য সম্বলিত একটি পূর্ণ বিবরণী উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে এবং সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট প্রেরণ করিবেন৷
73[১৪ক৷ 74[(১) কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ব্যাংকের শেয়ার কেন্দ্রীভূত করা যাইবে না এবং কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে বা উভয়ভাবে, কোন ব্যাংকের শতকরা ১০ (দশ) ভাগের বেশি শেয়ার ক্রয় করিবেন না।]
(২) 75[কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক যাচিত হইলে উক্ত ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের সময় ক্রেতা] এই মর্মে শপথপত্র বা ঘোষণাপত্র দাখিল করিবেন যে, তিনি অন্যের মনোনীত ব্যক্তি হিসাবে বা বেনামীতে শেয়ার ক্রয় করিতেছেন না এবং ইতিপূর্বে বেনামীতে কোন শেয়ার ক্রয় করেন নাই৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন দাখিলকৃত শপথপত্র বা ঘোষণাপত্রের বিষয়বস্তু যদি কোন সময় মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তাহা হইলে শপথ বা ঘোষণাকারীর সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সকল শেয়ার 76[বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে] বাজেয়াপ্ত হইবে৷
(৪) ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ১৯৯৫ ( 77[১৯৯৫ সনের ২৫নং আইন]) কার্যকর হওয়ার অব্যবহিত পূর্বে উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কাহারও নিকট উক্ত উপ-ধারায় নির্ধারিত শেয়ারের অতিরিক্ত শেয়ার থাকিলে, উহা উক্ত সংশোধন কার্যকর হওয়ার এক বত্সরের মধ্যে, উক্ত কোম্পানী বা পরিবারের সদস্য নন এমন ব্যক্তি বা উক্ত কোম্পানীতে শেয়ার নাই এমন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের নিকট বিক্রয় করিতে পারিবেন৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এ উল্লেখিত অতিরিক্ত শেয়ার যদি উহাতে উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যে ও শর্তাধীন বিক্রি করা না হয়, তাহা হইলে উক্ত অতিরিক্ত শেয়ার সরকারের বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্টকৃত কোন প্রতিষ্ঠানে ন্যস্ত হইবে এবং সরকার বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান উক্ত শেয়ারের জন্য উহার ফেস মূল্য বা বাজার মূল্যের মধ্যে যাহা কম হয় সেই মূল্য পরিশোধ করিবে৷
(৬) এই ধারার কোন কিছুই সরকারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না৷
78[***]
79[১৪খ। 80[(১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত, কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে বা উভয়ভাবে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক হইতে পারিবে না।]
(২) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পূর্বানুমোদন গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে আবেদন করিতে হইবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক যাচিত তথ্য উহাতে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
81[ব্যাখ্যা।- 'উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক' বলিতে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী বা কোন পরিবারের সদস্যগণ কর্তৃক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, একক বা অন্যের সহিত যৌথভাবে বা উভয়ভাবে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর মালিকানা স্বত্বের শতকরা ৫ (পাঁচ) ভাগের অধিক শেয়ার ধারণকে বুঝাইবে।]
১৫৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক, তত্কর্তৃক আদেশ প্রদানের দুই মাসের মধ্যে বা তত্কর্তৃক বর্ধিত সময়ের মধ্যে, 83[ বিশেষায়িত] ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে এই 84[ আইনের] বিধান অনুযায়ী উহার নূতন পরিচালক নির্বাচিত করার উদ্দেশ্যে উক্ত কোম্পানীর সাধারণ সভা আহ্বানের নির্দেশ দিতে পারিবে৷
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচিত পরিচালক, উক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হইলে, তাঁহার পূর্বসূরী যে তারিখ পর্যন্ত উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিতেন সেই তারিখ পর্যন্ত পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন৷
(৩) এই ধারার অধীনে যথাযথভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পর্কে কোন আদালতে কোন প্রশ্ন উপস্থাপন করা যাইবে না৷
85[ (৪) বিশেষায়িত ব্যাংক ব্যতীত অন্য যে কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে উহার পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা 86[ নির্বাচন বা, ক্ষেত্রমত, মনোনয়নের পর] নিযুক্তি 87[ , পুনঃনিযুক্তি] বা পদায়নের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে এবং এইরূপ নিযুক্ত 88[বা পুনঃনিযুক্ত] কর্মকর্তাগণকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে তাহার পদ হইতে অব্যাহতি দেওয়া, বরখাস্ত করা বা অপসারণ করা যাইবে না।]
89[ (৫) বাংলাদেশ ব্যাংক, উপ-ধারা (৬) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্তির বিষয়ে অনুমোদন প্রদান করিবে]
90[ (৬) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না, যদি-
(অ) তাহার অন্যূন ১০ (দশ) বৎসরের ব্যবস্থাপনা বা ব্যবসায়িক বা পেশাগত অভিজ্ঞতা না থাকে;
(আ) তিনি ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডিত হন কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকান্ডের সহিত জড়িত ছিলেন বা থাকেন;
(ই) তাহার সম্পর্কে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলায় আদালতের রায়ে কোন বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকে;
(ঈ) তিনি আর্থিক খাত সংশ্লিষ্ট কোন নিয়ামক সংস্থার বিধিমালা, প্রবিধান বা নিয়ামাচার লংঘনজনিত কারণে দণ্ডিত হন;
(উ) তিনি এমন কোনো কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের সহিত যুক্ত থাকেন, যাহার নিবন্ধন বা লাইসেন্স বাতিল করা হইয়াছে বা প্রতিষ্ঠানটি অবসায়িত হইয়াছে;
(ঊ) তাহার নিজের কিংবা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ বা খেলাপী হন;
(এ) তিনি কোনো সময় আদালত কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হন।
(৭) ব্যাংক-কোম্পানীর প্রস্তাবিত পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে এই মর্মে ঘোষণা প্রদান করিবেন যে, তিনি উপ-ধারা (৬) এর বিধান অনুসারে পরিচালক হইবার অনুপযুক্ত নহেন:
তবে শর্ত থাকে যে, মনোনীত প্রার্থী নিযুক্তির ক্ষেত্রে স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্রটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে।
(৮) উপ-ধারা (৬) এর বিধান এই সম্পর্কিত প্রচলিত অন্যান্য আইনের অতিরিক্ত হিসাবে গণ্য হইবে।
91[(৯) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ/স্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্যূন ৩ (তিন) জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে সর্বোচ্চ ২০ (বিশ) জন পরিচালক থাকিবেন:
তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক সংখ্যা ২০ (বিশ) জনের নিম্নে হইলে স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা অন্যূন ২ (দুই) জন হইবে:
আরো শর্ত থাকে যে, স্বতন্ত্র পরিচালকের সর্বোচ্চ সংখ্যা, ফি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।
ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারায় “স্বতন্ত্র পরিচালক” বলিতে এইরূপ ব্যক্তিকে বুঝাইবে যিনি ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা ও শেয়ারধারক হইতে স্বাধীন এবং যিনি কেবল ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থে স্বীয় মতামত প্রদান করিবেন এবং ব্যাংকের সহিত কিংবা ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত যাহার অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত কোন প্রকৃত স্বার্থ কিংবা দৃশ্যমান স্বার্থের বিষয় জড়িত নাই।
(১০) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ/স্মারক বা সংঘবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন একক পরিবার হইতে ৩ (তিন) জনের অধিক সদস্য একই সময় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিবে না।]
(১১) এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের পদ ত্যাগ করার আবশ্যক হইলে পরিচালকগণের মধ্য হইতে কোন পরিচালক উক্ত পদ ত্যাগ করিবেন তাহা পরিচালকদের পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে নির্ধারিত হইবে এবং পারস্পরিক সমঝোতায় উপনীত হইতে ব্যর্থ হইলে তাহা পরিচালক পর্ষদের সভায় লটারী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হইবে।
(১২) ব্যাংক-কোম্পানীর এমন কোন পরিচালক থাকিবেন না যিনি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা ও উপযুক্ততার শর্তাবলী পূরণ না করেন।
92[***]
95[১৫কক। (১) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অথবা কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সংঘ/স্মারক বা সংঘবিধিতে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ব্যাংক- কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০১৮ কার্যকর হইবার পর কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে একাদিক্রমে ১২ (বারো) বৎসরের অধিক অধিষ্ঠিত থাকিতে পারিবেন না।
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন একাদিক্রমে ১২ (বারো) বৎসর কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকিলে উক্ত মেয়াদ শেষ হইবার পর ৩ (তিন) বৎসর অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক পদে পুনঃনিযুক্ত হইবার যোগ্য হইবেন না।
ব্যাখ্যা।- এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কোন ব্যক্তি পরিচালক পদে ৩ (তিন) বৎসরের চাইতে কম সময় অধিষ্ঠিত না থাকিলে একাদিক্রমে ১২ (বারো) বৎসর গণনার ক্ষেত্রে উক্ত সময়ও অন্তর্ভুক্ত হইবে।]
96[১৫ককক। (১) কোম্পানী আইনের ধারা ১০১ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালকের কেবল বাংলাদেশ হইতে বিদেশে অন্যূন ৩ (তিন) মাস নিরবচ্ছিন্ন অবস্থানজনিত অনুপস্থিতির কারণে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে কোন বিকল্প পরিচালক নিয়োগের প্রয়োজন হইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদ উক্ত মূল পরিচালকের বিপরীতে বৎসরে সর্বোচ্চ ১ (এক) বার একাদিক্রমে ৩ (তিন) মাসের জন্য ১ (এক) জন বিকল্প পরিচালক নিযুক্ত করিতে পারিবে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার কর্তৃক মনোনীত বা নিযুক্ত কোন চেয়ারম্যান বা পরিচালক, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, এর ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(২) বিকল্প পরিচালক নিযুক্তির ক্ষেত্রে পরিচালক নিযুক্তির যোগ্যতা ও উপযুক্ততা সংক্রান্ত বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।
(৩) বিকল্প পরিচালক নিয়োগ ও তাহার কার্যপরিধি নির্ধারণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।]
97[১৫খ। (১) ব্যাংক-কোম্পানীর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও উহার পরিপালনের জন্য পরিচালনা পর্ষদ দায়বদ্ধ থাকিবে।
(২) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী উহার পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির সদস্য নহেন এইরূপ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অডিট কমিটি গঠন করিবে।
(৩) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী উহার পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করিবে।
১৫গ। (১) পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংক-কোম্পানীতে একটি কার্যকর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করিবে; এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা হইতে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হইবে এবং উহার প্রতিবেদন ব্যাংকের অডিট কমিটির নিকট পেশ করিতে হইবে।
(২) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষক কার্য সম্পাদনের জন্য ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করিতে পারিবে এবং তাহাদের নিকট হইতে নিরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য বা নথি সংগ্রহ করিতে পারিবে।
(৩) অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি একই সময়ে ব্যাংক-কোম্পানীর কোন চুক্তি বা লেনদেনে সংযুক্ত হইতে বা ব্যাংক-কোম্পানীর প্রতিনিধিত্ব করিতে পারিবে না।]
98[১৭৷ (১) কোন ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক যদি-
(ক) উক্ত ব্যাংক কোম্পানী অথবা অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হইতে গৃহীত অগ্রিম বা ঋণ বা উক্ত অগ্রিম বা ঋণের কিস্ত্ বা সুদ পরিশোধ করিতে,
(খ) তদ্কর্তৃক প্রদত্ত কোন জামিনের জন্য তাঁহার নিকট প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করিতে, অথবা
(গ) তদ্কর্তৃক সম্পাদনীয় কোন কর্তব্য, যাহার দায়িত্ব তিনি লিখিতভাবে গ্রহণ করিয়াছেন, সম্পাদনা
করিতে, ব্যর্থ হন, এবং উক্ত ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক এর মাধ্যমে নোটিশ দ্বারা তাঁহাকে উক্ত অগ্রিম, ঋণ, কিস্ত্, সুদ বা জামিনের টাকা পরিশোধ বা উক্ত কর্তব্য সম্পাদন করিতে নির্দেশ দেয় এবং উক্ত নির্দেশ পাওয়ার দুই মাসের মধ্যে তিনি উক্তরূপ পরিশোধ বা কর্তব্য সম্পাদন করিতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার সাথে সাথে তাঁহার পদ শূন্য হইবে৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, তিনি, নোটিশ প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাঁহার কোন বক্তব্য থাকিলে ঐরূপ বক্তব্য লিখিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিকট প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উহার একটি অনুলিপি নোটিশ প্রদানকারী ব্যাংক কোম্পানী বা ক্ষেত্রমত, আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও প্রেরণ করিবেন৷
(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রেরিত বক্তব্য প্রাপ্তির পনর দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক উহার উপর সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে৷
(৪) উপ-ধারা (৩) এর অধীন গৃহীত বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে৷
(৫) এই ধারার অধীনে কোন পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে যে ব্যক্তি পরিচালক ছিলেন, তাঁহার নিকট প্রাপ্য টাকা সংশ্লিষ্ট 99[ব্যাংক-কোম্পানীতে] তাঁহার শেয়ার সমন্বয়ের মাধ্যমে আদায় করা হইবে এবং উক্তরূপে সমন্বয়ের পর যে টাকা বকেয়া থাকিবে তাহা সরকারী পাওনা হিসাবে গণ্য হইবে এবং Public Demands Recovery Act, 1913 (Ben. Act III of 1913) এর অধীনে আদায়যোগ্য হইবে৷
(৬) এই ধারার অধীনে কোন পরিচালকের পদ শূন্য হইলে, শূন্য হওয়া পদের বিপরীতে যে ব্যক্তি পরিচালক ছিলেন, তিনি, তদ্কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার তারিখ হইতে এক বত্সরের মধ্যে, উক্ত ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোন ব্যাংক কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইতে পারিবেন না৷]
100[(৭) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোনো ব্যাংকে-কোম্পানীর পরিচালক নোটিশ প্রাপ্ত হইলে, তাহার নিকট সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমুদয় পাওনা পরিশোধিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি যেই ব্যাংকে পরিচালক নিয়োজিত ছিলেন সেই ব্যাংকে তাহার নামে ধারণকৃত শেয়ার হস্তান্তর করিতে পারিবেন না।
101[(৭ক) এই ধারার অধীন নোটিশপ্রাপ্ত কোন পরিচালক নোটিশের কার্যক্রম চলমান থাকাবস্থায় তাহার পদ হইতে পদত্যাগ করিলে উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।]
(৮) এই ধারার অধীন গৃহীত কোন ব্যবস্থা, আদেশ বা সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কোম্পানী আইন, ১৯৯৪ (১৯৯৪ সনের ১৮ নং আইন) এর ধারা ৩ এর অধীন এখতিয়ারসম্পন্ন আদালত ব্যতীত অন্য কোন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না।]
২৩৷ 115[(১) অন্য কোন আইন বা সংশ্লিষ্ট কোন কোম্পানীর সংঘ স্মারক ও সংঘ বিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন,-
116[(ক) কোন ব্যক্তি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক হইলে একই সময় তিনি অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানী বা উক্তরূপ কোম্পানীসমূহের কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এইরূপ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক থাকিবেন না;]
117[(কক) ধারা ১৫ এর উপ-ধারা (১০) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদে কোন একক পরিবারের সদস্যের অতিরিক্ত তাহার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা নিয়ন্ত্রণাধীন অনধিক ২ (দুই) টি প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পক্ষে প্রতিনিধি পরিচালক থাকিতে পারিবেন;
(ককক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদে কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পক্ষে ১ (এক) এর অধিক ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক নিযুক্ত হইতে পারিবেন না;
(কককক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদে কোন প্রাকৃতিক ব্যক্তিসত্তা বিশিষ্ট ব্যক্তি শেয়ারধারকের পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি প্রতিনিধি পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইতে পারিবেন না;]
118[(খ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর এইরূপ কোন পরিচালক থাকিবেন না, যিনি-
(অ) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর বহিঃহিসাব নিরীক্ষক, আইন উপদেষ্টা, উপদেষ্টা, পরামর্শক বা অন্য কোনভাবে লাভজনক পদের দায়িত্বে নিয়োজিত রহিয়াছেন;
(আ) অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানীর বা উক্তরূপ কোম্পানীসমূহের কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এইরূপ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা, পরামর্শক বা অন্য কোনভাবে লাভজনক পদের দায়িত্বে নিয়োজিত রহিয়াছেন;
(ই) এইরূপ কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক যে কোম্পানীসমূহ একত্রে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০ (বিশ) শতাংশের অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী হইয়াছেন;
(ঈ) অপর কোন ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা কোম্পানী বা উক্তরূপ কোম্পানীসমূহের কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর পক্ষে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছেন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বীমা কোম্পানীর উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে এইরূপ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত হইয়াছেন:
তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার বিধান সরকার কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষায়িত ব্যাংকের পরিচালকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না:
আরো শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন এবং বিশেষ আইন দ্বারা সৃষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর পক্ষে পরিচালক হিসাবে কোন কর্মকর্তা নিযুক্তির ক্ষেত্রে এই উপ-দফার বিধান প্রযোজ্য হইবে না।]
119[(১ক) উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী পরিচালক থাকিতে পারেন না এমন কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যাংক কোম্পানীর পরিচালক থাকেন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পরিচালক পদ হইতে অপসারণ করিবে 120[|
***]]
(২) এই 121[আইন] প্রবর্তনের অব্যবহিত পূর্ব হইতে কোন ব্যাংক-কোম্পানীতে কর্মরত পরিচালক যদি এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক হন যেসব কোম্পানী 122[একত্রে] উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের মোট শেয়ারের বিপরীতে মোট ভোটের ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী, তাহা হইলে তিনি অনুরূপ প্রবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে,-
(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালকের পদ ত্যাগ করিবেন, অথবা
(খ) কোম্পানীগুলির মধ্যে এমন কতিপয় কোম্পানীর পরিচালক পদে থাকার সিদ্ধান্ত্ম গ্রহণ করিবেন যে সকল কোম্পানী উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে উহাদের মোট শেয়ার বলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের শেয়ারের বিপরীতে ভোটের মোট সংখ্যার ২০% এর অধিক ভোট প্রদানের অধিকারী নহে; এবং অন্যান্য কোম্পানীর পরিচালকের পদ ত্যাগ করিবেন৷
২৬৷ 133[ ১] 134[***] কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত কোন উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী গঠন করিতে 135[বা সাবসিডিয়ারী কোম্পানীতে পরিণত করার উদ্দেশ্যে কোন বিদ্যমান কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণমূলক শেয়ার ক্রয় করিতে] পারিবে না, যথা:-
(ক) কোন ট্রাষ্ট পরিচালনা ও কার্যকর করা;
(খ) নির্বাহক বা ট্রাষ্টী হিসাবে বা অন্য কোন প্রকারে কোন সম্পত্তি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করা;
(গ) আমানতের নিরাপত্তা বিধানের জন্য নিরাপদ ভল্টের ব্যবস্থা করা;
136[***]
(ঙ) 137[বাংলাদেশ ব্যাংকের] লিখিত পূর্বানুমতিক্রমে,-
(অ) কেবলমাত্র বাংলাদেশের বাহিরে ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনা করা;
(আ) অনিবাসীগণের নিকট হইতে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রাপ্ত এবং অবাধে হস্তান্তরযোগ্য আমানতের ভিত্তিতে ব্যাংক-ব্যবসা পরিচালনা করা;
138[(ই) স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার, পোর্টফোলিও ম্যানেজার হিসাবে বা 139[বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন] হতে নিবন্ধন গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে এইরূপ কোন প্রকার ব্যবসায় পরিচালনা করা;]
140[(চ) বাংলাদেশ ব্যাংক, যে সকল ব্যবসাকে বাংলাদেশে ব্যাংক-ব্যবসার প্রসার ও উন্নয়নের জন্য সহায়ক বা জনস্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় বা অন্য কোনভাবে উপকারী বলিয়া মনে করে, সেই সকল ব্যবসার উদ্যোগ গ্রহণ করা৷]
141[***]
142[(২) যে উদ্দেশ্যেই সাবসিডিয়ারী কোম্পানী গঠিত হউক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, নির্ধারিত হার বা পরিমাণের অধিক উহার সাবসিডিয়ারী কোম্পানীসমূহের মূলধন হিসাবে বিনিয়োগ করিতে পারিবে না।
(৩) ধারা ৪৪ এর অধীন পরিচালিত পরিদর্শন ও পরীক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর পরিচালনা পর্ষদের কোন সদস্য, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ড সংশ্লিষ্ট সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা আমানতকারীর জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে উক্ত সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা আমানতকারীর স্বার্থে বা জনস্বার্থে তাহার বা তাহাদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করিতে পারিবে বা উক্ত সাবিসিডিয়ারী কোম্পানীর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবহিত করিবে।
(৪) উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত উদ্দেশ্যে গঠিত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর কোন সাবসিডিয়ারী কোম্পানী যদি উহার উপর আরোপিত কোন শর্ত ভঙ্গ করে বা ক্ষতিকর কোন কার্যক্রমে লিপ্ত হয়, তাহা হইলে উক্ত সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা ব্যাংক-কোম্পানী বা আমানতকারীর স্বার্থে বা জনস্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশনা প্রদান করিবে।]
143[২৬ক। 144[(১) ধারা ২৬ এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী অন্য কোন কোম্পানীর শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত পরিমাণের অধিক শেয়ার ধারণ করিবে না, যথা:-
(ক) ধারণকৃত শেয়ার ক্রয়মূল্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ৫ (পাঁচ) শতাংশ;
(খ) বিনিয়োগকৃত কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধনের ১০ (দশ) শতাংশ:
তবে শর্ত থাকে যে, উপরোক্ত দফা (ক) ও (খ) এ শেয়ার ধারণের পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর পরিশোধিত মূলধনের ১০ (দশ) শতাংশের বেশী হইতে পারিবে না:
আরো শর্ত থাকে যে, প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী এইরূপভাবে উহার পুঁজিবাজার বিনিয়োগ কোষ পুনর্গঠন করিবে যাহাতে ধারণকৃত সকল প্রকার শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, উপ-ধারা(২ক) এ উল্লিখিত নিদর্শনপত্র ব্যতীত অন্যান্য পুঁজিবাজার নিদর্শনপত্রের মোট ক্রয়মূল্য এবং পুঁজিবাজার কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়োজিত নিজস্ব সাবসিডিয়ারী কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহ, অন্য কোন কোম্পানী বা কোম্পানীসমূহে প্রদত্ত ঋণ সুবিধা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে গঠিত কোন প্রকার তহবিলে প্রদত্ত চাঁদার পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে উহার পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও রিটেইন্ড আর্নিংস এর মোট পরিমাণের ২৫ (পঁচিশ) শতাংশের অধিক না হয় ৷]
(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার কোন কোম্পানীর পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট থাকেন বা উহাতে তাহার কোন স্বার্থ থাকে, তাহা হইলে, এই আইন প্রবর্তনের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসর মেয়াদ অতিক্রান্ত হইবার পর, সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজার উক্ত কোম্পানীতে কোন শেয়ার ধারণ করিতে পারিবে না।
145[(২ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক বন্ড, ডিবেঞ্চার বা ইসলামিক শরীয়াহ ভিত্তিক নিদর্শনপত্রে বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিবে।]
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানী উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনূর্ধ বিশ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপিত হইবে এবং যদি উক্ত লংঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লংঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।
২৬গ। (১) কোন ব্যাংক কোম্পানী উক্ত ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে এইরূপ কোন লেনদেন করিবে না যাহার শর্তাবলী ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট নহে এমন কোন গ্রাহকের সহিত সম্পাদিত লেনদেনের শর্তাবলী অপেক্ষা সহজতর।
(২) উপরি-উক্ত বিধান সত্ত্বেও, কোন ব্যাংক কোম্পানী কর্তৃক ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বা তাহাদের স্বার্থের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ-সুবিধার মোট পরিমাণ উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর টিয়ার-১ মূলধনের শতকরা ১০ ভাগ এর অধিক হইবে না।
ব্যাখ্যা।- এই উপ-ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ‘‘টিয়ার-১ মূলধন’’ অর্থ ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান মোতাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত মূলধন সংরক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালায় সংজ্ঞায়িত টিয়ার-১ মূলধন।
(৩) বাংলাদেশ ব্যাংক হইতে এতদুদ্দেশ্যে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ন্যূনতম অংকের ঋণের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য সকল ক্ষেত্রে ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তিকে ঋণ প্রদানের পূর্বে পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি গ্রহণ করিতে হইবে এবং ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে প্রদত্ত প্রতিটি ঋণের বিষয়ে যথাশীঘ্র পর্ষদকে অবহিত করিতে হইবে।
(৪) এই ধারার বিধান লংঘন করিয়া ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে ঋণ প্রদান করা হইলে উহা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করিতে হইবে এবং এইরূপ লংঘন পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের জ্ঞাতসারে ঘটিয়া থাকিলে তাহারা এককভাবে ও যৌথভাবে উক্ত ঋণের আসল, সুদ ও অন্যান্য সমুদয় চার্জ পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন।
(৫) ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তির সহিত বা তাহার স্বার্থের অনুকূলে ঋণ প্রদানের বিষয়ে এতদুদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনায় উল্লিখিত সংজ্ঞা কিংবা অতিরিক্ত শর্তাদি পরিপালনীয় হইবে।
(৬) বাংলাদেশে এক বা একাধিক শাখা পরিচালনাকারী বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধিত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) ও (৩) এর বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে না।
147[ব্যাখ্যা।- এই ধারায় “ব্যাংক সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান” অর্থে বুঝাইবে-
(ক) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী, উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক বা তাহাদের পরিবারের সদস্য বা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় এইরূপ কোন ব্যক্তি যিনি উক্ত ব্যাংকের উপর নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করে;
(খ) এইরূপ কোন কোম্পানী যাহাতে দফা (ক) এ উল্লিখিত ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণ, যৌথ নিয়ন্ত্রণ বা উল্লেখযোগ্য প্রভাব রহিয়াছে;
(গ) কোন কোম্পানীতে কোন ব্যাংক-কোম্পানী উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার ধারণ করিলে উক্ত কোম্পানীর কোন উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক;
(ঘ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত বিধান অনুযায়ী এইরূপ কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যিনি বা যাহারা দফা (ক), (খ) ও (গ) এ বর্ণিত সম্পর্কের ন্যায় কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত সম্পর্কিত।]
২৭৷ 148[ (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানী,-
(ক) উহার নিজস্ব শেয়ারকে জামানত হিসাবে রাখিয়া কোন ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;’’
149[(খ) ধারা ২৬গ এর উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, ইহার কোন পরিচালককে বা পরিচালকের পরিবারের সদস্যকে জামানতী ঋণ বা অগ্রিম ব্যতীত অন্য কোনরূপ ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না বা ইহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে জামানতী ঋণ বা অগ্রিম ব্যতীত ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না;]]
(গ) বিনা জামানতে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে কোন ঋণ বা অগ্রিম মঞ্জুর করিবে না, অথবা এই সকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দায় গ্রহণের ভিত্তিতে কোন ঋণ ও অগ্রিম প্রদান করিবে না,-
(অ) ইহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য;
150[(আ) এইরূপ কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা প্রাইভেট কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক, পরিচালক, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন অথবা যাহা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়;]
(ই) এমন কোন পাবলিক লিমিটেড কোম্পানী, যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা উহার কোন পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, অথবা যাহাতে উক্ত ব্যক্তিদের এমন পরিমাণ শেয়ার থাকে যাহা দ্বারা তাহারা অন্যূন বিশ শতাংশ ভোটদান ক্ষমতার অধিকারী হন।]
151[(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান সাপেক্ষে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট পরিচালক ব্যতীত অন্যান্য পরিচালকগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোন আর্থিক সুবিধা প্রদান করিবে না-
(ক) উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের কোন সদস্য; বা
(খ) এইরূপ কোন ব্যক্তি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী যাহার সহিত বা যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক, অংশীদার, পরিচালক বা জামীনদাতা হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে বা যাহা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়।
ব্যাখ্যা।- এই ধারায় “জামানত” বলিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক, সময় সময়, জারীকৃত নির্দেশনায় নির্ধারিত যোগ্য জামানতকে (Eligible Collateral) বুঝাইবে।]
(৩) [ব্যাংক কোম্পানী (সংশোধন) আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১১ নং আইন) এর ১৯ ধারাবলে বিলুপ্ত৷]
(৪) 152[ প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক], প্রত্যেক মাস শেষ হওয়ার পূর্বে, উহার পূর্ববর্তী মাসের একটি বিবরণী বিধিদ্বারা নির্ধারিত ফরমে ও পদ্ধতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করিবে, এবং উক্ত বিবরণীতে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকিবে,-
(ক) এমন কোন প্রাইভেট বা পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক 153[বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য] উক্ত কোম্পানীর পরিচালক হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন; এবং
(খ) এমন পাবলিক কোম্পানীকে মঞ্জুরীকৃত ঋণ বা অগ্রিম যাহাতে ব্যাংক-কোম্পানীটি বা উহার কোন পরিচালক 154[বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য] ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধি বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছেন৷
(৫) উপ-ধারা (৪) এর অধীন দাখিলকৃত কোন বিবরণী পরীতগান্ত্মে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী উহার আমানতকারীগণের স্বার্থ হানি করিয়া উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান করিয়াছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক লিখিত আদেশ দ্বারা এই প্রকার আর কোন ঋণ বা অগ্রিম প্রদান না করার জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে এবং অনুরূপ ঋণ বা অগ্রিম প্রদানের উপর বাধা-নিষেধ আরোপ করিতে পারিবে, এবং উক্ত আদেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই প্রকার প্রদত্ত ঋণ ও অগ্রিম আদায় নিশ্চিত করিবার জন্যও উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে৷
155[২৭ক। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ঋণদাতা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পর্ষদ বা, ক্ষেত্রমত, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত, কোন দেনাদার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের কোন পরিচালক বা পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কোন সদস্যের পদত্যাগ কার্যকর হইবে না এবং কোন পরিচালক তাহার শেয়ার হস্তান্তর বা বিক্রয় করিতে পারিবেন না।]
২৭কক ৷ 156[(১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, Bangladesh Bank Order, 1972 (P.O No. 127 of 1972) এর article 43 ও 44 এর বিধান অনুসারে, সময় সময়, উহার খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে।
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তালিকা, Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর article 45 এর বিধান অনুসারে দেশের সকল ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবে।
(৩) কোন খেলাপী ঋণ গ্রহীতার অনুকূলে কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনরূপ ঋণ সুবিধা প্রদান করিবে না:
তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৫ এর দফ (গগ) এর বিধান অনুসারে পরস্পর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট গ্রুপভুক্ত কোন খেলাপী ব্যক্তি বা ক্ষেত্রমত, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যদি ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা না হয় অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী কর্তৃক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হইবার ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণ রহিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী হইবার কারণে ঐ গ্রুপভুক্ত অন্য কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী খেলাপী বলিয়া গণ্য হইবে না, এবং এইরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে তৎকর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাইবে।]
(৪) আপাততঃ বলবত্ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, খেলাপী ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক-কোম্পানী বা, ক্ষেত্রমত, আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রচলিত আইন অনুসারে মামলা দায়ের করিবে৷]
157[২৭খ। (১) প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা তালিকাভুক্ত করিবে এবং Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর article 43 ও 44 এর বিধান অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী উক্ত ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করিবে।
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তালিকা, উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে Bangladesh Bank Order, 1972 (PO No. 127 of 1972) এর article 45 এর বিধান অনুসারে দেশের সকল ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করিবে।
(৩) ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা শনাক্তকরণ এবং চূড়ান্তকরণ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, নির্দেশনা জারী করিবে।
(৪) ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার নাম চূড়ান্তকরণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে তাহার বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ প্রদান করিতে হইবে, এবং অনুরূপ ঋণ গ্রহীতার নাম চুড়ান্তকরণের পর প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঋণ গ্রহীতাকে সেই মর্মে অবহিত করিবে।
(৫) উপ-ধারা (৪) এর বিধান অনুযায়ী ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে চিহ্নিত হইবার ফলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট আপীল করিতে পারিবে এবং এই বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতার তালিকা প্রেরণ করিতে পারিবে এবং তাহাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যুতে নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ও রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ অ্যান্ড ফার্মস (RJSC) এর নিকট কোম্পানী নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করিলে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।
(৭) ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উক্ত তালিকা হইতে অব্যাহতি প্রাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়, যাহা ৫ (পাঁচ) বৎসরের অধিক হইবে না, অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হইবার যোগ্য হইবেন না।
(৮) কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে তালিকাভুক্ত হইলে, উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, বাংলাদেশ ব্যাংক তাহার পরিচালক পদ শূন্য ঘোষণা করিতে পারিবে।
(৯) উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা হিসাবে তালিকাভুক্ত হইলে, এবং উপ-ধারা (৫) এর অধীন উক্ত তালিকাভুক্তির বিরুদ্ধে আপীল করা না হইলে অথবা উপ-ধারা (৫) এর অধীন আপীল মঞ্জুর না হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান উক্ত ঋণ গ্রহীতাকে ২ (দুই) মাস সময় প্রদান করিয়া তাহার নিকট হইতে প্রাপ্য সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত চাহিয়া নোটিশ প্রদান করিবে।
(১০) এই আইনের অন্যান্য বিধান বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপ-ধারা (৯) এর বিধান অনুযায়ী নোটিশ প্রাপ্তির ২ (দুই) মাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতা তাহার নিকট প্রাপ্য টাকা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ক্ষেত্রমত, উহার পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে তাহার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মোকদ্দমা দায়ের করিবে, এবং এইরূপ মোকদ্দমা সংশ্লিষ্ট ঋণ, অগ্রিম বা পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে অর্থ ঋণ আদালতের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করিবে না।
(১১) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করে, অথবা যদি বাংলাদেশ ব্যাংক এইরূপ বিবেচনা করে যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান জ্ঞাতসারে বা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধারার বিধান লঙ্ঘন করিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উপর অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা এবং অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।]
158[২৮। (১) বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে, কোন ব্যাংক-কোম্পানী উহার নিকট হইতে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ঋণ বা বিনিয়োগের উপর আরোপিত বা অনারোপিত সুদ বা মুনাফা মওকুফ করিবে না,-
(ক) উহার কোন পরিচালক, এবং তাহার পরিবারের সদস্যগণ;
(খ) এইরূপ কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী যাহাতে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য উল্লেখযোগ্য শেয়ারধারক, পরিচালক, জামিনদার, ম্যানেজিং এজেন্ট, মালিক বা অংশীদার রহিয়াছেন বা যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার কোন পরিচালক বা পরিচালকের পরিবারের সদস্য কর্তৃক কোনভাবে নিয়ন্ত্রিত বা প্রভাবিত হয়;
(গ) এইরূপ কোন ব্যক্তি যাহার সহিত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর কোন পরিচালক, অংশীদার বা জামিনদার হিসাবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট রহিয়াছে।
(২) উপ-ধারা (১) এর বিধান লঙ্ঘনক্রমে কোনরূপ মওকুফ করা হইলে উহা অবৈধ হইবে, এবং অনুরূপ মওকুফের জন্য উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত রহিয়াছিলেন তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ৩ (তিন) লক্ষ টাকা অর্থ দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।]
162[২৯ক। (১) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতা কর্তৃক গৃহীত বা গৃহীতব্য ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে প্রদত্ত জামানত (collateral) কোন মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী কর্তৃক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এইরূপ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত হইতে হইবে।
(২) উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ ব্যাংক, সময় সময়, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারী করিতে পারিবে।]
188[৩৭। বাংলাদেশ ব্যাংক, জনস্বার্থে প্রয়োজন মনে করিলে, ধারা ২৭কক এর উপ-ধারা (১) এর আওতায় প্রাপ্ত খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা 189[, ধারা ২৭খ এর অধীন প্রাপ্ত ইচ্ছাকৃত খেলাপী ঋণ গ্রহীতাদের তালিকা] এবং এই আইনের অধীন সংগৃহীত ৩০ দিনের অধিক সময় অনাদায়ী ঋণ ও অগ্রিম সম্পর্কিত কোন তথ্য কিংবা ব্যাংক ব্যবসা সম্পর্কিত যে কোন তথ্য একীভূত অবস্থায় বা অন্য কোনভাবে প্রকাশ করিতে পারিবে।]
৩৮৷ (১) বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানী কোন 191[ইংরেজী পঞ্জিকা বৎসর] অতিবাহিত হইবার পর উক্ত বত্সরে উহা, বা উহার শাখা কর্তৃক, কৃত ব্যবসা সম্পর্কে একটি ব্যালেন্সসীট ও লাভ-ত্মগতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন বত্সরের শেষ কার্যদিবসে যেভাবে দাঁড়ায় সেইভাবে প্রথম তফসিলের ফরমে, যতদূর সম্ভব, প্রস্তুত করিবে৷
192[(১ক) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত জনস্বার্থ সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্যাংকিং কোম্পানীর কর্তব্য হইবে উক্ত আইনের ধারা ৪০ এর বিধান অনুযায়ী প্রণীত ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড এবং অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড অনুসারে প্রস্ত্ততকৃত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় দলিলাদি উপস্থাপন করা।
(১খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিস্ট্রার ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং আইন, ২০১৫ এর ধারা ২(৮) এ সংজ্ঞায়িত ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপস্থাপিত আর্থিক বিবরণী বা অনুরূপ বিবরণী বা প্রতিবেদন গ্রহণ করিবেন না, যদি না উহা তালিকাভুক্ত নিরীক্ষকের প্রতিবেদনসহ উপস্থাপিত হয়।]
(২) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্সসীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন-
(ক) বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বা প্রধান কর্মকর্তা এবং উহার পরিচালকের সংখ্যা তিনজনের বেশী হইলে, অন্যুন তিনজন পরিচালক, এবং তিনজন হইলে, সকল পরিচালক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে;
(খ) বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, উহার বাংলাদেশস্থ প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি এবং উক্ত ব্যবস্থাপক বা প্রতিনিধি হইতে পরবর্তী নীচের অন্য একজন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে৷
(৩) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যালেন্সশীট, এবং লাভ-ত্মগতির হিসাব এবং আর্থিক প্রতিবেদন দাখিল সম্পর্কে উপ-ধারা (১) এ উল্লিখিত ফরমটি কোম্পানী আইনের 193[তফসিল-১১] হইতে ভিন্নতর হওয়া সত্বেও, উক্ত ব্যালেন্সশীট, লাভ-ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন দাখিলের ক্ষেত্রে, উক্ত আইনের বিধানাবলীর ততটুকু প্রযোজ্য হইবে যতটুকু এই আইনের বিধানাবলীর সহিত সংগতিপূর্ণ হয়৷
(৪) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম তফসিলের 194[ফরম ও নির্দেশনাসমূহ] সংশোধন করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ সংশোধনের অন্যুন তিন মাস পূর্বে উক্তরূপ সংশোধনের ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারী করিতে হইবে৷
195[***]
৩৯৷ 196[(১) Bangladesh Chartered Accountants Order, 1973 (P.O. No. 2 of 1973) বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইন অনুসারে কোম্পানীর অডিটর হওয়ার যোগ্য যে কোন ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানী নিরীক্ষণের জন্য যোগ্য বলিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত হইলে, ধারা ৩৮ এর অধীন প্রস্তুতকৃত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ব্যাংক-কোম্পানীর লাভ ও ক্ষতির হিসাব ও আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষা করিতে পারিবে।]
(২) কোম্পানী আইনের 197[ধারা ২১৩] এর দ্বারা কোম্পানীর অডিটরদের উপর যে ক্ষমতা, দায়িত্ব, দায় ও শাস্ত্মি অর্পণ বা আরোপ করা হইয়াছে সেই ক্ষমতা, দায়িত্ব দায় ও শাস্তি উপ-ধারা (১)এ উল্লিখিত নিরীক্ষকের উপর বর্ণিত ও আরোপিত থাকিবে৷
(৩) কোম্পানী আইনের অধীন প্রয়োজনীয় বিষয়াবলী ছাড়াও কোন নিরীক্ষক তাঁহার প্রতিবেদনে নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী উল্রেখ করিবেন, যথা :-
(ক) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা ও সংশ্লিষ্ট সময়ের লাভ-ক্ষতি সঠিকভাবে প্রতিফলিত হইয়াছে কিনা;
(খ) আর্থিক প্রতিবেদন সাধারণ হিসাব পদ্ধতি অনুসারে সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হইয়াছে কিনা;
(গ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রচলিত বিধি ও আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক জারীকৃত হিসাব সংক্রান্ত্ম নিয়মকানুন মোতাবেক প্রণীত হইয়াছে কিনা;
(ঘ) যে সকল অগ্রিম এবং অন্যান্য সম্পদ আদায় সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে সেইগুলির জন্য পর্যাপ্ত সংস্থান রাখা হইয়াছে কিনা;
198[(ঘঘ) বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সময় সময় যে পরিমাণ নির্ধারণ199[করা হয়] সেই পরিমাণের অধিক টাকায় অগ্রিম বা ঋণের পরিশোধ সন্তোজনক কিনা;]
200[(ঙ) আর্থিক প্রতিবেদন দেশে প্রচলিত বিধিবিধান ও হিসাবমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্দেশিত হিসাবমান অনুযায়ী নির্ধারিত মানসম্পন্ন হইয়াছে কিনা;]
(চ) ব্যাংক-কোম্পানীর শাখা অফিসগুলি কর্তৃক প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র এবং হিসাবসমূহ সঠিকভাবে সংরক্ষিত ও একত্রীভূত করা হইয়াছে কিনা;
(ছ) নিরীক্ষক কর্তৃক প্রার্থীত তথ্যাদি এবং ব্যাখ্যা সন্ত্মোষজনক হইয়াছে কিনা;
201[(ছছ)অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা, অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজের জন্য অনুসৃত পদ্ধতির পর্যাপ্ততা এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ;
(ছছছ) ব্যাংক-কোম্পানী কিংবা উহার কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক সংঘটিত যে কোন জালিয়াতি, বা কোন অনিয়ম, বা প্রশাসনিক কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি বা ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু পরিলক্ষিত হইলে তাহা;
(ছছছছ) ব্যাংক-কোম্পানীর সাবসিডিয়ারীর ক্ষেত্রে ঐ সকল সাবসিডিয়ারী কোম্পানী নিরীক্ষিত হইয়াছে কি না ও তাহার হিসাব সঠিকভাবে একত্রীভূত করতঃ ব্যাংক-কোম্পানীর আর্থিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হইয়াছে কি না;]
(জ) অন্য এমন সব বিষয় যাহা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডারদের গোচরীভূত করা উচিত বলিয়া নিরীক্ষক মনে করেন৷
(৪) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালনের সময় যদি কোন নিরীক্ষক এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে,-
(ক) এই আইনের কোন বিধান গুরুতরভাবে লঙ্ঘিত হইয়াছে বা উহা পালনে গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে;
(খ) প্রতারণা বা অসততার দরুণ ফৌজদারী অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে;
(গ) লোকসানের দরুণ 202[ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষিত মূলধন আবশ্যক মূলধনের] পঞ্চাশ শতাংশের নীচে নামিয়া গিয়াছে;
(ঘ) পাওনাদারদের পাওনা প্রদানের নিশ্চয়তা বিঘ্নিত হওয়াসহ অন্য কোন গুরুতর অনিয়ম ঘটিয়াছে; অথবা
(ঙ) পাওনাদারগণের পাওনা মিটাইবার জন্য কোম্পানীর সম্পদ যথেষ্ট কি না সে সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে;
তাহা হইলে তিনি অবিলম্বে উক্ত বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে অবহিত করিবেন৷
203[(৫) কোম্পানী আইন বা অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই ধারা মোতাবেক ব্যাংক-কোম্পানীতে নিয়োজিত কোন নিরীক্ষক উপ-ধারা (১), (২) ও (৩) এ বর্ণিত বিষয়, বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত বিষয়, ব্যতীত উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীতে অন্য কোন প্রকার কর্মকান্ড বা সেবা প্রদানে লিপ্ত হইতে পারিবে নাঃ
তবে শর্ত থাকে যে, ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি বা ব্যাংকের কোন এজেন্ট বা কোন প্রতিনিধি এবং ব্যাংকের সহিত আমানত ব্যতীত অন্য কোনরূপ স্বার্থের সংশ্লেষ রহিয়াছে এমন ব্যক্তি ব্যাংক-কোম্পানীর নিরীক্ষক বা নিরীক্ষকদলের কোন সদস্য হইতে পারিবেন না।
(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এতদুদ্দেশ্যে বিধান জারী করিয়া একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পর নিরীক্ষকগণের পালাবদল বাধ্যতামূলক করিতে পারিবে।]
212[৪৪। (১) কোম্পানী আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, বা আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনে নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তার দ্বারা বাংলাদেশে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে উহার সকল শাখা ও সাবসিডিয়ারীর খাতাপত্র ও হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে এবং বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখার খাতাপত্র এবং হিসাব পরিদর্শন করিতে পারিবে, এবং এইরূপ পরিদর্শন সমাপ্তির পর বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিবে।
(২) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ বিধান থাকা সত্ত্বেও, এবং উপ-ধারা (১) এর বিধান ক্ষুণ্ণ না করিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংক যে কোন সময় উহার এক বা একাধিক কর্মকর্তা দ্বারা কোন ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার সকল শাখা ও সাবসিডিয়ারীর খাতাপত্র ও হিসাব এবং বাংলাদেশের বাহিরে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে, বাংলাদেশে অবস্থিত উহার সকল শাখার খাতাপত্র ও হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করাইতে পারিবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক আবশ্যক বিবেচনা করিলে উক্ত পরীক্ষার ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে সরবরাহ করিতে পারিবে।
(৩) ধারা ২৬ এর অধীন গঠিত সাবসিডিয়ারী কোম্পানীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের প্রযোজ্য অংশের একটি অনুলিপি পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে সরবরাহ করিবে।
(৪) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তির চাহিদা মোতাবেক ও তৎকর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর খাতাপত্র, হিসাব বা অন্যান্য দলিল দাখিল করা এবং উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারী সম্পর্কে কোন বিবৃতি বা তথ্য প্রদান করা উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর পরিচালক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা বহিরাগত নিরীক্ষকের দায়িত্ব হইবে।
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনকার্য বা উপ-ধারা (২) এর অধীন পরীক্ষাকার্য পরিচালনাকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর যে কোন পরিচালক, কর্মকর্তা, কর্মচারী বা ইহার বহিরাগত নিরীক্ষককে শপথ পাঠ করাইয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার শাখা ও সাবসিডিয়ারীর বিষয়াবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
(৬) বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধারার অধীন কোন পরিদর্শন বা পরীক্ষাকার্য সম্পন্ন করিবার পর উক্ত প্রতিবেদন বিবেচনান্তে যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর এবং উহার কোন শাখা ও সাবসিডিয়ারীর কার্যাবলী উহার আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী পদ্ধতিতে পরিচালিত হইতেছে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, লিখিত আদেশ দ্বারা-
(ক) উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক নূতন আমানত গ্রহণ নিষিদ্ধ করিতে পারিবে;
(খ) ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (৪) এর অধীন উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর অবসায়নের উদ্দেশ্যে আবেদন দাখিল করিতে পারিবে;
(গ) আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক যেইরূপ সঙ্গত বিবেচনা করিবে সেইরূপ আদেশ প্রদান বা কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৭) বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী এবং উহার সাবসিডিয়ারী কোম্পানীকে যুক্তিসঙ্গত নোটিশ প্রদানের পর, তৎকর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন বা উহার অংশবিশেষ প্রকাশ করিতে পারিবে।
(৮) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন আদালত, বা বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যতীত, অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তলবকৃত কোন বিবরণ বা তথ্য এইরূপ গোপনীয় যে উহাদের হস্তান্তর বা প্রকাশের মাধ্যমে নিম্নবর্ণিত বিষয়ে তথ্য প্রকাশ হইয়া পড়িবে, যাহা ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীর স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর, তাহা হইলে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী কোন আদালত বা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্দেশিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত বিবরণ প্রদান করিতে বা তথ্য প্রকাশ করিতে বাধ্য থাকিবে না, যথা:-
(ক) এইরূপ সংরক্ষিত তহবিল যা প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত হয় নাই; বা
(খ) আদায়যোগ্য নহে বা আদায়যোগ্যতা সম্পর্কে সন্দেহ রহিয়াছে এইরূপ ঋণ যাহা উহাতে প্রদর্শিত হয় নাই; বা
(গ) ব্যাংক-কোম্পানীর দায়, সম্পদ, বিনিয়োগ বা ব্যবসা সংক্রান্ত এইরূপ বিবরণ যা প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে প্রদর্শিত হয় নাই; বা
(ঘ) ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২৭ নং আইন) এ বর্ণিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে গ্রাহকের ঋণ সম্পর্কিত তথ্যাদি; বা
(ঙ) ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১ (২০২১ সনের ২৭ নং আইন) এ বর্ণিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে গ্রাহকের আমানতের হিসাব বিবরণী।
(৯) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনে নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, জনস্বার্থে বা ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ব্যাংক-কোম্পানী কর্তৃক প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগের অর্থের সদ্ব্যবহার যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহীতার ব্যবসাক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করিতে পারিবে।]
213[৪৪ক। আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বা অন্য যে কোন আইনের অধীন নিবন্ধীকৃত হইয়া থাকুক না কেন, এই আইনের ধারা ৪৪ এবং ৪৫ এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানী যেইভাবে পরিদর্শন করা হয় বা উহাকে যেইভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সেইভাবে Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানীর অর্থায়নে গঠিত বা পরিচালিত বা উভয়ই, প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ইত্যাদি পরিদর্শন করিতে, এবং ঐ সকল প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ইত্যাদিকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে, এবং বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের প্রযোজ্য অংশের একটি অনুলিপি পরিদর্শনকৃত প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে সরবরাহ করিবে।]
214[৪৪খ। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, জনস্বার্থে বা ব্যাংক নীতির স্বার্থে বা ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে অন্য নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারের কোন সংস্থার অধীন কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীর, যাহাদের ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত কোন লেনদেন রহিয়াছে, তাহাদের হিসাবপত্র, আর্থিক লেনদেন বা অন্য যে কোন তথ্য সংগ্রহ বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লিখিত হিসাবপত্র, তথ্য, ইত্যাদি প্রদান করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুরোধ করিলে, সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা তাহা প্রদান করিবে।]
৪৫৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে,-
(ক) জনস্বার্থে, বা
(খ) মুদ্রানীতি এবং ব্যাংক-নীতির উন্নতি বিধানের জন্য, বা
(গ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আমানতকারীদের স্বার্থের পরিপন্থী বা ব্যাংক-কোম্পানীর স্বার্থের পত্মেগ ত্মগতিকর কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার জন্য; বা
(ঘ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য,
সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানীকে, অথবা বিশেষ কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ প্রদান করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ নির্দেশ জারী করিতে পারিবে; এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী উক্ত নির্দেশ পালন করিতে বাধ্য থাকিবে৷
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক স্বেচ্ছায় অথবা উহার নিকট পেশকৃত কোন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত নির্দেশ বাতিল বা পরিবর্তন করিতে পারিবে; এবং এইরূপ বাতিলকরণ বা পরিবর্তন শর্তসাপেক্ষে হইতে পারিবে৷
215[(৩) উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধানাবলী সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বিশেষায়িত ব্যাংকসহ সকল ব্যাংক-কোম্পানীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য হইবে।]
216[(৪) এই ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানীকে যেইভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক সেইভাবে Societies Registration Act, 1860 (Act No. XXI of 1860) এর অধীন ব্যাংক-কোম্পানীর অর্থায়নে গঠিত বা পরিচালিত বা উভয়ই, প্রতিষ্ঠান বা ফাউন্ডেশন, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, ইত্যাদিকে নির্দেশ প্রদান করিতে, এবং যথাযথ নির্দেশ জারী করিতে পারিবে।]
৪৬৷ 217[(১) বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা কোন পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্তৃক কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট লেনদেনের মাধ্যমে ব্যাংক-কোম্পানীর তহবিলের অপব্যবহার বা মানিলন্ডারিং বা সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সংক্রান্ত অপরাধ রোধকল্পে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীকে, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, অপসারণ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, আদেশের মাধ্যমে, উক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহীকে তাহার পদ হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।]
(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন কোন আদেশ প্রদানের পূর্বে যাহার বিরম্্নদ্ধে উক্ত আদেশ প্রদান করা হইবে তাঁহাকে উহার বিরম্্নদ্ধে কারণ প্রদর্শনের জন্য যুক্তিসংগত সুযোগ দিতে হইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, উপ-ধারা (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি এইরূপ অভিমত পোষণ করে যে, অনুরূপ সুযোগ প্রদানজনিত বিলম্ব উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারী বা জনস্বার্থে ত্মগতিকর হইবে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক উপরোক্ত সুযোগ প্রদানের
সময়ে বা উহার পরে যে কোন সময় বা উক্ত উপ-ধারার অধীন কোন কারণ প্রদর্শিত হইয়া থাকিলে, তাহা বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায়, লিখিত আদেশের মাধ্যমে, নির্দেশ দিতে পারে যে,-
(ক) উক্ত চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উক্ত লিখিত আদেশ কার্যকর হইবার তারিখ হইতে চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী হিসাবে কার্য করিবেন না, বা কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যত্মগ বা পরোত্মগভাবে, অংশগ্রহণ করিবেন না; এবং
(খ) বাংলাদেশ ব্যাংক এতদুদ্দেশ্যে যে ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে নিযুক্ত করিবে সেই ব্যক্তি উক্ত কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা, ত্মেগত্রমত, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী হিসাবে কার্য করিবেন৷
218[(৩) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী উপ-ধারা (১) এর অধীন অপসারিত হন, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী পদে বহাল থাকিবেন না, এবং তিনি আদেশের তারিখ হইতে পরবর্তী ৩ (তিন) বৎসর উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায়, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে, সংযুক্ত হইবেন না বা অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।]
(৪) উপ-ধারা (২) এর অধীন নিযুক্ত চেয়ারম্যান, পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী,-
(ক) তাঁহার নিযুক্তি-পত্রে নির্ধারিত শর্তাধীনে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সন্তুষ্টি সাপেত্মেগ এবং তত্কর্তৃক নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত্ম, যাহা এক বত্সরের বেশী হইবে না, উক্ত পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন; এবং
(খ) তাঁহার পদের দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে কৃত কোন কিছুর জন্য আর্থিকভাবে বা অন্য কোনভাবে দায়ী হইবেন না৷
(৫) উপ-ধারা (১) এর অধীনে অপসারিত কোন ব্যক্তি উক্তরূপ অপসারণের কারণে কোন ত্মগতিপূরণ দাবী করিতে পারিবেন না৷
219[***]
220[(৭) উপ-ধারা (১) এর অধীন অপসারিত চেয়ারম্যান বা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহীর ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে কোন ব্যাংক-কোম্পানীর আর্থিক ক্ষতি হইলে, তাহার নিকট ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্য টাকা আদায়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে, এবং এইক্ষেত্রে ধারা ৮৫ এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব প্রযোজ্য হইবে, এবং এইরূপ গৃহীত ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংককে অবহিত করিবে।]
৪৯৷ (১) বাংলাদেশ ব্যাংক,-
(ক) সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে কোন নির্দিষ্ট বা বিশেষ শ্রেণীর লেনদেনে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক বা নিষেধ করিতে পারিবে;
(খ) সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে উহাদের বা উহার 224[ব্যবসা] সংক্রান্ত্ম কোন বিশেষ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করার জন্য বা করার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;
(গ) সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী সমূহের অনুরোধক্রমে এবং ধারা 225[৭৫] এর বিধান সাপেক্ষে, উহাদের একত্রীকরণের প্রস্ত্মাবে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে বা অন্য কোনভাবে সহায়তা প্রদান করিতে পারিবে;
(ঘ) ধারা ৪৪ এর অধীন কোন পরিদর্শন চলাকালে বা উহা সমাপ্ত হইবার পর, লিখিত আদেশ দ্বারা এবং উহাতে উল্লিখিত শর্তাধীনে,-
(অ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বিষয়াবলী বা উহা হইতে উদ্ভূত কোন বিষয় বিবেচনার জন্য উহার পরিচালকগণের সভা আহবান করিতে বা অনুরূপ কোন বিষয় সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তার সহিত আলোচনা করিতে উহার যে কোন কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে;
(আ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, বা উহার কোন কমিটি বা ব্যক্তিসংঘের সভার কার্যধারা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করিতে পারিবে এবং উক্ত কর্মকর্তাকে উক্ত সভায় বক্তব্য পেশ করার সুযোগ প্রদানের জন্য ব্যাংক-কোম্পানীকে, এবং উক্ত সভার কার্যধারার উপরে একটি প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট দাখিল করার জন্য উক্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিতে পারিবে;
(ই) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর পরিচালক-পর্ষদ, বা উহার কোন কমিটি বা ব্যক্তিসংঘের যে কোন সভা সংক্রান্ত নোটিশ ও অন্যান্য চিঠিপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট কোন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণের জন্য কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে;
(ঈ) কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা উহার কোন শাখার কার্যাবলী কি প্রকারে পরিচালিত হইতেছে তাহা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক উহার কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করিতে পারিবে;
(উ) উক্ত পরিদর্শন চলাকালে বা উহা সমাপ্ত হইবার পর উহার দ্বারা উদঘাটিত কোন বিষয়দৃষ্টে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবস্থাপনায় কোন পরিবর্তন প্রয়োজন বলিয়া বিবেচনা করিলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীকে উক্ত পরিবর্তন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যকর করার নির্দেশ দিতে পারিবে 226[;
(ঙ) আপাততঃ বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, দেশের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থা বা পেমেন্ট সিষ্টেমস্ এর সুষ্ঠু পরিচালনার স্বার্থে এ সংক্রান্ত যে কোন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সাধারণভাবে সকল বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানীকে নির্দেশ দিতে পারিবে;
(চ) ঋণ শৃঙ্খলার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণভাবে সকল ব্যাংক-কোম্পানী বা কোন বিশেষ ব্যাংক-কোম্পানী বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যাংক-কোম্পানীর জন্য ঋণ শ্রেণীকরণ ও সঞ্চিতি সংরক্ষণ, 227[সুদ বা মুনাফা মওকুফ, ঋণ], পুনঃতফসিলীকরণ কিংবা পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়সমূহে বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয় নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।]
(২) বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থার গতি ও উন্নতি বিধানকল্পে উহার কার্যাবলী সম্পর্কে সরকারের নিকট একটি বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করিবে এবং উক্ত প্রতিবেদনে ব্যাংক-ব্যবসাকে সমগ্র দেশে জোরদার করার জন্য গ্রহণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে পরামর্শ থাকিবে৷
৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি-
(ক) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন দপ্তরে বা কার্যস্থলে আইনানুগভাবে অন্য কোন ব্যক্তির প্রবেশে বা তথা হইতে বহির্গমনে বা তথায় কোন কার্য্য সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করিবেন না; অথবা
(খ) ব্যাংক-কোম্পানীর কোন দপ্তরে বা কার্যস্থলে উগ্রভাবে কোন মিছিল করিবেন না, বা ব্যাংক-কোম্পানীর স্বাভাবিক কার্যকলাপে ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী বা ব্যাঘাত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত কোন কার্য করিবেন না; বা
(গ) ব্যাংক-কোম্পানীর উপরে উহার আমানতকারীর আস্থা নষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে কোন কিছু করিবেন না৷
(২) কোন ব্যক্তি যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এর বিধান ভঙ্গ করিলে, তিনি অনূর্ধ দুই বত্সরের কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ 254[দুই লক্ষ] টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷
255[***]
297[৭৭ক। (১) অন্য কোন আইন বা কোন চুক্তি বা কোন দলিল বা এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যাংক-কোম্পানীর বা উহার আমনতকারীগণের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে উহার বিষয়ে আশু সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানীর কার্যাবলী এবং উহার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
(২) এই ধারার অধীন গৃহীত ব্যবস্থায় যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয় বা পুনরুদ্ধার কর্ম পরিকল্পনা অনুসরণ না করিয়া উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর চেয়ারম্যান, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানী বা উহার আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ অব্যাহত রাখে, তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক, আমানত কারীদের স্বার্থে বা জনস্বার্থে উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করিবার লক্ষ্যে, ধারা ৭৭ এর বিধান সাপেক্ষে, অন্য কোন ব্যাংক-কোম্পানীর সহিত বাধ্যতামূলক একত্রিকরণ বা উহার পুনর্গঠন বিষয়ে যে কোন এক বা একাধিক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবে।]
১০৯। (১) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স প্রাপ্ত না হইয়া ব্যাংক ব্যবসা করেন বা ব্যাংক ব্যবসা করার জন্য প্রাপ্ত লাইসেন্স বাতিল হইয়া যাওয়ার পরেও ব্যাংক ব্যবসা করেন, তাহা হইলে তিনি 321[ অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদন্ডে এবং অন্যূন 322[৫ (পাঁচ)] লক্ষ টাকা এবং অনধিক 323[৫০ (পঞ্চাশ)] লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয়] হইবেন।
324[(১ক) যদি কোন সমিতি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী ধারা ৮ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া ইহার নামের অংশ হিসাবে “ব্যাংক” শব্দ অথবা ইহা হইতে উদ্ভূত অন্য কোন শব্দ ব্যবহার করিয়া থাকে যাহাতে উহাকে ব্যাংক-কোম্পানী হিসাবে বিবেচনা করিবার সম্ভাবনা থাকে, তাহা হইলে উক্ত সমিতি বা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানী এবং উহার ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট পরিচালকগণ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, উক্ত লঙ্ঘনের জন্য তাহাদের প্রত্যেকে অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে বা অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উক্ত লঙ্ঘন অব্যাহত থাকিলে প্রত্যেক দিনের জন্য অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।]
(২) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের কোন বিধানের প্রয়োজন মোতাবেক বা উহার অধীন বা উহার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে তলবকৃত বা দাখিলকৃত কোন বিবরণ, প্রতিবেদন, ব্যালেন্স শীট বা অন্যান্য দলিল বা কোন তথ্যে, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাঁহার জ্ঞাতসারে কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য বা বিবৃতি প্রদান করেন, অথবা, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং তাঁহার জ্ঞাতসারে, অনুরূপ বিষয়ে তথ্য বা কোন বিবৃতি প্রদান না করেন, তাহা হইলে তিনি 325[ অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের 326[কারাদণ্ডে অথবা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন]।
(৩) ধারা ২৭ (১) ও (২) এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া কোন ব্যাংক-কোম্পানী অগ্রিম প্রদান করিলে, উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা উক্ত 327[ ঋণ, অগ্রিম, গ্যারান্টি বা অন্য কোনরূপ আর্থিক সুবিধা] প্রদানের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং 328[ অনধিক ৩ (তিন) বৎসরের কারাদন্ডে অথবা অন্যূন 329[৫ (পাঁচ)] লক্ষ টাকা এবং অনধিক 330[২০ (বিশ)] লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডে অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয়] হইবেন।
331[(৪) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন কোন বহি, হিসাব- নিকাশ, বা অন্য কোন দলিল দাখিল করিতে, অথবা কোন বিবরণ বা তথ্য সরবরাহ করিতে, অথবা ব্যাংক-কোম্পানীর ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত বা পরীক্ষার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তার কোন প্রশ্নের জবাব প্রদানে অসম্মত হন, তাহা হইলে উক্ত অসম্মতির জন্য তাহার উপর অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি উক্ত অসম্মতি অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ অসম্মতির প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৫) ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (৬) এর দফা (ক) এর অধীন প্রদত্ত কোন আদেশ লঙ্ঘন করিয়া কোন ব্যাংক-কোম্পানী কোন আমানত গ্রহণ করিলে, উহার যে সকল পরিচালক বা কর্মকর্তা অনুরূপ আমানত গ্রহণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত রহিয়াছিলেন তাঁহাদের প্রত্যেকে উক্ত দফা (ক) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ লঙ্ঘনের জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং তাঁহাদের উপর অনুরূপ আমানতের অনধিক দ্বিগুণ পরিমাণ জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৬) যদি কোন ব্যক্তি ধারা ৭৭ এর উপ-ধারা (৮) এর অধীন মঞ্জুরীকৃত কোন স্কীমের শর্ত বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে তাহার উপর অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে এবং যদি এই ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে উক্ত ব্যর্থতার প্রথম দিনের পর প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।
(৭) যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অন্য কোন বিধান লঙ্ঘন করেন, বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোন শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে তাহার উপর উক্ত লঙ্ঘনের জন্য অন্যূন ২০ (বিশ) হাজার টাকা এবং অনধিক ২ (দুই) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি অনুরূপ লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ১ (এক) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।]
(৮) এই আইনের কোন বিধান লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি, অথবা তদধীন কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘনকারী ব্যক্তি বা তদধীন মঞ্জুরীকৃত কোন স্কীমের শর্ত বা কর্তব্য পালনে ব্যর্থ কোন ব্যক্তি যদি কোন 332[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান] হয়, তাহা হইলে এইরূপ লঙ্ঘন বা ব্যর্থতা সংঘটিত হওয়ার সময় যে সকল ব্যক্তি উক্ত 333[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের] পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তা ছিলেন বা উক্ত 334[ কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের] কাজকর্ম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং তজ্জন্য উহার নিকট কৈফিয়ত দিতে বাধ্য ছিলেন তাঁহাদের প্রত্যেক ব্যক্তি ও উক্ত লঙ্ঘন বা ব্যর্থতার জন্য দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করিতে পারেন যে, এইরূপ লঙ্ঘন বা ব্যর্থতা তাঁহার অজ্ঞাতসারে সংঘটিত হইয়াছে বা উহা প্রতিরোধ করিবার জন্য তিনি যথাযথ সতকর্তা অবলম্বন করিয়াছিলেন তাহা হইলে তিনি উক্তরূপ দোষী বলিয়া গণ্য হইবেন না।
335[ 336[ (৯) 337[উপ-ধারা (২), (৩)], (৪), (৫), (৬), (৭) এবং ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (১) ও ধারা ৫৭ এর উপ-ধারা (১) এর বিধান অনুসারে কেহ দণ্ডনীয় অপরাধ করিলে তাঁহার বিরুদ্ধে মামলা না করিয়া বাংলাদেশ ব্যাংক 338[ তাহাকে কেন আর্থিক জরিমানা] করিবে না সে সম্পর্কে কারণ দর্শাইতে সুযোগ দিতে পারিবে এবং তাঁহার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হইলে বা তিনি কোন ব্যাখ্যা প্রদান না
করিলে বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁহাকে উপরিউক্ত উপ-ধারাসমূহে এবং ধারা ২৮ এর উপ-ধারা (২) ও ধারা ৫৭ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত 339[ যে কোন অংকের আর্থিক জরিমানা] করিতে পারিবে।]
(১০) উপ-ধারা (৯) এর অধীন 340[ জরিমানা] আরোপ করার ১৪ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি উহা পরিশোধ করিলে তাঁহার বিরুদ্ধে উক্ত উপ-ধারায় উলি্লখিত উপ-ধারাগুলির অধীন তৎকতর্ৃক কৃত অপরাধের জন্য আর কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে না; কিন্তু যদি তিনি উক্তরূপ সময়সীমার মধ্যে 341[ জরিমানাকৃত অর্থ] পরিশোধে ব্যর্থ হন তাহা হইলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কৃত অপরাধের জন্য তাঁহার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করিবে।]
342[ 343[(১১) যদি কোন ব্যাংক-কোম্পানী ধারা ১৩ এর উপ-ধারা (৭), ধারা ২৫ এর উপ-ধারা (৩), (৪) ও (৫), ধারা ২৬ক এর উপ-ধারা (৩), ধারা ২৯ এর উপ-ধারা (৩), এবং ধারা ৩৩ এর উপ-ধারা (৫) এ বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ধারার বিধান লঙ্ঘন করে বা তদধীন প্রদত্ত কোন আদেশ বা নির্দেশ বা আরোপিত কোন শর্ত বা প্রণীত কোন বিধি লঙ্ঘন করে, তাহা হইলে উক্ত লঙ্ঘনের জন্য উক্ত ব্যাংক-কোম্পানীর উপর অন্যূন ৩ (তিন) লক্ষ এবং অনধিক ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে, এবং যদি অনুরূপ লঙ্ঘন অব্যাহত থাকে, তাহা হইলে অনুরূপ লঙ্ঘনের প্রথম দিনের পর প্রত্যেক দিনের জন্য অতিরিক্ত অন্যূন ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা এবং অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা আরোপিত হইবে।]
(১২) উপ-ধারা (৯) এর অধীন জরিমানাকৃত কোন ব্যক্তি বা উপধারা (১১) এর অধীন জরিমানাকৃত কোন ব্যাংক-কোম্পানী বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুরূপ জরিমানা আরোপের ১৪ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা-পর্ষদের নিকট তাহা পুনর্বিবেচনার আবেদন পেশ করিতে পারিবে এবং এই ব্যাপারে উক্ত পর্ষদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।]
344[১১১ক। এই আইনের কোন ধারার অধীন কোন ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তির উপর আরোপিত কোন জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা দণ্ড এই আইনের অন্য কোন ধারার অধীন অথবা বাংলাদেশে প্রচলিত অন্য কোন আইনের অধীন উক্ত ব্যাংক-কোম্পানী বা ব্যক্তির উপর আরোপযোগ্য বা আরোপিত হইয়াছে, এইরূপ কোন জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা দণ্ড আরোপকে সীমাবদ্ধ বা বারিত করিবে না।]